নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ পাঠক ও লেখক
গত মাসখানেক ধরে সামুর পাতাসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগ্যোগ মাধ্যম ও সংবাদ পত্রে নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগুষ্ঠি প্রসঙ্গে লোমহর্ষক অনেক তথ্যচিত্র উঠে আসছে । গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে হামলার অযুহাত দেখিয়ে সেখানে শতাব্দীর পর শতাব্দি ধরে বসবাসকারী রোহিঙ্গা মুসলিম জাতি সত্বার উপরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযান চলে আসছে। রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। দমন-পীড়ন চলে নারী পুরুষ শিশুদের উপর। সহিংসতা থেকে বাঁচতে মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে ঢোকে। ২৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সোয়া চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে।
ছবি - ২ : মিয়ানমার সরকার রাখাইনে গনহত্যা চালিয়ে রোহিঙ্গাদের বাড়ীঘর পুড়িয়ে দিয়ে দেশ হতে বিতারণ করছে
এর আগেও মিয়ানমার হতে নির্যাচিত রোহিঙ্গা জাতিগুষ্ঠির লক্ষ লক্ষ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসে । এ পর্যন্ত প্রায় ৮ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এবং প্রতিদিনই এ সংখ্যা হাজারে হাজারে বেড়েই চলেছে । মানবতার প্রশ্নে বাংলাদেশ তাদেরকে আশ্রয় দিয়ে মাথাগুজার ব্যবস্থাসহ খাদ্য ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ সেবা দিচ্ছে । রোহিঙ্গাদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্রে ঘর করে দেয়ার জন্য বৈদেশিক সহায়তাও পাওয়া যাচ্ছে । ইতিমধ্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরোদগান একলক্ষ রোহিঙ্গার জন্য কক্সবাজারে তাবুর কেম্প তৈরীর পরিকল্পনা নিয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমে দেখা যায় ।
ছবি -৩ : টেকনাফের শহরের অদুরে উনচিপ্রাং এ রোহিঙ্গা রিফুজিদের জন্য একটি আশ্রয় শিবির
বাংলাদেশ সরকার , বিভিন্ন সরকারী - বেসরকারী সংস্থা এবং রাজনৈতিক দলসমুহ এবং দেশের দানশীল ব্যক্তি বর্গ নীজ নীজ সাধ্যমত ত্রান কাজে সহায়তা করছেন । বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থা সহ অনেক বিদেশী সরকার সাহায্য সহযোগীতার হস্ত প্রসারিত করছেন । তাদের কাছ প্রতিশ্রুত ত্রান সামগ্রীর কিছু চালান ইতিমধ্যে এসে পৌঁছেছে । তবে ঘরবাড়ী ছেড়ে আসা নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সার্বিক আশ্রয় দান কর্মসুচীর জন্য এগুলি পর্যাপ্ত নয় । রোহিঙ্গা প্রশ্নে এ সকলই একটি সাময়িক প্রচেষ্টামাত্র ।
রোহিঙ্গাদের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রয়োজন তাদের আবাসভুমি মিয়ানমারের রাখাইনে সকলপ্রকার নির্যাতনমুলক কার্যক্রম বন্ধ করে তাদেরকে সেখানে ফেরত পাঠিয়ে নিরাপদে ও শান্তিতে বসবাসের ব্যবস্থা করা । কিন্তু বিপত্তিটা এখানেই । জাতিসংঘ সহ বিশ্বের প্রায় সকলেই মিয়ানমার সরকারকে এই নির্যাতন বন্ধ করার জন্য বলার পরেও মিয়ানমান সরকার কারো কথাই শুনছেনা , তারা পুর্ণ গতিতে আরাকানকে রোহিঙ্গা শুন্য করার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে । রোহিঙ্গা বিষয়ে এ পোষ্টের প্রায় অধিকাংশ লেখাতেই দেখা যায় মিয়ানমারের পক্ষে রয়েছে বিশ্বের শক্তিশালী দেশ চীন , রাশিয়া ও ভারত , আমিরিকাও তেমন কোন জোরালো ভুমিকা পালন করছেনা ।
অপরদিকে অনেক লেখাতেই দেখা যায় বলা হয়েছে সামরিক দিক হতে বিশ্ব রেংকিং এ মিয়ানমারের অবস্থান ৩১ আর বাংলাদেশের অবস্থান ৫৭ । তাই বাংলাদেশকে তারা থোরাই কেয়ার করে রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশে ঠেলে দিচ্ছে । শুধু তাই নয় সীমান্তে একটি যুদ্ধংদেহী অস্থিরতা সৃস্টির জন্য মিয়ানমার প্রায় ১৮ বারের মত হেলিকপ্টার ও ড্রোনের মাধ্যমে বাংলাদেশের আকাশ সীমা লঙ্গন করেছে এবং সীমান্ত জুরে স্থল মাইন পুতছে ও বাংকার বানাচ্ছে । এটা পরিস্কারভাবে মায়ানমারের পক্ষ হতে একটি যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃস্টির জন্য উস্কানীর সামীল । বাংলাদেশ এ বিষয়ে ধৈর্য ধরে মায়ানমারের পাতা ফাদে পা না দিয়ে বিষয়টির কুটনৈতিক সমাধানের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্চে । অনেকেই এ কথাও বলছেন বাংলাদেশের সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে মিয়ানমারের সমকক্ষ করার জন্য । এটা বাংলাদেশের জন্য সম্ভবত তেমন একটা কঠীন কাজ নয় , যে পরিমান অলস বৈদেশিক মুত্রা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভোল্টে পরে আছে তার কিঞ্চিত পরিমান দিয়ে চীন, রাশিয়া , আমিরিকা হতে অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান , যুদ্ধ জাহাজ ও ট্যাংক সহ সাজুয়া যান বহর সংগ্রহ করা যাবে , আর এগুলি দীর্ঘ মেয়াদী ৠণের আওতাতেও সংগ্রহ করা যায় । এদিকে উন্নতমানের সামরিক সরজ্ঞাম ক্রয়ের ব্যপারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিবিধ ধরনের সংবাদভাষ্য ভেসে আসতেছে । এটা মিয়ানমার ও বাংলাদেশ উভয়ের জন্যই আসতেছে । ইন্টারনেটে অনলাইনে এমনি একটি ভিডিউ চিত্রে দেখা গেল সুচির মাথায় হাত .....
ছবি -৪ : সুচির মাথায় হাত!! গোপনে রাশিয়া থেকে ৮টি সুপারসনিক মিগ-৩৫ যুদ্ধবিমান বাংলাদেশে এসে পৌঁচেছে !!
এ ধরণের যুদ্ধ বিমান নাকি এখনো ভারতের কাছেও নেই । বিশ্বাস আর অবিশ্বাস্য কত ধরনের সংবাদই না অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ছে ।
অনুরুপভাবে মিয়ানমারও গোপনে উত্তর কোরিয়ার সহায়তায় পারমানবিক বোমা বানাচ্ছে বলেও বিভিন্ন অনলাইন সংবাদ ভাষ্যে দেখা যাচ্ছে ।
এ ধরণের সংবাদসমুহের গ্রহনযোগ্যতা না থকলেও যুদ্ধের উন্মাদনার কথা ছড়িয়ে পড়ায় এখন সর্বাধুনিক মারনাস্র ক্রয়ের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিণী না চাইতেই একটি বড় মাত্রার জনসমর্থন পেয়ে গেছে যা ইতিপুর্বে ছিলনা , এর প্রমান ইতিপুর্বে রাশিয়া হতে মিগ-২৯ ও চীন হতে সাবমেরিন ক্রয় করার যৌক্তিকতা নিয়ে সরকারকে বেশ সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল । এখন মন খুলে সামরিক খাতে বড় অংকের অর্থ্ বরাদ্ধ ও ব্যয় করতে আর কোন অসুবিধা থাকলনা ।
কিন্তু মনে রাখতে হবে ঋণ করে অস্র কেনার অর্থ দীর্ঘ দিন ধরে সুদসহ পরিশোধ করতে হয় যা জাতীয় আয়ের বা মোট জাতীয় বাজেটের সিংহভাগ দখল করে নেয় । যার কুফল এখন ভোগ করছে পাকিস্তান ও মিয়ানমার , ফলে সামরিক খাত ব্যতিত উন্নয়নের প্রায় সকল সুচকেই এখন তারা বাংলাদেশ হতে পিছিয়ে আছে । এখন বাংলাদেশও যদি সামরিক খাতে অস্বাভাবিকভাবে ব্যয় বৃদ্ধি করে তাহলে অর্থনীতির অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাতের উপর বিরোপ প্রভাব পড়বে ।
তার পরেও আরো কথা আছে , অনেকেই বলছেন বাংলাদেশের সাথে বৃহৎ শক্তি এখন কেও নেই, এর মধ্যে প্রতিবেশী ভারতও পড়ে । ভারত একসময়ে কিছু বাংলাভাষাভাষিকে পুশ করেছিল এদেশে । সে রকম যদি কিছু হয় তা হলে তা ঠেকানোর জন্য বাংলাদেশকেতো ভারতের সমকক্ষ সামরিক শক্তিও গড়ে তুলতে হবে !!!, এটা যে কত বড় কঠীন কর্ম সেটা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে ।
অপরদিকে প্রভুত সামরিক ক্ষমতা অর্জনটাই কি একটা দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে !!!! আমিরিকা ও ধনী ইউরোপীয় দেশগুলির দিকে তাকালে বুঝা যায় তারা নীজেদেরকে কতটুকু অনিরাপদ ভেবে নীজ দেশে ন্যাটো বাহিণী মোতায়েন করতে দিতে বাধ্য হয়েছে , আমিরিকান সামরিক ঘাটি ইউরূপের ন্যটোভুক্ত দেশ সমুহে কাটার মত বিধে আছে , তারপরেও তারা বিপদের ভয়ে সব সময় কুকরে থাকে ।
ছবি -৫ : ইউরোপে ন্যটোভুক্ত দেশ সমুহে আমিরিকার সামরিক উপস্থিতি
উত্তর কোরিয়ার হাতে থাকা গুটিকয়েক পারমানবিক ও হাইড্রোজেন বোমার ভয়ে আমিরিকার শক্তিমান পুরুষ ট্রাম্প এখন সকাল বিকাল বিকার গ্রস্থের মত উত্তর কোরিয়াকে ধংস করে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়ার প্রলাপ বকে । উত্তর কোরিয়ার হাতে যে নিউক্লিয়ার ও হাইড্রোজেন বোমার মজুদ আছে তা যদি আমিরিকার বোমার আঘাতে ফুটে তার চোটে সারা পৃথবীতেই কেয়ামতের প্রলয় নেমে আসতে পারে বিশেষজ্ঞদের ধারণা । অতি সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া কতৃক টেস্ট কৃত হাইড্রোজেন বোমাটির ক্ষমতা নাকি হিরোসিমায় নিক্ষিপ্ত আনবিক বোমার থেকে ১০০০গুনেরও বেশি শক্তিশালী !!!
ছবি -৬ : উত্তর কোরিয়ার হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরণ টেস্ট
পারমানবিক অস্র নিরস্রিকরন চুক্তিতে বিশ্বের কোন পারমানবিক শক্তিধর দেশই স্বাক্ষর করেনি , তার মানে তারা প্রয়োজনে এই অস্রটি প্রয়োগ করবেই করবে । যুদ্ধের কৌশলগত অবস্থানের কারণে মাথা গরম হয়ে কে যে কখন কার মাথায় সে বোমা ফুটাবে তা কে আগে ভাগে জানে , আর এক একটা বোমার যে ক্ষমতা তার মাত্র গুটিকয়েকই সারা দুনিয়ার বিপর্যয়ের জন্য যথেষ্ট ।
অতএব শক্তিধর দেশ সমুহ কতৃক সংখ্যালঘু জাতি সত্তা সহ সকল প্রকার মানবতার বিপর্যয় রোধে যে কোন ধরনের কুটনৈতিক প্রচেষ্টা ও সামরিক শক্তির মহরা কোনটাই কার্যকরী নয় এমনকি শক্তিধরদের নিজেদের জন্যও নয় । এমন অবস্থায় আমাদের জন্য একমাত্র আশ্রয়স্থল হলেন মহান শক্তিধর আল্লাহ ।
তাঁর হাতে ভুপৃষ্ট, আকাশ ও পাতালে থাকা তাজা মারনাস্রগুলির সন্ধান ও নমুনা বিশ্ববাসী দেখছে প্রতি নিয়ত ।
আল্লাহ তার বিধানের সামান্য একটু হেরফের করলে যথা ছোট একটা ধুমকেতুর আঘাতে পৃথিবী হয়ে যেতে পারে মহুর্তে চুর্ণ বিচুর্ণ , উড়ে যেতে পারে তুলার মত ।
ছবি -৭ : সৌর জগতে ধুমকেতুর উল্টা কক্ষপথ
ছবি -৮ : ভুগর্ভ ও সাগরতলের ম্যগমাসমৃদ্ধ অগ্নোৎপাতের ফলে মহুর্তের মধ্যে মহাপ্রলয় হয়ে যেতে পারে বিশ্ব চরাচরে
ছবি- ৯ : সাগরের বুকে জন্ম নেয়া সাইক্লোন , ঘুর্ণীঝড় কিংবা ইরমার আঘাতে ধুলিস্যাত হয়ে যেতে পারে বিশাল জনপদ সমুহ
ছবি-১০: দাবানলে পুরে যেতে পারে কালিফোর্ণিয়ার পার্বত্য এলাকার মত বিশাল অরন্য ( ৫ লাখ একর বনভুমি পুড়ে গিয়েছিল )
বিশ্বজগতের সবচেয়ে বড় সত্য হচ্ছেন নিরাকার মহান আল্লাহ্ ।
ছবি – ১১ : বিশ্বজগতের প্রতিপালক মহান আল্লাহ্ তায়ালার নামের একটি কেলিগ্রাফ
তিনিই আদি, তিনিই অন্ত । তিনি সর্বস্রষ্টা, জগতের একচ্ছত্র অধিপতি ও সর্বশক্তিমান। তিনি সদা সর্বত্র বিরাজমান, সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী। সকল প্রশংসার একমাত্র অধিকারী তিনিই, সমস্ত উত্তম গুণ তাঁরই। তাঁর তুলনা একমাত্র তিনিই। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ্ স্বয়ং নিজের যে পরিচয় দিয়েছেন তাঁর সেই পরিচয়ই হচ্ছে সবচেয়ে স্বচ্ছ ও সঠিক। মহান আল্লাহ্ নিজের পরিচয় দিয়ে বলেছেনঃ
الْحَمْدُ للّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ* الرَّحْمـنِ الرَّحِيمِ * مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ
সমস্ত প্রশংসা বিশ্ব-জগতের একমাত্র প্রতিপালক-প্রভূ আল্লাহ্র। যিনি অযাচিত অসীম দানকারী, পরম দয়াময়। বিচার দিবসের মালিক। (সূরা ফাতেহাঃ ২-৪)
এরপর সূরা বাকারায় আল্লাহ্ তা'আলা একপর্যায়ে নিজের সম্বন্ধে বলেছেনঃ
اللّهُ لاَ إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ
“আল্লাহ্ তিনি - যিনি ছাড়া কোন উপাস্য নাই। তিনি চিরঞ্জীব-জীবনদাতা, তিনি নিজ সত্তায় স্থায়ী অপরকে স্থিতিদাতা। তন্দ্রা ও নিদ্রা তাঁকে স্পর্শ করে না। আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা-ই আছে সবই তাঁর ” (সূরা বাকারাঃ ২৫৬)
ছবি -১২ : সর্বশেষ্ট আল্লার নামের একটি কেলিগ্রাফ
সমস্ত গুণের আধার মহান আল্লাহ্ সূরা হাশরের শেষভাগে নিজ গুণাবলী সম্পর্কে নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেনঃ
هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ *
هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ *
هُوَ اللَّهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْأَسْمَاء الْحُسْنَى يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ *
“তিনিই আল্লাহ্ যিনি ছাড়া কোন উপাস্য নাই। তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যমান সকল বিষয়ে পরিজ্ঞাত। তিনি অযাচিত অসীম দানকারী, পরম দয়াময়। তিনিই আল্লাহ্ যিনি ছাড়া কোন উপাস্য নাই। তিনি সর্বাধিপতি, অতিব পবিত্র, সমস্ত শান্তি ও নিরাপত্তার উৎস, পূর্ণ নিরাপত্তাদাতা, সর্বোত্তম রক্ষাকর্তা, মহা পরাক্রমশালী, প্রবল-প্রতিবিধায়ক, অতিব গরিয়ান। তারা যা শিরক করে আল্লাহ্ তা থেকে পবিত্র। তিনিই আল্লাহ্ যিনি একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, আদি সুনিপুন স্রষ্টা, সর্বোত্তম আকৃতিদাতা, সমস্ত সুন্দর নাম একমাত্র তাঁরই। আকাশ এবং পৃথিবীতে যা-ই আছে সবই তাঁর গুণ ও পবিত্রতা ঘোষণা করছে । এবং তিনি মহা পরাক্রমশালী, পরম প্রজ্ঞাময়।” (সূরা হাশরঃ ২৩-২৫)
আল্লাহ্ তা'লার অসংখ্য গুনবাচক নাম রয়েছে । এক হিসেবে এ গুণবাচক নামের সংখ্যা ৯৯টি। তাঁর মূল নাম হচ্ছে 'আল্লাহ্' বাকি সব তার গুন-প্রকাশক নাম। আল্লাহ্ যেমন অবিনশ্বর ঠিক তেমনি তাঁর সমস্ত গুন অক্ষয় অমর। তিনি যেমন দয়ালু অতীতে ছিলেন আজও তেমনি দয়ালু এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের কাতর হৃদয়ের প্রার্থনা শ্রবণ করেন এবং তার ডাকে সাড়া দেন। আল্লাহ্ তাঁর বান্দার সাথে ইতিবাচক এক আত্মিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য নিজেই দোয়ার পথ উম্মুক্ত করেছেন। তিনি বলেছেনঃ
ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ
অর্থাৎঃ তোমরা আমাকে ডাকার মত ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব। (আল-মুমিনঃ ৬১)
ছবি- ১৪ : আল্লার কাছে হাত তুলে মোনাজাত
আল্লাহ্ অগণিত আশ্চর্য গুণের অধিকারী কিন্তু কেবল সে ব্যক্তিই তা দর্শন করতে পারে, যে সততা ও বিশ্বস্ততার সাথে তাঁর মাঝে বিলীন হয়ে যায়। যে ব্যক্তি তাঁর অসীম শক্তিতে বিশ্বাসী নয় এবং তাঁর খাঁটি এবং বিশ্বস্ত সেবক নয়, তাকে তিনি সেসব আশ্চর্য লীলা প্রদর্শন করেন না। কত হতভাগ্য সে ব্যক্তি যে আজও জানে না, তার এমন এক আল্লাহ আছেন যিনি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান!
অল্লাহ বলেন :
“তিনি আলেমুশ শাহাদাহ” অর্থাৎ কোন জিনিষ তাঁর দৃষ্টির অগোচর নহে। আবার বলেছেন তিনি “হুওয়ার রহমান”। অর্থাৎ তিনি প্রাণী সকলের অস্তিত্ব ও উহাদের কর্মের পূর্বে শুধু আপন দয়ায় কোন স্বার্থ কিংবা কাহারও কর্ম ফলের মুখাপেক্ষি না হয়ে তাদের জন্য আরামের সমগ্রী যোগাইয়া থাকেন। যেমন সূর্য ও পৃথিবী এবং অন্য সব জিনিষ পৃথিবীতে আমাদের আসা ও কার্য সাধনের পূর্বেই আমাদের জন্য সৃষ্টি করে রেখেছেন । তিনি পুনরায় বলেছেন “আর্ রহীম” যিনি উত্তম কাজের সর্বোত্তম পুরস্কার দেন। কাহারও শ্রমকে বিনষ্ট করেন না। তিনি বলেছেন “মালেকে ইয়াওমিদ্দীন” অর্থাৎ আল্লাহ প্রত্যেকের পুরস্কার বা শাস্তি স্বহস্তে ধারণ করেন। তাঁহার এমন কার্য নির্বাহক নাই, যাকে তিনি আকাশ ও পৃথিবীর শাসন ক্ষমতা সঁপে দিয়ে নিজে পৃথক হয়ে বসে আছেন এবং নিজে কিছুই করেন না। এমনও নহে যে সেই কার্য নির্বাহকই যতসব পুরস্কার ও শাস্তি দেয় কিংবা ভবিষ্যতেও দিবে।
আল্লাহ্ তো তিনি , যিনি সকল শক্তিমান হতেও অধিক শক্তিশালী এবং সকলের উপর প্রাধান্য বিস্তারকারী। যারা ভ্রমে নিপতিত, তারা আল্লার মর্যাদা বুঝে না এবং জানেও না যে আল্লাহ কেমন ।
আল্লাহ্ বলেনঃ
السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ
অর্থাৎ “তিনি সকলের রক্ষক, পরাক্রমশালী, নষ্ট হওয়া কাজকেও সুসম্পন্নকারী; তাঁহার সত্তা চূড়ান্তভাবে অভাবের অতীত” (৫৯:২৪)
তিনি আরও বলেন عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ অর্থাৎ “ আল্লাহ সর্বশক্তিমান” (২:১৪৯)
ছবি-১৫ : আল্লাহু আকবার লেখা একটি কেলিগ্রাফ
এই নাম তার প্রতি বিশ্বাসীদের জন্য বড়ই শান্তি প্রদায়ক। কারণ এই সর্বশক্তিমান আল্লাই পারেন বিশ্বের বুকে সকলের জন্য শান্তি দিতে । তিনি আরো বলেন-
رَبِّ الْعَالَمِينَ * الرَّحْمـنِ الرَّحِيمِ * مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ
অর্থাৎঃ তিনিই আল্লা যিনি সকল জগতের পালনকর্তা রহমান, রহীম এবং বিচার দিনের স্বয়ং মালিক। এই দিনের কর্তৃত্ব তিনি কাহারো হাতে দেন নাই। (১:২-৪)
أُجِيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ
তিনি “প্রত্যেক আহ্বানকারীর আহ্বান শ্রবণকারী এবং জবাব দানকারী অর্থাৎ প্রার্থনা মঞ্জুরকারী”। (২:১৮৭)
আল্লাহ্ প্রদত্ত সকল ধর্মের যাবতীয় বিধি-বিধানের মূখ্য উদ্দেশ্যই হলো মানবের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক মঙ্গল বিধান করা । ধর্মে গ্রন্থে বর্ণীত বিধান সমুহ ইহলৌকিক ও পারলৌকিক মঙ্গলের লক্ষ্যে আল্লার প্রতি মানুষের ভালবাসা জাগ্রত করে । কুরআনে বর্ণিত বিভিন্ন আয়াত আল্লার ক্ষমতা , গুণাবলী ও সৌন্দর্য বর্ণনা করে, আবার কখনো তাঁর অনুগ্রহ মানুষকে স্মরণ করায় । মানুষের অন্তরে ভালবাসা সৃস্টি হয় তার সৌন্দর্যের কারণে কিংবা তার অনুগ্রহের কারণে। তিনি পূর্ণ গুণাবলীর সমষ্টি আর পবিত্র শক্তিসমূহের আধার। তিনি সমস্ত সৃষ্টির ভিত্তি এবং যাবতীয় কল্যাণের উৎস। তিনি সর্বপ্রকার পুরস্কার ও শাস্তি-প্রদানের মালিক এবং যাবতীয় কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু। এমন কিছুই নেই যা তাঁকে ছাড়াই নিজে নিজে সৃষ্ট কিংবা তাঁর সাহায্য ছাড়া নিজেই বেঁচে থাকতে পারে। তিনি প্রত্যেকটি বস্তুর পরিবেষ্টনকারী কিন্তু এই বেষ্টনী বোঝানো দুস্কর। তিনি আকাশ এবং পৃথিবীর প্রতিটি বস্তুর জ্যোতি এবং প্রত্যেকটি জ্যোতি তাঁর দ্বারা আলোকিত এবং তাঁরই সত্তার প্রতিবিম্ব। তিনি সমস্ত জগতের প্রতিপালক। এমন কোন আত্মা নেই যা তাঁর দ্ধারা পালিত না হয়ে নিজ সত্তায় বর্তমান।
এই সুমহান বিশাল অস্তিত্ব তথা আল্লাই আমাদের সবার আশ্রয়। আমাদের উৎস, তিনি আমাদের জীবন, আমাদের চৈতন্য, আমাদের যাবতীয় ইন্দ্রীয় ও শক্তি সব তাঁরই দান। সবশেষে আমাদের সবার প্রত্যাবর্তণ তাঁরই কাছে। তিনিই আমাদের হিসেব নিকেশ ও বিচার করবেন। আমরা তাঁর কাছে দয়া, ক্ষমা ও মার্জনা প্রত্যাশা করি ।
এটাও সত্য যে বিপদের সময় আশু করনীয় বিষয়ে ধর্মীয় গ্রন্থের বিধানের আলোকে করনীয় যথা নির্যাতিতদের কে আশ্রয় , গৃহ , খাদ্য এবং চিকিৎসা সেবা দেয়া । ঘরবাড়ী ছেড়ে আসা ছিন্নমুল রোহিঙ্গাদেরতে আল্লার অশেষ রহমতে সীমিত সস্পদের মধ্যে নিপতিত থেকেও আমরা এদেশবাসী তাদের সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছে । তাদেরকে এদেশে আশ্রয় দানের বিষয়ে সরকারী ও বিরোধিদল সহ সকলে ঐক্যবদ্ধ , জাতির এই ক্রান্তি লগ্নে এটা একটা বিশাল ইতিবাক দিক ।
রোহিঙ্গাদেরকে আশ্রয় দিতে গিয়ে যদিউ আমরা বিবিধভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি তদুপরি মানবিক দৃষ্টিকোন হতে বংলাদেশ
সর্বাত্বক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অআবাসনের জন্য । পাহাড়ের আশপাশের জায়গা ধরলে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য বস্তির জায়গার পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার একর হবে বলে স্থানীয় পরিবেশবাদীদের হিসাব হতে জানা যায় ।
ছবি – ১৬ : পাহার কেটে তৈরী রোহিঙ্গাদের জন্য আশ্রয় শিবির
নতুন আসা রোহিঙ্গাদের আবাসনের জন্য আরও দুই হাজার একর জায়গা চাওয়া হয়েছে। বিপুল পরিমাণে পাহাড় কেটে আস্রয় কেন্দ্র এলাকায় মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন পরিবেশবাদী ও স্থানীয় ব্যক্তিরা। যেকোনো সময় বড় রকমের পাহাড়ধস ঘটার আশঙ্কায় তাঁরা উদ্বিগ্ন।কক্সবাজার থেকে টেকনাফের দিকে উখিয়া বাসস্ট্যান্ড পার হওয়ার পর পথের দুপাশের পাহাড়ে রোহিঙ্গাদের ঝুপড়ির সারি চোখে পড়বে সবার। তাই দেশের বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের সকলের সাথে ঐক্যমতের ভিত্তিতে পরিবেশ বিপন্ন না হয় এমন স্থানে তাদেরকে সরিয়ে নেয়া আশু কর্তব্য বলে প্রতিয়মান হয় ।
আশ্রিত রোহিঙ্গাদের পুর্ণবাসনের জন্য যথাযথ সহযোগীতা করা পাশাপাশি নির্যাতনকারী জালেমকে বিধিসম্মত ভাবে প্রতিহত করাও অবশ্যই পালনীয় । এ লক্ষ্যে দেশবাসী , সরকার , বিভিন্ন রাজনৈতিক দল , বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান , ব্যক্তিবর্গ , বিদেশী সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থা সমুহ তাদের পক্ষ থেকে প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ নিয়েছেন । এখানে রোহিঙ্গাদেরকে আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি মিয়ানমারকে এই নির্যাতন বন্ধ ও তাদেরকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যথাযথভাবে সকল প্রকার নাগরিক অধিকার ও সুযোগ সুবিধা দিয়ে পুর্ণবাসনের জন্য কর্ম প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার বিষয়টি এখন একটি বিশ্বজনিন দাবীতে পরিনত হয়েছে ।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যথা , তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, সৌদি আরব, কাতার, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ভাটিক্যান, রাশিয়া, মালয়েশিয়া, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রধান যথা জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার, জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা প্রধান, আই সি মহাসচিব, ১২জন নোবেল লরেটি ও বিশ্বনন্দিত ব্যক্তিত্বের সমর্থনে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সর্ব সম্মত ভাবে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন বন্ধের বিষয়ে মায়ান সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করার জন্য প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে ।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদেও বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে । গত ২২শে সপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাছিনা তাঁর ভাষনে বিষয়টির স্থায়ী সমাধান চেয়ে ভাষণ দিয়েছেন ।
ছবি -১৭: জাতিসংঘে সাধারণ অধিবেশনে প্রধান মন্ত্রী : সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই
দেশের প্রবীন রাজনীতিবিদ সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা: বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও গনফোরাম সভাপতি ড.কামাল হোসেন
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন ও রাশিয়ায় যেতে পরামর্শ দিয়েছেন ।
ছবি -১৮ : ড.কামাল হোসেন ও ডা: বদরুদ্দোজা চৌধুরী
দেশের বৃহত্তম বিরোধি রাজনৈতিক দল বিএনপি মহাসচিব মির্যা ফকরুল ইসলাম আলমগীর রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতীয় ঐক্যের কথা বলেছেন ।
ছবি -১৯ : বিএনপি মহাসচিব মির্যা ফকরুল ইসলাম আলমগীর
রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন বন্ধের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শান্তিতে নোবেল জয়ী ড: ইউনুস ১২ জন নোবেল বিজয়ী সহ ২২ জন বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব জাতি সংঘের প্রতি খোলা চিঠিতে আবেদন জানিয়েছেন ।
ছবি -২০ : শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনুস
ছবি -২১ : রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ঘোষনা , শুধু কথায় নয় কাজেও তিনি তা দেখাচ্ছেন
রাশিয়া ও চীনের তুলনায় রোহিঙ্গা প্রশ্নে মার্কিন অবস্থান অবশ্য অনেক স্পষ্ট। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স নিরাপত্তা পরিষদে শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রশ্নে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হামলাকে ‘ভয়াবহ বর্বরতা’ হিসেবে অভিহিত করে সহিংসতা বন্ধ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজে অবশ্য রোহিঙ্গা প্রশ্নে এখন পর্যন্ত কিছু বলেননি। সাধারণ পরিষদে তাঁর ৪২ মিনিটের ভাষণে তিনি একবারের জন্যও রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করেননি। এ ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে কতটা সাহায্য পাওয়া যাবে, সে ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও নিশ্চিত নন বলে জানিয়েছেন ।
তবে জাতিসংঘে মার্কিন স্থায়ী প্রতিনিধি নিকি হেলির বরাতে জানা যায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন এবং রোহিঙ্গা প্রশ্নে কথা বলার দায়িত্ব তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্সের ওপর দিয়েছেন। রাখাইনে সহিংসতা বন্ধে, রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি’র পাশাপাশি মিয়ানমার সেনাবাহিনীকেও চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২১ শে সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে মার্কিন স্থায়ী প্রতিনিধি নিকি হ্যালি এ কথা বলেন ।
ছবি-২২: জাতিসংঘে মার্কিন স্থায়ী প্রতিনিধি নিকি হ্যালি
কেবল সু চি নয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকেও রাখাইন সংকট নিরসনে চাপ দেয়া হচ্ছে বলে নিকির কথা বার্তায় জানা যায় । এরই মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ জেনারেল ডানফোর্ড মিয়ানমারের সেনাপ্রধানকে জানিয়েছেন যে এতোদিন সুসম্পর্ক থাকলেও, চলমান সংকটের কারণে সেটি বজায় রাখা তাদের পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না । কারণ, সমাধানের লক্ষ্যে তারা কি করছে, সেটা জানা দরকার।
জাতি সংঘের সাধারণ অধিবেশনে মিয়ানমারের বিষয়ে চীন রাশিয়া এবং ভারত নিরব থাকলেও তাদের কথা বার্তা বলার স্টাইল কিছুটা পাল্টিয়েছে বলে দেখা যায় । আর রোহিঙ্গা সমস্যাটির বিষয়ে অং সাং সুচীর দেয়া ভাষণের প্রতি বিশ্ববাসীর তিব্র প্রতিক্রিয়াও দেখা যাচ্ছে মিডিয়াতে । এমনকি গত শুক্রবারে মাল এশিয়াতে অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক গন আদালত রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর দায়ে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি ও সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হিলাইং সহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের দোষী সাব্যস্ত করেছেন । শুক্রবার সকালে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে রোম ভিত্তিক সংগঠন পার্মানেন্ট পিপলস ট্রাইব্যুনালের (পিপিটি) সাত সদস্যের বিচারকের প্যানেল এ প্রতীকী রায় ঘোষণা করা হয় ।
ছবি-২৩ : পার্মানেন্ট পিপলস ট্রাইব্যুনালের বিচারকবৃন্দ
তবে এত কিছুর পরেও মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপরে নির্যাতনের মাত্রা না কমে বরং তা একই গতিতে অব্যাহত আছে, তদুপরি রোহিঙ্গারা যেন নিরাপদে কোন মতেই আরাকানে ফিরতে না পারে সে লক্ষ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মীমান্ত জুরে স্থল মাইন পুতে রাখছে । অবস্থা দৃশ্যে মনে হয় মনুষ্য সৃষ্ট এই নারকীয় বর্বর কর্মকান্ড বন্ধ ও নিরাপদে তাদের নীজ আবাসভুমে ফিরে যাওয়ার আশা রয়ে যাবে সেই তিমিরেই । সাফল্য ও ব্যর্থতার বোজা কাধে নিয়ে যার যার দৃস্টিকোন হতে সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছেন দেশে বিদেশে অনেকেই তাতে কোন সন্দেহ নেই । আমরা সাধারণ মানুষ, আমাদের শুভানুধায়ীদের মহতি প্রচেষ্টার সাথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি জগতের সর্বশ্রেষ্ট আশ্রয় ও মুক্তিদাতা আল্লা তায়ালার স্বরনাপন্ন তো হতেই পারি । মিয়ানমারসহ বিশ্বের বুক হতে সকল প্রকার অশুভ শক্তিকে চিরদিনের মত দমন করে নির্যাতিত ও নিগৃহীত রাস্ট্রবিহীন এই রোহিঙ্গা জাতিগুষ্ঠির মঙ্গলের লক্ষ্যে জাতি ধর্ম ও বর্ণ নির্বশেষে সকলে মিলে সর্ব শক্তিমান আল্লার কাছে খোলামনে কাতর কন্ঠে আবেদন নিবেদন ও প্রার্থনা জানাই তিনি যেন ছিণ্নমুল বিপন্ন রোহিঙ্গা সাহায্যপ্রার্থীদের সর্বময় কল্যান সাধন করেন ।
আল্লাহ আমাদের সকলের দোয়া কবুল করুন , আমীন ।
ছবিসুত্র : গুগল অন্তর্জাল
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ MirroredDoll ,
পোষ্ট টি তথ্যবহুল হয়েছে শুনে ভাল লাগছে।
শুভেচ্ছা রইল ।
২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৬
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: তথ্য ও বিশ্লেষণ মূলক পোষ্ট। রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বিশ্বের জাতি রাষ্ট্র সমূহকে আরো ভূমিকা রাখতে হবে।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মুল্যবান মন্তব্যের জন্য । সঠিক কথা বলেছেন রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বিশ্বের জাতি রাষ্ট্র সমূহকে আরো ভূমিকা রাখতে হবে।
দীর্ঘ দিন ধরেই রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠি ছিল উপেক্ষিত তাদের দু:খ দুর্দশার কথা বিশ্ববাসীর নজর কাড়তে পারেনি । এখন বিশ্ববাসী এই জাতিসত্তার নির্মুল প্রতিরোধে এগিয়ে আসতেছে । আসা করতেছি অচিরেই আল্লাহর রহমতে তাদের দু:খের দিনের অবসান হবে । সংবাদ ভাষ্যে দেখা গেল সুচি বলেছে খুব শীঘ্রই তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কাজ শুরু করবে । প্রতিটি রোহিঙ্গাকে তার ন সসন্মানে তার নীজ বাসভুমে ফিরিয়ে নিয়ে তাদের নিরাপত্তা বিধানসহ সকল প্রকার নাগরিক সুযোগ সুবিধা দানের জন্য বিশ্বাসিকে সোচ্চার হতে হবে ।
কামনা করি আল্লাহ সকলের দোয়া কবুল করুন ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৭
নীলপরি বলেছেন: তথ্যবহুল ও সংবেদনশীল পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ ।
সকলের জন্য শুভকামনা ।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সহ মর্মীতা প্রকাশের জন্য অশেষ ধন্যবাদ । একেই বলে মানবতার জয়গান ।
আশা করি এমনি করেই সবসময় মানতার জয়গানের বিষয়ে আপনার লিখনি সোচ্চার থাকবে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪১
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেন দ্রুত রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করেন।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেন দ্রুত রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করেন।
কামনা করি আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল করুন । আমীন
শুভেচ্ছা রইল
৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২২
চাঁদগাজী বলেছেন:
রোহিংগাদের উপর যে তান্ডব হচ্ছে, এর পেছনে আল্লাহের হুকুম আছে কিনা? এ তান্ডব চলতে দেয়ার পর, আল্লাহের কাছে কি সাহায্য চাওয়া উচিত?
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মহাবিজ্ঞ আল্লাহ বলেন আমি যা জানি তোমরা তা জাননা । আল্লাহ যাকে যতটুকু শিক্ষা দেন তিনি ততটুকুই জানেন । আমাদের জন্য নিত্য নতুন জ্ঞানের ভান্ডার তিনি উন্মোচন করে দিচ্ছেন । আল্লার সকল কর্ম বুঝার ক্ষমতা মানুষের নেই । তিনি নিছক কোন কর্ম করেন না । তার প্রতিটি কর্মের পিছনে রয়েছে কোন না কোন কার্য কারণ । সৌর জগতের প্রতিটি গ্রহ উপগ্রহ যে কক্ষপথে আবর্তীত ঠিক তার উল্টাপথে ধুমকেতু আবর্তীত । তিনি কি পারতেন না ধুমকেতুকেও গ্রহ উপগ্রহের মত একই পথে আবর্তীত করতে , অথচ যে কোন সময়েই বিপদের সম্ভানাময় ধুমকেতুর জন্য তিনি ভিন্নতর পথ পরিক্রমা নির্ধারণ করেছেন । এর বিষয়ে জ্ঞানী লোকদের জন্য রয়েছে অনেক চিন্তার খোরাক রয়েছে তার সৃস্টি রহস্যের অপুর্ব কার্যকারণ । তিনি সর্ব শক্তিমান , বেশী দুরে যেতে হবেনা । নীজের শরীরের দিকে তাকালেই অনুভবে আসে ,মানুষের কানের ভিতর শ্রবন শিরাটা যদি সামান্য একটু ছোট হয় তাহলে সে আর কিছু শুনতে পারেনা ও কথা বলতে পারেনা , সে হয়ে যায় মুক ও বধির । আল্লার কর্ম বুঝা বড় দায় । তাই সকল সময় তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা ছাড়া উপায় নাই ।
৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৯
কানিজ রিনা বলেছেন: চাঁদগাজী বাংলাদেশে মুক্তি যুদ্ধে ৩০ লাখ
সহীদ হয়েছিল সেটাও হয়ত আল্লাহ্ হুকুম
ছিল তাইনা? নবী মোহাঃ সঃ বংশধর
নিপাত করার জন্য ইয়াজীদ বাহিনীর উপর
আল্লাহ্ হুকুম দিয়েছিল। এবিষয়ে কিছু
বলেন? আপনিত একজন মুক্তি যোদ্ধা।
রহিঙ্গারা অশিক্ষিত বলে ঝড় তুলেছেন।
আমাদের মুক্তি যুদ্ধের সময় অশিক্ষিত
গ্রামের ছেলেরা শতস্ফুর্ত মুক্তি কামী ছেলেরা
ছিল কতভাগ শিক্ষিত ছিল?
ডাক্তার এমএআলির কষ্টার্জিত লেখায় সাধুবাদ
ও শুভকামনা।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কানিজ রিনা , মুল্যবান কথামালার জন্য ।
আমাদের সকলের জন্য সঠিক জ্ঞানের জগতের বিস্তার ঘটুক এ কামনা করি ।
সঠিক বিষয় অনুভবের জন্য উপযুক্ত শিক্ষা ও জ্ঞানের কোন বিকল্প নেই ,
সঠিক ও সত্যপথে চলার জন্য জ্ঞান বিজ্ঞানে ভরপুর হলে জগত হতে
সকল প্রকার অনাচার হবে দুরিভুত । আল্লার ইচ্ছা ও হুকুম ছাড়া
কোন কিছুই ঘটেনা , যে যা চায় সে সেরকমই আল্লার কাছ হতে পায়
আল্লাহ কাওকে বিমুখ করেন না তিনি শ্রবনকারী ও মঞ্জুরকারী ।
কেও যদি চায় তাঁকে না বুঝতে তার সম্মুখে নিদর্শন দেয়ার পরেও
তাহলে করার আর কি আছে । তবে আল্লাহ সকলের জন্য পথ
নির্দেশিকা দিয়ে দিয়েছেন কেমন করে চললে সুফল পাওয়া যাবে
আর কেমন করে চললে বিপদে পড়তে হবে । আল্লার বিধান মেনে
পথ না চললে কি হয় তার অনেক নিদর্শন আল্লাহ পরিস্কারভাবে
বলে দিয়েছেন । শক্তি মত্তায় অতি গর্বিত জাতি সমুহও নিপাত
গিয়েছে তাদের কোন না কোন ভুলের ও বিপথগামীতার কারণে ।
তাই বিপদের হাত হতে উত্তরণের জন্য মহান আল্লার কাছে
সাহায্য চাওয়াই সর্বোত্তম ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩০
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: মানবতার জয় হোক.....
অনেক তথ্যবহুল পোষ্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ,ভাই।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মানবতার জয় হোক স্লোগান তোলার জন্য ধন্যবাদ ।
পোষ্ট টি শেয়ার করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: রোহিঙ্গাদের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রয়োজন তাদের আবাসভুমি মিয়ানমারের রাখাইনে সকলপ্রকার নির্যাতনমুলক কার্যক্রম বন্ধ করে তাদেরকে সেখানে ফেরত পাঠিয়ে নিরাপদে ও শান্তিতে বসবাসের ব্যবস্থা করা । কিন্তু বিপত্তিটা এখানেই । জাতিসংঘ সহ বিশ্বের প্রায় সকলেই মিয়ানমার সরকারকে এই নির্যাতন বন্ধ করার জন্য বলার পরেও মিয়ানমান সরকার কারো কথাই শুনছেনা , তারা পুর্ণ গতিতে আরাকানকে রোহিঙ্গা শুন্য করার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে । রোহিঙ্গা বিষয়ে এ পোষ্টের প্রায় অধিকাংশ লেখাতেই দেখা যায় মিয়ানমারের পক্ষে রয়েছে বিশ্বের শক্তিশালী দেশ চীন , রাশিয়া ও ভারত , আমিরিকাও তেমন কোন জোরালো ভুমিকা পালন করছেনা ।
সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মহান আল্লাহ তালার নির্দেশ এবং পরিকল্পনা মতই সব হবে ,সাথে থাকতে হবে আমাদের প্রচেষ্টা । এই আমি সর্বময় হবার ,বিশ্ব মোরল হবার প্রতিযোগিতায় বলি হয় নিরিহ সাধারন মানুষ । খুব বেশি ঘৃণার চাষাবাদ করা কিছু মানুষ ব্যাতিত আমাদের দেশের প্রায় সবাই রোহিঙ্গা দের সাথে সমব্যাথি । তবে এর স্থায়ী সমাধান ও জরুরী অবশ্যক ওদের এই গনহত্যা এবং মানবিক বিপর্যয় সাময়িক সামাধান হয়ত আমারা দিচ্ছি ,আমাদের নিজেদের পাহাড়ী পরিবেশের বিনষ্ট করে ও ।
কিন্তু এর স্থায়ী সমাধানের জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা এবং জোরালো কণ্ঠের প্রতিবাদ করা ছাড়া উপায় নেই ।
চমৎকার তথ্য বহুল পোস্ট এর জন্য ধন্যবাদ ।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মুল্যবান মন্তব্য দানের জন্য সাথে কৃতজ্ঞতা রইল ।
আপনার যৌক্কতিক কথাগুলি এ পোষ্টটিকে দিয়ে গেছে পরিপুর্ণতা
সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মহান আল্লাহ তালার নির্দেশ এবং পরিকল্পনা মতই সব হবে ,সাথে থাকতে হবে আমাদের প্রচেষ্টা । এই আমি সর্বময় হবার ,বিশ্ব মোরল হবার প্রতিযোগিতায় বলি হয় নিরিহ সাধারন মানুষ । খুব বেশি ঘৃণার চাষাবাদ করা কিছু মানুষ ব্যাতিত আমাদের দেশের প্রায় সবাই রোহিঙ্গা দের সাথে সমব্যাথি । তবে এর স্থায়ী সমাধান ও জরুরী অবশ্যক ওদের এই গনহত্যা এবং মানবিক বিপর্যয় সাময়িক সামাধান হয়ত আমারা দিচ্ছি ,আমাদের নিজেদের পাহাড়ী পরিবেশের বিনষ্ট করে ও ।
কিন্তু এর স্থায়ী সমাধানের জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা এবং জোরালো কণ্ঠের প্রতিবাদ করা ছাড়া উপায় নেই ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল।
৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
"আল্লার সকল কর্ম বুঝার ক্ষমতা মানুষের নেই । তিনি নিছক কোন কর্ম করেন না । তার প্রতিটি কর্মের পিছনে রয়েছে কোন না কোন কার্য কারণ । "
-আপনি বলছেন, আল্লাহের প্রতিটি কর্মের পিছনে রয়েছে কোন না কোন কার্য কারণ; লজিক্যালী, আমরা ধরে নিচ্ছি যে, ১৯৭৯ সাল থেকে আজ অবধি রোহিংগাদের সিস্টেমেটিক্যালী হত্যার পেছনে আল্লাহের নিজস্ব কোন কারণ নিহিত আছে?
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আবার এসে মুল্যবান মন্তব্য করার জন্য । অাসলেই মহাবিজ্ঞ অাল্লার কর্মের কার্যকারণ বুঝার সাধ্য কারো নেই । শুধু কর্মফলটা বুঝা যায় তাঁর কর্মটা হয়ে যাওয়ার পরে । আল্লাহ কেন করেছেন , কি কারণে করেছেন , কি তার ভাবনা আছে কর্মটির পিছনে তা ভাবার কিংবা বুঝার কোন ক্ষমতা নেই আমার , তবে শুধু এটুকু বুঝি ও বিশ্বাস করি পরম করুনাময় এবং দয়াবান আল্লাহ যা করেন তা তার সৃষ্টি জগতের সার্বিক মঙ্গলের জন্যই করেন । এর সুফল যথাসময়ে মানুষের দৃষ্টিগোচর হবে । তবে সাময়ীক কষ্ট বা বিপদের হাত হতে মুক্তির জন্য যা যা করনীয় তা করতে হবে ও তাঁর কাছেই সহায়তা চাইতে হবে । মনে রাখতে হবে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা বিপদের সম্মুখীন হই আমাদের ভুলের কারণে । রোহিঙ্গারা হাজার বছরেও কেন সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে সমগ্র আরাকানের মুল জনস্রোতের সাথে মিশে যেতে পারেনি , কেন তারা আল্লাহ প্রদত্ত নিজস্ব সহজাত জ্ঞানবুদ্ধিকে কাজে লাগায়নি , কে তাদেরকে যুগের পর যুগ ধরে প্ররোচনা দিয়ে আধুনিক শিক্ষা বিমুখ হতে উৎসাহিত করেছে, সেটা তারা বুঝতে পারেনি, তার আক্কেল সালামিটাই হয়তবা তারা পাচ্ছে । তাদের উপর নিপিরনের খরগ তো নেমে এসেছে মাত্র ৩০/৪০ বছর আগে । তাদের নীজেদের ভুলগুলি তারা বুঝতে কিংবা ধরতে পারিনি । যাহোক , সে এক ভিন্ন প্রসঙ্গ । তাদের উপরে যে কোন অযুহাতেই নির্যাতের জন্য জালিমদের প্রতি তীব্র নিন্দা জানাই । তাদের নির্যাতনের ফলে এখন রোহিঙ্গারা বিপন্ন , তাদের জন্য আল্লার দরবারে তাই দোয়া চাই ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
১০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
"রহিঙ্গারা অশিক্ষিত বলে ঝড় তুলেছেন।
আমাদের মুক্তি যুদ্ধের সময় অশিক্ষিত
গ্রামের ছেলেরা শতস্ফুর্ত মুক্তি কামী ছেলেরা
ছিল কতভাগ শিক্ষিত ছিল? "
-বাংলাদেশের পুরো মুক্তিযু্দ্ধ করেছেন কম-শিক্ষিত, অশিক্ষিত শ্রেণী; কিন্তু পরিচালনায় ছিল প্রফেশানেল যোদ্ধারা, বেংগল রেজিমেন্ট ও ইপিআর। সাধরণ বাংগালীরা দেশের ভেতরে ঐক্যবদ্ধ ছিলেন। মানুষ অবস্হার সাথে তাল মিলিয়ে নিজদের রক্ষার চেস্টা করেছেন। রোহিংগারা নিজেদের রক্ষা করার মতো তেমন কোন পথ ১৯৭৯ সাল থেকে আজ অবধি বের করতে পারেনি; বার বার একই প্যাটার্ণ এর হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: যেহেতু মন্তব্যটি কানিজ রিনার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সে হিসাবে এ বিষয়ে যথাযথ জবাব দেয়ার জন্য তাঁর দৃষ্টি আকর্ষন করছি ।
তবে দুজনের বক্তব্যের মধ্যে হৃদ্যতাপুর্ণ সমন্বয় সাধন হোক এ কামনাই করছি ।
১১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০
চাঁদগাজী বলেছেন:
এর উপরের মন্তব্যটা ব্লগার কানিজ রিনার মন্তব্যের উত্তর।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: যেহেতু মন্তব্যটি কানিজ রিনার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সে হিসাবে এ বিষয়ে যথাযথ জবাব দেয়ার জন্য তাঁর দৃষ্টি আকর্ষন করছি ।
তবে দুজনের বক্তব্যের মধ্যে হৃদ্যতাপুর্ণ সমন্বয় সাধন হোক এ কামনাই করছি ।
১২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৪
এই আমি রবীন বলেছেন: চাঁদগাজী ভাইয়ের মন্তব্য ও মর্মার্থের সাথে সহমত।
যেখানে তার প্রতিটি কর্মের পিছনে রয়েছে কোন না কোন কার্য কারণ । সেখানে আ্ল্লার কাছে দোয়া দরুদ করে তার পরীক্ষার ক্লাসে বিঘ্ন ঘটানোর প্রয়োজন আছে?
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , এ জন্যইতো আমার কথাগুলিকে সকলের সাথে শেয়ার করা , কথায় বলে, এক মাথার থেকে বহু মাথার বুদ্ধি কিংবা কথামালা অনেক মুল্যবান । আপনাদের কথাগুলিও অটোমেটিকেলী এই পোষ্টের কথামালার সাথে যুক্ত হয়েছে । দোয়া করার জন্য কোন বাধ্য বাধকতা নাই , এটা যার যার মনের ব্যপার , আর দোয়া করলেই যে তা কবুল হবেই তারই বা নিশচয়তা কি, দোয়া মঞ্জুরের ব্যপার তো সম্পুর্ণরূপে আল্লার এখতিয়ার । তবে দোয়া চাইতে অসুবিধা কোথায়, এটা দুএক কথাতেও চাওয়া যেতে পার, যেমন আল্লাহ সকলের মঙ্গল করুন । একথা বলার পরে প্রচলিত বিধি মোতাবেক করনীয় কাজের কাজের জন্য নৈতিকতার ভিতরে থেকে ঝাপিয়ে পড়লে সুফল আসবেই আল্লার রহমতে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
১৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , এ জন্যইতো আমার কথাগুলিকে সকলের সাথে শেয়ার করা , কথায় বলে, এক মাথার থেকে বহু মাথার বুদ্ধি কিংবা কথামালা অনেক মুল্যবান । আপনাদের কথাগুলিও অটোমেটিকেলী এই পোষ্টের কথামালার সাথে যুক্ত হয়েছে । দোয়া করার জন্য কোন বাধ্য বাধকতা নাই , এটা যার যার মনের ব্যপার , আর দোয়া করলেই যে তা কবুল হবেই তারই বা নিশচয়তা কি, দোয়া মঞ্জুরের ব্যপার তো সম্পুর্ণরূপে আল্লার এখতিয়ার । তবে দোয়া চাইতে অসুবিধা কোথায়, এটা দুএক কথাতেও চাওয়া যেতে পার, যেমন আল্লাহ সকলের মঙ্গল করুন । একথা বলার পরে প্রচলিত বিধি মোতাবেক করনীয় কাজের কাজের জন্য নৈতিকতার ভিতরে থেকে ঝাপিয়ে পড়লে সুফল আসবেই আল্লার রহমতে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
১৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,
নিঃসন্দেহে তথ্যবহুল এবং চিন্তার খোরাক জোগানো পোস্ট ।
"উত্তর কোরিয়ার হাতে যে নিউক্লিয়ার ও হাইড্রোজেন বোমার মজুদ আছে তা যদি আমিরিকার বোমার আঘাতে ফুটে তার চোটে সারা পৃথবীতেই কেয়ামতের প্রলয় নেমে আসতে পারে বিশেষজ্ঞদের ধারণা ।"
কেবলমাত্র সুস্থ্যবুদ্ধির মানুষের পক্ষেই এমন ফলাফল নির্ণয় করা সম্ভব ।
অপরদিকে প্রভুত সামরিক ক্ষমতা অর্জনটাই কি একটা দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে !!!! আমিরিকা ও ধনী ইউরোপীয় দেশগুলির দিকে তাকালে বুঝা যায় তারা নীজেদেরকে কতটুকু অনিরাপদ ভেবে নীজ দেশে ন্যাটো বাহিণী মোতায়েন করতে দিতে বাধ্য হয়েছে , আমিরিকান সামরিক ঘাটি ইউরূপের ন্যটোভুক্ত দেশ সমুহে কাটার মত বিধে আছে , তারপরেও তারা বিপদের ভয়ে সব সময় কুকরে থাকে ।
গায়ে-গতরে শুধু ভারী হলেই হয়না , লাগে মগজের জোর ও ।
আশা করি, আমাদের উপর নেমে আসা রোহিংগা সংকটের শেষের ফলাফল কি হবে তা হিসেব কষে বের করে , মগজ খাঁটিয়ে তা থেকে উদ্ধার ও বিপদমুক্ত নিরঙ্কুশ বাংলাদেশ গঠনে সরকার এগিয়ে যাবেন ।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় আহমেদ জী এস ,
মুল্যবান মন্তব্যে প্রিত হলাম ।
আপনি যতার্থ বলেছেন
আমাদের উপর নেমে আসা রোহিংগা সংকটের শেষের ফলাফল কি হবে তা হিসেব কষে বের করে , মগজ খাঁটিয়ে তা থেকে উদ্ধার ও বিপদমুক্ত নিরঙ্কুশ বাংলাদেশ গঠনে সরকার এগিয়ে যাবেন
আমাদের উপর নেমে আসা এই জাতীয় সংকটে সকলেরএক্যমত এখন খুবই জরুরী । শুধু সরকারী আমলা নির্ভর কুটনীতি এ ক্ষেত্রে খুব একটা সফলতা বয়ে অআনবেনা । এর জন্য প্রয়োজন জাতির পরিক্ষিত ও অান্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ব্যক্তিত্বদের মেধা ও দক্ষতাকে কাজে লাগানো ।
বিষয়টা যেহেতু আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ব্যপক সারা জাগিয়েছে যেহেতু কারো কোন অযৌক্তিক একক কথা বার্তায় সুস্থ কুটনৈতিক পরিবেশ বিঘ্নিত হতে পারে । সরকার যদি বিষয়টি নিয়ে অর্বাচীনভাবে শুধু দলীয় দৃষ্টিকোন হতে সমাধান করতে চায় তাহলে জাতীয় ঐক্যে বিশ্বাসের ফাটল ধরতে পারে , যার ফলাফল কখনো শুভ হয়না , জাতীয় এই সংকটে সরকারকে বেশ সাবধানী ও কৌশলী পন্থা গ্রহন করতে হবে । কোন রকম উস্কানী কিংবা প্রপাগান্ডায় কান না দিয়ে সকলকে সঙ্গে নিয়ে এই সমস্যা সমাধানে কর্মসুচী গ্রহন করাই উচিত হবে বলে মনে হয় ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
১৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৯
লোনার বলেছেন: দেখুন:
view this link
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ দেখে আসলাম
১৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫১
সনেট কবি বলেছেন:
রোহিঙ্গা কষ্ট তাদের পূণ্যের সঞ্চয়
বৃদ্ধি করে হাসরের মুক্তির উছিলা
যদি হয় তবে তারা ভুলে যাবে মগ
নির্যাতনের করুণ ইতিহাস সব।
সেদিন তাদের হবে অনেক সম্মান
আর মগের দূর্গতি বিভৎস রূপে
বদলা নেবে তাদের নিষ্ঠুর কর্মের,
আল্লাহর নিরবতা এখানে যৌক্তিক।
এ লোকেরা আল্লাহকে পরিত্যাগ করে
যাচ্ছেনা কোথাও, এটা উত্তীর্ণ অবস্থা
আল্লাহর পরীক্ষার, সৌভাগ্য তাদের।
মুসলমান কামনা করেন ওপার
জীবনের সাফল্যের সোনালী অধ্যায়;
সে ক্ষেত্রে রোহিঙ্গা ভাল অবস্থানে আছে।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ সনেটে সুন্দর করে তাদের কথা প্রকাশের জন্য,
সেখানে রোহিঙ্গাদের সম্মাহিত উচ্চস্থানে সমাসীন দেখে
অনেকেই হবে ঈর্শান্বিত , কপাল চাপরে বলবে খোদা
পাঠাও সেথায় আমাদেরে ,দুর্ভাগ্য কেন বুঝি নাই তখন
তেমন করে। মহাবিজ্ঞ আল্লার কর্ম বুঝা বড়ই কঠিন কাজ।
কে অনুগৃহীত আর কে দুর্ভাগ্যপিড়িত তা সময়ে বুঝা যাবে
১৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০১
সনেট কবি বলেছেন: শেষ পদ নিম্ন পদে পরিবর্তীত হবে-
সে হিসেবে রহিঙ্গারা রয়েছে মঙ্গলে।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ সে আমি বুঝে নিয়েছি ।
উপরে আমার প্রতি উত্তরে তা
তুলে ধরেছি ।
১৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০১
কানিজ রিনা বলেছেন: চাঁদগাজী ভাল করেই জানেন আমি তাকে
শ্রদ্ধা করি। রহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব বাতিল
সেইহেতু নেতা হয় কিভাবে। অশিক্ষিত বলে
মনের শান্তনা আর কি? ধন্যবাদ চাঁদগাজী
ডাঃএমএআলি।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , ব্লগে বিচরণকালে সেটা আমি বুঝতে পেরেছি ।
রোহিঙ্গাদের মধ্যেও নেতা আছে তবে তার এখন
পড়ে গেছে গ্যারাকলে । দুনিয়ার অনেক জায়গায়
তাদের অনেকেই আছে আছে বিভিন্ন স্ট্যাটাসে ।
১৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৩
সুমন কর বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ।
বাংলাদেশের মতো ছোট দেশে প্রায় সোয়া চার লাখ রোহিঙ্গা কিন্তু চিন্তার বিষয় !!
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনি এসে দেখায় খুব খুশী হলাম ।
বাংলাদেশে আগেই ছিল প্রায় ৪ লক্ষ এখন
এর সাথে আরো সোয়া চার লক্ষ নতুন যোগ হল ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমেরিকা ও কানাডায় কিছু শিক্ষিত রোহিংগা আছে; তাদের কেহ বাংলাদেশে আসেনি নিজের লোকদের একবার দেখার জন্যও।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
২০০২ সন থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩০০০ হাজার রোহিঙ্গা রিফুজি আছে আমিরিকাতে । Click This Link)
২০১৫ সনের মে মাসে মিয়ানমারের নির্মমতার স্বীকার হয়ে নৌকায় ভেসে রোহিঙ্গারা যখন বিভিন্ন দেশে পারি দিচ্ছিল তখন আমিরিকার State Department অান্তর্জাতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে রোহিঙ্গা রিফুজিদেরকে আশ্রয় দেয়ার ঘোষনা দেয় । আমিরিকার অনেক মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে অনেক তথ্যই । রিফিউজি গ্রহণেন সুযোগ নিয়ে হাজার হাজার বার্মিজ বৌদ্ধ রোহিঙ্গা পরিচয়ে বিবিধ ভাবে দালাল চক্রের মাধ্যমে আমিরিকায় প্রবেশ করে । তাই এই সমস্ত রোহিঙ্গা নাম ধারীরা আমিরিকা থেকে বের হয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদেরকে দেখতে আসার ঝুকিটা নিবে কেমন করে ।
২১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৪
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এতবড় একটা মনবিক বিপর্যয়ের পরও আমরা দ্বিধাবিভক্ত!! কেউ কেউ একেবারে প্রথমদিকে করা নিজের বক্তব্যকেই প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সেই "ধানভাঙ্গা" গীতই গেয়ে যাচ্ছেন!! কিন্তু এটা মানছেন না বা ইগোর কারনে মানতে পারছেন না যে, এরই মাঝে নদীর জল গড়িয়েছে অনেকদুর!! আর কত অবাক হবো।। তবে এখন আর হই না।।
আমরা কিন্তু বেমালুম ভুলে বসে আছি, ৭১রে ভারতীয় নাগরিকদের চোখে আমরাও এমন রোহিঙ্গাার চেয়ে বড় কিছু ছিলাম না।।
আর একটি কথাই বলবো, এখনও অপ্রত্যাশিত কোন বিপদে পড়লে সর্বপ্রথম আল্লাহর নামই মনে আসে।। মারা যাবার পর চাই জানাযা আর দাফন, (যত বড়ই নাস্তিক হই না কেন!!)।। সবাই কিন্তু আহমেদ শরীফ হতে পারে না, সম্ভবও না।।
অনেক ধন্যবাদ লেখার জন্য, যেকারনে আলোচনায় অংশগ্রহন নিতে পারলাম।।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ অআলোচনায় অংশ নিয়ে মুল্যবান মন্তব্য করার জন্য ।
রোহিঙ্গা সংকটটিকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে সন্মিলিতভাবে মোকাবেলা করা প্রয়োজন ।
এ বিষয়ে সকলের ঐক্যমত প্রয়োজন ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল
২২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১
জুন বলেছেন: রোহিঙ্গা সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা ডঃ এম আলী ।
তথ্যবহুল পোষ্টটি পড়ে অনেক কিছুই জানা হলো তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
আর একটি কথাই বলবো, এখনও অপ্রত্যাশিত কোন বিপদে পড়লে সর্বপ্রথম আল্লাহর নামই মনে আসে।। মারা যাবার পর চাই জানাযা আর দাফন, (যত বড়ই নাস্তিক হই না কেন!!)।। সবাই কিন্তু আহমেদ শরীফ হতে পারে না, সম্ভবও না।।
সহ ব্লগার সচেতনহ্যাপীর সাথে একমত।
+
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপু পোষ্ট টি তথ্যবহুল মনে হ ওয়ার জন্য ।
বিজ্ঞ সহব্লগার সচেতনহ্যপীর পান্ডিত্যপুর্ণ মন্তব্যটি অনেক গুরুত্ব বহন করে যা পুরাপুরী হৃদয়ঙ্গম করার জ্ঞান আমার নেই । যাহোক প্রসঙ্গক্রমে মনে পরে যায় আহমদ শরীফ তাঁর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় ব্যয় করেছেন মধ্যযুগের সাহিত্য ও সামাজিক ইতিহাস রচনার জন্য। যা ইতিহাসের এক অন্যতম দলিল। বিশ্লেষণাত্মক তথ্য, তত্ত্ব ও যুক্তিসমৃদ্ধ দীর্ঘ ভূমিকার মাধ্যমে তিনি মধ্যযুগের সমাজ ও সংস্কৃতির ইতিহাস বাংলা ভাষাভাষী মানুষকে দিয়ে গেছেন যা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে। তাঁর রচিত শতাধিক গ্রন্থ ও প্রবন্ধসমূহের মধ্যে মধ্যযুগের সাহিত্য সমাজ ও সংস্কৃতির রূপ, বাংলার সুফি সাহিত্য, বাঙালির চিন্তা-চেতনার বিবর্তন ধারা পাঠের সুযোগ কিছুটা হয়েছিল । ধর্মীয় কুসংস্কার ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে তিনি সবসময় সক্রিয় ছিলেন । জন্মসূত্রে মুসলমান হলেও তিনি ছিলেন স্বঘোষিত নাস্তিক। স্বঘোষিত নাস্তিক হওয়ার কারণে অনেকে তাকে মুরতাদ বা ধর্মত্যাগী ঘোষণা করেন। ।তাঁর উইল অনুযায়ী মৃত্যুর পর তাঁর মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার উপকরণ হিসেবে ব্যবহারের জন্য দান করে দেয়া হয়। তাই মনে হয় তাকে নিয়ে টানা টানি কাটা কুটি চলতেই থাকবে এই ধরা ধামে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
২৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: দীর্ঘ পোস্ট। পোস্ট পড়ে ওঠার আগে ২২টা মন্তব্যের সবগুলোই পড়লাম।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের বিপুল জনগোষ্ঠী নির্যাতিতদের প্রতি সহমর্মী। তাদের সাহায্যে অনেকেই ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত উদ্যোগে এগিয়ে এসেছেন। আরও অনেকে আসতে চান, কিন্তু এ বিষয়ে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কিছু সরকারী নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে অনেকেই পিছপা হয়েছেন। রোহিঙ্গাদের প্রতি যারা বিমুখ, তাদের অনেকের বিবেচনায় রোহিঙ্গারা নিপীড়িত, নির্যাতিত, এ সত্যের ঊর্ধ্বে তারা অশিক্ষিত মুসলমান, জঙ্গীবাদের “cannon fodder” হতে পারে, এমন আশঙ্কা রয়েছে।
কানিজ রিনা এবং সচেতনহ্যাপী এর মন্তব্যগুলো ভাল লেগেছে।
মূল পোস্ট সম্পূর্ণ পড়ে আবার ফিরে আসার আশা রাখছি।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় আহসান ভাই ।
আপনি যতার্থ বলেছেন এরা জঙ্গীবাদের “cannon fodder” হতে পারে।
ইতিমধ্যে মিয়ানমার এ ধরনের কথা বলতে শুরু করেছে বলে দেখা যাচ্ছে।
পোষ্টে আবার আসবেন শুনে খুশী হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল
২৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৪
আখেনাটেন বলেছেন: অনেক তথ্যের সমাহার। চমৎকার।
নির্যাতিত এই মানুষগুলোর সামনে আরো নতুন নতুন দুর্ভোগ উঁকি দিচ্ছে। বাংলাদেশকে যে ভাবেই হোক ভারত ও চীনকে বোঝাতে হবে এর মানবিক দিকটা।
এতগুলো মানুষ তিলে তিলে নিঃশেষ হয়ে যাবে বা বেঁচে থাকার ন্যূনতম সুবিধাটুকু পাবে না।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ।
ঠিকই বলেছেন নির্যাতিত এই মানুষগুলোর সামনে আরো নতুন নতুন দুর্ভোগ উঁকি দিচ্ছে।
এই দুর্ভোগ শুধু তাদের জন্যই নহে , এর কুফল বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সাধারণ মানুষকেও ভোগাবে ।
এই দুর্ভোগ কিছুটা সামিরক উত্তেজনাও সৃস্টি করেছে । দুটি দেশকেই রাশিয়া ও চীন হতে সমরাস্র ক্রয়ের জন্য
বিবিধভাবে বাধ্য করার প্রবনতা দেখা যাচ্চে । এর ফল দুদেশকেই নীজের কষ্টার্জিত বৈদশিক মুদ্রা অনুৎপাদনশল
কাজে ব্যয় করা সহ মোটা অংকের বৈদেশিক ঋণ গ্রস্ত হতে হবে । ফলে দারিদ্র পিড়িত দেশ দুটির সাধারণ জনতা আরো
বেশী করে দুর্ভোগের স্বীকার হবে । চীন রাশিয়া সহ কোন অস্র বিক্রেতা দেশই প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশ কিংব মিয়ানমার
কারোই মিত্র নহে , তাদের মুল লক্ষ্য একটাই , তাহল নীজের স্বার্থ উদ্ধার করা । তারা দু দিকেই তাল দেয় বিবিধভাবে, কোনটা প্রকাশ্য আর কোনটা অপ্রকাশ্য । দু দেশের সাধারণ জনগনকে এটা বুঝতে হবে । বিবিধ ধরনের উস্কানী ও প্রোপাগান্ডা ও অবস্থা
সৃস্টি করে পানি ঘোলা করা অস্র বিক্রেতাদের একটি কৌশল । দরিদ্র দেশ সমুহের জনগন যতদিন তাদের হাতের ক্রিড়ানক হয়ে
থাকবে ততদিন এ ধরনের কোন না কোন দুর্ভোগ তারা চাপিয়ে দিতে সক্ষম হবে । তাই উচিত হবে জনগনের সচেতনতা ।
যাহোক নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানো এই মহুর্তে প্রধান মানবিক দায়ীত্ব ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
২৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: কিছু কিছু চিত্র লোমহর্ষক এবং হৃদয়বিদারক!
যারা ভ্রমে নিপতিত, তারা আল্লার মর্যাদা বুঝে না এবং জানেও না যে আল্লাহ কেমন - যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন এর হেদায়েত লাভ করে।
প্রত্যেকটি জ্যোতি তাঁর দ্বারা আলোকিত এবং তাঁরই সত্তার প্রতিবিম্ব - খুব চমৎকার একটা কথা বলেছেন। ব্যাখ্যা নিষ্প্রয়োজন।
পাশাপাশি নির্যাতনকারী জালেমকে বিধিসম্মত ভাবে প্রতিহত করাও অবশ্যই পালনীয় - এ ব্যাপারে সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে প্রতীয়মান, এবং কিছু ইতিবাচক ফলও দেখা যাচ্ছে। ম্যানমার থেকে সূচীর একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসছে সরকারের সাথে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে কথা বলার জন্য।
মানবিকতা ও সহমর্মিতাব্যঞ্জক এই পোস্টের জন্য সাধুবাদ। আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন আপনাকে এই শ্রমসাধ্য কাজটির জন্য উত্তম জাযা খায়ের দান করুক!
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আবার এসে কষ্ট করে মনযোগ দিয়ে পোষ্টটি পাঠ করে মুল্যবান মন্তব্য রেখে যওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
পোষ্টের মুল কথা কয়টি সুন্দরভাবে তুলে নিয়ে তার সাথে উপযুক্ত বাক্য বিন্যাস করে পোষ্টটিকে
নিয়ে গেছেন অনেক উচ্চতায় কাংখীত লক্ষ্য অর্জনের পথে ।
কামনা করি আপনার দোয়া আল্লর কাছে কবুল হোক ,
আপনার জন্যও রইল দোয়া ।
২৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৪
সোহানী বলেছেন: প্রথমদিকে সারা বিশ্ব ঘুমিয়ে থাকলেও এখন অনেকটা জেগে উঠেছে। কিন্তু কিছু কি করতে পারছে?? না, পারছে না কারন বার্মা চমৎকারভাবে আমেরিকা রাশিয় চীন ভারত ব্যালেন্স রেখেছে। কেউই টু শব্দটি করে না। আর জাতিসংঘতো এ দেরই আজ্ঞাবহ, কি করবে। নিজ স্বার্থ দেখতেই সবাই ব্যাস্ত..... "মানবিকতা" শব্দটা এখন শুধুমাত্র ৩য় বিশ্বের ডিকশানারিতে আছে।
অতপর: বার্মা সব ঠেলে আমাদেরকে পাঠাবে, এক সময় তারা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে ও মূল জনগোস্ঠির সাথে মিশে যাবে।
এখানে কানাডায় প্রতিদিনই এ বিষয়ে প্রত্রিকায় আসছে, জনসচতেনটা বাড়ছে ও সরকারী পর্যায়ে অনেক হুমকি দিচ্ছে কিন্তু সুচি বা তার চেলারা কানে ও তুলে না কিছু। কিছু শেয়ার করলাম...
http://www.metronews.ca/news/canada/2017/09/27/many-rohingya-muslim-refugees-in-bangladesh-without-shelter-water-oxfam-canada.html
http://www.metronews.ca/news/toronto/2017/09/27/offer-these-people-a-home-canada-urged-to-accept-rohingya-refugees.html
http://www.metronews.ca/news/world/2017/09/27/cattle-from-abandoned-rohingya-villages-sold-to-displaced.html
http://www.metronews.ca/news/world/2017/09/25/myanmar-says-no-ethnic-cleansing-genocide-against-muslims.html
http://www.metronews.ca/news/toronto/2017/09/25/everyone-is-on-edge-canadian-humanitarian-aid-worker-returns-from-myanmar.html
http://www.metronews.ca/news/world/2017/09/23/10-photos-from-bangladesh-camps-10-stories-of-desperation.html
http://www.metronews.ca/views/opinion/2017/09/20/the-overlooked-plight-of-the-rohingya-shows-how-never-again-happens-again-and-again-azeezah-kanji.html
সামান্য কিছু নিউজ দিলাম, এরকম অসংখ্য খবরই প্রতিদিন আসে। মিডিয়া এখন সোচ্চার কিন্তু ফলাফল কি???? জানি না....
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:০৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মুল্যবান মন্তব্য ও লিংকগুলি দানের জন্য ।
মিয়ানমার অআরাকানে থাকা দেড় মিলিয়ন রোহিঙ্গার প্রায় সকলকে তাদের নীজ ভুমি থেকে বিতরণ করে ফেলেছে । অনেক সৃত্রে দেখা যায় অবশিষ্ট ১ লাখ রোহিঙ্গা আছে তাদের ডিটেনশান ক্যাম্পে , এদেরকে তারা ডিটেনশন ক্যাম্প হতে হতে দেয়না ।
বাংলাদেশের কুটনৈতিক প্রচেষ্টায় সিমীত অআকারের কিছু কাজ হচ্ছে বলে দেখা যায় ।
আজ রাতে নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা পরিষদে কি সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তা দেখার জন্য বিশ্ববাসী চেয়ে আছে ।
এদিকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার আশ্বাস সু চি’র বলেছেন ব্রিটিশ মন্ত্রী ।
মিয়ানমার সফরে করে আসা ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড বলেছেন, অং সান সু চি বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চান বলে তাকে জানিয়েছেন। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নতুন করে সহিংসতা শুরুর পর পশ্চিমা কোনো দেশের প্রতিনিধি হিসেবে ফিল্ডই প্রথম ওই রাজ্য সফর করেছেন।
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সহিংসতার নিন্দায় সরব হলেও এই সময়ে দেশটির গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী সু চির পাশে দাঁড়ানোর কথা বলছেন তারা।
মিয়ানমার ঘুরে আসা ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী ফিল্ডের কথায়ও সেই প্রতিধ্বনি। তিনি বলেন, সু চি একটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আছেন এবং তিনি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ চাপের মধ্যে একটি ‘সঠিক লাইন’ বের করার চেষ্টা করছেন।
পাঁচ দশকের বেশি সময় সামরিক শাসনে থাকা মিয়ানমারে গত বছর সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সু চির দল ক্ষমতায় এলেও এখনও রাষ্ট্রীয় অনেক কিছুর নিয়ন্ত্রণ দেশটির সেনাবাহিনীর হাতে।
রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে মার্ক ফিল্ড বলেন, “আমি নিজের চোখে ভয়াবহ অবস্থা দেখেছি। আমরা এখন যা করতে পারি তা হল, আমাদের বন্ধুদের দিয়ে যত সম্ভব চাপ প্রয়োগ।”
ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই সংকট সমাধানে পর্দার অন্তরালে অনেক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে এবং এটা এখন আর একটি আঞ্চলিক ইস্যু নয়।
তিনি বলেন :
“এই পর্যায়ে আমরা সব ধরনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাব।” এই পর্যায়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার চেয়ে কূটনৈতিকভাবে সমস্যার সমাধানের দিকে এগোনোর পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, সু চি যদি ব্যর্থ হন তাহলে সেনাবাহিনী ‘সর্বময় ক্ষমতার’ অধিকারী হবে এবং সম্ভাব্য সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি হবে।
তবে যত কথাই বলেন মিয়ানমার একটি কঠীন অবস্থার মুখামুখী হতে চলেছে , কেও তাকে বাঁচাতে পারবেনা , আল্লার মাইর দুনিয়ার বাইর । সকলে সহযোগীতা করলে ও সচেতন হলে আশ্রিত রোহিঙ্গারা সারা দেশে ছড়িয়ে পরতে পারবেনা সহজে ।
তবে বেড়ায় খেত না খেলে হয় !!!!
শুভেচ্ছা রইল
২৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৫
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ আলি ভাই আরো কিছু তথ্য এড করার জন্য। এখন আমাকে একটা প্রশ্নের উত্তর দেন, এ জঘন্য গণহত্যার কিছুইতো ইরাক বা আফগানিস্তান বা লিবিয়া বা সিরিয়ায় হয়নি, কই তখনতো মার্কিন/বৃটিশ যৈাথ বাহিনী ঝাপিয়ে পড়ার আগে জাতিসংঘ/ইউ/বিশ্ব মোড়লদের পার্মিশনের অপেক্ষা করেনি। আর এখন বার্মা বা উত্তর কোরিয়ার দিকে চোখ তুলে তাকাতে ও সাহস পায় না .... যাবতীয় পার্মিশনের অপেক্ষায় বসে আছে............ আমরা সব ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার মতো লাফাচ্ছি জীবনভর। এ কাজ যদি ভারতের সাথে বার্মা করতো দেখতেন গুটি সব উল্টের গেছে..... তাইতো বার্মা সামরিক জান্তা বা সুচি ভালোই হিসাব নিকাশ করে এগিয়েছে...............
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:০২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ । নীজেরাই যখন সকলে একমত হয়ে কিছু করতে পারছিনা তখন অন্যের কাছে কি আর আশা করা যায় । মায়ানমারকে কিছুই যখন করা যাবেনা তখন সর্বশক্তিমান আল্লার কাছে দোয়া করা ছাড়া আর কি করার আছে। তিনি ন্যয় বিচারক , তিনি যদি মায়ানমারকে শাস্তি দিতে চান তাহলে কারো পারমিশন তাঁর নিতে হবেনা । আমি সর্ব শক্তিমান আল্লার কাছে সাহায্য কামনা করছি এবং দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি তিনি অতি দয়াবান ও ন্যয় পরায়ন । অাল্লাহ এর সুবিচার করবেন এবং বিপন্ন রোহিঙ্গাদেরকে একদিন সুখে শান্তিতে সমৃদ্ধশালী জাতিতে পরিনত করবেন । আল্লাহ বলেন আমি যা জানি তোমরা তা জাননা । কোন কাজে কিসে ও কখন মঙ্গল হবে তা অাল্লাই ভাল জানেন । কুড়েঘরে থেকেও একজন মানুষ যে সুখ পায় সে সুখ আনেকে অট্টালিকাতে থেকেও পায়না । নিশ্ব হতদরিদ্র একজন মানুষ হাতে একটি টাকা পেলে তার মুখে যে অনাবিল আনন্দ পায় সে রকম আনন্দ কোটি টাকা হাতে পেয়েও অনেকে পায়না , বলে এটা কি পাইলাম আরো পা্ইলে ভাল হত !!! তবে রোহিঙ্গাদেরকে বেশীদিন দু:খ কষ্ট সয্য করতে হবেনা কথায় বলে সকালবেলায় আমীর যে ভাই , ফকীর সে সন্ধা বেলায় । দুনিয়ায় এই তো চলছে পালা পরিবর্তনের খেলা । বিভিন্ন শক্তিশালী জাতীর অতীত ইতিহাসতো এ কথাই বলে । কালের পরিক্রমায় সময় খুব শিঘ্র বয়ে যায় ।
দিনের পরে রাত আর রাতের পরে দিন আসে । বিভীশিকাময় অন্ধকারের দিন কেটে গিয়ে আল্লার রহমতে তাদের শুভ দিন আসবে । জালিমদের বিনাস ঘটবেই , তাদেরকে পতনের হাত হতে কেও ঠেকিয়ে রাখতে পারবেনা কোন মতেই । মিয়ানমারের ভুগর্ভের নীচে রয়েছে সুনামী সৃস্টি করার মত অনেক শক্তিশালী উপাদান , আল্লার ইচ্ছায় যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে তা ।
যাহোক, দোয়া করি আল্লাহ সকলকে রক্ষা করুন , সকলের মঙ্গল করুন । জালিমদেরকে সুপথে এনে জগতটাকে শান্তিময় করুণ। আমরা যেমন চাইব আল্লাহ তেমনি দিবেন , তবে চাওয়ার মধ্যে আন্তরিকতা থাকতে হবে । আমাদের চাওয়া পাওয়ার মধ্যে আন্তরিকতার অভাবে আমরা অনেক কিছু হতেই বঞ্চিত হই ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।
২৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৬
মলাসইলমুইনা বলেছেন: অনেক তথ্য দিয়ে ভরা আপনার লেখাটা সিম্পলি অসাধারণ ! আপনার মতোই বলি, "... আল্লাহ সকলকে রক্ষা করুন , সকলের মঙ্গল করুন ।"
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৬:০৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ পোষ্ট টি অসাধারণ অনুভুত হওয়ার জন্য ।
কামনা করি আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল করুন ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩২
প্রামানিক বলেছেন: তথ্যবহুল পোষ্ট পড়ে অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৬:০৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ মুল্যবান সময় দিয়ে পোষ্ট টি পাঠের জন্য ।
বিনয় মাখা কথায় মুগ্ধ হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৩০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যার ভারতের মতো বন্ধূ থাকে তার আর শত্রুর প্রয়োজন নেই!!!!!!!!
ভারতের প্রতি সব রীতি নীতি ভুলে ১২ বছরের অন্ধ আনুগত্য দেখীয়ে আওয়ামীলীগদেশের জন্য কি আনতে পেরেছে?
একতরফা ভারতই গেইনার!
সবেশষ রোহিঙ্গা ইস্যুতে কি সুন্দর পাল্টি!!!!!!!
এক বন্ধুর জন্য সবার প্রিত উষ্মা দেখীযে বাংলাদেশ কি আজ বন্ধুহীন দেশ নয়???
জাতিসংঘে নূন্যতম নিন্দা প্রস্তাবও পাশ করােত ব্যার্থ হাসিনা সরকার??? অথচ নোবেলের জন্য ত্রাহি চিৎকার!
হিপোক্রেসিতে ভরা রাজনৈতিক মিথ্যার ভীরে ডুবে আছে সব!!
শেষ ভরাসায় সেই মহাস শক্তির কাছেই। যিনি সর্বশক্তিমান।
“তিনিই আল্লাহ্ যিনি ছাড়া কোন উপাস্য নাই। তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যমান সকল বিষয়ে পরিজ্ঞাত। তিনি অযাচিত অসীম দানকারী, পরম দয়াময়। তিনিই আল্লাহ্ যিনি ছাড়া কোন উপাস্য নাই। তিনি সর্বাধিপতি, অতিব পবিত্র, সমস্ত শান্তি ও নিরাপত্তার উৎস, পূর্ণ নিরাপত্তাদাতা, সর্বোত্তম রক্ষাকর্তা, মহা পরাক্রমশালী, প্রবল-প্রতিবিধায়ক, অতিব গরিয়ান। তারা যা শিরক করে আল্লাহ্ তা থেকে পবিত্র। তিনিই আল্লাহ্ যিনি একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, আদি সুনিপুন স্রষ্টা, সর্বোত্তম আকৃতিদাতা, সমস্ত সুন্দর নাম একমাত্র তাঁরই। আকাশ এবং পৃথিবীতে যা-ই আছে সবই তাঁর গুণ ও পবিত্রতা ঘোষণা করছে । এবং তিনি মহা পরাক্রমশালী, পরম প্রজ্ঞাময়।” (সূরা হাশরঃ ২৩-২৫)
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:১২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ সঠিক মুল্যায়ন টা তুলে ধরেছেন মন্তব্যের ঘরে ।
ভাব গতিক দেখে বুঝাই যাচ্চিল কে যে কোন দিকে ছাতা ধরে
তাই মনে হয়েছিল আল্লাহ ছারা কোন গতি নেই এদের তরে ।
আল্লার তায়ালার মুল্যবান কালামগুলি এখানে তুলে ধরে
পোষ্ট টি কে দিয়েছেন আনেক উচ্চতায় তুলে ।
কৃতজ্ঞতা জালে আবদ্ধ করলেন তাতে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৩১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৪২
জীবন সাগর বলেছেন: অনেক দেরি হয়ে গেল আপনার মেঘাপোষ্ট পড়তে, যাক দেরিতে হলেও পড়ে তৃপ্তির শ্বাস ছাড়ছি
অনেক লম্বা পোষ্ট, পড়তে বেশ সময় গেলেও অনেক কিছু জানতে পারলাম ভালো লাগছে।
আল্লাহ্ রোহিঙ্গাদের প্রতি সহায় হোক।
পোষ্টের জন্য কৃতজ্ঞতা রাখছি ভাই।
শুভকামনা আপনার জন্য
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোষ্ট টি ভাল লাগায় খুশী হলাম ।
কৃতজ্ঞা পাশে আপনিও আমাকে আবদ্ধ করলেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৩২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: কত হতভাগ্য সে ব্যক্তি যে আজও জানে না, তার এমন এক আল্লাহ আছেন যিনি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান - অনেক উদাহরণ, চিত্র, ব্যাখ্যা ইত্যাদি দেয়ার পর খুবই সহজ করে এ কথাটা বুঝিয়ে দিলেন।
নির্যাতনকারী জালেমকে বিধিসম্মত ভাবে প্রতিহত করাও অবশ্যই পালনীয় - একমত।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:১৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় আহসান ভাই , পোষ্টের মুল কথাটিকে এখানে এনে তুলে ধরে সহমত পোষনের জন্য ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৩৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৪২
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: শুভ সকাল
ভোরের বাতাসের মতো বিশুদ্ধতা ও কোমলতায় ভরে উঠুক আপনার আগামী দিনক্ষণ, প্রভাত সূর্যর মতো আকর্ষিক তেজস্বীত হোক আপনার পথচলা।
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাইকে শুভ সকাল জানাতে এসে দেখি এত সুন্দর করে তৈরিকরণ সুদীর্ঘ পোষ্টটি আমার অগোচরা! যাক, আজ সকাল সকাল ঘুম ভাঙার সুবাদে আপনাকে শুভ সকাল জানাতে এসে পড়ে কৃতজ্ঞতা জানাতে পারছি সেজন্য স্রষ্টার কাছে কৃতজ্ঞ।
অনেক অনেক ভালো লাগা রইল কষ্টার্জিত পোষ্টটিতে এবং আপনার সুরে সুর মিলিয়ে বলতে চাই
জেগে উঠুক বিশ্ব-মানবতা, রোহিঙ্গা সমস্যার হোক স্থায়ী সমাধান।
আবারো
শুভ সকাল।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:২৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুপ্রিয় কবি , এত সকালে এসে দেখার জন্য ।
আপনার জন্য শুভ সকালের কামনা রইল ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৩৬
মিরোরডডল বলেছেন: very informative
may Allah bless all