নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ পাঠক ও লেখক
সাময়িক পোষ্ট
গত ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে দৈনিক জনকন্ঠে সবার জন্য পেনশন, রূপরেখা চূড়ান্ত, খসড়া প্রস্তুত শীর্ষক একটি সংবাদ শিরোনাম দেখা গেল ( সুত্র Click This Link ) । সংবাদটির ভিতরে গিয়ে দেখা গেল সবার জন্য পেনশন সুবিধা পর্যায়ক্রমে চালু করার লক্ষ্যে একটি ইউনিভার্সাল পেনশন অথরিটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় কিভাবে দেশের প্রতিটি নাগরিককে পেনশন সুবিধা দেয়া যায়-সে উপায় সম্বলিত একটি নতুন নীতিমালাও নাকি প্রণয়ন করা হয়েছে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে খসড়া নীতিমালাটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে মর্মে সংবাদ ভাষ্যে দেখা যায় ।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে সার্বজনীন পেনশনের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছিল বলে সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সে সময় আওয়ামী লীগ কেন, কোন রাজনৈতিক দলেরই নির্বাচনী ইসতেহারে সকলের জন্য পেনশন সংক্রান্ত কোন বিষয় সুশ্পষ্টভাবে অন্তরভুক্ত হতে দেখা যায়নি, এটা হয়তবা আমার ভুলও হতে পারে, কেননা ততটুকই জানতে পেরেছি যতটুকু সে সময় দেশের সংবাদ মিডিয়ায় প্রকাশ হয়েছিল। হয়তবা ভিতরে কোথাও আবাসে ইঙ্গিতে থাকলেও থাকতে পারে!!
যাহোক, এখানে উল্লেখ্য যে, জানুয়ারী ২০১৯ এ অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের প্রায় একবছর পুর্বে ২৩ শে নভেম্বর ২০১৭ তারিখে
সরকারী-বেসরকারী চাকুরীতে সুযোগ সুবিধার সমতা বিধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজনৈতিক দলসমুহের নির্বাচনী ইসতেহার এখন সময়ের দাবী !!!
শিরোনামে এই সামুতে বেশ বড় আকারের একটি পোষ্টে দিয়েছিলাম । সেখানে সরকারী ও বেসরকারী চাকুরীতে সুযোগ সুবিধার সমতা বিধান করে বেসরকরী চাকুরীকে সরকারী চাকুরীর মত নিরাপদ ও আকর্ষনীয় করার জন্য অন্যবিদ বিষয়ের মধ্যে বিস্তারিতভাবে তথ্য উপাত্ত ও বিভিন্ন দেশের দৃষ্টান্ত তুলে ধরার পাশাপাশি দেশের সরকারী বেসরকারী সকল চাকুরীজীবিদেরকে কিভাবে পেনসন সুবিধা ও সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনা যায় তা উল্লেখ করে কিছু গৃহিতব্য পন্থার কথাও বলা হয়েছিল । বিষয়টিকে ২০১৯ সালের নির্বাচনী ইসতেহারে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সকল রাজনৈতিক দল বিশেষ করে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের দুই নেত্রির প্রতি দৃষ্টি রেখে একটি আকুল আবেদন রেখেছিলাম ।
তাঁরা সেটা দেখেছন কিনা জানিনা , তবে তাঁরা দেখুন কিংবা না দেখুন আমার প্রস্তাবিত নির্বাচনী ইসতেহারের একটি দিক তথা দেশের সরকারী বেসরকারী সকল নারী পুরুষের সামাজিক নিরাপত্তার জন্য জাতিয় পেনসন ও স্বাস্থ্য বিমা ব্যবস্থা প্রবর্তন সংক্রান্ত কথামালা অনুসরনে সকলের জন্য পেনসন বিধানের লক্ষ্যে সরকার একটি বিধিমালা করতে যাচ্ছে দেখে খুশিতে মনটা ভরে যাচ্ছে। তবে এটা কবে নাগাদ ও কিভাবে বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে মানুষের মনে আশা নিরাশা তো থেকেই যায় এখনো ।
সকলের জন্য জাতীয় পেনশন স্কীম – এক বুক আশা নিয়ে উদাসকরা দৃষ্টি
ছবি সুত্র : ডিইলি স্টার Click This Link
সকলের জন্য জাতীয় স্বাস্থ্য বীমা ও কনট্রিবিউটারী পেনসন এর সফল বাস্তবায়নকারী ইল্যন্ডের দৃষ্টান্ত , তথ্য উপাত্ত , ছবি ও বিবরণ তুলে ধরা হয়েছিল সামুতে প্রকাশিত আমার সে পোষ্টটিতে । পোষ্টের লিংক ফলো করে দেখা যেতে পারে )।
সামুর পোষ্টে দেখানো ১৯৪০ সনে ইংল্যান্ডে প্রবর্তিত একজন নারীর জাতীয় স্বাস্থ্য বীমা ও কনট্রিবিউটারী পেনসন কার্ড এর ছবি
সরকারের সদিচ্ছা ও এলক্ষ্যে তাদের কাজের অগ্রগতি দেখে মনে হল আমার কষ্ট কিছুটা হলেও স্বার্থক হয়েছে, এর জন্য সংস্লিষ্টদেরকে জানাই অন্তরের অন্তস্থল হতে ধন্যবাদ । তবে সামুর প্রতি শুধু ধন্যবাদই নয় সাথে কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করা হল । সামু কতৃপক্ষ আমার এই চিন্তাভাবনাকে বহুল প্রচারিত এই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশের অবারিত সুযোগ রেখেছিলেন বলেই সেখানে অর্ধ শতাধিক ছবি দিয়ে লেখাটি পোষ্ট করার তৌফিক হয়েছিল।
জানা গেছে, সার্বজনীন পেনশন পদ্ধতির কাঠামো তৈরিতে প্রয়োজনীয় বিষয়ের খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আইনী বিষয়গুলো পর্যালোচনার পাশাপাশি এ বিষয়ে অন্যান্য অভিজ্ঞতা একত্রিত করে নীতিমালা তৈরির কাজ করেছে অর্থ বিভাগের সাত সদস্যের একটি কমিটি। তারা ইচ্ছে করলে সামুতে প্রকাশিত আমার পোষ্টটি একবার দেখতে পারেন । তাহলে অন্যান্য সংস্লিষ্ট বিষয়ের সাথে তারা এটাও দেখতে পাবেন যে সামুতে পর্ণ জাতীয় কোন লেখা হয় না , এখানে দেশের মঙ্গল কামনা করে ছোট বড় অগনিত পোষ্ট দেয়া হয়।
এখানে প্রসঙ্গক্রমে আরো উল্লেখ্য যে, গত ১৯ মার্চ ২০১৭ তারিখে নিউজিল্যান্ডের হয়াংগানুই নদীর জীবন্ত মানুষের সমান আইনগত অধিকার প্রাপ্তি : বাংলাদেশ প্রসঙ্গসহ একটি সচিত্র বিবরণ দিয়ে নিউজিল্যান্ডের হয়াংগানুই নদীর জীবন্ত মানুষের সমান আইনগত অধিকার প্রাপ্তি : বাংলাদেশ প্রসঙ্গসহ একটি সচিত্র বিবরণ একটি পোষ্ট দেয়া হয়েছিল ।
সেখানে আকুতি রাখা হয়েছিল দেশের বিপন্ন নদীগুলিকে জীবন্ত মানুষের মত অধিকার দেয়া হোক । যে ভাবেই হোক গত ৩ ফেব্রোয়ারী ২০১৯ তারিখে দেশের হাইকোর্টের রায়ে বিপন্ন নদী তুরাগকে দেয়া হয়েছে জীবন্ত সত্তার অধিকার ( সুত্র : হাইকোর্ট: তুরাগ নদী এখন থেকে জীবন্ত সত্তা (Click This Link )
ঢাকার তুরাগ নদীর একটি ছবি
অনুরূপভাবে গত ২৪ শে জুন ২০১৬ তারিখে পূর্বাচলে উচ্চবিত্তের ১৪২ তলার আকাশ চুম্বী স্বপ্ন :: পাশের গায়ে দরিত্র তাঁতী প্রজন্মের স্বপ্ন: একটি ছোট্ট তাঁত পল্লী শীর্ষক
বেশ বড় কলেবরের একটি পোষ্টে বিস্তরিতভাবে প্রকল্প রূপরেখা তুলে ধরে পদ্মা ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে একটি বৃহৎ তাঁত পল্লী স্থাপনের প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছিল এই সামুতেই।
এখন জানা গেল সেই পোষ্ট দানের বছর দুয়েক পরে গত ১৮.০৯.২০১৮ তারিখে শেখ হাছিনা তাঁতপল্লী নামে একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদিত হয়েছে। সরকার সেখানে একটি বেশ বড় আকারের তাঁতপল্লী স্থাপন করে দেশের লক্ষাধিক তাঁতীসহ নারী ও পুরুষ মিলিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ গ্রামীণ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে মর্মে দেখানো হয়েছে । প্রকল্পটিতে আমার প্রস্তাবিত রূপরেখার আদলে প্রায় ২০১৬ জন তাঁতি পরিবারকে পুনর্বাসনের নিমিত্ত আবাস-কাম-কারখানা স্থাপনের জন্য ফ্ল্যাট ও তাঁত শেড নির্মন করবে বলে দেখা যায় । সেখানে ৮০৬৪ টি তাঁত বয়নশেড নির্মাণের মাধ্যমে ৮০৬৪ জন তাঁত কারিগরকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে মর্মেও জানা গেছে ( সুত্র : Click This Link )
সামুতে দেয়া আমার প্রস্তাবিত তাঁত পল্লীর রূপরেখা
প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল যদিও ধরা হয়েছে ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত। তবে এটার বাস্তবায়ন কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে তা কেবল আল্লাই জানেন। যাহোক, মোট কথা হল এসব বিবিধ কারণে সরকারী পক্ষ হতে আমাদের প্রিয় সামু ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্যতা রাখে । সামুর উপর হতে অঘোষিত নিয়ন্ত্রন উঠিয়ে নেয়াটা যে সময়ের দাবী সে কথা আজ আর বলার অপেক্ষা রাখেনা ।
এ প্রসঙ্গে আরো উল্লেখ্য যে গত ৯ ই অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মিয়ানমারের হারানো রাজ্যের পুরাকির্তী রক্ষার স্বপ্ন এখন রোহিঙ্গা নির্মুলে রাস্ট্রিয় সহিংসতার চারণভুমি শীর্ষক
একটি বেশ বড় পোষ্টে রোহিঙ্গাদে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য , উপাত্ত ও ইতিহাস তুলে ধরে এদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের কারণে সামাজিক, রাজনৈতিক ও পরিবেশের উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে হাতিয়ার ঠেংগার চরে ( ভাষান চরে ) রোহিঙ্গাদেরকে সাময়িক আশ্রয়দানের বিষয়ে চিন্তাভাবনার একটি রূপকল্প তুলে ধরেছিলাম এই সামুতেই ।
ছবি : সামুতে প্রদত্ত হাতিয়ার ঠেংগরচরে (ভাষান চরে) রোহিঙ্গাদের জন্য সাময়িক আশ্রয়দানের জন্য একটি রূপকল্প
বছর দুয়েক পরে ২রা সেপ্টেম্বর ২০১১৯ তারিখে দৈনিক ইনকিলাবের সংবাদ ভাষ্যে জানা গেল রোহিঙ্গা পুর্ণবাসনে প্রস্তুত ভাষান চর ।
সুত্র : Click This Link
জানা গেল নোয়াখালীর দক্ষিণাঞ্চলীয় মেঘনার বুকে জেগে উঠা ভাসানচরকে নবরূপে সাজানো হয়েছে। সারি সারি ঘর, সাইক্লোন শেল্টার, অভ্যন্তরীণ সড়ক, লাইট হাউস, পানি সরবরাহ, খেলার মাঠ, পুকুর, মসজিদ, গার্ডেন, সোলার সিস্টেম ও বনায়ন দ্বীপটিকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এক সময়ের অখ্যাত ভাসানচর এখন বিশ্বে পরিচিত।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষে ভাসানচরকে সর্বক্ষেত্রে প্রস্তুত করা হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অখ্যাত চরটিকে আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। তবে এটা বলাই বকহুল্য যে ব্যবস্থাটি একেবারেই সাময়িক , রোহিঙ্গাদেরকে নীজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতেই হবে , এর জন্য সরকারের সর্বাত্বক কুটনৈতিক ও আরো যা যা কৌশল প্রয়োজন তার সবই প্রয়োগ করতে হবে । ২০১৭ সনের মত যদি সবাই বলে তাদেরকে আসতে দাও থাকতে দাও তাহলে চলবেনা , বহু দফা বাদ দিয়ে সকলকে এখন এককাক্যে এক দফায় এক সুরে বলতে হবে কোন রূপ বাহানা না করে নীজ দেশে ফিরে যাও ফিরে যাও, আমরা আর তোমাদের ভার নিত পারছিনা । আন্তর্জাতিক এনজিউ কর্মীর পরিচয়ে হাজার হাজার কর্মী মানবতার ডালি নিয়ে সেখানেই থাকবে তোমাদের পাশে । আন্তর্জাতিক দাতাদের সমর্থনপুষ্ট এনজিউ কর্মীদের জন্য বাংলাদেশ আর মায়ানমারই বা কি , তাদের প্রবেশতো আছে সর্বত্রই । তাই বাবা সোনারা তোমাদের ভয়ের কোন কারণ নাই। মায়ানমারের পাশে থাকা মহাজন চীনারাও বলতেছে তোমাদের পুর্ণবাসনে তারা থাকবে তোমাদের পাশে , মালএশিয়াও বলছে সে কথা, এখন এরোদগানকে সেখানে তোমাদের পাশে পেলেই হয় !!! আমরাও দেখতে চাই সেখানেই তাদেরকে ।
যাহোক গত নির্বাচন প্রাক্কালে সামু’র যে সমস্ত গুণী ব্লগারগন তাঁদের বিজ্ঞজনিত চিন্তাভাবনা অন্তর্ভুক্ত করে বিশেষ করে নির্বাচনী ইসতেহারের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ বিষয় তুলে ধরে সামু হতে পুরস্কৃত হয়েছিলেন তাদের প্রতিও রইল পুণ:ধন্যবাদ । সকলের সমবেত প্রচেষ্টা যে সুফল বয়ে আনে এটা তারই একটি বহি:প্রকাশ । এ সম্পর্কে প্রসঙ্গক্রমে বলা সঙ্গত মনে করি যে নির্বাচনী ইসতেহারে মাত্র গুটি কয়েক বিশেষ বিষয় উল্লেখ থাকা প্রয়োজন, যার উপরে নির্বাচনের মাধ্যমে বলতে গেলে একটি রেফারেন্ডাম আসতে পারে ও তার ভিত্তিতে সংসদে আইন প্রনয়নে সহায়ক হয় । এর বাইরে সকলকে ভাত দিব , কাপর দিব , অন্ন দিব, বস্র দিব, চাকরি দিব , সুবিচার দিব, ন্যয়ের শাসন দিব, কারো বিচার করব, কাওকে মুক্ত করব এগুলি গতবাধা কথা , এসব বিষয়ে করনীয় গুলি দেশের বিদ্যমান আইনে সুষ্পষ্টভাবে বলা আছে, সংবিধানে আছে, আছে স্বীকৃত সরকারী নীতিমালাতেও, এর জন্য পৃষ্টার পর পৃষ্টা লিখে কাগজ ভরে নির্বাচনী ইসতেহার তৈরী করা ও ফলাও করে প্রচার করার মধ্যে কিছু নেই, শুধু এককথায় বলে দিলেই হয় ক্ষমতায় গেলে সংবিধান সম্মত, স্বিকৃত এবং অনুমোদিত সকল নীতিমালা ও কর্মপন্থা মেনে নিয়ে সততা ও নিষ্টার সাথে আইনের শাসনের প্রতি অবিচল থেকে গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশ পরিচালনা করব । তবে যে বিষয়গুলি দেশের প্রচলিত আইন দ্বারা এখনো স্বীকৃত নয়, কিন্তু জনস্বার্থে সে বিষয়ে আইন প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন সেগুলিই শুধু নির্বাচনী ইসতেহারে তুলে ধরা প্রয়োজন, যাতে করে এই বিষয়গুলির উপর জনগনের ভোটে প্রাপ্ত জনমতের ভিত্তিতে সংসদে প্রয়োজনীয় আইন প্নয়য়নে সহায়ক ভুমিকা রাখতে পারে। তাহলে একদিকে গুরুত্বপুর্ণ কোন বিষয়ে আইন প্রনয়নের জন্য জনমত যাচাইএর প্রশ্ন তুলে সংসদে সোরগোল তোলার অবকাশ যেমন থাকবেনা তেমনি সুনির্দিষ্ট নির্বাচনী ইসতেহারের কারনেই সরকার ক্ষমতায় আরোহনের পর তাদের দেয়া নির্বাচনী ইসতেহার কতটুকু পুরণ হয়েছে তা বুঝা যাবে ও কোনরূপ ব্যর্থতার জন্য তাদেরকে ঠেসে ধরাও যাবে । হাজার পৃষ্টার নির্বাচনী ইসতেহার লিখে নির্বাচনী বৈতরনী পার হলেও তা আখেরে কোন কাজে আসবেনা ।
তাই ভবিষ্যতে নির্বাচনী ইসতেহার প্রণয়নের সময় ইসতেহারটি কেমন হবে তা নির্বাচনের কমপক্ষে বছরখানেক আগে থেকেই প্রণয়ন করে জনগনের সামনে তুলে ধরে জনমত গঠন প্রক্রিয়া শুরু করা যায় । নির্বাচনকে নাকের ডগায় রেখে নির্বাচনী ইসতেহার প্রনয়ন করা হলে সেগুলি নিয়ে দেশের সিংহভাগ জনগন সেই তিমিরেই থাকে , সেগুলির ভালমন্দ, গ্রহনযোগ্যতা, বাস্তবায়ন উপায় ও কৌশল নিয়ে ভাবনার কোন সুযোগই পাওয়া যায়না , ফলে অন্ধের মত অন্যের কথায় প্ররোচিত হয়ে অনেকেই তাদের মুল্যবান ভোট দিয়ে আসে (যদি তেমন সুযোগ পায়)আর নীজের প্রাপ্যতা বিসর্জন দিয়ে অন্যদের পেট ভরায় ।
নীজের কষ্টসাধ্য পোষ্টের প্রস্তাবনার অংশ বিশেষ হলেও আলোর মুখ দেখার সম্ভাবনার প্রেক্ষাপটে আনন্দের অতিশয্যে নীজের দেয়া কিছু পোষ্টের রেফারেন্স দিয়ে প্রিয় পাঠকদের বিরক্তি উৎপাদনের জন্য দু:খিত ও ক্ষমাপ্রর্থী ।
আল্লাহ সকলের মঙ্গল করুন ।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:২৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এসে পোষ্ট টি দেখার জন্য ধন্যবাদ ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।
২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভাসান চরে সরকার যেটা করতে চাচ্ছে, সেটা হলো কক্সবাজারকে মুক্ত করা ও রোহিংগারা যাতে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তার ব্যবস্হা।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৪৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সঠিকভাবে অনুধবান করতে পেরেছেন । রোহিংগারা যাতে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, এটা তার জন্যই একটি সাময়িক ব্যবস্হা।
৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
এখন রোহিংগারা চাইলে, ১৯৭৯ সালের মতো, দলে দলে বার্মায় ফিরে যেতে পারবে না, বর্ডার দিয়ে ঢুকতে দেবে না বার্মা; শুধু মাত্র পুর্বে তৈরি লিস্টে নাম থাকলে, তারা প্রবরশ করতে পারবে?
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:০৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সরকারের তরফ হতে নতুন আঙ্গিকে বেশ কিছু কুটনৈতিক ততপরতা চলছে মর্মে বিভিন্ন দেশি বিদেশী সংবাদ ভাষ্যে দেখা যাচ্ছে । একটি জিনিষ খেয়াল করে দেখছি নৌকার মাঝি যেমন অনুকুল প্রতিকুল উভয় প্রকারের বায়ুর বেগকে কাজে লাগিয়ে নৌকাকে তার গন্তব্যে নিয়ে যেতে পারে তেমনি শেখ হাছিনা কেমন করে জানি তার প্রতিকুলে বয়ে চলা বায়ুর বেগকে তারিত করে তার গন্তব্যে পৌঁছতে কাজে লাগিয়ে ফেলে । রোহিঙ্গারা যখন হাজারে হাজারে সীমান্ত পারি দিয়ে আসছিল তখন শেখ হাছিনা বলা চলে বেশ একটা বেকায়দায় পড়েছিল । কিন্তু তিনি যেভাবেই হোক পরিস্থিতিটা সামাল দিয়ে নীজের একটা ইমেজ তৈরী করে নিতে পেরেছেন । তেমনি রোহিঙ্গাদেরকে নিয়ে যখন দুরাবস্থা চলছে, তখন দেশে ফিরা নিয়ে অচলাবস্থা তথা অনীহা ও রোহিঙ্গাদের মহাসমাবেশকে পুজি করে দেশে রোহিঙ্গা বিরোধি একটি জনমত গঠনেও সফলতা পেতে যাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে । এর ফলে এদের প্রত্যাবর্তনে একটি ইতিবাচক কুটনৈতিক আবহ সৃস্টি হচ্ছে বলেই দেখা যাচ্ছে । অপর দিকে রোহিঙ্গাদের প্রতি মনুষের সমবেদনার স্থানটি এখন আর আগের জায়গা নেই । ফলে তাদের বিষয়ে কঠীনতর সিদ্ধান্ত নেয়ার পথটি সুগম হচ্ছে ।
৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশে, পেনসন ফান্ড গঠনের জন্য কোথায় ইনভেষ্ট করতে হবে সরকার ও প্রাইভেট কর্পোরেশনগুলোকে?
যদি ২০২৫ সালেও চালু করে, আনুমানিক কি পরিমাণ মানুষকে ইহাতে যোগ করা সম্ভব হবে?
কি পরিমাণ টাকা ইনভেষ্ট করলে, কি পরিমাণ সুদ পাবার সম্ভাবনা?
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:১৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: একটি কনট্রিবিউটারী ন্যাশনাল ইনসিইরেন্স স্কীমের আওতায় পেনশনের জন্য প্রয়োজনীয় ফান্ড সংগ্রহ করা যাবে । সরকার তার খসড়া নীতিমালায় কি পদ্ধতি অনুসরণ করছে তা জানা গেলে ভাল হতো । তবে সেটা যখন জানা যাওয়ার কোন পন্থা আমাদের জন্য এ মহুর্তে খোলা রাখে নাই কিংবা বিষয়টির উপর কোন কনসেপ্ট পেপার অনলাইনে পাবলিস করে তার উপরে জনগনের মতামত আহবান করে নি তখন কি আর করা । তবে এ বিষয়ে একটি খসড়া কনসেপ্ট পেপার গনমাধ্যমে প্রকাশ করা হলে ভাল হত , সর্বস্তরের জনগন তাতে মতামত রাখতে পারত । এত তরিঘরি করে কোন কিছু করা হলে তা আখেরে মুখ থুবরে পড়তে পারে ।
যাহোক অবসরভাতা প্রদানের জন্য কিভাবে অর্থের সংস্থান করা যেতে পারে তা তুলে ধরে আমার সে পোষ্টে বিষদভাবে আলোচনা করা হয়েছে । সেখানে উদাহরণ হিসাবে ইংল্যান্ড অনুসৃত ন্যাশনাল ইনসিউরেন্স স্কিমের কার্যকারিতার বিষয় দেখানো হয়েছে ।
সংক্ষেপে NI নামে পরিচিত ন্যাশনাল ইনসিউরেন্স মুলত রাষ্ট্রিয় সুযোগ সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তহবিল আহরনের জন্য শ্রমিক ও নিয়োগকারী নিকট হতে অর্থ প্রাপ্তির নিমিত্ত একটি অর্থিক ব্যবস্থা । প্রথম দিকে একটি স্ট্যাম্প এর মাধ্যমে এই স্কীমের জন্য শ্রমিকদের নিকট হতে প্রয়োজনীয় অর্থ আহরণ করা হলেও পরবর্তীতে PAYE system এর মাধ্যমে ইংল্যন্ডে HM Revenue and Customs (HMRC) অধীনে এই NI কনট্রিবিউশন সংগ্রহ করা হয় । ন্যাশনাল ইনসিইরেন্স ভুক্ত হওয়ার জ্ন্য প্রত্যেকেরই একটি ইউনিক ন্যাশনাল নাম্বার প্রয়োজন হয় । বৃটেনের নাগরিকদের ১৬ বছর বয়স হলে অটোমেটিক এ্ই নম্বর পেয়ে যায় , বিদেশী অভিবাসীদেরকে এ নম্বর পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হয় । এটা ছাড়া সেখানে কেও চাকুরী করতে পারে না সে সরকারী বেসরকারী যেটাই হোক না কেন । স্ব-কর্ম সংস্থানকারীদেরকেও এই NI নাম্বার বাধ্যতামুলকভাবেই থাকতে হয় । এবং তারা একটি বিশেষ ক্যটগরীতে বিশেষ হারে স্বউদ্যোগী হয়ে সরকারী কোষাগারে তার ভাগের এন আই জমা দিতে পারে তার নীজ স্বার্থেই ।
বর্তমানে বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে NI সংগ্রহ করা হয় । সপ্তাহে ১৬৬ পাউন্ডের নীচে অআয় কারীকে কোন NI দিতে হয় না । সপ্তাহে ১৬৬ পাউন্ডের উপরে আয় আর্জন কারীকে তার আয়ের ১২% NI এট সোর্স কেটে রাখা হয় সাথে তার নিয়োগ কর্তাকে ১৩.৮০% হারে NI তার এমপ্লয়ীর ফার্ডে জমা দিতে হয় ।
নীচের চিত্রে একজন বেসরকারী কর্মজীবির সাপ্তাহিক বেতন/মজুরী পরিশোধের একটি সমুনা পে স্লিপ দেখা যেতে পারে । এর মধ্যে তার আয় হতে প্রতি সপ্তাহে কি পরিমান এন আই ( NI) ও আয়কর কেটে নিয়ে সাথে সাথে সরকারের রাজস্ব অফিস HMRC তে জমা দেয়া হচ্ছে দেখা যেতে পারে । নিয়োগকারীও ( Employer ) প্রতি সপ্তাহে কি পরিমান অর্থ তার কর্মীর অনুকুলে HMRC তে জমা করছে তাও দেখা যাবে এই পে শ্লিপ হতেই । তাই একজন চাকুরীজীবী একটি চাকুরী ছেড়ে অন্য আর একটি নতুন চাকুরীতে গেলেও তার পেনসন কিংবা অন্যবিদ সুযোগ সুবিধার জন্য তার নিয়োগকারীর উপরে নির্ভরশীল হতে হবেনা । সময়কালে সরকার হতে যথা নিয়মে সে তার প্রাপ্যতা অনুযায়ি সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা ও অবসর ভাতা পেয়ে যাবে । সে সরকারী না বেসরকারী চাকুরীজীবী তা তেমন কোন বিষয় না ।
একটি পে স্লিপের নমুনা ।
সুত্র : https://moneysoft.co.uk/payslips/
স্ব-কর্ম সংস্থানকারী কোন ব্যক্তি কিংবা ক্ষুদ্র ব্যবশায়ীকেও করসীমার বাইরে নীট আয়ের উপর একটি নিদৃষ্ট হারে এন আই কনট্রিবিউট করতে হয় । তার বেনিফিট এনটাইটলমেন্ট অক্ষুন্ন রাখার জন্য কোন গ্যাপ থাকলে তাও তাকে পুরণ করতে হয় । ন্যাশনাল ইনসিউরেন্স স্কীমের অধীনে প্রদেয় বেনিফিট প্যকেজের আওতায় প্রাপ্যতা অনুযায়ি বিভিন্ন রকমের বেনিফিট প্রদান করা হয়, যার মধ্যে বেকারত্বকালীন সাপ্তাহিক ভাতা, , মাতৃত্বভাতা , প্রতিবন্ধি ভাতা, মৃত্যুর পর অবসর ভাতা সহ কিছু এককালীন অর্থ দান করা হয় । উল্লেখ্য যে, কোন একজন তার কর্মজীবনে কি পরিমান এন আই কনট্রিবিউশন করেছে তার উপরে তার ভাতা ও বেনিফিটের পরিমান নির্ভর করে ।
যাহোক সকলকে অবসর ভাতা প্রদানের জন্য কোন প্রকার ইনভেস্টমেন্ট করতে হবেনা । উপকারভোগীরা তার কর্মকালেই তাদের পেনসন ফান্ড তেরী করে নিতে পারবেন । তার পর নির্দিষ্ট বয়সকালে অবসরে গিয়ে নীজের কামাই করা অর্থ হতেই পেনশন ভোগ করতে পারবেন । উল্লেখ্য তার নীজের পেনশন ফান্ড অআরোস্ফিত হবে তার জমাকৃত টাকা যদি সরকার সঠিকভাবে অধীক মুনাফা অর্জনকারী খাতে বিনিয়োগ করতে পারে । যাহোক সে আর এক বিশাল অধ্যায় যা আলোচনা করতে গেলে কয়েক ভলিউম লেগে যাবে ।
যুক্তরাজ্যে বর্তমানে মোট রাজস্ব আয়ের শতকরা প্রায় ২২ ভাগই অর্জিত হয় ন্যাশনাল ইনসিউরেন্স খাত হতে । যার পুরাটাই পুর্ণবন্টন হয় সামাজের সকল স্তরের নাগরিকের কাছে । একজন নিয়োগী যে হারে NI কনট্রিবিউট করে তার বিনিময়ে সে রাস্ট্রের কাছ হতে অনেক বেশী সুবিধা ভোগ করে । এ বিশ্বাসটা আছে বলেই সকলে স্বেচ্চায় এটা মেনে চলে । কেও দুই নম্বরী করলে আখেরে সে নীজেই ভোগে । কোন নিয়োগকারীও কোন ২ নম্বরী কাজ করে ধরা খাইলে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আদালতের আদেশে চিরকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয় অতি স্বল্প সময়ের ভিতরে ।
৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:০৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সরকারের কাছে আবেদন দেশের জন্য ভালো কিছু করুন - দেশের মানুষের হৃদয়ে, দেশের ইতিহাসে, দেশের মানচিত্রে আপনার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। যা কিছু মঙ্গলকর তা করুন। সময় আমাদের কম, খুব অল্প সময়ের জন্য পৃথিবীতে আমরা আছি। সময় কিভাবে চলে যায় মনে হয় এইতো সেদিন ১৯৭১ আর আজ ২০১৯ - অথচ চলে গেছে ৪৮ টি বছর।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:২৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সরকারের কাছে আবেদন দেশের জন্য ভালো কিছু করুন - দেশের মানুষের হৃদয়ে, দেশের ইতিহাসে, দেশের মানচিত্রে আপনার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। যা কিছু মঙ্গলকর তা করুন। সময় আমাদের কম, খুব অল্প সময়ের জন্য পৃথিবীতে আমরা আছি।
অতি মুল্যবান কথা বলেছেন । কিন্তু তাকি সকলের কাছে ভাল লাগবে । শুধুমাত্র নীজ হাতে না হলেতো কারো কাছে কিছুইতো ভাল লাগেনা । কোন দিকে যাবেন বলেন!!
৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৫৩
এমজেডএফ বলেছেন: দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধানের সুচিন্তিত প্রস্তবনা দিয়ে আপনার লিখিত আগেকার কিছু পোস্ট সম্পর্কে প্রসঙ্গক্রমে এখানে অবহিত করার করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। এলোমেলো পোস্টের আধিক্যে ব্লগের ভালো পোস্টগুলোও সময়ের সাথে দ্রুত আড়ালে চলে যায়। তাছাড়া ব্যস্ত জীবনে সবসময় নিয়মিত ব্লগে দৃষ্টি রাখাও সম্ভব হয় না। যার কারণে আপনার আগের কিছু পোস্ট পড়া হয় নাই।
যাই-হোক, আপনার কষ্টসাধ্য পোষ্টের প্রস্তাবনার অংশ বিশেষ হলেও আলোর মুখ দেখার সম্ভাবনার প্রেক্ষাপটে আমরাও আনন্দিত এবং সেইসাথে আপনাকেও অভিনন্দন! আশা করি আপনার পরিশ্রম কিছুটা হলেও সার্থক হবে। বাংলাদেশের অতীতের সরকারগুলো দেশের কল্যানে দীর্ঘমেয়াদী কোন পরিকল্পনা করতো না। দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা আয় ও ক্ষমতায় থাকার উদ্দেশ্যে লোক দেখানো স্বল্পমেয়াদী কিছু পরিকল্পনা করতো। তবে বর্তমান সরকার দীর্ঘমেয়াদী অনেকগুলো পরিকল্পনা করছে যেগুলো কার্যকর করতে সময় লাগলেও সফলতার সাথে শেষ করতে পারলে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে।
আপনি লিখেছেন, "তাহলে অন্যান্য সংস্লিষ্ট বিষয়ের সাথে তারা এটাও দেখতে পাবেন যে সামুতে পর্ণ জাতীয় কোন লেখা হয় না , এখানে দেশের মঙ্গল কামনা করে ছোট বড় অগনিত পোষ্ট দেয়া হয়।"
কথাটি সত্যি। তবে আমার মনে হয় এই ব্যাপারে সামু ব্লগের লেখক-পাঠকদেরও কিছু ব্যর্থতা আছে। বাংলাদেশে এখন পান থেকে সামান্য চুন খসলেও কয়েকটা ব্যানার নিয়ে কিছু লোক মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে যায়। অনেক মানুষ সামান্য ব্যক্তিগত দাবী নিয়েও প্রেসক্লাবের সামনে বসে পড়ে। আর আমরা দেশ-বিদেশের হাজারো সমস্যা নিয়ে গল্প, কবিতা, ফিচার, সমালোচনা লিখে পোস্টের পর পোস্ট লিখে যাচ্ছি। অথচ "সামুতে পর্ণ জাতীয় কোন লেখা হয় না , এখানে দেশের মঙ্গল কামনা করে ছোট বড় অগনিত পোষ্ট দেয়া হয়।" –এই চিরন্তন সত্য দাবীটি নিয়ে কেউ প্রেসক্লাবের সামনেও দাড়াঁয় নাই, সামান্য একটা মানববন্ধনও করি নাই (আমার জানা মতে)। সবাই সামু ব্লগের কতৃপক্ষের দিকে চেয়ে আছি, ওনারা কী ব্যবস্থা করে। আমরা ব্লগের লেখক-পাঠকরা সমবেত ও আনুষ্ঠানিকভাবে এর কোন প্রতিবাদ না জানানোর অর্থ হচ্ছে বিটিআরসি'র মিথ্যা/ভুল অভিযোগকে স্বীকার করে নেওয়া!
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:০৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
খুবই সু চিন্তিত মতামত রেখেছেন । অত্যাবশ্যকীয় কিছু ছোট ছোট প্রকল্পের পাশাপাশি দেশের দীর্ঘ মেয়াদী উন্নয়নের জন্য বড় বড় মেগা প্রকল্পরো প্রয়োজন রয়েছে । এ প্রসঙ্গে মনে পরে বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক রোজেনস্টাইন রোজান এর কথা যিনি তখনকার দিনের উন্নয়নের বহুল আলোচিত সুসম ও অসম প্রবৃদ্ধি তত্ত্বের উদ্ভাবক ছিলেন । তিনি তাঁর বিগ পুস থিউরী দিয়ে বলেছিলেন ভাল কিছু পেতে হলে অর্থনীতির কিছু নির্দিষ্ট খাতে বড় মাপের বিনিয়োগ প্রয়োজন । তিনি বলেছিলেন In fact, injections of small quantities of investments will merely lead to a wastage of resources. Paul Rosenstein-Rodan approvingly quotes a Massachusetts Institute of Technology study in this regard, "There is a minimum level of resources that must be devoted to... a selective big development programme if it is to have any chance of success. Launching a country into self-sustaining growth is a little like getting an airplane off the ground. There is a critical ground speed which must be passed before the craft can become airborne...
যাহোক সামুর দৃর্দশা কটানোর জন্য সকলকে ইতিবাচক ভুমিকা নিয়ে এগুতে হবে । কোন প্রকারের নিগেটিভ কথামালা একে আরো অতলে নিয়ে যাবে । বিষয়টি সকলকে বুঝতে হবে । বাংলাভাষার এই বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিকে কোন স্বার্থান্বেষী মহল বিশেষের হাতিয়ারে পরিনত না করে একে দেশ গড়ার ও বাংলা ভাষায় শিল্প সাহিত্য , গবেষনা প্রবন্ধ নিবন্ধ লেখার শক্তিশালী হাতিয়ারে পরিনত করার জন্য সকলকে সোচ্চার হতে হবে । এখানে যেমনভাবে তথ্য , উপাত্ত , ছবি দিয়ে
নীতি নৈতিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে লেখা যায় তা অন্য কোন অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখা তত সহজ নয় । তাই একে মানসন্মত লেখা লেখি দিয়ে আরো সবল ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাদের ব্লগারদেরকেই বেশী করে ভবতে হবে । কি ধরনের লেখালেখির পরিমান নিয়ন্ত্রিত হলে এটা কারো কোন রোসানলে পড়বেনা তা সকলকে ভাবতে হবে ।
শুভেচ্ছা রইল
৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি বলেছেন, "অপর দিকে রোহিঙ্গাদের প্রতি মনুষের সমবেদনার স্থানটি এখন আর আগের জায়গা নেই । ফলে তাদের বিষয়ে কঠীনতর সিদ্ধান্ত নেয়ার পথটি সুগম হচ্ছে । "
-১৮ কোটী বাংগালী এক হলেও, বার্মা না চাইলে কেহ ফেরত যেতে পারবে না। বার্মাতে যাদের যায়গা জমি ছিলো না, তারা যেতে চাইবে না।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:৩০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
কিছু কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত সরকারী তরফ হতে আসা শুরু হয়েছে । প্রায় ৪০ টি এনজিউকে রোহিঙ্গা ক্যম্পের কার্যকলাপ হতে বের করে দেয়া হয়েছে । আজ দেখলাম রোহিঙ্গাদের মোবাইল সীম/রিম ব্যবহার বন্ধের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে । দেশের সকলে মিলে কুটনৈতিক কার্যকলাপ শুরু হয়েছে । সরকার করছেন সরকারী ভাবে, বিরোধী দল করছেন কুটনৈতিকদেরকে হোটেলে দাওয়াত দিয়ে দফা তুলে ধরতে । আশা করি সকলের সন্মিলিত প্রচেষ্টায় একটা কিছু হবে । বিদেশে বসে বাংলাদেশী মাছ খাওয়া বন্ধ করে দিলেও বার্মা চাপে পড়বে , কারণ ইউরোপ আমিরিকার মত দেশে রুই কাতল , মাগুর, কৈ, সিং ,বোয়াল এসকল বাংলাদেশি সিল মারা সকল মাছই বার্মার মাছই বটে । বার্মার মত তার দোসর মোরলদের পন্য বর্জন করেও বানিজ্যিক কুটনীতির মাধ্যমে কিছু চাপের ভিতরতো বার্মাকে রাখা যাবে । সর্বপরি বার্মার এ দেশীয় লোকানো এজেন্ট গুলিকে দমন করতে পারলেও অনেক উপকার হবে । আর অন্য কোন পথ না থাকলে রিফুজীদের মহাস্থান করাচীতো আছেই , রোহিঙ্গাদেরকে যতটা নির্বোধ মনে করেছেন তারা কিন্তু ততটা নয় , দেশে আটকে পরা বিহারীদের মত ফাক ফোকর দিয়ে তারা ধিরে ধিরে করাচীর রাস্তা ধরবে , এর জন্য এ দেশীয় দালালতো কিছু আছেই যারা এ কাজে রোহিঙ্গাদেরকে দারুনভাবে সহায়তা করবে !!
৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৫০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: শুধুমাত্র নীজ হাতে না হলেতো কারো কাছে কিছুইতো ভাল লাগেনা । কোন দিকে যাবেন বলেন!!
- এই দেশের ১৭ কোটি মানুষ, ১৭ কোটি মানুষ প্রতিজন এক এক জন সরকার যার যা ইচ্ছা তা করুক।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:৩৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: তাহলে আর চিন্তা কি , গনতন্ত্রের সংঘা তথা
Democracy is a government "of the people, by the people, and for the people''.
দেশে গনতন্ত্র পুরাপুরী বিদ্যমান । জনতার সকলেই সরকার ।
৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:১৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার পরিশ্রমলব্ধ লেখালেখি আংশিকভাবে হলেও বাস্তবায়নের মুখ দেখুক, এটাই আমাদের চাওয়া।
ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় অআশরাফুল ভাই ।
শুধু আমার নয় এ ব্লগের সকলের গঠনমুলক লেখায় থাকা দেশগঠন ও সমাজ সচেতনতা মুলক সকল বিষয়াবলীই বাস্তবায়ন হোক সরকারী নীতি কৌশল ও কার্যাবলীতে এ কামনাই রইল । গঠনমুলক লেখালিখিসহ , সৃজনশীল ও মননশীল বিশুদ্ধ বিনোদন প্রদানকারী গল্প কবিতা ও সাহিত্য বিকাশকারী প্লাটফরম হিসাবে ভুমিকা পালনকরী সামু যেন টিকে থাকে সগৌরবে সে বিষয়ে আমাদেরকে সকলকে যথাযথভাবে সহযোগীতা করতে হবে নিরলস ভাবে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
১০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৫০
নতুন নকিব বলেছেন:
দেশের বিবিধ সমস্যার সমাধানকল্পে বিভিন্ন সময়ে প্রদত্ত আপনার বিজ্ঞজনোচিত চিন্তা-ভাবনা সমৃদ্ধ পোস্টগুলোতে উপস্থাপিত সুচিন্তিত প্রস্তাবনাগুলোর কিছু কিছু পর্যায়ক্রমে আলোর মুখ দেখছে, বাস্তবায়ন পর্যায়ে রয়েছে জেনে সত্যিই আমাদেরও ভালো লাগছে। কষ্টসাধ্য এই পোস্টের মাধ্যমে আমাদের বিষয়গুলো অবহিত করায় কৃতজ্ঞতা।
সামু যে পর্ণ সাইট নয়, সামু যে জুয়া খেলার কোনো ওয়েব নয়; বরং সামুতে দেশ ও মানবতার কল্যানে যে চিন্তা হয়, ভাবনা হয়, আলোচনা হয়, সমাধানের যথাযথ প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়- আপনার এই পোস্টটি তার একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষের নিকট যাতে প্রকৃত সত্য প্রকাশিত হতে পারে, তাদের দেখার সুবিধা বিবেচনায় এই পোস্টটিকে স্টিকি করে রাখার দাবি জানাচ্ছি ব্লগের মাননীয় মডারেটরের নিকট।
সুস্বাস্থ্যে সুস্থ থাকুন। সুন্দর থাকুন। শুভকামনা।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য ।
সামু যে পর্ণ সাইট নয়, সামু যে জুয়া খেলার কোনো ওয়েব নয়; বরং সামুতে দেশ ও মানবতার কল্যানে যে চিন্তা হয়, ভাবনা হয়, আলোচনা হয়, সমাধানের যথাযথ প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয় এ বিষয়গুলিকে সমাজের সকল স্তরে তুলে ধরার মুল দায়িত্ব আমাদের ব্লগারদেকেই বেশী করে পালন করতে হবে । সচেতন থাকতে হবে ব্লগিং এর নামে যেন এমন কিছু ব্লগে ঢুকে না পরে যা আমাদের সকলের ভাবমুর্তী বিনষ্ট করে ।
আপনার জন্যও সুস্ব্যাস্থের কামনা রইল ।
১১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৫৮
ইসিয়াক বলেছেন: অনেক চমৎকার একটি লেখা।
পড়ছি................।
শুভসকাল
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
লেখাটি চমৎকার অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল
১২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:০৪
নতুন নকিব বলেছেন:
'সবার জন্য পেনশন' অতি দ্রুত আলোর মুখ দেখুক আপনার এই সুন্দর প্রস্তাবনা। দেশের মানুষের কল্যান হোক। প্রতিটি মানুষ বেঁচে থাকুক নির্ভরতায়। অনিশ্চয়তার ঘেরাটোপে থাকা উদ্বেগাকুল মুখগুলো হয়ে উঠুক হাস্যোজ্জ্বল; ভরে উঠুক নির্ভাবনা, নির্ভরতা আর নিশ্চয়তায়।
দেশের মানুষের নানাবিধ বৈষম্য, বিশেষ করে সরকারি এবং বেসরকারি চাকরির ব্যাপক অসমতা সমাজে অস্থিরতা বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দেশের নানান ক্ষেত্রে পদে পদে বৈষম্য, পদে পদে অসংলগ্নতা-অসামাঞ্জস্যতা। এর সমাধানে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রয়োজন। 'সবার জন্য পেনশন', এই ভাবনাটির বাস্তবায়ন করা গেলে সামাজিক এই বৈষম্যের কিছুটা অবসান হতে পারে বলে আমার বিশ্বাস। এটা নিয়ে আমারও লেখার ইচ্ছে ছিল। আপনি লিখে চলেছেন বলে বিশেষ আনন্দিতবোধ করছি।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর চিন্তা ভাবনার জন্য ।
দেশের সকল মানুষের জন্য কল্যানমুলক সকল বিষয়েরই সর্বাঙ্গিন সুন্দর বাস্তবায়ন হোক এটা
আমরা সকলেই চাই । এই চাওয়াটা যেন থাকে নির্ভেজাল ও শর্তহীন সেটাও দেখতে হবে ।
সবার জন্য পেনসন নিয়ে লিখুন , আপনার লেখার কোয়ালিটি আমার লেখা থেকে অনেক বেশী । এর উপর লেখালেখি এখনো প্রয়োজন আছে । সরকার তার খসড়া নীতিমালায় কি পদ্ধতি অনুসরণ করছে তা জানা গেলে ভাল হতো । তবে সেটা যখন জানা যাওয়ার কোন পন্থা আমাদের জন্য এ মহুর্তে খোলা রাখে নাই কিংবা বিষয়টির উপর কোন কনসেপ্ট পেপার অনলাইনে পাবলিস করে তার উপরে জনগনের মতামত আহবান করেনি তখন বিষয়টির উপর আমাদের সচেতন সকলকে দৃষ্টি রাখতেই হবে , এখনো সময় আছে এর মধ্যে ভালো ভালো দিক গুলিকে সমন্বয় করার । সকলের জন্য পেনশন বিষয়ে একটি খসড়া কনসেপ্ট পেপার গনমাধ্যমে প্রকাশ করা হলে ভাল হত , সর্বস্তরের জনগন তাতে মতামত রাখতে পারত । তরিঘরি করে কোন কিছু করা হলে তা আখেরে মুখ থুবরে পড়তে পারে , তখন আফছোছ ছাড়া করার তেমন কিছু নাও থাকতে পারে ।
শুভেচ্ছা রইল
১৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশটা খুব বেশি দরিদ্র। আর তাই আমাদের সমস্যার শেষ নেই। আবার রাজনীতিবিদ গুলো অদক্ষ এবং অসৎ।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই । আপনার মন্তব্যের তিনটি অংশের মধ্যে শেষের দুটির সাথে সম্পুর্ণ সহমত ।
আপনার প্রতি পুর্ণ শ্রদ্ধা রেখে বলছি আমাদের দেশটা কিন্তু খুব বেশী দরিদ্র নয় , রাজধানী ঢাকার নীচের ছবি দেখে কি দেশটাকে
দরিদ্র বলবে কেও ।
সরকারী বেসরকারী ব্যাংকে রক্ষিত দেশের আমানত কারীর কষ্টার্জিত অর্থ হতে সহজ শর্তে ঋণ নিয়ে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই হাই রাইজ বিল্ডিংগুলি ব্যবহৃত হচ্ছে অনুৎপাদনশীল খাতে শুধু মাত্র কিছু সংখ্ক লোকের বিলাসবহুল বসবাসের জন্য, অথচ এই একটি অথবা মাত্র কয়েকটি বিল্ডিং এর জন্য ব্যয়িত অর্থে নীচের মত ভারী শিল্প কলকারখানা দেশে তৈরী করে উৎপাদন বৃদ্ধিসহ হাজার হাজার মনুষের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যেতো ।
তারপরেও একদিকে দেশে জ্যমিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে কোটিপতির সংখ্যা , দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এর পরিমান দেখে অনেক ধনী দেশও ঈর্ষান্বিত , সরকারী হিসাব মতে দেশের এক কোটি ২৫ লক্ষ মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মরত যা ইউরোপিয়ান অনেক দেশের মোট জনসংখ্যার চেয়েও বেশি , তাদের আয়ও মাশল্লাহ কম নয় , তার পরে গতকালের এক খবরে দেখা গেল দেশের সরকারী ও স্বায়ত্বসাসিত সংস্থা সমুহের দুই লক্ষ ১২ হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাংকে জমা হয়ে রয়েছে ও এর থেকে সংস্থাগুলি সুদ নিয়ে তাদের আয়কে স্ফিত করে একদিকে তাদের সংস্থার লোকসানী চিত্র আড়াল করছে অন্য দিকে ঐ অর্থ বেসরকারী ব্যংকে জমা রেখেছে বিবিধ বোধগম্য কারণে । এগুলি যদি সঠিকভাবে বিনিয়োগ করা হতো তাহলে দেশের দারিত্রকে আজ সত্যিকার অর্থেই যাদুঘরে খুঁজতে হতো । তার পরেও কথা থেকে যায় , আমাদের দেশে রয়েছে বিপুল পরিমানে মানব সম্পদ । আমাদের দেশের অশিক্ষিত , অদক্ষ শ্রমিকেরাও বলতে গেলে কোটি টাকায় তৈরী করা এক একটি রোবটের চেয়েও বেশী মুল্যবান সম্পদ । এই সমস্ত অশিক্ষিত ও অদক্ষ শ্রমিক রিরাপদ ও সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই বহুতল ভবনের নির্মান কাজ , কয়লা খনিতে কাজ , ঝুকি পুর্ণ উচ্চ বিদ্যুত টাওয়ারের চুড়ায় বসে কাজ করতে পারে । গ্রামের একজন কৃষক খালি গায়ে পায়ে কোনরকম গামবুট বা হাতে গ্লোভস না পরেও কাঁদামাটিতে হাল চাষ করতে পারে , যা কোটি টাকায় তৈরী একটি রোবটো করতে পারেনা । তাই বলছি আমাদের দেশটাকে যতটা দরিদ্র বলা বলা হয় আসলে ততটা নয়। , তবে হ্যাঁ শুধু দরিদ্র নয় দেশে কোটি কোটি হত দরিত্র ( Extreme poor ) মানুষ রয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নাই । গুটা দেশটাকে দরিত্র বলা হয়
দায় এড়ানোর জন্য , বুঝানোর জন্য দারিদ্রতার কারণেই আমরা কাংখিত লক্ষে পৌঁছাতে পারছিনা , অপর দিকে দারিদ্রতাকে পুঁজী করে এনজিউ ব্যবসা জমজমাট , দারিদ্রতা নিরসন কল্পে নিয়োজিত লোকজনের রয়েছে সম্পদের পাহাড় , তাই যতদিন দারিদ্রতা নিয়ে বানিজ্য করার সুযোগ থাকবে ততদিন আমাদের শুনে যেতে হবে আমাদের দেশটা দরিদ্র । আমাদের যে সম্পদ রয়েছে তা সঠিকভাবে সঠিক জায়গায় ব্যয় করতে পারলে আমাদের দেশ দরিদ্র এ কথাটা এখন শুনতে হতোনা ।
যাহোক, আপনার মুল্যবান অনুভুতি ও তা সুন্দরভাবে প্রকাশের মাধ্যমে সকলের সচেতনতা সৃস্টির জন্য পুণরায় ধন্যবাদ রইল।
১৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট আমার সব সময় ভালো লাগে। খুব সুন্দর করে আপনি লিখেন।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনার পোষ্টগুলিও আমার ভাল লাগে ।
ভাল লাগার অন্যতম কারণ হলো সেগুলি শতভাগ মৌলিক ।
সেগুলি হতে আমাদের লেখার জন্য অনেক ধারনা পাই ।
নিরন্তর শুভেচ্ছা রইল
১৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর। +
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পোষ্ট টি সুন্দর অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল
১৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৭
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনার মূল্যবান পোস্টটি পড়ে মনে আশার সঞ্চার হল। যদি এমন হয় তবে অবশ্যই আমাদের পুরো জাতির মঙ্গল হবে।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ ।
আপনি ঠিকই বলেছেন এমন হলে পুরো জাতির মঙ্গল হবে ।
দোয়া করবেন দেশের সকলের জন্য যেন পেনশন ব্যবস্থা চালু হয় ।
শুভেচ্ছা রইল
১৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে এরকম মন্তব্যের চমৎকার উত্তর সামুতে আর কেউ দেয় না। দিতে পারেও না।
আপনার পোষ্ট পড়লেই মনে হয়, দেশের সব সমস্যার কথা লিখে ফেলতে হবে। লিখে লিখেই সব সমস্যা দূর করা সম্ভব।
আপনার কাছ থেকে শেখার আছে অনেক কিছু।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ , আবার এসে মুল্যবান কথা বলার জন্য । লিখে লিখে সমস্যা তুলে ধরে ও তা সমাধানের কিছু পন্থার বিষয় আলোচনা করা যেতে পারে । প্রকৃত অর্থে সমস্যা সমাধান করতে হলে সমাধানের পন্থাগুলিকে বাস্তবায়ন করতে হবে যথাযথ উপায়ে , আর এটা যারা বাস্তবায়ন করবেন কৃতিত্ব তাদেরই বেশী ।
শুভেচ্ছা রইল
১৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অন্যান্য সংস্লিষ্ট বিষয়ের সাথে তারা এটাও দেখতে পাবেন যে সামুতে পর্ণ জাতীয় কোন লেখা হয় না , এখানে দেশের মঙ্গল কামনা করে ছোট বড় অগনিত পোষ্ট দেয়া হয়। না তারা এসব দেখেনা। সামুতেই সরকারের কিছু পেইড এজেন্ট আছে, তারা সামুর ভাল কিছু সরকারের নজরে আনেনা।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , বিষয়টি জেনে রাখলাম ।
পেইড এজেন্টের কারণে সরকার জানতে না পারলে কোন ক্ষতি নেই
ব্লগের সকল গুণি লেখক তা দেখলেই বরং বেশী উপকার হবে ।
১৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: লিখে লিখে দেশটা বদলে ফেলা সম্ভব??
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ভাল কথা বলেছেন তবে তাই হোক ।
২০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৭
রাকু হাসান বলেছেন:
ভালো লাগছে পোস্ট পড়ে। শক্তিশালী লেখা মূল্যায়ন হয় । আরও পরিষ্কার হলাম সরকারের নীতি নির্ধারকরা চোখ রাখে ব্লগে। আপনার মতো ব্লগার হওয়া গর্বের । আপনার পড়াশোনা করে পোস্ট গুলো দেখে বিস্মিত হই আমি বারবার । আমরা মানসিকতায় খুব দরিদ্র ।
কেউ প্রেসক্লাবের সামনেও দাড়াঁয় নাই, সামান্য একটা মানববন্ধনও করি নাই (আমার জানা মতে)। সবাই সামু ব্লগের কতৃপক্ষের দিকে চেয়ে আছি, ওনারা কী ব্যবস্থা করে। আমরা ব্লগের লেখক-পাঠকরা সমবেত ও আনুষ্ঠানিকভাবে এর কোন প্রতিবাদ না জানানোর অর্থ হচ্ছে বিটিআরসি'র মিথ্যা/ভুল অভিযোগকে স্বীকার করে নেওয়া!--এটা আমিও ভাবছি। আমি আশা করছিলাম ব্লগ কর্তৃপক্ষ থেকে এমন কিছু জানানো হবে ,আমরা যোগ দিব । কিন্তু আশাই থেকে গেল । একক চেষ্টাও করিনি । ব্লগার হিসাবে অনন্ত নিয়মরক্ষার জন্য হলেও মানববন্ধনটাও করতে পারতাম আমরা । এ দিকটা নিয়ে একজন ক্ষুদ্র ব্লগার হিসাবে আমি নিজে হীনমন্যতায় ভুগি।
রাজীব নুর বলেছেন: লিখে লিখে দেশটা বদলে ফেলা সম্ভব??---রাজীব ভাই আমি মনে করি সম্ভব । লেখার মতো বড় অস্ত্র নেই । ফরাসি বিপ্লবের বীজ প্রথমে লেখার মাধ্যমেই রোপিত হয়েছিল । তেমনি আমাদের স্বাধীনতার বীজও ।
পোস্টটি দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ স্যার । ভালো থাকুন আমাদের মাঝে অনেক দিন । পেনসন নিয়ে পোস্টাটি আমি পড়েছিলাম ।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:০৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
ব্লগের ভাল লেখা কেও দেখেনা বলে ব্লগের গুণী লেখকদের অভিযোগ রয়েছে দেখা যায় ।
শধু খারাপ লেখাগুলিই নাকি বিবিধভাবে সরকারের কাছে যায় ।
যাহোক, আমরা আমাদের ক্ষুদ্র চেষ্টা চলিয়ে যাব দেশ গঠনমুলক লেখালেখিতে ,
আর কেও না দেখলেও ব্লগের সকল গুণী লেখকগন সেগুলি পড়বেন ভাল করে ।
লিখে লিখে দেশটা বদলে ফেলা সম্ভব?? মর্মে রাজীব নুরের কথামালায়
বেশ গুরুত্ব বহন করে ।
শুভেচ্ছা রইল
২১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:১৯
ল বলেছেন: এককথায় অসাধারণ।।।।
আপনার মূল্যায়ন হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। আপনি শুধু সামু নেয় দেশের একজন নিবেদিত প্রাণ বিদগ্ধ পন্ডিত।।।
আপনার কাছ থেকে আরো প্রস্তাবনা পাওয়ার আশা করছি।।।।।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য দানের জন্য ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
২২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫২
সোহানী বলেছেন: ড: আলী তো অনন্য। তাঁর স্থান হবার কথা ছিল সরকারী উপদেস্টা কমিটিতে কিন্তু এমন ই দেশে বাস করি সে আশা করতে হলে আগে পিঠে সিল দিতে হবে।
যাক, আসল কথায় আমি। আপনার চিন্তা ভাবনার সাথে অবশ্যই দেশের কিছু ভালো বুদ্ধিজীবির ভাবনার সাথে মিলে যাবে এটা অবশ্যই সত্য। কারন আপনি যা লিখেছেন তা দেশকে ভালোবেসে সমস্যা থেকে উত্তরনের পথ বাতলে দিয়েছেন। এ সমস্যাপূর্ণ দেশে এমন ভাবনা কয়জনে ভাবে সাথে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও সময়। বিশাল ফ্যাক্টর।
তবে সবশেষে রোহিঙ্গাদারে ব্যাপারে সবসময়ই আমার এ্যালার্জি। দেশে আমাদের নিজেদেরই থাকা খাবারের ব্যবস্থা নেই। সেখানে উটকো লোকজনকে জায়গা দেবার মতো বোকামী কেন করেছি? এখনো সময় আছে ওদেরকে দরকার শক্ত হাতে দমন।
আর সামুতো বন্ধ করা হয়ে একক ব্যাক্তির রোষ থেকে। সেখানে থেকে বেরিয়ে আসার একটাই উপায় ছিল লোকটির মুখোশ উন্মোচন করা। সেটি না করে তাকে তেলের উপর ভাসানোর চেস্টা করেছি....
অনেক ভালো থাকেন।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:০২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বিলম্বিত উত্তরের জন্য দু:খিত । বিবিধ কারণে ইদানিং অনেকেই অনেকের ব্লগে বিচরণ করেননা বিধায় মন্তব্যের ঘর স্টেগনেন্ট হয়ে থাকে , সে সাথে মন্তব্যের কোন নোটিশ না পাওয়ার কারণে নীজের পোষ্টে নীজেও দেখতে আসিনা । ব্লগে ডুকে সময় যেটুকু পাই তাতে প্রথমেই যে কটা পোষ্ট চোখে পরে সেগুলি দেখে টুকটাক মন্তব্য করে কম্পি্উটারে নীজের অন্যবিধ কাজে মনোনিবেশ করি । উপদেষ্টাদেরকে যেখানে উপদেশ দিয়ে চলছি সেখানে এক গ্রেড নীচে নেমে উদেষ্টা হতে যাব কোন দু:খ্যে !
আমার পোষ্টে যে কথাগুলি বা ভাবনাগুলি তুলে ধরা হয় তা সকলেরই মোটামোটি জানা , শুধু সেগুলিকে সকলের সাথে শেয়ার করে সকলের মতামত তাতে যুক্ত করে তাকে আরো জোড়লো করার প্রয়াস ব্যতিত আর কিছুই নয় । ব্লগে লেখালেখির এটাই বড় বৈশিষ্ট ।
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে এলার্জি থাকাটাই স্বাভাবিক । তাদেরকে তাঁদের নীজ দেশে ফেরত পাঠানোর কোন বিকল্প নেই । তাদেরকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে কোন চুক্তির পক্ষপাতি আমি নই । তা্দরকে কি কোন চুক্তি করে দেশে ঢুকতে দেয়া হয়েছিল, পঙ্গপালের মত ঝাকে ঝাকে এসে ঢুকেছিল । এখন ফেরত দেয়ার জন্য চুক্তির প্রশ্ন কেন আসে । যারা যে ভাবে এসেছিল তাদেরকে সেইভাবেই তাদের নীজ দেশে পাঠাও , সেখানে ঢুকে তারপর তারা সেখানে মহাসন্মেলন টন্মেলন করে দফা টফা যতপারে দিয়ে নীজ দেশের সরকারের সাথে যতপারে তাদের নিরাপত্তা ও পুর্ণবাসনের জন্য চুক্তি করে নিক । তাদেরকে পুর্ণবাসনের বিষয়ে প্রথমে চুক্তি করেই মিয়ানমার সরকার ও রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রাপ্তদেরকে টালবাহানা করার সুযোগের ক্ষেত্র তৈরী করা হয়েছে সেই অতীতকাল হতেই , পুর্বসুরিগন যে বিষবৃক্ষ রোপন করেছেন তার ফলতো উত্তরসুরীদের ভোগ করতেই হবে । যুদ্ধ বন্দীছাড়া চুক্তি করে পরদেশি আশ্রিতদের কেও তার নীজ দেশে ফিরত পাঠায় তার বিশেষ কোন নজীর নাই ।
Geneva Convention IV এ উল্লেখ করা আছে
Article 49, second paragraph, of the 1949 Geneva Convention IV provides: “Persons … evacuated shall be transferred back to their homes as soon as hostilities in the area in question have ceased.”
মিয়ানমার সরকার সর্বত্রই বলতেছে তার দেশে এখন কোন hostilities নাই । তাই তাদের কথা অনুযায়ীই রোহিঙ্গাগন যেভাবে এসেছিল সেভাবেই তাদেরকে নীজ দেশে ফেরত পাঠনো যায় । তবে ভিতরে কুটনৌতিক চাল কি আছে তা তো খোলাচোখে দুরে বসে দেখা যাবেনা । তাই যতদিন তাদেরকে তাদের নীজ দেশে ফেরত পাঠানো যাবেনা ততদিন মানবিক কারণে মিনিমাম মানবিক সুযোগ সুবিধাতো তাদেরকে দিতেই হবে , তবে খেয়াল রাখতে হবে তারা যেন দেশের স্থানীয় অধিবাসী ও পুরা দেশের জন্যই দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতির কারণ হয়ে না দাঁড়ায় ।
সামু কি আসলেই বন্ধ হয়েছে , তাহলে আমরা সামুতে বিচরণ করছি কিভাবে । সকল ধরনের এমনকি সরকারের বিপক্ষে যায়
সে সকল লেখাও এখানে প্রকাশ হচ্ছে । তবে এটা সত্যি যে অনেক আইপিএস হতে সামুতে প্রবেশ করা যাচ্ছেনা । এটাও অবশ্য নির্ভর করে কে কোন ধরনের আই পিএস থেকে তাদের ইন্টারনেট সুবিধা নিচ্ছেন । সামু কতৃপক্ষও স্টিকি পোষ্টে বলছেন যে কিছু কিছু আ্ইপিএস হতে সামুতে লগ ইন করা যাচ্ছেনা । ঐ স্টিকি পোষ্টের শেষের দিককার মন্তব্যগুলি হতেও দেখা যায় প্রায় সকলেই এখন কোন রকম বিকল্প ছাড়াই সামুতে লগ ইন করতে পারছেন । তাই সামু বন্ধ না বলে এর উপর হতে সকল প্রকার নিয়ন্ত্রন উঠিয়ে নেয়ার জন্য আমাদেরকে জোড়ালো দাবী জানাতে হবে । সকাল প্রকার নিয়ন্ত্রন হতে সামু মুক্তি পাক সে বিষয়ে আমাদের সকলকেই সোচ্চার হতে হবে ।
২৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:২৫
কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: অসাধারণ তথ্য ও প্রামাণ্যচিত্রের ভিত্তিতে আপনার এই পোস্টগুলো আমাকে আলোকিত করে। দেশের একজন নিবেদিত প্রাণ হয়ে এভাবেই বেঁচে থাকুন হৃদয়ে। শুভকামনা রইলো প্রিয়জন।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:১৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আমার পোষ্ট আপনাকে আলোকিত করে জেনে আপ্লুত হলাম ।
আমার জন্য আপনার দোয়া আল্লাহ কবুল করুন ।
আপনার জন্যও দোয়া রইল ।
২৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:০৯
অন্তরন্তর বলেছেন: ডক্টর আলী সাহেব আপনার পোস্ট পড়ে আসলেই খুব আনন্দ লাগছে কিন্তু মনে যে সংশয় আছে তা কিছুতেই যাচ্ছে না। সরকার আন্তরিকতার সহিত কাজ করলে সব সম্ভব। কিন্তু কোন সরকার আজ পর্যন্ত দেশের জন্য সঠিক কাজ করেনি বলে আজ আমাদের এই দুরবস্থা। সালাম রইল আপনার প্রতি।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:০৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনি যতার্থই বলেছেন মনে যে সংশয় আছে তা কিছুতেই যাচ্ছে না, আমাদের দেশে প্রকল্প বাস্তবায়নে কোন কালেই কোন সরকারই একান্ত নিবেদিত ছিলনা। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে The proposal for establish nuclear powr plant in Ruppur was made in 1961.Government took 254 acres (103 ha) of land in that year to build the plant. In 1963 the plant was approved. Discussions took place with the Government of Canada in 1964 and 1966 (সুত্র Click This Link) . আর সেই প্রকল্প প্রায় ৬০ বছর ধরে দেশের সকল সরকারের হাত ঘুরে ঘুরে এখন কিছুটা বাস্তবায়নের পথে । অথচ সেই একই সময়ে পাক আমলে পাকিস্তানের করাচিতে KANUPP-I নামে একটি পারমানবিক প্রকল্প শরু হয়ে তার নির্মানকাজ শেষ হয় ১৯৭১ সনে । In 1965, Pakistan signed a nuclear energy pact with Canadian General Electric (now GE Canada) establishing the country's first nuclear plant. In 1966, construction of KANUPP-I started, and it was completed in 1971 (সুত্র Click This Link ) । সে সময়কার সরকার করাচীতে পারমানবিক বিদ্যুত প্লান্টটির নির্মানকাজ ১৯৭১ সনে শেষ করে ফেলতে পারল আর আমাদেরটি তারো আগে অনুমোদিত হলেও প্রকল্পের নামে শুধু ২৫৪ একর জমি অধিগ্রহন করা ছাড়া আর কিছুই করেনি। স্বাধিন দেশের সরকারগুলিও এটা দির্ঘদিন পতিত ফেলে রাখল । এরকম আরো শত শত প্রকল্পের উদাহরণ দেয়া যেতে পারে ।
আপনার প্রতিও সালাম রইল
২৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৫৭
অভি চৌধুরী বলেছেন: বিষয় আসছে এখানে দুটো- কোনটা নিয়ে আগে কথা বলবো বুঝতে পারছিনা, রোহিঙ্গা নিয়েই একটু বলি নাহয়-
মুসলিম এই পৃথিবীতে বহু জায়গায় আছে, শুধু ধর্মের দোহাই দিয়ে যারা এক সময় এদের পক্ষ নিয়েছে তাদের ভুল ভাঙ্গছে । অপ্রিয় হলেও সত্য যে এদের জন্য আমার কোন সময়েই কোন রকম মায়া কাজ করেনি, কারণ বলার সময় হাতে নেই এখন,হাতে অনেক কাজ আছে আজকে, যে ধর্মের মানুষ হোকনা কেন, সবাই মানুষ। মায়া মমতা বেশির ভাগ মানুষের মধ্যেই আছে,তথাপিও ঠিক কি কারণে এত গুলো মানুষকে একটা দেশে থেকে বের করে দিলো এখটা দেশ তা খতিয়ে দেখা আমাদের আর হলোনা, আর খতিয়ে দেখার দরকার আছে বলেও আমি মনে করিনা, গত দুই বছরে আমাদের দেশে এদের কর্মকান্ড এতটাই নিচে স্তরে গেছে যে তাদের সাথে আমাদের দেশটাও তলিয়ে যাবার পথে, সরকার অনেক কিছুই প্রকাশে অপারগ কারণ এসবের দায়তো আমাদের সরকারেরও আছে। খুব বেশি দিন নেই আমরা খুব বড় একটা ক্ষতির সামনা সমানি হবো,এরা কতটা ভয়ানক তা আমাদের ধর্মপ্রান মায়াবতী মানুষ গুলো টের পাবে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ সঠিক অনুভবের জন্য ।
রোহিঙ্গাদেরকে এ দেশে ঠেলে দেয়ার জন্য ও তাদেরকে এদেশে সাদর সম্ভাসন জানানোর জন্য বিগত চার দশক ধরেই বিবিধ প্রকারের কলাকৌশল অলম্বন করা হয়েছে । তবে অনেকেই ভুলে যায় ষড়যন্ত্র করে কোন পক্ষের সাময়িক বিজয় হলেও তা আখেরে টিকেনা, অপরদিকে যাদের জন্য ষড়যন্ত্র করা হয় তারা সাময়িক কিছুদিন ভোগলেও য়ড়যন্ত্রকারীরা সমুলে বিনাশ হয়ে মিরজাফরদের মত ইতিহাসের আস্তাকুরে গিয়ে চিরকাল কলঙ্কিত হয়ে থাকে । রোহিঙ্গাদেরকে এদেশে প্রবেশ করানোর কলকাঠি নেরে যারা এখন উল্টাসুরে কথা বলছে তাদের সত্যিকার স্বরুপটাও এদদিন সকলের সামনে প্রকাশ হবে । অবশ্য এখন থকেই তা কিছু কিছু করে প্রকাশ হচ্ছে , সকলের মাঝে সচেতনতা বাড়ছে , ফলে রোহিঙ্গাদের নীজফেরত পাঠানোর জন্য দেশে বিদেশে একটি প্রবল জনমত গড়ে উঠছে । বাংলাদেশ সরকার সঠিকভাবে কুটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যেতে পারলে রোহিঙ্গাদেরকে নীজ দেশে ফিরিয়ে দেয়া তেমন কোন কঠীন কাজ নয় । রোহিঙ্গাদের মুরুব্বীদর সাথে বাংলাদেশ সরকার মনে হয় সে রকম লক্ষ্য নিয়েই কুটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে । রোহিঙ্গারা এদেশের তেল পানি ও রুচিকর হাওয়া খেয়ে মহল বিশেষের ইন্ধনে বেশী ইতরামি শুরু করলে তাদেরকে বঙ্গোপসাগরের নীল জলের বুকে ভাসিয়ে দেয়ার জন্য আমাদের চাটগার সাম্পান ওয়ালারাই যথেষ্ট , তাদের সাথে থাকবে দেশের প্রবল জনমত । তবে আমরা চাই রোহিঙ্গরা নীজ দেশে ফিরে গিয়ে শান্তিতে সেখানকার মুল জনস্রোতের সথে মিলে মিশে থাকুক । মানবতার ডালী নিয়ে প্রয়োজনে আমরা সেখানেও তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াব । মিয়ানমারের এজেন্টগুলিকে সামাল দিতে পারলে পুরা জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে রোহিঙ্গাদেরকে সামাল দিতে পারবে । মহান আল্লাহ তায়ালা মদদ দিবেন আমাদেরকে ইনসাল্লাহ । যাহোক, দেখা যাক সামনে জাতিসংঘের সন্মেলনে কে কেমন ভুমিকা রাখে । ইতিমধ্যে মিয়ানমারের সামরিক জান্তাদেরকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের জন্যও জনমত গড়ে উঠছে আন্তর্জতিকভাবে ।
২৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: ২৩ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে সামুতে প্রকাশিত আপনার পোস্টির লিঙ্কে ক্লিক করে পাওয়া যাচ্ছে না। হয়তো ইতোমধ্যে ড্রাফটে নিয়েছেন।
নদীর মানব-সত্তা, পূর্বাচলে তাঁতপল্লী, ভাসানচরে রোহিঙ্গা পুনর্বাসন ইত্যাদি সরকারী প্রকল্পগুলো আপনার সুপারিশের ভিত্তিতে (সরাসরি না হলেও) গৃহীত হয়েছে জেনে প্রীত হলাম। তার সাথে এবারে যুক্ত হলো সার্বজনীন পেনশন প্রকল্প। আপনাকে এজন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি।
এমজেডএফ এর মন্তব্যটা ভালো লেগেছে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:৪০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক পুরাতন একটি পোষ্ট এসে দেখার জন্য ধন্যবাদ ।
২৩ শে নভেম্বরের পোষ্টটি ড্রাফটে নেই নাই । হয়ত লিংকটি ঠিকমত দিতে পারিনি ।
যাহোক এখানে আবার দিলাম ।
সরকারী-বেসরকারী চাকুরীতে সুযোগ সুবিধার সমতা বিধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজনৈতিক দলসমুহের নির্বাচনী ইসতেহার এখন সময়ের দাবী
দয়াকরে এবার একটু দেখতে পারেন , আশা করি সামু কিংবা
ব্রাউজারে কোন টেকনিক্যান সমস্যা না থাকলে এবার দেখা যাবে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
২৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: ন্যবাদ, এবারে লিঙ্কটা খুলেছে, পোস্টটা পেয়েছি।
আপনার এ পোস্টতাতে আমি একাধিক মন্তব্য করেছিলাম। তার মধ্য থেকে এখানেও কিছু অংশ তুলে রাখছিঃ
"এমন একটা গবেষণাধর্মী দীর্ঘ রচনার জন্য কি পরিমাণ কাঠ খড় পোড়াতে হয়, মধ্য রজনীর আলো জ্বালিয়ে রাখতে হয়, সেটা কিছুটা হলেও আন্দাজ করতে পারছি। এই অধ্যবসায় এবং পরিশ্রমের জন্য অন্তর থেকে আপনাকে সাধুবাদ ও সালাম!
সরকারী ও বেসরকারী চাকুরীর নিয়োগ এবং সেবা-সুবিধাদির মধ্যে সমতা আনাটা হয়তো সুদূর পরাহত, তবে অবশ্যই অতি শীঘ্রই বৈষম্য লাঘবের লক্ষ্যে কিছু দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়।
আমার মতে সরকারী চাকুরেদের মাঝে মেধা অন্বেষণ করতে হলে সবার আগে কোটা প্রথা বিলোপ করা উচিত।
পোস্টটা যেমন জ্ঞানপ্রসূত, অনেক মন্তব্যেও অগাধ জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং সুচিন্তিত বিবেচনার আভাস পেয়েছি। ....."
"আপনার এ পুরনো পোস্টটাতে পুনরায় আসলাম।
আমেরিকাকে বোধ হয় এখন আর কল্যাণ রাষ্ট্র বলা যায় না। কল্যাণ রাষ্ট্রের শীর্ষে আছে তিনটি দেশ- নিউযীল্যান্ড, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া। তার পরেই আছে কিছু স্ক্যান্ডিনিভিয়ান/নর্ডিক মডেলের দেশ। এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত, কোন গবেষণালব্ধ তথ্য নয়।
নির্মাণ সেক্টর, স্বাস্থ্যসেবা, আইসিটি, হসপিটালিটি এ্যান্ড ট্যুরিজম ইত্যাদি সেক্টরে আমাদের দক্ষ এবং আধা দক্ষ জনবলের অভাব আছে, সেটা না হয় বুঝলাম, কিন্তু এ্যাগ্রো প্রসেসিং এবং তৈরি পোষাক শিল্পেও? বিশেষ করে এ্যাগ্রো প্রসেসিং সেক্টরে, আমাদের এতগুলো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কৃষি কলেজ থাকার পরেও, যেখানে অর্ধ-শতাব্দী আগেও বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে ছাত্ররা আসতো কৃষি বিষয়ে অধ্যয়ন করতে?
"সরকারের পক্ষে আর কর্ম সংস্থান বৃদ্ধির সুযোগ নেই" - নেহায়েত বেকুব না হলে কোন অর্থমন্ত্রী এমন কথা বলে জাতিকে হতাশ করতে পারেন, তা বিশ্বাস করা যায় না।
প্রতিবছর ২২ লাখ কর্মক্ষম ব্যক্তি চাকুরির বাজারে প্রবেশ করেন, কিন্তু চাকুরি পান মাত্র ৭ লাখ। বিসিএস এর বিভিন্ন ক্যাডারে মাত্র ২০০০ পদের বিপরীতে প্রায় ৪ লাখ আবেদনপত্র জমা পড়ে, এটা সত্যি এক ভয়াবহ চিত্র। আর আবেদন পত্রের ফী বাবদ সরকারী খাতে জমা হচ্ছে প্রায় ২০ কোটি টাকা, এটাও তো প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি! অকৃতকার্য চাকুরি প্রার্থীদের আবেদনপত্র বাবদ ফী এর অর্ধেক ফেরত প্রদানের ব্যবস্থা করা উচিত বলে মনে করি।
আজকে শুধু এইটুকু কথা বলে তৃতীয়বারের মত বিদায় নিচ্ছি, কিন্তু তবুও আপনার এই সুচিন্তিত, সুলিখিত পোস্টটির প্রতি সুবিচার করতে পারলাম না বলে মনে হচ্ছে। তাই এ পোস্টে আরেকদিন পুনরায় আসার আশাবাদ ব্যক্ত করে গেলাম।.... "
আবারও ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৩:১৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পুণরায় এ পোষ্টে এসে মুল্যবান মন্তব্য দানের জন্য ধন্যবাদ ।
কল্যান রাষ্ট্রের প্রথম সারিতে কে কে আছেন সেটা আমার অলোচনায় তেমন প্রতিপাদ্য নয় । আমি শুধু ওয়েল
ফেয়ার স্টেটের কনসেপ্টকে কাজে লাগিয়ে সার্বজনীন পেসশন স্কীমের রূপেরেখা সম্পর্কে অলোকপাত করতে
চেয়েছি । তবে আপনার মন্তব্যের কথামালার প্রেক্ষিতে কল্যান রাষ্ট্রের তালিকায় কে কোন আবস্থানে আছে তা
জানার কৌতুহল হতে অবস্থাটি বুজার জন্য একটু মনযোগ দিতে হল ।
যুক্তরাষ্ট্রকে কল্যান রাষ্ট্র হিসাবে প্লথম স্থানের অধিকারীতো দুরের কথা অনেকে একে কল্যান রাষ্ট্র হিসাবে অভিহিত
করার পক্ষপাতি নন । এ বিষয়ে আপনি ঠিকই বলেছেন আমেরিকাকে এখন আর কল্যাণ রাষ্ট্র বলা যায় না।
তবে এ কথা সত্য যে অমিরিকার বন্ধু প্রতিম নাটোভুক্ত কিছু স্কেনডেভিয়ান দেশ সহ প্রাচ্য ও প্রতিচ্যের আরো
বেশ কিছু দেশ তরতরিয়ে কল্যান রাষ্ট্রের তালিকায় উঠে যাচ্ছে । উদাহরণস্বরূপ বলা যায়
Australia, Canada have a vital ally, partner, and friend with the United States.Their
bilateral defence and security ties and cooperation are exceptionally close.
These countries maintain a robust relationship underpinned by shared democratic
values, common interests, and cultural affinities. Economic, academic, and people-
to-people ties are vibrant and strong. Their partnership promotes peace and stability
in their own region and around the world.
পৃতিবীর প্রতিটি প্রান্তে অস্ট্রেলিয় ও কানাডার ব্যবসা, বানিজ্য,বিনিয়োগ এবং জলে স্থলে আ্কাশ পথে যোগাযোগ
ও পরিবহনে নিরাপত্তা বজায়ে তাদের অকৃত্তিম বন্ধু মার্কিন যুক্তরষ্টের গুরুত্বপুর্ণ সহায়তা ও প্রভাব রয়েছে ।
নিন্মের তথ্য চিত্র হতে বিষয়টা কিছুটা বুঝা যাবে ।
২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক খাতে ব্যয় ছিল ৮৭৭ বিলিয়ন ইউ এস ডলার ,অপরদিকে কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার ছিল যথাক্রমে ২৭ এবং ৩২ বিলিয়ন ডলার।
মধ্যপ্রাচ্য , দুরপ্রাচ্য , দক্ষিন পুর্ব এশিয়া , ও অন্যান্য দেশে আমিরিকার মদতে যে রকম রাজনৈতিক ও সামরিক
মারপ্যাচ লাগিয়ে সে সমস্ত দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও সামাজিক খাতে স্থবিরতা ও গন্ডগুল পাকানো হয় তার
সিকিভাগও যদি কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায় বিরাজ করতো তাহলে তাদের সামাজিক কল্যান খাতের ব্য়য় কোথায়
গিয়ে ঠেকত তা বিধাতাই জানেন । কারণ তেমন ক্ষেত্রে তাদের সামাজিক কল্যান খাতের ব্যয় হ্রাস করে তাদের
জিডিপির একটা বড় অংশ্যই ব্যয় করতে হতো সামরিক খাতে ।দোয়া করি কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায় যেন অর্থনৈতিক
ও রাজনৈতিক খাতে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে ।
একটি দেশকে কতটুক কল্যানকামী দেশ হিসাবে অভিহিত করা যায় তার পরিসংখ্যানগত একটি ধারনা পাওয়া যায়
সে দেশটি তার মোট জিডিপির কত ভাগ সামাজিক কল্যান খাতে ব্যয় করে ।
এলক্ষ্যে উইকিপিডিয়ায় থাকা একটি তথ্য পুঞ্জি ( ২০১৫ সনের ) হতে দেখা যায় অমিরিকায় সরকারী ও
বেসরকারী খাত মিলিয়ে সামাজিক কল্যান খাতের ব্য়য় মোট জিডিপির ৩০ শতাংশ নিয়ে বিশ্ব তালিকায়
ফ্রান্সের ( মোট জিডিপির ৩১. ৭ শতাংশ) পরে দ্বিতিয় অবস্থানে ছিল । কল্যান রাষ্ট্রের সুতিকাগার যুক্তরাজ্য
মোট জিডিপির ২৪.৫ শতাংশ নিয়ে ছিল ১০ স্থানে , মোট জিডিপির ২৩.৫ শতাংশ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ছিল
১৩তম স্থানে , আর মোট জিডিপির ২০.৭ শতাংশ নিয়ে কানাডা ছিল ১৯ তম স্থানে ।
সুত্র List of countries by social welfare spending
তার ৭ বছর পরে ২০২২ সালে এসে দেখা যায় এই তালিকায় ফ্রান্স শতকরা ৩১.৬০ শতাংশ নিয়ে তার প্লথম
স্থানটি ধরে রাখতে পারলেও আমিরিকা ৩০ শতাংশ হতে কমে গিয়ে ২২.৭ শতাংশ নিয়ে নেমে যায় ১৬তম স্থানে,
অস্ট্রেলিয়া ২০.৭ শতাংশ নিয়ে নেমে যায় ২৭ তম স্থানে । অন্যদিকে কানাডা ২৪.৯ শতাংশ নিয়ে পুর্বের ১৯ তম
স্থান হতে উঠে আসে ১০তম স্থানে । কানাডার প্রবৃদ্ধির হার দেখে বুঝা যায় এ ধারা বজায় রাখতে পারলে তারা খুব
শীঘ্রই আরো উপরের দিকে উঠে আসবে ।
তথ্য সুত্র : Social spending
বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত ও দক্ষ শ্রম শক্তি থাকা সত্বেও এত বিপুল সংখ্যক বিদেশী শ্রমিক নিয়োগের
প্রয়োজনীয়তা ও কারণটি সত্যইআমাকে বিস্মিত করে । এর ঠিক কারণ ও প্রতিকার নির্ণয় খুবই প্রয়োজন ।
বিভিন্ন সুত্র হতে জানা যায় দেশে নাকি এখন প্রায় ৫ লক্ষ বিদেশী শ্রমিক আছে। এটা সত্যিই খুবই উদ্বেগের কারণ ।
সরকারী চাকুরিতে আবেদনকারীর নিকট হতে কোন ফি না নিয়ে বরং ফি মুক্ত তো বটেই সাথে আবেদনকারীকে লিখিত
ও মৌখিক পরিক্ষায় অংশ গ্রহনের জন্য যাতায়াত ও দৈনিক ভাতা দেয়া প্রয়োজন । বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সংস্থা সমুহ
এমন ভাতা দিয়ে থাকে । আমার মনে পরে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় ইন্টার ভিও এ উপস্থিত হোয়ার জন্য যাতায়াত
ভাতা পেয়েছিলাম । এখনকার অবস্থা অবশ্য জানা নেই ।
যাহোক,এখন সিমীত আকারে যে সার্বজনিন পেনশন স্কিম দেশে চালু করা হয়েছে তা যেন যাবতীয় দুর্ণিতির উর্ধে উঠে
সফলতার মুখ দেখে সে কামনাই করি ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০৭
প্রামানিক বলেছেন: দারুণ একটি পোষ্ট দিয়েছেন। পোষ্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।