নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ পাঠক ও লেখক
( যারা পোষ্টে বড় ছবি দেখতে পারছেন না তারা দয়া করে এ পোষ্টের ২৬ নং মন্তব্যের ঘরে সকল ছবি দেখতে পারেন)
আমাদের দেশের বর্তমান নির্বাচনী ডামাডোল, নিশ্চয়তা ও অনিশ্চয়তার মাঝে বৈশ্বিক সংবাদ শিরোনামকে ছাপিয়ে মাত্র
দিন দুয়েক আগে বিশ্বের নামকরা তাবত মিডিয়ায় প্রকাশিত একটি সংবাদ শিরোনাম ছিল নিউজিল্যান্ডে নির্বাচনে জয়ী
অদ্ভুত পাখি পুটিকিটিকি ।
প্রতিবছর ভোটের মাধ্যমে সেরা পাখি নির্বাচন করে নিউজিল্যান্ড ৷ সে খবর খুব কম মানুষই জানতে পারেন ৷
কিন্তু এবার পুটিকিটিকির জয়ের কথা জেনেছে কমপক্ষে ১৯৫ টিরও বেশী দেশের মানুষ৷ এই সামুর পাতায়
ডানে কিংবা বায়ে অনেক সময়ই ডয়েচে ভেলের কিছু সংবাদ শিরোনাম ভেসে উঠে । সেখানে ক্লিক করলে
সংবাদটির বিস্তারিত দেখা যায় । সংবাদটি সেভাবেই আমি দেখেছি । আশা করি সংবাদটি আমার মত অনেকেই
দেখেছেন । পাখিটিকে নীজ চোখে অনেকবার দেখার সৌভাগের কারণে সংবাদটি নিয়ে আরো বিস্তারিতভাবে কিছু
তথ্য চিত্র সামুর অগনিত পাঠক কুলের সাথে শেয়ার করার মানসে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস ।
সংবাদ ভাষ্য হতে জানা যায় সারা দুনিয়ার ১৯৫ টি দেশের সাড়ে তিন লাখেরও বেশি মানুষ অংশ নিয়েছেন এই পাখি
নির্বাচনে৷ সাড়ে তিন লাখেরও বেশি ভেরিফায়েড ভোটের এ নির্বাচনে বিজয়ীর মুকুট উঠেছে অদ্ভুত স্বভাবের বৈচিত্রময়
পাখি পুটিকিটিকির শীরে ৷
বড় আদুরে স্বভাবের মজার উভচর পাখী পুটিকিটিকি ৷ এ কারণেই সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে তার নামে৷
সংবাদ ভাষ্যগুলি হতে জানা যায় নির্বাচনি প্রচারাভিযানে পাখিটির বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য অন্য পাখিদের চেয়ে বেশি
গুরুত্ব পায়, বৈশিষ্টগুলি হলো :
এক- পছন্দের সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে আকৃষ্ট করতে সে খুব সুন্দর করে নাচতে পারে,
ছবি-১ : সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে আকৃষ্ট করে পুটিকিটিকির নাচ
https://www.youtube.com/watch?v=98ceB5SPRXI&t=25s
এই বিশাল নির্বাচনি কাহিনীর পটভুমি হল প্রতিবছর দেশি পাখির বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে বর্ষসেরা পাখি নির্বাচন
করে নিউজিল্যান্ড ৷এর আয়োজনে থাকে ফরেস্ট অ্যান্ড বার্ড নামক একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানএ বছর প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ
উদযাপন করছে ফরেস্ট অ্যান্ড বার্ড৷নিজেদের শতবর্ষে পাখিদের শতবর্ষের সেরা নির্বাচনটাকে সার্থক করে দিলো
পুটিকিটিকি, এমনটিই বলা হয়েছে তাদের সংবাদ ভাষ্যে ।
পুটিকিটিকি না থাকলে কি নিউজিল্যান্ডের সেরা পাখি নির্বাচনে ১৯৫ টি দেশের মানুষ অংশ নিতো! সে বিষয়েও প্রশ্ন রয়েছে ।
এমন নির্বাচনে সাড়ে তিন লাখেরও বেশি ভোট কি পড়তো! সেখানেও রয়েছে পাখিটির বিষয়ে দৃষ্টি নন্দন বৈচিত্রময়ী প্রচারাভিযান !!
নির্বাচকদের কাছে এটাও প্রতিভুত হয়েছে মা বা বাবা হলে পাখিটি তাদের ছানাকে খুব সুন্দর করে লালন-পালন করতে পারে ।
ছবি ২- দুটি ছানাকে পিঠের পালকে মুরে পাখিটির পানিতে বিচরণ
শুধুই কি ছানাকে প্রতিকুল পরিবেশে নিরাপদে রাখা, ছানাকে তারা যত্ন করে খাওয়ায় ।
ছবি ৩ - মাছ শিকার করে ছানাকে খাওয়ানোর পুর্ব মহুর্ত
এই পাখিগুলি পরিবার বেষ্টিত হয়ে থাকতেও পছন্দ করে
ছবি ৪ - একটি পুটিকিটিকি পরিবারের ছবি
ছবি সুত্র : Peter Foulds/Royal Forest and Bird Protection Society/AP/picture alliance
পাখিটি খুব অদ্ভুত অদ্ভুত রহ রহ রহ শব্দ করে ডাকতে পারে
পাখিটি খুব অদ্ভুত অদ্ভুত রহ রহ রহ শব্দ করে ডাকতে পারে
https://www.youtube.com/watch?v=CHRXi1UoOCw
খ্যাতনামা ব্রিটিশ-অ্যামেরিকান কমেডিয়ান জন অলিভার ভূমিকা না রাখলে পুটিকিটিকি নামে যে এমন অদ্ভুত একটা পাখি
আছে তা বিশ্বের অনেক দেশের মানুষ হয়ত জানতেই পারতো না বলে বলা হয়েছে প্রায় প্রতিটি সংবাদ ভাষ্যেই ।
ছবি ৫- খ্যাতনামা বৃটিশ -আমিরিকান কমেডিয়ান জন অলিভার (একাধিক আন্তর্জাতিক মানের পুরস্কারপ্রাপ্ত কমেডিয়ান )
পুর্বেই বলা হয়েছে প্রতিবছর দেশি পাখির বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে বর্ষসেরা পাখি নির্বাচন করে নিউজিল্যান্ড ৷
বরাবরের মতো এবারও হয়ত অন্য কোনো পাখিই পেয়ে যেতো সেই স্বীকৃতি৷ কিন্তু ভোট প্রক্রিয়ায় দুর্বলতা চোখে পড়ায়
পুরো বিষয়টিকে বৈশ্বিক পর্যায়ে নিয়ে যান জন অলিভার ৷আমিরিকান টিভি শো এইচবিও-র জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘লাস্ট উইক
টুনাইট'-এ তুলে ধরেন অখ্যাত, অজ্ঞাত পাখি পুটিকিটিকির কথা। এ প্রসঙ্গে মনে বাজে আমাদের দেশের বর্তমান
রাজনৈতিক নির্বচনী প্রক্রিয়ায় দুর্বলতা ধরা পড়লে আমিরিকান কমেডিয়ানরা একে জানি কি পর্যায়ে নিয়ে যায় ,
যাহোক কামনা করি সবকিছু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হোক, তা না হলে বিপদ অনেক!!!
ছবি ৬ - John Oliver on the Tonight Show dressed as the pūteketeke
সুত্র : Click This Link
পাখিটির জয় নিশ্চিত করতে নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনের রাস্তায় লাগানো হয় বিশাল বিলবোর্ড,
ছবি ৭ - সেখানে লেখা ছিল ‘দ্য লর্ড অব উইংস'
কিন্তু ‘ডানাওয়ালাদের সম্রাট' শুধু নিউজিল্যান্ডের মানুষদের ভোট পেলে তো জিততে পারবে না৷
তাই প্যারিস, টোকিও, লন্ডন এবং মুম্বাইয়েও লাগানো হলো বিলবোর্ড৷ ব্রাজিলের ইপানেমা সমুদ্র সৈকতের ওপর দিয়ে
জন অলিভার এমন এক বিমান ওড়ালেন যার গায়ে বাঁধা ছিল সেই ‘দ্য লর্ড অব উইংস' লেখা ব্যানার(তথ্য সুত্র ডয়েচে ভেলে)৷
ছবি ৮ - ভোটাভুটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনেক জায়গায় পুটিকিটিকি সেজেই হাজির হন কমেডিয়ান জন অলিভার৷
উৎস : on The Tonight Show on Nov. 8, 2023.Todd Owyoung—NBC/Getty Images
বিখ্যাত উপস্থাপক জিমি ফ্যালনের ‘দ্য টুনাইট শো'-র মতো অনুষ্ঠানেও দেখা গেছে তাঁকে ।
ছবি ৯ - পুটিকিটিকির আদলেই দেখা গেছে জন অলিভারকে ৷
বাকিটা রেকর্ড ভোটে পুটিকিটিকির শতাব্দির সেরা পাখি নির্বাচিত হওয়ার ইতিহাস ৷সে ইতিহাস জানাতে গিয়ে
নিউজিল্যান্ডের ফরেস্ট অ্যান্ড বার্ড-এর প্রধান নির্বাহী নিকোলা টোকি বলেনঃ
"পুটিকিটিকি ‘বার্ড অফ দ্য সেঞ্চুরি' হওয়ার দৌড়ে শুরুতে ধারেকাছেও ছিল না ৷অনন্য চেহারা, সন্তান বড় করার
মিষ্টি ভঙ্গিমা এবং খাবার উগড়ানোর অদ্ভুত প্রবণতাই তাকে শেষ পর্যন্ত শীর্ষে তুলেছে৷"
এ বছর প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ উদযাপন করছে ফরেস্ট অ্যান্ড বার্ড৷ নিজেদের শতবর্ষে পাখিদের শতবর্ষের সেরা
নির্বাচনটাকে সার্থক করে দিলো পুটিকিটিকি৷
এখানে উল্লেখ্য যে এই পাখীটি পুরাতন বিশ্বে পাওয়া গ্রেব পরিবারের সবচেয়ে বড় সদস্য। এর কিছু প্রজাতি পৃথিবীর
বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করে।
ছবি ১০- International Union for Conservation of Nature
( IUCN) version 2019.2 অনুযায়ী পাখীটির বিশ্বব্যপি অবস্থান এর চিত্র
সুত্র - Click This Link
উল্লেখ্য পাখীদের অতীত বর্তমান ও সিজনাল মোভমেন্ট বুঝাতে ইংরেজীতে Extant, Extant breeding,
Extant resident and Extant non Breeding শব্দগুচ্ছ ব্যবহৃত হয় । এ শব্দগুলির মর্মার্থ নিন্মরূপঃ
Extant ( বিদ্যমান )
The species is known or thought very likely to occur presently in the area, usually encompassing
current or recent localities where suitable habitat at appropriate altitudes remains.
1. Extant Breeding
The species is/was known or thought very likely to occur regularly during the breeding season
and to breed.
2. Extant Resident
The species is/was known or thought very likely to be resident throughout the year
3. Extant Non- breeding
The species is/was known or thought very likely to occur regularly during the non-breeding season.
উপরের মানচিত্র হতে দেখা যায় বাংলাদেশের উত্তর পুর্বাঞ্চলের হাউর এবং পাহারী এলাকার লেক ও মুক্ত জলাসয়ে
পরিযায়ি পাখি হিসাবে এই পাখিটির বিচরনের সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে ,দেশের পাখি প্রেমী ও পাখি বিশারদগন এ
বিষয়ে দৃষ্টিপাত করতে পারেন ।
পুটিকিটিকি পাখিগুলি গড়ে ১৮ -২০ ইঞ্চির মত লম্বা হয়। এদের ডানার বিস্তার প্রায় ২৪-৩০ ইঞ্চি এবং ওজন ১ হতে
১.৫০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে (সুত্র উইকিপিডিয়া) ।
ছবি ১১ -পাখিটি তার সঙ্গীকে ডাকছিল যেটি তার দেখার বাইরে চলে গেছে। ছবিটি স্কটল্যান্ডের বার্ণি লেকে তোলা ।
ছবি ১২-স্কটল্যন্ডের উত্তরে উত্তর সাগর সন্নিহিত বার্ণী লেকের (লেক কে লচ হিসাবে অভিহিত করা হয়) মনোরম ছবি
ছবি- ১৩ - এটি একটি চমৎকার সাঁতারু এবং ডুবুরি পাখিও বটে যা ডুব দিয়ে পানির নিচে মাছ শিকার করে।
পাখিটি উচ্চস্বরে রহ-রহ-রহ রহ করে ডাকে যা পুর্বে ভিডিও লিংকে দেখানো হয়েছে ।
সুত্র Click This Link
এখানে উল্লেখ্য ফরেস্ট অ্যান্ড বার্ডের মতে, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া জুড়ে ৩০০০ এরও কম পাখি রয়েছে, তবে
কয়েক দশক আগে এই সংখ্যাটি আরও কম ছিল এবং তাদের সংরক্ষণ প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে এই সংখ্যা ক্রমাগতভাবে
বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে ফরেষ্ট এন্ড বার্ড উল্লেখ করেছে যে নিউজিল্যান্ডের ৮০% এরও বেশি দেশীয় পাখি হুমকি প্রজাতির
তালিকায় রয়েছে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য এই প্রজাতির কিছু পাখি ইতিমধ্যে
বিশ্ব প্রকৃতি হতে একেবারে বিলীন হয়ে গেছে।যথা নিন্মের চিত্রে দেখানো Alaotra grebe প্রজাতির পাখিটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
ছবি ১৪ -Alaotra grebe was one of the three species of lake endemic grebes that have gone extinct.
উপরের চিত্রে দেখানো পাখিটি সাম্প্রতিক বিলুপ্ত পুটিটিকিটি প্রজাতির পাখি যা মাদাগাস্কারের আলাওট্রা হ্রদ এর আশে
পাশের হ্রদের স্থানীয় বাসিন্দা ছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে বারাকুডা কিংবা আরো কিছু মাংসাশী মাছ তার আদি বাসস্থানে
প্রবর্তিত হওয়ার পর এই পাখিটি বিলুপ্ত হয়ে যায়।
ছবি ১৫ - বারাকুডা নামের একটি রাক্ষুসি মাছ অন্য মাছকে গিলে খাচ্ছে ।
শুধুমাত্র রাক্ষুসি মাছই এর বংশ নিধনের জন্য একাকী দায়ী নয় হিংস্র ঈঘল ও লেকের ধারে বনে জঙ্গলে বসবাস কারী
হিংস্র স্বাপদ প্রাণীকুলই এদের বংশ বিনাশের জন্য কম দায়ী নয় ।
যাহোক মাংসাসী প্রাণীকুল কারো কারো জন্য জীবনহানিকর হলেও তারাই আবার দুপায়ী প্রাণীকুলের জন্য হয় জীবনদায়ী।
অবশ্য দুপায়িরাও অনেক পাখি নিধনের জন্য কম দায়ী নয় । সে কথায় পরে আসছি ।
ছবি ১৬ - মাদাগাস্কারের এক মহিলা মাথায় করে একটি বারাকুডা রাক্ষুসী মাছ বয়ে নিয়ে যাচ্ছে জীবন জীবিকার তরে ।
নীজ চোখে দেখেছি বিপন্ন পুটিকিটিকি ছানা গুলিকে রক্ষা করতে সাহায্য করার জন্য স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহড়
সংলগ্ন একটি মনোরম জনপ্রিয় লচে ( লেকে) ভাসমান বায়ো-হ্যাভেন ইনস্টল করা হয়েছে ।
ছবি ১৭ -চিত্রটির বা পাশে লেকের মাঝখানে ভাসমান ও পাশে থাকা ধুসর ছবিটাই ভাসমান- বায়ো - হ্যভেন
ছবি ১৮ - যেখানে পাখিটি নিরাপদে তার ছানা গুলিকে ঈগলের হানা থেকে সুরক্ষা দিতে পারছে সহজে ।
দ্য ফ্রেন্ডস অফ গ্লাসগো'স লোকাল নেচার রিজার্ভস (এলএনআর) নামের একটি সংগঠন প্রায় ১৫০০০ পাউন্ড সংগ্রহ
করেছে পাঁচটি বিশেষ ভাসমান দ্বীপ স্থাপনের জন্য, ভাসমান দ্বীপে গাছপালা লাগানো হয়েছে যেখানে পাখিরা নিরাপদে
বাসা বাঁধতে পারে এবং তাদের বাচ্চাদের বড় করতে পারে।
গ্লাসগো সিটি কাউন্সিল, আরএসপিবি এবং সেভেন লচেস প্রজেক্ট স্বেচ্ছাসেবকদের সমর্থন করছে যারা বায়ো-হ্যাভেনস
কেনার জন্য MyParkScotland ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনুদান এবং ক্রাউড সোর্সড ফান্ডিং(Crowed sourced
Funding) পেয়েছে। প্রকল্পটি বিরল প্রজাতির সেই সমস্ত পুটিকিটিকিদের সুরক্ষা দিতে সহায়তা করে আসছে যারা
প্রতি বছর প্রজনন করতে এই লেকে আসে ।
অনেক কথাইতো হল বলা শতাব্দি সেরা নির্বাচিত পুটিকিটিকি পাখিটিকে নিয়ে। বিদেশী কার্যক্রম ও উদাহরণকে কিভাবে
আমরা কাজে লাগাতে পারি সে দিকটা দেখার জন্য এবার কিছুটা ফিরে তাকানো যাক আমাদের দেশে আসা পরিযায়ী
পাখিদের বিচরণ, নিরাপত্তা ও সেসাথে বিলুপ্ত প্রায় দেশীয় পাখিদের বিষয়ে কিছু প্রাসঙ্গিক কথামালায় ।
আমরা সকলেই জানি বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে আমাদের দেশের হাউর ও মুক্ত জলাসয়ে অগনিত পরিযায়ী পাখি
এসে আমাদের জীব জগতকে বৈচিত্রময়তায় ভরে দেয় ।
ছবি ১৯ : বাংলাদেশের হাকালুকি হাউরে আসা অগনিত পরিযায়ী পাখি
বিভিন্ন সংবাদ ভাষ্যেই জানা যায় হাকালুকি হাওরে নাকি অনিরাপদ পরিযায়ী পাখি। পাখি শিকারিদের কারণে দিন দিন
কমছে পাখির সংখ্যা। এতে হাওরের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছেন পরিবেশকর্মীরা।
পাখি শিকারিরা রাত-দিন নানাভাবে ফাঁদ পেতে, বন্দুক ও জাল দিয়ে হাওরে পাখি শিকার করছে। বিষটোপ খেয়ে পাখির
পাশাপাশি অনেক খামারির হাঁসও মারা যাচ্ছে।
এতো গেল এক দিক, আরেকদিকে দেশী শিকাড়ী পাখিও দিন দিন বিলুপ্ত হতে চলেছে ।
ছবি -২০ আমাদের অনেকের বাড়ীর আশেপাশেই এক সময় দেখা যেতো অগনিত শিকারি পাখি শকুন
জানা যায় বাংলাদেশের শিকারি পাখি (Raptors) সংরক্ষণের জন্য নিবেদিত একটি গ্রুপ রয়েছে ।
বাংলাদেশে এখন দেখতে পাওয়া শিকারি পাখিদের তথ্য-উপাত্ত এবং ছবি দিয়ে তাদেরকে সহযোগিতা করা যায় ।
বাংলাদেশের জাতীয় পাখি দোয়েলও যেন আজ হারিয়ে যেতে বসেছে ।
শিম,ঝিংগে কিংবা লাওয়ের মাচায় বা বাড়ির আঙিনায়-উঠানে যেপাখিকে নেচে খেলে চলতে দেখা যেত,আনাচে কানাচে
শিস বাজিয়ে মানুষের দ্বারপ্রান্তে থেকে মিষ্টি সুরে ডাক দিত, সেই পাখিকে আজ আর তেমন একটা দেখা যায় না। কেবল
বাংলাদেশ সরকারের দুই টাকার নোটেই কিংবা দোয়েল চত্তরের ভাস্কর্যেই এর দেখা মিলে ।
ছবি-২১ ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় ক্যম্পাসের গুরুত্বপুর্ণ পয়েন্ট দোয়েল চত্তরে থাকা দোয়েল পাখির ভাস্কর্য ।
ছবি ২২ - সবুজ প্রকৃতিতে জুড়ে থেকে মানুষকে বিমোহিত করা দোয়েল পাখিটা আজ কোথায় যেন হারিয়ে গেল!
একটা সময় ছিল যখন দোয়েল পাখির আনাগোনায় প্রকৃতি সৌন্দর্যময় ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠত। সকালবেলা সূর্য ওঠার
সঙ্গে সঙ্গে মিষ্টি সুরে ডাক পেড়ে মানুষের ঘুম ভাঙাত এই পাখি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, সাদা-কালো এ পাখি এখন আর
তেমন দেখাই যায় না।
দুঃখজনক হলেও সত্য, বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তন ও পোকামাকড়ের প্রাদুর্ভাব, মাটি, পানি ও বায়ুদূষণ, বনায়ন ধ্বংস,
অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও শিল্পায়ন, বন্যা, খরা ও লবণাক্ততার প্রাদুর্ভাবে জৈববৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন।
এদের যথাযথ সংরক্ষনে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে যথাযথ প্রকল্প এবং কর্মসুচী প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন করে।
মনে রাখতে হবে শুধু নির্বাচন ও ভোটই শেষ কথা নয় , সুন্দর ও নিরাপদ রাখতে হবে আমাদের সামগ্রিক জীববৈচিত্রকেও ।
এর সাথেই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে আমাদের জীবন ও জীবিকা ।
এতক্ষন ধৈর্য ধরে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।
তথ্য ও কথা সুত্র : ডয়েচে ভেলে , দৈনিক গার্ডিয়ান, ডেইলি টেলিগ্রাফ , বিবিসি , বিভিন্ন নিউজিল্যান্ড ওয়েবসাইট।
ছবি ও চিত্র সুত্র : উইকিডিডিয়া, গুগল অন্তর্জাল ও স্কটল্যান্ডের দুটি লেকে নীজ হাতে তুলা কয়েকটি ছবি।
এ ছাড়াও অনেক লেখা ও ছবি সুত্রই লিংক আকারে পোষ্টের লেখার সাথে যুক্ত করা হয়েছে ।
উৎসর্গঃ শ্রদ্ধেয় ব্লগার,লেখক ও কবি খায়রুল আহসান যিনি অতি সম্প্রতি সুনামগঞ্জের হাউর এলাকা
পরিভ্রমন করে এসেছেন,দেখেছেন সেখানকার বর্তমান জীববৈচিত্র, সে সাথে আমার সর্বশেষ পোষ্টে
মন্তব্যের ঘরে রেখে যাওয়া তাঁর একটি খোলা ইচ্ছা (ঘোষনা) প্রকাশের প্রেক্ষিতে দীর্ঘ দিনের খড়া কাটিয়ে
একটি শতাদ্বী সেরা পাখিকে নিয়ে এই পোষ্ট রচনা ও প্রকাশে ব্রতী হয়েছি ।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:১২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
প্রথম মন্তব্য দানকারী হিসাবে অশেষ ধন্যবাদ ।
এই জাতীয় পাখীর একটা বড় অংশই আমিরকা অঞ্চলে বসবাস করে বলে জানা যায় ।
বিদেশিদের পরিবেশ রক্ষা এবং জীব, প্রাণীদের নিয়ে করা আসাধারণ কাজগুলো
অনুসরন করে আমরাও যেন যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারি সেটিই মুল লক্ষ্য ।
শুভেচ্ছা রইল
২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:২৭
নজসু বলেছেন:
আস সালামু আলাইকুম প্রিয় ভাই।
অত্যন্ত ভালো লাগছে আপনার তথ্যসমৃদ্ধ পোষ্ট দেখে।
অবসরে খুবই মনোযোগ দিয়ে পড়বো ইনশায়াল্লাহ।
পছন্দ এবং কমেন্ট করার লোভ সামলাতে পারলাম না। তাই কমেন্ট করে রাখলাম।
প্রিয়তে।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:২২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ওয়ালাইকুম ছালাম ভাই ।
পোষ্টটি তথ্য সমৃদ্ধ হয়েছে জেনে ভাল লাগছে ।
পোষ্টটি প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা রইল
৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৩৫
সোহানী বলেছেন: এই প্রথম পুটিকিটিকি পাখির নাম শুনেছি। তবে সবচেয়ে বেশী আকর্ষনীয় মনে হয়েছে এ পাখির পরিবার প্রথা।
তবে পাখি বিশেষজ্ঞ আমার মেয়ে , সারাদিন পারলে পাখি নিয়ে পড়ে থাকে। তাকে জিজ্ঞেস করতেই পটপট করে সব বলে দিলো।
আর আমাদের দেশের কথা কি বলবো ভাই, দোষও দিতে পারি না ঠিকভাবে। এ ছোট্ট দেশে এতো প্রতিকূলতার মাঝে কোটি কোটি মানুষ বেচেঁ-বর্তে আছে। তারপরও বলবো, এ পাখি শিকার বন্ধ করার জন্য আরো আরো উদ্যোগ নেয়া খুব জরুরী। এতো এতো সুন্দর পাখিগুলো আসে মেহমান হিসেবে। সঠিক পরিকল্পনা নিলে পর্যটন শিল্প হিসেবে ভিন্ন মাত্রা আনতে পারে।
তবে পার্সোনাল অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। আমার মামা একসময় পাখী শিকার করতো। তখন প্রায় দেখতাম মামাকে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুরোধ করে নিয়ে যেত। আমি একবার খুব রাগ করেছিলাম মামার সাথে, কেন এদেরকে মারে। তখন মামা বললো, এ পাখিগুলো যখন যে ক্ষেতে বসে মূহুর্তেই সেখানের সব ফসল শেষ করে দেয়, যে জলাশয়ে আসে সেখানকার সব মাছ শেষ করে। একজন চাষীর জন্য এগুলো ভয়াবহ ক্ষতি। তাই তারা নাকি বাধ্য হয়ে তা করে।
যাহোক, অনেকদিন পর আপনার লিখা পেয়ে সাথে সাথে লগইন করলাম।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৫৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
একটি পরিবার যে সবচেয়ে শক্তিশালী প্লাটফর্ম
সে মুল্যবান কথামালা নিয়ে আপনি যে মুল্যবান পোষ্ট দিয়েছেন
তা তো বলতে গেল পৃথিবীর তাবত প্রাণী কুলের জন্যই প্রযোয্য ।
বলা হয়ে থাকে মাছের মায়ের আবার পুত্র শোক , কারণ মাছ চলন্ত
পানিতে হাজারে বিজারে ডিম ফুটিয়ে পারি দেয় দেশ দেশান্তর ,হারিয়ে
যায় নদীর বুকে, সাগরের গহীনে কে রাখে তার ছানা পোনাদের খবর ।
কিন্ত তা সর্বাংশে সত্য নয় । আমি দেখেছি বর্ষাকালে বিলের জলে
ষোল , গজার আর টাকি মাছ তার হাজার হাজার পোনা নিয়ে বিলের
কিনারে পানিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে । আর আমরা এদের খুুঁজ পেলে খোয়া
জাল দিয়ে ধরে নিয়ে আসতাম ঘরে । প্রায় এক ইঞ্চির মত লম্বা ষোল
মাছের পোনা জড়িয়ে থাকত তাদের মায়েকে ঘিরে। তা্ই বলা চলে
মাছেরো আছে পরিবার । ইলিশের মত তারাও থাকে দলে বলে আর
আমাদের জেলেদেদের হাতে ধরা পরে ঝাকে ঝাকে হাজার বিজারে।
আপনার মেয়ে পাখি বিশেষজ্ঞ জেনে ভাল লাগল । তার প্রতি রইল শুভেচ্ছা ।
পাখি শিকারের বিষয়ে আপনার পারসনাল অভিজ্ঞতার সাথে একমত পোষন
না করে উপায় নাই । একটা সময় ছিল যখন সমাজের বিত্তশালী লোকেরা
তাদের দোনলা লাইসেন্স করা বন্ধুক দিয়ে দেশী বক আর পরযায়ী পাখী শিকার
করাকে তাদের আভিজাত্যের প্রকাশ হিসাবে ভাবত , এটা ছিল অনেকের
কাছেই অতি শখের ব্যপার । যাহোক, এখন পাখি প্রেমীদের প্রচারণা ও
পরিবেশ বান্ধব হিসাবে বন্য পশু পাখি অতি প্রয়োজনীয় ও জীববৈচিত্র
বজায় রাখার মুল্যবোধে তারিত হওয়ায় শখের পাখি শিকার এখন অনেকটাই
বন্ধ , তাছাড়া বন্য পশু পাখি সংরক্ষন আইনতো দেশে আছেই , এবং এর
প্রয়োগ হচ্ছে অনেকটা। তবে এখনো সে সব আইনের প্রতি তোয়াক্কা না করে
বিবিধ ভাবে বন্য পশু পাখি নিধন প্রক্রিয়া চলছে দেশ জুরে দেদারছে।
যাহোক,পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পাখি কুল ও রক্ষা পাক সাথে কৃষকের
অতি কষ্টের ধন তাদের ফসলের মাঠ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় পাখি কুলের
কারণে । উপায় নিশ্চয়ই আছে ।
শুভেচ্ছা রইল
৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৩৯
কাছের-মানুষ বলেছেন: আমার পুটিকিটিকি পাখি সম্পর্কে জানা ছিল না।
পাখিটি সুন্দর, আর সব ছবিই দূর্দান্ত। দোয়েল পাখি সত্যিই কোথায় হারিয়ে গেল!
তথ্যসমৃদ্ধ পোষ্ট। ++
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পাখিটি সুন্দর আর ছবি দুর্দান্ত হয়েছে শুনে ভাল লাগল ।
দোয়েল পাখি আমাদের জাতীয় পাখি , এটা কোথায় কি ভাবে
কাদের কারণে হারিয়ে যাচ্ছে তা জানতে হবে জাতিকে ।
জাতীয় পাখিটিকে জাতীয় মর্যাদা দিয়ে দেখবাল ও রক্ষনাবেক্ষনের
উদ্যোগ নিতে হবে দায়িত্বশীলদেরকে । একে হারিয়ে যেতে
দেয়া চলবেনা প্রয়োজনে সারা প্রকৃতিকে অবরোধ করে রাখতে হবে!!!
শুভেচ্ছা রইল
৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৮
অপু তানভীর বলেছেন: অনেক দিন পরে আপনার পোস্ট পড়লাম । সকালের কফির সাথে এই পোস্ট দিয়েই আজকে দিন শুরু হল ।
পাখিটির নাম আপনার মত করেই আমিও ডায়েচে ভেলের পাতা থেকেই । তবে কেবল শিরোনাম আর ছবি দেখেছিলাম । আর কিছু নয় । আপনার পোস্টে বিস্তারিত পড়লাম । নামটাই বড় অদ্ভুত । প্রথম দর্শনে একটু যেন ভুল ভাবেই পড়ে ফেলি !
দেখতেও কেমন অদ্ভুত সুন্দর !
নিউজিল্যান্ডের এই আয়োজন চমৎকার একটা উদ্যোগ !
আমাদের দেশে আসলেই এখন কত পাখি যে দেখা যায় না । এমন কি আমরা যে পাখি গুলো স্কুলে থাকতে সব সময় চোখের আশে পাশে দেখেছি সেগুলো এখন কত কম দেখা যায় ! সামনের দিনে হয়তো আরো কম দেখা যাবে। শেষ কবে আমি দোয়েল পাখি দেখেছি সেটাই মনে করার চেষ্টা করছি !
তবে এখনও চড়ুই পাখি অনেক পরিমানে দেখা যায় । আমি আমার ঘরের জানালায় পাখিদের খাবারের জন্য কিছু খাবার দিয়ে রেখেছি । সকাল থেকে একেবারে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানে চড়ুই পাখির কিচিরমিচির লেগেই থাকে । শুনতে ভালই লাগে । মাঝে মাঝে অন্য পাখিও আসে !
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:১৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার মুল্যবান মন্তব্যটি এক নজর দেখে গেলাম ।
আমার এখানে এখন রাত গভীর । ঘুমে চোখ ঢুলু ঢুলু ।
পরে এসে আবার কথা হবে আপনার মুল্যবান মন্তব্যের
রেশ ধরে ।
এখন আয়েশ করে কফি পান করুন , দিনটি ভাল কাটুক
এ কামনাই রইল ।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বাকি মন্তব্যে গুলির জবাব দিয়ে ফিরে আসছি আবার ।
৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:১২
শেরজা তপন বলেছেন: (ফরেস্ট অ্যান্ড বার্ডের মতে, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া জুড়ে ৩০০০-এরও কম এ পাখি রয়েছে ~ এই তিনটা লাইন দুবার এসেছে। )
অনেক অনেকদিন বাদে আপনার পোস্ট দেখেই সকালটা সুন্দর হয়ে গেল! আপনার পোস্ট মানেই দারুন সব তথ্য আর ছবিতে ঠাসা এক অনবদ্য নিবন্ধ!
আমি ঢাকায় আমার বাসার আশেপাশে ইদানিং বেশ কিছু দোয়েল বুলবুলি ফিঙ্গে দেখতে পাচ্ছি। বাংলাদেশের মানুষ অনেক বেশী পশু ও পাখী প্রেমিক হয়ে উঠছে। আমার পাশের রাস্তায় একটা প্রাইভেট পশুর হাসপাতাল আছে সেখানে অপারেশন থিয়েটার থেকে শুরু করে বিড়াল কুকুরের আবাসনের জন্য এসি রুম পর্যন্ত আছে। ৭০০ টাকায় ১০০ গ্রাম বিড়ালের দুধ বিক্রি হচ্ছে।কিছু মানুষ রাস্তা থেকে পশু পাখি উঠিয়ে নিয়ে কত হাজার হাজার টাকা খরচ করে সেগুলোকে সুস্থ করে তুলছে আপনি শুনলে তাজ্জব হয়ে যাবেন ( আমি এই নিয়ে একটা লেখা দিব)।
এখন রাস্তা ঘাটে রাতের বেলায় মহিলারা ঘুরে বেড়ায় খাবার নিয়ে কুকুর বেড়ালদের খাওয়াবে বলে - আমি নিয়মিত দেখি রাস্তার কুরকে অনেক সুবেশী নারীদের গলায় জড়িয়ে ধরতে। বেজি দেখলে কেউ আর ঢিল দেয় না। পাখির বাসা তেমন আর কেউ ভাঙ্গে না- রাস্তা পাখি বিক্রি করা দেখলে হাজার হাজার লোক গালি দেয়- ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়ে তাদের পাষণ্ড বলে।
আমাদের আশে পাশের অনেক ছাদেই পাখির জন্য খাবার দিয়ে রাখে।
আপনি জানেন হাজার হাজার ভুবন চিল এখন আমিন বাজারের ময়লার ভাগাড়ে খাবার খায়? আমার মনে হয় একসাথে এত চিল আর কোথাও দেখতে পাবেন না!
অতিথি পাখি হত্যার জন্য এদের আগমন কমে গেছে এটা ঠিক নয়; এর মুল কারন সম্ভবত জমিতে ভয়ঙ্কর সব ক্যামিকেল কিটনাশক ও সার এর প্রয়োগ আর ক্যামিকেলযুক্ত মাছের খাবার সবকিছু পানিতে মাটিতে মিশে দুষিত হয়ে পরিবেশে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
আবার সোহানী আপু যেটা বলল, এইসব পরিযায়ী পাখিরাও কিন্তু আমাদের কম ক্ষতি করে না।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার এমন চমৎকার নিবন্ধের জন্য। তবে আমার কেন যেন মনে হচ্ছে শতাব্দীর সেরা পাখি হবার জন্য এর থেকেও অনেক চমৎকার পাখি রয়েছে।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পোষ্টটি মনযোগ দিয়ে পাঠ করে দিত্ব লেখাটুকুর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্য ধন্যবাদ ।
এডিট করে সংশোধন করে নিয়েছি । আপনার মুল্যববান মন্তব্যের বিষয়ে আলোচনা করার
জন্য পরে ফিরে আসব ।
এখন শুভেচ্ছা রইল ।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বাকি মন্তব্যে গুলির জবাব দিয়ে ফিরে আসছি আবার ।
৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৩
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো, তবে শত চেষ্টা করেও 'পুটিকিটিকি' নামক এই পাখিটির নাম উচ্চারণ করতে ব্যর্থ হলাম।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক কিছু জানা হল জেনে ভাল লাগল ।
পুটিকিটিকি এর সিলেবল ভেঙ্গে এভাবে
উচ্চারণ করা যেতে পারে পুটি-কি-টিকি।
৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৯
মিরোরডডল বলেছেন:
আলী ভাইয়ের কাছ থেকে যে কত অজানাকে জানি!!
যেমন আজ জানলাম এই পাখি সম্পর্কে।
পানির মধ্যে পুটিকিটিকি কাপলের রোম্যান্টিক বলরুম ড্যান্স কিন্তু সেইরকম ভালো লেগেছে
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এই পাখিতো অস্ট্রেলিয়ায় আপনার বাড়ীর কাছেই বসবাস করে।
কোন নামকরা লেকের ধারে গেলেই দেখতে পেতে পারেন একে।
পাখিদের বলডেন্স আসলেই দেখতে ভারি রোমান্সকর ।
অপনার মত করে পোষ্টে ভিডিউ লিংক দিলে দেখা যেতো ভাল করে ।
কিন্তু আমি জানিনা কেমন করে আপনার মত ভিডিউ লিংক যুক্ত করা যায় পোষ্টে।
একটু শিখিয়ে ;দিলে বাধিত হবো ।
শুভেচ্ছা রইল
৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: চমৎকার তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট। সঙ্গিনীকে আকর্ষন করার নাচের দৃশ্য অসাধারণ!
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পোষ্ট তথ্য সমৃদ্ধ হয়েছে জেনে ভাল লাগল ।
সঙ্গিনীকে আকর্ষন করার নাচের দৃশ্য
সত্যিই অসাধারণ , এরা এই নাচ শিখল
কেমন করে তাই শুধু ভাবি !
শুভেচ্ছা রইল
১০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৯
নতুন বলেছেন: নতুন বিষয়ে জানলাম। আপনার পোস্ট মানেই নতুন কিছু শেখা...
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার প্রসংসায় আমি আপ্লুত ।
অনেক অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম ।
শুভেচ্ছা রইল
১১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পাখির কোন ছবি দেখা গেল না। তথ্যবহুল পোস্ট।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পোষ্ট তথ্যবহুল হয়েছে শুনে ভাল লাগল ।
ছবিগুলি দেখতে পাননি বলে দুঃখিত ।
ইমো ব্যবহার করে ছবি বড় করেছি বলে
হয়তবা দেখতে পাননি । যারা তাদের
লেখলেখির ডিভাইসে কোন সময়েই
ইমো এপস ব্যবহার করেন না তাদের
পক্ষে সম্ভবত এমন ছবি দেখা যায় না ।
যাহোক ছবিগুলিকে স্বাভাবিক সাইজে
মন্তব্যের ঘরে দিয়ে দিব । দেয়া হয়ে গেলে
আপনার ব্লগে গিয়ে জানান দিব । তাহলে
আরো যারা ছবি দেখতে পারননি তারাও
দেখতে পাবেন ।
যাহোক কষ্ট করে আবার এসে দেখে গেলে খুশী হব ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
চমৎকার একটি ফিচার।
ব্যারাকুডা মাছগুলোর ভিড়ে পুটিকিটিকি পাখী কি করে হ্রদে নামে তা জানার ইচ্ছা থাকলো। এই মাছগুলো কি পাখীটির প্রিয় খাবার?
পুটিকিটিকি নামটি অদ্ভুত। মাওরী গোত্রের প্রধানগণ এবং সেই গোত্রের যোদ্ধারা মাথায় যে শিরস্ত্রান পড়েন সেগুলোকে টিকিটিকি বলা হয়। সেই নাম থেকেই কি 'পুটিকিটিকি' নামটা এসেছে?
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ফিচার চমতকার হয়েছে শুনে ভাল লাগল ।
এই মাছ কিভাবে পুটিকিটিকি ( জেনেটিক নাম grebe)
বিলুপ্ত করেছে তা আমার কাছেও একটি বিষ্ময় ।
নীচের লিংকটি ফলো করে দেখে আসতে পারেন
How Little African grebe becomes extinct
https://phys.org/news/2010-05-african-grebe-extinct.html
সেখানে এর বিলুপ্তির কারণ হিসাবে Predatory fish এর কথা বলা হয়েছে ।
Predatory fish বিষয়ে বিষদ জানতে গিয়ে উইকিপিডিয়াতে এই রাক্ষুসী জাতের
মাছের তালিকায় বারাকুডা মাছের নাম ও ছবিটি দেখতে পাই , তাই একটি দৃষ্টান্ত
হিসাবে বারাকুডা মাছের ছবি যুক্ত করেছি । হয়তবা অন্য কোন রাক্ষুসী মাছও হতে
পারে ।
Predatory fish are hypercarnivorous fish that actively prey upon other fish or
aquatic animals,with examples including shark, billfish, barracuda, pike/muskellunge,
tuna, dolphinfish, walleye, perch and salmon.
সুত্র https://en.wikipedia.org/wiki/Predatory_fish
এটার নাম পুটিকিটিকি কিভাবে হল তা জানার বেশ কৌতুহল ছিল ।
আপনার দেয়া তথ্য হতে এই কৌতুহলের উপসম হল ।
এর জন্য ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা রইল
১৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫২
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমেরিকারন কমেডিয়ানরা বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে মাঠে নামলে একদম দফারফা হয়ে যাবে।
তবে, আমার কাছে কানাডিয়ান কমেডিয়ান রাসেল পিটার্সকে দারুণ লাগে!
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ঠিকই বলেছেন আমেরিকারন কমেডিয়ানরা বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে মাঠে নামলে একদম দফারফা হয়ে যাবে।
কানাডিয়ান কমেডিয়ান রাসেল পিটার্সকে জানার জন্য প্রচেষ্টা নিব । আশা করি তাঁর সম্বর্কে আরো বিশদ জেনে
এই গুণি কমেডিয়ানকে ভাল করে জানতে পারব ।
শুভেচ্ছা রইল
১৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর বিষয় নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছেন?
এই পাখি দেখতে অনেকটা বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া পাখি ডোডো এর মতো। এই পাখির জাত বাংলাদেশে শীতকালে দেখতে পাওয়া যায় নদী, খাল বিলে।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনিতো ভাল ছবি তোলেন ।
বাংলাদেশে শীতকালে নদী খাল বিলে এই
পাখিটি দেখতে পেলে এর ছবি তুলে জানালে
বাধিত হব ।
শুভেচ্ছা রইল
১৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৪
নজসু বলেছেন:
সত্যি বলতে কি পুটিকিটিকি নামটা আমি প্রথম আপনার এই পোষ্টেই অবগত হলাম। এই নামে যে কোন পাখি থাকতে পারে, তা আমার অনুমানের বাহিরে ছিলো। তবে নামটা অনেক সুন্দর এবং বিচিত্র-পুটিকিটিকি।
পাখির নির্বাচন বিষয়টা সম্পর্কেও অজ্ঞাত আমি। সত্যি অনেক কিছুই জানা নেই আমার। প্রতিবছর দেশি পাখির বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে বর্ষসেরা পাখি নির্বাচন করে নিউজিল্যান্ড৷ খুবই প্রশংসনীয় কাজ।
আপনাকে ধন্যবাদ দিতে চাই অদ্ভুত সুন্দর চোখ ধাধানো ছবিগুলোর জন্য।
দুপায়ী অসভ্য প্রাণীরা যেমন পাখি নিধন করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে, তেমনি দুপেয়ে কিছু সভ্য প্রাণী সুন্দর সুন্দর পাখিদের খাঁচায় বন্দী করে নিজেদের মানসিক ভারসাম্য নষ্ট করছে।
প্রিয় ভাই, আমি সবসময় বলি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানের সম্প্রাসারণ ঘটে আপনার পরিশ্রমী পোষ্টগুলো থেকে। আপনার প্রতি সবসময়ে কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পুণরায় এসে সুন্দর করে কথা বলে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
পশু পাখী নিধন না করার বিষয়ে এখন মানুষের মধ্যে
পুর্বের চেয়ে অনেক বেশী সচেতনতা এসেছে ।
বিষয়টি উপরে শেরজা তপন সুন্দর করে
উপমা সহকারে বলেছেন ।
আপনার জানার পরিধি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাক
এ কামনাই করি ।
শুভেচ্ছা রইল
১৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৭
মিরোরডডল বলেছেন:
কিন্তু আমি জানিনা কেমন করে আপনার মত ভিডিউ লিংক যুক্ত করা যায় পোষ্টে।
ইউটিউব এই লিংক ওপেন করে, সেটা থেকে শুরু করি।
এই গানের লিংকটা দিয়ে ট্রাই করবো।
ইকোয়ালের পরের অংশটুকু কপি করবে, এটা eEaQ586gEwk
প্রথমে first bracket এটা [
এরপর টাইপ yt
এরপর স্ল্যাশবার |
তারপর লিংকের কপি অংশটুকু eEaQ586gEwk
এরপর unbracket ]
কেমন হবে দেখতে বোঝার সুবিধার জন্য এটা এখানে স্পেস দিয়ে দেখাচ্ছি কিন্তু শেয়ার করার সময় কোন স্পেস হবে না।
[ yt | eEaQ586gEwk ]
আশা করি এবার হবে, আলী ভাই।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পক্রিয়াটি শেখানোর প্রয়াসের জন্য ধন্যবাদ ।
আপনার দেখানো পথে চেষ্টা করে দেখেছি ।
নীচে মন্তব্যের ঘরে গেলে দেখতে পাবেন ।
কিন্তু এ পদ্ধতিটি কেন কাজ করেনি বুঝতে
পারছিনা ।
জানিনা কি ভুল আমার হয়েছে ।
এছাড়া আরো কোন পন্থা থাকলে জানালে
বাধিত হব ।
শুভেচ্ছা রইল
১৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫০
মিরোরডডল বলেছেন:
এই গানটা দিলাম এখানে। এভাবে করে আলী ভাই লিংকগুলো দিতে পারে।
২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৪৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
গানটি মুগ্ধ হয়ে শুনলাম ।
এই ভিডিউ লিংকটি
এখানে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
১৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
[ yt | eEaQ586gEwk ]
২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৫১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ট্রায়াল কেইস , সফল হয়নি
১৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
[ yt | eEaQ586gEwk ]
২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৫৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ট্রায়াল কেইস সফল হয়নি
২০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এটি অবশ্যই একটা অসাধারণ পোস্ট। ধন্যবাদ চমৎকার পোস্টের জন্য।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পোষ্টটি আসাধারণ অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা রইল
২১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩২
মিরোরডডল বলেছেন:
আলী ভাই, স্পেস দিয়ে দেখিয়েছি বোঝার জন্য কিন্তু ওখানে এরকম কোন স্পেস হবে না।
[ yt | eEaQ586gEwk ]
স্পেস ছাড়া হবে এরকম
২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৪৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার পরামর্শ ও নির্দেশনা অনুযায়ী তৃতীয় বারের চেষ্টায় সফল হয়েছি ।
ধন্যবাদ
২২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৫
মিরোরডডল বলেছেন:
[ yt | eEaQ586gEwk ] এই যে ব্র্যাকেটের পরে বা আগে যে স্পেস এটা হবে না, বার এর আগে পরে নো স্পেস।
এটাই সবচেয়ে ইজি ওয়ে।
please let's try one more time.
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ , এবার হয়েছে ।
অস্ট্রেলিয়া বিশ্ব কাপ ক্রিকেটে আজ চ্যম্পিয়ন হয়েছে ।
নিশ্চয়ই সেখানে এখন বিশেষ সেলিব্রেশন হচ্ছে ।
অস্ট্রেলিয়ানবাসীর আনন্দ এখান হতেই টের পাচ্ছি ।
শুভেচ্ছা রইল
২৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
২৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৪
মিরোরডডল বলেছেন:
Congratulations আলী ভাই!
you did very well
২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৫৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
Congratulations অন্তরের অন্তস্থল হতে গৃহীত ।
বিষয়টি শিখানোর জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
২৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩০
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
রাসেল মানুষকে খুব পচাতে পারে।
আরবদের সম্পর্কে তাঁর এই কমেডিটা খুব বিখ্যাত!!! ----
২০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
লিংকটি দিয়ে ভাল করেছেন ।
এর বিষয়ে খুঁজ নিয়ে দেখলাম
ধর্ম বিশ্ব্সের প্রতি এই লোকের
বিশ্বাস নাই , সে কেবল কর্মে বিশ্বাসী ।
এধরনের লোক মানুষকে পচাতে
কোন বেগ পাবেনা । যাহোক দেখা
যায় এর বেশ জনপরিচিতি রয়েছে ।
আপনার প্রতি শুভেচ্ছা রইল
২৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:০৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
@ সেলিম আনোয়ার
এবং
মুল পোষ্টে যাঁরা বড় করে দেখানো ছবি দেখতে পারছেন না তাঁদের জন্য এখানে ছোট করে ছবি দেয়া হল ।
প্রচ্ছদ ছবি
ছবি ১- পছন্দের সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে আকৃষ্ট করতে সে খুব সুন্দর করে নাচতে পারে,
ছবি ২- দুটি ছানাকে পিঠের পালকে মুরে পাখিটির পানিতে বিচরণ
ছবি ৩ - মাছ শিকার করে ছানাকে খাওয়ানোর পুর্ব মহুর্ত
এই পাখিগুলি পরিবার বেষ্টিত হয়ে থাকতেও পছন্দ করে
ছবি ৪ - একটি পুটিকিটিকি পরিবারের ছবি
ছবি ৫- খ্যাতনামা বৃটিশ -আমিরিকান কমেডিয়ান জন অলিভার (একাধিক আন্তর্জাতিক মানের পুরস্কারপ্রাপ্ত কমেডিয়ান )
ছবি ৬ - John Oliver on the Tonight Show dressed as the pūteketeke
ছবি ৭ - সেখানে লেখা ছিল ‘দ্য লর্ড অব উইংস'
ছবি ৮ - ভোটাভুটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনেক জায়গায় পুটিকিটিকি সেজেই হাজির হন কমেডিয়ান জন অলিভার৷
বিখ্যাত উপস্থাপক জিমি ফ্যালনের ‘দ্য টুনাইট শো'-র মতো অনুষ্ঠানেও দেখা গেছে তাঁকে ।
ছবি ৯ - পুটিকিটিকির আদলেই দেখা গেছে জন অলিভারকে ৷
এর কিছু প্রজাতি পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করে
ছবি ১০- International Union for Conservation of Nature
( IUCN) version 2019.2 অনুযায়ী পাখীটির বিশ্বব্যপি অবস্থান এর চিত্র
ছবি ১১ -পাখিটি তার সঙ্গীকে ডাকছিল যেটি তার দেখার বাইরে চলে গেছে। ছবিটি স্কটল্যান্ডের বার্ণি লেকে তোলা ।
ছবি ১২-স্কটল্যন্ডের উত্তরে উত্তর সাগর সন্নিহিত বার্ণী লেকের (লেক কে লচ হিসাবে অভিহিত করা হয়) মনোরম ছবি
ছবি- ১৩ - এটি একটি চমৎকার সাঁতারু এবং ডুবুরি পাখিও বটে যা ডুব দিয়ে পানির নিচে মাছ শিকার করে।
ছবি ১৪ -Alaotra grebe was one of the three species of lake endemic grebes that have gone extinct.
ছবি ১৫ - বারাকুডা নামের একটি রাক্ষুসি মাছ অন্য মাছকে গিলে খাচ্ছে ।
ছবি ১৬ - মাদাগাস্কারের এক মহিলা মাথায় করে একটি বারাকুডা রাক্ষুসী মাছ বয়ে নিয়ে যাচ্ছে জীবন জীবিকার তরে ।
ছবি ১৭ -চিত্রটির বা পাশে লেকের মাঝখানে ভাসমান ও পাশে থাকা ধুসর ছবিটাই ভাসমান- বায়ো - হ্যভেন
ছবি ১৮ - যেখানে পাখিটি নিরাপদে তার ছানা গুলিকে ঈগলের হানা থেকে সুরক্ষা দিতে পারছে সহজে ।
ছবি ১৯ : বাংলাদেশের হাকালুকি হাউরে আসা অগনিত পরিযায়ী পাখি
ছবি -২০ আমাদের অনেকের বাড়ীর আশেপাশেই এক সময় দেখা যেতো অগনিত শিকারি পাখি শকুন
ছবি-২১ ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় ক্যম্পাসের গুরুত্বপুর্ণ পয়েন্ট দোয়েল চত্তরে থাকা দোয়েল পাখির ভাস্কর্য ।
ছবি ২২ - সবুজ প্রকৃতিতে জুড়ে থেকে মানুষকে বিমোহিত করা দোয়েল পাখিটা আজ কোথায় যেন হারিয়ে গেল!
২৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৯
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া তুমি না জানালে এই পাখীর নাম কখনও জানা হত না হয়ত।
যেমনই সুন্দর দেখতে পাখিটা তেমনই ভদ্রলোক স্বভাব মনে হচ্ছে।
কিন্তু ছোটবেলায় আমি যত পাখি দেখেছিলাম আজকাল সত্যিই আর দেখিনা।
আমার নানুবাড়ির উঠোনের নিমগাছে প্রায়ই আসতো একটা হলুদ বরণ পাখি যাকে সবাই বলতো বউ কথা কও সে নাকি বলে বউ কথা কও বউ কথা কও এইভাবেই ডাকে। আমি অবশ্য কান পেতেও এই বাক্যি শুনতে পাইনি।
কুটুম পাখি দেখতাম সে নাকি বলে কুটম আয় কুটুম আয় আর ডাকলেই সে বাড়িতে রক্ষা নেই কুটুম আসবেই। হা হা হা
তবে আমার কল্পনার যগতে ভাসাভাসি চলতো যখন দেখতান কাঁঠ ঠোকরা তার অপূর্ব ঝুটি নিয়ে ঠোক ঠোক করে ঠুকছে গাছের গুড়ি।
আহা মা বলেছিলো কাঁঠঠোরা ঐ গুড়ি খুড়ে নাকি বাসা বানাবে। আমি ঘন্টার পর ঘন্টা ওয়েট করতাম কখন সে বাসাা কম্পলিট করবে। সেই ছোট্ট ফোকরের বাসায় তো ঢোকা যায় না আর তাই আমি কল্পনার গাছের ফোকরে ওদের বেডরুম ডাইনিং রুম দেখতাম।
পাখি ফুল প্রজাপতি এসব নিয়ে যে কত গবেষনা করেছি আমার ছেলেবেলায় তা এই যুগের কোনো বাচ্চাই বুঝবে না। পিঁপড়ার বাড়ির মধে কি হয় সেসব দেখতে দরজার ফোকলে বা পিঁপড়া যাওয়া পথ ধরে সেই ফোকলে চোখ পেতে পিঁপড়ার কামড় খেয়েছি। কানেও ঢুকিয়েছি। হা হা হা
তবে সবচেয়ে অবাক হয়েছিলাম মাছরাঙ্গার সৌন্দর্য্যে!!
আহা মনে পড়ে গেলো কত পাখিদের স্মৃতি!
২০ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
জানার কোন শেষ নেই । সত্যিই শতাব্দী সেরা এই পাখিটির নাম অমাদের জানা ছিলনা ।
এখন আমরা সবাই একে নাম সহ কম বেশী জানতে পারলাম ।
নানা বাড়ীর উঠানের নিম গাছে কুটুম , সেতো বড় আনন্দের কথা । গাছে কুটুম পাখি
আর গাছ তলে তুমি আরেক কুটুম পাখি , নিশ্চয়ই কুটুম পাখির মত মধুর শুরে কইতে
কথা নানা নানীর সাথে , কি মঝাই না করতে তাদের সনে ।
কুটুম পাখির কথা বলতে গেলে অনেক কথাই মনে পড়ে । হলুদ বরণ সেই সঙ্গে মিষ্টি কথার সুর।
সেই কথার সুরে নববধূও যেন মনে মনে সাড়া দেয় ‘কু উ....কু উ’। বলছিলাম বাঙালির ঐতিহ্য
বউ কথা কও পাখির কথা। হাজার বছর ধরে বাঙালির প্রাণের সঙ্গে মিশে আছে এই পাখি।
তবে কালের বিবর্তনে এই সুন্দর পাখিটিউ হাজ হারিয়ে যাচ্ছে, কমে যাচ্ছে এই হলদে পাখির বিচরণ।
অঞ্চলভেদে বউ কথা কও পাখিকে অনেকে হলুদ সোনা বউ, কুটুম পাখি বেনে বউ ও কুটুম বউ বলে থাকে।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব কনজারভেশন এনার্জির (আইইউসিএন) গবেষণায় উঠে এসেছে, বর্তমানে বায়ু
ও পরিবেশ দূষণের কারণে বউ কথা কও পাখি বিপদগ্রস্ত। প্রজননের মাধ্যমে এ পাখির বংশবিস্তারের কোনো
উদ্যোগ নেই। বাংলাদেশে এই পাখির সংখ্যা ছিল বেশি। বসন্তে কোকিলের পরই যে দুটি পাখি সুরেলা কণ্ঠে
গাইত তাদের একটি ‘বউ কথা কও’ অন্যটি মৌটুসি।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল
২৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: অনেকের মতো আমিও পুটি-কি-টিকি পাখিটির নাম প্রথম জানলাম আপনার এই সুন্দর পোস্টটি উপহার দেবার কারণেই, আরো জানা হলো আপনার অনবদ্য ও অকৃতিম পাখি প্রেমের বিষয়টিও।
আমাদের দেশেও কত জানা অজানা পাখি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে কিম্বা বিলুপ্তপ্রায়। ভবিষ্যতে আপনার কাছ থেকে বাংলাদেশের পাখি নিয়ে একটা পোস্ট আমরা উপহার পাবো এতটুকু আশা তো করতেই পারি।
আপনার সুস্বাস্থ ও সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। ভাল থাকবেন।
২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৪২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পুটিকিটিকি পাখির নাম আমিউ আগে জানতাম না ।
সংবাদ ভাষ্যের শিরোনামে এই অদ্ভুত পাখির নামটি দেখে
প্রথমবার স্কিপ করে গিয়েছিলাম । পরেরবার কৌতুহল বশত
সংবাদটির ভিতরে গিয়ে দেখি এযে অবাক করা কান্ড ।
এতো আমারই দেখা একটি সুন্দর পাখি ।
তাই বিষয়টি সামুর সকলের সাথে শেয়ার করার
মানসে এই পোষ্টের অবতারণা ।
ঠিকই বলেছেন আমাদের দেশেও অনেক পাখি বিলুপ্ত হয়ে গেছে ।
এগুলিকে যথাযথভাবে সংরক্ষনের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন ।
পাখি নিয়ে জানার কৌতুহল আমার বরাবরেই ছিল ও আছে ।
এই সামুতেই
সারস পাখী কাহন নামে
আমার একটি পোষ্ট আছে । লিংকে ক্লিক করে দেখে আসতে পারেন ।
আপনার জন্যও সুস্বাস্থ ও সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি
২৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: শতাব্দীর সেরা নির্বাচিত পাখি পুটিকিটিকি'র কাহিনী পড়ে একটি অজানা অচেনা পাখি সম্বন্ধে কত কিছু জানলাম! এ পাখিটি সম্বন্ধে আমি আগে কিছুই জানতাম না। তবে পাখিটির সৌন্দর্য, সঙ্গীর সাথে মিলে মিশে একসাথে শাবকদেরকে লালন করা, ইত্যাদি তথ্য জেনে মুগ্ধ হলাম। সোহানী বলেছেন: তবে সবচেয়ে বেশী আকর্ষনীয় মনে হয়েছে এ পাখির পরিবার প্রথা - আমারও তাই মনে হয়েছে।
পোস্ট পড়তে পড়তে একেবারে নীচে এসে বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গেলাম! এমন তথ্যসমৃদ্ধ একটি সুন্দর পোস্ট আপনি আমার নামে উৎসর্গ করেছেন, প্রথমে নিজের চোখকেই যেন বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। পোস্টটা আগেই দেখেছিলাম। পূর্ণ মনযোগ সহকারে পড়ার মত যথেষ্ট সময় হাতে নিয়ে আপনার পোস্টটি পড়বো (আমি আপনার পোস্টের ব্যাপারে সব সময় তাই করে থাকি; হাতে সময় না থাকলে তাড়াহুড়ো করে পড়ি না) এই ভেবে আমি পোস্টটি এর আগে পড়তে বসিনি, কারণ আমার মনটা বিগত কয়েকদিন ধরে খুব অস্থির ছিল। গত শুক্রবারে জুম্মার নামাযের জন্য মাসজিদে প্রবেশের সময় প্রবেশের দ্বারপ্রান্ত থেকে আমার সেলফোনটি (আই-১৩) পকেটমারের হাতে খোয়া যায়। আমি প্রায় সাথে সাথেই টের পাই, একজনকে সন্দেহও করি, কিন্তু হাতে নাতে বমাল ধরতে না পারার কারণে কিছুই করা সম্ভব হয়নি। মোবাইলটি আমি মাত্র দশ মাস আগে কিনেছিলাম। সন্ধ্যা সাতটায় দেখলাম ফোনটির অবস্থান বায়তুল মোকাররমে, যেটা চোরাই ফোন বেচা কেনার জায়গা। এর আগে পর্যন্ত সেটা সুইচ অফ করে রাখা হয়েছিল। অর্থাৎ ততক্ষণে সেটা তার নতুন ক্রেতার হাতে চলে যাবার জন্য তৈ্রি। সেটার সাথে বিলুপ্ত হয়ে গেল আমার প্রায় ৭২০০ + ছবি ও ভিডিও ক্লিপ। আমার সাম্প্রতিক কানাডা সফরের সময় তোলা ছবি ও ভিডিওই বেশি ছিল। সেই সাথে ছিল কিছু ট্যুর নোটস।
চমৎকার এ পোস্টটিতে সপ্তদশতম প্লাস, এবং পোস্টটি প্রিয়তে। + +
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:০৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বিলম্বিত উত্তরের জন্য দুঃখ্যিত । এখানে একটি স্থানীয় গলফ
টুর্ণামেন্টে আমার ছেলে প্রথম স্থান অধিকার করায় সেটা
সেলিব্রেশন নিয়ে একটু ব্যস্ত ছিলাম । ব্লগে তেমন করে সময়
দিতে পারিনি ।
আমার অতি সামান্য মানের উৎসর্গ গ্রহণ করে কৃতার্থ করেছেন ।
পাখিটির বিষয়ে আমার তেমন বেশী জানা ছিলনা । তবে একে আমি
দেখেছি বেশ কয়েকবার , কিন্তু এর এত আকর্ষনীয় বৈচিত্রতার বিষয়
জানা ছিলনা । বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে শতাব্দী সেরা পাখিটির বিষয়
জানতে পেরে এর বিষয়ে কৌতুহলি হয়ে আরো কিছু তথ্য চিত্র পেলাম ।
সেগুলি নিয়েই এই পরিবেশনা । অপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে
খুশী হলাম ।
এদিকে পবিত্র উপসানালয়ের প্রবেশদ্বার হতে আপনার আইফোন ছিনতাই
হয়ে যাওয়ার কথা শুনে আমারো মনটি ব্যতিথ হয়ে যায় । আইফোন ১৩
বেশ দামী ফোন , গতবছর আমার ছেলেকে কিনে দেয়ার সময় এর দাম
কেমন তা জানতে পারি । দামী আই ফোন ট্রেস করতে গিয় কোন ঝামেলায়
জড়িয়ে পরেন নি শুনে ভাল লাগল । মুঠোফোন যথন দেশে প্রথম নামে তখন
কার কাছ্কাছি সময়ে আমার একটি আইফোন পকেট মার হয়ে যায় । ঐ ফোনে
থাকা আমার এক বন্ধুর কাছে ফোন আসে টঙগীর চেরাগ আলী মার্কেটের একটি
নির্দিষ্ট দোকানের কাছে গেলে ছিনতাই কারীর কাছ হতে ফোনটি সংগ্রহ করা যাবে।
ছিনতাই কারীর কাছ হতে ফোন সংগ্রহ করতে গিয়ে যেন কোন আনাকাংখিত যামেলায়
জড়িয়ে না পরি সে লক্ষে গাড়িতে করে ৪/৫ জন বন্ধুকে সাথে নিয়ে যাই । কিন্তু সেখানে
যাওয়ার পরে অনেকক্ষন অপেক্ষা করে ছিনতাইকারির দেখা পাই নাই , মনে হয় আমার
সাথে গাড়িতে ভারি দলবল দেখে সে বা তারা কেটে পরেছিল । বুঝলাম ছিনতাই হয়ে
যাওয়া ফোন কেন, কোন কিছুই ফেরত পাওয়ার নয় ।
যাহোক মোবাইল ফোন তো আরেকটা কিনে নিতেই পারবেন, কিন্ত এর সাথে যে আপনার
প্রায় ৭২০০ + ছবি ও ভিডিও ক্লিপ হরিয়ে গেছে সে ক্ষতি কি পুরণ করা যাবে?
আপনার কানাডা সফরের সময় তোলা ছবি ও ভিডিওগুলি আমাদের জন্য একটি উপাদেয়
ও দর্শনীয় বিষয় হয়ে থাকতে পারত আপনার অগতদিনের লেখার সাথে থাকলে ।এর জন্য
আমাদেরো মন খারাপ লাগছে । যাহোক কামনা করি এর শোক কাটিয়ে উঠোন ।
শুভেচ্ছা রইল
৩০| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এই পাখি সম্পর্কে প্রথম জানলাম ও ছবি দেখলাম। সত্যি চমৎকার সুন্দর পাখি।
পাখি নির্বাচন অব্যাহত থাকুক। মানুষ যত জানবে তত সচেতন হবে।
++++++++
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:১৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পাখিটি চমৎকার ও সুন্দর বলে অনুভুত হয়েছে
জেনে ভাল লাগছে । আমাদের দেশেই প্রতি বছর
সুন্দর সুন্দর পাখি নির্বাচন করে তাদেরকে
নিরাপদে বসবাসের জন্য সুযোগ করে দিতে
পারি ।
শুভেচ্ছা রইল
৩১| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: সমৃদ্ধ একটি পোস্ট । কত পাখির নাম জানা হলো-- আমাদের দেশে পাখি নিয়ে কেউ ভাবে না। কত পাখি ছোট বেলায় দেখতাম, কিন্তু এখন আর দেখি না। আবার অনেক পাখি প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার পথে ---। সুন্দর একটি পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:২৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পোষ্টটি সমৃদ্ধ হয়েছে জেনে ভাল লাগছে। প্রতিটি পাখিরইতো একটি নাম অছে, তাছাড়া একটি পাখিকে বহু
নামেও ডাকা হয় । আমাদের দেশে অনেক পাখি প্রেমিক আছেন । আমাদের ব্লগারদের মাঝেও আনেক
নামি পাখি প্রেমিক আছেন , ব্লগার জুনতো প্রায় নিয়মিতই তাঁর উঠোনে বিচরণকারী পাখিদেরকে নিয়ে
মাঝে মধ্যেই সুন্দর পোষ্ট দেন । ছোট বেলায় আনেক পাখী দেখেছেন শুনে খুশী হলাম। এখন যে সকল
পাখি আর দেখেন না তারা যদি আবার ফিরে আসে তবে কতই না আনন্দ হতো ।
সুন্দর একটি মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা রইল
৩২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৫৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
দুঃখজনক বিষয় আমাদের দেশে অনেক অনেক সুন্দর পাখি ছিলো, যাদের হয়তো আমরা মূল্যায়ন করতে পারিনি। দোয়েল, বুলবুলি, অত্যন্ত পরিশ্রমী পাখি বাবুই, চড়ুই, টুনটুনি, ঘুঘু, মাছরাঙা, চিল, ঈগল, অনেক অনেক ধরনের বক, শালিক, ময়না, পাঁচ থেকে দশ ধরনের টিয়া। এমনকি পরিবেশ বন্ধু কাক, দাড় কাক, শুকুন। এই পাখিগুলো যে পরিবেশের পরম বন্ধু এটিই আমরা কখনো বুঝতে পারিনি। জানতে পারিনি।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:২১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া পাখিদেরকে নিয়ে আপনার কাছ হতে
একটি পোষ্ট কামনা করছি কেননা প্রতিতি হচ্ছে আমাদের প্রকৃতি
হতে হারিয়ে যাওয়া পাখীদের বিষয়ে আপনি বেশ ভাল করে
অবহিত আছেন ।
শুভেচ্ছা রইল
৩৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:০৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
হলুদিয়া পাখি / হলদিয়া / হলদি পাখি সম্ভবত এখন চুরান্ত পর্যায়ের বিরল পাখি হিসেবে গণ্য হবে বাংলাদেশে। তাছাড়া আমাদের দেশে আবাবিল পাখি ছিলো যা শুধু সন্ধ্যা বেলায় চোখে পড়তো। বন্য কবুতর / জালালী কবুতর খেয়ে প্রায় শেষ। ভোরের আলোতে চোখে পড়তো হাজারে হাজারে বক, আর টিয়া পাখি। আর বাংলাদেশ ছিলো কাকের দেশ। এখন কাকও দুর্বিন দিয়ে খুজতে হয়।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:১৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
হলদিয়া পাখি সত্যিই এখন বিরল ।
ঠিকই বলেছেন বাংলাদেশে ্তএকসময় আবাবিল পাখি দেখা যেতো । তবেএ সেগুলি ছিল অরলেজা
আবাবিল, তারলেজা বা লিশরা (Wire-tailed Swallow) এরা হাইরানডিনিডি পরিবারভুক্ত একটি
ছোট গায়ক পাখি। এর দুইটি উপপ্রজাতি রয়েছে। বাংলাদেশে তার একটি H. s. filfera দেখা যায়।
চড়াইয়ের আকারের পাখিটিকে মাথার উপর লালটুপি আর তারের মতো দুইটি লম্বা লেজ দেখলে চিনতে
দেরি হয় না। এরা উড়ে উড়ে কীটপতঙ্গ খায়। এরা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে স্থায়ী বাসিন্দা। তারের উপর
প্রায়ই এই পাখিদের বসে থাকতে দেখা যেতো ।
তথ্য সুত্র উইকিপিডিয়া ।
৩৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৩:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,
নতুন করে জানলুম, পাখিদেরও নির্বাচন হয়! কেন যে আমাদের দেশে পাখি তো দূর, মানুষদেরও নির্বাচন হয়না।
আমাদের দেশেও একসময় প্রচুর সুন্দর সুন্দর পাখি দেখা যেতো। এখন তাদের কি হাল জানিনে।
খুব পরিশ্রমী একটি লেখা যা আপনার একটি অনন্য সহজাত গুন। অজানা অনেক কিছুই জানা হলো এই পোস্ট থেকে, সেজন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন এবং সহি - সালামতে।
@ খায়রুল আহসান - ফোন হারিয়ে গেলে ফোনে ধারনকৃত সব স্মৃতিমূলক ছবি এবং অন্যান্য ডকুমেন্টস আর ফেরৎ পাওয়া যাবেনা এটাই স্বাভাবিক। ভালো হবে এরপর থেকে যতো ছবিই তুলুন না কেন, পিসিতে সেভ করে রাখতে ভুলবেন না।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৩৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বাংলাদেশে সুন্দরতম ও অধিক বৈচিত্রময় পাখির নির্বাচন হলে ভালই হতো । দিন কয়েকের ভিতরে বংলাদেশে
মানুষ নির্বাচন দেখতে পাবেন তবে নির্বাচিতরা মানুষ না অমানুষ হবেন সেটা সময়েই বলে দিবে ।
আপনি ঠিকই বলেছেন আমাদের দেশেও একসময় প্রচুর সুন্দর সুন্দর পাখি দেখা যেতো। এখন তাদের
কি হাল জানা নাই । এ কথা সত্য যে সেই আতীত কাল হতেই পাখ পাখালীতে বাংলাদেশ ছিল সমৃদ্ধ ।
এত অল্প আয়তনের একটি দেশে এত বেশী বৈচিত্রময় পাখি পৃথিবীর খুব কম দেশেই আছে ।
বাংলাদেশের পাখির তালিকায় মোট ৭৪৪টি পাখি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানা যায় । এ সমস্ত পাখির
মধ্যে গত দুই শতকে বাংলাদেশে ছিল কিন্তু এখন নেই এবং বর্তমানে আছে এমন পাখিও অন্তর্ভুক্ত। এমন
পাখির সংখ্যা মোট ৬৫০টি। এ ৬৫০টি পাখির মধ্যে ৩০টি বাংলাদেশে বর্তমানে বিলুপ্ত, যা অতীতে
বাংলাদেশে ছিল যথা বাংলাদেশে একসময় নীল ময়ুর দেখতে পাওয়া গেলেও এটা এখন একেবারে বিলুপ্ত
নীল ময়ুর বিলুপ্ত
মেটে ধনেশ বিলুপ্ত
বাংলাদেশে বর্তমানে দেখা পাওয়া যায় এর মধ্যে বিভিন্ন প্রতিকুলতার কারণে অনেক পাখি এখন মহা বিপন্ন ।
মহা বিপন্ন পাখিদের মধ্যে অতি সুন্দর দর্শনের পাখিদের মধ্যে নিন্মোক্ত গুলি বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য;
কাল তিতির মহাবিপন্ন
চিত্রা বন মুরগী বর্তমানে মহা বিপন্ন
চখাচখি- এখন আর এদেরকে বলতে গেলে দেখাই যায়না
রাজ ধনেশ মহা বিপন্ন
লক্ষী পেচা মহা বিপন্ন , কোথাও সচরাচর দেখা যাযনা তবে সামুর পাতায় সোনাগাজীর ব্লগে মাঝে মধ্যে দেখা যায়।
আমার লেখা থেকে কতেক হলেও আজানা তথ্য জানতে পেরেছেন শুনে ভাল লাগল ।
শ্রদ্ধেয় ব্লগার খায়রুল আহসাকে এডড্রেস করা লেখাটুকু আশা করি তিনি দেখতে পাবেন ।
আপনার প্রতি রইল শুভকামনা
৩৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আবার এসে পরের প্রতিমন্তব্যগুলোতে দেয়া সুন্দর সুন্দর পাখিগুলোর ছবি দেখে ও বর্ণনা পড়ে মুগ্ধ হলাম।
@আহমেদ জী এস এর পরামর্শটা আমলে নিলাম।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১:২৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আবার এসেছেন দেখে ভাল লাগল ।
প্রতি মন্তব্যে দেয়া কিছু পাখীর ছবি দেখে
মুগ্ধ হয়েছেন শুনে খুশী হলাম ।
আহমেদ জী এস এর পরামর্শটা আমলে
নেয়ার মতই মুল্যবান পরামর্শ ।
আমিও মোবাইলে তোলা নির্বাচিত সব ছবিই
পিসিতে নিয়ে যাই ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
৩৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২৮
জুন বলেছেন: এত সুন্দর একটি পাখি নিয়ে লিখেছেন কিন্ত নেট সমস্যার কারনে ছবিগুলো দেখতে না পাওয়ায় পোস্টের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলি কিছুটা আলী ভাই। যেমনটা ঘটেছে জীএস ভাই এর মিল্কি ওয়ে পোস্টে। ইমগুর দিয়ে ছবি বড় করলে প্রায় সময়ই দেখা যায় না।
আসলেই প্রতি বছর জাতীয় পশু পাখী ফল ফুল নির্বাচিত হলে সবাই একে একে প্রাধান্য পায় । ফলে হারিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পায় তারা । আপনার কথাই ঠিক এখন আর দোয়েল আমার বারান্দায় খেতে আসে না । তাও বুলবুলি টিয়া শালিকরাই নিয়মিত অতিথি ।
অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো ।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:৩৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
নেট সমস্যার কারনে সুন্দর পাখিটির ছবিগুলো দেখতে পান নি বলে মন আমার খারাপ লাগছে ।
নেট সমস্যার কারণে পোস্টের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলাটা খুবই স্বাভাবিক ,এতে মনে করার কিছু নেই ।
পোষ্টে ছবি বড় করার জন্য ইমগুর একটি ভাল কম্বিউটার এপ্স । বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি
সেই বছর ৬/৭ আগে যখন ব্লগার কাজী ফাতেমা ছবি তাঁর মোবাইলগ্রাফী শির্ষক একটি পোষ্টে ইমগুর দিয়ে
ছবি বড় করার কৌশল বাতলে দিয়েছিলেন । বিষয়টি বেশ সহজ , শুধু নীজ লেপটপ/কম্পিউটার/মোবাইল
ডিভাইসে http://www.imgur.org sign in গিয়ে নিয়ম অনুসরন করে sign in করে নিয়ে ছবি বড় করা যায়।
শুধু তাই নয় একবার sign in করলে পড়ে ঐ ডিভাইসে সামুতে লগ ইন করলে ইমগুর ব্যাবহার করে
বড় করা কোন ছবি কেও পোষ্ট করলে সে সকল দেখা যাবে । যাহোক, দুই একজন পাঠক পোষ্টের ছবি
দেখতে পারছেন বলে জানতে পেরে মুল পোষ্টের সকল ছবিই ছোট করে ২৬ নং মন্তব্যের ঘরে দিয়ে
দিয়েছে এবং সে কথা পোষ্টের শুরুতে বলে দিয়েছি আগ্রহীগন যেন পোষ্টের সকল ছবি দেখতে পান।
সঠিক কথা্ই বলেছেন প্রতি বছর জাতীয় পশু পাখী ফল ফুল নির্বাচিত হলে সবাই একে একে প্রাধান্য পায় ।
ফলে হারিয়ে যাওয়া থেকে তারা রক্ষা পায় তারা ।এখন আর দোয়েল আপনার বারান্দায় খেতে আসে না ।
বড়্ই আফছুছের কথা, কি করলে দোয়েলকে ফিরে পাওয়া যাবে তা সকলের ভেবে দেখা দরকার ।
আপনার নিয়মিত অতিথি বুলবুলি শালিকেরা ভাল থাকুক , ঘন ঘন আপনার উঠানে আসুক,
বলবুলির মিষ্টি সুর আর শালিকের কিচির মিচিরে ভরে উঠুক আপনার বাগান আঙ্গিনা ,
সে কামনাই করি ।
আপনার প্রতিউ অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো ।
৩৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রাণী জগতের সব যুগল সঙ্গীর মন পেতে চায়, এই পাখির ক্ষেত্রে অনেকবেশি মন মুগ্ধকর সেটা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই দারুণ সব ছবি আর তথ্য নিয়ে লেখার জন্য।
বাংলাদেশে ফেরার পর আমার বেশ লম্বা একটা সময় কাটে গ্রামে যদিও অনেক কম তবুও মুগ্ধতার শেষ নেই পাখিদের কল কোলাহলের।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:৫৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অতি চিরন্তন স্বাসত সত্য কথাই বলেছেন;
প্রাণী জগতের সব যুগলই সঙ্গীর মন পেতে চায়।
পোষ্ট তথ্যপুর্ণ হয়েছে শুনে ভাল লাগল ।
সুদুরের মরুভুমির দেশ হতে ঝোপ ঝাড় আর
সবুজে ঘেরা দেশে ফেরার পর আপনি বেশ লম্বা
একটা সময় ছায়াঘেরা গ্রামে পাখিদের কোলাহলে
কাটিয়েছেন শুনে খুশী হলাম , যে আনন্দ অনুভুতি
নিয়ে এসেছেন তাই বলে যাবেন আমাদের এ ব্লগে,
যেমনটি কবি জীবনানন্দ দাশ তারঁ কবিতায় বলেছেন -
আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে-এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয় হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঁঠাল-ছায়ায়;
হয়তো বা হাঁস হব- কিশোরীর-ঘুঙুর রহিবে লাল পায়,
সারা দিন কেটে যাবে কলমির গন্ধ ভরা জলে ভেসে ভেসে;
আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালবেসে
জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার এ সবুজ করুণ ডাঙায়;
ঠিক তেমনি করেই
অনেকদিন পরে আপনার মত এ ব্লগের শক্তিমান কবির
লেখনিতে আমরা পাখিদেরকে নিয়ে পাব আরো একটি
সুন্দরতম কবিতা। কালের প্রবাহে এ ধরিত্রির বুক হতে
সুন্দর সুন্দর পাখিগুলি যেন না যায় হারিয়ে তারি আকুতি
ঝরে পড়ুক আমাদের কবি সাহিত্যিকদের কলমের আচরে ,
এ কামনাই রেখে গেলাম এই মন্তব্যের প্রতি উত্তরের ঘরে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
৩৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৫
করুণাধারা বলেছেন: শতাব্দী সেরা নির্বাচিত পাখি পুটিকিটিকি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। এই পাখির সম্পর্কে কিছুই জানতাম না, সেরা পাখি নির্বাচন করার জন্য যে বিভিন্ন মহাদেশের নানা দেশে প্রচারণা হয়, ভোটাভুটি হয়, সেসব কিছুই জানা ছিল না এই পোস্ট পড়ার আগে! জেনে মজা লাগলো, না জানি কত মাপকাঠি হিসাব করে পুটিকিটিকি শতাব্দীর সেরা পাখির সম্মান পেল!!
জন অলিভারের ছবি ছাড়া অন্য কোন ছবি দেখতে পাচ্ছিলাম না। সেজন্য অপেক্ষা করে ছিলাম, কখন ছবিগুলো দেখতে পাই। এখন মন্তব্যের ঘরে সব ছবি দেয়ায় একবারে দেখতে পাচ্ছি। চমৎকার সব ছবি!! এতবার ছবিগুলো দেখলাম যে এখন মনে হচ্ছে, এই পাখিটিকে কখনো দেখতে পেলেই চিনে ফেলতে পারবো!
আমাদের দেশের পাখি সম্পর্কে যা বলেছেন তা দুঃখজনক হলেও সত্যি। আমার ছোটবেলায় দেখেছি শীতকালে বাড়িতে মুরগিওয়ালার মতন পাখিওয়ালাও আসতো পাখি বিক্রি করতে, তার হাতে ঝুলানো থাকতো জীবন্ত পাখি, ইদানিং যাকে অতিথি পাখি বলা হয়। হয়তো এভাবে নির্বিচারে পাখি হত্যার জন্য অতিথি পাখির আসা কমে গেছে।
বরাবরের মতই, আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানা হলো। অনেক ধন্যবাদ।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৩:৪১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
শতাব্দী সেরা নির্বাচিত পাখি পুটিকিটিকি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পেরেছি জেনে খুবই ভাল লাগল ।
এই পাখি সম্পর্কে আমিউ পুর্বে কিছুই জানতাম না, সেরা পাখি নির্বাচন করার জন্য বিভিন্ন মহাদেশ
জুরে অভিনব প্রচার কার্যক্রম দেখে অভিভুত হয়েছিলাম । মনে বাজে এই পাখিটির মত আমরাও যদি
আমাদের সুন্দরবন নিয়ে আন্ত মহাদেশীয় প্রচারাভিযান চালাতাম তাহলে আমাদের সুন্দর বন নিশ্ছয়ই
পৃথিবীর অস্টম অশ্চর্য হিসাবে স্বিকৃতি পেতো , যাহোক সে ব্যর্থতা আমাদেরই দুর্ভাগ্য ।
ইমগুর ব্যবহার করে বড় করা ছবি অনেকেই দেখতে পারছেন না জানতে পেরে পোষ্টের ছবিগুলিকে ছোট করে
২৬ নং মন্তব্যের ঘরে জুরে দিয়েছি । ছবিগুলির কারণে এখন এই পাখিটিকে সহজেই চিনে ফেলতে পারবেন
শুনে খুশী হলাম ।
অনেক অনেক শুভ কামনা রইল ।
৩৯| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮
প্রামানিক বলেছেন: এই পাখি সম্পর্কে আমার কোন ধারনাই ছিল না। জেনে অনেক ভালো লাগল।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৪১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার অনেক ভাল লাগায় আমিউ খুবই খুশী হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:৫৮
রোকসানা লেইস বলেছেন: সেরা পাখি নির্বাচনের বিষয়টা জানা ছিল না। এবং ডয়েচ ভেলের সংবাদটাও দেখা হয়নি। তবে আপনার সুন্দর পোষ্টের মাধ্যমে নতুন নামের পাখির খবর জানলাম। এবং জানলাম তাকে নিয়ে বিশাল আয়োজনের বিষয়টাও।
ধন্যবাদ।
বিদেশিদের পরিবেশ রক্ষা এবং জীব, প্রাণীদের নিয়ে করা কাজগুলো অসাধারন। আমরা কবে যে এসবের ধারে কাছে যেতে পারব কে জানে।