নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ পাঠক ও লেখক
ভারতীয় বাধা ও গিরিসঙ্কটের ঘুর পথ ধরে
তিস্তা গর্বের সাথে উত্তরবঙ্গে গড়িয়ে পড়ে
ঘর্ষীত পাথর এবং খিলানের ছায়া মারিয়ে
সমভুমে ত্রি-স্রোতা তিস্তা ছিল যে প্রমত্তা ।
তিস্তা কুলে প্রস্ফুটিত উজ্জল মা ও মেয়ে
তাদের প্রিয় নদীকে দেখে পরম ভক্তি ভরে
ভাবে একসাথে একত্রিত হয়ে খড়স্রোতা তিস্তা
তাদেরই মত যেন একসাথে একত্রে না হয় মৃত।
ছবিসুত্র : ব্লগার খায়রুল আহসান
মনে বাজে শ্মশান ঘাটের তিস্তা বুড়ির মেলা
এখন সেথায় মৌসুমী জীবন মরণের খেলা
কিছু বিপন্ন মানবকুল মনোব্যথা রেখে দুরে
প্রচণ্ড কোন শক্তিকে ডাকে জীবন বাজি ধরে ।
ছবি সুত্র : প্রথম আলো
তাদের দুর্দশাপুর্ণ জীবনের সত্য ব্রত
প্রচন্ড জ্বালাময়ী আগুনের সন্ধান করে
স্রষ্টার কাছ ঢেলে দেয় একান্ত প্রার্থনা
বুকে নিয়ে ঘনিভুত মৃত্যুর যন্ত্রনা ।
চলার পথে দুহাত ভরে বয়ে আনা রত্নভান্ডার
গায়ে নিয়ে ক্ষীনধারা আর জেগে উঠা শুস্ক চর
তিস্তাও যেন শুরু করে জেগে উঠার ক্রন্দন
রত্নখচিত হস্তে যেন নেয় তুলে প্রলয়ের আগুন।
তিস্তা পাড়ের বিপন্ন জীব বৈচিত্রকুল বিয়োগান্ত শিকার
জীবনের আশায় মরণকে করতে পারে যেন জয় জয়কার
মরণাপন্ন তিস্তার কপালে পড়ে যেন সমৃদ্ধির মালা স্তুতি
তাকে জড়িয়ে থাকা মরনাপন্নরা পায় যেন জীবনের গতি।
----------------
লেখাটি সুপ্রিয় ব্লগার খায়রুল আহসানের মধ্যাহ্নে তুলা কিছু ছবি পোষ্টে থাকা
মা ও মেয়ে ফুলটি দেখে জেগে উঠা ভাব হতে অনুপ্রাণিত ।
ফুলের ছবিটিও সেখান হতে সংগৃহীত । কৃতজ্ঞতা স্বরূপ লেখাটি
তাঁর প্রতি উৎসর্গিত । উল্লেখ্য এমন কিছু ফুল আমি তিস্তা নদীর তীরে
ঝোপে জঙ্গলে ফুটে থাকতে দেখেছি ।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:৫৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পানির ব্যবহার ভারতেও বেড়েছে কথা সত্য ।
তিস্তা প্রকল্পে চীনকে ডেকে কোন সুফল দিবেনা ।
বাউবোর কর্মধারাও পানিতে টাকা ফেলার সমান
যদিনা তা উপযুক্ত কর্মসুচী ও সততার সহিত করা হয় ।
২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:৩৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্যাক-পেইনে ভুগছিলেন বলেছিলেন, এখন ইহার অবস্হা কি?
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:০১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ব্যাক ব্যথা সহজে ভাল হবার নয় ।
থেরাপিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়ামের
পাশাপাশী ব্যথানাশক সেবন ও লেপন
যথানিয়মে চলছে । চোখেও সমস্যা ,
বয়স বাড়ার সাথে এটা সখ্যতা গেড়েছে।
৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:৪৪
জগতারন বলেছেন:
তিস্তা পাড়ের বিপন্ন জীব বৈচিত্রকুল বিয়োগান্ত শিকার
জীবনের আশায় মরণকে করতে পারে যেন জয় জয়কার
মরণাপন্ন তিস্তার কপালে পড়ে যেন সমৃদ্ধির মালা স্তুতি
তাকে জড়িয়ে থাকা মরনাপন্নরা পায় যেন জীবনের গতি।
খুব ভাল লাগিল আপনার লিখা এ কবিতাটি !
পাঠে মুগ্ধতা অভিন্দন ও সুভেচ্ছ নিবেন প্রিয় ব্লগার ডঃ এম এ আলী ।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:০৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
লেখাটি ভাল লেগেছে শুনে খুশি হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল
৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:৫৯
ইসিয়াক বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার এই পোস্টটি প্রিয় ব্লগার।
নিজস্ব চিরচেনা রুপে বেঁচে থাকুক তিস্তা সুন্দরী শতাব্দীর পর শতাব্দী।
শুভ কামনা রইলো।
ভালো থাকুন সবসময়।
শুভ সকাল।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৫৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
তিস্তা সুন্দরী নামটি আমার ভীষন পছন্দ হয়েছে ।
তিস্তা তার পাহারী পথচলায় দেখায় বড়ই সুন্দর ।
৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৪৭
সোহানী বলেছেন: এ ঘটনা আমি মনে হয় ক্লগে আগেও শেয়ার করেছিলাম, তারপরও বলছি।
দেশে যখন দ্বিতীয় বন্দর নির্মানের কথা হচ্ছিল তখন ভীনদেশী বিশেষজ্ঞ ডাকা হলো। কিন্তু দেশীয়দেরকে খুব একটা পাত্তা দেয়া হলো না। তারপর ভীনদেশী বিশেষজ্ঞরা যখন মংলাতে প্রস্তাব দিলো তখন দেশীয় বিশেষজ্ঞ এক বাক্যে না করেছিল। কিন্তু কারো কথায়ই শুনেনি তৎকালীন সরকার। যার ফলশ্রুতি আমরা টের পেয়েছি এবং পাচ্ছি।
ঠিক তেমনি চাঁদগাজী ভাই এর মতো আমিও বলি, একমাত্র আমরাই জানি কিভাবে এর সমাধান হবে। সেভাবে যদি রাজনীতি, কুটচালি, চামচাগিরি এর উর্ধ্বে কিছু দেশীয় বিশেষজ্ঞ এর মাধ্যমে এর সমাধান বের করা উচিত।
অনেকতো হলো, আর কতকাল আমরা ভুগবো। এভাবে ভুগতে ভুগতে একদিন পানির নীচে তলিয়ে যাবো.....।
ছবি পদ্য সব মিলিয়ে আকুতি ঠিকই মনকে দোলা দিচ্ছে। উৎসর্গ যথাযথ।
আপনাকে অনেকদিন পর দেখে ভালো লাগছে।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৫৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
ফান্দে পড়িয়া...বগা কান্দেরে... ফান্দ বসাইছে ফান্দীরে ভাঁই, পুঁটি মাছো দিয়া....ওরে, তোমার বগা বন্দী হইছে..
.ধরলা নদীর পাড়ে’ কালজয়ী কণ্ঠশিল্পী আব্বাস উদ্দিনের গানের ‘বগার’ মতোই ধরলা নদীর পাড়ের মানুষ যেন
ফাঁদে পড়ে গেছে। গানের বগা পুঁটি মাছের লোভে ফান্দে আটকা পড়লেও দেশের উত্তরাঞ্চলের ধরলা ও তিস্তা
পাড়ের মানুষ ভারতের গজলডোবার বাঁধের ফান্দে আটকে পড়েছেন।স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে ভারত থেকে
আমাদের ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি সকল মহলে তুমুলভাবে আলোচিত।
এখন সকলেই বুঝতে পেরেছেন ভারত তিস্তার পানি দিবে না বা দিতে গড়িমসি করবে। তাই সরকার তিস্তার পানি
সমস্যা সমাধানে বিকল্প হিসাবে ‘তিস্তা প্রকল্প’ নামে একটি মেগা প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি
ব্যবস্থাপনাকেও একটি বহুমুখী প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিকায়ন করতে যাচ্ছে । প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে যেন
হীতে বীপরীত না হয় সেটিই ভাবনার বিষয়।তাই দেশীয় বিশেষজ্ঞ ও সম্পদের মাধ্যমে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা
বেশী সুফলদায়ী হবে বলে সকলেই মনে করেন । প্রয়োজনে বৈদেশিক সহায়তা নেয়া যায় তবে তা ভেবে চিন্তে
সকলকে আস্থায় নিয়ে করলে ভাল হয় । নদী শাসনে তৃণমুল পরিকল্পনা সব সময়ই সুফল দায়ক ।
শুভেচ্ছা রইল
৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:২৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: মাস্টার পিস!!
কি গভীর , কি নিখুঁত।
এইসব কি একদিন মরে যাবে?
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মাস্টার পিস অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
আর্শিবাদ কামনা করছি যেন এইসব একদিন মারা না যায় ।
শুভেচ্ছা রইল
৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: অসাধারণ সুন্দর লিখেছেন! এমন লেখা যদি বাস্তবায়ণ করা যেতো! +
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অসাধারণ আনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
প্লাসে আনুপ্রেরনা পেলাম ।
শুভেচ্ছা রইল
৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৫
নিয়াজ সুমন বলেছেন: পোস্টে ভালোবাসা সহ একগুচ্ছ ভালোলাগা রইলো।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার জন্যও রইল অফুরন্ত ভালবাসা ।
৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৫
বংগল কক বলেছেন:
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এখানে লিংকটি দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
এটা বাস্তবায়ণ হলে নিশ্প্রান হবে বাংলার প্রাণ ।
শুভেচ্ছা রইল
১০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ভালোলাগলো তিস্তা কথন।+++
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ভাললাগার জন্য ধন্যবাদ ।
প্লাসে হলাম অনুপ্রাণিত ।
শুভেচ্ছা রইল
১১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২২
কালো যাদুকর বলেছেন: নদীর কষ্ট কে পরিবর্তন করা সম্ভব। কয়েকটি পানি উ্নয়ন মূলক কাযোক্রমেরমাধ্যমে সেটি সম্ভব। নীল নদ, মিসিসিপি নদী হল এর উদাহরণ। এর জন্য দরকার উভয় দেশের সহযোগিতা।
আপনার লিখাটি ভাললেগেছে।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মুল্যববান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
এর জন্য প্রয়োজন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে
স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কনসালটেশন এর আয়োজন করা ।
সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় একটি সুন্দর সমাধান ও
কার্যক্রম গ্রহণ করা হলে তিস্তার পানি বন্টন সমস্যার
সমাধান সম্ভব । যে কোন প্রকারেই হোক ভারতের
উপর চাপ প্রয়োগের কৌশল নির্ধারণ ও তার প্রয়োগ
প্রয়োজন । বিষয়টির উপর জনসম্পৃক্ততা হবে
সুফলদায়ক ।
শুভেচ্ছা রইল
১২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ভাই সাহেব, খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি লেখা শুরু করেছেন। তিস্তা নিয়ে আমার সামান্য কিছু বলার আছে। আমি ব্যাংকিং কিছু ঝামেলা শেষ করে সন্ধ্যায় বিস্তারিত লিখবো আপনার পোস্টে।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার মুল্যবান মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম ।
বিষয়টি নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রয়োজন
স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কনসালটেশন এর আয়োজন করা।
এতে আন্তর্জাতিক একটি নদীর পানি বন্টন পদ্ধতি ও
গ্রহনযোগ্য পন্থা নিয়ে সত্যিকার বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের,
সাথে তৃনমুল পর্যায়ের বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষ
জনের (এমন কি তার অশিক্শিত হলেও ) মতামত
উঠে আসবে ।
সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় একটি সুন্দর সমাধান ও
কার্যক্রম গ্রহণ করা হলে তিস্তার পানি বন্টন সমস্যার
সমাধান সম্ভব। এটাও ঠিক যে কোন প্রকারেই হোক
ভারতের উপর চাপ প্রয়োগের কৌশল নির্ধারণ ও তার
প্রয়োগ প্রয়োজন । বিষয়টির উপর জনসম্পৃক্ততা হবে
সুফলদায়ক। এ প্রসঙ্গে ফারাক্কা বাঁধের বিষয়ে মজলুম
জননেতা মাওলানা ভাষানীর ফারাক্কা মিছিলের কথা
স্মরন করা যায় । তাঁর ঐ প্রচেষ্টা ফারাক্কার পানি বন্টন
চুক্তিতে বেশ ভাল একটি প্রভাব রেখেছিল ।
শুভেচ্ছা রইল
১৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগায় ভরপুর পোস্ট
নদীগুলো অকালে মরে যাচ্ছে
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পোষ্ট ভাললাগায় ধন্যবাদ ।
নদীর প্রতি আপনার গভীর মায়া
ও মমত্ববোধ আছে , দেশের, বিশেষ
করে পুর্বাঞ্চলের ছোট ছোট মরনাপন্ন
নদীর ছবিমালা আপনার অনেক লেখাতেই
উঠে আসতে দেখেছি ।
শুভেচ্ছা রইল
১৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট পরে আমার উপলব্ধি হলো- প্রকিতি আমাদের ক্ষমা করবে না। সে কঠিন প্রতিশোধ নিবে।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনি ঠিকই বলেছেন নদী কঠীন প্রতিশোধ নিবে ,
সে ক্ষমতা নদীর আছে । বিষয়টি বিস্তারিতভাবে এখানে
আপনার মন্তব্যের প্রতিউত্তরে লিখব , সম্ভব হলে পরে
একবার সুবিধামত সময়ে এসে দেখে যেতে পারেন ।
শুভেচ্ছা রইল
১৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৭
বংগল কক বলেছেন: তিস্তা নদীর পানির একটা বড় অংশ আটকে থাকে সিকিমের কিছু পানি বিদ্যুৎ প্রকল্পের রিজার্ভারে, বাকি অংশ আটকে দেয় গজলডোবা ব্যারেজ। এখান থেকে কৃত্রিম খালের মাধ্যমে পানি পাচার হয়ে যায় পশ্চিমবংগে।
মমতা ব্যানার্জি বলে তিস্তার অর্ধেক পানি উনি পাচ্ছেন, বাকি অর্ধেক আটকে রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে সিকিম ইলেক্ট্রিসিটি বোর্ড। এখন অর্ধেক পানি থেকে উনি বাংলাদেশকে ডিতে পারবেন না। কারণ অর্ধেক পানিই উনার দরকার।
বাংলাদেশের উজানে যত বাঁধ তৈরী হবে বাংলাদেশ তত সংকটে পড়বে।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আবার এসে তথ্যপুর্ণ মন্তব্য রাখার জন্য ধন্যবাদ ।
বিষয়টির উপর বিস্তারিত আলোচনার অবকাশ আছে।
গজলডোবা বাধের উজানে ও ভাটিতে তিস্তার পানি
প্রবাহের পরিমানের সুস্পষ্ট তথ্যসমৃদ্ধ তুলনমুলক
আলোচনা ভাল একটি দিক নির্দেশনা দিতে পারে।
শুভেচ্ছা রইল
১৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কবিতায় বাস্তব চিত্র
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
কবিতায় বাস্তবতা ধরা দিয়েছে শুনে ভাল লাগল ।
শুভেচ্ছা রইল
১৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথমতঃ, লেখাটি আমাকে 'উৎসর্গ' করায় যারপরনাই আপ্লুত ও আনন্দিত হ'লাম। এজন্য জানাচ্ছি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। এ 'উৎসর্গ'কে যারা সম্মান জানিয়ে মন্তব্য রেখেছেন, তাদের প্রতিও আন্তরিক ধন্যবাদ।
ছবি ও কবিতার মাধ্যমে উত্তরবঙ্গবাসীদের একটি জ্বলন্ত সমস্যাকে (বার্নিৎ ইস্যু) আলোচনায় নিয়ে আসার জন্য জলবঞ্চিত উত্তরবঙ্গের সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকেও আপনাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।
অসাধারণ এ কবিতায় প্লাস। + +
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৫০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
উৎসর্গ গ্রহণ করায় কৃতার্থ হলাম । জলবঞ্চিত উত্তরবঙ্গের সাধারণ মানুষের
পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দেখে আমি পুলকিত ও গর্বিত ।
কর্মসুবাদে আশির দশকের প্রথম দিকে তিস্তার পাড়ে বেশ কিছু দিন কাটিয়েছি ।
বর্তমানে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে যা দেখি ও শুনি তাতে মনে হয় তিস্তার
পানির কল কল শব্দ আর ঢেউয়ের গর্জন এখন শুধুই স্মৃতি। উজানে কিছু
পানি থাকলেও ভাটির মুল নদী গর্ভে শুস্ক মৌসুমে এখন হাটু পানি। আর এ
সংকটে বিনষ্ট হচ্ছে সেখানকার জীববৈচিত্র। অথচ একসময় ভরা যৌবন ছিল
এনদীর। সে সময়েও আমি দেখেছি ভাটির টানে মাঝিরা গান গেয়ে ডিঙ্গি নৌকায়
যেতো মাছ ধরতে। লন্ঠন জ্বালিয়ে রাত জেগে প্রমত্ত তিস্তার বুকে মাছ ধরার সেই
অপূর্ব দৃশ্য এখন বাস্তবতার নিরিখে শুধুই স্মৃতি, শুধুই স্বপ্ন কথা।
নদীর স্বাবাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় জীববৈচিত্র্য যে কতটা সংকটে তা ভাবতেও
কষ্ট লাগে । উত্তারঞ্চলের মানুষ পরিবেশ উদ্বাস্তুতে পরিণত হবার বিষয়টি এখন শুধু
সময়ের ব্যাপার। নদী আছে, নাব্যতা নেই। নৌকা আছে; মাঝি নেই, মাছ নেই।
এ চিত্র মেনে নেয়া সকলের জন্যই অনেক বেদনার। বুকভরা কষ্টই যেনো অনিবার্য
নিয়তি হতে যাচ্ছে তিস্তাপাড়ের মানুষের।
আন্তর্জাতিক নদী প্রবাহ আইন অনুযায়ী তিস্তার পানি ব্যবহারে দু’দেশের সম-অধিকার
নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবী। সরকারসহ দেশের সব রাজনৈতিক শক্তি একমঞ্চে
এসে তিস্তার পানির ন্যায হিস্যা আদায়ে কাজ না করলে এই সমস্যার সমাধান আদৌ
সম্ভব হবে বলে মনে হয়না ।
শুভেচ্ছা রইল
১৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।যেমন ছবিগুলো তেমনি কাব্যময় অনুভূতি।++
উৎসবের শ্রদ্ধা।
আপনার দুজনকে নিরন্তর শুভেচ্ছা
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৫৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পোষ্টটি সুন্দর অনুভুত হওয়ার ধন্যবাদ ।
আপনার প্রতিউ রইল নিরন্তর শুভেচ্ছা ।
১৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৪০
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
পানির নাব্যতা বাড়াতে যে ড্রেজিং হচ্ছে, তা নিয়ে অনেক কাণ্ড ঘটে যাচ্ছে দেশে।
দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দেওয়া হচ্ছে। ক্রিমিনাল আমাদের দেশের মানুষেরাই।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:০৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ড্রেজিং কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে কথা উঠেছে ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু কিছু স্থানে ড্রেজিংয়ের বালি নদীর কাছেই ফেলা হচ্ছে।
ফলে পানির স্রোত ও ঢেউয়ে এগুলো আবার জমা হচ্ছে সেখানেই নদী তলদেশে।
বস্তুত এভাবেই প্রতিবছর ড্রেজিংয়ের নামে বারবার একই বালি সরিয়ে নদীর নাব্যতা
ঠিক রাখতে গিয়ে অর্থের অপচয় হচ্ছে। কাজেই এ প্রক্রিয়ার পরিবর্তন প্রয়োজন।
দেশে নদী ও খাল খননে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টিও বহুল আলোচিত। নদী ও খাল
খননের নামে যাতে সরকারি অর্থের অপচয় না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া
জরুরি। এ জন্য তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ড্রেজিং কার্যক্রমের মনিটরিং হওয়া উচিত।
২০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
উপরে ১৪ নং মন্তব্যের ঘরে আপনি বলেছিলেন প্রকৃতি আমাদের ক্ষমা করবে না।
সে কঠিন প্রতিশোধ নিবে। আপনার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কিছু কথা আছে
যা পরে এসে দেখে যেতে বলেছিলাম । এখন এসেছেন দেখে খুশী হলাম ।
আপনি ঠিকই বলেছেন , নদী প্রতিশোধ নেয় বিবিধভাবে । তাইতো বাছ বিচারহীন
মনুষ্য সৃষ্ট কৃতকর্মের কারণে নদীতে নিরবধি চলে ভাঙ্গা গড়া প্লাবন মহা প্লাবনের
তান্ডব লীলা ।
এখানে আমার নীজের চোখে দেখা একটি নদীর ভাঙ্গাগড়ার কাহিনী জানাব আপনাকে।
আপনি নিশ্চয়ই জানেন দেশের উত্তর সিমান্ত ভারতের গাড়ো পাহাড়ের পাদদেশ পর্যন্ত
বিস্তৃত । নেত্রকোনা জেলাধীন দুর্গাপুর উপজেলার উত্তরে গাড়ো পাহড়ের কুল ঘেসে
পাথারিয়া নামে একটি গ্রাম আছে । সেখান হতে গাড়ো পাহাড়ের অপরুপ দৃশ্য দেখা
যায় , মনে হয় যেন হাত বাড়ালেই পাহাড়ের চুড়া ধরা যাবে । পাহাড়ের সেই অপররূপ
দৃশ্য দেখে আমার বাবা সেখানে পাথারিয়ার বিজন প্রান্তরে পাহাড়ের কুল ঘেষে বেশ
বড় মাপের জমি ( সেখানে সময়ে জমি কেনা যেত পানির দামে , প্রতি একরের দাম ছিল
মাত্র ১০ হতে ২০ হাজার টাকা ) কিনেছিলেন । সেখানে বাবা একটি খামার বাড়ী তৈরী
করেছিলেন ।আমরা বছরে দুই একবার ঢাকা হতে সেখানে গিয়ে দিন কয়েক কাটিয়ে
আসতাম ।
সেখানে পাথারিয়ার বুকচিরে বয়ে গেছে বিখ্যাত সুমেশ্বরী নদী ।
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড়ের বিঞ্চুরীছড়া, বাঙাছড়া প্রভৃতি ঝর্ণাধারা ও পশ্চিম দিক
থেকে রমফা নদীর স্রোতধারা একত্রিত হয়ে সোমেশ্বরী নদীর সৃষ্টি। মেঘালয় রাজ্যের বাঘমারা
বাজার (পূর্ব নাম বঙ বাজার) হয়ে বাংলাদেশের রাণীখং পাহাড়ের কাছ দিয়ে সোমেশ্বরী বাংলাদেশে
প্রবেশ করে।রাণীখং পাহাড়ের পাশ বেয়ে দক্ষিণ দিক সুসং দুর্গাপুরের কাছ দিয়ে সোমেশ্বরী নদী
বরাবর পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়। সোমেশ্বরীর মূলধারা তার উৎসস্থলে প্রায় বিলুপ্ত। বর্ষা মৌসুম ছাড়া
অন্য কোন মৌসুমে পানি প্রবাহ থাকে না।
এই পাহারী নদী সুমেশ্বরীর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট ছিল এই যে এই নদী পথে গাড়ো পাহারের নুরী পাথর ও বড়
বড় গাছ পালা পাহাড়ি ঢলের সময় বয়ে আসত। এর গতি পথ ও পরিবর্তন হতো। বিস্তির্ণ এলাকা বালুময় হওয়ায়
লোকজন বাছবিচারহীনভাবে এর থেকে বালু তুলে নিত । মুল নদী হতে কয়েক মাইল দুর দিয়ে মাটির নীচ দিয়ে
নদীর পানি প্রবাহ বইত , কিন্ত তা কেও টের পেতোনা । বছরখানেক বাদে দেখা যেতো গ্রাম কে গ্রাম পানির নীচে
তলিয়ে গিয়ে নতুন একটি স্রোতধারা সৃষ্টি হয়েছে ।
এমনি প্রক্রিয়ায় ষাটের দশকে পাহাড়ীয়া ঢলে সোমেশ্বরী বরাবর দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে নতুন
গতিপথের সৃষ্টি করেছে।বর্তমানে এ ধারাটি সোমেশ্বরীর মূল স্রোতধারা। ১৯৮৮ সালে পাহাড়ীয়া ঢলে
সোমেশ্বরী নদীর একটি শাখা নদীর সৃষ্টি হয় যা সুসঙ্গ দুর্গাপুর বাজারের উত্তর দিক দিয়ে সোমেশ্বরী নদী
থেকে পূর্বদিক দিয়ে আত্রাখালী নদী নামে প্রবাহিত। আত্রাখালি নদী এখন বেশ খরস্রোতা।
আবার সাম্প্রতিক সময়ে ২০১৪ সালের ভয়াবহ বন্যার পর আত্রাখালি থেকে নয়া গাঙ নামের আর একটি
স্রোত ধারা উত্তর দিকে সৃষ্টি হয়েছে। আরো ভাটিতে সোমেশ্বরীর শাখা নদীর সৃষ্টি হয়েছে গুনাই, বালিয়া
ও খারপাই। তাই পাহাড়িয়া নদীর গতিপথের কোন দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্বতা নেই । তেমনিভাবে তিস্তা নদীও
যে কোন সময় তার গতিপথ পরিবর্তন করে সমস্ত বাধা বিপত্তি পরিহার করে প্রলয়কান্ড ঘটিয়ে নবরূপে
নতুন পথে প্রবাহিত হতে পারে সাগরপানে । তাই প্রকৃতির লীলা বুঝা দায় ।
শুভেচ্ছা রইল
২১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:২১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভারতের এক তরফে পানি উত্তোলন আরেক দিকে ক্ষমতাশালীদের অবৈধ বালু উত্তলোনে ফেনী নদীর পাড়ের মানুষও নদী ভাঙ্গনে দিশেহারা।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বিষয়গুলি দেশবাশীকে ভাবিয়ে তুলছে ।
সকলের সন্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিকারের
ব্যবস্থা নিতে হবে । স্থানীয় জনমতকে
সরকারের বিবেচনায় নিতে হবে ।
২২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:২৯
বংগল কক বলেছেন: রাজনীতিতে পানির সংকেত হল H2OP4। এখানে P4 হল- Pollution, Power, Politics & Profit। হাইড্রো-ডিপ্লোম্যাসিতে এটাই হচ্ছে পানি।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ , পানির সুন্দর একটি দারুন অর্থবোধক
সাংকেতিক নাম জানা গেল ।
এদেশের সৎ ও নিবেদিত প্রাণ টেলেন্টেড জেনারেশনই পারবে
জাতিকে সঠিক পথে চালিত করতে ।
শুভেচ্ছা রইল
২৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৫
মিরোরডডল বলেছেন:
পাহাড়ের আঁকেবাঁকে বয়ে চলা তিস্তা, নিজ রুপেই অপরূপা ।
সুন্দর ছবির সাথে ছোট এই লেখাটি ভালো লেগেছে ।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মাত্র গুটি কয়েক কথায় তিস্তার বর্ণনায় অভিভুত ।
লেখা ও ছবি সুন্দর অনুভুত হওয়ায় ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল
২৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
তিস্তা নদী হলো উত্তরের জীবনরেখা। তিস্তা তার জলদুগ্ধে উত্তরের জীবনকে বাঁচিয়ে রাখে। কখনো প্রত্যক্ষভাবে, কখনো পরোক্ষভাবে। উত্তরের জনপদে তিস্তা অববাহিকার মানুষ তাই তিস্তার কাছে ঋণী। ২০১৪ সালে তিস্তার পানি একতরফা প্রত্যাহার করার কারণে তিস্তা অববাহিকায় ভীষণ সংকট দেখা দিয়েছে। তিস্তায় যখন পানির প্রয়োজন ৫ হাজার কিউসেক, তখন পানি পাওয়া যায় মাত্র ২০০-৩০০ কিউসেক। কখনো কখনো এরও কম। - প্রথম আলো (৫ জুন, ২০১৮)
অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে এক দীর্ঘমেয়াদী অমিমাংসিত ইস্যু। দু'দেশের মধ্যে ১৯৯৬ সালে একমাত্র গঙ্গা নদীর পানির বণ্টনের চুক্তি স্বাক্ষর হলেও তিস্তাসহ আলোচনায় থাকা ৮টি নদীর পানি ভাগাভাগির ব্যাপারে এখনো কোনো সুরাহা হয়নি। গঙ্গা চুক্তির পর আলোচনায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় তিস্তা নদীর পানি ভাগাভাগির ব্যাপারটি। ২০১১ সালে দু'দেশের মধ্যে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে সব প্র্রস্তুতি নেয়া হলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরোধিতায় তা সম্পন্ন করা যায়নি। - বিবিসি নিউজ (৮ জানুয়ারী, ২০২১)
তিস্তা দিয়ে বহু পানি গড়িয়েছে। কিন্তু রংপুরে ঢুকেই সেই পানি শুকিয়ে যায়। এই বঞ্চনা ৫০ বছর ধরে দেখছি। পাকিস্তান আমলেও হয়তো এ সমস্যা ছিল। বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধান হয়নি। মাঝখানে জিয়া, সাত্তার, এরশাদ, খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার শাসনামল গেছে নানান টালবাহানার মেঘে ঢাকা অবস্থায়। এখন আর দেশবাসী এ নিয়ে শঙ্কিত নয়। কারণ তারা জেনে গেছে- তিস্তার পানি তিতা। - সমকাল (২১ এপ্রিল, ২০২১)
শেষ কথা: - তিস্তা সমস্যা কখনো সমাধান হবে না। আমরা অযথা সময় ব্যয় করছি তিস্তা তিস্তা করে। কাংলাদেশ চীন ও বার্মার সাথে সু সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারলে তিস্তা সমস্যা সমাধান না হোক ভারত তিস্তা নিয়ে বিপাকে থাকতো। এবং এটি সম্ভব। আর তিস্তা সমসা নিয়ে উত্তরবঙ্গের মানুষের এগিয়ে আসতে হবে। তারপর উত্তরবঙ্গের মানুষের সাথে মিলে যাবেন সমগ্র বাংলাদেশের মানুস। উত্তরবঙ্গের মানুষ এইখানে নিশ্চুপ আছেন। আমাদের করণীয় কি?
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আবার এসে মুল্যবান মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
এ কথা অস্বিকার করার উপায় নাই যে বহু বছর ধরে প্রাপ্ত তিস্তার পানি ভারত দিতে পারছে না।
সব সময় তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি হচ্ছে হচ্ছে বলে ভারতের পক্ষ থেকে আশ্বাস দিয়ে আসা
হচ্ছে।স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে ভারত থেকে আমাদের ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হওয়ার
সংবাদটি সকল মহলে তুমুলভাবে আলোচিত।
সরকার বেশ কয়েক বছর পূর্ব থেকে বুঝতে পেরেছেন ভারত তিস্তার পানি দিবে না বা দিতে
গড়িমসি করবে।তাই বছর কয়েক পূর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং-কে
অনুরোধ জানিয়েছিলেন, যাতে ‘চীনের দুঃখ’ হিসেবে একদা বিশ্বে বহুল পরিচিত হোয়াংহো নদী বা
ইয়োনো নদীকে চীন যেভাবে চীনের আশির্বাদে পরিণত করেছে ঐ একই কায়দায় বাংলাদেশের
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর জনগণের জন্য প্রতিবছর সর্বনাশ ডেকে আনা তিস্তা নদীর পানি
ব্যবস্থাপনাকেও একটি বহুমুখী প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিকায়ন করা যায়।
চীন বিষয়টিকে গুরুত্বের সহিত নেয় ও একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রণয়ন করে । পাওয়ার চায়না
উপস্থাপিত প্রকল্প প্রস্তাবনার বিষদ একটি বিবরন নীচের মন্তব্যে ব্লগার বংগল কক একটি ভিডিউ
লিংকের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন , যা আপনিও একটু দেখে নিতে পারেন।সেখান হতে দেখা যায় যে
তিস্তা প্রকল্পে বাংলাদেশের সীমানার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর ১১২ কিলোমিটার জুরে ব্যাপক
খনন করা হবে। খননের মাধ্যমে নদীর মাঝ খানের গভীরতাকে বেশ কমিয়ে আনা হবে। সঙ্গে সঙ্গে
নদী শাসনের মাধ্যমে অনেক নদী উদ্ধার করা হবে। , নদী পাড়ের জমি উদ্ধার করা হবে । উক্ত জমিকে
বিশাল আকারে চাষের উপযোগী করা হবে। নদীর দুই তীর বরাবর ১১২ কিলোমিটার চার লেনের
সড়ক নির্মাণ করা হবে। বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি ব্যারেজ-কাম রোড নির্মাণ করে নদীর দুই
তীরের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করার সঙ্গে সঙ্গে বর্ষাকলে প্রবাহিত নদীর বিপুল উদ্বৃত্ত জলরাশি
সংরক্ষণের জন্য জলাধার সৃষ্টি করে শুষ্ক মৌসুমে নদীর দুই তীরের জমিতে সেচের ব্যবস্থা গড়ে
তোলা হবে। তিস্তা নদীর উভয় তীরে বিশাল বিশাল শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হবে। দৃষ্টিনন্দন নগরায়ন
সুবিধা সৃষ্টি করে দেশের উত্তরাঞ্চলে অর্থনৈতিক বিপ্লব সাধন করা হবে। কর্মসংস্থানের এক মহা
সোপানে পরিণত হবে। বিপুল মানুষের চাকরি সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে উত্তরাঞ্চলে গড়ে উঠবে শিল্প নগরী ।
বাংলায় প্রচলিত নাই মামার থেকে কানা মামা ভাল প্রবচনের আলোকে বলা যায় প্রকল্পটি
আপাতত একটি ভাল উদ্যোগ । তবে এর ভুরাজনৈতিক প্রভাব , পরিবেশগত প্রভাব ও অর্থ
সংস্থানের সম্ভাব্য বিরোপ প্রভাব সম্পর্কে আরো বিশদ আলোচনা ও ভাবার অবকাশ রয়েছে ।
বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ এর পরিবেশগত প্রভাব অস্পষ্ট বলে মত পোষন করেছেন। বাংলাদেশ পরিবেশ
আইনজীবী সমিতির প্রধান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রকল্পের প্রস্তাবিত অবকাঠামোর বিষদ বিবরণ
এবং ঋণের শর্তাবলী এখনও অজানা এবং প্রকল্প প্রস্তাবনাটির বিষয়ে প্রকাশ্যে বিতর্ক করা হয়নি
মর্মে মত প্রকাশ করেছেন । প্রকল্পটি পরিবেশগতভাবে কতটা টেকসই হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়,
চায়না- লিড প্রকল্প পরিকল্পনাটি সফল হবে কিনা তা নিয়েও বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ সন্দিহান। যথা
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড ফ্লাড ম্যানেজমেন্টের
অধ্যাপক মনসুর রহমান বলেছেন তিস্তা নদীর বৈশিষ্ট্য খুবই জটিল হওয়ায় প্রকল্পটি সফল করা সম্ভব
হবে কি না তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে ।
অপরদিকে একাধিক নদী এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপ সহ নদীটির একটি বিনুনিযুক্ত বৈশিষ্ট রয়েছে,
যা হাজার হাজার বছর ধরে গড়ে উঠেছে। উপরে ব্লগার রাজিব নুরের মন্তব্যের ( ২০ নং )
প্রেক্ষিতে প্রতিউত্তরে আমার নীজের চোখে দেখা সুমেশ্বরী নদীর ভাঙ্গা গড়ার কিছু কথা
আমি তুলে ধরেছি । তাই প্রস্তাবিত প্রকল্পে তিস্তাকে একটি সংকীর্ণ একক চ্যানেলে রাখার
বিষয়টি বিরোপ প্রভাব ফেলতে পারে । বর্তমানে, তিস্তা নদীর তলটি ৩ হতে ৬ কিলোমিটার প্রশস্ত ,
কিন্তু প্রকল্প পরিকল্পনাগুলি নদীটির তলদেশকে ১ কিলোমিটার চ্যানেলে রাখতে বাধ্য করবে।
তাই এটা নিয়ে বিষদ ও ব্যপক গবেষনা ও জরীপের প্রয়োজন আছে ।
তারা যদি ড্রেজিংয়ের পর বর্ষার পানি নদীতে ধরে রাখতে চায়, তাহলে তিস্তার ভাটির অংশে একটি
কাঠামো যেমন পুকুর, জলাধার ও খাল তৈরি করতে হবে। তাই প্রকল্পটি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পুর্বে
আমাদের আরও জানতে হবে তারা কী নির্মাণের পরিকল্পনা করছে এবং কীভাবে তারা তা করতে
যাচ্ছে ।
ঋণের ফাঁদে পড়ার ভয় রয়েছে বলেও অনেকে মনে করেন ।
বাংলাদেশ সরকার এগিয়ে যাওয়ার আগে চীনের শর্তাবলী সাবধানতার সাথে মূল্যায়ন প্রয়োজন মর্মে
অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন । উদ্বেগের কারণ হলো চীনা আর্থিক সহায়তার কোন কঠোর শর্তাবলী
অর্থনৈতিক এবং ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে।
আন্তঃসীমান্ত নদীর রাজনীতির প্রভাব নিয়েও ভাবার অবকাশ রযেছে ।
আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর ওপর বাংলাদেশের অধিকার রক্ষা করতে হবে। নিঃসন্দেহে বলা যায় যে
তিস্তাসহ ভাগ করা নদী নিয়ে বাংলাদেশের ন্যায্য দাবির প্রতি ভারত সংবেদনশীল নয়। তারা রাষ্ট্রীয়
পর্যায়ে আপত্তি জানিয়ে তিস্তার পানি বণ্টনের সিদ্ধান্ত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ঝুলিয়ে রেখেছে।
তিস্তা অঞ্চলটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ, এবং ভারতে অনেকেই এই প্রকল্পটিকে তার আঞ্চলিক
প্রতিদ্বন্দ্বীর উপর চীনের সুবিধা অর্জনের সুযোগ হিসেবে দেখছে।
এটি এমন একটি সময়ে ঘটছে যখন ভারত এবং চীনের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে ।
তাই প্রকল্পটি নিয়ে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে বিষদ আলোচনা ও চিন্তাভাবনার অবকাশ রয়েছে ।
যাহোক, যে কোন মুল্যে দেশ ও পরিবেশের স্বার্থকে সর্বোচ্চ মুল্য দিয়ে কাল বিলম্ব না করে
তিস্তার পানি প্রবাহের সুষ্টু সমাধান একান্ত প্রয়োজন ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
২৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০৭
বংগল কক বলেছেন:
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মুল্যবান তথ্যসমৃদ্ধ ভিডিউ লিংকটি সংযুক্ত করার জন্য ধন্যবাদ ।
তিস্তা রেসটোরেশন প্রকল্প প্রস্তবনা সম্পর্কে বিষদভাবে জানা
গেল । বিষযটি সম্পর্কে উপরে ব্লগার ঠাকুরমাহমুদের মন্তব্যের
প্রতি উত্তরে বেশ কিছু কথা বলা হয়েছে । কথাগুলি এই
ভিডিউ লিংকের কথামালার সাথে অনেকটা প্রাসঙ্গিক ।
তাই দয়া করে উপরে থাকা আমার প্রতিমন্তব্যটি একটু
দেখে নেয়ার অনুরোধ থাকল ।
আমি নিশ্চিত বিষয়টির উপর আপনার জানাশুনা আমার থেকে
অনেক বেশী । তাই এই গুরুত্বপুর্ণ বিষয়টি নিয়ে আপনি
যদি একটি পৃথক পোষ্ট দেন তাহলে এটি নিয়ে তথ্যপুর্ণ
অলোচনার ব্যকতা বাড়বে , একটি সঠিক ও গ্রহণযোগ্য
প্রকল্পের রূপরেখা বেড়িয়ে আসতে পারে । যে কোন
প্রকল্পের উপর গঠণমুলক আলোচনা সর্বদাই
সুফলদায়ক ।
শুভেচ্ছা রইল
২৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার উৎসর্গ !!
ভাবনায় ভালোলাগা ভাইয়া।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:২৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
উৎসর্গ চমৎকার পোষ্ট ভালা লাগায় ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল
২৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৫
অন্তরন্তর বলেছেন: পোস্ট এবং উৎসর্গ চমৎকার। ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৪:৩২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পোস্ট এবং উৎসর্গ চমৎকার অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
আপনার ব্লগবাড়ী হতে ঘুরে আসলাম ।
চমৎকার পোষ্ট গুলি কেন সরিয়ে
নিয়েছেন? ফিরিয়ে আনুন সেগুলি।
২৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৩
শায়মা বলেছেন: এত কঠিন কিছু জানিনা ভাইয়া।
শুধু জানি এ লেখায় তিস্তা পাড়ের কাব্য দেখেছি।
সেকেন্ড ছবিতে যে সজীবনতা
শেষ ছবিটাতে যেন হাহাকার।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৬:১১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
তিস্তাপাড়ে পদধুলি পড়ায় ধন্য হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল
২৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৬:২৪
সাসুম বলেছেন: তিস্তার ব্যাপার টা এতটা ইজি না, রিসেন্টলি চায়না কেন তিস্তাকে আগ্রহ দেখাচ্ছে সেটা সহ চায়না, ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশের পানি সমস্যা নিয়ে একটা লিখেছিলাম। আপনার জন্য পড়তে দিলাম। পড়ে দেখতে পারেন ভাইজান।
Water: Asia’s New Battleground
পানি, নাম শুনলেই আমাদের মাথায় আসে টিউবওয়েল, নদী, খাল বিল আর সমুদ্রের ফ্রি পানি। আজ থেকে ক বছর আগেও আমাদের দেশের মানুষ চিন্তা করতে পারত না পানি টাকা দিয়ে কিনতে হবে বা পানির জন্য টাকা খরচ করতে হবে। না আমাদের দেশের জনগন না আমাদের দেশের সরকার পাত্তা দিয়েছে পানি নিয়ে। একেতো জাতি হিসেবে আমরা অসভ্য এরপর আমরা অজ্ঞ ও মূর্খ, ফলে পানির মত জীবনের জন্য অপরিহার্য্য বিষয় নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর দরকার নেই বললেই চলে।
জেনারেল সায়েন্স এ পানির সংকেত H2O ( হাইড্রোজেন আর অক্সিজেন), আর রাজনীতিতে পানির সংকেত হল H2OP4। এখানে P4 হল- Pollution, Power, Politics & Profit।
যারা ইতিহাস পড়েছেন বা জেনেছেন, তারা একটা বিষয় জানার কথা। চীন কেন তিব্বত, ইনার মঙ্গোলিয়া এবং জিনজিয়াং প্রভিন্স দখল করে নিলো। এই তিনটা প্রভিন্স এখনো চীনের অটোনোমাস প্রভিন্স।
১৯৪৭ সালে দখল করে ইনার মংগোলিয়া।
১৯৪৯ সালের ১৩ অক্টোবর চীন দখল করে জিনজিয়াং।
১৯৫০ সালে চীন শুরু করে তিব্বত দখলের অভিযান এবং ১৯৫১ তে দখল সমাপ্ত করে।
কেন চীনের তার চারপাশে এত দেশ থাকতে এই ৩ টা অঞ্চল দখল করতে ইচ্ছে করেছিল??? কেন সব বাদ দিয়ে চীন এই ৩ টা অঞ্চল কে ধরে রাখার জন্য চীন ৩য় বিশ্ব যুদ্ধ লাগাতেও রাজি??
কারন এক্টাই- সুপেয় পানি। আমার আজকের আলোচনায় ইনার মংগোলিয়া বা জিনজিয়াং না , বরং তিব্বত কে প্রাধান্য দেব বেশি কারন এই তিব্বত ই আমাদের বাংলাদেশের প্রাণ টিকিয়ে রেখেছে এবং এটা এই মুহুর্তে হুমকির মুখে।
অল্রেডি চীনের হাজার হাজার হাইড্রো ইলেক্ট্রিক প্রজেক্ট তার আশে পাশের দেশ থাইল্যান্ড, লাওস, ক্যাম্বোডিয়া, নেপাল, কাজাখাস্তান আর নর্থ কোরিয়া কে শুকিয়ে ফেলছে স্রেফ আর অন্যদিকে বন্যাতে ভাসিয়ে ফেলছে সময় সময়।
সোর্সঃ
চায়নার মেকং নদীর বাধের কারনে সৃষ্ট বন্যা
মেকং নদীর বাধঃ সাউথ এশিয়ার দুঃখ
তবে খেলা সবচে ভয়াবহ বাকি ভারত আর বাংলাদেশ এর জন্য।
তিব্বত প্ল্যাটিউ এই দুনিয়ার মিস্টি পানির সব চেয়ে বড় আধার এবং এই দুনিয়ার অর্ধেক মানুষ এই তিব্বত প্লাটিউ এর উপর নির্ভর করে জীবনের জন্য মানে পানির জন্য। তিব্বত কন্ট্রোল করা মানে অর্ধেক দুনিয়া কন্ট্রোল করা- এটা বুঝে গেছিল চীন সেই ৫০ এর দশকে।
সেই থেকে শুরু চীনের পানির উপর নিয়ন্ত্রন করার সূদীর্ঘ ইতিহাস। এই মুহুর্তে দুনিয়াতে ১ লক্ষের মত পানির বাধ আছে যেগুলা দিয়ে বিশাল আকারে ওয়াটার রিসোর্স কন্ট্রোল করা হয় এবং অর্ধেক ই চীনে, প্রায় ৫৭,০০০ ।
সোর্সঃ
Click This Link target='_blank' >তিব্বত প্লাটিউ এর পানির আর চায়নার ভূ রাজনীতি
তিব্বতের পানি ও এশিয়ার প্রাণ
রিসেন্টলি চীন তার ২০২১-২০২৫ সালের ৫ বছর মেয়াদী এক প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে , এখানে বেশ কিছু বিশাল আকারের বাধ বানানো হবে এবং এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বাধ টা হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র নদী তথা Yarlung Tsangpo নদীর উপর বানানো এই দুনিয়ার সবচে বড় ড্যাম ও হাইড্রোইলেক্ট্রিক প্রজেক্ট।
সোর্সঃ চায়নার যে বাধের কাছে থ্রি গর্জেস বাধ ও শিশু তূল্য
এই ড্যাম এত বড় ও ব্যাপক যে এই মুহুর্তে দুনিয়ার সবচে বড় ড্যাম চীনের থ্রি জর্জেস ড্যাম কেও লিলিপুট বলে মনে হবে এর কাছে। এখানে বেশিনা মাত্র ৬০ গিগাওয়াট ইলেক্ট্রিসিটি উতপাদনের লক্ষ্য হাতে নিয়েছে চীন । এবং এই ড্যাম টা নির্মিত হচ্ছে ভারত ও বাংলাদেশের প্রাণ হিসেবে বিবেচিত মিঠা পানির সবচে বড় সোর্স ব্রহ্মপুত্রের উপর সরাসরি। অল্রেডী ব্রহ্মপুত্রের উপর বিভিন্ন শাখানদীতে ২৪ টা হাইড্রোইলেক্ট্রিক প্লান্ট ও ড্যাম আছে চীনে বাট এই প্রজেক্ট সকল কিছুকে ছাড়িয়ে যাবে।
এর আগের প্রজেক্ট গুলো যদিও ভারতের অরুনাচল আর আসামে হুট করে বন্যার উপর দিয়ে গেছে তবে এবার আরো ভয়াবহ বিপদ আছে।
২০১৮ সালে ব্রহ্মপুত্রের মুল উৎস সিয়াং নদী যেখানে ভারতে প্রবেশ করেছে সেই মূল শাখার পানি ময়লা এবং আবর্জনাতে ভরে উঠে এবং পুরা অববাহিকায় এই দূষিত পানিতে ভরে যায়। চীন বলে আসছে সাউথওয়েস্ট তিব্বতে ভূমিকম্পের ফলে এই অবস্থা তবে আসলে সেই ভূমিকম্পের আগেই দুনিয়ার সবচে স্বাদু ও স্বচ্ছ পানির নদী সিয়াং এর পানি কুচকুচে কালো হয়ে উঠার পেছনে চীনের ওয়াটার হেজেমনি দায়ী যাতে করে ভারত কে চাপে ফেলা যায়।
সোর্সঃ
গোপনে পানি নিয়ে ভারতের সাথে যুদ্ধ বাধাচ্ছে চীন
যাই হোক, নতুন এই ৬০ গিগা ওয়াটের মেগা হাইড্রোইলেক্ট্রিক ড্যাম যতটা না ভারতের ক্ষতি করবে তার চেয়ে বেশি ক্ষতি করবে চীনের বন্ধু হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশের কারন ভারতের গংগা, তিস্তা পানি কন্ট্রোল এর পর যে নদী বাংলাদেশের ব্লাডলাইন হিসেবে টিকে আছে সেই ব্রহ্মপুত্রের উপর আঘাত আসছে। ব্রহ্মপুত্র বাংলাদেশের সিংগেল লার্জেস্ট ফ্রেশ ওয়াটার সোর্স। এই সোর্সের উপর আঘাত মানে মহামারি, খাদ্য সাপ্লাই চেইন আর উতপাদনে আঘাত এবং সর্বোপরি এই চেইন ইফেক্ট ইন্ডিয়াতে বাংলাদেশি মাইগ্রেশান আরো বাড়াবে। আপনাদের যাদের জানার কথা একটাই কথা বলি, এই যে ভারত গত ক বছর ধরে বর্ডারে কড়াকড়ি আর এন আর সি করছে বাঙ্গাল খেদাতে এটার আসল কারন ক্লাইমেট রিফিউজি। বাংলাদেশ এখনও বুঝছেনা বাট ভারত বুঝছে অল্রেডি লোনা পানি উঠলে আর মিস্টি পানি না থাকলে মানুষ ক্লাইমেট রিফিউজি হয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতের দিকে যাবে আর সেজন্য আজকাল বর্ডার আর নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভারতের এত কড়াকড়ি।
ভারতের সাথে গংগা চুক্তির পরেও বাংলাদেশ শুকনো মৌসুমে পানি পায়না। বন্যায় মৌসুমে পানি দিয়ে মারে।
সেইম কাজ তিস্তায়। সবাই খালি মমতা কে দোষ দেয়, আসল দোষ মমতার ও না, আসল কাহিনী লুকিয়ে আছে আঞ্চলিক ও কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছা ও ক্ষমতায়। সিকিম কে আমরা কেউ গোনায় ই ধরছিনা, অথচ সিকিম এই তিস্তা ইসুতে বড় খেলোয়ার। সিকিম, আর পশ্চিম্বংগের মিলিত চেষ্টা ছাড়া এই চুক্তি কখনও পসিবল না।
মনু ও মুহুরি, খোয়াই, গোমতী, ধরলা ও দুধকুমার এই ৬ টি নদী নিয়ে বেশ কিছুদিন আলোচনা হলেও কোন সমাধান আসেনি। অন্যদিকে মনিপুরে টিপাইমুখ রাজ্যে বাধ নির্মানে যমুনা নদীর উপর বিরূপ প্রভাব ও বাংলাদেশ বিবেচনায় নেয় নাই। বাংলাদেশ সরকার আর জনগনের মাথাব্যাথাই নাই।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ঠিকই মানবিক দিক দেখিয়ে ফেনী নদী থেকে ত্রিপুরার সাবরুম শহরে পানির সংকট মোকাবেলায় ১.৮২ কিউসেক পানি উত্তোলনের ব্যাপারে অনুমতি দিয়ে রেখেছে।
আসলে সবকিছু মূলে লুকিয়ে আছে পলিটিকাল ইস্যু। বাংলাদেশ ভারতের সাথে এমন এক পলিটিকাল ঝামেলায় জড়িয়ে আছে বর্তমান ভারত বান্ধব সরকার থাকার পরেও দেশের জন্য অতীব দরকারী পানি চুক্তি করতে পারছিনা আমরা। আপনার কি মনে হয়, এন্টি ভারত বিরোধী কোন সরকার এলে এই চুক্তি হবে?
এই মুহুর্তে চীন ব্রহ্মপুত্র থেকে আমাদের মনোযোগ সরিয়ে নিজেকে ত্রাতা হিসেবে জাহির করার জন্য আমাদের জন্য তিস্তা প্রকল্প নিয়ে আসতে চাচ্ছে। আমরা যাতে পানি ধরে রাখতে পারি। এটা একদিক থেকে ভারত কে শিক্ষা দেয়া হবে অন্য দিকে নতুন ব্রহ্মপুত্রের উপর বাধ দেয়া নিয়ে কিছুই বলতে পারব না আমরা কারন তিস্তায় হেল্প করছে।
এইসব জিওপলিটিকাল ইস্যু ও দেশের সার্থ রক্ষায় আমাদের দরকার ছিল দেশপ্রেমিক পলিটিকাল সরকার। যাদের কাছে দেশ আর দশের ইন্টারেস্ট সবার আগে। এই যায়গাটাতেই মার খেয়ে গেলাম আমরা। আমাদের দরকার ছিল এমন সরকার, যারা ভারতের কাছ থেকে আমাদের পানির হিস্যা পই পই করে আদায় করে নিবে সামারে, আর বন্যায় গেইট খুলে আমাদের যাতে মারতে না পারে সে জন্য নিজেদের প্রান্তে ব্যবস্থা করবে। আমাদের দরকার ছিল এমন সরকার, যে সরকার নিজের সার্থের জন্য চীনের মুখের উপর দাঁড়িয়ে কথা বলবে যাতে করে ব্রহ্মপুত্রে বাধ দিয়ে আমাদের ফ্রেশওয়াটার এর সবচে বড় সোর্স কে আটকাতে না পারে।
এক আফ্রিকার ছোট দেশ সুদান , ইরিত্রিয়া - নীল নদের উপর ইথিউপিয়ার ড্যাম নির্মান নিয়ে সারা দুনিয়ার আলোড়ন করে ফেলছে। মিশর লিটারালি ফ্রান্স থেকে মিরেজ আর রাফায়েল অর্ডার করছে শয়ে শয়ে যাতে করে ইথিওপিয়ার চোখের উপর চোখ রেখে বাধ নির্মানের বিরুদ্ধে দাড়াতে পারে । এই মুহুর্তে আফ্রিকার জিওপলিটিকাল অন্যতম বড় ইস্যু এই উজানের দেশ কে মেরে ইথিউপিয়ার ড্যাম নির্মান। অসভ্য, অজ্ঞ, নিরক্ষর ও কালো বলে যে আফ্রিকান দের আমরা হেলা করি, অপমান করি, অবহেলা করি, তারাও বুঝে গেছে- ফ্রেশ ওয়াটার না থাকলে মরন।
দুনিয়ার সব সভ্য দেশ আরো শত হাজার বছর ধরেই জানে, ফ্রেশ ওয়াটার সোনার চেয়েও দামি। টাকা পয়সা ইকোনমি জিডিপি দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি থাক্লেও ফ্রেশ ওয়াটার না থাকলে সব বরবাদ। বড় বড় বিল্ডীং, ইমারত, ফ্লাইওভার, সেতু , উন্নয়ন সব বৃথা যদি পানি না থাকে। কারন-
পানিই জীবন। পানিতেই উৎপত্তি জীবনের, পানিতেই বেচে থাকা।
হাহুতাশ আর আফসোস করে উটের মত মুখ বুঝে মাটিতে কল্লা গোজা ছাড়া আমাদের আর উপায় নেই আপাতত।
বিঃদ্রঃ ভারতের দিল্লী বেইজড থিংক ট্যাংক সেন্টার ফর পলিসি রিসার্স এর প্রফেসর ও রবার্ট বোশ একাডেমি অফ বার্লিন এর ফেলো ব্রহ্মা চেলানি এই বিষয়ে একজন লিজেন্ডারি লিখক। গত কয়েক দশক ধরে একটানা লিখে যাচ্ছেন, প্রতিবাদ জানিয়ে যাচ্ছেন পানি নিয়ে এই অনাচার এর। উনার অনেক গুলা বেস্ট সেলার আলোচিত বই আছে- Water: Asia’s new battleground , Water, peace, and war: confronting the global water crisis এর মধ্যে অন্যতম। এশিয়া অঞ্চলে পানি নিয়ে গবেষনার জন্য এই ভদ্রলোক প্রবাদতূল্য। প্রায় কলাম লিখেন ব্লুম্বার্গ, প্রজেক্ট সিন্ডিকেট এবং মাঝে মাঝে প্রথম আলোতেও।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৬:১৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
দীর্ঘ মন্তব্যটি পাঠ করলাম, পর্যালোচনামুলক আলোচনা ও তথ্য পরিবেশনের জন্য ধন্যবাদ ।
সাথে থাকা লিংকগুলি অনুসরন করতে গিয়ে দেখা গেল অনেক লিংক কাজ করছেনা ।
যাহোক পরিবেশিত তথ্য হতে অনেক গুরুত্বপুর্ণ বিষয় জানা হলো।
অপনার কথাই সঠিক, পানির সাথে জড়িত আছে Pollution, Power, Politics & Profit ।
বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত অভিন্ন নদীর মধ্যে প্রধানতম নদীগুলির উজানে
চীনা কর্মকান্ড সত্যিই বাংলাদেশের জন্য খুবই উদ্বেগজনক ও ক্ষতিকারক , যার বিরোপ
প্রভাব বলতে গেলে এখন হতেই শুরু হয়েছে । তাই শুধু সচেতন হলে হবেনা , বিরোপতা
পরিহারের জন্য সর্বাত্তক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে দেশের নীতি নির্ধারক , শাসক
ও আপামর জনসাধারনকেই । সকলকেই ।এক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে জীবন মরণের
এই সংগ্রামে । তবে দেশের নীতি নির্ধারক , পানি বিশেষজ্ঞ ও শাসককুলকেই
অগ্রনী ভুমিকা পালন করতে হবে সর্বাজ্ঞে।
এ এলাকার ভুরাজনীতিতে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের Strength and weakness গুলি
বিবেচনায় নিয়ে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ও বাস্তবায়নযোগ্য পন্থাগুলি নিয়ে সামাজিক
যোগাযোগের মাধ্যমে আলোচনা সমালোচনা হলে আশা করি দেশের নীতি
নির্ধারকদের জন্য পরিস্কার দিক নির্দেশনামুলক কর্মপন্থার দিশা পাওয়া যাবে ।
উল্লেখ্য অভিন্ন নদীর পানি প্রবাহের সমস্যা ও এর স্বরূপ নিয়ে প্রায় সকলই
কম বেশী অবহিত ,এখন প্রয়োজন দেশের স্বার্থ রক্ষাকারী বাস্তবায়নযোগ্য
সুনির্দিষ্ট স্বল্প, মধ্যম ও দির্ঘমেয়াদী কর্মপন্থা নির্ধারনের, এবং নিজস্ব উৎস হতে
কর্মসুচী বাস্তবায়নের জন্য অর্থায়নের ব্যবস্থা গ্রহন করে পরনির্ভরশীলতা
পরিহার করা ।
৩০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২৪
শায়মা বলেছেন: লেখক বলেছেন:
তিস্তাপাড়ে পদধুলি পড়ায় ধন্য হলাম ।
শুভেচ্ছা রই
হা হা ভাইয়ামনি সোনার খনি
রাগ করেছো মনে হয়!!!!!!!!
হা হা হা কিন্তু কমেন্টের জবাব পড়ে হাসতে হাসতে মরলাম আমি।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৬:১৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
না না হাসতে হাসতে মরলে চলবেনা,
সামুকে তোমার অনেক কিছু দেয়ার আছে ।
আমরাতো সে আশাতেই তোমার পানির তল
ও উপরের বাগানবাড়ীর দিকে তাকিয়ে থাকি ।
৩১| ১০ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৮:৩৬
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া খায়রুলভাইয়ার পোস্টে দেখলাম তোমার ব্যাকপেইন আরও বেড়েছে।
তুমি কি সি আর পি তে ফিজিও থেরাপী করেছিলে?
আমার তো মনে হয় ফিজিওথেরাপী আর্থারাইটিস বা সেরো নেগেটিভ আরথারাইটিসের জন্য খুবই ভালো।
যদিও নিয়ম করে করতে হবে এবং কিছু লাইফস্টাইল খাদ্যাভাস আর ওঠা চলা বসার স্টাইল মেইনটেইন করতে হবে।
১০ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:১৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এসে কুশল জানতে চাওয়ার পাশাপাশি আরো কিছু মুল্যবান উপদেশ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
ডাক্তারের প্রেসকৃপশন মত পেইন কিলার সেবনে ও লেপনে ব্যাকপেইন এর অনেকটা উপসম হয়েছে ।
মাঝে অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে গিয়েছিল , বলতে গেলে শয্যাসায়ী ছিলাম ।
সি আর পিতে থেরাপী নেয়া হয়নি । আমি এখন ইউকেতে আছি । এখানকার থেরাপী সেন্টারের তত্বাবধানে
নিয়মিত থেরাপী নিচ্ছি । ঘরেও থেরাপী নিচ্ছি ,ঘরে ডাক্তার মেয়ে থাকায় নিয়ম আরো করাকরি, ফাকি দেয়ার
উপায় নাই । আশার বাণী হলো ডাক্তার বলেছেন আর্থারাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষন এখন নেই ।
তবে এটা আমার বেশ পুরানো ব্যথা । মাঝে মধ্যে কোন ব্যথা থাকেনা , আবার মাঝে মাঝে শুরু হয় আমারি
খামেয়ালীর কারণে । অনিচ্ছাকৃতভাবেই নিয়ম ভেঙ্গে ফেলি, পরে মঝা টের পাই । কিভাবে যে নিয়ম ভেঙ্গে
ফেলি নীজেও তা টের পাইনা । যথা নিয়মমাফিক একটু হাটাহাটির জন্য বাইরে গিয়ে ঘরের কাছে
৩/৪ মিনিটের হাটা পথের দুরত্বে থাকা সুপার স্টোরে ঢুকে পড়ি স্রেফ একটি তাজা ফুলের তোরা কেনার জন্য।
ফল কিনে ষ্টোরের ভিতরে একটু ডানে বামে ঘুরে দেখার ইচ্ছা সামাল দিতে পারিনা। ফলের সেলফে সিঁঁদুর
পাকা ব্রাজিলিয়াম আম দেখলে ২/৪টা না নিয়ে থাকতে পারিনা। নাদুস নুদুশ পিয়ার , ইজি পিল অরেঞ্জ , আর
ছেলে মেয়ে ও গিন্নীর জন্য গুটা তিনেক পিজা না নিয়ে কি ঘরে ফিরা যায় । তখন মনে হয় এগুলির ওজন এমন
কি আর হবে । কিন্তু দাম দিয়ে কিনে ব্যগে ঝুলিয়ে ঘরে ফেরার পরে টের পাওয়া যায় যাতনা কাকে বলে ।
এছাড়া সোফায় হেলান দিয়ে লেপটপ কোলে নিয়ে লেখালেখি, সংবাদ পাঠ ও সামুতে বিচরণের জন্য
বসলে ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে যায়, কোমরে ব্যথা শুরু হলে পরে সম্বিত ফিরে পাই। লাইফ স্টাইল
মেইনটেইন বড়ই কঠীন ব্যপার । দুপুর ২টায় বসেছি লেপটপ কুলে নিয়ে, মাঝে নাওয়া,খাওয়া ও
প্রার্থনা করা ছাড়া বিরাম নেই। এই মন্তব্য যখন লিখছি তখন এখানে রাত ৫টা ( বাংলাদেশ
সময় সকাল ১১ট) । এই মন্তব্য লেখা শেষে পোষ্ট করে ,ফজরের নামাজ আদায় করে নিদ্রায় যাবো ।
করুনা কাল শুরুর পরে ঘরে বসে কাজের অভ্যাসের কারণে এটাই এখন আমার লাইফ স্টাইল।
যাহোক, সুস্থ থাকার জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী ।
শুভ কামনা রইল
৩২| ১১ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৮:১৬
সোহানী বলেছেন: খায়রুল ভাই এর পোস্টে করা মন্তব্য দেখে এখানে লিখলাম। আশা করি সুস্থ আছেন।
আপনার বই এর খবর কি? কবে আসবে?
২১ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৩:০৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বিলম্বিত উত্তর দানের জন্য দুঃখিত ।
অসুস্থতার জন্য সামুতে নিয়মিত ছিলাম না বলে
আপনার মন্তব্যটি দেখা হয়ে উঠেনি ।
সামুতে থাকা আমার কিছু কবিতা ও অন্যান্য লেখা নিয়ে
গত সেপ্টেম্বর ২০২১ এ আমার দুটি বই বেড়িয়েছে । তবে
তা বই মেলায় দেয়া হয়ে উঠেনি ।
বই গুলিতে নতুনত্য কিছু নেই , সবই আপনাদের পাঠ করা ।
লেখাগুলি আপাতত সংরক্ষন করে রাখাটাই মুল লক্ষ্য ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
৩৩| ২১ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:০১
রোকসানা লেইস বলেছেন: লেখাটা আগের অথচ সুন্দর লেখাটা আমার দেখা হয়নি। নদী নিয়ে কাব্য মনে দাগ কাটার মতন
প্রমত্তা তিস্তার গল্প শুনে বড় হওয়া। তার সাথে দেখা হয়েছিল পা ভিজিয়ে হেঁটে ছিলাম বালু ভর্তি পরিস্কার জলের ধারায়। হঠাৎ যখন জল বাড়তে থাকল তখন অনুভব করেছিলাম প্রবল স্রোত।
সব নদীগুলোকে মানুষ আপনমনে বয়ে যেতে না দিয়ে বেঁধে ফেলে এলোমেলো করে দিচ্ছে পৃথিবীর মানচিত্র। নদীর প্রবাহমানতা বদলের সাথে বাড়ছে মানুষের র্দূভোগ।
রীচ মন্তব্য আলোচনা থেকে অনেক কিছু জানা গেল নদী বিষয়ক অনেক কথা।
কিছু দিন আগে সোমেশ্বরী নদীর উপর ভেসেছিলাম। লেখার ইচ্ছা আছে হয়ে উঠছে না।
বসন্ত উপভোগ করে সুস্থ থাকুন
২৭ শে মার্চ, ২০২২ ভোর ৬:১২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বিলম্বিত উত্তর দানের জন্য দুঃখিত ।
যতার্থই বলেছেন সব নদীগুলোকে মানুষ আপনমনে
বয়ে যেতে না দিয়ে বেঁধে ফেলে এলোমেলো করে
দিচ্ছে পৃথিবীর মানচিত্র। নদীর প্রবাহমানতা বদলের
সাথে বাড়ছে মানুষের র্দূভোগ।
আপনার দেখা এককালের সেই
খরস্রোতা সুমেশ্বরী এখন শুস্ক মৌসুমে বালুর
মরভুমিতে পরিনত হয়েছে ।
এই নদীবক্ষের বালিতে দুর্লভ, মূল্যবান এবং
কৌশলগত মৌল ও খনিজের উপস্থিতির
সন্ধান পাওয়া গেছে । সফলভাবে মুল্যবান
খনিজ আহরণ করতে পারলে সেটাও হতে
পারে একটি মুল্যবান সম্পদ ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
৩৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৮
জুন বলেছেন: ভয়ংকর তিস্তা এখন শুকিয়ে যাচ্ছে মমতার মমতায়। আশাকরি তিস্তা আবার তার রুদ্র রূপে ফিরে আসবে এই বাংলায় ডাঃ এম এ আলী ভাই। অনেক সুন্দর একটি লেখায় অনেক ভালো লাগা রইলো।+
১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৫:৫৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
একেবারে সঠিক কথা বলেছেন
ভয়ংকর তিস্তা এখন শুকিয়ে যাচ্ছে মমতার মমতায়
এর পরেও আমরা তাকে বিবিধভাবে মমতা প্রদর্শন
করেই চলেছি ।
শুভেচ্ছা রইল
৩৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৭:০০
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: তিস্তার পারে বসার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। আপনার লেখা পড়ে নস্টালজিক হয়ে পড়লাম।
পোস্টে অসম্ভব ভালো লাগা।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৫৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
তিস্তা পারে বসার স্মৃতি তো নস্টালজিক করে তুলবেই ।
আবেগি চোখ তার বুকের উপর, সেতো তিস্তা পারেরই
আদমী।এমনি করে দেশর নদী মাটি গড়ে মানুষের দেহ,
তাঁর চোখে মুখে শরীরের গাথুনিতে দেশের টান; এমনি
করেই আমরা থাকি দেশের ভিতরে,দেশ থাকে আমাদের
ভিতরে। তার ইতিহাস আামাদের মনের মাটি, জীবনী শক্তি
তার ভূগোল দেহের কাঠামো। আমাদের নীজের ও দেশের
দেহকাঠামোর সাথে অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত তিস্তাকে বাঁচিয়ে
রাখা ছাড়া বিকল্প আর কিছু নেই ।
পোষ্ট ভাল লাগায় ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল
৩৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:১৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তিস্তা দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি। আপনার পোষ্টে এসে আমার এসংক্রান্ত জ্ঞানে আরো কিছু সংযোজন হলো।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৩৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এ পোষ্টে এসে তিস্তা বিষয়ক জ্ঞানে আরো কিছু
সংযোজন হয়েছে জেনে প্রীত হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল
৩৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:০১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নতুন পরিচয় আপনাকে কবি
রূপে পেয়ে ভালো লাগলো।
এত বিরতী কেন লেখায়,?
নিয়মিত হবার অনুরোধ
রইলো।
২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:১৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অসুস্থতার কারণে সামুতে বিচরণ কম বলে
প্রতি উত্তর দানে বিলম্ব হল ।
নীজকে আমি একজন কবি বলে ভাবিনি এখনো,
কবিতার মত দেখায় বলে অনেক লেখাই লেখি,
কবিতার সত্যিকারের সঙ্ঘায় মধ্যে রেখে
কবিতা লেখা খুবই কঠিন একটি কর্ম ।
তাই কবিতার মত দেখায় অনেক লেখাই
লেখি, আবার তা মুছেও ফেলি ।
বিষয়টি নিয়ে কাব্যকারে একটি লেখাও
পোষ্ট করা আছে আমার ব্লগে ,লিংকে গিয়ে
দেখে আসতে পারেন -
কবিতার জন্ম মৃত্যু
আরো একটুখানি সুস্থতা বোধ করলে
সামুতে নিয়মিত থাকার জন্য চেষ্টা করব ।
শুভেচ্ছা রইল
আপনার মন্তব্য লিখুন
৩৮| ১৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:৩৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আস সালামু আলাইকুম ভাইয়া !
আশা করছি ভালো আছেন, ( যদিও আমি নিজেই ব্লগ ছাড়া) অনেকদিন আপনার লেখা পাচ্ছি না।
শুভ কামনা।
১৭ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৫৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বিলম্বিত উত্তর দানের জন্য দুঃখিত ।
বেশ কিছুদিন হতে আমি খুবই অসুস্থ,
একেবারে শয্যাসায়ী , লিখতে ও পড়তে
খুবই কষ্ট হয় বলে সামুতে নিয়মিত
বিচরন করতে পারছিনা । প্রিয় লেখকদের
পোষ্ট পাঠ করতে পারছিনা বলে খুবই
মনোকষ্টে আছি ।
দোয়া করবেন আমি যেন সুস্থ হয়ে
প্রিয় সামুতে স্বচ্ছন্দে বিচরন করতে
পারি ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
৩৯| ২৯ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:১৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ডঃ এম এ আলী ভাই, সালাম নেবেন। আপনি কেমন আছেন? বেশ কিছু দিন যাবত আপনার উপস্থিতি পাইনি দেখে আপনার ব্লগে এসে খোঁজ করছি। তাছাড়া আমি নিজেও বেশ অনিয়মিত, কিছু ঝামেলার কারণে গত কয়েক মাস বারংবার দেশের বাইরে যেতে হচ্ছে। আপাতত ঝামেলা শেষ হয়েছে হয়তোবা, আবার ডাক পড়লে যেতে হবে।
আপনার জন্য দোয়া রইলো।
১৭ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:০২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সুপ্রিয় ঠাকুরমাহমুদ ভাই আপনিউ আমার ছালাম নিবেন ।
বিলম্বিত উত্তর দানের জন্য দুঃখিত ।
বেশ কিছুদিন হতে আমি খুবই অসুস্থ,
একেবারে শয্যাসায়ী , চোখের দৃষ্টিতেও
বেশ সমস্যা হচ্ছে , লিখতে ও পড়তে
খুবই কষ্ট হয় বলে সামুতে নিয়মিত
বিচরন করতে পারছিনা ,সামুতে বয়োবৃদ্ধদের
মাঝে আমিউ একজন । জানিনা সামুতে পুর্বের
মত করে ফিরে আসতে পারব কিনা ।
প্রিয় লেখকদের পোষ্ট পাঠ করতে পারছিনা
বলে খুবই মনোকষ্টে আছি ।
দোয়া করবেন আমি যেন সুস্থ হয়ে
প্রিয় সামুতে স্বচ্ছন্দে বিচরন করতে
পারি ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
৪০| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:১২
আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার কবিতা।
তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র-র পানির ঢল তিস্তাপাড় তথা ঐ এলাকার মানুষের জন্য কখনও কখনও অভিশাপের মতো। এবার ব্ন্যায় তাদের ত্রাহী ত্রাহী অবস্তা। দেশের অন্য অঞ্চলে দারিদ্র্য কমলেও সেখানে উন্নতি খুবই ধীর গতির।
সরকারগুলোর লং টার্ম পরিকল্পনা নিয়ে এগুনো উচিত।
১৬ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৫:২৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বিলম্বিত উত্তর দানের জন্য দুঃখিত ।
বেশ কিছুদিন হতে খুবই অসুস্থ্য ছিলাম বলে
ব্লগে নিয়মিত হতে পারিনি । এখন অনেকটা
সুস্থ বোধ করায় ব্লগে আসতে পারছি ।
ঠিকই বলেছেন। সরকারগুলোর লং টার্ম পরিকল্পনা নিয়ে
এগুনো উচিত। আশা করা যায় হাছিনা মোদি বৈঠকে
তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি নিয়ে কিছুটা অগ্রগতি হতে পারে,
মমতার সুর শুনেছি কিছুটা নরম হয়েছে , সামনে দেশে
ইলেকশন এর সময় ঘনিয়ে আসছে , কোন স্ট্যান্টবাজী
না হলে হয় ।
৪১| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৫৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ফি আমানিল্লাহ ভাইয়া ! খুব দ্রুত সুস্থ্য হয়ে আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসুন নিজস্বতায়।
অনেক অনেক শুভ কামনা।
১৬ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৫:২৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বিলম্বিত উত্তর দানের জন্য দুঃখিত ।
বেশ কিছুদিন হতে খুবই অসুস্থ্য ছিলাম বলে
ব্লগে নিয়মিত হতে পারিনি । এখন অনেকটা
সুস্থ বোধ করায় ব্লগে আসতে পারছি ।
এসে কুশল জানার ও দোয়া করার জন্য ধন্যবাদ,
আপনার জন্যও শুভ কামনা রইল ।
৪২| ২০ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৩২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার নতুন পোষ্ট একান্ত কাম্য
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৩০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
নতুন লেখার তরে আনুপ্রেরণা দানের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
বেশ কিছুদিন ধরে শারিরিক অসুস্থতার কারণে নতুন কোন লেখায়
হাত দিতে পারছিনা । মাঝে মধ্য অল্প সময়ের জন্য ব্লগে এসে
বিচরণ করতে পারছি । দোয়া করবেন একটু সুস্থতা অনুভব করলে
নতুন লেখায় মননিবেশ করব ইনসাল্লাহ ।
৪৩| ২০ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৩৭
জ্যাকেল বলেছেন: লোডশেডিং সমাধানকল্পে কম খরচে সরকারকে কোন বুদ্ধি দিতে পারবেন?
২৪ শে আগস্ট, ২০২২ ভোর ৬:৩৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পোষ্টের কথামালার সাথে না গেলেও আপনার জানতে চাওয়া বিষয়ের প্রতি যথাযোগ্য সন্মান দিয়েই বলছি
লোডশেডিং সমাধান বিষয়টি নিয়ে সঙক্ষেপে কিছু বলা বেশ কঠিন । এর সাথে বহুবিদ জানা অজানা কার্যকারণ
জড়িত আছে । এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞগন ভাল বলতে পারবেন । তারপরেও সাধারণ বিবেচনায় বলা যায় যে
লোডশেডিং না করেও কাংখিত লক্ষ্য যথা দেশে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের উপর কোন বিরোপ প্লভাব না ফেলেও
শুধু মাত্র বিদ্যুত খাতে বিদ্যমান আনিয়ম ও দুর্ণীতি রোধ করে বিদ্যুত উৎপাদন কিছুটা হ্রাস করেও নিরবিচ্ছিন্ন
বিদ্যুত সরবরাহ ব্যবস্থা চালু রাখা যেতে পারে । তবে বিষয়টি অনেকের কাছেই বোধগম্য কারণে খুব
একটি সহজসাধ্য কর্ম নয় । তাই বিকল্প হিসাবে নিন্ম লিখিত বিষয়গুলি বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত কর্মপন্থা ও
বাস্তবায়ন পদ্ধতি অবলম্বন করলে দেশে বিদ্যুত উৎপাদন কমিয়ে দিয়েও লোডশেডিং পরিহার করা সম্ভব ।
অনেকের বিবেচনায় মুল সহজ ব্যবস্থাগুলি হলো -
১. প্রয়োজন ব্যতিত বাসা বাড়ী ও অফিস আদালতে বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ রাখা
২. বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা
৩.বাসাবাড়ী, অফিস আদালতে এসির নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার করা
৪. বিকল্প যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা
৫. বিদ্যুতের ব্যয় নির্ধারণি সীমিত ধাপের মধ্যে থাকা উল্লেখ্য
ডিপিডিসি বা ডেসকোর ট্যারিফ অনুসারে ইউনিট প্রতি বিদ্যতের দামের মধ্যে বিরাট ব্যবধান আছে ,
কেও বেশী বিদ্যুত ব্যবহার করলে উচ্চ ধাপ আনুযায়ী দ্বিগুনেরও বেশী হারে বিল পরিশোধ করতে হবে ।
এ কারণে বিলাসী কাজে অপ্রয়োজনে অনেকেই বিদ্যুত ব্যবহারে সাস্রয়ি হবেন ।
৬. প্রাকৃতিক শক্তির বেশী ব্যবহার করা
দিনের বেলায় অফিস আদালতে ও বাসাবাড়ীতে ঘরের ভেতর বাতি না জ্বালিয়ে সূর্যের আলোর সুবিধা নেয়ার
প্রবণতা তৈরি করে বিদ্যুতের ব্যবহার অনেকটা কমিয়ে দিতে পারে।
দেশে সাম্প্রতিক কালে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ আশংকাজনকভাবে কমে যাওয়ায় বিদ্যুত উৎপাদনখাতে ব্যয় কমানোর
জন্য আন্যান্য অনেক ধরনের কার্যকলাপের সাথে অনাকাংখিতভাবে লোডশেডিং এর মত ব্যবস্থা নিতে হয়েছে ।
তাই বিবিধভাবে বিদ্যুত ব্যবহারে সাস্রয়ী হয়ে দেশে এই সময়ে সাময়িকভাবে কম বিদ্যুত উতপাদন করে বিদ্যুতের
জন্য আমদানী নির্ভর জ্বালানীখাতে ব্যয় কমিয়ে একদিকে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা সাস্রয়ী ব্যবস্থা করা যেতে পারে
অন্যদিকে দেশে বিদ্যুতের লোডশেডিং না করেও সারা দেশে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ ব্যবস্থা চালু রাখা
যেতে পারে ।
এছাড়া এই মহুর্তে অপ্রয়োজনীয় কিংবা কম গুরুত্বপুর্ণ প্রকল্প ব্যয়ে লাগাম টেনে ও বিবিধ পন্থায় দেশ হতে অর্থপাচার
পন্ধা নিয়ন্ত্রন করে সেই অর্থ দেশের প্রাণশক্তি বিদ্যুত উৎপাদনখাতে ব্য় করে লোডশেডিং না করেও সমগ্র দেশব্যপী
নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ ব্যবস্থা চালু রাখা যায় । মোট কথা যথাযথ লাভ-ক্ষতি বিশ্লেষন পুর্বক দেশের জন্য বৃহত্তম
স্বার্থ রক্ষাকারী কর্মপন্থা গ্রহন করে বিদ্যুত খাতে লোডশেডিং পরিহার করা সম্ভব ।
৪৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:১৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আলী ভাই আপনি অনেক দিন যাবত ব্লগে লিখছেন না।
খুব মিস করি আপনার লেখা। সুস্থ্যতার জন্য দোয়া করি।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৩৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অমার প্রতি দোয়া করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
বেশ কিছুদিন যাবত পুরানো ব্যাক পেইন নিয়ে
বলতে গেলে শয্যাসায়ী , তাই লিখতে ও পড়তে
বেশ কষ্ট হয় বলে সামুতে বিচরন করতে
পারছিনা । সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী ।
শুভেচ্ছা রইল
৪৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১০
জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন! +
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:২৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পোষ্টটি চমৎকার অনুভুত হওয়ায় ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:৩৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
পানির ব্যবহার বেড়েছে ভারতেও বাংলাদেশে; বাংলাদেশকে নিজের পানি সংরক্ষণের জন্য রিজার্ভার তৈরি করতে হবে। কাজটা বাংগালীদের নিজের করা উচিত, ইহাতে চাীন বা ভারতে যুক্ত করা ক্রাইম করার সমান হবে।