নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ পাঠক ও লেখক
জীবনচক্রের বিভিন্ন স্তর যথা- গর্ভাবস্থা, শৈশব, হামাগুড়ির বছর,
বয়ঃসন্ধি, কৈশোর, যৌবনকাল , মধ্য বয়স এবং জ্যেষ্ঠ/প্রৌঢ় সময়
কোথা থেকে শুরু করি জীবন কাব্যের স্মৃতিচারণ, ভেবে হই আকুল।
শুনেছি গর্ভাবস্থাতেই নাকি মাকে হাত পা নেড়ে করেছি বেশ জ্বালাতন
মৃত্যু ছাড়া জীবনচক্রের সকল স্তরই করেছি পার ধরে মুর্তী বিবিধ রকম
লম্বা এই জীবনের স্মৃতি চারণ করতে গেলে রূপ ধরতে পারে বিশালাকার
সীমিত পরিসর আর সামুর পাতায় থাকা দিক নির্দেশনাগুলি মাথায় রেখে
এখানে করলাম কেবল ফেলে আসা শৈশবের গুটি কয়েক স্মৃতিচারণ ।
শৈশবের স্মৃতিচারণ কেবলী নয় যেন একরাশ এলোমেলো কথার ফুল ঝুরি
স্মৃতির পাতায় জমে থাকা কথা বলা যতনা সহজ,ততোধিক কঠিন তা লেখা
বুঝার বয়সে মাসি পিশির কাছে শৈশবের গল্প শুনে লজ্জায় ঢাকি মুখখানি
শুনেছিনু যা,তা লজ্জার মোরকে ভরে রেখে দিয়েছিনু দাদুর থলিতে যত্নকরি।
বয়সকালে দাদুর দেয়া সেই থলে খুলে পাই শুধু রাক্ষস খোক্কস ভুত প্রেত ডাইনিদের কথা
বয়োজেষ্ঠদের কাছে শৈশবের কথা জিজ্ঞাসিলে মিলে যায় অম্ল মধুর বেশ কিছু গল্প গাথা,
বছর দুয়েক বয়স কালে সকলের অগোচরে বোতলে ভরা পাকা জামের রস ভেবে খেয়েছিনু
দাদুর গ্যটোবাতে মালিসের তরে বোতলে ভরা তারপিন,ফলে ধাবমান ছিলাম অন্তিমের পানে।
ডাক্তার ওজা পীর ফকির ধরে, মুরগি মানত করে, মসজিদে ফিরনী দিয়ে মোনাজাতে বসা
মায়ের ভালবাসা আর সকলের দোয়ার বদৌলতে বিধাতার দয়ায় অন্তিম যাত্রার পথ হয় রুদ্ধ,
বয়োবৃদ্ধির সাথে দাদার গড়গড়া হুক্কায় তামাক ঠাসা কলকেতে টিক্কা জ্বালিয়ে আনার পথে
গোপনে চোখ বুজে কষে দিয়ে টান কাশির সাথে বুদ্ধির দরজা একটু একটু করে যায় খুলে।
শুপারি গাছের মগডালে উঠে বাগানের এ প্রান্ত হতে ও প্রান্তের গাছে দোল খাওয়া
সেতো ছিল নিত্য দিনের অভ্যেশ ,কাজটি ছিল যে কত কঠীন জীবনের এ লগনে
পায়ে বেড়ি বেধে তর তর করে লাফিয়ে লাফিয়ে আকাশ ছোয়া গাছের মাথায় চরা
সেসব কথা ভাবতে গেলে নীজকে এখন নীজের কাছেই মনে হয় অচেনা একজন
চেনা জগতের সে পরিবেশে বিচরণ করতে মনে জাগে বীর পুরুষের মত শিহরণ।
দুরন্তপনা ক্রমেই যায় বেড়ে মানেনা বাঁধন, নদীতে স্নানের কালে গরুর লেজ ধরে করেছি সন্তরণ
কোন ফাকে মনের ভুলে গরুর লেজ ছেড়ে হারিয়ে যাই গায়ের ছোট নদীর ঘোলা পানির তলে,
জানি না কেমন করে চাউর হয় পাড়াময় জুড়ে
নদীর জলে ডুবে মরে কিংবা হারিয়ে গেছি আমি
সাথীসহ নদীপাড়ের লোকজন ডুব সাতারের পর
সম্বিতহীন দেহখানি মোর তুলে আনে কুলে করে
বুক চেপে মোর উদর ভর্তী পানি করে নিস্কাসন,
বন্ধুগনে ধরা ধরি করে পরে ছেড়ে আসে মোরে
চোখের জলে ভাসা দিশা হারা মায়ের কোলে ।
বর্ষাকালে বিলের জলে ভাসা শাপলার ফল
কোমরে গুজে ডুব দিই নীচে শালুকের খুঁজে
ফিরতি পথে দেখা হয়ে যায় পানিতে লুকানো
শত কাঁটাযুক্ত জলজ পদ্ম ফল মাখনার সাথে
কৌশলে তালু বন্দী করে কতেক তার নিয়ে এসে
জুড়ে দিই পানির উপরে ভাসা স্বজাতি ফুলেরই সাথে
আর চেয়ে দেখি কাঁটার ঘা সয়েও তাদের মুখের হাসি।
ডিংগী নৌকায় বসে হিজলের ফুল ছিড়ে সাথীদের সাথে হৈ-হুল্লুর করি
মজা করে কোশা নৌকায় চড়ে শাপলা ফুটা বিলে করতাম নৌবিহরণ
চোরা পথে পানি ঢুকে বিলের জলে কোশা নৌকা ঢুবে চিৎ হয়ে গেলে
নীজকে ভুলে ডুবো নৌকাটিকে বাঁচানোর তরে লরতাম মরণ পণ ।
এভাবে দলবেধে নাহিবার কালে দিনমান কেটে যেত বিলে শালুকের খুঁজে
বিলের জলে শালুক খঁজে না পেলেও যে শাপলা মালা হয়ে লুটেছিল গলে
বুঝতে তাকে পারিনি,পরে বুঝেছিনু ব্যথা যখন দানা বেধেছিল হৃদয় জুড়ে
হঠাৎ করে একদিন রাতের আঁধারে তারা সপরিবারে বিদেশ চলে গেলে ।
কুমোর পাড়ার হাড়ি পাতিল নিয়ে গল্পটাইতো সেই স্মৃতি জাগানিয়া
হাটু গেড়ে বসে কাদা মাটি দিয়ে কুমোরগন শত শত পাতিল গড়ায়
বাড়ীর কাছে হরকৃষ্ণ কুমোরের উঠানের কোণে মাটির তলে পাঞ্জার
আগুনে কেমন করে চাকতিতে গড়া হাড়িপাতিল পুড়ায় দেখার তরে
খালি পায়ে পাঞ্জা ঘরের খুব কাছে গেলে গরমে পায়ের পাতা যায় পুড়ে
পরম মমতায় কুমারনী মৃদু ধমকের সাথে পায়ে মলম লাগায় যত্ন করে
পয়শট্টি সালে পাক ভারত যুদ্ধের সময় হিন্দু মুসলিম রায়ট বেধে গেলে
একদিন রাতের আঁধারে কুমার কুমারনীরা বাড়ীঘর ফেলে জীবন বাঁচাতে
তাদের ছেলেমেয়ে নিয়ে চলে যায় ভারতে খবর চাউর হয় সুর্যোদয় কালে
আর কুমারের শুন্য সে ভিটামাটি চলে যায় গ্রাম্য মুড়লের দখলে
খেলার সাথী শাপলা পালের চলে যাওয়া বুকে শেলের মত বিঁধে।
মনে পড়ে লেখা পড়ায় হাতে খড়ি মায়ের হাত ধরে অ আ পড়ে
লেখার শুরু স্লেটের উপরে সরু পেন্সিল দিয়ে আঁকা আঁকি করে,
শুরু হয়ে গেল কয়লা দিয়ে ছবি আঁক ঝোক বাড়ী ঘরের দেয়ালে
সারাক্ষন খেলা বাদ দিয়ে লেখাপড়ার জ্বালাতন টের পেল সকলে।
ঈদের দিন কাক ডাকা ভোরে ভাই বোন চলে যেতাম শিউলি তলে
প্রতিযোগীতা ফুল কুড়ায়ে কে কত বড় মালা পড়াব বাবা মার গলে
সেমাই খেয়ে নতুন জামা কাপড় পড়ে ঈদের মাঠে নামাজ শেষে
কে কত বেশী কোলাকুলি করেছি বন্ধুদের সাথে হত প্রতিযোগিতা
এ সকল বিষয় আজকের এই ব্যস্ততার যুগে কেবলী স্মৃতিকথা।
বৈশাখী মেলা আর পুজা পার্বনে হিন্দু মুসলমান বন্ধুগনে একসাথে
মিলে মজা করে দুলতাম নাগর দোলায়,মেলায় কেনা কাটার তরে
মায়ের হাতে কাটা বাশের চোঙগায় পয়শা জমাতাম সারা বছর ধরে
পয়শার জন্য ঘরের মুরগীম ডিম মাকে লুকিয়ে বাজারে দিতাম বেচে।
পাাঁচ বছর বয়সকালে দাদাকে সাথে নিয়ে পাঠশালার পথ ধরি
টিনের চালার নীচে বেড়াহীন পাঠশালায় প্রথম শ্রেণীতে পড়ি ।
সকালে খাওয়ার পর স্কুলে দৌড়ানো, ক্লাস শুরুর আগে সমাবেশ
সমাবেশে প্রথমেই সুর করে জাতীয় সঙ্গীত পরে নিয়ম পিটি করা
পিটি শেষে লাইন ধরে এক এক করে নীজ শ্রেণী কক্ষে গিয়ে বসা
পড়াশুনা,মারামারি খেলা ধুলা আর বন্ধুগন সনে করি মাতা মাতি।
মাঝে মাঝে ছুতো নাতায় স্কুল কামাই দেয়াতেও ছিলনা কোন কমতি
খেলার সাথীর অসুখ হলে বলতাম তাকে স্কুলে যাবি , উত্তর না হলে
বলতাম আমিউ যাবো না, ফলে করতে হত অনেক তেলেস মাতি ।
ঘর বাড়িতে যত বড় কাগজ সুতা ছিলো সব সরিয়ে নিয়ে বানাতাম ঘুড়ি
সুতায় মাঞ্জা দেওয়ার তরে ভালো কাঁচের গ্লাস লুকিয়ে ভেঙে ফেলতাম,
মায়ের কাছে ধরা পরে সেই রকমের বকুনী খাওয়া। ফের ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে
কাটাকুটিতে হেরে মারামারি করে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফেরা, বাড়ি ফিরে
মায়ের হাতে আরেক দফা উত্তম মধ্যম, সে মারেও আনন্দ যে কত ছিলো ,
পরের দিন আবারো বিপুল বিক্রমে ঘুড়ি তৈরির কাজে লেগে পরা, যার সাথে
আগেরদিন হয়েছে ঝগড়া তার সাথেই জোট করে অন্যের ঘুড়ির সুতা কাটা।
পড়াশুনা আর খেলা ধুলায় দিনমান কাটে
এরি মাঝে তাল পাতার ফালি দিয়ে গড়া
ছাউনি তলে খেলার সাথীদের বাসর ঘর
সাজানোর কথা যায়না ভুলা ভেঙ্গে ছিল যা
এক রাতে নিদারুন কাল বোশেখীর ঝড়ে ।
ভাঙ্গা ঘরের সাথে হারিয়ে গেছে এক জনা
খরি মাটি দিয়ে দেয়ালের গায়ে লিখে গেছে
ফের হবে দেখা পশ্চিমের কোন এক দেশে।
উল্লেখ্য ষাটের দশকের বাল্যবিবাহ সে যে কত শত মানুষের জীবনের করুন গাথা
ক’দিন আগে শপিংমলে করছিলাম কেনাকাটা হঠাৎ পিছন থেকে এক নারী কন্ঠ –
আলী নাকি! চমকে আমি উঠি। আমাকে ওই নামে ডাকে হাতে গোনা কয়েকজনা
পিছনে তাকাই, চিনতে না পারি। মহিলার চোখে মুখে অনেক কৌতুহল আর অভিমান
আমি চিনি না। মৃদু কন্ঠে সে বলে আমি- মিনতি।আমার স্মৃতির বন্ধ দরজা যায়যে খুলে।
পঞ্চম হতে ষষ্ঠ শ্রেণীতে উঠার কালে প্রথম স্থানটি না পেয়ে
মনের দুখে বাড়ী না ফিরে গাছ তলায় বই রেখে পলায়ন করি
শুনেছি লুঙ্গি পড়া বড় চুলদাড়ি ওয়ালারা নাকি কামেল ফকির
ভাগ্য ভাল হলে তাঁদের কাছে চাইলে নাকি খুলে যায় তগদির।
করলাম পণ যে করেই হোক খুঁজে পেতে হবে তেমন ফকির।
মনে পড়ে আমাদের এলাকায় লেংটা ফকির নামে তেমন একজন মানুষ ছিল
হাতে ছোট এক দা নিয়ে ঘুরে বেড়াত তবে তা দিয়ে করতনা কারো কোন ক্ষতি
শুধু পায়ে চলা পথের পাশের কাঁটা ঝোপঝাড় কেটে দিত মানুষের সুবিধার লাগি
লোকে বলে তিনি নাকি আসলে ছিলেন খোদা প্রেমিক একজন বড় কামিল দরবেশ
তিনি যদি মুখ ফুটে কাওকে কিছু বলতেন, তাই নাকি তার জীবনে ঠিক ঠিক ফলত।
একদিন রাতে এলাকার বড় বট গাছের নীচে তিনি নাকি দেখা পান এক ভুতের
ভুতকে দা দিয় কোপাতে কোপাতে গ্রাম ছাড়া করে তিনিও হয়ে যান নিরোদ্দেশ
তার পর থেকে লেংটা ফকীরকে আর যায়নি দেখা আমাদের গ্রামের এলাকাতে।
তাঁকে খুঁজতে মাঠের পরে মাঠ পেরোলাম গ্রামের মেঠো পথ ধরে
দুপুর গড়িয়ে সুর্য হেলে যাওয়ার কালে দেখা পেলাম খুঁজছি যারে,
পিছে পিছে যাই কথা বলতে ভয় পাই, পাছে যদি তিনি যান রেগে
খানিক বাদে তিনি পিছন ফিরে বললেন এই খোকা তুই চাছ কিরে?
ক্ষুধায় কাতর মিন মিনে গলায় বললাম ফার্স্ট হতে চাই পরীক্ষাতে
কথা শুনে ফকির বললেন এবয়সেই ফাস নিতে চাছ তুই কোন দুখে
দুখ্যের মুলকথা বললাম তাকে, তিনি বললেন চল খেয়ে নিই আগে।
এই কথা বলে তিনি আমাকে সাথে নিয়ে ঢুকলেন পাশের বাড়ীতে
হক মাওলা বলে চিৎকার দিতেই বাড়ীর বউ ঝিড়া আসল তরিতে
হাত মুখ ধোয়ার তরে বদনায় পানি দিয়ে পিড়ি পেতে দিল বসতে
বেশ আদর যত্ন করে ঘরে যা ছিল পাত পেতে খেতে দিল মোদেরে।
খাওয়া শেষে ফকির বললেন ফাস নিয়ে কাজ নেই,বাড়ি যা ফিরে
মন দিয়ে পড়াশুনা কর দেখবে ওপরওয়ালা ভাল ফল দিবে তোরে,
কি আর করা, মনে ভরসা রেখে বাড়ী ফিরে দেখি শোকের মাতম
পাড়াময় খুঁজাখোজি নিখোঁজ আমার তরে খাল বিল তছ নছ করে
পানিতে ঢুবে মারা গিয়াছি কিনা সেটাই জানতে চেয়েছিল সকলে।
কপাল গুণে উত্তম মধ্যমের হাত হতে বেঁচে যাই মায়েরি কল্যানে
তারপর লেংটা ফকিরের দোয়া কিনা জানিনা, তবে পিতামাতা সহ
সকলের সহায়তায় স্কুলকলেজ ভার্সিটির সর্বশেষ স্তর দিয়েছি পাড়ি।
শৈশব কালের একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কথা এখনো বুকের মাঝে শেলের মত বাজে
১৯৬৫ সনে পাক- ভারত যুদ্ধের সময় প্রচন্ড শব্দ করে দ্রুত গতিতে দুইটি ফাইটার
বিমান মাথার উপর দিয়ে যায় উড়ে। দ্রুত গতির কারণে একই সময়ে মাথার উপরে
সামন পিছন দুদিক হতেই রেল গাড়ীর মত পরিচিত ইঞ্জিনের শব্দ গিয়েছিল শুনা ।
ঢাকা-ময়মনসিং রেল লাইন বরাবর খুবই নীচ দিয়ে ফাইটার দুটি উড়ে যাওয়ার সময়
গোলাঘাট রেল ব্রীজের উপর দিয়ে হেটে চলা মানুষ হয়ে যায় দিকবিদিক জ্ঞান শুন্য ।
তারা মনে করে এই বুঝি দুদিক হতে দুটি ট্রেন দ্রতবেগে উঠে আসবে ব্রীজের উপরে
জীবনের ভয়ে তারা তখন নীচে নদীর পানিতে ঝাপ দেয় ও পরে ১জন মৃত্যুবরন করে
পরে জীবিত মানুষটির নিকট হতে নদীতে ঝাপিয়ে পড়ার কারণ জানা যায় সবিস্তারে।
পরে বড় হয়ে জানতে পেরেছি অনেক সামরিক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা তাদের বই কিংবা
প্রকাশনায় লিখে গেছেন ১৯৬৫ সনে পাক ভারত যুদ্ধে পুর্ব পাকিস্তান সেকটরে কোন
যুদ্ধই হয় নাই । পশ্চিম সেকটরে পাকিস্তান একতরফা যুদ্ধ শুরু করলেও ভারত তাতে
৬ই সেপ্টেম্বর অংশ নেয়, যাকে যুদ্ধ শুরুর তারিখ বলা হয়ে থাকে। পুর্ব পাকিস্তান অংশে
তাদের রণ কৌশল ছিল ভিন্ন । তাদের টার্গেট ছিল সকল সরবরাহ পথ ছিন্ন করা। এ জন্য
তাদের পদাতিক বাহিনী ব্যবহারের দরকার ছিলনা।তাই সপ্টেম্বরে পশ্চিম বঙ্গের মেদিনীপুর
জেলার খরগপুরের এয়ারবেজ হতে দুটি ক্যনবেরা ফাইটার উড়ে যায় চট্গ্রাম বিমান বন্দরে
উদ্দেশ্য আক্রমন, একটি বিমান থেকে রানওয়ের মাঝে ফেলা হয় বোমা কিন্তু সে বোমাটি
বিস্ফোরিত হয় নাই। পরে ক্যানবেরা ২টি খরগপুরের দিকে যায় উড়ে।এই খবর জানাজানি
হলে তার কিছু ক্ষন পরেই ঢাকা বেজ হতে ৪ টি সেবর জেট খরগপুরের বেজ আক্রমন করে
ক্যানবেরা ২ টি দেয় ধ্বংস করে।এরপরে আবার তাদের সেবর জেট আক্রমন করতে গেলে
উড্ডিয়মান ভারতীয় ২টি হান্টার তাদের ধাওয়া করে।এবার পাকিস্তান তাদের ১টি সেবর জেট
হারায় (ভারতীয় দাবী)।
ভারতীয় হান্টার দিয়ে পাকিস্তানী সুপারিয়র সেবর ফাইটার জেট আক্রমন করার একটি ছবি
Source Click This Link
ঢাকার খুবই কাছে রেল লাইনের পাশে আমাদের গ্রামের বাড়ীর হওয়ায় মাথার ঠিক উপর দিয়ে
ঢাকা ময়মনসিং রেল লাইন বরাবর বেশ নীচু দিয়ে হান্টার দুটি উড়ে যাওয়ার সময় গোলাঘাট রেল
ব্রীজের উপর হতে দুজন মানুষ দিক বিদিক জ্ঞানশুন্য হয়ে নীচে নদীর পানিতে ঝাপ দিয়ে পরে।
তথ্য সুত্র https://songramernotebook.com/archives/10956
মাত্র ১৭ দিনের মাথায় তাশখন্দে লাল বাহাদুর শাস্রীর সাথে আয়ুব খানের চুক্তির ফলে যুদ্ধ যায় থেমে
তবে যুদ্ধ থেমে গেলেও দেশের বহু স্থানে হিন্দু- মুসলমান রায়ট যায় বেধে , মারা মারির চেয়ে জোড়
করে হিন্দুদের জায়গা জমি দখলের আয়োজন চলে বিবিধ প্রকারে যার কিছুটা বলা হয়েছে উপরে ।
সে সময় হঠাৎ করে একদিন বিকট শব্দ করে ইয়া বড় একটি হেলিকপ্টার মাথার উপরে চক্কর দিয়ে
নেমে পড়ে আমাদের স্কুলের খেলার মাঠে , এতবড় উড়ো জাহাজ এলাকার মানুষ জীবনেও দেখেনি
তাই মহুর্তেই দল বেধে গ্রাম হতে গ্রামান্তরের মানুষজন ছুটে আসে স্কুলের মাঠে হেলিকপটার দেখতে
হেলিকপটার হতে ইয়া বড় একজন সেনাপতি নেমে এসে হাত মাইকে দিলেন বেশ গরম এক ভাষন
বললেন যুদ্ধ শেষ, ভারত গিয়াছে হেরে এখন কোন মারামারি নয় শান্তি বজায় রাখতে হবে ঘরে ঘরে
সেনাপতির ভাষনের চেয়েও কাছ থেকে জীবনে প্রথম হেলিকপ্টার দেখার স্মৃতিটাই বেশী মনে পড়ে।
শৈশবকালেই টের পাই পাকিস্তানী উর্দু ভাষীদের শাসন শোষন বঞ্চনার বিষয়াবলি
ঢাকা হতে সৈয়দপুর গামী রেল গাড়ীতে যাতায়াতকারী বিহারীগন আমাদের বসার
সীট গুলি পুর্ব হতেই রাখত তাদের দখলে শুয়ে বসে বিবিধ প্রকারে, ট্রোনের টি টি
ড্রাইভার, গার্ড, রেল পুলিশ সবাই ছিল উর্দুভাষী বিহারী, ফলে তাদেরই ছিল দাপট
শোষণ বষ্ণনার সাথে এসব কারণও বাঙ্গালী মানষে জন্ম দিয়েছিল স্বাধিকার বাসনা
তাইতো ১৯৭১ এ স্বাধিনতার ঘোষনায় লাখো জনতা হাতে তুলে নিয়েছিল রাইফেল।
শৈশব হতে কৈশোরে পা দিতে না দিতেই দেখেছি দেশের শিশু কিশোরদের চেতনা
সে সব কাহিনী পরে কোন সময় বলা হবে যদি সামু মুক্তি যুদ্ধ নিয়ে কিশোর কালের
ব্লগারদের (যুদ্ধে অংশ গ্রহন ও দর্শনকারীসহ) স্মৃতি চারণের কোন আয়োজন করে ।
শৈশব ও বাল্যের আনন্দঘন দুরন্তপনার বৈচিত্রময় পথ মারিয়ে
কৈশোর থেকে যৌবন পেরিয়ে,বার্ধক্যের দোর গোড়ায় দাঁড়িয়ে
অন্তর্জালের পাতায় পাতায় এখন বিবিধ প্রকারে সারা দুনিয়া জুরে
অগনিত মানব মানবীর সাথে কথা চালাচালি করে কাটাই জীবন
বারে বারে শৈশবে ফিরে নানা রঙ্গের মধুময় স্মৃতিগুলি করি মন্থন
কামনা করি সেকালের দুরন্তপনার দিনগুলির হোক পুণরাগমন
সাথে ভাবি, বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখে যেই শৈশবটা থেকে পাড়ি দিলাম
আজ দু:খ একটাই কেনযে বড় হয়ে সেই প্রিয় শৈশবটাই হারালাম।
শৈশবের ফেলে আসা হারানোকে আবার ফিরে পাওয়ার তরে কত কি যে করি
এই তো সেদিন দিগন্ত প্রসারী সাগরের ডেউ তোলা জলে কিছু বন্ধুদের সনে
আনন্দ উচ্ছাসে ব্যাক পেইন ভুলে মেতে উঠেছিলাম শৈশবের স্মৃতি চারণে
এটা সহ শৈশবের কতেক স্মৃতিকথা সপে দিলাম ব্লগবাসী বন্ধুদের শ্রীকমলে।
ব্লগ কতৃপক্ষরের এই আয়োজন ব্লগবাড়ী সহ সামুর সকল ব্লগারকে চাঙ্গা করে
তোলবে মর্মে আশাবাদী হয়ে এতক্ষন ধৈর্য্য ধরে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
ছবি সুত্র :কিছু নীজের কিছু গুগল ও বিবিধ অন্তরজাল মাধ্যম হতে সংগৃহীত
১৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১:০৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পোষ্টটি চমৎকার অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
প্রত্যেকের স্মৃতি তার বরাবরই সুউচ্চ মিনার
তাইতো মানুষের জন্য গড়া হয় স্মৃতিস্তভ্য।
তিনি মানুষের স্মৃতিতে যত উচ্চ তার জন্য
স্মৃতি স্তম্ভও হয় তত উচ্চ ।
শুভেচ্ছা রইল
২| ১৮ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৫১
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: জনাব নিজের স্মৃতির ডায়েরীটা খুলে দিয়ে পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আগে ধন্যবাদ জানাই। অনেক ভালো লাগল জীবনের অতিচেনা সময়ের গল্পটি কাব্যিক রুপে উপস্থাপন করে প্রত্যেকটি অধ্যায়কে চিত্রায়িত করে গেলন কী এক নিপুন গাঁথুনিতে।
১৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১:১৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
শৈশবের এত হাজারো স্মৃতি
প্রতিটিই মনে গেথে আছে ।
সব গুলি দুরন্তপনা আর দুস্টামীতে
ভরা ,মানুষের সেবাতেও করেছি
কর্ম সেগুলিও কম বিচিত্রপুর্ণ ছিলনা।
কলেবর বড় হয়ে যাবে বলে সব হয়নি
বলা ।তবে মন্তব্যের ঘরে ফাকে ফাকে
আরো কিছু মঝাদার স্মৃতি কথা হবে বলা ।
সময় পেলে দেখে গেলে ভাল লাগবে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৩| ১৮ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: সাথে ভাবি, বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখে যেই শৈশবটা থেকে পাড়ি দিলাম আজ দু:খ একটাই কেনযে বড় হয়ে সেই প্রিয় শৈশবটাই হারালাম।
এই একটা কষ্টবোধ হয়তো সব বড়দের মনেই আছে।
দুই বছর বয়সে আপনি আচার মনে করে দাদুর মালিশের তেল/তারইন খেয়ে ফেলেছিলেন। সেই যাত্রায় ফিরে এসেছিলেন সবার আদর যত্ন আর প্রার্থনায়। আহা তখন চলে গেলে এমন বর্নাঢ্যময় জীবনের সন্ধান পেতেনই না।
ছোট্ট বেলায় বেশ দুরন্ত ছিলেন আপনি।
এটা একতা ব্যাতিক্রমধর্মী স্মৃতিকাব্য। ব্লগের পাতায় কেন আর কোথায় এত বিশাল ক্যানভাসের কবিতা আমার পড়া হয়নি। নিজের শৈশোবের সাথে মিলিয়েছেন কত শত পারিপার্শ্বিক স্মৃতি আর ইতিহাস। এক জীবনে কত চড়াই উৎরাই পেরিয়ে কতই না প্রায় ভুলতে বসা ইতিহাসের সাক্ষী আপনি।
দারুণ রঙ্গীন ছিল আপনার শৈশব।
এত ছোট করতে মন্তব্য করলে হয়তো আপনার লেখার প্রতি অবিচার করা হবে। তবে পড়তে পড়তে ভুলতে বসেছি- রেফারেন্স টানা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
কালকে ফের পড়ব। যদি সময় পাই সুযোগ থাকে তবে আবার মন্তব্য করব। বহুদিন বাদে ব্লগে আপনার স্বাচ্ছন্দ্য বিচরণে আমি দারুণ উৎফুল্ল।
ভাল থাকুন সুস্থ্য থাকুন।
১৯ শে মে, ২০২৩ ভোর ৪:২৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বয়স বাড়তে বাড়তে আর কিছু দিনের মধ্যেই শিশু হয়ে যাব,
তখন নাতি পুতিদের সাথে জমিয়ে শৈশবের সব খেলা ধুলা
করা যাবে , একমাত্র ফেকটর বিধাতা সেসময় পর্যন্ত বাঁচিয়ে
রাখলে হয় । জীবন চক্রে এটাই শেষের আগের স্তরের গতি।
তাই হারানো দিনগুলি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যথেষ্ট।
তবে দেশের আর্থ সামাজিক ও শহড়াঞ্চলসহ গ্রাম গঞ্জে প্রকৃতি
ও জীব বৈচিত্রের মধ্যে যে ভয়াবহ পরিবর্তন হচ্চে সে সাথে
আমাদের নব প্রজন্ম গ্রাম থেকে শহরে এমনকি লাখে লাখে
বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে নিয়ত তাদের কাছে আমাদের শৈশবের
কথা নিছক একটি কিচ্ছা কাহিনী বলেই মনে হবে ।
তবে সামুর এই মহতি উদ্যোগের কারনে শৈশবের স্মৃতিকথা
নিয়ে রচিত লেখাগুলি রয়ে যাবে সকলের গোচরে ।
হ্যাঁ আপনার বিস্তারিত মন্তব্যের আশায় রইলাম ।
শুভেচ্ছা রইল
৪| ১৮ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:১১
শেরজা তপন বলেছেন: তাড়াহুড়ো করে মন্তব্য করেছি- কিছু অনিচ্ছাকৃত টাইপোর জন্য দুঃখপ্রকাশ করছি।
১৯ শে মে, ২০২৩ ভোর ৪:৩২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মন্তব্য প্রকাশের পরে টাইপো সংশোধনের উপাই নেই বলে
মন্তব্যের ঘরে টাইপো এখন পান্তাভাতের মত মজাদার
উপাদেয় হয়ে গেছে । এটা আমারই বেশী হয় । তাই
এ নিয়ে হা পিত্যেশ করার কিছু নেই । বাক্যের গঠণ
হতেই বুঝা যায় কথার মর্মবানী , তাই বানান ভুল নিয়ে
করিনা টানাটানি, যা লেখা হয়েছে তাকেই সঠিক মানি।
শুভেচ্ছা রইল
৫| ১৮ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:১৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- বিচিত্র কোনো কারণে আপনার দেয়া ছবিগুলি আমি ইদানিং দেখতে পাচ্ছি না। বাকিরাকি দেখতে পাচ্ছেন?
১৯ শে মে, ২০২৩ ভোর ৪:৪২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার কম্পিটারে মনে হয় ছবি রিলেটেড
কোন দরকারী প্রোগ্রাম/এপস ইন্সটল করা
নেই কিংবা থাকলেও তা ইন একটিভ হয়ে
গেছে । আমি ছবিকে বড় করার জন্য ইমগোর
ব্যবহার করি । ইমগোর এপস কিংভা এডব
সঠিকভাবে আবপনার কম্পিটারে কাজ করছে
কিনা চেক করে দেখতে পারেন ।
যাহোক অপনি ছবি তোলা এবং সামুতে পরিবেশনে
আমার থেকে অনেক অনেক বেশী এক্সপার্ট । আশা
করি সমস্যাটি খুঁজে বের করতে পারবেন ।
অন্যরা তো ছবি দেখতে পাচ্ছেন , এখনো আর
কেও দেখেননি বলে জানান নি । দেখি অন্যরা
কি বলেন ।
যাহোক ছবি গুলি ছাড়াও বুঝা যাবে আমি যা
বলতে চেযেছি । একটু কষ্ট করে পড়ে নিবেন।
শুভেচ্ছা রইল ।
৬| ১৮ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৫২
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: অনেক অনেক স্মৃতি, ছন্দে ছন্দে দারুণ ভাবে ফুঁটিয়ে তুলেছেন, এক জীবনে কত যে স্মৃতি। আমিও ছবিগুলো দেখতে পাচ্ছি না।
১৯ শে মে, ২০২৩ ভোর ৪:৫০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার মন্তব্যে আমি আপ্লুত ।
জীবন বাড়বে ঘটনাও বাড়বে
তবে জীবন বাড়ার সাথে ঘটনা
স্মরণে আনার ক্ষমতা কমবে,
যাকে বলে বয়োবৃদ্ধি জনিত
কারণে মেমরি লস ।
আপনিও ছবি দেখতে পাচ্ছেন না
শুনে চিন্তিত হলাম ।
দেখি এ বিষয়ে ব্লগের এক্সপার্টগন
কি বলেন , সমস্যার সমাধান
প্রয়োজন ।
শুভেচ্ছা রইল
৭| ১৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:২৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,
কবিতাশ্রয়ী স্মৃতিকথার পরতে পরতে ছেলেবেলার অভিনব যতো ছবি!
এ ছবির সুখগাঁথা এ প্রজন্মের কাছে " ঠানদিদির থলে"র কিচ্ছা কাহিনীর মতোই আশ্চর্য্য মনে হবে।
ব্লগের পাতায় আপনার এই স্মৃতিকথা অমর হয়ে থাকবে তার জৌলুসে, তার বাস্তবতা- তার ইতিহাস নিয়ে।
যে দুরন্ত শৈশব আমাদের গেছে একদিন তা ফিরবেনা আর কখনো! দুঃখ, আমাদের নতুন প্রজন্ম এমন মাটি আর প্রকৃতির সাথে আমাদের আত্মীয়তার, আমাদের জীবনময়তার, আমাদের সুখ-দুঃখের পাঁচালীর সোয়াদ চেখে দেখার সুযোগ পায়নি কখনও। আর দেখবেনও না কারন - জীবন পাল্টে যাচ্ছে, পাল্টে যাচ্ছে মানবিক বোধ, পাল্টে যাচ্ছে প্রকৃতি, পাল্টে যাচ্ছে নিজস্ব বলে যা কিছু সব...................
শেরজা তপনএর মন্তব্য ভালো লেগেছে। ভালো লাগার মতো মন্তব্য হয়তো আসবে আরও।
সচিত্র বিশাল এই স্মৃতিকাব্যে ++++++++++++++++
শুভেচ্ছান্তে।
১৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:২৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অল্প কথায় ঘটনাবলী প্রকাশের জন্য কবিতাশ্রয়ী হয়াকেই বেশী উপযুক্ত ভেবে কবিতার ঢঙেই
স্মৃতি কথাগুলি প্রকাশ করেছি , ভাল লেগেছে জেনে খুশী হলাম ।
স্মৃতিময় দিনগুলির কিছু ছবি পুরানো এলবামে থাকলেও সেগুলি এখন আর দেখানোর মত
ভাল অবস্থায় নেই , ছবি দেখে চিনা ও বুঝা বেশ কষ্টকর আমার কাছেই , তাই খুঁজে খুঁজে
কতেক যুতসই ছবি লাগিয়েছি বিষয়টিকে ভালভাবে বোধগম্য করার জন্য ।
ঠিক্ই বলেছেন ছবির সুখগাঁথা এ প্রজন্মের কাছে " ঠানদিদির থলে"র কিচ্ছা কাহিনীর মতোই আশ্চর্য্য মনে হবে।
বাল্যকালে দক্ষিনারঞ্জন মিত্রের ঠাকুমার ঝুলী ও দাদা মশায়ের থলে কতবার যে পড়েছি তার নেই কোন জুড়ি।
সেখানে থাকা লীল কমল লাল কমল , রাক্ষস খোক্কস , ডাইনী , রাজরানী রাজকন্য রাজপুত্রদের ছবি কত যে
দেখেছি , সেগুলি পাঠের সময় নিজকে তো রাজপুত্রই ভেবে বসে থাকতাম ।
ব্লগের পাতায় আমার এই স্মৃতিকথা অমর হয়ে থাকবে শুনে গর্ব আনুভব করছি ।
ঠিক্ই বলেছেন যে দুরন্ত শৈশব আমাদের গেছে একদিন তা ফিরবেনা আর কখনো! দুঃখ, আমাদের নতুন প্রজন্ম
এমন মাটি আর প্রকৃতির সাথে আমাদের আত্মীয়তার, আমাদের জীবনময়তার, আমাদের সুখ-দুঃখের পাঁচালীর
সোয়াদ চেখে দেখার সুযোগ পায়নি কখনও। আর দেখবেনও না কারন - জীবন পাল্টে যাচ্ছে, পাল্টে যাচ্ছে
মানবিক বোধ, পাল্টে যাচ্ছে প্রকৃতি, পাল্টে যাচ্ছে নিজস্ব বলে যা কিছু সব...................
যুগ পাল্টে যাওয়ার এই যুগসন্ধিক্ষনে আমাদের নব প্রজন্মের শৈশবকালকে আরো কিভাবে প্রকৃতি নির্ভর
করা যায় তার চিন্তাভাবনা করতে হবে আমাদের সকলকেই । শহড় কেন্দ্রিক ছেলেমেয়েদেকে পারিবারিক
ও বিদ্যালয়ের উদ্যোগে মাঝে মাঝেই গ্রামীন এলাকায় পিকনিক বা ভ্রমনে নিয়ে গিয়ে দিন কতেক প্রকৃতির
সান্নিধ্যে অভিজ্ঞতা আর্জনের সুযোগ করে দিতে হবে । আর পরিবেশকেও করতে হবে শিশুবান্ধব । কিন্তু
বর্তমান বাস্তবতায় এ যে খুব সহজ কাজ নয় , মানুষের আর্থিক সঙগতি ও পরিবেশ সবকিছুই প্রতিকুলে
চলে যাচ্ছে । তা্ই বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন প্রয়োজন ।
শুভেচ্ছা রইল
৮| ১৯ শে মে, ২০২৩ রাত ২:০০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
খুবই মর্মান্তিক সময় আমরা পাড়ি দিয়েছি। যা কখনো বলে লিখে কাউকে বোঝানো যাবে না। হয়তো সম্ভবও না। বাংলাদেশের মানুষ কি পরিমাণ কষ্ট করেছেন! - বর্তমান প্রজন্ম জয়নুল আবেদীনের ছবিগুলো দেখলে হয়তো কিছুটা অনুভব করতে পারবেন।
৭১এ দিনের পর দিন ভাত না খেয়ে থেকেছি, কখনো কলের পানি চিড়া মুড়ি কখনো - - - থাক সেই সব দিনের কথা। রহমানুর রাহিম আল্লাহ পাকের কাছে প্রার্থনা করি আমাদের সন্তানেরা যেনো থাকেন দুধে ভাতে।
জীবন গল্পের কথামালা পড়ে বেশ ভালো লেগেছে। এই স্মৃৃতি শুধু আপনার নয়, আমারও। আপনি আমারই কথা লিখেছেন। লেখাটি যত্নসহকারে প্রিয়তে রইলো। আপনার শ্রমের প্রতিটি বাক্য আমার নিজের মনে হয়েছে।
স্মৃতিগল্পে +++
১৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ঠিক্ই বলেছেন খুবই মর্মান্তিক সময় আমরা পাড়ি দিয়েছি বিশেষ করে মুক্ত যুদ্ধকালীন দিনগুলিতে।
যারা সে রকম অবস্থার মধ্য দিয়ে যাননি তাদেরকে সহজে লিখে সেসব বোঝানো যাবে না।
বাংলাদেশের মানুষ কি পরিমাণ কষ্ট করেছেন তা বর্তমান প্রজন্ম জয়নুল আবেদীনের ছবিগুলো দেখলে
কিছুটা কেন ভালভাবেই অনুভব করতে পারবেন। জয়নুল আবেদিনের আঁকা বিখ্যাত ছবিগুলি সে
সময়ের মানুষের দু:খ কষ্টের একটি সার্বিক চিত্রই ফুটিয়ে তুলে ।
৭১ এ দিনের পর দিন ভাত না খেয়ে কলের পানি চিড়া মুড়ি খেয়ে কাটানো দিন গুলি লিখুন জানুক সকলে ।
আপনার মত আমও রহমানুর রাহিম আল্লাহ পাকের কাছে প্রার্থনা করি আমাদের সন্তানেরা যেনো থাকে
দুধে ভাতে সাথে মাস মাংস বাগানের টাটকা তরি তরকারীতে ।
জীবন গল্পের কথামালা পড়ে ভালো লেগেছে শুনে খুশী হলাম । আর এই স্মৃৃতি আপনারো জেনে
পুলকিত হলাম । লেখাটি প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভেচ্ছা রইল
৯| ১৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ৭:৩৯
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মনকে সত্যিই নষ্ট্যালজিক করে তোলে শৈশবকে মনে হলে, এখানে আমার সব থেকে কষ্ট লেগেছে শাপলার চলে যাওয়াটা। আর কোন দিন কি ওর দেখা পেয়েছিলেন?
.....................ভালো থাকবেন সব সময়।
২০ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:৩৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
শৈশব স্মৃতি আপনার মনকে নস্টালজিক করে তুলছে
নিশ্চয়ই ভিতরে যে আলোরণ চলছে তার সচিত্র
রুপায়ন আমরা শীঘ্রই দেখতে পাব সামুর পাতাতে।
আপনার এলাকার মাটির গন্ধ রূপ রস আমরাও
আস্বাদন করতে চাই আনন্দে ।
মেঘনা, শীতলক্ষ্যা, আড়িয়াল খাঁ ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ
তীর বিধৌত আপনার জেলার গল্প গাথা নিশ্চয়ই উঠে
আসবে শৈশবের প্রতি আপনার নস্টালজিক মনের
গহীন হতে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
১০| ১৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ৯:২২
সোহানী বলেছেন: ওমাইগড!!! কতদিনে লিখেছেন এ কাব্য! অনেকদিন পর মনে হয় এ লিখা!!
পুরোটা পড়ে শেষ করিনি। কয়েক পাতা পড়েছি। এর মাঝে বেশ কিছু ঘটনা মনে হয় আগেও পড়েছিলাম।
যাহোক, এমন সচিত্র শৈশবগাঁথা একমাত্র আপনার দ্বারাই লিখা সম্ভব। অসাধারন।
আপনার বই এর কথাতো বললেন না। কি অবস্থায় আছে?
২০ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:৫৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বেশী সময় লাগে নাই , এ সব কথাতো মনের মাঝে
জমেই ছিল , আর এই যে বলেছেন এর কিছু শুনেছেন
আগেই , কথা সত্য , সেখান হতেই কিছু তুলে নিয়ে
এসেছি , অনেক কিছুই পরিবর্তন পরিমার্জন করতে
হওয়ায় সেটা মুছে দিয়েছি । পরিমার্জনের মাত্রা বেশী
হওয়ায় পুণপোষ্ট বলা সঙ্ঘত মনে হয়নি । তাই সেটা
মুছে দিয়েছি । তবে আপনাদের মত কয়েক জনের
মন্তব্য গুলি মন থেকে যায়নি মুছে সেগুলি মনের গহীনে
রেখে দিয়েছি যতনে , জানি আপনারা সে কয়জন
এখানেও আসবেন ফিরে নতুন মন্তব্যর ডালা নিয়ে ।
আপনাকে বলা হয়ে উঠেনি । সামুতে থাকা আমার কিছু লেখা
নিয়ে দুটো বই বেরিয়েছে, এক পৃষ্ঠায় বাংলা তার পাশে পৃষ্টায়
ইংলিশ ট্রানসলেসন , বইগুলি প্রবাসী বাংলাভাষী যারা বাংলা
পড়তে জানেনা তাদের অনুরোধেই ইংলিশ ট্রানসলেশন করে
দেয়া হয়েছে । স্কুলে জিসিইসি লেভেলে সেকেন্ড ল্যাঙগুয়েজ
হিসাবে যারা বাংলাকে সাবজেক্ট হিসাবে নিতে চায় সেরকম
বাংলাদেশী প্রবাসীদের জন্য বই দুটি কিছুটা হলেও উপকারে
আসবে রেফারেন্স বই হিসাবে ।
আশা করি আপনার কৌতুহল কিছুটা নিবারণ হবে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
১১| ১৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ১০:১৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আপনার লেখা বা মন্তব্য নিয়ে কিছু বলার সাহস হয় না। মুগ্ধ হয়ে শুধু পড়ে যাই।
২০ শে মে, ২০২৩ রাত ৩:৪৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার মুগ্ধতাই আমার পরম প্রাপ্তি ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১২| ১৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ১০:৩৮
চারাগাছ বলেছেন:
অনেক বড় পোষ্ট। পড়তে কোন সমস্যাই হয়নি দারুণ লেখার কারণে।
এমনিতেই আপনার লেখার ভক্ত। স্মৃতিচারণ হলে তো কথাই নেই।
ছবি গুলো দেখতে পাইনি।
বলে রাখলাম এটা একটা অনবদ্য সৃষ্টি হয়ে থাকবে ব্লগের পাতায়।
২০ শে মে, ২০২৩ রাত ৩:৫৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
লেখাটি ব্লগের পাতায় অনবদ্য থাকবে শুনে ভাল লাগল।
ছবিগুলি অনেকেই দেখতে পাচ্ছেন আবার অনেকেই তা
দেখতে পাচ্ছেন না । মনে হয় ছবির জন্য আমি যে এপস
ব্যাহার করি তা যাদের মিলে যায় তাদের ডিভাইসে সেটা
দেখা যায় ।
যাহোক ছবিগুলিকে একটু ভিন্নভাবে মন্তব্যের ঘরে দিয়ে দেয়ার
প্রয়াস নিব যেন তা সকলের কাছে দর্শন যোগ্তা পায়। ছবিগুলি
দেয়া হয়ে গেলে জানান দিব , মনে হয় তখন এসে দেখে যেতে
পারবেন ।
শুভেচ্ছা রইল
১৩| ১৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:২৫
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
মনোযোগ দিয়ে পড়লাম পুরোটাই।
২০ শে মে, ২০২৩ রাত ৩:৫৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মনযোগ দিয়ে পুরোটাই পাঠ করার
জন্য নীজকে ধন্য মনে করছি ।
শুভেচ্ছা রইল
১৪| ১৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম।
অনেকদিন পর পোস্ট দিলেন। বহুদিন আগে লিখেছিলেন আম্রপলি নিয়ে। চমৎকার পোস্ট ছিলো। আজও ভুলিনি।
শৈশব নিয়ে সুন্দর লিখেছেন। মুগ্ধ হয়ে পড়লাম।
পোষ্টে আরেকবার আসবো। কে কি মন্তব্য করেছেন সেগুলো জানতে।
ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
২১ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:০৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ওয়ালাইকুম সালাম ।
হ্যাঁ , শরিরটা ভাল যাচ্ছিলনা বলে
আনেকদিন পরই পোষ্ট দিলাম ।
আম্রপালি ভুলেন নি শুনে খুশী হলাম।
শৈশবের লেখায় আপনার মুগ্ধতা আমার
মনে আনন্দের অবেশ ছড়িয়েছে ।
আবার এসে অন্যান্য পাঠকদের মুল্যবান
মন্তব্য দেখার আপেক্ষায় থাকলাম । কেমন
দেখলেন তার কিছুটা বলে গেলে ভাল লাগবে।
শুভেচ্ছা রইল
১৫| ১৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৩২
ঢাবিয়ান বলেছেন: অসাধারন গীতি কাব্য । ''নক্সি কাথার মাঠে '' র কথা মনে পড়ে গেল।
ছবি দেখতে পাচ্ছি। অসাধারন সব ছবি।
২০ শে মে, ২০২৩ ভোর ৪:১১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অসাধারণ মনে হওয়ায় অনুপ্রাণীত হলাম ।
ছবি দেখতে পারছেন শুনে আস্বস্ত হলাম ।
অনেকেই ছবি দেখতে পাচ্ছেন না বলে
জানাচ্ছেন। তাদের দেখার একটি উপায়
বের করতে হবে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১৬| ১৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৪
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: মৃত্যু ছাড়া জীবনচক্রের সকল স্তরই করেছি পার ধরে মুর্তী বিবিধ রকম
বর্ণিল জীবনের বৈচিত্রময় অভিজ্ঞতার ছাপ প্রতিটি লাইনে লাইনে।
বহুবিধ তথ্যের ভারে ভারী পুরো লেখাটি কাব্যলঙ্কারেও সমৃদ্ধ।
কোথাও কোথাও মনে হয়েছে এতো যেন আমারই জীবন থেকে নেয়া।
বিশেষ করে ঘুড়ি কাটা খেলায় হেরে গিয়ে বাইরে ঝগড়া করে এসে
আবার বাড়িতে মায়ের হাতে উল্টা মার খাওয়া আমার বেলায়ও ঘটেছে।
নিয়ম করে (অনিয়ম হবে আসলে)স্কুল কামাই দেয়া আমারও প্রিয় অভ্যাস ছিল।
এত এত তথ্যবহুল ঘটনার উল্লেখ আমাকে চমকৃত করেছে!
শৈশবের কি নাই লেখাটিতে? এক জীবনে এতো কিছু?
শিশু হয়ে এসেছিলেন, আবার শিশু হয়েই ফিরে যাবার কি সুন্দর প্রত্যাশা!
মরুভূমির জল দস্যু ভাই এর মতো আজকে এবং আগের পোস্টেও আমি কিন্তু সুন্দর ছবিগুলো দেখা থেকে বঞ্চিত হয়েছি, সাক্ষী দিয়ে গেলাম।
সুস্থ থাকুন।
ভাল থাকুন।
হ্যাপি ব্লগিং
২১ শে মে, ২০২৩ ভোর ৪:৩৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
লেখাটি কাব্যলঙ্কারে সমৃদ্ধ হয়েছে জেনে ভাল লাগল ।
শৈশবের সকলের স্মৃতি গুলিই ছিল দুরন্তপনায় ভরা
তাই এগুলির সাথে অনেকেরই মিলে যাওয়ার কথা
আপনার শৈশবকালটিও যে ছিল দুরন্তপনায় ভরা
ছিল তা বুঝাই যায় ।
শৈশবে ছুতোনাতায় স্কুল কামাই নিয়ম অনিয়মের
মধ্যে পড়ে কিনা সেটা বাছ বিচার করার সময়
কোথায় , মনে যা চায় তা করতে পারাটাই ছিল
তখন একটি চ্যালেঞ্জ , ঐ সমস্ত চ্যালেঞ্জ পাড়ি
দিয়ে যারা জীবনে সাফল্য পেয়েছে ধরে নিতে
হবে অনিয়মটাই হয়ত তাদেরকে সাফল্যের
সহিত চ্যালেজ্ঞ মোকাবেলা করার কৌশল
শিখিয়েছে , অনিয়মটাই তাদের জীবনে
কাজে দিয়েছে ।
হ্যাঁ এটাই কামনা করি
শিশু হয়ে এসেছিলাম ,
আবার শিশু হয়েই যেন
ফিরে যেতে পারি ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
১৭| ১৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৫
মিরোরডডল বলেছেন:
স্মৃতির পুকুরে চাইলেই ডুব দিয়ে মুহূর্তে অনেকদুর পর্যন্ত ঘুরে আসা যায় কিন্তু সেই স্মৃতি কথায় লিখে সেইসময়ের অনুভূতি প্রকাশ করা অনেক কঠিন। সেই কঠিন কাজটা কথার ফুল ঝুরির সাথে মিল রেখে ছবি দিয়ে কত সহজভাবে পোষ্টে উপস্থাপন করেছে আলী ভাই।
দুই বছরের বাচ্চাছেলের তারপিন খেয়ে ফেলা, সুযোগ বুঝে দাদার হুক্কায় দুটো টান, শাখামৃগের মতো গাছে গাছে দোল খাওয়া, আলী ভাইতো সেইরকম রক একটা দুষ্ট বাবু ছিলো। অবশ্য এরকম অস্থির চঞ্চল দুষ্ট মানুষকে আমি ভালো পাই, মানে আমার ভালো লাগে। নিজেও মনের মতো শৈশবটা উপভোগ করা আর সবাইকে দৌড়ের ওপর রাখা।
মাখনা বলেও যে কিছু একটা আছে ভুলতে বসেছিলাম, থ্যাংকস মনে করিয়ে দেবার জন্য।
যে শাপলা মালা হয়ে লুটেছিল গলে
বুঝতে তাকে পারিনি,পরে বুঝেছিনু ব্যথা যখন দানা বেধেছিল হৃদয় জুড়ে
হঠাৎ করে একদিন রাতের আঁধারে তারা সপরিবারে বিদেশ চলে গেলে
ভাঙ্গা ঘরের সাথে হারিয়ে গেছে এক জনা
খরি মাটি দিয়ে দেয়ালের গায়ে লিখে গেছে
ফের হবে দেখা পশ্চিমের কোন এক দেশে।
এই কি সেই মিনতি?
২১ শে মে, ২০২৩ সকাল ৭:২৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সুললিত মন্তব্যে আপ্লুত ।
বাল্যকালে কখন যে কিভাবে
হৃদয় মাঝারে স্থান করে নেয়
তা কেবল বিধাতায় জানেন ।
কিন্তু সে ভাল লাগা ধরা না দিয়ে
হারিয়ে গেলে মনে যে ব্যথার বীজ
রেখে যায় তা কেবল ভুক্তভোগীই
জানে। ছোটকালের ভাল লাগাকে
ধরে আনার জন্য কোশেষ করতে
গিয়ে মায়ের কাছে বকুনী খেয়ে
ছিলাম মা ব্যঙগ করে বলেছিল
নীজে শুয়ার জায়গা নেই তো
আবার বৈঞ্চবীক ডাকে , এর
পরে কি আর কিছু করার থাকে
বাল্যকাল বলে কথা ।
হ্যাঁ এই সেই মিনতি ।
সে আরো অনেক কথা ।
শুভেচ্ছা রইল
১৮| ১৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৫
মিরোরডডল বলেছেন:
ছবিগুলো সুন্দর।
কিছু ছবি নিজের, অনুমান করছি সেকেন্ড ছবিটা, মাখনা হাতে ছবিটা, নাগরদোলা আর শেষের সাগরের ছবি এগুলো কি নিজের?
সকল দুঃখ কষ্ট ভুলে, শৈশবের মতো এখনও আনন্দে কাটুক সময়, আলী ভাইয়ের চলার পথ আরও সুদীর্ঘ হোক, স্মৃতির ঝোলায় জমা হোক আরো দুরন্তপনা এই প্রত্যাশা।
২১ শে মে, ২০২৩ সকাল ৭:২৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ছবিগুলির বেলায় আপনার অনুমান সঠিক ।
দামনা করি তোমার প্রত্যআশার
বাস্তবায়ন হোক ।
নিরন্তর শুভ কামনা রইল
১৯| ১৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:২২
নীলসাধু বলেছেন: এ যে মহাকাব্য।
সত্যি শৈষব আমাদের সবার জীবনে এক মহা কাব্যই যেন।
কত কিছুর সাথে দেখা হলো যেন।
২১ শে মে, ২০২৩ সকাল ৭:৩৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
নীলসাধুর শুভাগমনে
এ পোষ্ট ধন্য হলো ।
পোষ্টটিকে মহাকাব্য
অনুভুত হওয়ায়
অনুপ্রাণিত হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল
২০| ১৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৪৭
কাছের-মানুষ বলেছেন: ছন্দে ছন্দে স্মৃতিচারন মুগ্ধ হলাম। জীবন বিভিন্ন পটপরিবর্তন এবং অবজারবেশোন উঠে এসেছে লেখায়।
আমার ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম।
২১ শে মে, ২০২৩ সকাল ৭:৩৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার মুগ্ধতায় ও ভাললাগায়
অনুপ্রাণিত হলাম । কাছের- মানুষ
এমনভাবে কাছে থাকলে যে কারো
জীবনের চলার পথ কুসুমাত্তীর্ণ হবে।
শুভেচ্ছা রইল
২১| ২১ শে মে, ২০২৩ ভোর ৬:৪৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
@ মরুভুমির জলদস্যু
@জ্যাক স্মিথ
@ চারা গাছ
@গেঁয়ো ভুত
আর অন্যদেরকেও বলছি , পোষ্টের ছবিগুলি
একটু ভিন্ন ভাবে ছোট করে দিলাম , দয়া করে
একটু কষ্ট করে দেখে বলবেন এবার দেখা যায়
কিনা । ছবিগুলি দেখা গেলে এডিট করে দিব ।
১. প্রচ্ছদ ছবি
২. দাদা মশায়ের থলেয় রাখা গল্পের ছবি
৩.দাদা মশায়ের হুক্কার ছবি
৪. শুপারী গাছের মগডালে উঠার ছবি
৫. গরুর লেজ ধরে সন্তরণের ছবি
৬ পদ্ম ফুল ও শাপলার ফলের ছবি
৭. পদ্ম ফল মাখনার ছবি
৮. পদ্ম ফুলের সাথে জুরে দেয়া মাখনার ছবি
৯. নাগর দোলার ছবি
১০ . ষ্কুল ফাকি দেয়ার কথামালার ছবি
১১. চাকতি দিয়ে কুমোরের হাড়ি পাতিল গড়ার ছবি
১২. পাঞ্জায় কুমোরের হাড়ি পাতিল পুড়ানোর ছবি
১৩. তাল পাতার ফালি দিয়ে গড়া পুতুলের বাসর ঘর
১৪.পাকিস্তানী সেবর জেটকে হান্টার ফাইটার প্লেনের দাওয়া
১৫. হেলিকপ্টারের অবতরণের ছবি
১৬. মুক্তি যোদ্ধার একটি ছবি
১৭. শৈশবের স্মৃতি বুকে নিয়ে পুরানো বন্ধুদের সনে সাগর জলে সিনান
২২| ২১ শে মে, ২০২৩ সকাল ১০:৫০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সর্বনাশ স্মৃতিচারণ মাশাআল্লাহ হইছে
এমন দুরন্ত জীবন আমারও কেটেছে । আমার শৈশব কৈশোর তারুণ্য জীবনটা খুব আনন্দের ছিল। এমন বর্ণাড্য আয়োজন আমিও যদি পারতাম করতে। কিন্তু সময় আমাকে দেয় না অবসর।
স্কুল পালিয়েছেন ছোট বেলা? সেখানে যদি ফেরত যাওয়া যেত।
২১ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৫৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
স্মৃতিচারণ সর্বনাশ হয়েছে বলেনকি সর্বনাসে কথা
আপনার জীবনটাও এমনি কেটেছে সেও আারেক
সর্বনাষি কথা লিখে ভরে ফেলুন ছবি কবিতায়্
পাঠে যেন হই ধন্য , হবেন সকলের কাছে গন্য ।
শুভেচ্ছা রইল
২৩| ২১ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:১৮
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: হ্যা, কমেন্টের সুন্দর ছবি গুলো দেখতে পাচ্ছি, তবে মূল পোস্ট এর ছবি গুলো এখনো দেখতে সক্ষম হয়নি।
২১ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:০৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আবার এসে দেখায় ধন্যবাদ
আমি পরীক্ষা করে দেখছি মুল
পোষ্টে কি করা যায় ।
শুভেচ্ছা রইল
২৪| ২১ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০১
শাওন আহমাদ বলেছেন: দুরন্ত শৈশব বলতে যা বোঝায় তার সবটাই আপনি উপভোগ করেছেন।
২২ শে মে, ২০২৩ রাত ২:৪৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
প্রত্যেকের শৈশবের মধ্যেই অনেক দুরন্তপনা আছে ।
বলে ফেলুন আমরা মন্ত্র মুগ্ধ হয়ে পাঠ করব ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২৫| ২১ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
imgor তো অনেক দিন থেকেই ঝামেলা করছে। সেখানেতো ঢোকাই যায় না বেশীর ভাগ সময়!! আপনি সেখানে ছবি লোড করছেন বলেই ছবি দেখতে পাচ্ছি না।
২২ শে মে, ২০২৩ রাত ২:৫৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আগেই বলেছি ইমগুর আমি ছবি বড় করার জন্য ব্যবহার করি । ইমগুরের ব্যবহার আমি এই ব্লগের গুণী
ব্লগারদের কাছ হতেই শিখেছি , তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই । সেই ২০১৬ হতে সামুর পাতায় অনেক ছবি
আমি ইমগুর ব্যবহার করেই দিয়েছি আমি কোন সমস্যা মোকাবেলা করি নাই ও অন্য কারো কাছ হতে ছবি
দেখতে পাওয়া যায়নি বলে তেমন কোন কথা শুনিনি । এই লম্বা সময়ের মাঝে ইমগুর তাদের সিসটেমকে
বেশ কয়েকবার আপডেট করেছে , তাদের অনুরোধে আমিও আপডেট করেছি । প্রতিবার আডডেট করার সময়
এর ব্যাহারের শর্তাবলীর সাথে সম্মতি প্রদান করার নিয়ম রক্ষা করেছি ।
সর্বশেষ ১৯ এপ্রিল, ২০২৩ এ, ইমগুর তাদের পরিসেবার শর্তাবলী পরিবর্তন করেছে এবং ঘোষণা করেছে যে
তারা "পুরানো, অব্যবহৃত এবং নিষ্ক্রিয় সামগ্রী যা ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টের সাথে সংযুক্ত নয়" মুছে ফেলবে।
সে সাথে তাদের পরিসেবার নতুন শর্তাবলী ( Terms and condition ) ১৫ মে, ২০২৩ থেকে কার্যকর করা
হয়েছে ।
এখন নতুন ব্যবহার বিধি অনুযায়ী ইমগুর আরো বেশী সহায়ক একটি ব্যবস্থা হিসাবে কাজ করবে তবে এর সুফল
পেতে হলে যথাযথভাবে ব্যবহার কারীর ডিভাইসে একে আপডেট করে নিতে হবে ।
অল্প কয়েকজন ব্যতিত অন্যরা ছবি দেখতে পারছেন ভাল করেই এবং সেটা বলেও গেছেন । যাহোক এটা বুঝা
যাচ্ছে ইমগুরের সিসটেমের সীমাবদ্ধতা নয় বরং এটা ব্যাবহার কারীর ব্যবহৃত ডিভাইসের মধ্য কোন কিছুর
ঘাটতি থাকতে পারে কিংবা নাও থাকতে পারে , এবিষয়ে আমার সঠিক কোন ধারণা নেই বলৈ জোড় দিয়ে কিছু
বলতে পারছিনা ।
অনুরোধ করেছিলাম ইমগুর ব্যবহার না করে মন্তব্যের ঘরে দেয়া পোষ্টের ছবিগুলি এখন দেখতে পারছেন
কিনা , কিন্ত আমারি দুর্ভাগ্য, সে সম্পর্কে আপনি কিছু বলেননি ।
যাহোক, আবার এসে এ বিষয়ে কিছু কথা বলার জন্য ধন্যবাদ ।
২৬| ২১ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
করুণাধারা বলেছেন: স্মৃতিচারণ অনন্যসাধারণ হয়েছে!
আপনার পোস্ট মানেই আমাদের জন্য উপহার। এখানে জীবনের নানা ঘটনার ছবি এঁকেছেন কবিতার মাধ্যমে। গর্ভাবস্থায় যে দুরন্তপনা শুরু হয়েছিল, তা দিনে দিনে কেবল বেড়েই চলেছে। দুই বছর বয়সে তারপিন তেল খাওয়া, আরেকটু বড় হয়ে দাদার হুক্কায় লুকিয়ে একটান দেয়া, তারপর পায়ে বেড়ি বেঁধে তরতরিয়ে গাছে ওঠা, নদীর জলে গরুর লেজ ধরে সন্তরণ, শাপলা শালুক তালমাখনা আহরণ... এভাবে নানা দুরন্তপনার মাঝে কৈশোর বয়সে উত্তরণ... বৈশাখী মেলা আর পূজায় আনন্দ আহরণ...
আবার এরই মধ্যে শৈশবে মায়ের কাছে হাতে খড়ি, দাদার সাথে পাঠশালা যাওয়া, পাঠশালার/ স্কুলের নানা স্মৃতিচারণ। আবার পঁয়ষট্টি সালের পাক ভারত যুদ্ধের স্মৃতিচারণের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন ইতিহাসকে, নবীন প্রজন্মের ব্লগাররা তা পড়ে সমৃদ্ধ হবেন। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি এনেছেন। এভাবে শৈশব, কৈশোর, যৌবন অতিক্রান্ত করে বার্ধক্যের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে পেছনের দিনগুলোর চমৎকার বর্ণনা করেছেন। আশ্চর্য লাগলো দেখে যে, আপনি লেখার সাথে সাথে মানানসই চমৎকার ছবি সংযুক্ত করেছেন!
অসাধারণ একটি পোস্ট উপহার দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
২২ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
লেখাটি অসাধারণ অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
এই বড় কলেবরের লেখাটি যে নিবিষ্টমনে আগাগুরা
পাঠ করেছেন তা মন্তব্য পড়েই বুঝা যায় ।
আপনার সুন্দর মন্তব্যে আমি আপ্লুত ।
লেখার সাথে মানানসই সই সংগ্রহ করে জোড়ে দিলে
বলতে চাওয়া বিষয় অপরের কাছে তুলে দেয়ার ক্ষমতা
কিছুটা বেড়ে যায় বিবেচনায় প্রসঙ্গিক ছবি জুরে দেয়ার
প্রয়াস নেই ,কারণ ছবিই অনেক সময় বেশী কথা কয়।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
২৭| ২২ শে মে, ২০২৩ সকাল ১০:৫০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমি মন্তব্যের ঘরের ছবিগুলি বেশ ভালো ভাবেই দেখতে পাচ্ছি। ধন্যবাদ।
২২ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ছবিগুলি এবার দেখতে পেয়েছেন জেনে খুশী হলাম ,
আমার পরিশ্রম স্বার্থক হয়েছে ।
শুভেচ্ছা রইল
২৮| ২৬ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০১
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া শ্রুতিধর কথাটা শুনেছিলাম। তুমি দেখছি তার বড় ভাই স্মৃতিধর!!!
কি মজার শৈশব ছিলো তোমার!!
তারপর সাকসেস.......
২৭ শে মে, ২০২৩ রাত ১:২৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এসে দেখে সুন্দর মন্তব্য রেখে যাওয়ায় ধন্যবাদ ।
আমি ম্মৃতিধর মানুষ আর হতে পারলাম কই,
আমি বড়জোর একজন স্মৃতি কাতর মানুষ ।
স্মৃতিধর মানুষ কাকে বলে জানতে হলে পড়ে
নিও (যদি এর মধ্যে পড়া না হয়ে থাকে ,তুমি
তো আবার বিদ্যাধরি , তাই তুমি সেটা পড়েছ
বলেই বিশ্বাস) বিশ্বসাহিত্য প্রকাশিত মিলু হাসান
অনুদিত পিটার বিকসেলের গল্প স্মৃতিধর মানুষ
বইটি , বুজবে স্মৃতিধর মানুষ কাকে বলে !!
শুভেচ্ছা রইল
২৯| ২৭ শে মে, ২০২৩ রাত ১:৫৩
শায়মা বলেছেন: না ভাইয়া এটা পড়িনি তো।
তবে অবশ্যই পড়বো!
২৭ শে মে, ২০২৩ রাত ৩:২৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
লিংক দিলাম
স্মৃতিধর মানুষ এর গল্পটি পড়ে রিতে পারবে । এটা একটা সঝার গল্প ।
৩০| ০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ৩:১৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার বর্ণাঢ্য শৈশবগাথা পড়ে মুগ্ধ হ'লাম। বিশেষ করে শৈশবের দুরন্তপনার কবিতাশ্রয়ী স্মৃতিকথাগুলো বেশি উজ্জ্বল, বেশি ভালো লেগেছে! + +
০৬ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৭:০৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
লেখাটি পাঠে মুগ্ধ হওয়ায় অনুপ্রানীত হলাম ।
লেখার কলেবরকে সংক্ষিপ্ত করার লক্ষ্যে জীবনে ঘটা স্মৃতিমাখা লম্বা কথনকে
স্বল্পমাত্রায় প্রকাশ করে আরো বেশী বাঙময় করার প্রয়াসে কবিতাশ্রয়ী হয়েছি।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
৩১| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ২:২৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: কাব্য কথায় স্মৃতি চারণ আপনার বৈশিষ্ট অনুযায়ী বড় লেখা এবং ছবির মাধ্যমে। একটা ইউনিক এম এ আলী প্রকাশ।
জলের সাথে বেশ ভাব ছিল আপনার।
জাম খাওয়ার কি আশ্চর্য চেষ্টা।
বাড়ির মানুষকে ভালোই দৌড়ের উপর রাখতেন বোঝা গেলো।
আহা প্রথম শাপলা প্রেম হারিয়ে গেল যুদ্ধ বিড়ম্বনায়। এমন অত্যাচার বিবেচনাহীন কাজকারবার রাজনীতির এখনও চলছে কত পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে ভালোবাসার কাছ থেকে।
অনেক ভালোলাগল স্মৃতি কথা।
২৫ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৫:৩৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মনযোগ দিয়ে লম্বা চওড়া লেখাটি পাঠ করে
সুন্দর একটি মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য
ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল
৩২| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:৫০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ডঃ এম এ আলী ভাই,
সালাম নিবেন। আশা করি আপনি পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো আছেন। আমিও পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো আছি। পর সমাচার এই যে, আপনি ডিম নিয়ে একটি মন্তব্য করেছেন। আপনার মন্তব্যটি আমি পড়েছি। সম্ভব হলে আপনি উক্ত মন্তব্যটি আরোও বিস্তারিত লিখে পোস্ট করে দিতে পারেন। তাহলে আমরা আলোচনা করার সুযোগ পাবো বলে আশা রাখি।
ভাইসাহেব, দেশে খাদ্যপণ্য যেইভাবে মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে এটি ভয়ানক কষ্টদায়ক বিষয়। অল্প আয়ের মানুষ ও মধ্যবিত্ত মানুষ মারাত্বকভাবে বিপদে পড়ে যাবেন। এই সমস্যাগুলো আমরা অতীতে দেখেছি। এই মুহুর্তে বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদন কাজের (কৃষি কাজের) কোনো বিকল্প নেই। হাঁস মুরগি ছাগল ভেড়া গরু মহিষ পালন সহ মাছ চাষ ও আবাদি অনাবাদি জমিতে ফসল উৎপাদনে যদি দেশের মানুষ সময় দেন, তাহলে এই মূল্যবৃদ্ধি আমাদের কোনো প্রকার ক্ষয়ক্ষতি করতে পারবে না, খাদ্যপণ্য ক্রয় ক্ষমাতার নাগালে চলে আসবে।
আসছে শীতের মৌসুমে দেশে প্রচুর শীতকালীন শাক সবজি চাষ হবে। দেশে আপাতঃ যেই খাদ্য সমস্যা দেখা যাচ্ছে তা থাকবে না বলে আশা রাখি - বাদবাকি আল্লাহ ভরসা।
ভাইসাহেব আপনি বাংলাদেশের সম্পদ। আপনাকে নিয়ে আমরা গর্ব করি। আপনার জন্য দোয়া করি আপনি ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন, আল্লাহ পাক আপনাকে নেক হায়াত দান করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ ও খাদ্য গ্রহণ করবেন, শরীরের যত্ন নিবেন। আপাকে আমার সালাম দিবেন।
ইতি
আপনার ভাই
ঠাকুরমাহমুদ
১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৩:০৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ব্লগের একটি পোষ্টে ডিম নিয়ে আমার একটি সাধারণ মন্তব্যের সুত্র ধরে
আমার ব্লগবাড়ীতে এসে যে মুল্যবান আনুরোধ করেছেন তার মর্যাদা
রক্ষা করা আমার জন্য একটি গর্বের বিষয় ।
কোন একটি বিষয়ের উপর পরিপুর্ণ পোষ্ট রচনা করা আমার জন্য
বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যপার । আপনি জানেনইতো আমার পোষ্টগুলি একটু
গবেশনাধর্মী হয় । তার জন্য প্রচুর তথ্য উপাত্ত ও ছবি সংকলন প্রয়োজন
হয় । আমি বিশ্বাস করি কনটেন্ট এনালাইসিসে পিকচার গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা
পালন করে । তাই জানিনা পোষ্টটি রচনায় কতটা সময় নিবে ।
তাছাড়া এই মহুর্তে আমি ইউকের এলডারলি পিপুল সাথে গৃহবাসী বেকার
রমনিকুল তার সাথে বাংলাদেশের হত দরিদ্র জনতাকে সম্পৃক্ত করে একটি
কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প দলীল প্রনয়নে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি ।
আমি ভাল করেই জানি আপনি গ্রামে গঞ্জে কৃষি উৎপাদন , সম্প্রসারণ ও বিপনন
সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপুর্ণ কাজে নিজকে নিয়োজিত রেখেছেন । আমি বিশ্বাস করি
সেই মন্তব্যের ঘরে ডিম নিয়ে আমি যা বলতে চেয়েছি তার মর্মার্থ আপনি বেশ ভাল
করেই উপলব্দি করেছেন । তাই আমি অনুরোধ করছি আপনি এই বিষয়ে ছোটখাট
একটি পোষ্ট দিলেও তাতে আমি মন্তব্যকারী হিসাবে মন খুলে বিস্তারিত অলোচনা
করব ।
আপনিসহ আপনার পরিবার পরিজনদের প্রতিউ আমার শুভেচ্ছা রইল ।
৩৩| ২০ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৮:৫৪
জুন বলেছেন: ওহ আলী ভাই আপনি এতদিন পর পর এক একটা পোস্ট দেন যে মনেই থাকে না আপনি কিছু লিখেন। আমি তো দেখি নাই আপনার এই শৈশব এর মায়াবী স্মৃতি মাখা পোস্টটি। একটা দুরন্ত বাচ্চা ছেলের কত গল্প লিখেছেন, মুগ্ধ আমি সীতাকুণ্ডে নিজের দুরন্ত শৈশবের কথা মনে করে।
আপনার স্মৃতির মত আমারও অনেক স্মৃতি আছে যেগুলো হাতড়ে বেড়াই মনে মনে। আপনার মতই বিশাল দিঘিতে ডুবে গিয়েছিলাম সাতার না জানা আমি। সহ সাতারুদের এক জনের পায়ে লাগায় সে যাত্রা বেচে যাই। সুপাড়ির বাকলে বসে মাঠের এ মাথা থেকে ও মাথা যেতাম বন্ধুরা টেনে টেনে নিত পালাক্রমে। কুমোর পাড়া দেখা হয় নি তবে সীতাকুণ্ড হিন্দু প্রধান এলাকাগুলো তে স্কুলের বন্ধু ছিল প্রচুর। তাদের সাথে কুমোরদের কাছে বসে দুর্গা, সরস্বতী বানাতাম। সবচেয়ে আনন্দ পেতাম গনেশের মুর্তি বানানোর চেষ্টায়। হাতে পায়ে কাদামাটি মেখে সারাদিন চেষ্টা করে এক হাত উচু সেই ব্যাকাত্যাড়া জিনিসগুলোকে আমরা বলে না দিলে কারো বোঝার সাধ্য ছিল না সেগুলো কি ছিল। রাত তিনটায় দরজা খুলে শিউলি ফুল কুড়ানোর জন্য বের হতেই আব্বা ধরে ফেল্লো। ভেবেছিলাম সকাল হয়ে গেছে আর বন্ধুরা সব ফুল কুড়িয়ে নিয়ে গেল বুঝি।আজ আর আমার মালা গাথা হবে না। এছাড়াও ভাইবোন থেকে কাজিনরা কাড়াকাড়ি করে ঠাকুর মার ঝুলি নিয়ে টানাটানি। বড় একজন পড়ে শোনাতো আর আমরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো চারিদিক ঘিরে সেই ডালিম কুমার আর তার পংখীরাজ ঘোড়ায় করে রাক্ষস খোক্কশ দের সাথে সাথে রাজকন্যাদের স্বপ্নের জগতে ঘুরতাম।
আহা সেই স্বর্নালী শৈশব যাকে আমি পেতে চাই সর্বস্ব দিয়ে।
আপনার লেখাটি অসাধারণ লাগলো। অনেক অনেক ভালো লাগা রইলো।
+
২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৪:১৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনিতো আপনি, আমি নীজেই ভুলে গেছি আমার বেশ পুরানো
পোষ্টে কেও এসে সুন্দর একটি মন্তব্য লিখে রেখে যাবে । নোটিশ
পাইনি বলে এসে দেখতে বিলম্ব হল ।
কুমোরদের সাথে বসে দুর্গা আর সরস্বতি বানাতেন বলেই না আজ
নীজেই সরস্বতি বনে গেছেন । কতনা আজানা আর জ্ঞানের কথা
সুন্দর সুন্দর পোষ্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানিয়ে দিচ্ছেন ।
মেয়েবেলায় আপনারতো দেখা যায় দুর্দান্ত সাহস ছিল, তা না
হলে কি কেও রাত তিনটায় দরজা খুলে শিউলী তলায় যাওয়ার
হিম্মত রাখে । রাতে নিশ্চয় শিউলি তলায় চাদনী রাতে ফুল
পরীদের সাথে দেখা সাক্ষাত হতো ,হয়তবা নীজেই ফুলপরী
হয়ে যেতেন । ঠাকুরমার ঝুলীতে থাকা রাক্ষস খোক্কস
নীলপরী লালপরীদের কাহিনী পাঠে মনোমধ্যে হয়ত নীলপরী
হওয়ার বাসনা নীশিরাতে শীউলী তলে গিয়ে পুর্ণতা পেতো ।
যাহোক এই সুবাদে আপনার ফেলে আসা শৈশবের কিছু কথা
জানা হল ।
শুভেচ্ছা রইল
৩৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২৯
জুন বলেছেন: আলী ভাই ছোট বেলায় আম্মা যখন দুপুরের ভাত ঘুমে তলিয়ে যেত সেই ফাকে ঘর থেকে বের হয়ে মার্বেল খেলতাম, ৫ পাউন্ডের এক কৌটা ভরা মার্বেল ছিল যার বেশিরভাগই আমার খেলায় জেতা ঘুড্ডি ওড়াতাম, সুতায় কাচ বেটে বেটে মাঞ্জা দিতাম। গাছে চড়তাম, পুকুরে ঝাপাই ঝুরতাম। কত যে দস্যিপনা করতাম তার হিসাব নিকাশ নাই। আম্মা উঠার আগেই ঘরে ফিরে হাত পা ধুয়ে, চুল আচড়ে এক্কেবারে ভদ্র তবে আম্মা ঠিকই ধরতো লাল লাল চোখ দেখে আর এগুলো যে কোন ভদ্র বা মেয়েলি খেলানা তা পই পই করে বুঝিয়ে দিত চুলের ঝুটি ধরে টেনে। আব্বা এসে রক্ষা করতেন আম্মার এইসব অনাবশ্যক শাসন বারন থেকে
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সে বেলায় মার্বেল দিয়ে আমিউ খেলতাম ।
আঙ্গুলের ডগায় রাখা মার্বেল ছুড়ে প্রায় ২০/হাত দুরে
থাকা প্রতিযোগীর মার্বেলে লাগিয়ে তা ফাটিয়ে দেয়াতে
যে কি আনন্দই না পাওয়া যেতো ।
অপনার দস্যিপনার তো দেখি ছিল আরো অনেক কান্ড কারখানা।
বাকি ছিল দেখা যায় খালে বিলে নদীতে নৌকা বাওয়ার কথাটিও
বলতে ভুলে যাওয়া , বাদ যাবে কেন, সেটাও লাগিয়ে দিলাম ।
শুভেচ্ছা রইল
৩৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১১
সোনালি কাবিন বলেছেন: জাস্ট অসাধারণ।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পোষ্টটি অসাধারণ অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল
৩৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৪
ধ্রুবক আলো বলেছেন: স্মৃতি বড় কষ্টের জিনিস।
কেমন আছেন ভাই?
০৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
নোটিশ পাইনি বলে বেশ পুরানো পোষ্টটিতে এসে দেখা হয়নি ।
বিলম্বিত উত্তরের জন্য দুঃখি্ত ।
ভাল আছি , আশা করি আপনিউ ভাল আছেন ।
নিরন্তর শুভেচ্ছা রইল
৩৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: একটি ঘোষণাঃ
অত্যন্ত বিনয় ও শ্রদ্ধার সহিত আমি এতদ্বারা জানাইতেছি যে গত সাত বছর সাত মাসে আপনার দ্বারা পোস্টকৃত মোট ১৮৬টি পোস্টের মধ্যে সব পোস্টই আমি গভীর মনোনিবেশ সহকারে পাঠ করার কাজটি সুসম্পন্ন করিয়াছি এবং যথাসাধ্য প্রাসঙ্গিক মন্তব্য করিয়া আলোচনাকে চলমান রাখার প্রয়াস পাইয়াছি। ইহার মাধ্যমে আমি প্রভূত আনন্দ লাভ করিয়াছি এবং অনেক অজানা তথ্য জানিয়া ও সচিত্র বর্ণনা দেখিয়া যারপরনাই উপকৃত ও সমৃদ্ধ হইয়াছি। এত চমৎকার সব পোস্ট লিখা এবং ব্লগে পরিবেশন করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাইতেছি।
প্রায় পাঁচ মাস হইতে চলিল, আপনার কোন নতুন পোস্ট পাই নাই। এমতাবস্থায়, নতুন একটি পোস্টের জন্য জোর দাবী জানাইতেছি।
উপরে উল্লেখকৃত আপনার ১৮৬টি পোস্টের মধ্যে অন্ততঃ দুইটি পোস্ট (যাহা অদ্যই পুনর্বার আমার চোখে পড়িল, প্রকৃত সংখ্যাটি আরও একটু বেশি হইতে পারে) আপনি আপন মহানুভবতা ও উদারতায় আমার মত একজন নগণ্য ব্লগারকে উৎসর্গ করিয়াছেন। ইহার জন্য আপনাকে গভীর কৃতজ্ঞতা জানাইতেছি।
বিনীত,
খায়রুল আহসান
১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:১৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার মত পরম শ্রদ্ধেয় গুণী ব্লগার আমার করা সবগুলি পোষ্ট
( ১৮৬ টি) পোষ্ট আপনার অতি ব্যস্ততাময় সময়ের মাঝেও পাঠান্তে
সেগুলির উপর মুল্যবান মন্তব্য দান করায় আমি নীজকে খুবই
সৌভাগ্যবান মনে করছি । এই ১৮৬টি পোষ্টের মধ্যে আবার প্রায়
অর্ধেক পোষ্টই বিশাল কলেবরের যা এই সামু ব্লগে পোষ্ট করা
পোষ্টের গড় আকারের চেয়ে প্রায় ১০/১২গুন বৃহত আকারের ।
শুধু কি তাই আপনি পোষ্ট পাঠের সাথে সাথে পোষ্টে থাকা সকল
পাঠক মন্তব্য ও তার উপরে আমার বেশ বড়সর জবাব সমুহ পাঠ
করে সুগভীরভাবে পর্যালোচনা পুর্বক সঠিক ভাবে মুল্যায়ন করে
আপনার সুচিন্তিত মন্তব্য দান করেন । এসকল বিষয়কে বিবেচনায়
নিলে নির্থিধায় বলতে পারি আমার একটি পোষ্ট পাঠ থেকে শুরু করে
তার উপরে সুচিন্তিত মতামত দানে কম করে হলেও প্রায় ঘন্টাখানেক
লেগে যায় । এই সময়ের মধ্যে সামুর পাতায় থাকা প্রায় ৮/১০টি
পোষ্ট পাঠ করে তার উপরে মন্তব্য দান আপনার পক্ষ্যে অসম্বব কোন
বিষয় নয় । এত লম্বা সময় ব্যয় করে আমার সকল পোষ্ট সমুহ পাঠ
করার জন্য কৃতজ্ঝতা জানাই ।
শুধু কি তাই আপনি আমার অনেক পোষ্টে একাধিকবার এসে পুণরায় পাঠ
করে মুল্যবান মন্তব্য রেখে যান , যথাসময়ে এমনকি আপনার করা মন্তব্য
সমুহের কোন নোটিশ পাওয়া যায়নি বলে সময়মত তা আমার দেখাও হয়ে
উঠেনি । তার পরেও কোন রূপ বিরক্তি প্রকাশ না করে আপনি আপনার
মহানুভবতায় আমার পুরানো পোষ্টে গিয়ে সেগুলি দেখেছেন । এটা একজন
ব্লগারের কাছে কতযে সন্মানের বিষয় তা ভাষায় প্রকাশের চেয়ে অনুভবের
বিষয় বেশী ।
অপনাকে উৎসর্গিত পোষ্ট সাদরে গ্রহণ করায় নীজকে গৌরবান্বিত মনে করছি ।
বিগত বেশ কিছুদিন যাবত চোখের সমস্যাসহ বিবিধ ধরনের শারিরিক আসুস্থতার
কারণে নতুন পোষ্ট দিতে পারছিনা । মেঝেতে পিছলে পরে ডানহাতের বাহুতে
কবজিতে ও মধ্য দুটি আঙ্গুলে ব্যথা নিয়ে লিখতে হচ্ছে । এটাও একটা কারণ ।
তবে পোষ্ট দিতে না পারলেও অনেক পোষ্টে বেশ বড়সর মন্তব্য লিখে নতুন পোষ্ট
দেয়ার সাধ মিটাই অনেকটা । অনেক পোষ্টে কবিতাকারে মন্তব্য লিখে কবিতা
লেখার ভাবনার প্রকাশ ঘটায়ে তৃপ্তি অনুভব করি । অনেকেই বলে থাকেন আমার
মন্তব্যগুলি নাকি এক একেকটি পোষ্টের সমান মর্যাদার দাবী রাখে , বেশ তাতেও
আমার তৃপ্তি আসে । লেখলেখিই আমার কাছে প্লেজার বা তৃপ্তিদায়ক সে নীজের
পোষ্টই হোক আর অন্য কারো ঘরে মন্তব্যই হোক । পাঠক সমাজে নীজ মনের
ভাবনা প্রকাশ করতে পেরেছি সেটাই আমার কাছে বড় প্রাপ্তি ।
যাহোক, আপনার অনুরোধকে সন্মান জানিয়ে নতুন একটি পোষ্ট অচিরেই দেয়ার
ইচ্ছা রাখি তবে লেখার স্লথ গতির কারণে এতে একটু সময় লাগবে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৪০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: স্মৃতির মিনার জুড়ে গেঁথে থাকা অনেক বিবরণ চমৎকারভাবে ছড়িয়ে দিয়েছেন ব্লগের পাতায়।