নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঐতিহ্যবাহী ঢাকাই মসলিন বস্রের আদি অন্ত কথকতা - পর্ব-১ : মসলিনের উৎসের সন্ধানে

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৫৬


সুত্র : Click This Link
বিশ্ব বিখ্যাত ঐতিহ্যবাহী ঢাকাই মসলিন বস্ত্রের সুনামের কথা আমরা সকলেই জানি । কালের গর্বে হারিয়ে যাওয়া এই ঐতিহ্যবাহী বস্ত্রের পুর্ণজন্মের কথাও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে ।
পাট ও বস্র মন্ত্রনালয়াধীন বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন একটি প্রকল্পের আওতায় ঐতিহ্যবাহী মসলিনের পুর্ণজন্মের সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোক্ত হয়েছে । প্রতিযোগীতামুলক বিশ্ববাজারের প্রেক্ষাপটে এই অতি বিলাসী ও ব্যয়বহুল পণ্যটি নিয়ে আর কতদুর যাওয়া যায় তা নিয়ে একটি বিশদ পর্যালোচনায় যাওয়ার প্রয়াসে এ লেখাটির অবতারনা । এ লক্ষ্যে ঐতিহ্যবাহী এই পণ্যটির আদি কথা ও এর উৎসের সন্ধান সঙক্রান্ত কিছু সচিত্র কথামালার অবতারনা করা হলো প্রথম পর্বে ।
পর্ব - ২ এ থাকবে পণ্যটির সোনালী দিনগুলির ইতিকথা ও এর অস্তগামীতার করুন গাথা
পর্ব-৩ এ মসলিনের উৎপাদন কর্মকান্ডের সচিত্র বিবরণ সহ এর পূর্ণজন্মের সার্থকতা ও বিকাশ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনার প্রয়াস নেয়া হবে ।

পর্ব-১ : মসলিনের আদি কথা ও উৎস সন্ধান

বাংলার ঐতিহ্য মসলিনের সাথে কত যে রোমাঞ্চকর ইতিহাস জড়িয়ে আছে তা শুনলে ও দেখলে বিস্ময়াবিভুত না হয়ে পারা যায়না ।
স্বরণাতীত কাল হতেই বাংলা মুলুকে তৈরী মসলিনের উল্লেখ পাওয়া যায়। মসলিন শব্দটির উৎপত্তি ইরাকের মসুল নগরী হতে বলা হলেও কতিপয় ইতিহাসবিদ মসলিন শব্দটি সে সময়কার ভারতবর্ষভুক্ত অন্ধ্র প্রদেশের মসলিপট্টম বন্দর থেকে হয়েছে বলে দাবী করে থাকেন । বলা হয় রোমানগন সেই বন্দর দিয়ে মাইসলস নামে যে সুতী বস্ত্রটি রপ্তানী করত মুলত সেটাই নাকি ছিল মসলিন । তবে ঐতিহাসিক যুগসুত্র সমুহ পর্যালোচনায় দেখা যায় মসলিন শব্দটির সাথে প্রাচীন ভারতবর্ষীয় ও ইরাকের প্রাচীন মসুল এর ক্রস কালচারাল ও বানিজ্যিক যোগাযুগের সুত্র বন্ধন রয়েছে , যার কিছু সচিত্র বিবরণ লেখাটির ঐতিহাসিক সময়ক্রম অনুযায়ী নীচে তুলে ধরা হল ।
ছবি-১ : বৃটিশ ট্রেভেলার , আর্কিউপলজিস্ট , রাজনীতি ও কুটনৈতিক স্যার অস্টিন হেনরী লেয়ার্ড কতৃক

১৮৫৩ সনে অঙ্কিত The Monuments of Nineveh চিত্রটি প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় নীচে তুলে ধরা হল ।
ছবি -২: Artist's impression of Assyrian palaces from The Monuments of Nineveh by Sir Austen Henry Layard, 1853

সুত্র :https://en.wikipedia.org/wiki/Nineveh#/media/File:Artist’s_impression
নিনেভা ছিল টাইগ্রিস নদীর তীরে অবস্থিত প্রাচীন আশিরিয় সাম্রাজ্যের ( খৃষ্টপুর্ব ২৬০০-২০২৫) একটি জনবহুল নগরী যা সেসময়কালে বিশ্বের সর্ববৃহত নগর হিসাবে বিবেচিত হত । নিনেভা‌র আধুনিক নাম মসুল ।
বৃটিশ ট্রেভেলার , আর্কিউপলজিস্ট , রাজনীতি ও কুটনৈতিক স্যার অস্টিন হেনরী লেয়ার্ড কতৃক ১৮৫৩ সনে অঙ্কিত নিনেভার প্রাসাদ অন্দরে রাজসভাসদদের গায়ে মসলিন বস্ত্র পরিধানের দৃশ্যটি( ছবি-৩) প্রনিদান যোগ্য ।
ছবি-৩

সুত্র : Click This Link

এইচ.ওয়ালডেক অঙ্কিত বেবিলনের শুন্য উদ্দানের Hanging gardens of Semiramis চিত্রকর্মে মসলিনের মত সুক্ষ মিহি বস্ত্র পরিহিত মেসোপটিয়য়াম রমনীদেরকে (আসিরিয়ান সম্রাট নিনুর মহিয়সি স্রী সিমিরামিস ও সহচারীনীগন ) দেখা যাচ্ছে ।
ছবি – ৪ : Hanging gardens of Semiramis, by H. Waldeck

সুত্র : Click This Link
ভারতবর্ষে ঠিক কখন হতে মসলিন কাপড় তৈরীর সুচনা হয় তা নিয়ে বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্যের অবতারনাও দেখা যায় ।
পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু তাঁর Glimpses of World History ( ১৯৩৪ ) গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে “ চার হাজার বছর পুর্বে মিশরিয়গন মমীকে ভারতীয় মিহি মসলিন বস্ত্রে মোরিয়ে রাখত। ভারতীয়দের দক্ষতা প্রাচ্য ও পাশ্চাতে সে সময়েই নাকি ছড়িয়ে পরেছিল । এখানে উল্লেখ্য মসলিন যে শুধুই অতি মিহি বস্রকে বলা হতো তা কিন্তু নয়, অপেক্ষাকৃত ভারী সুতী বস্ত্রকেও মসলিন নামে চিহ্নিত করা হতো , বিভিন্ন লিটারেচারে সে গুলি লিলেন বা তন্তুজাত বস্ত্র হিসাবে অভিহিত হয়েছে ।

কতিপয় ঐতিহাসিক ঘটনা বা ক্রস-কালচারাল বিষয়াবলী , পৌরানিক কাহিণী এবং চিত্রকল্পসমুহ প্রাচীন মিশর ও ভারতের মধ্যে যোগসুত্রের একটি ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে সহায়তা করে ( সুত্র : https://www.arianuova.org/en/india-and-egypt )।
মিশরের প্রাচীন সভ্যতার সাথে ভারতীয় যোগাযোগের প্রামানিক দলীল হিসাবে হাতলযুক্ত মৃৎশিল্পের ফুলদানি সে সাথে সুতী বস্ত্রও যে তখন ভারত থেকে মিশরে যেতো তা বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিবরণে বিশেষ করে আসিরিয় সম্রাট অসুরবানীপালের ইতিহাস চর্চায় উঠে আসে ।
উল্লেখ্য আসিরিয় সম্রাট অসুরবানীপাল খৃষ্টপুর্ব ৬৬৮ সালে মিশর দখল করে নিয়েছিলেন ।
যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রানসিকোর সিভিক সেন্টারের সন্মুখে আসিরীয় সম্রাট অসুরবানীপাল এর ( খৃষ্টপুর্ব ৬৮৫-৫৩১ ) একটি ব্রোজ্ঞ ভাস্কর্য(ছবি-৫) , তিনি বিশ্বসম্রাট নামেও পরিচিত ছিলেন ।
ছবি-৫

সুত্র : Click This Link

ঐতিহাসিক সুত্র হতে জানা যায় অসুরবানীপাল (খৃষ্টপুর্ব ৬৬৮- ৫২৫) ভারতের "উল বহনকারী গাছ" তথা তুলা সহ ভারতীয় গাছপালার চাষ করেছিলেন সে সময়কার তাদের অধিকৃত মিশরীয় অঞ্চলে। উল্লেখ্য পরবর্তীতে মিশরীয় তুলা গুণেমানে ভারতীয় তুলার গুনমানকে ছাপিয়ে যায় ও মিশরীয় সুতা ও সুতী বস্ত্র বিশ্বব্যপি বেশ সুনাম কুড়ায় ।
ছবি-৬ : মিশরীয় তুলার ছবি

সুত্র : Click This Link
মিশরের আলেকজান্দ্রিয়াস্থ ভারতীয় পণ্ডিতবর্গ যথা ক্রাইস্টোমাস (১০০ খ্রিস্টাব্দ) এবং ক্লেমেট (২০০ খ্রিস্টাব্দ) প্রমুখের একটি সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি ছিল যে মেসোপটেমিয়ার মাধ্যমে প্রাচীন ভারত ও মিশরের মধ্যে বেশ কিছু যোগাযোগ ছিল । তবে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক প্রমানের বিষয়ে তারা ছিলেন দ্বিধান্বিত । জার্মান ইন্ডোলজিস্ট পিটার ভন বোহলেন ( ১৭৯৬-১৮৪০) প্রাচীন মিশরের সাথে ভারতকে তুলনা করেছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন প্রাচীন যুগে দুটি দেশের মধ্যে একটি সাংস্কৃতিক সংযোগ ছিল ।এটাও উপজিব্য যে সে সময়ে এ অঞ্চলের বিশেষ করে বাংলা অঞ্চলের লোকশিল্প, ভাষা এবং গ্রামীণ সংস্কৃতির উপাদানগুলি মিশরীয় অংশগুলির সাথে সখ্যতা রয়েছে মর্মে আর্য, মঙ্গোলিয়ান বা তথাকথিত দ্রাবিড় প্রভাবের মাধ্যমে সঞ্চারিত হয়েছে মর্মে সন্তোষজনকভাবে ব্যাখ্যা করা যাযনা। তবে বাংলা মুলুকের ও মিশরের কতক স্থানের নামের মধ্যে কিছু মিল রয়েছে মর্মে সম্প্রতি একজন মিশরীয় পণ্ডিত আল মনসৌরি উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে সে সময়ে মিশর এবং ভারত উভয় দেশেই গরু, সূর্য, সাপ এবং নদীর উপাসনা প্রচলিত ছিল(ছবি-৭) ।
ছবি-৭ :

ছবি-৮

ছবি-৯

সম্প্রতি, ভারত ও মিশরের মধ্যকার যোগাযোগের আরও কিছু সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। লোথালের একটি পোড়ামাটির মমি অস্পষ্টভাবে মিশরীয় মমির মতো এবং একই রকম পোড়ামাটির মমিও পাওয়া গেছে মহেঞ্জো-দারোতে। এসকল প্রেক্ষিতে মিশরের মমিগুলি ভারতীয় মসলিনে আবৃত ছিল বলে মনে করা হয়ে থাকে ।

এটা মনে করা হয় যে দক্ষিন পুর্ব ভারতীয়রা মিশরে গিয়ে সেখানে তার সভ্যতার ভিত্তি স্থাপন করেছিল। অবশ্য মিশরীয়রা ঐতিহ্যগত ভাবে মনে করে তারা মূলত পুন্ট (Pun At times Punt is referred to as Ta netjer, the "Land of the God") নামে একটি ভূমি থেকে এসেছিল এবং সকল ঐতিহাসিক ও গবেষকগনই পুন্টকে ইথিউপিয়া ও ইরিত্রিয় এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করেছেন( সুত্র : https://simple.wikipedia.org/wiki/Land_of_Punt )
অশুরবানীপালের গ্রন্থাগারে পাওয়া ‘সিন্ধু’ শব্দটি ভারতীয় তুলা অর্থে ব্যবহৃত হয় এবং তুলা হতেই তৈরী হতো হালকা মিহি সুতী বস্ত্র ।
ছবি-১০: পবিত্রতা ও সম্পদের প্রতিক হিসাবে মিশরীয়রা মমিগুলিকে মিহি সুতি বস্ত্রে মোরিয়ে সমাধি ক্ষেত্রে নিয়ে যেতো ।

সুত্র : The Egyptian Book of the Dead: The Book of Going Forth by Day by James Wasserman et al.
১৮৩১ সালে খ্রিস্টপূর্ব ১২১৩ সালে মারা যাওয়া দ্বিতীয় ফেরাউন রামেসিসের সমাধির সন্ধান পাওয়া গেলে, সেখানে সুতি বস্ত্রে মোরানো প্রায় ৩০০০ বছরেরও বেশি সময় পুর্বকার মমি (ছবি-১১) অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায় ।
ছবি-১১

প্রায় ২৫০০ বছর পুর্বকার ধর্মযাজক আমুন এর কন্যা তাকাবুতির মমিটিটিও বস্ত্রে মোরানো অবস্থায় নিখুতভাবে সংরক্ষিত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল ।
বেলফাস্টের আলসস্টার মিউজিয়ামে রক্ষিত তাকাবুতির মমী (ছবি-১২)
ছবি-১২

সুত্র : Click This Link
গ্রীক ঐতিহাসিক Megasthenes ( খৃ:পুর্ব ৩২১-২৯৭ ) লিখিত বিবরণ হতে জানা যায় যে Indians wore ‘ flowered garments made of the finest muslin and trinkets of gold on their fingers and in their ears’
উল্লেখ্য মেগাস্থিনিস ছিলেন প্রাচীন গ্রীসের একজন পর্যটক এবং ভূগোলবিদ। তিনি এশিয়া মাইনরে জন্মগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে সিরিয়ার রাজা সেলিয়াকাস ১-এর রাজকীয় দূত হিসেবে ভারতীয় সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজদরবারে দায়িত্ব পালন করেন। তখন চন্দ্রগুপ্তের রাজদরবার ছিল ভারতের পাটালিপুত্র নামক স্থানে।

রোমান রমনীগাত্রে মসলিন

ইতিহাস হতে জানা যায় প্রথম খ্রিস্টাব্দের প্রথম শতকেই রোম সাম্রাজ্যের স্বর্ণযুগে অভিজাত রোমান রমনীগন মসলিন জাতীয় বস্ত্র/পোশাক পরিচ্ছদ পরে দেহসৌষ্ঠব প্রদর্শন করতে ভালোবাসতেন।
ছবি – ১৪ : Greek and Roman Life" by Ian Jenkins from the British Museum

সুত্র - Click This Link
একই শতকে রচিত ‘পেরিপ্লাস অব দ্য এরিথ্রিয়ান সি’ শীর্ষক গ্রন্থে মসলিন সম্পর্কে বিশেষ ধরনের তথ্য পাওয়া যায়।
মিশরবাসী জনৈক অজ্ঞাতনামা গ্রীক নাবিক ৮০ খ্রিষ্টাব্দে " Periplus of the Erythraean Sea " বা "ভারত সাগরে ভ্রমণ " নামে একটি মুল্যবান গ্রন্থ রচনা করেন । গ্রন্থটি হতে তৎকালীন ভারতের পশ্চিম ও পূর্ব উপকূলের বিভিন্ন সমুদ্র বন্দর, যোগাযোগ পথরেখা এবং ভারত রোম আমদানি ও রপ্তানি বানিজ্য পণ্য সম্ভার সম্পর্কে বিশদ বিবরণ জানা যায় ।
ছবি-১৫ : তৎকালীন ভারতের পশ্চিম ও পূর্ব উপকূলের বিভিন্ন সমুদ্র বন্দর,

বুদ্ধিস্ট মেনুসক্রিপ্ট এ ১২-১৩তম শতাব্দিতে মহিলারাদেরকে মসলিন দুপাট্টা পরিহিত দেখা যায় (ছবি-১৬) ।
ছবি-১৬

সুত্র -https://en.wikipedia.org/wiki/History_of_clothing_in_the_Indian_subcontinent#/media/File
ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের লাদাখ অঞ্চলের লেহ জেলার আলচি গ্রামে অবস্থিত একটি প্রাচীন বৌদ্ধবিহারে থাকা ১১শতকের তারা দেবীকে নিয়ে শায়মা তারা অঙ্কিত থ্রি -পিছ শাড়ী পরিহিত একটি চিত্র কর্ম ।
ছবি -১৭: কাশ্মীরের লাদাখ এলাকায় আলচি বৌদ্ধ মনাসটারিতে থাকা চিত্র কর্ম ।

সুত্র : Click This Link
ছবি-১৮ : শিল্পীর হাতে গড়া লাদাখে দেবী তারার হাতে ধরে রাখা মসলিন

ছবি - ১৯ : Famous Holy Spoken Green Tara in Nyanang Phelgyeling Monastery, Nepal.

সুত্র : Click This Link
উল্লেখ্য তিব্বতি বৌদ্ধধর্মে দেবী তারা হলেন দয়া ও কার্যের একজন বোধিসত্ত্ব। তিনি হলেন অবলোকিতেশ্বরের নারী মূর্তি। বজ্রযান বৌদ্ধধর্মে তিনি একজন নারী বুদ্ধের মর্যাদা প্রাপ্ত বোধিসত্ব।তিনি "নির্বাণ-জননী" হিসেবেও পরিচিত। তিনি শুক্লতারা, (সীতাতারা) দয়া, দীর্ঘজীবন, আরোগ্যদান ও শান্তির দেবী হিসেবেও পরিচিত। তাঁর হাতে ধরা মসলিন তার ঐতি্হ্যের কথাই তুলে ধরে ।
ছবি-২০ বৌদ্ধ দেবী রূপে তারা

সুত্র : Taken in the shrine room of a Karma Kagyu centre in South London

সপ্তদশ শতকের সংস্কৃত কবি বাণভট্ট তাঁর হর্ষচরিত্র , সম্রাট হর্ষবর্ধনের জীবনী ( ৫৯০-৬৪৭ খৃ: ) গ্রন্থে ভারত বর্ষের বস্ত্র শিল্পের চমৎকার বিবরণ পাওয়া যায় । বাভনট্ট দেবী লক্ষীর পোষাকের বর্ণনা দিতে গিয়ে লিখেছেন লক্ষী সফেদ ফেনাসদৃশ্য শ্বেত বস্ত্র পরিধান করতেন যা ;দেখে মনে হতো যেন শিশিরের বোনা পট্ট , যা লতা পাতা ও ফুলের নস্কায় ছিল অলংকরিত (ছবি-২১) ।
ছবি-২১

সুত্র: Click This Link

বাণভট্ট ছিলেন খ্রিষ্টাব্দ সপ্তম শতাব্দীর ভারতীয় সংস্কৃত পণ্ডিত। তিনি বাণ নামে সমধিক পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন উত্তর ভারতীয় রাজা হর্ষবর্ধনের আখ্যান কবি । বাণ হর্ষবর্ধনের জীবনী হর্ষচরিত ও বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন উপন্যাস কাদম্বরী রচনা করেছিলেন।
ছবি-২২

প্রীতিকূট গ্রামে বাৎস্যায়ন গোত্রীয় এক মগ ব্রাহ্মণ পরিবারে বাণের জন্ম।

মসলিনের বিস্তৃতি ঘটে দ্বীপ দেশ শ্রীলঙ্কাতেও

ছবি -২৩:মসলিনে তৈরী নীমা (Tunic dress)পরিহিত ৫ম শতকে শ্রীলংকার শিগিরিয়ান বিখ্যাত পেইন্টিং এ থাকা রমনীদের ছবি

সুত্র - Click This Link
ছবি-২৪

ছবি -২৫ :ইউনেসকো কতৃক বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকা ভুক্ত শ্রিলংকার সিগিরিয়া

https://en.wikipedia.org/wiki/Sigiriya#/media/File:Sigiriya.jpg
উল্লেখ্য সিগিরিয়া হচ্ছে শ্রীলংকার একটি অপূর্ব সুন্দর গুহামন্দির। ছয়শত ফুট উঁচু এক পাথর কেটে দুর্ভেদ্য প্রাসাদ বানিয়েছেন এক রাজা। প্রাসাদ অনেকটা মৌচাকের চাকের মতো। এই পাথর 'সিগিরিয়া রক' নামে ভুবন বিখ্যাত। সিগিরিয়া রকের আরেক নাম 'লায়ন রক'।
ছবি- ২৬ : 'সিগিরিয়া রক

থাইল্যান্ড ও চীনেও মসলিন রপ্তানী হতো । বৃটিশ ইতিহাসবিদ জন গে বলেছেন Pagan in Burma , mural paintings
of the 11th to 14th centuries ( ছবি- ২৭) show princely figures dressed in ‘ fine diaphanous white fabric is presumably the much-prized Bengali muslin.~’’
ছবি-২৭ :

এখন দেখা যাক বিশ্ববিখ্যাত ও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বহুবিদ শৈলী নিয়ে পরিহিত এই ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় মসলিন বস্ত্রের মুল উৎপাদন স্থানটি ভারতের কোন অংশে অবস্থিত ছিল ।

মসলিন বস্ত্রের উৎপাদন কেন্দ্রভুমি

বাংলার ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় যে দক্ষিণের সাগরদ্বীপ সুন্দরবন থেকে উত্তরের সমগ্র উত্তর বঙ্গ এলাকা জুড়ে গঙ্গার প্রবাহ পথে প্রাচীন গঙ্গারিডিরাজ্য বিস্তৃত ছিল এবং চন্দ্রকেতুগড় ছিল গঙ্গারিডি রাজ্যের রাজধানী।
ছবি - ২৮ : শিল্পীর তুলিতে আঁকা গ্রিক গণিতবিদ, ভূগোলবিদ, জ্যোতির্বিদ, ও জ্যোতিষ টলেমি এবং টলেমির মানচিত্রে থাকা 'গঙ্গারিডাই'একটি ছবি

এই প্রত্নস্থলটির সঙ্গে জলপথে প্রাচীন ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল বিশেষত মেসপটমিয়া ও রোমের বাণিজ্যিক যোগসূত্রের সুনিশ্চিত প্রমাণ মিলেছে বলে দাবী করা হয়ে থাকে ।
( সুত্র : A Lost Civilization - Gourishankar De and Shubhradip De. Kolkata, Sagnik Books, 2004, 109 p)

গঙ্গারিডি রাজ্যের রাজধানী চন্দ্রকেতুগড়ে বাংলার গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রত্নস্থল এর সন্ধান পাওয়া যায় । এ স্থানটি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় এবং কলকাতা শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে এর অবস্থান।
ছবি-২৯ : চন্দ্রকেতুগড়ের প্রত্নস্থল

সুত্র : A Lost Civilization - Gourishankar De and Shubhradip De. Kolkata, Sagnik Books, 2004, 109 p)
এই প্রত্নস্থলটি আনুমানিক ৩ হাজার বছর পুর্বে তথা ৪০০ থেকে ৮০০ খ্রিস্টপূর্বে গড়ে উঠেছিল।

ছবি -৩০ : চন্দ্রকেতুগড়ে প্রাপ্ত টেরাকোটায় নির্মিত পঞ্চচূড় অপ্সরার চিত্র দেখে ধারণা করা হয় তাদের গাত্র বিখ্যাত ঢাকাই মসলিনে ছিল পরিবৃত্ত ।

সুত্র : Click This Link

এখানে বিশেষভাবে লক্ষনীয় যে, ঢাকাই মসলিন শব্দটি থেকে বুঝাই যায় যে বস্ত্রটির উৎপাদন কেন্দ্র বলতে এখনকার বাংলাদেশের ঢাকাকেই বুজানো হয়েছে ।

এই বিশেষ বস্ত্রটি তৈরীর কলা কানুন ও মুল উপাদান তথা বিশেষ ধরনের ফুটি কার্পাস তুলা হতে তৈরী মিহি সুতা ও এর কারিগরের বাসস্থান সকলি ছিল ঢাকার মেঘনা ও শীতলক্ষা নদী অববাহিকায় । তাই এর উৎপাদন কেন্দ্র ঢাকা ভিত্তিক ছিল বিধায় এটাকে ঢাকাই মসলিন হিসাবে অভিহিত করা হত ।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মুর্শিদাবাদে এখন যে মসলিন শাড়ি তৈরি হচ্ছে, তা দক্ষিণ ভারতে উৎপাদিত তুলা থেকে করা হয়, যা ঢাকাই মসলিনের মতো মোলায়েম নয়। তাঁদের মতে, ঢাকাই মসলিন তৈরি করতে হলে ঢাকার আশপাশ থেকে জাত খুঁজে বের করে সেই তুলা দিয়ে সেই এলাকাতেই করতে হবে। মসলিন তৈরিতে তুলার জাত এবং আবহাওয়ার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। চাইলেই যেখানে–সেখানে ঢাকাই মসলিনের মতো শাড়ি তৈরি করা যাবে না। আর এর জন্য প্রয়োজন ফুটি কার্পাস নামক সেই বিখ্যাত তুলার । ফুটি কার্পাস থেকে বাকা ডাকা ভোরে শিশির শিক্ত পরিবেশে অতি দক্ষহাতের অঙ্গুলী চালনায় চরকি দিয়ে অতি মিহি সুতা তৈরী হতো যা প্রায় ৫০০ কাউন্টের মত সুক্ষ ও উন্নতমানের টেনসাইল স্ট্রেংগ্থ সম্পন্ন ছিল।
ছবি-৩১ : বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের তত্বাবধানে পূর্ণজন্মিত ফুটি কার্পাস তুলা

উৎস : বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড , ঢাকা বাংলাদেশ
ছবি-৩২ : লন্ডনের Victoria & Albert Museum এ সংরক্ষিত মসলিন বস্ত্র

উতস : Sheer muslin gown, 1800. Image @Victoria & Albert Museum
ভারতীয় উপমহাদেশের মধ্যে সমৃদ্ধতম প্রদেশ হিসাবে বাংলার পরিচিত ছিল। বাংলার বিখ্যাত এবং বিভিন্ন ধরণের টেক্সটাইল এবং কৃষিজাত পণ্যের জন্যই 'পৃথিবীর স্বর্গ' হিসাবে খ্যাতি অর্জনের প্রধান কারণ ছিল। বিশ্বের মোট শিল্প উৎপাদনে বাংলার শেয়ার ছিল ৫-৬% এর মত । এককালে বিশ্বমাঝারে একটি ধনবান অঞ্চলের দাবীদার হয়েও ১৯৭১ সনে একটি দরিদ্র দেশের তকমা বুকে নিয়ে বাংলাদেশের জন্ম হয়। এমন একটি পরিস্থিতি কিভাবে ব্যখ্যা করা যা!!

বাংলা দখলকারী রবার্ট ক্লাইভ, যিনি পলাশির যুদ্ধের পরেই বিজয়ী দেশের কোষাগারকে শুন্য করে দিয়ে নীজে উপকৃত হয়েছিলেন, তিনি নিজের লাভের দায় মোচনের প্রশ্নে ১৭৭২ সালে হাউস অফ কমন্সে একটি ভাষণে বলেছেন যে-
…. The country of Bengal is called, by way of distinction, the paradise of the earth. It not only abounds with the necessaries of life to such a degree, as to furnish a great part of India with its superfluity, but it abounds in very curious and valuable manufactures, sufficient not only for its own use, but for the use of the whole globe. The silver of the west and the gold of the east have for many years been pouring into that country, and goods only have been sent out in return. This has added to the luxury and extravagance of Bengal.
(From D. B. Horn and Mary Ransome, eds., English Historical Documents, 17141783 (London: Eyre and Spottiswoode, 1957), pp. 809-811.)

বর্তমান সময়ের বাংলাদেশ, শতাব্দীকাল ধরে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান হাতে বোনা সুপারফা্ইন সুতি কাপড়ের কেন্দ্র ভুমি ছিল। এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ যে সুনামের সাথে ঐতিহ্যমন্ডিত যে সমস্ত অতি উন্নতমানের সুতি এবং সিল্ক বস্ত্র তৈরী করতেন তা কেনার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের বনিকগন এসেছিলেন। এই অঞ্চলে বহিরাগত বহু পরিভ্রমনকারী এবং ক্রেতারা বেঙ্গল টেক্সটাইলের গুণমান এবং খ্যাতি সম্পর্কে অনেক মুল্যবান কথা বলেছেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সে সময় বাংলার খ্যাতি যে কতদূর প্রসারিত হয়েছে তার একটি উদাহরণ ইতিহাসবিদ ক্যাম্পাসের নিম্নোক্ত উদ্ধৃতি থেকে পাওয়া যেতে পারে:
“ একটা সময় ছিল যখন রোমান মহিলাদের জন্য ঢাকাই মসলিন সাথে মসলা ও আন্যান্য ভোগ্য সামগ্রী সাতগাঁও হতে জাহাজে তুলে মিশর হয়ে রোমে পাড়ী দিত তখন সেগুলি সেখানে উচ্চ প্রসংসিত ও ভাল দাম পেতো‍‌‌‌‌‌‍‌. ।
(সুত্র :History of the Portuguese in Bengal. By J. J. A. Campos. Calcutta, 1919. - Volume 52 Issue 2.)

ছবি-৩৩ : মসলিনের সোনালী দিনের পিঠস্থান বাংলার সে সময়ের রাজধানী সোনারগাঁও

সুত্র : বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ,ঢাকা , বাংলাদেশ
ছবি -৩৪ : ঔপনিবেসিক নিপীড়নে ঐতিহ্যবাহী মসলিনের মতই সে সময়কালে
কর্মমুখর সোনারগাঁও এর মসলিন উৎপাদন ও কেনা বেচার আড়ং এর ভগ্নদশা

ছবি সুত্র : প্রখ্যাত ফটোগ্রাফার শহিদুল আলম/ DRIK

লেখাটির দ্বিতীয় পর্বে থাকবে মসলিলেন অতীত সোনালী দিন এবং কালের গর্বে এর অস্তগামীতার করুন চিত্রগাথা ।

ছবি ও কথা সুত্র : পোষ্টের লেখার মধ্যে যথাযথ স্থানে উল্লেখ করা হয়েছে ।

এতক্ষন সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

মন্তব্য ৬১ টি রেটিং +২৫/-০

মন্তব্য (৬১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



অসাধারণ পোস্টে +

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



পোষ্ট অসাধারণ অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: লেখার বিষয়ে আলোচনায় পরে আসছি। বহুদিন বাদে ব্লগে আপনার লেখা দেখেই আমি এক্সাইটেড হয়ে গিয়েছি!!!

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



অসুস্থতার জন্য লিখতে কষ্ট হচ্ছিল বলে বেশ অনেকদিন
নতুন কোন লেখা পোষ্ট করতে পারিনি ।
আপনার এক্সাইটমেন্ট আমাকে অনুপ্রাণীত করেছে ।
শুভেচ্ছা রইল

৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৪

সোহানী বলেছেন: অর্ধেক পড়েই শেরজা ভাইয়ের মতো মন্তব্যে করছি। আপনাকে দেখে অসম্ভব অসম্ভব ভালো লাগছে।

আমি খুব আগ্রহী মসলিন নিয়ে। বেশ কিছু লিখা পড়েছিলাম। আপনার লিখা দেখে শান্তি পাচ্ছি কারন আমি জানি আমাকে আর বেশি কোথাও খুঁজতে হবে না, এ লিখার সিরিজগুলোতেই সব উত্তর পেয়ে যাবো.................হাহাহাহাহা

চলুক সিরিজ, সাথে আছি।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



লেখায় ফিরতে দেখে ভাল লাগছে জেনে খুশি হলাম ।
সিরিজের পরের লেখাগুলি পাঠে .....হাহাহাহাহাহা
আরো অনেক বাড়বে । মসলিণের আসল মজাতো
রয়েই গেছে । এটাকে নিয়ে বিস্তারিত অর্থনৈতিক
ও সমাজতাত্বিক অলোচনার প্রয়াস নেয়া হবে ।
সিরিজের সাথে থাকলে অনুপ্রাণীত হব ।

৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৪

সোহানী বলেছেন: আর হাঁ, প্রিয়তে তুলে রাখতে ভুল করছি না।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


প্রিয়তে তুলে রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভেচ্ছা রইল

৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৭

মিরোরডডল বলেছেন:




অনেকদিন পর আলী ভাইকে দেখে ভালো লাগলো, তারমানে ইউ আর ফিলিং বেটার ।
মসলিন নিয়ে এর আগে আলী ভাইয়ের একটা পোস্ট পড়েছিলাম ।

নিনেভা সিটিকে সিন্ সিটি বলা হতো ?
ছবি – ৪ : Hanging gardens of Semiramis
এটা অনেকটা ওমর খৈয়ামের রুবাইয়াৎ-এর ছবির মতো ।

ছবি – ১৪ : Greek and Roman Life" এটা দারুন!
বস্ত্রে মোরানো তাকাবুতির ছবিটা ভয়ঙ্কর B:-)

১১শতকের তারা দেবীকে নিয়ে শায়মা তারা অঙ্কিত থ্রি -পিছ শাড়ী পরিহিত একটি চিত্র কর্ম ।
এটা কিছু বুঝিনি :(

দেবী তারার হাতে মসলিন ধরে রাখার ছবিগুলো মজার ।
ছবি ২২ কাদম্বরী ভালো লেগেছে কিন্তু ছবি -২৩ মসলিনে তৈরী নীমা পরিহিত বললেও আসলেতো কিছুই পরেনি, বিবস্ত্র ।

আলী ভাইয়ের পোস্ট মানেই নতুন কিছু জানা ।
ভালো থাকবে আলী ভাই ।


২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ২:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


হ্যাঁ এখন একটু বেটার ফিল করছি ।
কোভিড এর ৪ নং বোস্টার আর ফ্লো ভেকসিন
নেয়ার পরেও বেশ কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড কাশীতে
ভুগছি , শীতের দেশে নরমাল কাশী যে কত প্রকার
ও কি কি হতে পারে টের পাচ্ছি হাড়ে হাড়ে ।

নিনেভা সিটিকে সিন্ সিটি বলা হতো জানা ছিলনা
এখন জানলাম ।

Hanging gardens of Semiramis
এই ছবির তুলনা সুন্দর হয়েছে ,
আসলে ওমর খৈয়ামের রুবাইয়াৎ এর
প্রতিটি চড়নই অপুর্ব এক কাব্যিক ছবিময় ।

১১শতকের তারা দেবীকে নিয়ে শায়মা তারা অঙ্কিত
থ্রি -পিছ শাড়ী পরিহিত চিত্র কর্মটি বুঝার জন্য আমিউ
অনেক চেষ্টা করেছি , এর মহাত্ব তেমন বুঝে উঠতে
পারিনি , তার পরেও এটাকে তুলে এসেছি এটা নিয়ে
আরো গবেষনার মানষে , আগামী বছর হলিডেতে
লাদাখ যাওয়ার প্লান আছে , তখন এটাকে দেখে
আসার ইচ্ছে রাখি ।

দেবী তারার হাতে মসলিন ধরে রাখার ছবিগুলো মজার
হয়েছে শুনে ভাল লাগল ।
কাদম্বরী ভালো না লেগে কি পারা যায় , বানভট্টের লেখা কাদম্বরী
ইতিহাস বিখ্যাত উপন্যাস , গুগলে তন্য তন্য করে খুঁজেও এই
উপন্যাসের কোন কপি পাইনি , তবে গুগলে এর একটি এবস্ট্রাক্ট
আছে , সেটি পাঠেই আমি মুগ্ধ ।
আসলেই ২৩ নং ছবিতে মসলিনে তৈরী নীমা পরিহিতার
গায়ে বস্ত্রের চিহ্ন প্রকাশ্যে দেখা যায়না , সম্ভবত পরিহিত
বস্ত্রটি এতই মিহিন যে তা বলতে গেলে এক প্রকার অদৃশ্যই!!

পোষ্টটি মনযোগ দিয়ে পাঠান্তে মুল্যবান মন্তব্য রেখে যাওয়ার
জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল

৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১৪

সোনাগাজী বলেছেন:


বর্তমানে মুসলিম দেশগুলোতে, নারীরা কি মসলিনের তৈরি কোন কিছু পরতে পারবেন? মসলিনকে নিশ্চয় বোরখা কিংবা ঐধরণের মোটা কোন কাপড়ের নীচে পরতে হবে!

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ২:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আপনার উত্থাপিত প্রশ্নটি নিয়ে পরের পর্বে বিস্তারিত
অলোচনার করা প্রচেষ্টা নেয়া হবে , এর জন্য যে
সকল তথ্য উপাত্ত ও ছবির প্রয়োজন হবে তা
এই মন্তব্যের ঘরে টেনে না এনে সেখানকার জন্য
তুলে রাখলাম । মুল্যবান প্রশ্নটির জন্য অনেক
অনেক ধন্যবাদ রইল ।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৩:৪৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



খুবই মুল্যবান একটি প্রশ্ন রেখে গেছেন ।
বিষয়টি নিয়ে পরের পর্বে বিষদ আলোচনার
প্রয়াস নেয়া হবে ।

৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনার লিখা থেকে আমি ফিচার লিখার ব্যাপারে অনেকটাই জ্ঞান আহরণ করলাম । ধন্যবাদ আপনাকে ।

আচ্ছা পৃথিবীর অন্যান্য সভ্যতাতে মসলিন পাওয়া যাওয়াতে আমরা এটাই কেন ভেবে নিচ্ছি যে ভারতই এইসব মসলিনের যোগান দিয়েছে ? হতেও তো পারে সেই সময় সেখানেই এসব উৎপাদিত হত !

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৩:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ফিচার লেখার ব্যপারে জ্ঞান আহরণ করছেন শুনে ভাল লাগল
এই সামুতে আরো আনেক সমৃদ্ধ লেখা আছে, সেখান থেকে
আপনার জ্ঞানের ভান্ডারকে আরো সমৃদ্ধ করতে পারবেন
অচিরেই এই বিশ্বাস রাখি ।

আপনি ঠিকই বলেছেন পৃথিবীর অন্যান্য সভ্যতাতে মসলিন পাওয়া যাওয়াতে
আমরা এটাই কেন ভেবে নিচ্ছি যে ভারতই এইসব মসলিনের যোগান দিয়েছে ?
হতেও তো পারে সেই সময় সেখানেই এসব উৎপাদিত হত !

এ জন্যতো মসলিনের উৎস সন্ধানে ব্রতি হয়েছি ।

শুভেচ্ছা রইল

৮| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- লেখার কোথাও বস্র আবার কোথায় বস্ত্র লেখা আছে। কি এবং কী এর মতোকি এর কোনো ব্যবহার বিধি আছে?

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




আসলে এটা হবে বস্ত্র , টাইপিং এররের কারণে কোন জায়গায় বস্র হয়ে গেছে ।
ধরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
শুনেছি টাইপিষ্টরা নাকি টাইপের সময় বানান প্রমাদ ঘটিয়ে সুন্দর সুলভে লেখা যায় এমন নতুন শব্দ
তৈরী করে ফেলে , যদিউ তা বানান নিয়ে রক্ষনশীলতার কারণে গ্রহনযোগ্যতা পায়না ।
তবে শব্দ দুটি নিয়ে নতুন একটি চিন্তা মাথায় এসেছে । বস্ত্র এর উচ্চারণ কিন্ত সচরাচর বস্র হবসাবেই
উচ্চারিত হয় , শব্দটির উচ্চারণ শুনার সময় এর সঠিক অর্থ বুজতে কারো অসুবিধা হয়না ।
তবে বস্ত্র শব্দটি লিখতে কম্পউটারের কি প্যডে ৬বার বোতাম চাপতে হয় ,আপর দিকে বস্র লিখতে
মাত্র ৪বার কি প্যাডের বোতাম চাপতে হয় , তাতে করে লেখার গতি বাড়ে অথচ শব্দটির অর্থ বুজতে
কোন অসুবিধা হয়না , বহুল ব্যবহারে এর প্রচলন বাড়তে পারে । তাই বিষয়টি বাংলা একাডেমির
গোচরে এনে এ ধরনের আরো কিছু শব্দের বানান ও লিখন পদ্ধতি সহজ করা যায় কিনা সে সস্পর্কে
চিন্তা ভাবনার কথা বলা যেতে পারে ।
বস্র আর বস্ত্র নিয়ে এই মন্তব্যটি লেখার সময় বসার ঘরের দেয়ালে টানানো বিখ্যাত চিত্রশল্পী লিলি এলবি‌‌‌ র
চিত্র কর্মটির প্রতি দৃষ্টি যায় ।

চিত্র কর্মটি দেখে মনে হল শব্দটি বস্ত্র হিসাবে লিখলে তা ডানের আকাবাঁকা গাছটির মত দেখায় আর
বস্র হিসাবে লিখলে বাদিকের সহজ বাঁক নেয়া গাছটির মত দেখায় , তাই মনে হয় বস্ত্রের জায়গায়
বস্র লিখলে মন্দ হয় না !! যাহোক শুদ্ধ প্রমিত বানানের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে , এখানে শুধু কথাচ্ছলে
কিছু কথা বললাম । উল্লেখ্য কি এবং কী এর মধ্য যথেস্ট সুন্দর ব্যবহার বিধি আছে , যা নতুন নকিব তার
পোষ্টে একটি লেখায় সুন্দর করে তুলে ধরেছেন ।
শুভেচ্ছা রইল

৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫০

কামাল১৮ বলেছেন: বর্তমান বিশ্বে মসলিনের উৎপাদন লাভজনক না।অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে,অনেক দিন পরিশ্রম করে একটা শাড়ি তৈরি করতে হবে।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


ঠিকই বলেছেন বর্তমান বিশ্বে মসলিনের উৎপাদন লাভজনক না ।
বিষয়টি পরের পর্বে তথ্য উপাত্তসহ তুলে ধরার প্রয়াস নিব ।

শুভেচ্ছা রইল

১০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: চমতকার তথ্য ও তত্ত্ববহুল লেখার জন্য ধন্যবাদ সাথে সাথে লেখায় +++ ।

" ঢাকাই মসলিন " - যা আমাদের গর্ব ও ঐতিহ্যের অংশ। জানলাম আবারো তার বিশদ আপনার লেখনির মাধ্যমে।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




পোষ্টটি চমৎকার ও তথ্যবহুল অনুভুত হ ওয়ায় অনুপ্রানীত হলাম ।
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল

১১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: মাঝে মাঝে আপনি মন্তব্য ও পোষ্ট দিয়ে আপনার উপস্থিতি টের পাইয়ে দেন।
পোষ্ট নিয়ে আমি কিছু বলব না। যা বলার অনেকেই বলে দিয়েছেন।
চাঁদগাজীর মতোন আমিও আপনার আম্রপলির কথা মনে রেখেছি।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আমাকে আমার কর্মের মাধ্যমে স্মরণে রাখার জন্য ধন্যবাদ

১২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৩২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বছর শেষে আবারও সেরা একটি পোস্ট দিয়ে সামুকে সমৃদ্ধি করেছেন। ধন্যবাদ।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:





আপনার প্রসংসা বাণীতে আমি আপ্লত ,
তবে সামুর সকল গুণী ব্লগারগনই মুল্যবান
লেখনি সমুহের মাধ্য নিরন্তন সামুকে সমৃদ্ধ
করে চলেছেন , তার মধ্য আপনিও একজন।

শুভেচ্ছা রইল

১৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৬

শায়মা বলেছেন: মসলিনের বিশাল ইতিহাস নিয়ে এই লেখা প্রিয়তে রেখে দিলাম ভাইয়া।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



পোষ্টটি প্রিয়তে নেয়ায় কৃতজ্ঞতা জানবে ।
তোমার লেখা বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্প ও দেশীয় ঐতিহ্যে শাড়ি
শীর্ষক অতিব মুল্যবান পোষ্টটি সামুর জন্য একটি সম্পদ ও বস্ত্র শিল্প
সংস্লিষ্টদের জন্য অবশ্য পঠনীয় একটি প্রবন্ধ হিসাবে সর্বমহলে মুল্যায়ীত
হবে ।
শুভেচ্ছা রইল

১৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- পোস্টে প্লাস ও প্রিয় তালিকায় রইলো।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


পোষ্টটি প্রিয় তালিকায় নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ,
মুল্যবান প্লাসে আনুপ্রানীত ।

শুভেচ্ছা রইল

১৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মসলিনের সুদীর্ঘ ইতিবৃত্ত জেনে সমৃদ্ধ হলাম।সত্যি কথা বলতে কোনদিন ভাবিনি আমাদের ঐতিহ্যমন্ডিত মসলিমের আদি বৃত্তান্ত নিয়ে। ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ব্রিটিশের বিমাতৃসুলভ নীতির ফলে ভারতের চিরাচরিত শিল্পের অবনতি ঘটে। যাতে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় মসলিন শিল্পের। ঐতিহাসিক সব্যসাচী ভট্টাচার্য প্রথম 'দি ইন্ডাস্ট্রিলাইসেন্স' শব্দটি ব্যবহার করেন। দাদাভাই নওরোজি তাঁর 'প্রভার্টি অ্যান্ড আনব্রিটিশ রুল ইন ইন্ডিয়া গ্রন্থে' ভারতের দরিদ্র্যতার কারণ হিসেবে চিরাচরিত শিল্প মূলত কুটির শিল্পের ধ্বংসের কারণ হিসেবে মূলত মসলিম শিল্পের ধ্বংসের কথা বলেছেন। কিন্তু এই মসলিনের সুদীর্ঘ ইতিহাস আজ জেনে চমৎকৃত হয়েছি। গবেষণাধর্মী পোস্টটি প্রিয়তে নিলাম। এমন একটি পরিশ্রমী পোস্ট হাতে তুলে দিয়েছেন যে কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



মসলিনের ঐতিহ্যের সাথে বাংলা সহ জড়িয়ে রয়েছে সমগ্র ভারতবর্ষ
ও সে সময়কালের সমৃদ্ধশালী সকল দেশের সম্পৃক্ততার কথা । এর
সুনাম এতই জগত বিখ্যাত হয়ে পরেছিল যে, সে সময়কালের অনেক
দেশের বাণিজ্য পোতের সমাগম হতো এ অঞ্চলের পোতাশ্রয়ে ।
বাংলার হস্তশিল্প ও তাঁতীদের হাতে তৈরী পন্যসামগ্রী যেতো
প্রাচ্য ও পাচ্ছাত্তের বিভিন্ন দেশে । উৎপাদন ও বিপননে সকল
দিকেই এগিয়ে ছিল বাংলা , তাইতো এটাকে বলা হতো
সোনার বাংলা ।

মসলিনের বিলুপ্তি ঘটার পিছনে বহুবিদ কারণের মধ্যে অস্টাদশ
শতাব্দির শিল্প বিপ্লব ও ঔপনিবেশিক শাসন শোষন ও নিপিরণ ছিল
অন্যতম কারণ । বিষয়গুলি পরের পর্বে অলোচনার প্রয়াস নেয়া হবে ।
পোষ্টটি প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

শুভেচ্ছা রইল

১৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১:৩৮

অজ্ঞ বালক বলেছেন: অতি অসাধারণ পোস্ট। এইরকম এক দুইটা লেখা মাঝে মইধ্যে পাওয়া যায় দেইখাই সামু এখনও সামু। হ্যাটস অফ। কি অকল্পনীয় রিসার্চ কইরা এই লেখা লিখসেন ভাবতেই অবাক লাগতেসে।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


পোষ্টটি অসাধারণ আনুভুত হওয়ায় ধন্যবাদ ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

১৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৩৩

মিরোরডডল বলেছেন:




কোভিড এর ৪ নং বোস্টার আর ফ্লো ভেকসিন
....................... কি কি হতে পারে টের পাচ্ছি হাড়ে হাড়ে ।


থার্ড বুস্টার আর ফ্লু ভ্যাক্সিন একসাথে নিয়ে আমারও এরকম হয়েছিলো, খুবই ভয়াবহ ।

আসলেই ২৩ নং ছবিতে মসলিনে তৈরী নীমা পরিহিতার
............... বলতে গেলে এক প্রকার অদৃশ্যই!!


আলী ভাই ইউ এর রাইট, হতে পারে এতটাই স্বচ্ছ মসলিন তাই বোঝাই যাচ্ছে না কোন বস্ত্র :)
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম ।


৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আবার এসে কথা বলায় ধন্যবাদ

কোভিড তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজ সাথে ফ্লো ভেকসিন নিয়ে
অনেকেই বেশ ভুগছেন বলে জানা যায় , এই ভয়ে আনেকই
তৃতীয় ডোজ নিচ্ছেনা , ফলে তাদের মধ্যে বেশ কয়েক জন
কোভিড আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে ।

২৩ নং ছবি প্রসঙ্গে কিছু প্রাসঙ্গিক কথা আপনার সাথে শেয়ার করার মানসে নীচে তুলে ধরলাম
Lovely maidens that reside in the 5th century Srilankan Sigiriya fresco paintings have
dressed their hair piled up high to show their oval face of lustrous complexions.
They have heavy breasts and their eyes express moods from vivacity to serenity.
They wear elaborate jewels on their hair, ears, and arms. Large hooped earrings dangle
from their ears they wear armlets as well as bangles,they wear very fine three piece
tulip dresses upper top and waste ) they are so thin as seems apparently invisible .
তাই হয়তবা অতি মিহিন এই পরিধেয় বস্ত্রকে অনেক দর্শকই মসলিন বস্ত্রের সাথে
তুলনা করেছেন।
বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ আর্কিউলজিস্টির মতে এই সিগিরিয়ান পেইন্টিং গুলিতে থাকা নারী
অবয়বগুলি REPRESENT GODDESSES and ladies of these paintings are
personifications of clouds and phenomena associated with clouds-lightning.
যাহোক কোন সময় শ্রিলংকা ভ্রমনে গেলে শ্রিলংকার সিরিগিয়াতে গিয়ে এই ইউনেসকো স্বীকৃত
হেরিটেজে থাকা অপুর্ব মিসটেরিয়াস বিষযাবলী দর্শনের ইচ্ছা রাখি ।

শুভেচ্ছা রইল

১৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেনঃ আমাকে আমার কর্মের মাধ্যমে স্মরণে রাখার জন্য ধন্যবাদ

আমি চাই আপনি আরো মহৎ কর্ম করুণ।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




ধন্যবাদ , আপনার কামনা যেন ফলে সে
বাসনা মনে পোষন করে রাখলাম ।

শুভেচ্ছা রইল

১৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,




অনেক দিন পরে পোস্ট নিয়ে আসতে দেখে স্বস্তি পেলুম। বোঝা গেলো, শারীরিক অসুস্থ্যতা জয় করে ব্লগের টানেই মুখটি দেখালেন। আশা করি ভালো আছেন!

বহুল তথ্য সমৃদ্ধ লেখা যা আপনার সহজাত। এ পর্বে মসলিন নিয়ে জানা তো হলোই, সামনের পর্বগুলোতে মসলিনের পূনর্জন্ম নিয়ে আশাবাদও জাগবে।

(এই লেখাটি পড়তে গিয়ে প্রথম দু'টি ছবি বাদে বাকী ছবিগুলো দেখতে পাচ্ছিনে। হয়তো একসময় ঠিকই ছবিগুলো এসে যাবে।)

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:০০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


বয়স বাড়ার সাথে শরীরে বহুবিদ রোগই বাসা বাধে,
একটু অনিয়ম পেলেই জেকে ধরে , ফলে লেখা গতি হারায় ,
পরের পর্ব লেখা ধীর গতিতে চলছে , জানিনা কবে সুর্যের
মুখ দেখবে ।

কোন কারণে ইন্টারনেট প্রভাইডারের তেলেসমাতিতে ইন্টারনেটের
ক্ষমতা ধীরগতি হলে অনেক সময় একটু বড় আকারের ছবি
ডাউনলোড হয়না , হলেও অনেক সময় নেয় , তবে কম্পিউটারে
আন্য কোন সমস্যা কিংবা ছবি সহায়ক এপস ইনসস্টল করা না
থাকলে ছবি দেখতে সমস্যা হতে পারে । যাহোক আশা করি
বিলম্বিত হলেও পরে ছবিগুলি দেখতে পেরেছেন , না দেখতে
পারলেও আফছোসের কারণ নেই, কেননা গুগল ঘেটে ধারকরা
ছবিগুলি আহমরি কিছু নয় , লিখাতেই দেখার বিষয় লেখা
হয়েছে ।

অনেক আনেক শুভেচ্ছা রইল

২০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: তাই বিষয়টি বাংলা একাডেমির গোচরে এনে এ ধরনের আরো কিছু শব্দের বানান ও লিখন পদ্ধতি সহজ করা যায় কিনা সে সস্পর্কে চিন্তা ভাবনার কথা বলা যেতে পারে ।

বাংলা একাডেমি যখন ঈদে কে ইদ আর গরু কে গোরু লিখতে বলেছে তখন থেকেই তাদের উপর আমার আস্থা কমে গেছে।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:০৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



বাংলা একাডেমির কান্ড কারখানার কথা শুনে
নিরাশ হয়ে গেলাম । একাডেমিতে বাংলা জানা
লোকদেরকে পোষ্টিং করা দরকার ।

২১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটি বিস্ময়কর, সমীহ জাগানো পরিবেশনা। শুধু দুর্লভ তথ্য উপাত্তই নয়, সেসবের তথ্যসূত্র উপস্থাপনের নিয়ম সঠিকভাবে অনুসরণ করে আপনি হাতে কলমে শিখিয়ে দিয়ে গেলেন যে একটি প্রবন্ধে/ফীচারে/গবেষণাপত্রে তথ্যসূত্র কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং তা কিভাবে উপস্থাপন করতে হয়। এটা নিঃসন্দেহে নতুন লেখক-গবেষকদের জন্য শিক্ষণীয় হবে। যারা সচরাচর সঠিকভাবে তথ্যসূত্র উপস্থাপনে অনাগ্রহী, তারাও আপনার লেখা থেকে শিক্ষা নিতে পারেন।

সেই ছোটবেলা থেকেই ঢাকাই মসলিনের খ্যাতির কথা শুনে এসেছি, কিন্তু এর ইতিহাসের কথা জানতে পারিনি। আপনার এ পোস্ট সে জ্ঞানের অভাব অনেকটা মেটালো।

চমৎকার এই পোস্টে সপ্তদশতম প্লাস। + +

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



প্রসংসামুলক কথামালায় অভিভুত ।
সামুর পাতায় থাকা আপনার লেখা ফিচার মুলক
নিবন্ধগুলিও আমাদের জন্য সম্পদ হয়ে থাকবে ।
ঐতিহ্যবাহী মসলিন নিয়ে অমাদের সময়ে নবম
ও দশশ শ্রেণীর পাঠ্য বইয়ে বেশ সুন্দর সুন্দর
কাহিনীর অবতারনা ছিল , তবে সেসময় আমাদের
কাছে সে গুলিকে নিছক গল্প বলেই মনে হতো,
তবে সেগুলি পাঠে তখন মনে শিহরণ জাগত
ও আমাদের দশের দক্ষ তাঁতী কুলের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ
জাগত।পরে অনেক জায়গায় মসলিনের বিষদ ইতিহাস
দেখতে পাই , তার মধ্য থেকে মাত্র গুটিকয়েক
সামুর পাতায় সকলের সাথে শেয়ার করার মানসে
তুলে ধরেছি । সংযোজিত সুত্র সমুহ হতে আগ্রহী
পাঠক মসলিনের বিষয়ে আরো বিষদ তথ্য জানতে
পারবেন বলে মনে করি ।
লেখায় প্লাস দানের জন্য ধন্যবাদ ।

ইংরেজী নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল ।

২২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: মিরোরডডল এর মন্তব্যটা (৫ নং) সমনযোগ পাঠের পরিচায়ক। ভালো লেগেছে।
নিবর্হণ নির্ঘোষ এর মন্তব্যটা আমার উপরে দেয়া মন্তব্যটার সঠিকতার একটা প্রমাণ হিসেবে এখানে থেকে গেল! এজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, কথাটা এমন সততা ও স্বচ্ছতার সাথে এখানে প্রকাশ করার জন্য।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আপনি ঠিকই বলেছেন মিরোরডডল এর মন্তব্যটা ( ৫ নং) সত্যিই
একজন মনযোগী পাঠের পরিচায়ক। মন্তব্যটি আমারো ভাল লেগেছে ।
তিনি ছবি – ৪ এ থাকা Hanging gardens of Semiramis
ছবিটা অনেকটা ওমর খৈয়ামের রুবাইয়াৎ-এর ছবির মত
বলে একটি বিশেষ বিষয়ের প্রতি দৃকপাত করেছেন ।
আমার মনে হয় তিনি এদেশের চিত্র শিল্পের এক দিকপাল
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর আঁকা রুবাইত ই ওমর খৈয়াম চিত্র
মালার কথা সহ দেশী বিদেশী অনেক চিত্র শিল্পির হাতে
রুবাইত ই ওমর খৈয়াম আবলম্বনে আঁকা চিত্রগুলিতে
সেই ছবিটির মত অনেক ছবি দেখতে পেয়েছেন ।
উল্লেখ্য অবনিন্দ্রনাথ ঠাকুর তার চিত্র শিল্প জীবনের মধ্যে
মুল্যবান ৫ বছর রুবাইত ই ওমর খৈয়াম চিত্রমালা একেছেন।
রুবাইয়াত ই ওমার খৈয়াম অবলম্বনে আঁকা অনেক ছবিতেই
থাকা নর নারীর পরিধানকৃত বস্ত্রটিকে মসলিনের মতই মিহি
বলে প্রতিভাত হয়, যেমনটি নীচের একটি চিত্রে দেখা যায় ।

৫ নং মন্তব্যে মিরোরডডলের পর্যবেক্ষনে
ছবি -২৩ মসলিনে তৈরী নীমা পরিহিত বললেও আসলেতো কিছুই পরেনি, বিবস্ত্র
মনে হওয়ার সাথে আমিউ একমত, তবে এ বিষয়ে কিছু কথকতা তার অপর একটি মন্তব্যের
(১৭ নং) প্রেক্ষিতে আমার প্রতি মন্তব্যে তুলে ধরেছি দয়া করে একটু দেখে নিতে পারেন ।

নিবর্হণ নির্ঘোষ কে আপনার ধন্যবাদের কথা জানিয়ে দিচ্ছি ।

শুভেচ্ছা রইল

২৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:৫৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: আপনার কোন পোষ্ট চোখ এড়িয়ে গেলো কিনা দেখতে এসে পেলাম বিশাল ঐতিহ্য নিয়ে লেখাটির দেখা। পুরো এক বছর পরে লেখা দিয়েছেন, তবে আপনার লেখার গুণগত মান সম্পন্য সমৃদ্ধ।
মসলিন সম্পর্কে অনেক বিষয় জানতে পারলাম। প্রিয় তে রাখলাম লেখাটি।
মসলিন আমার খুব প্রিয় যদিও আসল মসলিন পাওয়া যায় না এখন। শেখ হাসিনা আসল মসলিনের মতন সমলিন তৈরি করিয়েছেন দেখার বা পরার সুযোগ নাই।
ভীষণ দামী এই শাড়ি পরার ইচ্ছা হলেও পরতে পারব না এইটা আফসোস।
শুভকামনা

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



পোষ্টটিকে প্রিয়তে নেয়ায় কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

মসলিন কাপড় বুনত দেশের দরিদ্র তাঁতী জনগুষ্ঠি,
পরিধান করত দেশ বিদেশের অভিজাত ও রাজ রাণীগন।
এই বস্ত্র তৈরী করতে গিয়ে রাতের ঘুম হারাম করে
অয়েসি নিদ্রা ত্যাগ করে শিশির সিক্ত কাক ডাকা
ভোরে তাঁতী রমনীকুল কষ্ট করে তাদের হাতের
কোমল অঙ্গুলী চালনায় চরকীতে নিবিষ্ট মনে
অতি মিহি প্রায় ৫০০ হতে ৬০০ কাউন্টের সুতা
তৈরী করত যা আজকের এই উন্নত প্রযুক্তির যুগেও
কেও তৈরী করতে পারছেনা । সেই মিহি সুতা
দিয়েই তৈরী হতো বিশ্ব বিখ্যাত মসলিন বস্ত্র সম্ভার।

বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতেই হয় সে সমস্ত দক্ষ ও কুশলী তাঁত
শিল্পিদেরকে , যারা বাংলার ঐতিহ্য ও শ্রেষ্টত্ব তুলে ধরেছিল
সমগ্র বিশ্বে ।

যাহোক, আফছোছ করার কিছু নেই ,বাংলাদেশ তাঁত
বোর্ডের মাধ্যমে সাস্রয়ী মুল্যে মসলিন তৈরীর প্রকল্প
বাস্তবায়ন করা হচ্ছে । তারপরেও অবশ্য এর দাম
থাকবে অনেকেরই ধরা ছোয়ার বাইরে । তাই এই
বিষয়টি নিয়ে আর কতদুর যাওয়া যায় তা নিয়ে
পরের পর্বে কিছুটা আলোচনার প্রয়াস নেয়া হবে ।

শুভেচ্ছা রইল

২৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৫৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ভাই সাহেব, ডাল ভাতের জন্য কিছুদিনের জন্য আমি ঢাকার বাইরে ছিলাম। দীর্ঘ ভ্রমণে খানিকটা ক্লান্ত আমি, আপনার পোস্ট মসলিন নিয়ে। আমি মসলিন কাপড় বিষয়ে কিছু গল্প জানি আপনার পোস্টে আমি অবশ্যই তা উল্লেখ করবো। আপনার শ্রমে তৈরি পোস্টটি ২০২২ সনে আমার পড়া একটি বিশেষ প্রবন্ধ। আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ আপনি খুব ভালো একটি বিষয় নিয়ে লিখে আমাদের লেখালেখির প্রতি আগ্রহী করে তুলেছেন।


০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ভাই সাহেব , ডাল ভাতের তথা বিষয় কর্মের সাধনাই বড় সাধনা,
বাঁচতে তো হবে আগে তার পরেই না সৃজনশীল অন্য কিছু ।
দীর্ঘ ভ্রমনে ক্লান্ত থাকার পরেও কষ্ট করে এসে অনুপ্রেরণামুলক
সুন্দর একটি মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।

মসলিন নিয়ে আপনার জানা মুল্যবান গল্প শুনার জন্য অধির
আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় থাকলাম । আশা করি আমার পরবর্তী
পর্বের লেখায় সেগুলি অনেক উপকারে আসবে ।

শুভেচ্ছা রইল ।

২৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৫২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ভাই সাহেব, আপনি কি মসলিন শাড়ি মসলিন কাপড় অথবা মসলিন থান দেখেছেন?


০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



মসলিন শাড়ি মসলিন কাপড় অথবা মসলিন থান আমি দেখি নাই তবে
একটি মসলিন গাওন দেখেছি লন্ডনের Victoria and Albert Museum এ ।
নীচে ছবি ও বিবরণ তুলে দিলাম ।

Gown
ca. 1800 (made)
Artist/maker : unknown
Place of origin : Bengal( made – fabric)
England ( made – embroidery)
OBJECT TYPE : GOWN
Embroidered muslin, 1800-20, Indian; Bengal for the European market
MATERIALS AND TECHNIQUES
Muslin embroidered with cotton thread
Fabric made in Bengal , gown made in England Given by Miss Frances Vicker
CREDIT LINE
Given by Miss Frances Vickers
PRODUCTION
Muslin cloth from India (Bengal)

২৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:০৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ভাই সাহেব আপনার আমার বিশ্রামের সময় এখন। আজকের মতো আমরা বিদায় নিচ্ছি। আমি মসলিন নিয়ে আপনার সাথে আলোচনা করবো। আপনি আমার আলোচনাতে মজাদার কিছু তথ্য পাবেন।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ধন্যবাদ । আপনার মজাদার আলোচনার অপেক্ষায় রইলাম ।

২৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০৭

জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক তথ্যপূর্ণ পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। +

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:৩১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


পোষ্টটি তথ্যপূর্ণ অনুভুত হওয়ায় ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল

২৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৩৮

সোহানী বলেছেন: পর্ব দুই কবে আসবে?????

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
খুবই অসুস্থতার ভিতর দিয়ে যাচ্ছি ।
একটু সুস্থতা বোধ করলে লেখালেখিতে
ফিরে আসব । দোয়া করবেন ।
শুভেচ্ছা রইল

২৯| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:১১

অপু তানভীর বলেছেন: প্রথম পর্ব পড়েছিলাম সেই কবে । আজকে আবারও একবার চোখ বুলিয়ে নিলাম । পরের পর্ব কবে আসবে ?

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



পুণরায় এসে খুঁজ খবর নেয়ায় ধন্যবাদ ।
খুবই অসুস্থতার ভিতর দিয়ে যাচ্ছি ।
বার্ধক্যজনিত বেশ কিছু রোগে ভুগছি।
এ ব্লগে বয়োজেষ্টদের মধ্যে আমিও
একজন। প্রিয় ব্লগারদের অনেকের
মুল্যবান লেখাই দেখা হয়ে উঠছেনা ।
একটু সুস্থতা বোধ করলে লেখালেখিতে
ফিরে আসব । দোয়া করবেন ।

শুভেচ্ছা রইল

৩০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮

নজসু বলেছেন:



আপাততঃ প্রিয়তে রেখে দিয়েছি প্রিয় ভাই।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
প্রিয়তে তুলে রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

শুভেচ্ছা রইল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.