নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ পাঠক ও লেখক
ও গো সন্ধা পাহরায় থেকো এখনি যাইওনা তুমি
অতল কালো দুখের মাঝে তাদের তুমি ডুবাইওনা!
নিকশ কালো মাটির ভারে কোথায় গেল পদ্মবনের মধু
কোথায় গেল রসে ঠাসা দুনিয়ার সব নামি দামি সাধু!!
কোন সে জালে আটকে গেল তাদের জীবনসাঁজের মিলন মেলা
ছেড়ে দিয়ে পদের মায়া, দলের ছায়া সাঙ্গ হল সকল লিলাখেলা
ভাবনা কেবল কোথায় হবে এতসব নব্য ধনমানের নতুন ঠিকানা
জরা গ্রস্ত তক্তপোস আর কালিমাখা সতরঞ্চে পাতা হবে বিছানা ।
অনেক কথার মরণ হবে অনেক বাণী চুপ
নতুন কালের নট রাজা নিবে নতুন রূপ
জগত রাজার দারুণ খেলা বর্গি নামবে দেশে
ভাগ্য খেলায় নতুন মেলায় ভিন্নতর বেশে।
ঘরের থেকে পথে ঘাটে চলতে হবে ডর
কোথায় জানি লুকিয়ে আছে রাজদস্যুর চর
আসন পেতে রসে ডুবে শুনত পালা গান
বিনা দোষে দেবীর কোপে সাধুর অসম্মান!
গুপ্ত চালের যাতায় পরে ভিটেয় হল চাষ
ক্রমে ক্রমে শক্তিমানের গুমর হচ্ছে ফাস
হারল যে ঘুচল তার ওপাড়াতে সুখের বাস
জানলে আগে করত জানি কাদের সর্বনাশ।
ফিসফিসিয়ে কথা কওয়া আঁর চোখে সব চাওয়া
ঘরের মানুষ জিব কেটে হঠাৎ পিছন ফিরে যাওয়া
আলতু পায়ে খোলস পাল্টে কপালে তুলে চোখ
আলো ছায়ায় চক্ষু বুজা এসব কোন দেবতার মুখ।
হতাশ মনে ক্যাসিনোর ভাবনা, তীরে এসে ডুববে নাকি তরি
এত লস মেনে নিয়ে এই মাতালেরা কভু যাবেনা তাকে ছাড়ি
আবার এরা আসবে ফিরে দিবেই মন সেই খেলারই পরে
সন্ধাক্ষনে আশার আলো উঠবে জ্বলে উত্তেজনার ঝলক হবে শুরু ।
এখানে হারার থেকে জেতা আরও খারাপ, আরও অনেক বড় হার
এটা জানেনা সে কারণ মাথার মধ্যে ‘ডোপামিন’ নিঃসরণ হয় তার
জ্যাক পটের ঝনৎকার ধমনিতে তার দারুন সব উত্তেজনা ছড়ায়
বারবার এর স্বাদ নিতে গিয়ে স্থাবর-আস্থাবর সকলি তারা হারায়।
আবার যেন আটকে না যায় জালে, তেমন তরই ক্যসিনো রুলেটের
চাকার গড়ন আর পে-আউট সংগঠনের কাজে এখন মোরা বড়ই পটু
নবতর কৌশলে সেদিনের মতন যদিও বড় একটা দান যায় জিতে
তেলেসমাতি চালে দানের কড়ি পুরাটাই তুলে নিব যে নীজ পাতে !!
মোদ্দা কথা
রুধিতে হবে বৈধ অবৈধ সকল প্রকার ক্যসিনোর মায়াকান্না
বলাতে হবে পরাজিত নিন্দিত মুখটি আর কাওকে দেখাবোনা
গেছে নর্তকীর পায়ের ঘুঙুর সেখানে নেই কোন নৃত্ত ব্যালে
তাকিয়ে দেখ মানুষের সব নষ্টামী এখন জুটেছে তার ভালে ।
ছবিসুত্র : গুগল অন্তর্জাল
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:০১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অতি সত্য কথা বলেছেন , স্যলুট হাজার বার
২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:৩১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অসাধারণ একটি কবিতা।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:০২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
কবিতা অসাধারণ অনুভুত হয়েছে শুনে পুলকিত হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল
৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:৪২
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংগালীর মাঝে ভালো মানুষের চেয়ে ক্রিমিনাল জন্ম নেয় বেশী
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:০৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এই প্রবনতাটা সঠিক শিক্ষা বিস্তার ও আইনের শাসনের মাধ্যমে প্রতিহত করতে হবে ।
৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:৫৩
ইসিয়াক বলেছেন: আবার এরা আসবে ফিরে দিবেই মন সেই সে খেলারই পরে
এই সময়ের কবিতা ।
আসাধারণ বর্ণনা।
চমৎকার লেগেছে।
সুপ্রভাত
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:০৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
কবিতাটি সময়োচিত ও অসাধারণ হয়েছে শুনে ভাল লাগল
শুভেচ্ছা রইল
৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:০০
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া তুমি কবিতা লিখেছো!!!!!!!!
দারুন কবিতা!!!
আজকাল এত কম কম লেখা কেন ভাইয়া?
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এসে দেখার জন্য ধন্যবাদ ।
আজকাল একটু বেশী সময় দিচ্ছি নীজের কিছু প্রফেশনাল লেখা লেখিতে ।
কেন জানি মনে হচ্ছে ব্লগের পরিবেশ অনেকটাই বদলে গেছে দারুনভাবে ।
মনে হচ্ছে লেখার স্টাইলটা বদলাতে হবে ।
শুভেচ্ছা রইল
৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগুচ্ছি। অথচ ক্যাসিনোতে আওয়া হলো না আমার। পৃথিবীতে আসল মজা পাপে। কোনো পাপ করতে পারলাম না। আফসোস।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মানুষ মরনশীল তাই সকলকে ধীরে ধীর সে দিকেই এগুতে হবে ।
কোন এক কবি বলেছেন জন্মই আমার আজন্ম পাপ ।
তাই এটা নিয়ে আফসোস করার কিছু নাই অনেকের ।
তবে আপনি কোন পাপ করেননি শুনে খুশী হলাম
আপনি অবশ্যই একজন বিশুদ্ধ আত্মা ।
আমাদের জন্য দোয়া করবেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর সমসাময়িক কবিতা। আমি চাই আপনি এমন আরও লিখুন
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ।
ব্লগে তো আমি ব্লগে লিখেই চলেছি ।
বিভিন্ন পোষ্টে দেয়া মন্তব্যগুলির অনেকগুলিই একটি পোষ্টের চেয়ে অনেক বড় ও স্বয়ংসম্পুর্ণ ।
সে হিসাবে আমার করা প্রায় ১১হাজার মন্তব্যের অর্ধেকেরই বেশি দিয়ে পৃথক পোষ্ট দেয়া যেতে পারতো ।
শুভেচ্ছা রইল
৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৪
বিজন রয় বলেছেন: অনেক খুশি হলাম আপনি কবিতা পোস্ট করেছেন দেখে?
আপনি সময়ের সাথে নিজেকে ভালভাবেই মিলিয়ে নিতে পারেন।
সেজন্য এই ধরনের কবিতাটি লিখতে পারলেন!
অনেক অনেক ধন্যবাদ কবিতা লেখার জন্য।
কথা হবে.........
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এসে দেখার জন্য ধন্যবাদ ।
আপনি খেয়াল করলে দেখবেন আমার নিকের সাথে নীচে লেখা আছে অন্যান্য বিষয়ের সাথে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আমি লেখা লেখি পছন্দ করি । তাই তো এই সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সামান্য এই লেখাটুকু এখানে সকলের সাথে শেয়ার করলাম । এরকম সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লেখা আমার নতুন নয় তাই এ জন্য সমসাময়িকের সাথে আমাকে মানিয়ে নিতে হয়না বরং সমসাময়িক অনেক বিষয়ের অনিয়মের বিপক্ষে আমি প্রতিবাদী হই ।
শুভেচ্ছা রইল
৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৮
সোহানী বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার কবিতা পেলাম। বরাবরের মতই ভালোলাগা।
আলী ভাই, একটি দেশে যখন আইন পরাধীন থাকে, গণতন্ত্র বন্দী থাকে সেখানে এ ধরনের ক্যাসিনো খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। আজকে ক্যাসিনো বন্ধ হলে কাল অন্য কিছু চালু হবে। আমরা ম্যংগো পাবলিক এ ধরনের নাটক দেখে কিছু দিন হাত তালি দিবো.....।
যাক, অনেক ভালো থাকেন।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:১৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ বোন সোহানী , কবিতা আর লিখতে পারলাম কই । তার পরেও ভাল লেগেছে শুনে খুশি হলাম ।
আইন পরাধীন ও গনতন্ত্রহীনতা ক্যসিনোর আভির্বাবের জন্য যথেষ্ট নয় । যে সব দেশে স্বাধীন আইন ও গনতন্ত্র আছে সেখানেও
কিন্তু ক্যসিন আছে , তবে সেগুলি আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত । যার অভাবে এখানে এটা অস্বাভাবিক অনিয়ম ও দুর্ণীতির জন্ম দিয়েছে । এখন সরকার ও প্রশাসন কিছুটা নড়ে চড়ে বসেছে । কাজ তেমন কিছু হবে বলে মনে হয়না , কারণ ছলের কলের অভাব হয়না , আমি এ কথাগুলিই বলতে চেয়েছি । তবে এ বিষয়ে যে গণ সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে তার একটি ভাল প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল
১০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,
বাহ... বেশ হয়েছে কবিতা। বক্তব্যও পরিষ্কার।
শার্ল বোদলেয়ার বলেছেন - "পাপকর্মের চৈতন্যই মহত্তর রতিসুখসার ।"
মানুষ তাই বারেবারে পাপকর্মে নিমজ্জিত হতেই চাইবে। ঐ যে কবিতার লাইনেই সে কথা বললেন- এতো লস মেনে নিয়ে এই মাতালেরা কভু যাবেনা তাকে ছাড়ি...........
এইসব নষ্টামীর মূলোচ্ছেদ করবে কে?
অনেকদিন পরে কবিতা নিয়ে এলেন, কনগ্রাটস.................
শারদ শুভেচ্ছান্তে।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:৪১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
শার্ল বোদলেয়ারের কবিতার কথামালা তুলে ধরে পোষ্টটিকে অনেক উচ্চতায় নিয়ে গেলেন, এর জন্য কৃতজ্ঞতা রইল ।
শার্ল বোদলেয়ারকে বিষাদের কবিই বলা যায়, তার সৌন্দর্যও আসে তীব্র ব্যথার হাত ধরে ।
যে বোদলেয়ার বলেন ‘পাপকর্মের চৈতন্যই মহত্তর রতিসুখসার’, সে বোদলেয়ারই ‘দস্তয়েভস্কির প্রিন্স মিশকিনের মতো’, মনে করতেন ‘রূপসী’ ও ‘বিষাদময়ী’ প্রায় সমার্থক, যিনি বলতেন ‘মানুষ দুঃখী, কিন্তু সে জানুক সে দুঃখী, মানুষ পাপী, কিন্তু সে জানুক সে পাপী; মানুষ রুগ্ন, কিন্তু সে জানুক সে রুগ্ন’, সেই নিদারুণ আত্মোপলদ্ধিরই কিছুটা আমি তুলে ধরার প্রয়াস নিয়েছি এই কবিতাটিতে। অবশ্য সেই মহামহিমের তুলনায় আমার লেখাটি একান্তই একটি দুর্বল প্রকাশ।
ক্যাসিনো জাতীয় ভাগ্য ভাঙ্গা গড়ার খেলা বিবিধভাবেই ঘুরে ফিরে আসবে তাতে কোন সন্দেহ নাই ,এবার হয়তো অন্য প্রকরণে কিংবা আইনের ছত্রছায়ায় আরো আটঘাট বেধেই নামবে। যাহোক দেখা যাক এটা কি গতি ধরে ।
অকৃপন প্রসংসার জন্য ধন্যবাদ ।
১১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
একচ্ছত্র স্বৈরাচারিতার বিষফল
তলিয়ে গেল দেশ পাপে অতল
বিনাভোটে ক্ষমতার সাইড ইফেক্ট
পাপভারে ডুবায় দল চেতনার সিন্ডিকেট!
ভিন্নমতের দমন দলনে ব্যস্ত সারাক্ষন
ভাবেনি দানব বাড়িছে অতি গোপন আপনি গোকুল;
সাতখুন মাফ জয়বাংলায় দিয়েছে প্রাধিকার
গুম,খুন ধর্ষনে করেছে কংলকিত সোনার ছেলের দল!
হেন অপরাধ নেই যা তারা করেনি ক্ষমতার জোরে
শিক্ষকে মার, গায়জুরি ভার চলেছে দেশটা জুড়ে!
লুটপাট আর অর্থ পাচারে বিশ্বসেরা তারা
চুরি কোন ছাই ডাকাতি তারা করছে দিনদুপুরে!
ব্যাংক লুট হয়, শেয়ার বাজার, জনতার কপালে হাত
লুটেরাই হয় উপদেষ্টা, হা ইশ্বর, এ কেমন বিচার
বিচারপতিই পায়না বিচার বের করে দেয় দেশ থেকে
বিচারের বাণী সারা দেশ জুড়ে নিরবে নিভৃতেই কাঁদে!
পাপে পাপে বুঝি পঁচে যায় দেশ, চারিদিকে দীর্ঘশ্বাস
হঠাৎ দেখিল অবোধ জাতি বিস্ময়ের নেই শেষ
কত টাকা কত টাকা হায় গুনিতে ক্লান্ত হয়
শত কোটি লাখো কোটি ঘরে ঘরে পড়ে রয়!
ক্যাসিনোর নাম জানলো শেষে অবোধ আমজনতা
হায়! হায় রব উঠিল আকাশে- একি টাকার খেলা
থরে থরে টাকা সিন্দুকে টাকা ধরেনা গড়ে গহনা
জীবনেও বুঝি এত টাকা কেউ কোনদিন দেখবেনা!
কম্বল বাঁচতে গা উজার
দেখি কোথা হয় শেষ এর!
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:১৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কবিতার ছন্দে -মুল্যবান দীর্ঘ একটি মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
দেশে গনতন্ত্রহীনতা , স্বৈরশাসনের বিষবৃক্ষ, প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ও দলীয় করনের কারণে লোটপাটের অভয়ারন্য ইত্যাদি অনেক বিষয়ের কথাই উঠে এসেছে । আপনি ঠিকই বলেছেন , আমরাও দেখতে পাই, সেই অতীত কাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলাদেশে দুর্নীতি ও অনিয়ম হল একটি চলমান সমস্যা । এছাড়াও দেশটি ২০০৫ সালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক প্রকাশিত তালিকায় পৃথিবীর তৎকালীন সবচেয়ে বেশী তথা ১ নং দুর্নীতিগ্রস্থ দেশ হিসেবে স্থান লাভ করেছিল । অবশ্য দুর্নীতির চ্যম্পিশনশীপ পদবিটি হারিয়ে বিগত ২০১১, ২০১২ ও ২০১৮ সালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক প্রকাশিত তালিকায় দেশটি যথাক্রমে ১২০, ১৪৪ ও ১৪৯ তম স্থান লাভ করে। উল্লৈখ্য যে কোন দেশ নম্বরের দিক থেকে যত উপরের দিকে যাবে ততই বেশি দুর্নীতিগ্রস্থ হিসেবে গণ্য হবে। এবার জানি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশকে কোন তালিকায় ফেলে তা আল্লাই জানেন । যাহোক, ভোগবাদী মানসিকতা এবং অনেক ক্ষেত্রে অনিয়ম, জবাবহীনতা, অগনতান্ত্রিক শাসন ব্যাবস্থা প্রভৃতি দুর্নীতির পেছনে দায়ী। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট দেখলে বোঝা যায় ভোগবাদী মানসিকতা ও প্রশাসনের জবাবদানহীনতা ও উগ্র দলীয়করন দায়ী । বাংলাদেশে বর্তমানে ক্ষমতায় থাকা ও ক্ষমতা বলয়ের কাছাকাছি থাকা সব শ্রেণী পেশার বেশীরভাগ ব্যাক্তিরাই কোন না কোন ধরণের দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহন করে থাকে। তবে উচ্চ পর্যায়ের কর্তারা মূলত তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করতে গিয়ে দুর্নীতি ও মাত্রাতরিক্ত ঘুষ গ্রহণকে তাদের অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে। বেশীরভাগ দুর্নীতিই ঘটে চোখের অগোচরে ,শুধু বিবিধ কারণে যে কয়টি ধরা পরে সেগুলি নিয়ে সরকার, সরকারী প্রশাসন কিছুটা নরেচড়ে বসে ও মিডিয়া সোচ্চার হয়, আবার কিছুদিনের মধ্যে কোন না কোন প্রকারের সমজোতায় আসতে পারলে এন্টি করাপসন জাতীয় সকল কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ে। এধরনের একটি প্রেক্ষাপট বিবেচনাতেই আমার পোষ্টটি অবতারনা।
যাহোক, দেশ হতে সকল প্রকারের দুর্নীতি দুর করতে হলে প্রয়োজন যোগ্য সৎলোকের শাসন যা এদেশে খুবই অভাব এবং এমন অবস্থা চলতে থাকলে অদুর ভবিষ্যতেও সৎলোকের শাসন কায়েম হবে বলেও মনে হয় না । কোন রাজনৈতিক দল সে ডান, বাম ইসলামিক, সেকুলার যে কোন মতাদর্শের দলই হোক না কেন। বিবিধ ধরনের দলমতের দ্বারা দেশ শাসনের যতটুকু ইতিহাস এদেশ প্রতক্ষ করেছে তার কোনটিই খুব বেশী সুখকর ছিলনা এর পিছনে অবশ্য কারণো ছিল বহুবিদ , এর জন্যও সকলের সঠিক আত্মপলব্ধি ও নীজস্ব মুল্যায়ন প্রয়োজন ।
স্বাধিনতার লাভের পর হতেই সেই যে বিবিধভাবে দেশে এক নায়ক সুলভ স্বৈরাচারী শাসনের বিষবাস্প রোপিত হয়েছিল তার হাত হতে দেশ কি এতটুকু নিস্কৃতি পেয়েছে? ভোটের কারচুপি , ভোটবাক্স হাইজাক, ভোটার বিহীন নির্বাচন (যে কারণেই হোক), ভোট কেন্দ্র দখল, জালভোট প্রভৃতি দেশবাসি প্রত্যক্ষ করেছে, যে যেভাবে পেরেছে ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে, একদল আরেক দলকে ছাড়িয়ে গেছে, তার পরেও ফলাফল নিজের পক্ষে গেলে বলেছে নির্বাচন সুষ্টু হয়েছে, বিপক্ষে গেলে বলেছে ব্যপক কারচুপী ও ভোট সন্ত্রাস হয়েছে। যাহোক, যে ভাবেই হোক এগুলি দেশকে ক্রমান্বয়ে দুরাবস্থার দিকে নিয়ে গেছে । কিন্তু আমরা কি এর জন্য আত্ম সমালোচনা করে দেখেছি কেন কার দুশে এরকম হয়েছে । রাজনীতিতে একটি সামান্য ছোট ভুলই জাতিকে দুর্দশায় নিপতিত করার জন্য যথেষ্ট । উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় ৯১ এ কেয়ার টেকার সরকারের অধীনে একটি সুষ্টু ও অবাধ নির্বাচনের অধীনে ক্ষমতায় এসে ৯৬ এসে সে পদ্ধতিটিকে অস্বিকার করে দেশে ভোটারবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ তৈরী
করার কি আদৌ কোন প্রয়োজন ছিল? আমার ধারনা সে সময় ক্ষমতাশীণ দলের জনপ্রিয়তা বেশ ভালই ছিল, ধানাই পানাই না করে কেয়ার টেকারের অধীনে নির্বাচন করলে তেমন কোন ক্ষতি হতোনা ।
আবার একই অবস্থা দেখা যায় ঘটেছিল ২০০৬ এ, সে সময় কে এম হাসান জনিত অচলবস্থার সৃস্টি করা না হলে লগি বৈঠার আন্দোলন এতটা জোরদার হতোনা ও এক এগার এর অবতারনা হতোনা । আবার গোয়ার্তমী করে ২০১৪ এর নির্বচনে অংশ না নিয়ে গনতন্ত্রকে কবরে পাঠাবার জন্য প্রয়াস টুকু না নিয়ে সে নির্বচনে অংশ নিলেও হয়তবা জাতিকে আজকের এই গনতন্ত্রহীন অবস্থা দেখতে হতোনা, দেশে এটলিষ্ট একটি শক্তিশালী বিরোধি দল থাকত । গনতন্ত্র ও নির্বাচন যদি শুধুমাত্র ক্ষমতায় লক্ষেই হয় তাহলে এ দেশে এমনটিই ঘটতে থাকবে পর্যায়ক্রমে। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকবে তারা বিপক্ষ দলকে বিবিধ ধরনের দমন পিড়নের মাধ্যমে নির্মুল করতে চাইবে, আর এর জন্য তাদের প্রয়োজন হবে বিভিন্ন ধরনের বৈধ অবৈধ সুযোগ সুবিধা দিয়ে একটি অনুগত প্রশাসনিক শাসন ব্যবস্থা ও বিবিধ ধরনের শক্তিশালী রাজনৈতিক কর্মী বাহিনী । বর্তমান ব্যবস্থায় এর হাত হতে নিস্কৃতির কোন সম্ভাবনা আমি দেখিনা । বর্তমান ক্ষমতাশীন দলকে ক্ষমতার মসনদ হতে তাড়াতে পারলেও তাদের বিশাল একটি অসুসারীতো দেশেই থাকবে, যদিউ দুর্ণীতির দায়ে কিছু কিছু নেতার বিচার হতে পারে (যদি ধরা যায় ) তবে মনে হয় পতনের সুষ্পষ্ট আলামত পেলে পালের গোদারা বিদেশে দিবে পারি। কিন্তু দেশে বড় মাপের গুলমাল ও হরতাল লাগিয়ে রাখার জন্য বিপুল সংখ্যক সমর্থক ও অনুসারী কর্মীবাহিনীতো রেখে্ই যাবে, শুরু হবে সেই একই প্রক্রিয়া । তার মানে যত গানই আমরা গাই না কেন দেশ যে তিমিরে সেই তিমিরেই থাকার সম্ভাবনাই বেশী।
তাই মুক্তির একমাত্র পথ হল সুশিক্ষিত সৎ ও যোগ্য লোকের শাসন । আর এই সৎলোকের শাসন কায়েমের জন্য দেশের প্রতিটি নাগরিককেই তৃণমুল পর্যায় হতে সঠিক আত্মপলবদ্দি ও আত্ম সুদ্ধি করতে হবে সর্বাজ্ঞে ।
এখানে প্রসঙ্গক্রমে বলতেই হয় যে আমাদের মুল সমস্যা হলো আমরা নীজের থেকে পরের ভুল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি ।
অথচ আগে নিজেকে সংশোধন করতে হবে, তারপর অপরকে নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে ।
মানুষকে আল্লাহর পথে ও সৎপথে আনার জন্য ডাকতে হবে, নিজের স্বার্থেই সকলকে সঠিকভাবে উপলব্ধি করাতে হবে
'যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি মানুষকে আহবান করে, সৎকাজ করে এবং বলে, ‘আমি তো আত্মসমর্পণকারী (মুসলিম)’ তার থেকে উত্তম আর কোন্ ব্যক্তি?আল্লাহ কোরানে বলেছেন -
ভাল ও মন্দ সমান হতে পারে না। উৎকৃষ্ট দ্বারা মন্দ প্রতিহত করো; তাহলে যাদের সাথে তোমার শত্রুতা আছে, সে হয়ে যাবে অন্তরঙ্গ বন্ধুর মতো। এ চরিত্রের অধিকারী কেবল তারাই হয় যারা ধৈর্যশীল, এ চরিত্রের অধিকারী তারাই হন যারা মহাভাগ্যবান। (সূরা ফুসসিলাত, ৪১: ৩৩-৩৫)
এ প্রসঙ্গে কোরানুল মজিদে আরো বলা আছে
‘প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের দায়ে আবদ্ধ।‘ (সূরা মুদ্দাসসির, ৭৪:৩৮)
'যারা সৎপথ অবলম্বন করবে, তারা তো নিজেদেরই মঙ্গলের জন্যই সৎপথ অবলম্বন করবে এবং যারা পথভ্রষ্ট হবে, তারা নিজেদেরই ধ্বংসের জন্যই হবে এবং কেউ অন্য কারো ভার বহন করবে না। আর আমি রসূল না পাঠানো পর্যন্ত কাউকে শাস্তি দিই না' ( সূরা ইসরা, ১৭:১৫)।
এ কথা সত্য যে নতুন কোন নবি রাসুল তো এখন আর আসবেন না, তবে আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ রাসুল আমাদেরকে সঠিক পথ নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। সেই আদি ইসলামি যুগ হতে এখন পর্যন্ত যারাই সেগুলি হতে বিচ্যুত হয়েছে তাদের উপর নেমে এসেছে মহাবিপর্যয় ও বিবিধ প্রকারের লাণ্নত ও লাঞ্ছনা । মানুষ এটা ভুলে গেলেও মহান রাব্বুল আলামিন তা ভুলেন না, সময়ের কাজটি তিনি ঠিকই করেন ও করার ক্ষমতাও রাখেন যে কোন অবস্থাতেই, কারণ তাঁর কর্মের জন্য তিনি কারো উপর নির্ভরশীল নন, এর জন্য তাঁর নিবেদিতপ্রাণ কোন দল ও মতের অনুসারী দলের প্রয়োজন নেই । প্রয়োজন তার উপর তায়াক্কুল করে তার প্রতি আত্ম সমর্পন। তাঁর প্রতি আত্মসমর্পন করে তাঁর প্রদত্ত বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন করে তাঁর মধ্যে বিলীন হয়ে তাঁর বলে বলিয়ান হয়েই জগতের সকল অকল্যান দুর করে সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় সংলোকের শাসন কায়েম কোন কঠীন কাজ নয়।
আল্লাহ সকলের মঙ্গল করুন ।
১২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:১০
পুলক ঢালী বলেছেন: ক্যাসিনো আপনি দেখেছেন। এখানে মানে আমাদের দেশে এর খন্ডাংশ আমদানী হয়েছে। আমাদের আইন অস্পষ্ট, জুয়া খেলা যাবেনা অথচ লক্ষ লক্ষ টাকার লটারীর টিকিট বিক্রি করা যাবে, ক্রাচ কার্ড ঘষে মিলিয়নিয়ার হওয়া যাবে।
আমাদের সমস্যা হচ্ছে প্রজেক্টের টাকা মেরে বিনোদন, অসৎ ব্যবসায়ী টাকা পাচারকারীর বিনোদন, মাদক ব্যবসায়ীর বিনোদন ক্যাসিনো কেন্দ্রীক হয়ে গেছে। ক্যাসিনো স্থাপনে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি না নেওয়ায় পুরো ব্যাপারটি অবৈধ হয়ে গেছ. প্রজেক্টের টাকা লুটপাট বন্ধ করতে হবে একই সাথে অসৎ ব্যবসায়ীদেরকে দেউলিয়া করে দিতে হবে। বাস্তবে ক্যাসিনো বিনোদনে দোষ কোথায়, সৎ ভাবে কামাই করে বিনোদন কিনতে পৃথিবীর কোন দেশেই বাধা নেই। দোষ হচ্ছে কালচারে, আমাদের দেশ ক্যাসিনো কালচারের জন্য প্রস্তুত নয়, সাংস্কৃতিক মানসিক এবং ধর্মীয় বিধিবিধান ক্যাসিনো কালচার সমর্থন করেনা। তাই এক্সক্লুসিভ জোনে ক্যাসিনো কালচার সীমাবদ্ধ রাখার কথা বলছেন কেউ কেউ। এটা করা যায় তবে কঠোর মনিটরিং এর ব্যবস্থা রাখতে হবে। যে দেশে বেড়ায় ক্ষেত খায় সে দেশে মনিটরিং কিভাবে হবে এটাই প্রশ্ন।
কবিতার ছন্দে কাহিনী বর্ননা একটা নুতন চলের প্রবর্তক হচ্ছেন বোধহয় আপনি।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:৪৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ পুলক ঢালী , আপনি বিষয়টির গভীরে গিয়ে এর রসদ যোগান থেকে শুরু করে এর অবৈধ প্রসার প্রসঙ্গে যৌক্তিক কথা তুলে ধরেছেন । দেশে বিশেষ করে অনেক বানিজ্যমেলাতেও এমনকি ঢাকার প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে সামিয়ানা টানিয়ে বছরের পর পর হাউজির মত জুয়ার আসর বসেছে । সেগুলি নিয়ে দেশে কখনো এত হৈ চৈ হয়নি । কিন্তু এবার প্রশাসনের বিশেষ করে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নাকের ডগায় এবং যাদের ছত্রছায়ায় যে সমস্ত জায়গায় ক্যাসিনো গুলি জন্ম নিয়েছে , পরিচালিত হয়েছে ও বিস্তার লাভ করেছে তা দেশবাসী বিস্ময়ের সহিত লক্ষ করেছে । আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিণী ধরেছে আর বলেছে এটা অবৈধ , কিন্তু এই অবৈধ কাজ এতদিন চোখে পড়েনি কেন সেটাই এখন জনতার প্রশ্ন । বিলম্বে হলেও সরকারী এ তৎপরতা শুধুই লোক দেখানো কিংবা এ ধরনের দুর্ণীতি ও অনিয়ম দুর করা ও অপরাধীদেরকে ধরে যথাযথ শাস্তি দানের লক্ষে পরিচালিত কিনা তা দেখার জন্য জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে । সকলেই বলাবলি করছে দেখা যাক কি হয় । আমরা চাই যে কোন মুল্যেই হোক সমাজের সকল ক্ষেত্রে ও প্রকল্প বাস্তবায়নে আর্থিক স্বচ্ছতা ও কঠোর সততা পালন করা হোক । দেশ ও জাতিমুক্তি পাক সকল প্রকার অকল্যান হতে ।
শুভেচ্ছা রইল
১৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:১১
জুন বলেছেন: ক্যাসিনো শব্দটির সাথে প্রথম পরিচয় যতদুর মনে পরে কাজী আনোয়ার হোসেনের মাসুদ রানা বই থেকে । তারপর হলিউডের
প্রচুর ম্যুভিরও যোগসাজশ রয়েছে এ ব্যপারে আমার জ্ঞ্যান বৃদ্ধির সেখানে দেখেছি লাসভেগাসের কার্য্যক্রম । তারপর মালয়েশিয়ার গেনটিং হাইল্যান্ডেও আছে ক্যাসিনো কিন্ত মালয়েশিয়ান সরকারের কড়া নির্দেশ বিদেশীরা ছাড়া কোন মালয়েশিয়ান সেখানে জুয়া খেলতে পারবে না । দরজার কাছ থেকে দেখেছিলাম আরব ধনাঢ্যদের প্রবেশও নির্গমন । আমরা বিদেশী হয়েও এক নজর চাক্ষুস দেখার জন্য সেই জুয়াড়ীদের স্বর্গে প্রবেশ করতে পারি নি শুধুমাত্র ড্রেস কোডের জন্য
থাইল্যান্ডে এক বুড়ো ভারতীয়ের কথা শুনেছি সে তার অগাধ সম্পদ এবং দুটি বিশাল হোটেল বিক্রি করে দিয়ে লাওসের ক্যাসিনোতে সেই অর্থ বিকিয়ে দিয়ে এসেছে ।
আপনি যে এ বিষয় নিয়ে কবিতাও লিখতে পারেন সেটাই আমাকে বিস্মিত করলো প্রিয় ব্লগার ডঃ এম এ আলী । অসম্ভব সুন্দর এই কবিতায় প্লাস ও প্রিয়তে ।
ভালো থাকবেন অনেক অনেক ।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:৪৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বিলম্বিত উত্তরের জন্য দুঃখিত ।
পোষ্ট দেয়ার জন্য নতুন একটি লেখায় ব্যস্ত থাকার জন্য নীজের এই পোষ্টেই আসা হয়ে উঠেনি ।
এমনিতো মন্তব্যের কোন নোটিশ পাইনা তার উপরে মন্তব্যের এই আকালের যুগে এখানে এসে
দেখারো তেমন প্রয়োজনো দেখা দেয়না ।
সামপ্রতিক কালের ক্যসিনো পর্ব একটু ভাবিয়ে তুলেছিল ।
এটির সুচনা তো একদিনে এখানে গড়ে উঠেনি ।
এটা গোপনেও চলেনি , এটা দেশের নামি দামী ক্লাবে গড়ে উঠেছে সমাজের প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় ।
এতদিন এটা কারো নজরে পড়েনি , এমন সময়ে নজরে পড়ল যখন এটা ডালাপালা বিস্তার করে মহিরুহতে
পরিনত হয়েছে । কাজ যা হওয়ার তা হয়েছে , মানুষ জানলো ক্যসিনো নামে ভাগ্য খেলার একটি জগত আছে ।
দেশ হতে বিভিন্ন পালা পার্বনে যারা বিদেশে যায় তারা তাদের সময় কোথায় কাটায় তাও দেশবাসী জানতে পারল।
এর বিবিধ ধরনের কলাকৌশল যে দেশের প্রচুর মানুষ জানল তা কি তারা আদৌ ভুলবে নাকি নতুল বোতলে পুরানো মদ
ভরার মত কিছু করবে নব কৌশলে সেটাই এখন বেশী ভাবনার বিষয়। আমি কবিতায় অল্প কথায় সেটাই তুলে ধরতে চেয়েছি ।
থাইল্যান্ডে এক বুড়ো ভারতীয়ের কথা শুনেছি সে তার অগাধ সম্পদ এবং দুটি বিশাল হোটেল বিক্রি করে দিয়ে লাওসের ক্যাসিনোতে সেই অর্থ বিকিয়ে দিয়ে এসেছে । আমার কবিতার মুল কথাটাই আপনার সেই থাই বুড়ীর কথাতে সুন্দরভাবে উঠে এসেছে । মনে পড়ে আপনার কোন এক পোষ্টে থাই কম্বোডিয়া সিমান্তে গড়ে উঠা বিশাল বিশাল হোটেল ও ক্যসিনোর কথা উঠে এসেছিল। এখন শুনতেছি সেই আদলে দেশের এক্সপ্লোসিভ জোনে ক্যাসিনো গড়ে তোলা যায় কিনা তা ভেবে দেখার নাকি প্রয়োজন আছে । জানিনা শেষ পর্যন্ত অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় ।
পোষ্টটি প্রিয়তে নেয়ায় কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভেচ্ছা রইল
১৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বাংলাদেশীরা কিছুদিনের জন্য হলেও নিজ দেশে ক্যাসিনো খেলতে পেরেছেন !!!
- সম্ভবত একেই বলে স্বাধীনতা !!!
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:৫৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: নিজ দেশে ক্যাসিনো খেলতে পেরেছেন !!!
- সম্ভবত একেই বলে স্বাধীনতা !!!
তবে নীজ দেশে যারা ক্যসিনো খেলেন
শুনেছি তারাই নাকি মাঝে মাঝে
বিদেশে গিয়ে খেলে আসেন
এই ভাগ্য খেলা !
১৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:২৭
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পরিষ্কার আহ্বান ! দূর হোক কালো ছায়া।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:৫৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অতি মুল্যবান বক্তব্য রেখে গেছেন
দূর হোক কালো ছায়া।
তবে এর সাথে যুক্ত হোক
আঁধারের অন্ধ কুঠুরিতেই
কাটুক তাদের জীবনের
সারাটি বেলা । এই
ধর পাকর চলুক
জনম ধরে ।
১৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:৪৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ঢাকা-কাঠমুন্ডু-ঢাকা ফ্লাইট প্রতিদিন ফুল। বৃহস্পতি-শুক্র-শনি মারত্বক হাউজ ফুল। সব ক্যাসিনো পাপী।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:১২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অসুস্থতার জন্য উত্তর দিতে বিলম্ব হলো বলে দুঃখিত । ব্লগেও বিচরন করতে কষ্ট হচ্ছে ।
আমার জন্য দোয়া করবেন ।
১৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৫
জুন বলেছেন: ডঃ সাহেব আপনি আবার অসুস্থ ঠাকুর মাহমুদের পোষ্টে আপনার মন্তব্য থেকে জানলাম । আপনি কেন বার বার এই ব্যাথায় আক্রান্ত হচ্ছেন সে বিষয়ে চিকিৎসকরা কিছু বলেছে কি ? আমি ক্রমাগত ডান আর বা হাতের কবজির ব্যথায় কাতর । বাত হলো কি না আল্লাহ জানে । বুড়ি হয়ে গেছি মনে হয়
আলাহহ রাব্বুল আল আমীন আপনাকে দ্রুত সুস্থ করে দিন সেই দোয়া করি । আমার জন্যও দোয়া করবেন অবশ্যই ।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
খুশী হলাম কষ্ট করে এসে কুশল বিনিময় করার জন্য ।
দিন কয়েক বেশ খাটুনি গেছে Marxism as an instrument of Bourgeois Ideoloy : A critical analysis শির্ষক একটি প্রবন্ধ লেখার কাজে । একটি জার্ণালে লেখটি জমা দেয়ার জন্য হাতে সময় কম থাকায় চাপ পরে গিয়েছিল বেশী । ফলে ডান কাধ হতে একটি ব্যথা শুরু হয়ে চলে গেছে নীচের দিকে সেই পুড়ানো স্থানে যেখানে রয়েছে ডিক্স প্রলাপ্স জনিত একটি পুরানো ব্যথা ।এটা একেবারে সারার কথা নয় । একটু চিকিৎসা ও অবসরে থাকলে ভাল হয়ে যায় ,আবার অনিয়ম শুরু হলে বিবিধ প্রকারে পুনরায় শুরু হয়ে যায়, চলতে ফিরতে যেমন কষ্ট তেমনি কষ্ট হয় লিখতে । নিবীড় চিকিৎসা চলছে। একদিকে ঔষধ আর দিকে থেরাপি, ঘরে বাইরে। শান্তিতে যে কম্পিউটার খুলে একটু লেখব তা হয়ে উঠেনা । লেখালেখি না করলে যে কষ্ট লাগে বেশী তা মানতে চায়না পরিবাবের লোকজন। বুড়া যে হয়ে গেছি সেটাও মানতে চায়না, আবার খেয়াল খুশিমত চলতেও দিতে চায়না, নিয়মকানুনের সীমা পরিসীমা নাই। ঘরে আছে ডাক্তার মেয়ে, যন্ত্রনার একশেষ, সবাইকে এড়ানো গেলেও তাকে ফাকি দেয়া যায়না কোনমতেই। যার ঘরে ডাক্তার মেয়ে নাই সে বুঝবেনা পিতা অসুস্থ হলে শাসন কাকে বলে। যাহোক আপনার অনু গল্পটা এর মধ্যে দেখে এলাম । সেখানে মনে হল যেন আমার মত একজনের কথাই হয়েছে বলা । সন্তানকে কোন কারণে একটু শাসন করলে বা কটু কথা বললে তা যে ফিরে আসে নীজের কাছেই।
আপনার হাতের কবজির ব্যথার কথা শুনে খারাপ লাগছে, দোয়া করি আল্লাহ যেন খুব শিঘ্রই সুস্থ করে তোলেন।
শুভেচ্ছা রইল
১৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:০৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ডঃ এম এ আলী ভাই আপনি কেমন আছেন, প্লিজ অল্প কথায় জানাবেন, আপনি কষ্ট করে বেশী কিছু লিখার প্রয়োজন নেই। আর দয়াকরে শরীরের যত্ন নিন। ব্লগ সম্ভবত ব্যান মুক্ত হয়েছে এখনো সঠিক খবর জানতে পারছি না, ০২ - ০৩ দিন সময় লাগবে সঠিক খবর জানতে। তবে সবাই ভিপিএন টর ছাড়া সরাসরি ব্লগে প্রবেশ করতে পারছেন - এটি সর্বশেষ সুসংবাদ। দোয়া করি ভালো থাকুন - সুস্থ থাকুন।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:২০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এখন আল্লার রহমতে অনেক ভাল আছি । অনেকদিন পরে আজ ঘরের বাইরে বের হয়েছিলাম । গাড়ীর মুদু জাকুনীতে অবশ্য ব্যথা কিছুটা বেড়েছে । যাহোক, দুধে কাঁচা হলুদ দিয়ে খেয়ে বেশ উপকার পাচ্ছি। হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ ব্যথা ও প্রদাহকে কমাতে সাহয্য করছে । ডাক্তার মেয়ের কাছেও জানতে পারলাম কাঁচা হলুদে থাকা কারকিউমিন হাড়ের ক্ষয় ও হাড়ের গঠনের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখে ও হাড়কে সুস্থ ও মজবুত রাখে। সেও এটা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমাকে বলছে।
ভিপিএন ছাড়া সকলে ব্লগেই সরাসরি প্রবেশ করতে পারছেন শুনে ভাল লাগছে , এটা একটি সুসংবাদ আমাদের জন্য ।
দোয়া করার জন্য ধন্যবাদ । আল্লাহ সকলকে সুস্থ রাখুন ।
১৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ভাই, ব্লগ মুক্তির শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। ব্লগের দুর্দিনে হাতে গুণা যে কয়েকজন ব্লগার ব্লগ আকড়ে ধরে ছিলেন তার মধ্যে আপনি অন্যতম একজন। ধন্যবাদ।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৩:০৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ আবার এসে মুল্যবান মন্তব্য ও সুস্বদু ও পুষ্টিকর ফলের সমাহার পরিবেশন করে যাওয়ার জন্য । পাকা পেপের
ঔষধি গুণ প্রচুর। কমলা আর আপেলও গুণে মানে ভরপুর। আমাদের দেশের পাকা বেল ও বেল পাতাও বেশ উপকারী ।
বহু গুণের আধার বেল কথন , কুমারী কন্যাদের বেল বিবাহ; সেসাথে বেল কাঠের কিছু চারুকলা সমাচার শিরোনামে আমার একটি লেখা রয়েছে, দেখে আসতে পারেন ।
শুভেচ্ছা রইল
২০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৩:০০
মুক্তা নীল বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় ভাই ,
প্রথমেই আপনাকে ব্লগ মুক্তির শুভেচ্ছা । সমসাময়িক বিষয় নিয়ে
দারুন একটি পদ্য লিখেছেন ।
জুয়া, হাউজি, ওয়ান টেন অপরাধ মূলক খেলা মনে হয় আর বন্ধই হবে না। মানব সমাজে ধর্মীয় অনুশাসনের
পথ থেকে সরে গিয়ে কিছু মানুষ এমন কোনো অপকর্ম নেই যা করতে দ্বিধাবোধ করে না । আর এদেশের আইন ও শাসন ব্যবস্থা যেন রক্ষকই ভক্ষক। আপনার লেখা পড়ে বেশ শান্তি পেলাম। প্রতি মন্তব্য পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি অসুস্থ।
দোয়া করি আপনি সুস্থ হয়ে উঠুন।
অশেষ শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন
০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বিলম্বিত উত্তর দানের জন্য দুঃখিত ।
দোয়া করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
অনিয়ম বন্ধের বিষয়ে আপনার আশংকা যতার্থ
তবে কামনা করি সকল প্রকার অনিয়ম দুর হোক ।
শুভেচ্ছা রইল
২১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: "গুপ্ত চালের যাতায় পড়ে ভিটেয় হলো চাষ,
ক্রমে ক্রমে শক্তিমানের গুমর হচ্ছে ফাঁস" - এ দুটো মাত্র লাইনে দেশের চলমান অবস্থাটাকে খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন।
সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন। সে আইন যে সরকার মানে না, তাদের জবাবদিহি করবে কে?
একটি দেশের নির্বাচন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানগুলো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান যখন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে না বা করে না, তখন আর সে দেশ থেকে বেশী কিছু আশা করা যায় না। দুর্ভাগ্য এবং অবিচার তখন সে দেশের নাগরিকদের নিত্যসঙ্গী হয়ে থাকে।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৫৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বিলম্বিত উত্তরের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী ।
অসস্থা দেখে শুনে মনে কেবলি বাজছিল
একটি কথা , তা প্রকাশের কোন ভাষা খুঁজে
না পেয়ে ছোট করে লিখেদিলাম
"গুপ্ত চালের যাতায় পড়ে ভিটেয় হলো চাষ,
ক্রমে ক্রমে শক্তিমানের গুমর হচ্ছে ফাঁস"
কি আর করা, দিন কাল যা হয়েছে তাতে তো
এর থেকে বেশী কিছু লেখা যায়না ।
বিষয়টি নিয়ে আপনার ভাবনার সাথে
সহমত পোষন করি ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার অসুস্থতার কথা জেনে ব্যথিত বোধ করছি। ডিস্ক প্রোলাপ্সের ব্যথা ভীষণ যন্ত্রণাদায়ক হয়ে থাকে। বিশ্রামই যদি এর দ্রুত নিরাময় করতে পারে, তবে বরং বিশ্রামেই থাকুন আরো কিছুদিন। নিজের মেয়ে বলে তার ডাক্তারী পরামর্শকে উপেক্ষা করবেন না।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৫০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অসুস্থতার জন্য ব্যথিত বোধের জন্য আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
কি আর বলব ভাই, কোমড়ের ব্যথাটা দীর্ঘ দিন ধরে ভোগাচ্ছে । আপনি ঠিকই বলেছেন , ডিক্স প্রল্যাপ্স জনিত ব্যথা সহজে সেরে যাবার মত নয় । কার্যপলক্ষে অনেক দেশেই যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে । বিভিন্ন দেশে এর জন্য কত যে চিকিৎসা আর থেরাপীই না গ্রহন করেছি ।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী থেরাপী সেন্টারে ও বাড়িতে ব্যায়ামের রুটিন বজায় রেখেও তেমন সুফল পাচ্ছিনা,
ব্যথা সহনশীলতার সীমা পরীক্ষা করে থেরাপী করছি । নার্ভকে সম্প্রসারন এবং নমনীয় রাখার অনুশীলন করেছি।
মাইন্ডফুলনেস( মননশীলতা) এবং মেডিটেশন (ধ্যান ) করছি । শারীরিক এবং মানসিক উভয় প্রকার স্ট্রেইস রিলিজ করে চলেছি। ব্যথা মোকাবেলার জন্য অন্যান্য মনস্তাত্ত্বিক দিকগুলিও প্রয়োগ করছি। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযয়ী প্রদাহজনক কিছু ডায়েট বিশেষত ট্রান্স ফ্যাট, শর্করা এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলি পরিহার করছি । ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখার জন্য মেরুদণ্ডের উপর চাপ কমাতে সহায়তা করে এমন খানা খাচ্ছি । দেহের কথা শুনে নীজকে গতিময় রাখার জন্য লাইফস্টাইল পরিবর্তন করছি । নার্ভ ব্লকস, এপিডিউরাল স্টেরয়েড ইনজেকশন, এবং অন্যান্য ধরণের ইনজেকশন-ভিত্তিক পদ্ধতিও মাঝে মধ্যে প্রয়োগ করছি। ইনজেকশনগুলি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যথা থামাতে বা কমিয়ে দিতে কিছুটা সহায়তা করলেও দীর্ঘমেয়াদী সমাধান দিতে পারছেনা । বিকল্প চিকিৎ ব্যবস্থা হিসাবে আকুপাংচার, ম্যাসাজ, বায়োফিডব্যাক থেরাপি, লেজার থেরাপি, বৈদ্যুতিক স্নায়ু উদ্দীপনা এবং অন্যান্য নন-সার্গিকাল মেরুদন্ডের চিকিৎতেও কোন ফল দিচ্ছেনা। দেশী টোটকা
চিকিৎসায় সাময়িক কিছু ফল দিলেও চিরস্থায়ী হচ্ছেনা । অন্যদিকে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগস, পেশী শিথিলকরণ এবং অন্যান্য ওষুধ ব্যবহার করে নিরাময়তো হচ্ছেই না বরং কিছু অযাচিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে আসছে । এত কিছুর পরে একটি বিষয় পরিস্কার হলো যে আমাদের মহন আল্লাহ প্রদত্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের মত এমন থেরাপী ভুমন্ডলে কিছুই নেই , শুধুমাত্র নামাজই দেয় ব্যথা নাশক প্রশান্তি যদিউ দুনিয়াদারী কাজের প্রয়োজনে অনেক সময় সীমা লঙ্গন করে শরীরের উপর অযাচিত চাপ প্রয়োগ করে আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামত হতে বন্চিত হই ও নীজ কর্মদুষেই কষ্ট ভোগ করি । আমার জন্য দোয়া করবেন ভাই ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:২৮
অন্তরন্তর বলেছেন: কবিতায় আমাদের দেশের কাসিনোর কথা বলেছেন। ১৯৭৮ সালের দিকে ঢাকা মোহামেডান, আবাহনী সহ অন্য বেশ কিছু বড় ক্লাবগুলোতে হাউজি, ওয়ান টেন সহ আরও কিছু জুয়া খেলা চলত যা আমি দেখেছি। ১৯৮২ সালে একবার আমার মোহামেডান ক্লাবে হাউজি খেলার অভিজ্ঞতা হয়ে ছিল। আসলে এইসব জুয়াগুলো আমাদের দেশে আরও আগেই গ্রামের মেলাগুলোতে হত, যখন রাতে যাত্রাপালা হত তার আগে প্রত্যেক মেলায় এই জুয়াগুলো চলত তারপর মধ্যরাতে যাত্রা শুরু হত। ছোটবেলায় গ্রামে যাত্রা দেখা হয়েছে এবং সেই জুয়া খেলা আমার দেখা আছে। এখন নতুন জামানায় দেশে কেসিনো এসেছে তা আশ্চর্যের কিছুই নয় আমার কাছে। ইনফেকট ঢাকার সব গুলো ক্লাব এই জুয়ার টাকায় চলে তা আমার মনে হয় অনেক মানুষ জানে। তবে আমাদের দেশে এটা বন্ধ হউয়া খুব জরুরী। ধনী শ্রেণী যারা আছে তারা দেশের বাইরে গিয়ে জুয়া খেলুক তাতে কারও কিছু আসে যায় না।কষ্ট হল আমাদের মত সাধারন মানুষ যেভাবে জুয়া খেলে কপর্দকহীন হচ্ছে তা দেখে। তাই সরকারের উচিত বাংলাদেশে জুয়ার নামে কেসিনো কালচার বন্ধ করা।
আপনার শরীর ভাল হউক সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা। আপনি ভাগ্যবান যে আপনার একজন ডাক্তার মেয়ে আছে। আমার শরীর গত ৮ বছর যাবত খারাপ। আসলে সুস্থ শরীর আল্লাহ্ পাকের দেয়া শ্রেষ্ঠ সম্পদ। শুভ কামনা আলী ভাই।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৫৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বিলম্বিত উত্তরের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী ।
খুব সুন্দর করে আপনি অবস্থাটি তুলে ধরেছেন ।
আপনার কথার সাথে আমি সহমত পোষন করি ।
আমাদের দেশে ক্যসিনো বানিজ্য বন্ধ হওয়া জরুরী ।
সকলের জন্য যথাযথ বিনোদনের ব্যবস্থা করা হলে
মানুষ এই অনৈতিক কর্মকান্ডের পিছনে ছুটত বলে
মনে হয়না । সকলেই সচেতন হলে এমন অনৈতিক
কর্মকান্ডের প্রসার এত সহজে হতে পারতনা ।
তাই সকলকে সচেতন হতে হবে ।
আমার প্রতি শুভকানার জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল
২৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৪১
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আলী ভাই,
আশাকরি শরীর এখন ভালো আছে। অসুস্থ্য শরীরেও আপনি ব্লগে আছেন দেখেই অনেক ভালো লাগে ।
আশাকরি প্রয়োজনীয় বিশ্রামে দ্রুতই অসুখের থেকে সুস্থ্য হয়ে উঠবেন ।
দেশ ভাবনার কবিতা ভালো লেগেছে ।
আপনি দ্রুত সুস্থ্য হয়ে ব্লগে আবার অনেক লিখবেন সেই আশায় থাকলাম ।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:০৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এখন কিছুটা সুস্থ আছি ।
তবে কোন কারণে একটু ট্রেস পড়লেই
শুরু হয়ে যায় ব্যথা ।
ব্লগে থাকার চেষ্টা করি । সকলের
মুল্যবান প্রাণবন্ত লেখাগুলি পাঠে নিমগ্ন হলে
ব্যথার কথা সাময়িকভাবে ভুলে যাই ।
আমার আরোগ্য কামনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৮
জুন বলেছেন: আমাদের দেশে একটা ঘটনা চাপা দেয়ার জন্য আরেকটা তারপর সেটাকে চাপা দিতে আরেকটা এমন কত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত আর আপনি এখনো ক্যাসিনো নিয়ে বসে আছেন প্রিয় ব্লগার ডঃ এম এ আলী ভাই !!
নতুন লেখা নিয়ে জলদি আসুন তো
১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এসে প্রনোদনা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ সুপ্রিয় জুনা'পু ।
আপনি ঠিকই বলেছেন একটাকে চাপা দেয়ার জন্য আরেকটা ঘটেই চলেছে দেশে ।
এহেন সময়ে চুপ থাকা সত্যিই কষ্টকর । বেশ কটি বড় লেখার প্রথম খসড়া হাতে পরে আছে,
লিখতে কষ্ট হয় বলে এগুতে পরছিনা । যাহোক যখন বলেছেন তখন একটা কিছু নিয়ে
জলদিতো আসতেই হয় । আশা করছি এখনি ছাড়ব সামুর পাতায় কবিতার মত
দেখায় এমন একটা কিছু , যেমনি হোক আপুর ডাকে তো সারা দিতেই হবে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
২৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৪
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: লেখাটি যথেষ্ট বলিষ্ঠ! সমসাময়িক এমন আরো কবিতা চাই!
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ এসে মুল্যবান প্রনোদনা দেয়ার জন্য ।
অনেক দিন দেখিনা ব্লগে। ফিরে এসেছেন দেখে ভাল লাগল ।
চললাম তব ব্লগ বাড়ীতে । আশা করি খুশ খবর কিছু পাব।
শুভেচ্ছা রইল
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৪:৫৫
ল বলেছেন: ঐক্যবদ্ধভাবে দুর্বৃত্তায়নের অবসান করতে হবে ........