নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহান আল্লাহর সৃষ্ট মানব হিসাবে আত্মপলব্দি। লেখাটি সকল ধর্মাবলম্বী এবং ধর্মে অবিশ্বাসিদের জন্যও উন্মোক্ত

২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৫:২১


১ম অধ্যায়ঃ সকল মানবের আত্মপলব্দি জাগরণে জীবন্ত মুজিযা আল কোরআনের মোহিনী শক্তি

বিসমিল্লাহহির রাহমানির রাহিম । শুরু করছি পরম করুনাময় আল্লাহর নামে ।

প্রথমেই শোকর গুজার করছি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে তাঁর নিকট গ্রহণযোগ্য পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা ইসলাম ধর্মের অনুসারী করার জন্য । অন্য ধর্মালম্বী, অধর্মী ,ধর্মে অবিশ্বাসী সকলকে এই পোষ্টে সুস্বাগতম ।

ইসলাম সার্বজনীন ধর্ম। ইসলামে সকলেই সামিল হতে পারেন। ইসলাম শুধুমাত্র মক্কা মদিনা বা আরব দেশ ও জাতির জন্য নয় বরং ইসলাম বিশ্বের সকল বর্ণ,গোত্র, জাতি, ধনী-গরিব, সাদা-কালো ও আরব-আনারব সকল মানুষের জন্যই প্রেরিত আল্লাহর মনোনীত ধর্ম। ইসলাম আজ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম, যার অনুসারী সংখ্যা প্রায় ২০০ কোটি, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৫ শতাংশ। বিশ্বে ৫০টিরও বেশী দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসমষ্টিই মুসলমান ।

ইসলামের ধর্মগ্রন্থ কুরআন। আল্লাহ বলেন কুরআন নাযিল করা হয়েছে লোকেদের পথ প্রদর্শক এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট বর্ণনারূপে এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে……। (সুরা বাকারা, আয়াত ১৮৫)

মহাবিজ্ঞ মহিমান্বিত খোদার প্রসংসা বর্ণনাতীত
যার বাণীর মাধ্যমে আমরা পাই তাঁর দিশা ।
যে আলো আমরা এই কুরআন থেকে পাই
হাজার সম্মিলিত সূর্যের কাছেও সে আলো নাই ।

সবচাইতে সোজা রাস্তা এবং উত্তম উপায় যা নিশ্চয়তার আলোক রাশি দ্বারা উদ্ভাসিত এবং আমাদের আধ্যাত্মিক কল্যাণ ও জ্ঞান বুদ্ধির উন্নতির জন্য যোগ্যতম পথপ্রদর্শক তা হচ্ছে কুরআন কারীম। এই কিতাব পৃথিবীর যাবতীয় বিতর্ক ও মতানৈক্যের মীমাংসার দায়িত্বভার নিয়ে এসেছে, এর আয়াতে আয়াতে. শব্দে শব্দে হাজারো ধরনের জ্ঞানের ধারা প্রবাহ মিশে আছে এবং যার মধ্যে প্রচুর জীবনদায়ি পানি বা আবে হায়াত ভরপুর হয়ে আছে এবং যার অভ্যন্তরে বিপুল পরিমাণে বিরল ও অমূল্য মণিমুক্তা লুকায়িত রয়েছে, যা প্রতিদিনই প্রদর্শিত হয়ে চলেছে, যার সাহায্যে আমরা সত্য মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারি এই সেই উজ্জ্বল প্রদীপ যা আমাদেরকে সত্যের পথ প্রদর্শন করে।

ইসলাম ধর্মের পাঁচটি মুল বিষয যথা কলেমা(সাক্ষ ও বিশ্বাস) , নামাজ , রোজা, হজ্জ ও যাকাত ( সামর্থবানদের জন্য ) প্রভৃতি যথাযথভাবে প্রতিপালনের সাথে সাথে যত বেশী পারা যায় কুরআন তেলাওয়াত,কুরআনের বাণী অনুধাবন, নীজ জীবনাচারে তার প্রয়োগ, আল্লাহকে স্মরণ ও দুরুদ পাঠ করে মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে দোয়া করা যায় তা ততই মানব জীবনের জন্য মঙ্গল বয়ে আনে ।

কুরআন এক জীবন্ত মুজিযা,সম্মোহনী শক্তির উৎস,কুরআনে এমন কাহিনী আছে যা রূপকথাকেও হার মানায়, এমনো ছবি আছে যা আজ পর্যন্ত কোন শিল্পীই আঁকতে পারেননি, এমন সুরের মুর্ছনা ও ব্যথার কাব্যিক ছন্দময় রাগিণী আছে যা সমস্ত সুরের জগতকে অচ্ছন্ন করে রাখে।কুরআনকে নিবিষ্ট মনে সে রকম অনুসন্ধিতসু মনোভাব নিয়ে পাঠ করলে আমাদেরকে দিবে এক নতুন গিগন্তের পথ-নির্দেশনা। আমরা হারিয়ে যাব কুরআনের অসীমমতায় অতল গহীনে। কোন শক্তিই আমাদেরকে ফেরাতে পারবেনা সে গভীর মায়াপুরী হতে ।
শুধুই কি সহজ সরল শব্দে ভাব প্রকাশ ,তথ্য আর নিগুঢ় তত্বকথা ,শুদ্ধ কল্যানকামী জীবনাচারের কথা তাতো নয়, এর রচনাশৈলীতেও রয়েছে অপুর্ব বিজ্ঞামনস্ককতা। আমরা পন্ডিতের দাবীদার অনেকেই একটা কি দুটো ভাল অর্ধবোধক বাক্য লিখতে গিয়ে কতবারই যে এডিট করি, সংশোধন করি তা কি আর বলতে! আর কোন রকম এডিট আর পুণ:সংশোধন না করে মহর্তেই কি সুন্দর রচনা তিনি আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন তা ভাবলেও বিস্ময়াবিভুত হতে হয় ।

উদাহরণ হিসাবে পবিত্র কুরআনে থাকা সূরা আল কাওসারের কথাই ধরা যাক, এর সর্বমোট শব্দ হল ১০ টি। এই সূরার ১ম আয়াতে মোট অক্ষর হল ১০ টি। (একই অক্ষর একের অধিকবার থাকলে তাকে ১ বার ধরতে হবে), একইভাবে এই সূরার ২য় আয়াতেও মোট অক্ষর হল ১০ টি। এই সূরার ৩য় আয়াতেও মোট অক্ষর হল ১০ টি। এই সূরার প্রতিটি আয়াতই শেষ হয়েছে আরবি ( ر র) অক্ষরটি দ্বারা। আর ( ر র) হল আরবি বর্নমালার ১০ম বর্ন। এবং সম্পূর্ণ কুরআনে সর্বমোট ১০ টি সুরা শেষ হয়েছে (ر র) অক্ষর দিয়ে। ( সূরা নং ৫, ২২, ৩১, ৪২, ৫৪, ৬০, ৯৭, ১০০, ১০৩, ১০৮), এই সূরায় সব থেকে বেশিবার ব্যাবহৃত হয়েছে ( ا আলিফ)অক্ষরটি। আর আলিফ অক্ষরটি এই সূরায় ব্যবহৃত হয়েছে সর্বমোট ১০ বার। সর্বমোট ১০ টি অক্ষর এই সূরায় ১ বার করে ব্যাবহৃত হয়েছে। এই সূরার ১ম শব্দটি হল (ইন্না) আর পবিত্র কুরআনে সর্বপ্রথম যে আয়াতে ইন্না শব্দ দিয়ে শুরু হয়েছে সে আয়াতের মোট শব্দ হল ১০ টি। এমনতর ১০ সংখ্যাবিশিষ্ট একটি অধ্যায় তথা বড় সুরা রচনা সেযে কতবড় ও কঠিন প্রয়াস তা ভাবতে গেলেও বিস্ময়াবিভুত হতে হয় । একমাত্র অতি বিজ্ঞ ও সর্ব শক্তিমান আল্লাহ ছাড়া কোন রকম কাটা চিড়া যোগ বিয়োগ আর এডিট না করে গড় গড়িয়ে একবারের চেষ্টায় মুখে মুখে মহুর্তের মধ্যেই এমন রচনা কোন মানবের পক্ষে একেবারেই অসসম্ভ ব্যপার । এ সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহ বলেন,
قُلۡ لَّئِنِ اجۡتَمَعَتِ الۡاِنۡسُ وَ الۡجِنُّ عَلٰۤی اَنۡ یَّاۡتُوۡا بِمِثۡلِ هٰذَا الۡقُرۡاٰنِ لَا یَاۡتُوۡنَ بِمِثۡلِهٖ وَ لَوۡ کَانَ بَعۡضُهُمۡ لِبَعۡضٍ
বল, ‘যদি মানুষ ও জিন এ কুরআনের অনুরূপ হাযির করার জন্য একত্রিত হয়, তবুও তারা এর অনুরূপ হাযির করতে পারবে না যদিও তারা একে অপরের সাহায্যকারী হয়’( আল ইসরা আয়াত ৮৮)।
তারপর আল্লাহ এই চ্যালেঞ্জটি সমগ্র কুরআন থেকে কমিয়ে দিয়ে বলেন
اَمۡ یَقُوۡلُوۡنَ افۡتَرٰىهُ ؕ قُلۡ فَاۡتُوۡا بِعَشۡرِ سُوَرٍ مِّثۡلِهٖ مُفۡتَرَیٰتٍ وَّ ادۡعُوۡا مَنِ اسۡتَطَعۡتُمۡ مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ
তারা নাকি বলে ‘সে (অর্থাৎ মুহাম্মাদ (সা.) ওটা রচনা করেছে? বল,তাহলে তোমরা এর মত দশটি সূরাহ রচনা করে আন, আর (এ কাজে সাহায্য করার জন্য) আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাকে ডাকতে পার ডেকে নাও যদি তোমরা সত্যবাদী হয়েই থাক‌‘ ( সুরা হুদ আয়াত ১৩)।
তারপর তাদের প্রতি চ্যল্যেঞ্জকে আরো সহজ করে দিয়ে বলেন,
اَمۡ یَقُوۡلُوۡنَ افۡتَرٰىهُ ؕ قُلۡ فَاۡتُوۡا بِسُوۡرَۃٍ مِّثۡلِهٖ وَ ادۡعُوۡا مَنِ اسۡتَطَعۡتُمۡ مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ
নাকি তারা বলে, ‘সে তা বানিয়েছে’? বল, ‘তবে তোমরা তার মত একটি সূরা (বানিয়ে) নিয়ে আস এবং আল্লাহ ছাড়া যাকে পারো ডাক, যদি তোমরা সত্যবাদী হও’( সুরা ইউনুছ , আয়াত ৩৮)
কিন্তু কাফের-মুশরিকগণ তাও আনতে সক্ষম হয়নি। আর তারা সেটা আনতে পারবেও না[ইবন কাসীর]। এ প্রেক্ষিতে আল্লাহ বলেন,
فَاِنۡ لَّمۡ تَفۡعَلُوۡا وَ لَنۡ تَفۡعَلُوۡا فَاتَّقُوا النَّارَ الَّتِیۡ وَقُوۡدُهَا النَّاسُ وَ الۡحِجَارَۃُ ۚۖ اُعِدَّتۡ لِلۡکٰفِرِیۡنَ
যদি তোমরা না পার এবং কক্ষনো পারবেও না, তাহলে সেই আগুনকে ভয় কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ এবং পাথর, যা প্রস্তুত রয়েছে কাফেরদের জন্য(সুরা আল বাকারা আয়াত ২৪)। [তাইসিরুল বায়ান]

এ চ্যালেঞ্জ শুধু কুরআনের ভাষাশৈলীর উপর করা হয়নি। সাধারণভাবে লোকেরা এ চ্যালেঞ্জটিকে নিছক কুরআনের ভাষাশৈলী অলংকার ও সাহিত্য সুষমার দিক দিয়ে ছিল বলে মনে করে। কুরআন তার অনন্য ও অতুলনীয় হবার দাবীর ভিত্তি নিছক নিজের শাব্দিক সৌন্দর্য সুষমার ওপর প্রতিষ্ঠিত করেনি। নিঃসন্দেহে ভাষাশৈলীর দিক দিয়েও কুরআন নজিরবিহীন। কিন্তু মূলত যে জিনিসটির ভিত্তিতে বলা হয়েছে যে, কোন মানবিক মেধা ও প্রতিভা এহেন কিতাব রচনা করতে পারে না, সেটি হচ্ছে তার বিষয়বস্তু, অলংকারিত ও শিক্ষা।
বস্তুতই কুরাআনের মত এমনভাবে কোন লেখাই কোন মানবের পক্ষে কোন কালেই কোন ভাবেই লেখা সম্ভব নয় । আসুন সকলে এখানে এই সুযোগে অতি বরকতময় ও বহু ইহলৌকিক, পারলৌকিক মহিমান্বিত সুরা কাওছার তেলাওয়াত করে নিই একবার-

اِنَّاۤ اَعۡطَیۡنٰکَ الۡکَوۡثَرَ। ইন্না আতাইনা কাল কাউছার । অর্থ- নিশ্চয় আমি তোমাকে আল-কাউসার দান করেছি
فَصَلِّ لِرَبِّکَ وَ انۡحَرۡ ফাসাল্লে লে রাব্বিকা ওয়ানহার।অর্থ-সুতরাং তোমার রবের উদ্দেশে সালাত আদায় কর ও কুরবানী কর
اِنَّ شَانِئَکَ هُوَ الۡاَبۡتَرُ ইন্না শানিয়াকা হুয়াল আবতার । অর্থ- নিশ্চয়ই তোমার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীইতো নিবংশ।

এই আয়াতের অনেক মর্তবা ও শানেনযুল রয়েছে । আগ্রহী পাঠকগন কুরআনের যেকোন ভাল তাফসির গ্রন্থ পাঠে তা বিশদভাবে জেনে নিতে পারবেন ।

আল কুরআন স্বীয় বৈশিষ্টের প্রভাবে অমুসলিম ও মুমিনদেরকে তার প্রভাব বলয়ে টেনে নিতে সক্ষম হয়েছে । যারা ইসলাম গ্রহণ করে সৌভাগ্যশালী হয়েছেন , তাদের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে আল- কুরআন। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নাই যে কুরআনের ছোট্ট একটি সুরা কিংবা তার অংশ বিশেষ তাদের জীবনের মোরকে ঘুরিয়ে দিয়েছিল ।

এ কথা সত্য যে মানুষ অনেক কারণেই ইসলাম গ্রহণ করেছিল । যথা ;
১)কতিপয় লোক রাসুলে আকরাম (সা.) ও সাহাবী কিরামের আমল ও আখলাকে প্রভাবিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছিল। ২) কিছু লোক সবকিছুর উর্ধে দ্বীনকে প্রাধান্য দিয়ে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সকল প্রকার দু:খ কষ্ট নির্যাতন ভোগ করছিল , কতিপয় লোক এ ব্যপারে প্রভাবান্বিত হয়ে মুসলমান হযেছিল । ৩) কিছু লোক এ কথা চিন্তা করে ইসলাম গ্রহণ করেছিল যে মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর সঙ্গী সাথীরা সংখ্যায় খুবই অল্প কিন্ত তবু কোন বৃহত শক্তি তাদেরকে পরাস্ত করতে পারেনা । এটি আল্লার সাহায্য ও তত্বাবধান ছাড়া কিছুতেই সম্ভব হতে পারেনা । ৪) কতিপয় লোক ইসলাম গ্রহন করেছিল তখন, যখন ইসলাম রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ইসলামের ইনসাফ ও ন্যয় বিচার কার্যকরী ছিল । যা ইতিপুর্বে তারা কথনো দেখেনি ।

এরকম আরো অনেক কারণেই মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেছিল । কিন্তু তার মধ্যে অন্যতম ছিল আল কুরআনের প্রাণষ্পর্শী আবেদন ও মোহিনী টান । যা ইসলামের প্রাথমিক আবস্থায় একক ভাবে অবদান রেখেছে ।

আল কুরআনের সন্মোহনী শক্তির উৎস কোথায় সে কথাটি একটু দেখা যাক । ইসলামের প্রথম দিকে শরীয়ত পরিপুর্ণ ছিলনা , অদৃশ্য জগতের খবর ছিল না , জীবন ও জগত সম্পর্কেও তেমন কিছু বলা হয়নি , ব্যবহারিক কোন দিক নির্দেশনাও তখনও কুরআন দেয়নি। কুরআনে থাকা মক্কায় অবতীর্ণ ছোট ছোট সুরাগুলি যদি আমরা অধ্যয়ন করি দেখতে পাব তখন যেখানে শরয়ী কোন আইন কিংবা পার্থিব কোন ব্যপারে সামান্যতম ইঙ্গিতও ছিলনা । অবশ্য সুরা আলাকে মানব সৃষ্টির রহস্য সম্পর্কে অতি সংক্ষেপে সামান্য আলোচনা হয়েছে । সেখানে বলা হয়েছে মানুষকে জমাট বাঁধা রক্তপিন্ড থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে ।
সুরা আলাকের প্রথম ৫টি আয়াতের দিকে সুক্ষভাবে দৃষ্টি দিলে দেখা যাবে ;
সেখানে কথামালার সামঞ্জস্য ও দ্যোতনার এক অপুর্ব সমাহার । প্রতিটি বক্তব্য উন্নত সাহিত্যের মুর্ত প্রতিক। অথচ তা একেবারেই প্রথম দিকে অবতীর্ণ একটি আয়াত । সেখানে বলা হয়েছে পড়ো । তবে তা আল্লাহর পবিত্র ও সন্মানিত নামের সাথে হতে হবে । ইকরা বা পড়ো শব্দ দিয়ে বুঝানো হচ্ছে –
আল কুরআন তিলাওয়াত বা অধ্যয়ন । এ জন্যই আল্লাহর নাম নেয়ার প্রয়োজন যে, তিনি নিজের নামের সাথেই দাওয়াত দেন । আল্লাহর এক সিফাতি নাম ‘‌রব্ব‌’
অর্থ প্রতিপালক । তাই তিনি প্রতিপালন ও প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন । এ কথাগুলি আল্লাহর ভাষায় :
اِقۡرَاۡ بِاسۡمِ رَبِّکَ الَّذِیۡ خَلَقَ
পড় তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।

তখন ছিল ইসলামী দাওয়াতের একেবারে সুচনাকাল । এ জন্য রব্ব এর বিশ্লেষন হিসাবে এমন একটি শব্দ বেছে নেয়া হয়েছে যা জীবন শুরুর সাথে জড়িত । অর্থাৎ তিনি এমন রব্ব الَّذِیۡ خَلَق যিনি সৃষ্টি করেছেন ।
خَلَقَ الۡاِنۡسَانَ مِنۡ عَلَق সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট-বাঁধা রক্তপিন্ড হতে।
অন্য কথায় তিনি মানুষের জীবন শুরু করেছেন জমাট বাধা রক্তপিন্ড থেকে । কত ছোট ও সাধারণ অবস্থা দিয়ে ইসলামে দাওয়াতের সুচনা ।
কিন্তু আল্লাহ রব্ব বা প্রতিপালক হওয়ার সাথে সাথে খালিক ( সৃষ্টিকর্তা) ও উঁচুস্তরের মেহেরবান। তাই ছোট একটি মাংসপিন্ডকে ধীরে ধীরে পরিপুর্ণ এক মানুষে রূপায়িত করেন । আর তার প্রকৃতি এমন , তাকে কোন কিছু শিখালে শেখার যোগ্যতা আছে । এ জন্যই বলা হয়েছে;
اِقۡرَاۡ وَ رَبُّکَ الۡاَکۡرَم পাঠ কর, আর তোমার রব বড়ই অনুগ্রহশীল। الَّذِیۡ عَلَّمَ بِالۡقَلَم যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন।
عَلَّمَ الۡاِنۡسَانَ مَا لَمۡ یَعۡلَم তিনি মানুষকে তা শিক্ষা দিয়েছেন, যা সে জানত না (সুরা আলাক আয়াত ৩-৫)।

দেখা যায় ছোট ছোট মাত্র কটি আয়াতে কতো সুন্দরভাবে মানুষের শুরু থেকে পূর্ণতার দিকে নেয়ার পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে । ছোট্ট সুরাটিতে জন্ম ও মৃত্যুর মাঝামাঝি সময়ের কথা একের পর এক বলা হয়েছে । যেন মানুষের চিন্তা ও সহজাত প্রবৃত্তি সেই দাওয়াতের প্রতি সাড়া দেয় । আল্লার দান বুদ্ধি বিবেকের দাবিই ছিল এ ব্যপারে চিন্তা ভাবনা করা । সে কি ছিল, আর এখন কোথায় এসে
পৌঁছেছে ।

২য় অধ্যায়
কুরআনে থাকা মানব সৃষ্টি বিষয়ক আয়াতের আলোকে আত্মপলব্দি

আমাদের মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে জানতে হলে , তাঁর গুণাবলী বুঝতে হলে প্রক্রিয়াটি অনেক সহজ হয়ে যায় যদি আমরা স্মরণ করি হেরা পর্বত গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকা কালে রাসুল( সা.) প্রতি নাযিলকৃত কুরআনের প্রথম বাণিটির প্রতি( উল্লেখ্য সুরা আলাকের প্রথম ৫ টি আয়াতের কথামালা পুর্বেও ভিন্ন প্রসঙ্গে সংক্ষেপে বলা হয়েছে ) , যেখানে আল্লাহ তাঁর প্রেরিত ফেরেসতা জিবরাইল ( আ.) এর মাধ্যমে রাসুলকে বলেছেন ;
اِقۡرَاۡ بِاسۡمِ رَبِّکَ الَّذِیۡ خَلَقَ
পড় তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
خَلَقَ الۡاِنۡسَانَ مِنۡ عَلَقٍ
সৃষ্টি করেছেন মানুষকে আলাক হতে। ‘আলাক’ হচ্ছে ‘আলাকাহ’ শব্দের বহুবচন। এর মানে জমাট বাঁধা রক্ত।
মানুষকে জমাট রক্ত বিন্দু হতে সৃস্টি করার কথামালায় যা অনুভবে আসে তা নিয়ে একটুখানি ভেবে ও দেখে,মানুষ হিসাবে নিজের আত্মপলব্দির বিষয়টিই সর্বাজ্ঞে আলোচনায় উঠে আসে।
নিম্নে মানবসৃষ্টি বিষয়ে কুরআনের এমন কিছু বক্তব্য তুলে ধরা হলো, যা আধুনিক বিজ্ঞানে প্রমানিত।

মানুষের প্রজনন ব্যবস্থা
মানুষের প্রজননের অপরিহার্য বৈশিষ্ট্যগুলি হল (১) প্রজনন চক্রের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ডিম্বাণু বা ডিম্বাণুর মুক্তি,(২)শুক্রাণু দ্বারা ডিম্বাণুর অভ্যন্তরীণ নিষিক্তকরণ। বা শুক্রাণু কোষ,(৩)জরায়ু বা গর্ভাশয়ে নিষিক্ত ডিম্বাণু পরিবহন,(৪) ব্লাস্টোসিস্টের ইমপ্লান্টেশন, জরায়ুর দেয়ালে নিষিক্ত ডিম্বাণু থেকে বিকশিত প্রাথমিক ভ্রূণ, (৫) প্রাথমিক ভ্রুন হতে শিশুর গঠন এবং রক্ষণাবেক্ষণ।
মাতৃগর্ভের ধারাবাহিক স্তর
মাতৃগর্ভে সন্তান গঠনের চক্র সাধারণত দীর্ঘ ২৮০ দিন হয়, যা ৪০ দিন অন্তর সুনির্দিষ্ট সাতটি চক্রে বিভক্ত। পবিত্র কোরআনে সাতটি স্তর এভাবে বর্ণিত হয়েছে,
وَ لَقَدۡ خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ مِنۡ سُلٰلَۃٍ مِّنۡ طِیۡنٍ
আমরা মানুষকে মাটির সারাংশ থেকে সৃষ্টি করেছি (সুরা মুমিনুন আয়াত ১২)।
ثُمَّ جَعَلۡنٰهُ نُطۡفَۃً فِیۡ قَرَارٍ مَّکِیۡنٍ
অতঃপর আমরা তাকে শুক্রবিন্দুরূপে এক সংরক্ষিত আঁধারে (জরায়ুতে) স্থাপন করেছি ( সুরা মুমিনিন আয়াত ১৩) ।
ثُمَّ خَلَقۡنَا النُّطۡفَۃَ عَلَقَۃً فَخَلَقۡنَا الۡعَلَقَۃَ مُضۡغَۃً فَخَلَقۡنَا الۡمُضۡغَۃَ عِظٰمًا فَکَسَوۡنَا الۡعِظٰمَ لَحۡمًا ٭ ثُمَّ اَنۡشَاۡنٰهُ خَلۡقًا اٰخَرَ ؕ فَتَبٰرَکَ اللّٰهُ اَحۡسَنُ الۡخٰلِقِیۡنَ
এরপর শুক্রবিন্দুকে জমাট রক্তরূপে সৃষ্টি করেছি, অতঃপর জমাট রক্তকে মাংসপিণ্ডে পরিণত করেছি, এরপর মাংসপিণ্ড থেকে অস্থি সৃষ্টি করেছি, অতঃপর অস্থিকে গোশত দ্বারা আবৃত করেছি, অবশেষে তাকে নতুনরূপে করেছি।’ (সুরা মুমিনুন, আয়াত , ১৪)

আল্লাহ কত কল্যাণময় নিপুনতম সৃষ্টিকর্তা।কি অসাধারণ জৈবিক জটিল এক সৃস্টি কর্মের ভিতর দিয়ে তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী মানব গর্ভ হতে ছেলে কিংবা মেয়ে সন্তান পৃথিবী পৃষ্টের এই সৃষ্টি জগতে নিয়ে আসেন । এটা সঠিকভাবে আনুধাবন করলে আল্লার প্রতি ঈমান বৃদ্ধি পাবে, তৌহিদি চেতনা আরো পুষ্ট হয়ে তাঁর গুণগানে মগ্ন হবে, তাঁর প্রতি জিকির তৈরী হবে এবং তা চেতনে অচেতনে মানব মনে চলতেই থাকবে ।সেই সাথে চালু রাখতে হবে মহান রাব্বুল আলামিনের প্রতি শুকর গুজারী ।

এবার নজর দেয়া যাক মানুষের জন্ম বিকাশ ও পর্যায়ক্রমে সময়ের আবর্তে অন্তিমের পানে তার ক্রমরাশের ধারাটির দিকে ।
জন্মপূর্ব বিকাশ
মানুষের জন্ম ও বিকাশ বলতে মানুষের মধ্যে ভ্রূণের গঠন থেকে শুরু করে তার বিকাশের মাধ্যমে, জন্ম (বা প্রসব) পর্যন্ত সময়কে অন্তর্ভুক্ত করে।
মাতৃগর্ভের বিকাশ
আল্লাহ মাতৃগর্ভে শিশুর পরিপূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। শিশুরা মাতৃগর্ভে তিনটি পর্দার অন্তরালে অবস্থান করে। আল্লাহ বলেন,
خَلَقَکُمۡ مِّنۡ نَّفۡسٍ وَّاحِدَۃٍ ثُمَّ جَعَلَ مِنۡهَا زَوۡجَهَا وَ اَنۡزَلَ لَکُمۡ مِّنَ الۡاَنۡعَامِ ثَمٰنِیَۃَ اَزۡوَاجٍ ؕ یَخۡلُقُکُمۡ فِیۡ بُطُوۡنِ اُمَّهٰتِکُمۡ خَلۡقًا مِّنۡۢ بَعۡدِ خَلۡقٍ فِیۡ ظُلُمٰتٍ ثَلٰثٍ ؕ ذٰلِکُمُ اللّٰهُ رَبُّکُمۡ لَهُ الۡمُلۡکُ ؕ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۚ فَاَنّٰی تُصۡرَفُوۡنَ
তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এক নাফ্স থেকে, তারপর তা থেকে তার জোড়া সৃষ্টি করেছেন এবং চতুষ্পদ জন্তু থেকে তোমাদের জন্য দিয়েছেন আট জোড়া ; তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেন তোমাদের মাতৃগর্ভে; এক সৃষ্টির পর আরেক সৃষ্টি, ত্রিবিধ অন্ধকারে; তিনিই আল্লাহ; তোমাদের রব; রাজত্ব তাঁরই; তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। তারপরও তোমাদেরকে কোথায় ফিরানো হচ্ছে?(সুরা ঝুমার আয়াত ৬)।

আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানও কুরআনে বর্ণিত তিন স্তরের নিরাপত্তার কথা স্বীকার করেছে। তা হলো- ১. রেহেম, ২. মাশিমা বা গর্ভফুল এবং ৩. মায়ের পেট।
রেহেমে রক্তপিণ্ড ছাড়া সন্তানের আকার-আকৃতি কিছুই তৈরি হয় না। আর গর্ভফুল (Placenta) ভ্রূণ বৃদ্ধি, সংরক্ষণ, প্রতিরোধ ইত্যাদি কাজে অন্যতম ভূমিকা রাখে, আর
মায়ের পেটে শিশু বেড়ে উঠে, অভিজ্ঞ চিকিৎসকগন আলট্রাসনিক পদ্ধিতিতে তা দেখতে পারেন।

শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ
মহান আল্লাহ বলেন,
لِلّٰهِ مُلۡکُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ یَخۡلُقُ مَا یَشَآءُ ؕیَهَبُ لِمَنۡ یَّشَآءُ اِنَاثًا وَّ یَهَبُ لِمَنۡ یَّشَآءُ الذُّکُوۡرَ
আসমানসমূহ ও যমীনের রাজত্ব আল্লাহরই। তিনি যা চান সৃষ্টি করেন। তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন (সুরা শুরা ,আয়াত ৪৯) ।
اَوۡ یُزَوِّجُهُمۡ ذُکۡرَانًا وَّ اِنَاثًا ۚ وَ یَجۡعَلُ مَنۡ یَّشَآءُ عَقِیۡمًا ؕ اِنَّهٗ عَلِیۡمٌ قَدِیۡرٌ
অথবা তাদেরকে পুত্র ও কন্যা উভয়ই দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করেন। তিনি তো সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান( সুরা আস শুরা ,আয়াত ৫০)।

জীবকোষ ও পানি
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘আর প্রাণবান সব কিছু সৃষ্টি করলাম পানি থেকে। তবু কি তারা ঈমান আনবে না?’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ৩০)
اَوَ لَمۡ یَرَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَنَّ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ کَانَتَا رَتۡقًا فَفَتَقۡنٰهُمَا ؕ وَ جَعَلۡنَا مِنَ الۡمَآءِ کُلَّ شَیۡءٍ حَیٍّ ؕ اَفَلَا یُؤۡمِنُوۡنَ
অবিশ্বাসীরা কি দেখে না যে, আকাশ আর যমীন এক সঙ্গে সংযুক্ত ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে আলাদা করে দিলাম, আর প্রাণসম্পন্ন সব কিছু পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। তবুও কি তারা ঈমান আনবে না? ( সুরা আম্বিয়া আয়াত ৫০)।

আধুনিক জীববিজ্ঞানের মতে, সাগরের অভ্যন্তরের পানিতে যে প্রটোপ্লাজম বা জীবনের আদিম মূলীভূত উপাদান রয়েছে, তা থেকেই সব জীবের সৃষ্টি। আবার সব জীবদেহ কোষ দ্বারা গঠিত। আর এই কোষ গঠনের মূল উপাদান হচ্ছে পানি। ভিন্নমতে, পানি অর্থ শুক্র(কুরতুবি)। উল্লেখ্য তাফসীর আল-কুরতুবী হল বিশিষ্ট ইসলামী আলেম আল-কুরতবী রচিত ত্রয়োদশ শতাব্দীর একটি বিখ্যাত কুরআনের তাফসীর । এই গ্রন্থে কুরআনে থাকা বিজ্ঞান বিষয়ক বিশদ আলোচনা এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলির ব্যখাা রয়েছে।
এখন মানবদেহের জন্য এই কোষ গঠনের দিকে দৃষ্টি দিলে দেখতে পাব সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কত যে নিপুন কারিগর এবং কত বিজ্ঞ ছিলেন । তাঁর অসীম বিজ্ঞতার কনা পরিমানও আমরা এখনো দেখিনি কিংবা জানতে পারিনি,তার পরেও আমাদের দেহের ভিতরেই কি বিপুল পরিমান নিদর্শন তিনি রেখে দিয়েছেন তা দেখলে আর জানলে শুধু বিস্ময়াবিভুতই হবোনা তাঁর প্রতি অঢেল বিশ্বাস ও কৃতজ্ঞতাই প্রকাশ করতে হবে ।

মানবদেহ

অমাদের নীজের মানবদেহটি অসংখ বৈশিষ্টমন্ডিত ভৌত পদার্থ, জীবিত কোষ এবং বহুগুণের অধিকারি পদার্থের সমন্বয়ে টিস্যু, ও অঙ্গসমুহের একটি ভারসাম্যমুলক সিস্টেমে সু সংগঠিত রূপ।
কোষ(Cell)
জীববিজ্ঞানে কোষ হল মৌলিক ঝিল্লি-আবদ্ধ একক যা জীবনের মৌলিক অণু ধারণ করে এবং যা থেকে সমস্ত জীবিত জিনিস গঠিত। একটি একক কোষ প্রায়ই নিজেই একটি সম্পূর্ণ জীব, যেমন একটি ব্যাকটেরিয়া বা খামির। নীচে মানবদেহের একটি কোষের গঠন কাঠামো দেখানো হলো ।
একটি মানব কোষের গঠন

বিজ্ঞানীরা হিসাব করে দেখেছেন প্রতিটি মানব জীব ৩০, ০০০,০০০,০০০,০০০ তথা তিন লক্ষ কোটির বেশি কোষ নিয়ে গঠিত । এটা আমাদের কল্পনারো বাইরে, সৃষ্টিকর্তা কত নিখুতভাবে আমাদের শরীরের মধ্যে এত বিশাল পরিমানের স্বয়সম্পুর্ণ জীব কোষ তৈরী করে রেখে দিয়েছেন আমাদের জীবনকে তার নির্দেশিত একটি নির্দিষ্ট কার্যকলাপ সম্পাদনের জন্য । এমন একটি ছোট কোষের ভিতর আল্লাহ কত শক্তি দিয়েছেন তা এই কিছুদিন আগে কোভিড১৯ ভাইরাস হতেই মানুষ কিছুটা টের পেয়েছে । তাইতো আল্লাহ বলেন তার প্রতিটি সৃষ্টির মধ্যেই রয়েছে বুদ্ধিমান ও চিন্তাশীলদের জন্য চিন্তার খোরাক ।

মানবদেহের কোষগুলি এতই ছোট যে শক্তিশালী অনুবিক্ষন যন্ত্র ছাড়া এটা দেখাই যায়না । আল্লাহর কি অপার সৃস্টি রহস্য যে এত ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কোষ দিয়ে আমাদের দেহকে গড়েছেন সৃষ্টির শ্রেষ্ট মখলুকাত হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য় ।
অন্যদিকে একটি মাত্র কোষ নিয়েও তার সৃস্টি জগতে রয়েছে বেশ কিছু প্রাণী যেমন এক কোষী সামুদ্রিক শৈবাল জাতীয় এমিবা । আবার খালী চোখেও দেখা যায় এমন এক কোষি প্রাণীও রয়েছে যথা ভ্যলোনিয়া ভেন্ট্রকোষা ।

পরিচিত এককোষী জীবের মধ্যে আন্যতম বৃহত্তমটি হল ভ্যলোনিয়া ভেন্ট্রকোষা । এর খোলস একটি পাতলা দেয়ালযুক্ত শক্ত, মাল্টিনিউক্লিয়েট কোষ নিয়ে গঠিত যার ব্যাস সাধারণত ১ থেকে ৪ সেন্টিমিটার (০.৪ থেকে ১.৬ইঞ্চি) পর্যন্ত হয়ে থাকে, যদিও এটি বিরল ক্ষেত্রে ৫.১ সেন্টিমিটার (২.০০ইঞ্চি) পর্যন্ত ব্যাস অর্জন করতে পারে।
মধ্যপ্রাচ্চের লোহিত সাগরের শৈবালে থাকা এককোষী প্রাণী Valonia ventricosa একটি চিত্র ।

টিস্যু ( Tissue)
বহুকোষী জীবের সংগঠনের একটি স্তর হলো টিস্যু; এটি মানবদেহের গঠনগত এবং কার্যকরীভাবে অনুরূপ কোষ এবং তাদের আন্তঃকোষীয় উপাদানগুলির একটি গ্রুপ নিয়ে গঠিত। আল্লাহ কিভাবে ছোট্ট বিন্দুর মত কোষগুলিকে একটির সাথে আরেকটি সহযোগে টিস্যু ও মানবাঙ্গ ও মস্তবড় দেহ গড়েছেন তা দেখলে অবাকই হতে হয় । যতই জানব তাঁর প্রতি বিশ্বাস ও ভক্তি ততই বাড়বে ।
টিস্যুর গঠন( Tissues Structure)

অঙ্গ (Organ)
জীববিজ্ঞানে অঙ্গ হলো একটি জীবন্ত জীবের টিস্যুগুলির একটি গ্রুপ যা একটি নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনের জন্য অভিযোজিত হয়েছে। যেমন খাদ্যনালী, পাকস্থলী এবং যকৃত হল পরিপাকতন্ত্রের অঙ্গ। এখন বিধাতার অপরূপ সৃষ্টি আমাদের আভ্যন্তরিন অঙ্গ আমাদেরকে বেঁচে থাকতে এবং জীবনের গতিময়তা দিতে কত গুরুত্বপুর্ণ তা একটু খানি দেখে নিতে পারি । এগুলি দেখে চোখ বন্ধ করে চিন্তা করলে খোদার গুণাবলীর কথাই শুধু অন্তরে বিরাজ করবে আর শুকর গুজারী করতে অনুপ্রাণিত করবে ।

রক্ত ( Human blood)
রক্ত হল একটি তরল পদার্থ যা কোষে অক্সিজেন এবং পুষ্টি পরিবহন করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য বর্জ্য পণ্য বহন করে।

মানুষের শরীরে রয়েছে লোহিত আর শ্বেত রক্তকনিকা । লোহিত রক্তকনিকা ফুস ফুস থেকে দেহের কলাগুলিতে আক্সিজেন সরবরাহের প্রধান মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। হিমোগ্লবিনের মাধ্যমে ফুসফুস বা ফুলকার মধ্যকার কৈশিক নালির মধ্যে সংবহনের সময় স্বাসবায়ু থেকে লোহিত রক্তকণিকাতে অক্সিজেন সংগৃহীত হয় এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড পরিত্যক্ত হয়।শ্বেত রক্তকণিকা দেহের প্রতিরক্ষার কাজ করে।এটি নানা ধরনের সংক্রামণকারী থেকে মানুষকে রক্ষা করে।
বিষয়গুলি এমনভাবে না দেখলে আল্লাহর অপরূপ সৃষ্টি কৌশল বুঝাই যেতোনা ।
এ জন্যই মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে আমাদেরকে তাঁর সৃষ্টি নিয়ে গবেষণা করার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহর নির্দেশ মান্য করার মধ্যেও রয়েছে অনেক পূণ্য ।

মানুষের কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম
মানুষের কার্ডিউভাসকুলার সিস্টেম তার শরীরের সমস্ত অংশে এবং রক্তনালীগুলির মাধ্যমে রক্ত প্রবাহিত করে, টিস্যুতে পুষ্টি এবং অক্সিজেন বহন করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য বর্জ্য অপসারণ করে। এটি একটি বন্ধ টিউবুলার সিস্টেম যেখানে রক্ত একটি পেশীবহুল হৃদয়(heart) দ্বারা চালিত হয়। এর একটু এদিক সেদিক হলেই হয় হার্ট ফেলিউর, যার পরিনামে মানুষের মৃত্যু হয়ে উঠে অনেকটাই অনিবার্য্য যদিনা সময়মত চিকিৎসা করা হয় আর আল্লার হুকুমে/অশেষ রহমতে তার আয়ু বৃদ্ধি পায় । তবে যাহাই ঘটুক না কেন, আল্লাহ নির্দ্ধারিত একটি নির্দিষ্ট সময়ান্তে প্রতিটি মানুষকেই আল্লাহর হুকুম যখন হবে তখন তাকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতেই
হবে ।

যাহোক ,আল্লাহ কতই মেহেরবান,তিনি মানুষকে একটি নিয়মের মধ্যে আবদ্ধ রেখে তার হার্টকে সচল রেখেছেন, আল্লাহ প্রদত্ত সীমারেখা অতিক্রম করে বা রীতির বরখেলাপ করে যথা হারাম জাতীয় খাবার কিংবা অন্য যে কোন স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করে অধিক ভুজন বা চর্বিজাতীয় খাবার বেশী গ্রহণ কিংবা জাগতিক বিষয়ে আল্লার উপর নির্ভর না করে দুনিয়াধারী জাগতিক বিষয়ে বেশি চিন্তা করে হার্ট ফেউলুরের ঝুকি বাড়িয়ে তুলে অনেকেই। ছবিতে দেখুন মানুষের কার্ডিউ ভাসকুলার সিসটেমটি কত জটিল প্রক্রিয়ার মধ্যে চলে , অথচ সুস্থ সবল একজন মানুষ টেরই পায়না মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ কত নিখুতভাবে একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাধীনে বিরামহীনভাবে দিবানিশী এটা চালু রেখে,দিনের পর দিন, বছরের পর বছর ধরে নিখুতভাবে পরিচালনা করে আমাদেরকে জিবীত রেখে দুনিয়াধারী করার তৌফিক দান করেছেন , তবু কি আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও শুকর গুজার করবনা ? অথচ খুব সহজেই নিভৃতে নিরবে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর কতই না সুযোগ রয়েছে ,শুধু সে সুযোগের সদব্যবহার করতে হবে । এর মাধ্যমে দ্বীন দুনিয়া দুদিক হতেই অশেষ কল্যান লাভ করা যাবে।

আসুন এই ফাকে আল্লার কাছে সকলেই একটু প্রার্থনা করে নিই ।
রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতা, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানা, ওয়াকিনা আজাবান্নার।’ হে আমার প্রভু! আমাকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান কর, আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও।

মানুষের ত্বক( Human Skin)
মানুষের ত্বক, শরীরের পৃষ্ঠের আচ্ছাদন, বা ইন্টিগুমেন্ট যা উভয়ই সুরক্ষা প্রদান করে এবং বাহ্যিক পরিবেশ থেকে সংবেদনশীল উদ্দীপনা গ্রহণ করে। ত্বকে টিস্যুর তিনটি স্তর থাকে: এপিডার্মিস, একটি বাইরের স্তর যা প্রাথমিক প্রতিরক্ষামূলক কাঠামো ধারণ করে, স্ট্র্যাটাম কর্নিয়াম; ডার্মিস, একটি তন্তুযুক্ত স্তর যা এপিডার্মিসকে সমর্থন করে এবং শক্তিশালী করে; এবং সাবকুটিস, ডার্মিসের নীচে চর্বির একটি স্তর যা অন্য দুটি স্তরে পুষ্টি সরবরাহ করে এবং এটি শরীরকে কুশন এবং ইনসুলেট করে।

সুবহানান্নাহ, আল্লাহ আমাদের দেহটিকে কি চমৎকার ভাবেই সুরক্ষা করে রেখেছেন বিভিন্ন জটিল কার্যাবলী সম্পাদনের দায়িত্ত্ব পালনারী ত্বক দিয়ে।

স্নায়ুতন্ত্র
স্নায়ুতন্ত্র আমাদের দেহের ঐচ্ছিক ও অনৈচ্ছিক কাজের সমন্বয় সাধন করে এবং দেহের বিভিন্ন অংশে সংকেত প্রদান করে।যে তন্ত্রের সাহায্যে প্রাণী উত্তেজনায় সাড়া দিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে, দৈহিক মানসিক ও শারীরবৃত্তীয় কাজের সমন্বয় ঘটায়, দেহের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে পারস্পরিক সংযোগ সাধন করে এবং তাদের কাজের মধ্যে সংবাদ আনয়ন ও নিয়ন্ত্রণ করে তাকে স্নায়ুতন্ত্র বলে
মস্তিস্কের মগজের শিরা উপশিরা ও তার সংবেদনশীলতার একটি চিত্র ।
পায়ের আঙ্গুল হতে মানুষের মাথায় থাকা ব্রেন পর্যন্ত স্নায়ুতন্ত্র

স্নায়ু এবং মস্তিষ্কের কোষগুলির একটি বিশাল নেটওয়ার্ক যা শরীরকে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত কাজ করতে সক্ষম করে তুলে যেমন শ্বাস নেওয়া, খাওয়া, দেখা, শ্রবণ এবং চলাফেরা। ইঞ্জিনিয়ারদের তৈরি সেরা সুপার-কম্পিউটারগুলির চেয়ে মানব মস্তিষ্কের কম্পিউটিং ক্ষমতা অনেক বেশী । তারপরেও মানব মস্তিষ্কের কম্পিউটিং ব্যবস্থা চালানোর জন্য সুপার কম্পিউটারের তুলনায় মস্তিস্কের ভিতরে খুবই ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ পরিমান স্থান ও শক্তির প্রয়োজন।

অথচ মনুষ্যসৃষ্ট একটি রোবটের পুরাটা মাথাজুরেই মাকরসার জালের মত ছোট বড় অসংখ কেবল ফিট করেও তা মানুষের তুলনায় মিলিয়নভাগের একভাগ সমপরিমান স্নায়ুবিক কাজেও ব্যবহার উপযোগী করতে পারিনি ।

স্নায়ুতন্ত্র কেবল তার নকশার অসাধারণ ডিজাইনের প্রমাণই দেয় না বরং এটা আমাদের সৃস্টিকর্তা আল্লাহর অসীম প্রজ্ঞা ও সুনিপুন সৃষ্টি কৌশলের নিদর্শন প্রকাশ করে।

মানুষের শ্বাসযন্ত্র

শ্বাসযন্ত্র সিস্টেমের মাধ্যমে মানুষ অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বের করে দেয়। মানুষের গ্যাস-আদান-প্রদানকারী অঙ্গ, ফুসফুস, থোরাক্সে অবস্থিত, যেখানে এর সূক্ষ্ম টিস্যুগুলি হাড় এবং পেশীবহুল বক্ষের খাঁচা দ্বারা সুরক্ষিত থাকে। ফুসফুস মানব দেহের টিস্যুগুলিকে অক্সিজেনের অবিচ্ছিন্ন প্রবাহ সরবরাহ করে এবং বায়বীয় বর্জ্য পদার্থ, কার্বন ডাই অক্সাইডের রক্ত পরিষ্কার করে। বায়ুমণ্ডলীয় বায়ু নিয়মিতভাবে পাইপের একটি সিস্টেমের মাধ্যমে পাম্প করা হয়, যাকে বলা হয় কন্ডাক্টিং এয়ারওয়েজ, যা শরীরের বাইরের সাথে গ্যাস-বিনিময় অঞ্চলে যোগ দেয়। মানুষের দেহের ভিতর শ্বাস নালী ও দেহ পিঞ্জরের ভিতরে ফুসফুসের কাজ কতই না নিখুত ও স্বয়ংক্রিয় , দেহে বায়ু প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে জীবন প্রদীপ নিভে যাবে , আর এই জীবন প্রদীপকে দিবা নীশি কে চালু রাখেন , তিনি আমাদের মৃষ্টি কর্তা আল্লাহ ভিন্ন আর কেহ নন ।

শ্বাস-প্রশ্বাসের মূল্য যে কত বেশি, সেটা কেবল সেই-ই বুঝে যে মহামারি করোনায় চূড়ান্ত শ্বাসকষ্টের সম্মুখীন হয়েছে। করোনা মূলতঃ ফুসফুসে হানা দেয়। আর তাই প্রয়োজন হয় অক্সিজেনের। বুকের মধ্যে রক্ষিত ফুসফুস বা ফুল্কা এই অক্সিজেন সিলিন্ডারের কাজ করে এবং সারাজীবন আমাদের জন্য অক্সিজেন সরবরাহ করে। প্রতি মিনিটে গড়ে ১২-১৮ বার শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে থাকলে জীবনে কত লক্ষ-কোটি বার এই সিলিন্ডার আমাদের অক্সিজেন দিয়েছে, তা একবার ভেবেছি কি?উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় বাংলাদেশে বর্তমান বাজারে ১২ লিটারের একটি সাধারণ অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম ১০ থেকে ২৫ হাজার টাকা, যা দুই থেকে পাঁচ ঘণ্টা চলে। পরে তাতে আবার অক্সিজেন ভরতে হয়। একবার ভাবুন, কত কোটি টাকার অক্সিজেন আমরা বিনা পয়সায় বিনা চেষ্টায় সর্বদা পাচ্ছি আল্লাহর অশেষ অনুগ্রহে ।

যাহোক, মানুষকে মনে রাখতে হবে, আল্লার হুকুমে বা ইচ্ছায় একদিন মানুষকে মৃত্যুবরণ করতে হবে , তার প্রাণ বায়ু উড়ে যাবে , তাকে আল্লার নিকট প্রত্যাবর্তন করতে হবে । যেমন আল্লাহ বলেন,
وَ اتَّقُوۡا یَوۡمًا تُرۡجَعُوۡنَ فِیۡهِ اِلَی اللّٰهِ ٭۟ ثُمَّ تُوَفّٰی کُلُّ نَفۡسٍ مَّا کَسَبَتۡ وَ هُمۡ لَا یُظۡلَمُوۡنَ
‘আর তোমরা ঐ দিনকে ভয় কর, যেদিন তোমাদেরকে আল্লাহর নিকট ফিরিয়ে নেওয়া হবে। অতঃপর সেদিন প্রত্যেকে স্ব স্ব কর্মফল পুরোপুরি প্রাপ্ত হবে এবং তাদের প্রতি কোনরূপ অবিচার করা হবে না’ (বাক্বারাহ আয়াত ২৮১)।

মানুষের সংবেদনশীল অভ্যর্থনা/রিসেপটর

মানুষের সংবেদনশীল অভ্যর্থনা, যার মাধ্যমে মানুষ বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ পরিবেশের পরিবর্তনে প্রতিক্রিয়া দেখায়। প্রাচীন দার্শনিকরা মানুষের ইন্দ্রিয়কে "আত্মার জানালা" বলে অভিহিত করেছেন এবং গ্রীক দার্শনিক অ্যারিস্টটল কমপক্ষে পাঁচটি ইন্দ্রিয় বর্ণনা করেছেন-দৃষ্টি, শ্রবণ, ঘ্রাণ, স্বাদ এবং স্পর্শ। মানুষ অনেকদিন পর্যন্ত পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের কথাই বলত । কিন্তু আধুনিক সংবেদন গ্রহনস্থল হিসাবে এখন পেশী, টেন্ডন এবং জয়েন্টগুলিকেও রিসেপ্টর হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে, যা গতির/স্পর্শের অনুভূতির জন্ম দেয় ।

আল্লাহ বলেন-
اِنَّا خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ مِنۡ نُّطۡفَۃٍ اَمۡشَاجٍ ٭ۖ نَّبۡتَلِیۡهِ فَجَعَلۡنٰهُ سَمِیۡعًۢا بَصِیۡرًا
আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সংমিশ্রিত শুক্রবিন্দু থেকে তাকে পরীক্ষা করার জন্য, এজন্য তাকে করেছি শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তির অধিকারী(সুরা দাহর, আয়াত ২ )।

মানুষের চোখ


এর গঠন কত জটিল তা নীচের ছবিটিতে দেখা যাবে ।

মানুষের চোখের গঠন বিন্যাস

১)কাঁচা শরীর ২.ওরা সেরেটা, ৩)সিলিয়ারি পেশী, ৪)জিনের জোনুল,৫)শ্লেমের ক্যানেল, ৬)পিউপিল, ৭)চক্ষুগোলকের পুর্বের প্রকোষ্ট, ৮)কর্ণিয়া, ৯)আইরিস, ১০)লেন্স কর্টেক্স, ১১)লেন্স নিউক্লিয়াস, ১২)সিলিয়ারি প্রক্রিয়া, ১৩)কনজাংটিভা, ১৪)নিন্মতর তির্যক পেশী, ১৫)নিন্মতর রেক্টাস পেশী, ১৬)মিডিয়াল রেকটাস পেশী, ১৭)রেটিনার ধমনিী এবং শিরা, ১৮)অপটিক্স ডিক্স, ১৯)ডুরা ম্যটার, ২০)কেন্দ্রীয় রেটিনাল ধমনী, ২১),সেন্ট্রাল রেটিনাল শিরা, ২২)অপ্টিক স্নায়ু ,২৩)ভার্টিকোজ শিরা, ২৪)বুলবারশীথ ম্যকুলা, ২৫)ফ্লোভিয়া,২৬)ষ্কুলেরা, ২৭)কোরয়েড ,২৮)সুপিরিয়র রেকটাস ২৯. ….৩০) রেটিনা ।

চোখের অপটিক ডিস্কের কারণেই আমরা বিশ্বকে দেখতে পাচ্ছি। আমরা রং এর খেলা দেখছি। শরীরবিজ্ঞান জানায়, মানুষের চোখ ৫৭৬ মেগাপিক্সেল পর্যন্ত ভিউ দেখাতে পারে। অর্থাৎ, সহজ কথায়, চোখ একবারে ৫৭৬ মেগাপিক্সেলের এলাকা দেখতে পারে। সবচেয়ে দামী আইফোন- ১৫ এ মাত্র ৪৮ মেগাপিক্সেল পর্যন্ত ভিউ দেখতে পারে তাও মাত্র স্বল্প দুরত্বে । অথচ একটি পরিষ্কার, অন্ধকার রাতে, ভাল দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন একজন মানুষের যদি অবাধ দৃষ্টি থাকে, তবে সে প্রায় ২.৫ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি দেখতে পাবে। মানুষের চোখ ট্রায়াঙ্গুলাম গ্যালাক্সিও দেখতে পারে। প্রায় ৩ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে, এটি মানুষের চোখ দ্বারা পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান দূরতম বস্তুগুলির মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়( সুত্র Click This Link)
আল্লার কুদরতের সীমা পরিসীমা মাপার ক্ষমতা কারো নাই ।

এখন আসা যাক চোখ কিভাবে দেখে এবং কিভাবে বুঝে সে কি বিষয় বা বস্তু দেখেছে ।যখন আমরা কোন কিছু দেখার সিদ্ধান্ত নিই, তখন পনস নামক একটি ব্রেনস্টেম কাঠামো কাজে লাগানো হয় ।এটি চোখের নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করে, ক্রমাগত আমাদের চোখের পেশীগুলিকে আলোর সঠিক উদ্দীপকের দিকে যেতে বলে (যে বস্তুটি আমরা দেখতে চাই)। পুতলির মধ্য দিয়ে যখন চোখে আলো প্রবেশ করে, তখন এটি রেটিনার ফটোরিসেপ্টর কোষগুলিতে আঘাত করে যাকে রড এবং কোনস বলা হয়। রড কোষগুলি সাধারণ দৃষ্টি এবং কোনস কোষগুলি উজ্জ্বল আলো, রঙ এবং সূক্ষ্ম বিষয়ের প্রতিক্রিয়া দেখায়।

আলো যখন তার সংশ্লিষ্ট রড বা কোনস এ আঘাত করে, তখন কোষটি সক্রিয় হয়, অপটিক নার্ভের মধ্য দিয়ে একটি স্নায়ু প্ররোচনা চালায় - চোখের এবং মস্তিষ্কের মধ্যবর্তী সংযোযক হিসাবে। এই প্ররোচনা অগণিত স্নায়ু প্রান্ত জুড়ে ভ্রমণ করে এবং অবশেষে আমাদের পাল অক্সিপিটাল লোবের সাথে শেষ হয়, যেখানে এটি প্রক্রিয়া করা হয় এবং একটি দৃশ্যমান চিত্র হিসাবে অনুভূত হয়। এটিই দৃষ্টিশক্তি।
এই সবই এক সেকেন্ডের ক্ষুদ্রতম ভগ্নাংশের মধ্যে ঘটে, যা আমাদেরকে মূলত বাস্তব সময়ে বিশ্বকে উপলব্ধি করতে দেয়।
মানুষের মস্তিষ্ক নিউরন এবং সিন্যাপসের একটি অবিশ্বাস্য জটিল বিষয়। এই জটিল প্রক্রিয়ায় আলোর এলোমেলো সংগ্রহগুলি প্রক্রিয়া এবং উপলব্ধি করার জন্য মস্তিস্কের ভিতরে থাকা মগজ ( ব্রেইন) তার বিস্ময়কর ক্ষমতা তথা পুর্ব প্রদত্ত বা আহরিত জ্ঞান এর প্রয়োগে আমরা বুঝতে পারি, আমরা কি দেখেছি । উপরের এই ছবিটিতেই দেখা যাক , চোখ প্রথম যে বস্তুটি দেখেছে সেটি একটি আপেল , কিন্তু সে কিভাবে জানল সে যা দেখেছে তা যে একটি আপেল , চোখ তখনই বুঝতে পারল যখন মস্তিস্ক তাকে প্রদত্ত জ্ঞান বা আহরিত জ্ঞান তাকে জানান দিয়েছে সে যে বস্তুটি দেখেছে তা একটি আপেল ।

এখন লেখাটির এই পর্যায়ে খানিকটা চোখ বুঝে ধ্যানে বসে চিন্তা করুন , আল্লাহ হযরত আদম(আ.) কে সৃষ্টি করার পরে তিনি আদম ও ফেরেসতাদের সামনে বিভিন্ন বস্তু রেখে ফেরেস্তাদেরকে বললেন তারা যা যা দেখেছে তার নামগুলি যেন বলে , তখন ফেরেসতাগন তাদের দেখা বস্তুগুলির নাম বলতে পারলেন না আর বললেন আমরা এদের নাম বলতে পারবনা, কারণ আমাদেরকে এদের নাম সম্পর্কে কোন জ্ঞান দেয়া হয়নি । তারপরে যখন আদম( আ.) কে বলা হল সে সকল বস্তুর নাম বলতে, তখন তিনি যা দেখেছেন তাদের নাম বলে দিয়েছেন । তার মানে আল্লাহ প্রদ্ত্ত জ্ঞানে বলিয়ান হয়ে আদম (আ.) চোখে যা দেখেছেন তা বলে দিতে পেরেছেন । তার অর্থ দাঁড়ায় তাঁর ব্রেনে দেয়া জ্ঞান হল খোদা প্রদত্ত জ্ঞান যার বলে বলিয়ান হয়েছিলেন আদম (আ.)। ঠিক তেমনই ভাবে আল্লাহ মানুষের ব্রেনে যে জ্ঞান প্রোথিত করে দিয়েছেন তারই বলে বলিয়ান হয়ে আমাদের চোখ যা দেখেছে তা বলতে পারছে , এবং মানুষের বয়োবৃদ্ধি ,সে সাথে তার জানার আকাঙ্খার প্রেক্ষিতে/চাহিদা অনুযায়ী ক্রমাগতভাবে আল্লাহ বাড়িয়েই যাচ্ছেন । আসুন,আমাদেরকে সৃষ্টি জগতের ও মখলুকাতের সেরা জীব হিসাবে তৈরীর বিষয়ে আল্লাহর এই নিখুত সুক্ষতাসুক্ষ সৃষ্টি কৌশল অনুধাবন করি আর বলি সোবহানাল্লাহ । আল্লাহ কতই না মেহেরবান , চোখের স্নায়ুতে সামান্য একটু খুত দেখা দিলে হয়ে যেতে হয় অন্ধ , আর অন্ধের কাছে জগতটাই আঁধারে পরিপুর্ণ । অপর দিকে খোদার মেহেবানীতে নিখুত চোখ দিয়ে আমরা আমাদের চারপাশের জটিল বিশ্বকে উপলব্ধি করতে পারছি। তার পরেও আমরা অস্বীকার করব আল্লার কোন কোন নিয়ামতকে । তাঁর দেয়া নিয়ামত প্রঙ্গগে তাইতো আল্লাহ বলেন -
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ
ফাবিআইয়ে আলা-ই রবিবকুমা তুকাযযিবান
অতএব (হে জ্বিন ও মানুষ!) তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ নিয়ামতকে অস্বীকার করবে? ( সুরা আর রাহমান , আয়াত ১৩)

মানুষের পেশী সিস্টেম

মানুষের পেশী, সেও একটি কত জটিল সিসটেম, যেগুলি আল্লাহর আসীম কৃদরতে স্বেচ্ছায় নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং এ পেশীসমুহের নড়াচড়া ভারসাম্যের সাথে সম্পর্কিত।

এবার আবারো আল্লাহর সৃষ্ট আমাদের মানব দেহের ভিতরে থাকা পাচন তন্ত্রের দিকে একটু দৃষ্টি দিয়ে দেখা যাক আল্লার হিকমত ।

মানুষের পাচনতন্ত্র

মানুষের পাচনতন্ত্র, হজম প্রক্রিয়ার জন্য মানবদেহের ভিতরে চলমান একটি ব্যবহৃত সিস্টেম।
মানুষের পাচনতন্ত্র মূলত পরিপাকতন্ত্র, বা কাঠামো এবং অঙ্গগুলির একটি সিরিজ নিয়ে গঠিত যার মাধ্যমে খাদ্য এবং তরলগুলি তাদের প্রক্রিয়াকরণের সময় রক্ত প্রবাহে শোষিত হতে পারে। সিস্টেমটি এমন একটি কাঠামো নিয়ে গঠিত যার মধ্য দিয়ে বর্জ্য নির্মূলের প্রক্রিয়ায় এবং অঙ্গগুলি যা পরিপাক প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় রস যোগায়।

পাচনতন্ত্রে জটিলতর হজম প্রক্রিয়া

প্রাপ্ত বয়স্ক একজন মানুষের পেটের ভিতর থাকা ক্ষুদ্রান্তটির দৈর্ঘ প্রায় ২০ হতে ২৫ ফুট । পাকস্থলী হতে খাদ্য হজম প্রানালীর মধ্য় দিয়ে পায়ুপথে বর্জ নির্গমন পর্যন্ত এই দির্ঘ পথটি পাড়ি দেয় । নিয়ম মেনে না চললে মানুষের রোগ ব্যধির বড় একটি অংশই এখান হতে জন্ম নেয় ।

এবার আল্লার কুদরত বুঝার ও জানার জন্য আমাদের দেহের ভিতরে থাকা আরো একটি গুরুত্বপুর্ণ অংগ তথা রেনাল সিস্টেম(Renal system) এর প্রতি দৃষ্টি দিয়ে দেখা যাক কি অসাধারণ জটিল কারিগরি বিষয় সংযোজন করে দিয়েছেন আল্লাহ আমাদের শরীরের ভিতরে । যার মধ্যে সামান্য এদিক সেদিক হলেই মরণ যন্ত্রনা অনিবার্য্য ।

রেনাল সিস্টেম(Renal system)

রেনাল সিস্টেম হল মানুষের শরীরের ভিতরে থাকা একটি অঙ্গ সিস্টেম যার মূল হল কিডনি, যেখানে প্রস্রাব উৎপন্ন হয় এবং মূত্র সঞ্চয় হয় এবং মূত্রনালী দিয়ে তা মানব দেহ হতে নির্গত হয় । আল্লার অশেষ মেহেরবানী যে এটা তিনি চালু রাখেন আমাদের জীবনকে সচল রাখার জন্য । যারা বিবিধ কারণে কিডনী সমস্যায় বা বৈকল্যে ভুগছেন ও নিয়মিত ডায়ালিসিস নিচ্ছেন তারাই কেবল ভাল করে অনুভব করতে পারেন দুটি কিডনী সচল না থাকলে জীবন কত কষ্টের । তাই এ কারণেও আমরা আমাদের মহান সৃষ্টি কর্তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও শুকর গুজার তো অবশ্‌ই করব ।
رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَى وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَدْخِلْنِي بِرَحْمَتِكَ فِي عِبَادِكَ الصَّالِحِينَ
রাব্বি আউযিনি আন আশকুরা নিমাতিকাল্লাতি আনআমতা আলাইয়্যা ওয়া আলা ওয়ালিদাইয়্যা ওয়া আন আমালা সালিহাং তারদাহু ওয়া আদখিলনি বিরাহমাতিকা ফি ইবাদিকাস সালিহিন।
অর্থ : হে আমার প্রভু! তুমি আমাকে তোমার দেয়া সেসব নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার সামর্থ দাও। যেসব নেয়ামত তুমি আমাকে ও আমার বাবা-মাকে দান করেছ। আর আমি যাতে তোমার পছন্দনীয় সৎকর্ম করতে পারি এবং আমাকে নিজ অনুগ্রহে তোমার সৎকর্মপরায়ন বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত কর (সুরা নামল : আয়াত ১৯)।

মানব কঙ্কাল তথা কাঠামো

মানব কঙ্কাল, অভ্যন্তরীণ কঙ্কাল যা শরীরের জন্য একটি কাঠামো হিসাবে কাজ করে। এই কাঠামোটি অনেকগুলি পৃথক হাড় এবং তরুণাস্থি নিয়ে গঠিত। এছাড়াও কঙ্কালের অংশগুলির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত তন্তুযুক্ত সংযোগকারী টিস্যুর ব্যান্ড - লিগামেন্ট এবং টেন্ডন রয়েছে৷

আল্লাহর কি অপার মহিমা ও সৃষ্টি কৌশল, কত নিখুত ও ভারসাম্যভাবে তৈরী করে দিয়েছেন আমাদের দেহ কাঠামোটিকে । একটি ছোট কাঠিও মেজের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে পারেনা যদি না তাকে ভাল করে মেঝেতে প্রোথিত করা হয় ।

একটি ছোট গাছের চাড়াও মাটির উপরে একপায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেনা যদি না তার শিকড় মাটিতে প্রোথিত হয়। অথচ আল্লাহ আমাদের দেহ কাঠামোটিকে কঙ্কাল সজ্জিত করে এমনভাবে সাজিয়েছেন যে মাত্র দুটি পায়ের উপর ভর দিয়ে আমরা সাবলিলভাবে চলাফিরা করতে পারি । আমাদের পায়ের নীচে পৃথিবী ঘন্টায় ১২০০ মাইল বেগে সুর্যের চারিদিকে বন বন করে লাটিমের মত ঘুরছে, অথচ হেলে দুলে কিংবা ছিটকে না পরে দিব্বি আরামে আমরা হেটে চলছি, ঘুরাফিরা করছি তার উপরে । এতেও রয়েছে আল্লাহ তায়ালার অনেক কুদরত ও নিদর্শন । যত ভাবি ততই অবাক হই আমাদের সৃষ্টি কর্তার এই অপরূপ মানব সৃষ্টির কলাকৌশল দেখে । এর পরেও কে অস্বীকার করবে একমাত্র মহান সৃস্টিকর্তা আল্লাকে । আল্লার প্রতি অবিশ্বাসীদের ঈমানের বলে বলিয়ান হতে আর কি লাগে , তবু কি তারা অস্বীকার করবে সৃষ্টিকর্তা আল্লাকে ।


মানব বিকাশ( Human Development)

একটি শিশু বড় হওয়ার সাথে সাথে তার আকার , টিস্যুর গঠন এবং বিকাশে পরিবর্তন হয়। নবজাতক একটি শিশুর মাথাটি তার মোট দৈর্ঘ্যের প্রায় এক চতুর্থাংশ হয়ে থাকে ; প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এটি প্রায় এক-সপ্তমাংশের মত হয় ।

গর্ভকালীন ভ্রূণ হতে শুরু করে মানবের জন্ম, বয়োবৃদ্ধি ,বার্ধক্য প্রতিটি স্তরেই শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন হতে হতে মানুষকে আবার ক্রমান্বয়ে অশিতপর বৃদ্ধাবস্থার দিকে পরিচালিত করে, বলতে গেলে তাকে সেই শিশুকালের মতই করে তোলে ।
দোলনা হতে কবর পর্যন্ত পুরাটা মানব জীবনকালই একটি গন্ডিবাধা নিয়মের মধ্যেই চলে। এই গন্ডিবদ্ধ নিয়মের মধ্যেই আল্লাহ মানুষকে আবার দিয়েছেন মুক্ত চিন্তার ক্ষমতা যাকে বলে ফ্রিডম ও উইসডম । যাতে করে সে তার ভাল মন্দ নীজেই বুঝে নিতে পারে ।


জন্মিলে মরতে হবে এ কথা পবিত্র কুরআনে উল্লেখ আছে।
کُلُّ نَفۡسٍ ذَآئِقَۃُ الۡمَوۡتِ ؕ وَ نَبۡلُوۡکُمۡ بِالشَّرِّ وَ الۡخَیۡرِ فِتۡنَۃً ؕ وَ اِلَیۡنَا تُرۡجَعُوۡنَ
প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে৷ আর আমি ভালো ও মন্দ অবস্থার মধ্যে ফেলে তোমাদের সবাইকে পরীক্ষা করছি, শেষ পর্যন্ত তোমাদেরকে আমার দিকে ফিরে আসতে হবে৷ (সূরা আম্বিয়াঃ ৩৫) আল্লাহ রাববুল আলামীন কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেন,
کُلُّ نَفۡسٍ ذَآئِقَۃُ الۡمَوۡتِ ؕ وَ اِنَّمَا تُوَفَّوۡنَ اُجُوۡرَکُمۡ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ ؕ فَمَنۡ زُحۡزِحَ عَنِ النَّارِ وَ اُدۡخِلَ الۡجَنَّۃَ فَقَدۡ فَازَ ؕ وَ مَا الۡحَیٰوۃُ الدُّنۡیَاۤ اِلَّا مَتَاعُ الۡغُرُوۡرِ
প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আর কিয়ামতের দিন তোমাদের পরিপূর্ণ বদলা দেওয়া হবে। তারপর যাকে দোজখ থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সেই সফলকাম। আর পার্থিব জীবন ধোঁকার বস্তু ছাড়া কিছুই নয়।(সুরা আল ইমরান: ১৮৫)। দুনিয়াতে যেই আসবে তাকেই চলে যেতে হবে। এখানে আসার অর্থই তাকে যেতে হবে। আর আসার পর থেকেই যাওয়ার সময় এগুচ্ছে। একজন মানব সন্তান আসার পর থেকে আমরা দেখছি সে বড় হচ্ছে। কিন্তু আসলে তার যাওয়ার সময় ঘনিয়ে আসছে। যাওয়ার দিকে সে অগ্রসর হচ্ছে। ইসলামী দর্শন এবং ভাবধারায় মৃত্যু একটি নিশ্চিত এবং অবশ্যম্ভাবী ব্যাপার। এর দ্বারা শুধুমাত্র জীবনের পরিসমাপ্তি বুঝায় না বরং এর দ্বারা বুঝায় আত্মার অবস্থার পরিবর্তন। ইসলামী বিশ্বাস মতে সৃষ্টিকর্তা (আল্লাহ) এই জগত এবং জীবন সৃষ্টি করেছেন পরীক্ষা এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবনের প্রস্তুতি পর্ব হিসেবে। মৃত্যুর দ্বারা মানুষের জাগতিক জীবনের সমাপ্তি ঘটে।

আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে মানবজাতিকে তার মৃত্যুর কথা অবহিত করেছেন। নবী-রাসুলগন তাঁদের উম্মতদের পার্থিব জীবনের পর আরেকটি জীবনের কথা বর্ণনা করেছেন। মানুষকে মৃত্যুর কথা অবহিত করার কারণ হলো, যাতে তারা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারে। মৃত্যুর পর যদি আর কোনো জীবন না থাকত, তাহলে মৃত্যু নিয়ে কোনো চিন্তার কারণ থাকত না। মৃত্যু যদি জীবনাবসানের নাম হতো, তবে পৃথিবীতে যার যার ইচ্ছামতো চলার সুযোগ থাকত। কিন্তু মুমিন মাত্রই বিশ্বাস করে যে মৃত্যু মানে এক জীবন থেকে আরেক জীবনে প্রত্যাবর্তন। একটি জীবন শেষ করে আরেকটি নতুন জীবনের সূচনা করা। দুনিয়ার জীবন অস্থায়ী, আর পরকালের জীবন স্থায়ী। দুনিয়ার সুখ-শান্তি আখিরাতের সুখ-শান্তির তুলনায় তুচ্ছ ও অতি নগণ্য। আল্লাহ তাআলা মানুষকে তার মৃত্যুর কথা জানিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু কখন, কার কোন জায়গায় মৃত্যু হবে, তা গোপন রেখেছেন।

মৃত্যুর সময় অজ্ঞাত হওয়ার কারণে মানুষ মনে করে সে দীর্ঘজীবী হবে, এমনকি মৃত্যুর কথাও ভুলে যায়। মানুষ তার মৃত্যুর কথা জানলেও জানেনা তার মৃত্যুর তারিখ ও সময়। মানুষ একেক জন একেক সময় মৃত্যুবরণ করে। তবে তার মৃত্যুর সময় ও তারিখ নির্দিষ্ট।
আল্লাহ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেন,
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ حَقَّ تُقٰتِهٖ وَ لَا تَمُوۡتُنَّ اِلَّا وَ اَنۡتُمۡ مُّسۡلِمُوۡنَ
‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে সেভাবে ভয় কর; যেভাবে ভয় করা উচিত। এবং অবশ্যই (সবধান!) মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।’ (সুরা আল-ইমরান, আয়াত ১০২)

ছোট্ট একটি শব্দ মৃত্যু! এক শব্দে শেষ হয়ে যায় একটি অধ্যায়। মৃত্যু এমনই এক শব্দ, যা আমাদের নিয়ে যায় অজানা কোন রাজ্যে, যার সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে কেউ যেতে চায় না। কিন্তু যখন মৃত্যুর ডাক এসে যায়, প্রিয়তমা স্ত্রী, আদরের সন্তান, বাবা-মা কেউ তাদের বন্ধন দিয়ে ধরে রাখতে পারে না। আমরা প্রতি মুহূর্তে এই মৃত্যুকে নিজের সাথে বয়ে বেড়াই। কেউ জানি না এক মিনিট পরে এই পৃথিবীতে আর বেঁচে থাকবো কিনা। ইসলাম মৃত্যু পরবর্তী জীবনকে বেশ স্পষ্ট করেই বর্ণনা করেছে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে,
اِنَّمَا یَسۡتَجِیۡبُ الَّذِیۡنَ یَسۡمَعُوۡنَ ؕؔ وَ الۡمَوۡتٰی یَبۡعَثُهُمُ اللّٰهُ ثُمَّ اِلَیۡهِ یُرۡجَعُوۡنَ
‘যারা (তাদেরকে প্রদত্ত বিচারবুদ্ধি নিয়ে) শোনে, তারাই সত্যের ডাকে সাড়া দেয়। মহাবিচার দিবসে আল্লাহ মৃতদের পুনর্জীবিত করবেন। তারপর তারা তাঁর কাছেই ফিরে যাবে।’ (সূরা আনজাম, আয়াত ৩৬)। অপর এক আয়াতে বলা হয়েছে
یُخۡرِجُ الۡحَیَّ مِنَ الۡمَیِّتِ وَ یُخۡرِجُ الۡمَیِّتَ مِنَ الۡحَیِّ وَ یُحۡیِ الۡاَرۡضَ بَعۡدَ مَوۡتِهَا ؕ وَ کَذٰلِکَ تُخۡرَجُوۡنَ
তিনিই মৃত হতে জীবন্তের আবির্ভাব ঘটান
یُخۡرِجُ الۡحَیَّ مِنَ الۡمَیِّتِ وَ یُخۡرِجُ الۡمَیِّتَ مِنَ الۡحَیِّ وَ یُحۡیِ الۡاَرۡضَ بَعۡدَ مَوۡتِهَا ؕ وَ کَذٰلِکَ تُخۡرَجُوۡنَ
এবং ভূমির মৃত্যুর পর ওকে পুনর্জীবিত করেন। আর এভাবেই তোমাদেরকেও (মাটি থেকে) বের করা হবে (সুরা রূম আয়াত ১৯)

আল্লাহ তাআলা মানুষকে যেহেতু তার মৃত্যুর কথা জানিয়ে দিয়েছেন, সেহেতু তার উচিত হবে মৃত্যুর জন্য সদা প্রস্তুত থাকা। আর মুমিন যেহেতু বিশ্বাস করে তার মৃত্যুর পরে আরেকটি জীবন আছে, সেহেতু তার কর্তব্য হলো পারলৌকিক জীবনের সুখের জন্য কাজ করা। মুমিনদের উচিত, সর্বপ্রকার গর্ব-অহংকার, অন্যায়-অবিচার, পাপাচার ইত্যাদি অপকর্ম বর্জন করে স্বীয় প্রভুর নির্দেশমতো পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র জীবন লাভ করা এবং আখিরাতের সুখ-শান্তি কামনা করা। সময় বয়ে যাচ্ছে, জন্মের সাথে সাথে জীবন নামক সূর্য ক্রমে অস্তমিত হওয়ার দিক ধাবিত হচ্ছে। মৃত্যুর ভয় নয়, সময় থাকতে মৃত্যুর প্রস্তুতি গ্রহণ করি। আল্লাহপাক ও রাসুলের (সাঃ) এর পবিত্র কুরআন-হাদিসের আলোকে কায়মনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ইবাদত-বন্দেগি ও আমলে সালেহ সৎকর্ম করি এবং পূর্ণাঙ্গভাবে ইসলামের আলোকে জীবন পরিচালনা করি। এতে আমরা আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জন করে আখেরাতে নাজাত লাভে সমর্থ হব। আল্লাহ তাআলা আমাদের পরকালের সুখ-শান্তির জন্য বেশি বেশি করে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

আল্লাহ তায়ালার সৃস্টি মানব জন্ম হতে মৃত্যুর মাধ্যমে তাঁর প্রতিশ্রুত তার দিকেই প্রত্যাবর্তনের ধারাবাহিক কাহিনী ও বিবরণে নীজের আত্মপলব্দির সুযোগ বেশী করে জানতে পারলাম বেশি করে পবিত্র কুরাআনে থাকা তারইঁ বাণী সমুহ পাঠে ও তার মর্মার্থ অনুধাবনে ।

আমাদের এই দেহ যন্ত্রটি নিয়ে্ কুরআনের কথামালা ও মানবদেহের গঠন, কার্যাবলী, সচল, অচল ও তা নিরাময় নিয়ে জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসা বিজ্ঞানে আজতক হয়েছে টনকে টন গবেষনা আর পুস্তক রচনা । তারপরেও জীব ও চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলেন তারা মানব দেহের গঠণ কার্যাবলী বৈশিষ্ট, সয়ংক্রিয়তা, বৈকল্য ও নিরাময় ক্ষমতা নিয়ে এখন পর্যন্ত মাত্র খুব সামান্যই জানতে পেরেছেন । অজানা ও অচেনা অনেক রোগ মানুষের দেহে বাসা বেধে চলেছে নিরন্তর , যেমন মাত্র কিছুদিন আগে সারা দুনিয়ার মনুষ্য সমাজে তান্ডব সৃস্টিকারী কভিড‌১৯ অতি ক্ষুদ্র একটি ভাইরাস কি লিলাই না দেখিয়ে গেল বিশ্ববাসীকে । আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানী ও হিকমতে তারই দেয়া জ্ঞান কাজে লাগিয়ে মানুষ এর মোকাবেলা করতে কিছুটা সক্ষম হয়েছে। তবে এই ভাইরাসের তান্ডব লীলা এখনো হয়নি নির্মুল এই ধরাদাম হতে । এটা নির্মুল না হতেই নতুন সিনড্রোম নিয়ে নীচের ছবিটির মত নিউ কভিড ভেরিয়েন্ট ভাইরাস এসে গেছে আরো মারাত্মক আকারে হানা দেয়ার তালে ।

মুক্তির উপাই হলো এর সৃষ্টিকর্তা আল্লার কাছেই পানা চাওয়া আর এর হানাকে প্রতিরোধের জন্য পার্থিব বাহানা (ঔষধ, টিকা উদ্ভাবন) ও অপার্থিব পন্থা তথা সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সাহায্য কামনা করা , আল্লার সকল বিধিবিধান( ধর্মীয় ও জাগতিক ) মেনে চলে নীজের দেহযন্ত্রটিকে বিধাতা নির্ধারিত স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া সুষ্ঠভাবে চালনার চেষ্টা করা, ও তার কাছেই পানা চাওয়া । উল্লেখ্য হালাল পথে জীবন যাপন ,আহার, পানাহার, ভোজন , আর ধর্মাচার যথা নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও পবিত্র রমজান মাসে সিয়াম পালন ও সাধন মানুষের দেহযন্ত্রটিকে সুস্থ আর নিরোগ রাখতে সাহায্য করে বিবিধ প্রকারে। আমাদেরকে এত বৈশিষ্টময় সুন্দর দেহ ও অঙ্গ প্রতঙ্গ দিয়ে তৈরী করে আমাদের জীবনকে এত বৈচিত্রময়তা ও সুন্দর পৃথিবীর বুকে কিছুকালের জন্য আনন্দের সহিত বিচরণের তৌফিক দানের জন্য আসুন সকলেই তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শোকর গুজার করি পবিত্র কুরআনে থাকা তাঁরই শিখানো কথামালা দিয়ে ।
رَبِّ اَوۡزِعۡنِیۡۤ اَنۡ اَشۡکُرَ نِعۡمَتَکَ الَّتِیۡۤ اَنۡعَمۡتَ عَلَیَّ وَ عَلٰی وَالِدَیَّ وَ اَنۡ اَعۡمَلَ صَالِحًا تَرۡضٰىهُ وَ اَدۡخِلۡنِیۡ بِرَحۡمَتِکَ فِیۡ عِبَادِکَ الصّٰلِحِیۡنَ
হে আমার রব, তুমি আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি যে অনুগ্রহ করেছ তার জন্য আমাকে তোমার শুকরিয়া আদায় করার তাওফীক দাও। আর আমি যাতে এমন সৎকাজ করতে পারি যা তুমি পছন্দ কর। আর তোমার অনুগ্রহে তুমি আমাকে তোমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত কর (সুরা আন নামল আয়াত ১৯)।

এতক্ষন নীজের দেহ ও দেহাভ্যন্তরের দিকে দৃষ্টি দিয়ে আল্লার তায়ালার নিপুন সৃষ্টি ক্ষমতার যতসামান্য উপলব্দি করলাম । আল্লাহর সৃষ্টি একজন মানুষের অঙ্গ প্রতঙ্গের গঠন বৈশিষ্ট ও তাদের সুসামঞ্জস্যমন্ডিত কার্যকলাপ নিয়ে আলোচনা করতে গেলে এক সাগর পানি দিয়ে কালি বানিয়ে লিখেও তা শেষ করা যাবেনা ।
আল্লাহ নীজেই বলেছেন,
قُلۡ لَّوۡ کَانَ الۡبَحۡرُ مِدَادًا لِّکَلِمٰتِ رَبِّیۡ لَنَفِدَ الۡبَحۡرُ قَبۡلَ اَنۡ تَنۡفَدَ کَلِمٰتُ رَبِّیۡ وَ لَوۡ جِئۡنَا بِمِثۡلِهٖ مَدَدًا
বল, ‘আমার রবের কথা লেখার জন্য সমুদ্র যদি কালি হয়ে যায়, তবে সমুদ্র নিঃশেষ হয়ে যাবে আমার রবের কথা শেষ হওয়ার আগেই। যদিও এর সাহায্যার্থে অনুরূপ আরো সমুদ্র নিয়ে আসি( সুরা আল কাহফ , আয়াত ১০৯)
وَ لَوۡ اَنَّ مَا فِی الۡاَرۡضِ مِنۡ شَجَرَۃٍ اَقۡلَامٌ وَّ الۡبَحۡرُ یَمُدُّهٗ مِنۡۢ بَعۡدِهٖ سَبۡعَۃُ اَبۡحُرٍ مَّا نَفِدَتۡ کَلِمٰتُ اللّٰهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَزِیۡزٌ حَکِیۡمٌ
দুনিয়ার সব গাছ যদি কলম হয় আর সমুদ্র (কালি হয়) আর তার সাথে আরো সাত সমুদ্র যুক্ত হয়, তবুও আল্লাহর (প্রশংসার) কথা (লেখা) শেষ হবে না। আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞার অধিকারী( সুরা লোকমান আয়াত ২৭) ।

বার্ধক্য জনিত বিবিধ রোগব্যধির কারণে দেহযন্ত্রটি ভাল যাচ্ছেনা। আমার জন্য সামুর সকল প্রিয় ভাই বোনের কাছে দোয়া চাই ।
নীজের অজান্তে কারো মনে যদি কোন দুঃখ , কষ্ট, যন্ত্রনা দিয়ে থাকি তাহলে নীজ গুণে ক্ষমা করার জন্য বিনীত আর্জি জানাচ্ছি ।

কষ্ট করে এতক্ষন ধৈর্য ধরে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।

সকলের প্রতি শুভেচ্ছা ও দোয়া রইল । আমীন


তথ্য সুত্র
১)পবিত্র কোরআনুল করিম , অনুবাদ ও তাফসির , মুল-মুফতি মুহাম্মদ শাফী (র.), বাংলায় অনুবাদ মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, প্রকাশক খাদেমুল হারামাইন, শরীফাইন বাদশাহ ফাহদ কুরআন মুদ্রন প্রকল্প , মদিনা , সৌদি আরব , প্রকাশকাল ১৪২২হি.)।
২) তাফসির ইবনে কাসির,১ম,২য় ও তৃতীয় খন্ড,মুল হাফেজ ইমাদুদ্দিন ইবনু কাসীর (র)
অনুবাদ ড.মোহাম্মদ মুজীবুর রহমান , প্রকাশক, তাফসির পাবলিকেশন কমিটি, ঢাকা বংলাদেশ , প্রকাশকাল ১৯৮৬( প্রথম প্রকাশ) ।
৩) Human body @ https://www.britannica.com/science/human-body ( accessed on 15 February 2024)

ছবিসুত্র
গুগল অন্তরজালের পাবলিক ডোমেইন হতে নেয়া হয়েছে বেশ কিছু ছবি, তারমধ্যে অবশ্য অনেক ছবির পকৃত সুত্রের হদিছ পাওয়া যায়নি, তারপরেও সে সমস্ত ছবির প্রকৃত উৎসের প্রতি রইল কৃতজ্ঞতা ।

মন্তব্য ১০২ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (১০২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৫:৪৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আত্মপলব্দির জন্য একটি চমৎকার পোষ্ট।

২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৫:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



কষ্ট করে এই বেশ বড় পোষ্টটি পাঠান্তে মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

২| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:০৯

আমি নই বলেছেন: অনেক বড় পোষ্ট, বুকমার্ক করে রাখলাম পরে এক সময় পড়ব।

২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

বুক মার্ক করে রাখার জন্য ধন্যবাদ ।
পরে সময় করে পড়বেন শুনে খুশি হলাম ।

শুভেচ্ছা রইল

৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:০৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: পরিশ্রম করে অকৃপনভাবে জ্ঞান বিতরণের জন্য আপনাকে অন্তরের অন্ত:স্থল থেকে দোয়া করছি- আল্লাহ আপনাকে সুস্থ্যতার সাথে নেক হায়াত দান করুন- আমিন।

২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




আবার এসে মুল্যবান মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ।
দোয়া করছি- আল্লাহ আপনাকেও সুস্থ্যতার সাথে
নেক হায়াত দান করুন- আমিন।

৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৭:৫৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: অবশ্যই পোষ্ট পরে পড়বো। আপনি অনেক দিন পর ব্লগে পোস্ট করেছেন দেখে ভালো লাগলো।

২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




পোষ্টটি পড়বেন শুনে খুশী হলাম ।
হ্যাঁ অনেকদিন পরে ব্লগে পোষ্ট করেছি ।
বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছি ।
অসুস্থ শরীরে নীজের দেহের প্রতি তাকিয়ে
যে আত্ম উপলব্দি হয়েছে তাই নিয়েই দুচারটি
কথা বলেছি ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৭:৫৯

অগ্নিবেশ বলেছেন: হাস্যকর সব কথাবার্তা, কোরান নাজিল হওয়ার আগে মানুষ মরত না, কোরান এসেই আমাদের প্রথম জানাল যে প্রতিটা প্রানী মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করবে। মহম্মদ জন্মের অনেক আগেই ভারতের চিকিৎসা শাস্ত্র উন্নত ছিল। পৃথিবী সুর্যের চারিদিকে ঘোরে এবং পৃথিবী গোল তা ১৪শ বছর আগেই মানুষ জানত, এদিকে মহম্মদ এসে জানাল যে সুর্য পঙ্কিল জলাশয়ে আস্ত যায়। পারলে এমন কিছু দেখান যা মানুষ আগে জানত না, কোরানেই তা প্রথম বর্নিত। ভুজুং ভাজুং দিয়ে এখন আর মানুষকে বোঝানো যায় না, পারলে কোরানে ডিটেইল কিছু থাকলে দেখান।
এখন আমার কথা শোনেন, ইসলামের বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে, যত মানুষ অর্থ বুঝে কোরান হাসিদ পড়বে ততই এই ধর্ম থেকে দূরে সরে যাবে। কেউই এখন আর বিধর্মীদের সাথে যুদ্ধ করে তাদের বিবি বেটিদের তুলে বিছানায় এনে জিং জিং করতে চায় না, মানুষ শান্তি চায়। কেউই এখন আর দাস দাসী চায় না, দাসী সেক্স একটা ঘৃন্য বিষয়। প্রাপ্ত বয়স্ক কেউই এখন ৯ বছরের মেয়েকে বিয়ে করে বিছানায় তুলতে চায় না। কেউই এখন আর চোরকে ধরে হাত কাটতে চায় না, এমন কি সিরিয়াল কিলাদেরও মৃত্যুদণ্ড দিতে চায় না। মানুষ এখন অনেক মানবিক। তারা নারী পুরুষ সমান অধিকার চায়, তারা সমকামী, হিজরা সকলেরই তাদের পছন্দমত পার্টনার চয়েস করার অধিকার চায়। আপনারা সমাজকে পেছনের দিকে টেনে নিয়ে গেছেন, তবে আপনাদের সময় শেষ। আপনার মত কিছু ব্যক্তিরা ইসলামের অন্ধকার গুলো চেপে গিয়ে কিছু মাক্কীসুরা টেনে এনে ইসলামকে মানবিক করার চেষ্টা করেন। সেকুলার দেশে এইসব করতে পারবেন, কিন্তু ইসলামিক কান্ট্রিতে এগুলো পারবেন না। বাংলাদেশে শরীয়া চালুহলে, আপনার এই মধুর মধুর মানবিক বাক্য আর রহিত সুরা প্রচার করার দায়ে কল্লা যেতে পারে।

ইসলামের কিছু অংশ গ্রহণ করে বাকি অংশ ত্যাগ করলে কখনোই মুসলিম হওয়া যাবেনা। কেননা আল্লাহু(সুবঃ) বলেনঃ
"হে মুমিনগণ !! তোমরা ইসলামে পরিপূর্ণরুপে প্রবেশ করো এবং তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না, নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।"
(সূরা বাকারা-২০৮)
এ আয়াত দ্বারা আল্লাহু(সুবঃ) পরিষ্কার করে দিলেন যে, ইসলাম গ্রহণ করতে হলে পরিপূর্ণভাবেই গ্রহণ করতে হবে কোন কিছু বাদ দেয়া যাবে না।
কিন্তু যারা সুবিধাবাদী প্রয়োজন মতো ইসলামের কিছু বিষয় মানে আর বাকি গুলো ত্যাগ করে তাদের ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে চরম হুশিয়ারী বার্তা উচ্চারিত হয়েছে।
সূরা বাকারর ৮৫নং আয়াতে আল্লাহু(সুবঃ) ইরশাদ করেনঃ
"তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশে ইমান রাখো আর কিছু অংশ অস্বীকার করো ?? তোমাদের মধ্যে যারা তা করে দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনা ছাড়া তাদের কি প্রতিদান হতে পারে ?? আর কিয়ামতের দিনে তাদেরকে কঠিনতম আযাবে নিক্ষেপ করা হবে। আর তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্পর্কে গাফিল নন।"
এছাড়াও সূরা নিসার ১৪৩নং আয়াতে আল্লাহু(সুবঃ) আরো ইরশাদ করেনঃ
"তারা এই দ্বীনের ব্যাপারে দোদুল্যমান, না মুমিনদের দিকে আর না কাফেরদের দিকে। আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট হতে দেন তুমি কখনো তার জন্য কোন পথ পাবে না।"
অপর আয়াতে আল্লাহতাআলা বলেনঃ
"তারা বলে আমরা কতককে বিশ্বাস করি আর কতকের সাথে কুফরী করি এবং তারা এর মাঝামাঝি একটি পথ গ্রহণ করতে চায়, তারাই প্রকৃত কাফের এবং আমি কাফেরদের জন্য প্রস্তুত করেছি অপমানজনক আযাব।"
(সূরা নিসা-১৫১)
সুতারাং ইসলামে প্রবেশ করতে হলে পুরোপুরিভাবেই প্রবেশ করতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে ইসলামকে মানবে আর জীবনের বিশাল অংশে মানব রচিত আইন মেনে চলবে তা হতে পারেনা। মসজিদে গেলে আল্লাহর আইন মানবেন আর সংসদ, আদালত, ব্যাঙ্ক, স্কুল, কলেজে ইসলামের আইন বাতিল করে নিজেদের মনগড়া অথবা ইহুদী-খ্রীষ্টান, হিন্দু-বৌদ্ধদের বানানো আইন অনুযায়ী চলবেন তাহলে আপনি কখনোই মুসলিম হতে পারবেন না।

২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ধন্যবাদ ।
কোরানের আলোকে সঠিক উপলব্দি। ঠিকই বলেছেন
কোরান ও সুন্নার আলোকে পুরাপুরি সম্পুর্ণভাবে
ইসলামে থেকে মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি সমর্পিত
হতে হবে । আমিউ সঠিক আত্ম উপলব্দিতে
উপনিত হতে চাই । সঠিক পথে চলতে চাই।
মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই।

৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:২০

অহরহ বলেছেন: কোরান-হাদিসের এসব কথা গ্রামের ওয়াজ মহফিলে মূর্খ Audience এ শোভা পায়। কিন্তু সামুর মত একটি গ্লোবাল Platform এ নিরেট হাস্যকর। এটা বুঝেন.... @ ভাইয়া??

জেনে নেই 'কোরান/হাদিস-বিজ্ঞান' কী জিনিস? মাত্র কয়েকটি উদাহরণ দেয়া হল : মিলিয়ে দেখুনতো ঠিক আছে কিনা ভাইয়া?

১। উল্কাপাত কাকে বলে?

নিশ্চয় আমি নিকটবর্তী আকাশকে তারকারাজির দ্বারা সুশোভিত করেছি। এবং তাকে সংরক্ষিত করেছি প্রত্যেক অবাধ্য শয়তান থেকে। ওরা উর্ধ্ব জগতের কোন কিছু শ্রবণ করতে পারে না এবং চার দিক থেকে তাদের প্রতি উল্কা নিক্ষেপ করা হয়। ওদেরকে বিতাড়নের উদ্দেশে। ওদের জন্যে রয়েছে বিরামহীন শাস্তি। তবে কেউ ছোঁ মেরে কিছু শুনে ফেললে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ড তার পশ্চাদ্ধাবন করে।

আমি সর্বনিম্ন আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুসজ্জত করেছি; সেগুলোকে শয়তানদের জন্যে ক্ষেপণাস্ত্রবৎ করেছি এবং প্রস্তুত করে রেখেছি তাদের জন্যে জলন্ত অগ্নির শাস্তি।


২। শীত গ্রীষ্ম হওয়ার কারণ :

আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জাহান্নাম অভিযোগ করে আল্লাহর কাছে বলল, হে আমার প্রভু! আমার এক অংশ অন্য অংশকে খেয়ে ফেলছে। সুতরাং আমাকে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণের অনুমতি দিন। তাই আল্লাহ তা’আলা তাকে দু’বার শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুমতি দান করলেন। একবার শীত মৌসুমে আরেকবার গ্রীষ্ম মৌসুমে। তোমরা শীতকালে যে ঠাণ্ডা অনুভব করে থাকো তা জাহান্নামের শ্বাস-প্রশ্বাসের কারণে। আবার যে গরমে বা প্রচণ্ড উত্তাপ অনুভব করে থাকো তাও জাহান্নামের শ্বাস-প্রশ্বাসের কারণে। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১২৭৭, ইসলামীক সেন্টার ১২৯০)
হাদিসের মানঃ সহিহ

৩। মেঘের গর্জন আসলে কী :

ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইয়াহুদীরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, হে আবূল কাসিম! আমাদেরকে রা’দ (মেঘের গর্জন) প্রসঙ্গে বলুন, এটা কি? তিনি বললেনঃ মেঘমালাকে হাকিয়ে নেয়ার জন্য ফেরেশতাদের একজন নিয়োজিত আছে। তার সাথে রয়েছে আগুনের চাবুক। এর সাহায্যে সে মেঘমালাকে সেদিকে পরিচালনা করেন, যেদিকে আল্লাহ তা’আলা চান। তারা বলল, আমরা যে আওয়াজ শুনতে পাই তার তাৎপর্য কি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটা হচ্ছে ফেরেশতার হাকডাক। এভাবে হাকডাক দিয়ে সে মেঘমালাকে তার নির্দেশিত স্থানে নিয়ে যায়। (সূনান আত তিরমিজী তাহকীককৃত অধ্যায়ঃ ৪৪/ তাফসীরুল কুরআন

৪। সূর্য রাতের বেলা কই যায় :

মুহাম্মদ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় আবূ যার (রাঃ)-কে বললেন, তুমি কি জানো, সূর্য কোথায় যায়? আমি বললাম, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল ই ভাল জানেন। তিনি বললেন, তা যেতে যেতে আরশের নীচে গিয়ে সিজদায় পড়ে যায়। এরপর সে পুনঃ উদিত হওয়ার অনুমতি চায় এবং তাকে অনুমতি দেওয়া হয়। আর অচিরেই এমন সময় আসবে যে, সিজদা করবে তা কবূল করা হবে না এবং সে অনুমতি চাইবে কিন্তু অনুমতি দেওয়া হবে না। তাকে বলা হবে যে পথে এসেছ, সে পথে ফিরে যাও। তখন সে পশ্চিম দিক হতে উদিত হবে। সহীহ বুখারী (ইফাঃ) ২৯৭২।

৫। চাঁদ দুইভাগে বিভক্ত :

আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা, আবূ কুরায়ব ইসহাক ইবনু ইবরাহীম, উমার ইবনু হাফস ইবনু গিয়াস, ও মিনজাব ইবনু হারিছ তামিমী (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মিনায় আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলাম। এমতাবস্থায় (হঠাৎ করে) চন্দ্র বিদীর্ন হয়ে দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেল। এক খন্ড পাহাড়ের এ পাশে পড়ল এবং অপর খন্ড পড়ল পাহাড়ের ওপাশে। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা সাক্ষী থাক। (সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ৫৩/ কিয়ামত, জান্নাত ও জাহান্নামের বিবরণ‏ পরিচ্ছদঃ ৯. চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হওয়ার বিবরণ ৬৮১৫।)

২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


কিছু গুরুত্বপুর্ণ তথ্য জ্ঞাত করানোর জন্য ধন্যবাদ ।

২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


অনেকের কাছ হতেই নতুন করে শিখার মত কিছু থাকে ।
কোন কিছুই যায়না বিফলে । আপনাদের মত জ্ঞানী
লোকদের কাছ হতে কিছু শেখার মানসেইতো এই
লেখালেখি ।

৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:৫৯

অগ্নিবেশ বলেছেন: ধন্যবাদ ।
কোরানের আলোকে সঠিক উপলব্দি। ঠিকই বলেছেন
কোরান ও সুন্নার আলোকে পুরাপুরি সম্পুর্ণভাবে
ইসলামে থেকে মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি সমর্পিত
হতে হবে । আমিউ সঠিক আত্ম উপলব্দিতে
উপনিত হতে চাই । সঠিক পথে চলতে চাই।
মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই


মহান আল্লাহ কিতাব ত দিয়েই গেছেন, তাতে সবই লিখে রেখেছেন, বারে বারে সাহায্য চেয়ে তাকে বিরক্ত করার কোনো মানে হয় না। অর্থ বুঝে কোরান হাদিস তাফসির গুলো পড়েন। আপনি সঠিক লাইনে চলে এসেছেন। আপনার এখন যেটা করনীয় সেটা হল আল্লাহর রাহে জিহাদ। কিতাল ফি সাবিলিল্লাহ।

তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।
SAHIH INTERNATIONAL
Fight those who do not believe in Allah or in the Last Day and who do not consider unlawful what Allah and His Messenger have made unlawful and who do not adopt the religion of truth from those who were given the Scripture – (fight) until they give the jizyah willingly while they are humbled.
কোরআন ৯/২৯

সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৫৬/ জিহাদ ও যুদ্ধকালীন আচার ব্যবহার
পরিচ্ছদঃ ৫৬/২২. জান্নাত হল তলোয়ারের ঝলকানির তলে।
মুগীরাহ ইবনু শু‘বা (রাঃ) বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের জানিয়েছেন, আমাদের ও প্রতিপালকের পয়গাম। আমাদের মধ্যে যে শহীদ হলো সে জান্নাতে পৌঁছে গেল।
‘উমার (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলেন, আমাদের শহীদগণ জান্নাতবাসী আর তাদের নিহতরা কি জাহান্নামবাসী নয়? আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, হ্যাঁ।
২৮১৮. ‘উমার ইবনু ‘উবায়দুল্লাহ্ (রহ.)-এর আযাদকৃত গোলাম ও তার কাতিব সালিম আবূন নাযর (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) তাঁকে লিখেছিলেন যে, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তোমরা জেনে রাখ, তরবারির ছায়া-তলেই জান্নাত।

সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
পাবলিশারঃ আল্লামা আলবানী একাডেমী
অধ্যায়ঃ ১৪/ কর, ফাই ও প্রশাসক
৩০০৩। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আমরা মাসজিদে উপস্থিত ছিলাম, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে বেরিয়ে এসে বললেনঃ ইহুদীদের এলাকায় চলো। ‘আমরা তাঁর সাথে বের হয়ে সেখানে গিয়ে পৌঁছলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে তাদেরকে ডেকে বললেনঃ হে ইহুদী সম্প্রদায়! তোমরা ইসলাম কবূল করো শান্তিতে থাকবে। তারা বললো, হে আবুল কাসিম! আপনি পৌঁছে দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে আবার বললেনঃ তোমরা ইসলাম কবূল করো, নিরাপত্তা পাবে। তারা বললো, হে আবুল কাসিম! আপনি পৌঁছে দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বললেনঃ এ দাওয়াত পৌঁছে দেয়াই আমার উদ্দেশ্য ছিলো। তৃতীয় বারও তিনি একই কথার পুনরাবৃত্তি করে বললেনঃ জেনে রাখো! এ ভুখন্ডের মালিকানা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের। আমি তোমাদের এ ভূখন্ড থেকে বিতাড়িত করতে চাই। সুতরাং তোমরা কোনো জিনিস বিক্রি করতে সক্ষম হলে বিক্রি করো। অন্যথায় জেনে রাখো! এ ভূখন্ডের মালিক আল্লাহ ও তাঁর রাসূল।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


ঠিকই বলেছেন , শুধু এ ভুখন্ড নয় , সমগ্র বিশ্ব ব্রম্মান্ডেরই মালিক
আল্লাহ ও তাঁর রাসুল ।

৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০৪

কথামৃত বলেছেন: খুবই সুন্দর পোস্ট। ধন্যবাদ

২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


পোষ্টটি সুন্দর অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল

৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:২৯

অহরহ বলেছেন: ভাইয়া, আপনি ইসরাইলের বিরুদ্ধে জেহাদ শুরু করে দ্রুত শহীদ হয়ে জান্নাতে চলে যান। তারপর বিনে পয়সায় অবিরাম খেজুর খাবেন।

২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:০৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




নীজে অনুসরণ করে অন্যকে উপদেশদান অনেক বেশী ফলপ্রসু ।
কার পরিনতি কি হবে তা আলিমুল গাইব মহান আল্লাই ভাল জানেন।
তবে আল্লাহর কাছে সবসময়ই দোয়া করি তিনি যেন আমাকে সহ
জগতের সকলের মঙ্গল করেন । দুনিয়ার সকলকে ইসলামের
পতাকা তলে নিয়ে আসেন । বিশ্ব শান্তি একমাত্র আল্লার হাতেই।

১০| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যারা অভাগা তারা কিছুতেই ইসলাম বুঝবে না।

২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:





দোয়া করি আল্লাহ সকলকে হিদায়েত করুন ।
দোয়া করি আমাদের সকলেই আল্লাহ ইসলামকে
জানার ও সহিভাবে বুঝার তৌফিক দিন ।
আমীন । আপনার মত বুযুর্গানে দ্বীনও আমাদের
জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন এই কামনাই করি ।

১১| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫১

অহরহ বলেছেন: মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন : যারা অভাগা তারা কিছুতেই ইসলাম বুঝবে না।

একদম ঠিক বলেছেন জাগতিক ভাইয়া! জাপান, জার্মানি, ইসরাইল, আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ব্রাজিল....... এরা সবাই অভাগা!? তাই তো দেখি, বাংলাদেশর ৯৫% মুমিন মুসলমান কতই না সুভাগা! ধন্যবাদ ভাইয়া।

১২| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জাপান, জার্মানি, ইসরাইল, আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ব্রাজিল....... এরা সবাই অভাগা!? এ প্রশ্নের উত্তর মিলবে মৃত্যুর পর।

২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



যতার্থ বলেছেন , এ সকল প্রশ্নের উত্তর মিলবে মৃত্যুর পর ।

১৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১২

অহরহ বলেছেন: মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জাপান, জার্মানি, ইসরাইল, আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ব্রাজিল....... এরা সবাই অভাগা!? এ প্রশ্নের উত্তর মিলবে মৃত্যুর পর

ভাইয়া আপনি কি একবার মৃত্যু বরণ করে সব দেখে এসেছেন? নাকি সবই অন্ধ বিশ্বাস!

১৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:২৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


আপনি তো বই লিখে ফেলেছেন;কোন বিষয়ে পিএইচডি করেছিলেন?

২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৪১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




পোষ্টটি সম্প্রতি আমার লেখা ও প্রকাশিত একটি বই এর
খুবই ক্ষুদ্র একটি অংশ । পর্বাকারে দিলে ছোট হতো।
পর্বাকারে দিলে দেখা যায় পরের পর্বগুলি তেমন
পঠিত হয় না । তাই এক সাথেই পোষ্ট করে দিলাম।
খেয়াল করলে দেখবেন সামুতে প্রকাশিত আমার সবগুলি
পোষ্টই বেশ বড় আকারের । পোষ্ট ও দেই বেশ লম্বা সময়
গ্যাপ দিয়ে । তাই পোষ্ট একটু বড়ই হয় ।

পিএইচডিতে শিখেছি একটি বিষয়ে গবেষনা কিভাবে করতে হয় ।
পদ্ধতি জানা থাকায় নীজে নীজে বুঝা যায় এমন সহজ যে কোন
বিষয়ের উপর সঠিক পদ্ধতি প্রয়োগ করে গবেষনা
করার প্রয়াস নেই । তবে সংস্লিষ্ট বিষয়ের উপর যথেষ্ট
পড়াশুনা ও পর্যালোচনা করাও প্রয়োজন হয় । আপনার
কাছে কি মনে হয়নি বিষয়টি নিয়ে লিখতে গিয়ে আমাকে
যথেষ্ট পড়াশুনা করতে হয়েছে। উল্লেখ্য বিষয়টি এখানে
প্রকাশের পুর্বে আমার পরিচিত চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞ
আলেমদের সাথে পিয়ার রিভিউ করা হয়েছে । পোষ্টের বিষয়
সম্পর্কে আপনার বিজ্ঞ মতামত আমাকে অনেক
উপকৃত করবে । আর হ্যাঁ আমার পিএইচডি ছিল
সামাজিক বিষয়ে। ধর্ম বিষয়ে কিছুটা শিক্ষা লাভ
করেছি অভিজ্ঞ ওস্তাদের কাছে কোরান পাঠ শিখে
কোরান পাঠ করে , কোরানের বাংলা ও ইংরেজী তরজমা
ও প্রসিদ্ধ হাদিস গ্রন্থ পাঠে , আর সারা জীবন ধরে
বড় বড় মৌলানাদের ওয়াজ ও নিয়মিতভাবে মসজিদে
জুম্মার নামাজের সময় বিজ্ঞ খতিবদের মুল্যবান
ধর্মীয় আলোচনা শুনে শুনে , আর এই সামুতে প্রকাশিত
অনেক ধর্মীয় পোষ্ট পাঠ হতেই অনেক কিছু শিখেছি ।
কোন কমতি থাকলে ধরিয়ে দিবেন , উপদেশ দিবেন
কৃতজ্ঞতার সহিত শিখে নেয়ার চেষ্টা করব ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

১৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

এম ডি মুসা বলেছেন: পোস্টের অর্ধেক অংশ পড়ছি আর অর্ধেক পড়ি নাই।

২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



অর্ধেক অংশ পাঠের জন্য ধন্যবাদ ।
আশা করি সম্পুর্ণটা পাঠের পর আপনার
মুল্যবান মন্তব্য শুনতে পাব ।

শুভেচ্ছা রইল

১৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৫

শাহ আজিজ বলেছেন: সময় নিয়ে পড়ছি । আপনার পি এইচ ডি কিসের উপর ছিল ?

২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:





অপেক্ষা করছি আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ।
পিএইচডি ছিল সমাজ তত্বে যার মধ্যে অর্থনীতি
সমাজনীতি , ধর্মনীতিও, বিজ্ঞান , সোসাল মেডিকেল
অনেক কিছুই ছিল , সমাজতত্ব একটি ব্যপক বিষয় ।
ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান খুবই কম , সকলের নিকট হতে
মন্তব্য আকারে শেখার মানষে পোষ্টটি এখানে
প্রকাশ করেছি ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

১৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৮

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা অশেষ মূল্যবান লিখাটি উপহার দিয়ে পড়ার সুযোগ করে দেবার জন্য। পুরোটা পড়া শেষ হলে আবার মন্তব্যে আসবো।

২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
পুরাটা পড়ার পরে আপনার মুল্যবান
মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম ।

শুভেচ্ছা রইল

১৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৯

রানার ব্লগ বলেছেন: নেক বড় পোস্ট । মাথা ঠান্ডা রেখে পড়তে হবে । কিছু পড়েছি , বাকি টা আবার পড়বো । এই গরমে ধৈর্য রাখাটাই মুশকিল !!!

২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:





ঠিকই বলেছেন এই গরমে এতবড় একটি পোষ্ট পাঠ সত্যিই কষ্টকর ।
দোয়া করি মাথা ঠান্ডা রেখে সময় নিয়ে পড়ুন ।
আপনার মুল্যবান মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম ।
আপনার মুল্যবান মন্তব্য আমার অনেক
উপকারে দিবে ।
শুভেচ্ছা রইল

১৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:০১

শায়মা বলেছেন: সূরা কাল কাওসার এর ১০ আর ১০ এর ব্যাখ্যা জেনে সত্যিই অবাক হলাম ভাইয়া!

এটাও অন্যান্য পোস্টের মতন ভালোই কঠিন পোস্ট। অনেক মন দিয়ে পড়ে পড়ে বুঝার চেষ্টা করতে হবে।

২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




মনযোগ দিয়ে পোষ্টটি পাঠ করায় খুবই খুশী হলাম ।
এটা বিশ্বাস করি এই পোষ্টের বিষয়বস্তু তোমার কাছে
একেবারে ডালভাত ।

নীজে পড়লে হবেনা অন্যকেও বুঝাতে হবে
নীজকে জানার মধ্যেই সৃস্টি কর্তাকে জানার
মুল লুকিয়ে আছে ।

আমরা যে যাই ভাবিনা কেন দিন শেষে
সৃষ্টি কর্তার কাছেই সকলকে প্রত্যাবর্তন
করতে হবে ।

শুভেচ্ছা রইল

২০| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:০৭

নতুন বলেছেন: বার্ধক্য জনিত বিবিধ রোগব্যধির কারণে দেহযন্ত্রটি ভাল যাচ্ছেনা। আমার জন্য সামুর সকল প্রিয় ভাই বোনের কাছে দোয়া চাই ।
নীজের অজান্তে কারো মনে যদি কোন দুঃখ , কষ্ট, যন্ত্রনা দিয়ে থাকি তাহলে নীজ গুণে ক্ষমা করার জন্য বিনীত আর্জি জানাচ্ছি ।


আশা করি সুস্থ আছেন।

ভাই ইসলাম আসার আগেও এই বিষয়গুলি মানুষের জ্ঞানের ভান্ডারে ছিলো। ভারত, গ্রীস, রোমান দার্শনিকরা অনেক কিছু নিয়ে ভাবতেন এবং তারা অনেক রহস্য ভেদ করতে পেরেছিলেন।

কোরানে কি এমন কিছু আছে যেটা আগে মানুষ জানতো না কিন্তু শুধুই কোরান বা হাদিসে বলা আছে? আমার মনে হয় নাই। বরং হাদিসে অনেক কিছুই আছে যেটা স্পস্টই ভুল ধারনা।

দুনিয়ার যদি কোন সৃস্টিকর্তা থেকে থাকে তবে সেই সৃস্টিকর্তা আরবের একজন মানুষের কাছে তার বানী পাঠিয়েছে এটা ঠিক জায় না।

এই মহাবিশ্বের বিশালতার কথা চিন্তা করলে ১টা পৃথিবি কিছুই না। তাতে এযাবত ১৪৭ বিলিওন মানুষ এসেছে তার ১ জনকে সৃস্টিকতা বন্ধু বানিয়েছে কাছে নিয়ে গেছে, তাকে ৬২৩৬ লাইন কথা পাঠিয়েছেন এবং তাতে অতীতের ইতিহাস আছে, বির্ধমীদের উপরে অভিসাপ আছে, বাকি অল্প কিছু গাইডলাইন আছে যেটা দিয়ে মানবজাতী চলতে পারেনা।

ধর্ম মানুষকে নিয়ন্ত্রনের আরেকটা টুলস মাত্র। মানুষকে ভয় দেখিয়ে আর লোভ দেখিয়ে একত্র করে বড় দল বানিয়ে দুনিয়াতে শাসন করার একটা টুলস মাত্র।

আপনার যুক্তির সাথে হয়তো একমত না।কিন্তু আপনার লেখা বরাবরের মতনই সুখপাঠ্য।

ডঃ এম এ আলী ভাইকে যারা চেনেন না তাদের বলবো একটু কস্ট করে উনার লেখা গুলি পড়ে আসুন। উনার প্রতিটা লেখাতেই অনেক কিছু শেখার আছে।

উনার মতে সাথে মিল না হলেই তার উপরে ব্যক্তিআক্রমনে যাওয়া উচিত না।

২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




বেশ মুল্যবান কিছু কথা বলেছেন ।
সময় নিয়ে আমি আবার আসব ।
আপনার মুল্যবান মন্তব্যের প্রেক্ষিতে
বেশ কিছু কথা শেয়ার করার আছে ।

শুভেচ্ছা রইল

২১| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: সৃষ্টিকর্তার বিষয় নিয়ে আমরা ভীষন গোলমাল পাকিয়ে ফেলি- আমাদের অতীব ক্ষুদ্র ও সসীম চিন্তাশক্তি নিয়ে আমরা যার যার মত করে তাঁর ব্যাখ্যা দাড় করাই।
যদি মহাবিশ্বের অতি ক্ষুদ্রতম অংশের সৃষ্টির কথা ভাবি তবে মানুষের শরিরবৃত্ত গঠন সৃষ্টি রহস্য অতি সাধারণ কিছু বলে মনে হবে।
আপনি এই ডাস্ট মাইট'টার কথা ভাবুন? এটা একটা আনুবিক্ষনিক প্রানী। এর এনাটমি দেখুন; ( আমার ধারনা মানুষ এখনো পর্যন্ত পুরোটা জানতে পারেনি)
- এই কীটটির মগজ জড়ায়ু ওভারি সহ অনেক কিছুই আছে।
আমরা দিন দিন সৃষ্টিতত্ব সন্মন্ধে যত জানব তত বিস্ময়ে অভিভূত হব। এভাবে জানার চেষ্টা চলতেই থাকবে- এই অসীম মহাবিশ্বে সৃষ্টিতত্ত্বের অসীম রহস্য নিয়ে কোনদিন আমাদের জ্ঞানার্জনের জার্নি শেষ হবে না।
সৃষ্টিকর্তা নিয়ে তর্ক করা যে কতটা মুর্খতা এটা আমি ধীরে ধীরে উপলব্ধি করছি। মহাবিশ্বের হাজার কোটি ভাগের একখন্ড জ্ঞান নিয়ে আমদের অহংকার আস্ফালন দেখে আমি লজ্জায় নুয়ে পড়ি।
তবে আপনার মত করে আপনার বিশ্বাস নিয়ে আপনি লিখে যান। হয়তো আপনি কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভুল- কে জানে হয়তো এই পৃথিবীতে আমরা সবাই-ই ভুল ভাবনা নিয়ে ভুল পথে হাটছি।

২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:





ঠিকই বলেছেন সৃষ্টিকর্তার বিষয় নিয়ে আমরা ভীষন গোলমাল পাকিয়ে ফেলি- আমাদের অতীব ক্ষুদ্র ও সসীম চিন্তাশক্তি নিয়ে আমরা যার যার মত করে তাঁর ব্যাখ্যা দাড় করাই। তবে একথা ঠিক যে প্রতিটি মানুষই কিছু না কিছু তে আস্থা রাখে বা বিশ্বাস করে । কেহ বিশ্বাস করেন সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ ও তাঁর প্রেরিত রাসুল ও পরকালে, কেহ বিশ্বাস রাখে গডে, কেহ বিশ্বাস রাখে দেব দেবীতে , কেহ আবার বিশ্বাস করে আল্লা খোদা আখেরাত পরকাল ইত্যাদি বলতে কিছুই নাই তবে জাগতিক সকল বিষয়ের প্রতি সে দারুনভাবে বিশ্বাসী । পবিত্র কোরান ও গাইবে/অদৃশ্যে বিশ্বাস না করলেও মানুষের চাদে ও মহাশুন্যে( যা তার কাছে অদৃশই, ( অবশ্য অনেক অদৃশ্য বিষয় তো এখন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দৃশ্যমান করা যায় ) অদৃশ্যে বিচরণে সে বিশ্বাস করে , সে বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিণীর প্রতি আস্থা রাখে । তাই প্রতিটি মানুষই কোন না কোন ভাবে আস্তিক, মানে বিশ্বাসী । আবার তার বিশ্বাসের মাত্রা অনুযায়ি সে পুর্ণ বিশ্বাসী/ অবিশ্বাসী কিংবা আংশিক বিশ্বাসী / অবিশ্বাসী হতে পারে । কিন্ত কোন মতেই একেবারে ন অবিশ্বাসী নয় । সবচেয়ে বড় কথা কে বিশ্বাসী অার কে অবিশ্বাসী তা একমাত্র আলেমুল গায়েব আল্লাই ভাল জানেন। আর এটা ঠিক যে সৃষ্টিকর্তা আল্লাকে বিশ্বাস করলে কেও ঠকবেনা । আল্লাহকে বিশ্বাস না করে মরার পরে ( বিশ্বাস করুক আর নাই করুক মরতে তাকে একদিন হবেই) যদি দেখে পরকাল সম্পর্কে যে রকমটা শুনেছিল সেটাই ঠিক, তাহলে অবিশ্বাসের ফলটা কি হবে ভাবাই যায়না । আর যদি পরকাল বলতে কিছু নাইই থাকে তবে তো ল্যডা চুকেই যাবে, ক্ষতি কিছুই হবেনা । কিন্তু থাকলে এবং সে অনুযায়ী আমল না করে গেলে সমুহ ক্ষতি । এতবড় একটা রিস্ক নেয়া কি কোন বুদ্ধিমানের কাজ হবে । তাই প্রতিটি মানুষেরই একান্ত উচিত হবে সর্বশক্তিমান সৃস্টিকর্তা আল্লাহ, রাসুল ও পরকালের প্রতি প্রগার বিশ্বাস রেখে আল্লার দেয়া সহজ সরল ধর্মীয় বিধান মেনে চলা । সৎপথে থেকে জীবন যাপন করা , মানবতা শান্তি ও প্রগতির পথে ধাবিত হওয়া । তাহলে লাভ ছাড়া ক্ষতি কিছু নেই ।

অপর দিকে মহাবিশ্বের অতি ক্ষুদ্রতম অংশের সৃষ্টির কথা ভাবি তবে মানুষের শরিরবৃত্ত গঠন সৃষ্টি রহস্য খালি চোখে অতি সাধারণ মনে হলেও এদের গঠন ও কার্যক্ষমতা যদি গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করা হয় তাহলে দেখা যাবে এই ছোট্ট মানব দেহটি একটি আসাধারণ সৃষ্টি । পোষ্টে বলা হয়েছে আমাদের নীজের মানবদেহটি অসংখ বৈশিষ্টমন্ডিত ভৌত পদার্থ, জীবিত কোষ এবং বহুগুণের অধিকারি পদার্থের সমন্বয়ে টিস্যু, ও অঙ্গসমুহের একটি ভারসাম্যমুলক সিস্টেমের সু সংগঠিত রূপ। আপনি যে অতি ক্ষুদ্র প্রাণীটির ছবি দিয়েছেন সেটির সুত্র ধরেই বলি জীববিজ্ঞানে কোষ হল মৌলিক ঝিল্লি-আবদ্ধ একক যা জীবনের মৌলিক অণু ধারণ করা একটি জীবিত জিনিস । একটি একক কোষ প্রায় নিজেই একটি সম্পূর্ণ জীব, যেমন একটি ব্যাকটেরিয়া বা খামির। নীচে দেখানো মানবদেহের একটি কোষের গঠন কাঠামো দেখলে দেখা যাবে কোষটির গঠন কতটা জটিল ।

বিজ্ঞানীরা হিসাব করে দেখেছেন প্রতিটি মানব জীব ৩০, ০০০,০০০,০০০,০০০ তথা তিন লক্ষ কোটির বেশি কোষ নিয়ে গঠিত । এটা আমাদের কল্পনারো বাইরে, সৃষ্টিকর্তা কত নিখুতভাবে আমাদের শরীরের মধ্যে এত বিশাল পরিমানের স্বয়সম্পুর্ণ জীব কোষ তৈরী করে রেখে দিয়েছেন আমাদের জীবনকে তার নির্দেশিত একটি নির্দিষ্ট কার্যকলাপ সম্পাদনের জন্য । এমন একটি ছোট কোষের ভিতর আল্লাহ কত শক্তি দিয়েছেন তা এই কিছুদিন আগে কোভিড১৯ ভাইরাস হতেই মানুষ কিছুটা টের পেয়েছে । তাইতো আল্লাহ বলেন তার প্রতিটি সৃষ্টির মধ্যেই রয়েছে বুদ্ধিমান ও চিন্তাশীলদের জন্য চিন্তার খোরাক ।
মানবদেহের কোষগুলি এতই ছোট যে শক্তিশালী অনুবিক্ষন যন্ত্র ছাড়া এটা দেখাই যায়না । আল্লাহর কি অপার সৃস্টি রহস্য যে এত ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কোষ দিয়ে আমাদের দেহকে গড়েছেন সৃষ্টির শ্রেষ্ট মখলুকাত হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য় ।
অন্যদিকে একটি মাত্র কোষ নিয়েও তার সৃস্টি জগতে রয়েছে বেশ কিছু প্রাণী যেমন এক কোষী সামুদ্রিক শৈবাল জাতীয় এমিবা । আবার খালী চোখেও দেখা যায় এমন এক কোষি প্রাণীও রয়েছে যথা ভ্যলোনিয়া ভেন্ট্রকোষা ।
পরিচিত এককোষী জীবের মধ্যে আন্যতম বৃহত্তমটি হল ভ্যলোনিয়া ভেন্ট্রকোষা । এর খোলস একটি পাতলা দেয়ালযুক্ত শক্ত, মাল্টিনিউক্লিয়েট কোষ নিয়ে গঠিত যার ব্যাস সাধারণত ১ থেকে ৪ সেন্টিমিটার (০.৪ থেকে ১.৬ইঞ্চি) পর্যন্ত হয়ে থাকে, যদিও এটি বিরল ক্ষেত্রে ৫.১ সেন্টিমিটার (২.০০ইঞ্চি) পর্যন্ত ব্যাস অর্জন করতে পারে।
মধ্যপ্রাচ্চের লোহিত সাগরের শৈবালে থাকা এককোষী প্রাণী Valonia ventricosa একটি চিত্র ।

এতগেল শুধু কোষের কথা । মানব দেহের অন্যান্য জটিল দিক ও তাদের বহুমাত্রিক ভারসাম্যমুলক কার্যকলাপের একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে লেখাটিতে , যেন আমাদের এই সুন্দর দেহটি সৃষ্টি নিয়ে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি নৈপুন্ন ও প্রজ্ঞার বিষয়গুলি আনুধাবান করতে পারি । আর সৃষ্টিকর্তার প্রতি জানাতে পারি কৃতজ্ঞতা । এই কৃজ্ঞতা প্রকাশে আমাদের কোন ক্ষতি নাই , কিন্তু সৃষ্টি কর্তা বলে যদি কেহ থাকেন আর কোন কারণে তিনি রুষ্ট হলে সমুহ বিপদ হতে পারে পরকালে । তাই এতবড় একটি ঝুকি নেয়াটি কি বুদ্ধিমানের কাজ হবে , বিষয়টি নিয়ে আমাদের ভাবনার বিষয় আছে ।

সুন্দর কয়েকটি অতি ক্ষুদ্র অনুবিক্ষনী প্রাণীর ছবি এখানে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ,এতে আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে , আর আমার পোষ্ট সমৃদ্ধ হয়েছে ।

শুভেচ্ছা রইল

২২| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২৭

শেরজা তপন বলেছেন:

২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:





সুন্দর ছবি দুটির জন্যধন্যবাদ ।
রমজানে ব্যস্ত থাকায় আপনার মুল্যবান কয়েকটি পোষ্ট দেখা হয়ে উঠেনি ।
সময় করে দেখে আসব ইনসাল্লাহ ।

শুভেচ্ছা রইল

২৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: উনার প্রতিটা লেখাতেই অনেক কিছু শেখার আছে। ১০০% সঠিক বলেছেন।

২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


মুল্যবান কথামালার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

২৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: "নাগিনীরা চারি দিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিঃশ্বাস,
শান্তির ললিত বাণী শোনাইবে ব্যর্থ পরিহাস....!"

২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




ঠিকই বলেছেন-
নাগিনীরা চারি দিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিশ্বাস,
শান্তির ললিত বাণী শোনাইবে ব্যর্থ পরিহাস—
তবে
বিদায় নেবার আগে তাই ডাক দিয়ে যাই
শান্তির পথে সংগ্রামের তরে কলম
সৈনিক যেন প্রস্তুত হয় ঘরে ঘরে
যারা দিবে এর যতার্থ জবাব।

শুভেচ্ছা রইল

২৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



কোন ধর্মীয় গ্রন্থই পরিপূর্ণ জীবন বিধান নয়।
সময়ের আবর্তনে মানুষের প্রয়াজন ও চাহিদা এক থাকে না।
আগের অনেক বিধানই এখন চলে না।
আগে যা চাহিদা ছিল না তাই এখন অপরিহার্য।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




সকল ধর্মগ্রন্থই একটি সুন্দর জীবন যাপনের গাইড লাইন দেয়ে ।
সে আনুযায়ী জীবনাচার পরিচালনা করলে মঙ্গল হওয়ার সম্বাবনা
বেশি এবং আনেক প্রকার আমঙ্গলের হাত হতে মুক্ত থাকা যাবে।

২৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরান। বরাবরের মত অসাধারণ একটি প্রচেষ্টা। সময় নিয়ে পড়ার ইচ্ছে ইনশাআল্লাহ। পোস্টে আলোচিত বিষয়ে বিরুদ্ধমতের বন্ধুদের প্রতি শুভকামনা।

পোস্টে পুনরায় আসার চেষ্টা থাকবে। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



প্রচেষ্টাটি অসাধারণ অনুভুত হওয়ায় ধন্যবাদ ।
বিশ্ব ব্রম্মান্ডের মালিক পরম করুনাময় আল্লাহর
কাছে সকলের জন্য শুভকামনা থাকবে নিরন্তর।

২৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫০

অগ্নিবেশ বলেছেন: অতএব দেখা গেল ইসলামে মডারেট ফডারেট বলে কিছু হয় না, যাহা কোরান হাদিসে লেখা আছে তাহাই সমস্ত মুসলমানকে নাকে দড়ি বাঁধা ঊটের মত মানতে হবে। ডঃ এম এ আলীর মত পি এইচ ডি ধারী ব্যক্তিরাও যতই মানবিক কথা বলেন না কেন, শান্তির কথা বলেন না কেন, দিন শেষে কাফের হত্যা করার জিহাদী আয়াতগুলো ঠিকই মান্য করেন। আসলে ইসলামে শান্তির সংজ্ঞা ভিন্ন, কাফের মুশরিকরা তারা আল্লাহকে অস্বীকার করে কেন আল্লাহর এই জমীনে বসবাস করবে? তাদেরকে হত্যা না করা পর্যন্ত কিভাবে বিশ্বশান্তি আসবে? আল্লাহর বানী অনুসারে কাফের মুশরিকরা নিকৃষ্টতম সৃষ্টি, তাদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই। যাই হোক ডঃ এম এ আলী এখন বার্ধক্যে উপনীত, তিনি হয়ত একজন ভালো মানুষ, এখন দিন শেষে তিনি একজন ভালো মুসলমান হতে চাইছেন, আমি চাই তিনি বেহস্তে গিয়ে হুর গে্লমান নিয়ে সুখে থাকুন। আমার মত কিছু পাতি নাস্তিকের সাথে বাক্যালাপ করে আপনার মুল্যবান সময় নষ্ট করা ঠিক হচ্ছে না। আপনার সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে নিকতস্থ জিহাদী এজেন্সিদের দান করেন তারা জিহাদ করে দুনিয়ার সকলকে ইসলামের পতাকাতলে নিয়ে আসবে আর আপনি হবেন কনফার্ম জান্নাতি। ভালো থাকবেন।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৫৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




মানুষ যে মতাবলম্বিই হোক না কেন সত্য মিথ্যার পার্থক্য বুঝে
সঠিক আত্মপলবদ্বিতে আসাটাই বড় কথা । পরম করুনাময়
আল্লার কাছে এ দোয়াই করি । কারো কোন ক্ষতি না করে সকলের
জন্য মঙ্গল দিয়ে আল্লাহ বিশ্ব শান্তি দিন এই হোক আমাদের
সকলের একান্ত চাওয়া পাওয়া । বেহেস্ত কিংবা হুর পরীর কামনা
করি না । কামনা করি পরম সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি । তিনি সুস্থ দেহে
চলাফেরার করার সামর্থ দিয়েছেন এর চেয়ে বেশি চাওয়ার কি
আছে । যে অন্ধ , খঞ্জ বা বিকলাংগ সেই বুঝে জীবন যাপন
কত না যাতনা ময় । সুস্থ একটি মানব দেহ নিয়ে চলাফেরার
তৌফিক আল্লাহ দিয়েছেন , এর জন্য জানাই সৃষ্টিকর্তার প্রতি
কৃতজ্ঞতা , এটাই চরম আত্মপলব্দি । এটাই হলো এই
পোষ্টের মুল প্রতিপাদ্য বিষয় ।

২৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার পোষ্টটি বার বার পড়ার মত পোষ্ট বলে বারবার পড়ছি। যদিও কিছু লোকের উপকারে লাগবে না আপনার এ পোষ্ট। কারণ সবাই সব কিছু বুঝে না। যারা ধরেই নেয় যে তারা যা বুঝে সেটা ছাড়া অন্য কারো বুঝা সঠিক না। তারা ইহকালে আপনার লেখা বুঝবে না। পরকালে তারা বলবে সেদিন ডঃ এম এ আলী ঠিক বলেছেন। কিন্তু তখন তাঁর কথা আমরা সঠিকভাবে বুঝতে পারিনি।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




বার বার পড়ার মত পোষ্ট শুনে আনন্দিত হলাম ।
কিছু না বুঝলেও পোষ্টটিতো একবার হলেও পাঠ
করেছে । একবারে না বুঝলে ারো কয়েকবার পড়লে
হযতবা বুঝবে । আপনার মত তারাও বেশ কযেকবার
এসেছেন এ পোষ্টে । বুঝা যাচ্ছে পোষ্টটির একটি
সন্মোহনী আকর্ষন রয়েছে । সেটিই বা কম কিসে।

২৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৩

শায়মা বলেছেন: হা হা মহাজাগতিক ভাইয়ার মন্তব্য যদিও সিরিয়াস তবুও হাসছি। ইহকালে বুঝবে না তোমার লেখার মর্ম যারা তারা নাকি পরকালে বুঝবে মজা।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৭:০৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




আমাদের সনেট কবির কথা নিয়ে হাস ছ ।
এক্ষনি তোমার হাসির কাহিনী নিয়ে লিখে
ফেলবেন একটি দারুন সনেট কবিতা ।
তখন কিন্তু হাসতে হাসতে তোমার পেটে
খিল ধরে যাবে ।

৩০| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:০৮

রাােসল বলেছেন: শেরজা তপন বলেছেন: "মহাবিশ্বের হাজার কোটি ভাগের একখন্ড জ্ঞান নিয়ে আমদের অহংকার আস্ফালন দেখে আমি লজ্জায় নুয়ে পড়ি।"

হয়ত, আমিও নির্লজ্জের হয়ে আস্ফালন করি।

যাহোক, আপনার উপলব্ধি আপনাকে সংশোধনে সাহায্য করতে পারে। আশা করি, আমরা সবাই আমাদের নির্লজ্জতা বুঝতে পারব।

ডঃ এম এ আলীকে অনেক ধন্যবাদ এই শিক্ষনীয় লেখার জন্য।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৫:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




আপনার প্রতিউ রইল অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

৩১| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খইর ভাইজান

প্রিয়তে রেখে দিলাম, একটু একটু করে পড়বো ইংশাআল্লাহ

হাউকাউ পার্টি হাউকাউ ছাড়া আর কী পারবে। এদের হিদায়েত দান করুন আল্লাহ তা'আলা।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৫:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




পোষ্টটি প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
হিদায়াত দানের বিষয়ে আপনার দোয়া আল্লাহ
কবুল করুন এই কামনাই করি ।

শুভেচ্ছা রইল

৩২| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বেশ হাস্যরসাত্মক একটি পোস্ট (যদিও অনেকের কাছে গভীর জ্ঞান) এত কষ্ট করে এত বড় একটি পোস্ট লেখার তো কোন দরকার ছিল না, 'আল-কুরআন ও বিজ্ঞান' এ বিষয়ের একটি ওয়াজের ভিডিও পোস্ট করে দিলই তো হতো, ইউটিউবে এমন হাজার হাজার ওয়াজ প্রচার হচ্ছে প্রতিদিন।

প্রতিটি গ্রন্থের স্বকীয়তা রয়েছে, প্রতিটি লেখকের থাকে আলাদা আলাদা ধারা, ভিন্ন ভিন্ন চিন্তা চেতনা। এক গ্রন্থ কখনো আরেক গ্রন্থের মত হয় না। কুরআন মূলত আদি গ্রন্থ বাইবেল থেকে কপি করে বানানো হয়েছে অন্তত ৮০% ঘটনা প্রবাহ বাইবেলের সাথে মিল রয়েছে, তাহলে সেই আদি গ্রন্থ বাইবেল আরও না জানি কত বিজ্ঞানময় যে গ্রন্থটি বিশ্বের অধিকাংশ জনগন দুই হাজার বছর ধরে ফলো করে আসছে। আসলে যার যার গ্রন্থ তার তার কাছে অতুলনীয়।

সামহ্যয়ারইন ব্লগের মত দুনিয়ায় আর একটিও বাংলা ব্লগ নেই, গত ২০ বছর ধরে দুনিয়ার তবাৎ সব ডেভোলপারেরা গবেষণা করে সামুর মত আর একটিও বাংলা ব্লগ তৈরী করতে পারেনি, (আসলে মানুষের খেয়ে তো কোন কাজ নেই যে এই ব্লগ ক্লোন করতে যাবে) দুনিয়ার সমস্ত জ্ঞান রয়েছে এই ব্লগে, এ ব্লগ থেকেই মূলত দুনিয়ার যাবতীয় জ্ঞানের সূত্রপাত সুতরাং এই ব্লগটি স্রষ্টার তৈরী এ কথা বলা কি ঠিক হবে?

না,কুরআনে কোন ম্যাথম্যাটিকাল ফ্যাক্ট নেই, বর্তমান সময়ের অতি উৎসাহী কিছু ইসলামী স্কলারগণ গুজামিল দিয়ে এসব তৈরী করেছে, এসব ফলস ক্লেইম বহু আগেই খন্ডন করা হয়েছে। B-)

Modern Islamic apologists and du'aah often seek to bolster the claim that the Qur'an is a divine book by reference to "miracles" in the Qur'an. Recently, a novel strategy in this regard is to claim that the number of times certain words show up in the book constitute a "miracle." In point of fact though, there are exactly 0 word count miracles in the Qur'an. বিস্তারিত: Word Count Miracles in the Qur'an

বাই দ্যা ওয়ে: এসব ম্যথম্যাটিক্যাল ফ্যক্টস যে শুধু কুরআন থেকেই গুজামিল দিয়ে বের করা হয়েছে তা কিন্তু নয়, অন্যন্য ধর্মের বিজ্ঞানীগণও কম যায় না- বাইবেল, গীতা এবং অন্যন্য ধর্মের অনুসরীরাও এভাবে গুজামিল দিয়ে নিজ নিজ ধর্মগ্রন্ধ থেকে প্রচুর ম্যাথম্যাটিকাল ফ্যক্টস বের করেছে, যার সবই হচ্ছে ভিত্তিহীন, গুজামিল দিয়ে তিলকে তাল বানানো যায়, যদি কেউ তা করতে চায়। ;)

Math in the Bible

The Mathematical Precision of the Bible

The Mathematical Proof for Christianity Is Irrefutable

by prof. rishi tiwari

Mathematical Modeling of Bhagavat Gita: Algebraic Field of Human Resources

A Scientific Explanation of Chapter 13 of the Bhagavad Gita

আমি আগে মনে করতাম এসব সাইয়েন্স ফায়েন্স, মিরাকল, ফিরাকল বুঝি শুধু কুরআনেই আছে, কিন্তু একি!! এখন দেখি সবকটার লেজ এক জায়গায়। [/sb]আসলে সেই শুরু থেকেই কুরআন বাইবেলকে ফলো করে আসেছে যা এখনো চলছে, বর্তমানের ইসলামি স্কালারগণ বাইবেলের স্কালারদের ফলো করে কুরআন থেকে সায়েন্স, মিরাকল বের করছে। কোন সায়েন্স, ফায়েন্স বা মিরাকল সর্বপ্রথম বাইবেল থেকে বের হয় ঠিক তার মাসখানের মধ্যে তা কুরআন থেকেও বের করা হয়। কি এক আজিব খেলা শুরু করছে এরা!! আজকে বাইবেল থেকে নতুন কোন বিজ্ঞান বের হউক, আমি কথা দিচ্ছি ঠিক মাসখানের মধ্যে তা কুরআন থেকেও বের হবে।

তো একই বিষয় যদি সবাই দাবী করে তাহলে একটি আরেকটির উপর শ্রেষ্ঠ হয় কি করে? কুরআনও সাইন্টেফিক দাবী করে অন্য ধর্মগ্রন্থও তাই দাবী করে, কুরআনও স্রষ্টার গ্রন্থ হিসেবে দাবী করে অন্যন্য গ্রন্থও তাই দাবী করে, কুরআনেও মিরাকল আছে অন্যন্য ধর্মগ্রন্থেও মিরাকল আছে, কুরআন থেকেও ভ্রুণ তত্ব আবিষ্কার করা হয়, অন্যন্য ধর্মগ্রন্থ থেকেও তা আবিষ্কার করা হয়, তাহলে এখানে কুরআনের স্বকীয়তা বলতে তো আর কিছু থাকলো না।

আসলে আপনাদের এসব জাড়িজুড়ি বর্তমান প্রজন্ম সব ধরে ফেলেছে, এসব কল্পকাহিনী নির্ভর জীবন যাপন তারা চায় না।



ইসলাম ধর্ম দ্রুত বাড়ছে কারণ তাদের লাগামহীন জনসংখ্যা উৎপাদনের কারণে, দলে দলে মানুষ ইসলাম গ্রহণ করছে না। আজকাল প্রচুর মানুষ ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করছে। List of ex-Muslim organisations ;)

Ex-Muslims of India find the X factor online

Ex-Muslim Yasmine Mohammed speaks out

আবার অনেকেই ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে অন্য ধর্মও গ্রহণ করছে। স্বয়ং ঢকারই একটি চার্চে গত ১৭ই এপ্রীল ৩ জন মুসলিম খ্রিস্ট্র ধর্ম গ্রহণ করেছে, তাছাড়া দেশে কয়েক লাখ মানুষ রয়েছে যারা ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে খ্রিস্টান হয়েছে, এবং এটা প্রতিনিয়তই বাড়ছে।

A 2015 Baylor University study estimates that 10.2 million Muslims have converted to Christianity. List of converts to Christianity from Islam.

Former Muslim Explains Why He Converted to Christianity

Seeking Allah, Finding Jesus: The Christian Testimony of Nabeel Qureshi



অপর দিকে মুসলিম আধ্যুসিত এলাকায় কিছু ভিন্ন ধর্মের লোক মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করছে এটা সত্য কিন্তু তাই বলে তা যতটা প্রচার করা ততটা নয় যেমন- ওমুক বিজ্ঞানী ইসলাম গ্রহণ করলেন, ওমুক তারকা ইসলাম গ্রহণ করলেন.. ইত্যাদি কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা যায় এগুলো সব গুজব। :-B

এতসব বলার উদ্দ্যেশ হচ্ছে- ইসলাম মোটেও গর্বীত হওয়ার মত কোন ধর্ম নয়, বর্তমান সময়ে বিশ্বে ইসলাম একটি ভয়ঙ্কর ধর্মের নাম, হাজার হাজার মানুষ ইসলাম ধর্ম থেকে বের হয়ে আসছে, আর বাকি যারা আছে তাদের খুব কম সংখকই ইসলামী ভাবধারায় জীবন যাপন করে, এরা শুধু নামে মুসলিম বা বংশগত মুসলিমই বটে।


ইসলামের প্রথম দিকে শরীয়ত পরিপুর্ণ ছিলনা , অদৃশ্য জগতের খবর ছিল না , জীবন ও জগত সম্পর্কেও তেমন কিছু বলা হয়নি- - জীবন ও জগত সমন্ধে জানার জন্য মানুষকে কুরআন পড়তে হবে কেন? কুরআন নাজিল হওয়ার আগেও পৃথিবীতে মানুষ আজকের মতই স্বাভাবিক জীন যাপন করেছে, তাদেরও ছিল ভিন্ন ভিন্ন জীবন দর্শন, তারাও জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা করতেন। বর্তমানেও পৃথিবীর অধিক সংখ্যক (৭৫%) জনগন কুরআন ফলো করে না, এটাকে নকল একটি গ্রন্থ মনে করে, কিন্তু তাই বলে তাদের জীবন-দর্শন বলতে কিছু নেই, জ্ঞান-বিজ্ঞানের কোন খবরই তারা রাখে না? আপনার মত জ্ঞানী একজন ব্লগারের এমন হুজুর শ্রেণীর চিন্তাভাবনা দেখে আমার মনে মহা হস্যরস্যের উদয় হয়েছে। আপনার পোস্টে স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে, হুজুর শ্রেণী দ্বারা আপনি খুব ভালোভাবেই ব্রেইন ওয়াশ হয়েছেন।

মূল কথা হচ্ছে কুরআনে এমন কোন বিষয় নেই যা ওই সময়ের মানুষ জানতো না, কুরআনে নতুন জ্ঞান বলতে কিছু নেই এর সবই বইবেল (তাওরাত, জবুর, ইঞ্জিল শরফি ইত্যাদি গ্রন্থ) থেকে কপি করে একটা প্যাকেজ তৈরী করা হয়েছে মাত্র। ওই সময়ের মানুষ জানতো না কুরআন থেকেই মানুষ প্রথম নতুন কিছু জানতে পরেছে, এমন দাবী সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। উক্ত সময়ের সমাজ ব্যবস্থার বাইরে কুআনে নতুন কোন কিছুই নেই।



পোস্ট'টিতে আপনি মানব শরীরের বিভিন্ন অর্গ্যান, ভ্রণ তত্ব ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করেছেন, কিন্তু এসবের সাথে কুরআনের সম্পর্ক কি তা আমি বুঝতে পারিনি, কুরআন দিয়ে কেন এসব ব্যখ্যা করতে হবে? যারা কুরআন পড়ে না তারা কি এসব বুঝে না?
প্রকৃতিতে প্রতিটি বিষয়ই বেশ জটিল, আলু, পটল থেকে শুরু করে মশা, মাছি সহ প্রতিটি প্রাণী এবং উদ্ভিদ সৃষ্টির প্রক্রিয়াই বেশ জটিল আর এসব জটিলতা বুঝতে হলে আমাদের ধর্মগ্রন্থের স্মরণাপন্ন হবার কোন প্রয়োজন নেই, ধর্মগ্রন্থ থেকে শুধু অজ্ঞতাই আসে জ্ঞান নয়। হাজার বছরের পুরোনো কল্পকাহীনি নির্ভর যে কোন আইডিওলজি থেকে বর্তমান সময়ের কোন জ্ঞান থাকতে পারে না, বড় জোর এসব ওয়াজ কল্প কাহিনী হিসেবেই শুনা যেতে পারে, এর বেশি কিছু নয়।



বিলিভ মি- সারাদিন চিল্লাইলেও কুরআন থেকে কোন বিজ্ঞান বের হবে না, কুরআনে বিজ্ঞানের লেশ মাত্র নেই এগুলো আপনাদের গুজামিল। কুরআন তথা যাবতীয় ধর্মের মূল বেইজই হচ্ছে কিচ্ছা কাহিনী, এসব কিচ্ছা কাহিনীকে সত্য মনে করার কোন কারণই নেই।



Scientific miracles in the Quran? Analysis of Zakir Naik's claims



শেষ কথা: পোস্ট'টি কোন ওয়াজ মাহফিলে প্রচার করলে, অথবা কোন মাদ্রসার ছাত্র অথবা হুজুর শ্রেণীর দ্বারা লিখা হলে তাহলে হয়তো যুতসই হতো, কিন্তু আপনার মত এমন বিজ্ঞ একজন ব্লগারের কাছ থেকে এমন ভুল ভাল পোস্ট সত্যিই হতাশ জনক। এমনিতেই প্রতিদিন ফেসবুক,ইউটিউবে হুজুর শ্রেণী মানুষকে ব্রেইনওয়াশ করে ছেড়ে দিচ্ছে আর আপনারা যদি ব্লগেও তাই করেন, তাহলে ব্লগ আর ফেসবুকের মধ্যে কোন পার্থক্যই আর থাকলো না।

ধন্যবাদ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৫:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



বড় বড় সাহাবীদের জীবনী পর্যালোচনায় দেখা যায় অনেকেই
প্রথমে আপনার থেকেও বেশি প্রচন্ডভাবে দ্বীন ইসলাম ও কোরানোর
বাণীর বিপক্ষে ছিলেন । পরে দেখা যায় তারাই ইসলামের বিকাশে
অনেক বড় ভুমিকা রেখেছেন। পরম করুনাময় ও মহাবিজ্ঞ
আল্লাই ভাল জানেন তিনি কাকে কোন পর্যায়ে নিবেন । হয়ত
একদিন দেখা যাবে পরম করুনাময় আল্লাহর ইচ্ছায় আপনিও
একজন বড় মাপের ইসলামী আলেমএ পরিনত হয়েছেন ।
দোয়া করি দুনিয়ার সকল মানুষই এক একজন মহান দ্বীনদার
কিংবা শুদ্ধাচারী মানবে পরিনত হোন।

কোন কিছুই বিফলে যায় না । আপনার এই বেশ বড় মাপের
মন্তব্যের কথামালা হতে জানা গেল আর কি কি বিষয়ে
ইসলামে দ্বীনের বিকাশ সাধনের জন্য প্রচেষ্টা চালাতে
হবে, এই প্রযুক্তির যুগে কোথায় এখন এর সীমাবদ্ধতা
রয়েছে। আমি এ জন্যই প্রথমে বলেছি পোষ্টটি সকলের
জন্য উন্মোক্ত ।

৩৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৯

অগ্নিবেশ বলেছেন: তপন ভাইরে একটা কথা না বললেই নয়, সৃষ্টির রহস্য আমাদের এখনো অজানা, আমরা মানুষেরা এর উত্তর খোজার চেষ্টা করছি, কিছুটা সফল হয়েছি, বেশীরভাগটাই অজানা র‍য়ে গেছে। এখন আমরা যাহা জানি না সেই ব্যাপারে আমাদের কেউ প্রশ্ন করলে ইহার উত্তর হবে আমরা জানি না। কিন্তু এই অজানাকে আল্লাহ বলে চালিয়ে দিলে, এই যুক্তিতে শিব, কালী, বুঙ্গা বুঙ্গা, গড সবই সত্য হয়ে যায়। এরা সবাই একই সাথে সত্য হলে আমার কিছু আসে যায় না কিন্ত দেখা যায় এই ঈশ্বরেরা একে অপরকে সহ্য করতে পারে না। আল্লাহ ত দুই কাঠি উপরে, তিনি শিরককারীদের নগদে শাস্তি দিতে চায়। এই হাদিস পড়ে দেখেন।

২৬-[২৫] আবূ যার গিফারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি (একবার) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমাতে পৌঁছলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একটি সাদা কাপড় পরিহিত অবস্থায় ঘুমিয়েছিলেন। আমি ফেরত চলে এলাম। অতঃপর পুনরায় তাঁর নিকট গেলাম। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জেগে ছিলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) (আমাকে দেখে) বললেন, যে ব্যক্তি (অন্তরের সাথে) ’লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ বলবে আর এ বিশ্বাসের উপর তার মৃত্যু হবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে। আমি বললাম, সে চুরি ও ব্যভিচার (এর মতো বড় গুনাহ) করে থাকে তবুও? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ সে চুরি ও ব্যভিচার করলেও। আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, চুরি ও ব্যভিচার করার পরও? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ হ্যাঁ, চুরি ও ব্যভিচারের ন্যায় গুনাহ করলেও। আবূ যার-এর নাক ধূলায় মলিন হলেও। বর্ণনাকারী বলেন, যখনই আবূ যার (রাঃ) এ হাদীসটি বর্ণনা করতেন (গৌরবের সাথে) এ শেষ বাক্যটি ’আবূ যার-এর নাক ধূলায় মলিন হলেও’ অবশ্যই বর্ণনা করতেন। (বুখারী, মুসলিম)[1]

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৫:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




আমি এ কথা ভেবে আনন্দিত যে, সমালোচনার খাতিরে হলেও আপনি
হাদিসের চর্চা করছেন । কোরান ও হাদিসের বেশী বেশি চর্চা মানুষকে
সত্য অন্বেষনে আনেক সহায়তা করে । আমিও এ চর্চা আরো বাড়িয়ে
দিব,তাহলে জানার পরিধি বাড়বে ।
আল্লাহ আমাদের সকলকে সত্য ও সহজ সরল পথে চলার তৌফিক
দিন এ কামনাই করি ।

৩৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: পোস্ট সরাসরি প্রিয়তে। যারা ইসলাম ধর্মকে অন্তর ধারন করে, তারাই জানে কি এর মাহাত্ম। জীবনের প্রতিটি স্তরে আপনি যেভাবে কোরআনকে ব্যখ্যা করেছেন , তা বোঝার ক্ষমতা সবার নাই। লেবাসধারী বকধার্মিকদের ভীরে আপনার মত বিজ্ঞ ইসলামিক স্কলারদের জন্যই ইসলাম ধর্মের প্রকৃত স্বরুপ মানুষের কাছে পৌছাতে পারছে। অনেক অনেক দোয়া রইল আপনার জন্য । অনুরোধ রইল আপনার কাছে মাঝে মাঝে ব্লগে এ বিষয়ে লিখবার জন্য।

ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকা স্বত্তেও কিছু ব্লগার ব্লগে লেখালেখি করে উলটো ইসলাম ধর্মের ক্ষতি করছে। তাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে , এ বিষয়ে না লেখার জন্য।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




পোষ্টটি প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
আপনার অনুরোধ পালনের চেষ্টা করব ইনসাল্লাহ।

যে পরম সত্তা মহান আল্লাহ দুনিয়ার বুকে তাঁর প্রেরিত
রাসুলের মাধ্যমে দুনিযাতে ইসলাম প্রবর্তন করেছেন
তিনিই একে রক্ষা করবেন । তবে আমাদের প্রতি
একে যথাযথভাবে অনুসরণ ও কায়েমের জন্য
তাগাদা রয়েছে । যথাযথভাবে দ্বীনকে অনুরনের
মাধ্যমেই মহান আল্লাহ একে হেফাজত করবেন ।
তবে এটা ঠিক যে অনেকেই কিছু কিছু বিষয়ে
নিজের মত করে কিছু কথা বলে এর অনুসারী
দেরকে বিভ্রান্ত করার প্রয়াস চালাচ্ছে । এই
বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য মহান
করুনাময় আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি ।
আল্লাহ জগতের সকলকে সত্য ও সহজ সরল
পথে চলার তৌফিক দিন এ কামনাই করছি ।

৩৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৬

নতুন বলেছেন: এ চ্যালেঞ্জ শুধু কুরআনের ভাষাশৈলীর উপর করা হয়নি। সাধারণভাবে লোকেরা এ চ্যালেঞ্জটিকে নিছক কুরআনের ভাষাশৈলী অলংকার ও সাহিত্য সুষমার দিক দিয়ে ছিল বলে মনে করে। কুরআন তার অনন্য ও অতুলনীয় হবার দাবীর ভিত্তি নিছক নিজের শাব্দিক সৌন্দর্য সুষমার ওপর প্রতিষ্ঠিত করেনি। নিঃসন্দেহে ভাষাশৈলীর দিক দিয়েও কুরআন নজিরবিহীন। কিন্তু মূলত যে জিনিসটির ভিত্তিতে বলা হয়েছে যে, কোন মানবিক মেধা ও প্রতিভা এহেন কিতাব রচনা করতে পারে না, সেটি হচ্ছে তার বিষয়বস্তু, অলংকারিত ও শিক্ষা।



'বালাগাল উলা বি-কামালিহি,
কাশাফাদ্দুজা বি জামালিহি,
হাসুনাত জামিয়ু খিসালিহি,
সাল্লু আলায়হে ওয়া আলিহি


-কবি শেখ সাদীর লিখিত আরবী কবিতা টা দিকে যদি তাকান তবে সেখানেও এমন বিস্লেষন করে তার প্রসংসা করা যায়।

* এখানেও প্রতি লাইনে ১১ অক্ষর আছে ( ২য় লাইনে দ দুইবার ধরতে হবে)
* এখানে উনি ৪ মাত্রা ব্যবহার করেছেন

আমি যদি বলি যে এটা কোরানের অনেক লাইনের চেয়ে ভালো তবে সবাই আমার কল্লা নিতে চাইবে।

কিন্তু কোরানের লাইনের সমান কিছু হবেনা এমন চ্যালেন্জ এক রকমের ফাকিবাজি। কারন এই চ্যালেন্জ যাচাইয়ের কোন স্ট্রান্ডাড নাই । ধর্ম ভীরু মানুষের কাছে তার পছন্দ্রর জিনিসই সেরা মনে হবে।

তারপর আসুন কোরানের বর্তমান সংকলন।

কোরানের সংকলন মানুষ করেছে। সুরা আগে পরে সেটা মানুষ করেছে।
কোন সুরায় কোন কোন লাইন আছে সেটাও সৃস্টিকর্তার দেওয়া ইনডেক্স নাই বরং এটাও সাহাবারা মিলে ঠিক করেছিল।
তখন কোরানের অনেক ভারসন তৌরি হয়ে যাচ্ছিলো তাই এটাকে সংকলন আকারে বেরকরার প্রয়োজনিয়তা আসে।
আয়াত নাকি ছাগল খেয়ে ফেলেছিলো তেমন দাবীর হাদিসও আছে
সারা দুনিয়ার মানুষের জন্য লাস্ট গাইড বুকে রাসুল সা: এর স্ত্রীরা যেন অন্য তাকে আরো বিয়ে করতে বাধা না দেয়।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




আমি খুবই আনন্দিত যে আপনি সমালোচনার খাতিরে হলেও আমার খুব্‌ই প্রিয় কবি শেখ সাদী রচিত
'বালাগাল উলা বি-কামালিহি,
কাশাফাদ্দুজা বি জামালিহি,
হাসুনাত জামিয়ু খিসালিহি,
সাল্লু আলায়হে ওয়া আলিহি

কবিতাটি এখানে তুলে ধরেছেন ।
এটি আমি নিয়মিত প্রতিদিন কয়েকবার রাসুলের প্রতি দুরুদ হিসাবে পাঠ করি ।
সত্যিই এর রচনাশৈলী ও কাব্যগুণ অতি উন্নত মানের ।
এর সমকক্ষ কোন কবিতা লেখা সত্যই বেশ দুরুহ কাজ ।

পারস্যের কবি শেখ সাদী রচিত বালাগাল উলা দুরুদটি অনুকরনে
আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন :
কুল মখলুক গাহে হযরত
বালাগাল উলা বেকামালিহী।
আঁধার ধরায় এলে আফতাব
কাশাফাদ দুজা বেজামালিহী

রৌশনীতে আজো ধরা মশগুল
তাইতো ওফাতে করি না কবুল,
হাসনাতে আজো উজালা জাহান
হাসুনাত জমিউ খেসালিহী

নাস্তিরে করি’ নিতি নাজেহাল
জাগে তাওহীদ দ্বীন-ই কামাল
খুশবুতে খুশী দুনিয়া বেহেশত
সাল্লু আলাইহি ওয়া আলিহী

বিভিন্ন লেখনী হতে জনা যায় ( জানিনা এর কতটুকু সত্য ) পারস্যের এক ব্যক্তি শেখ সাদীর
বিবিধ ধরনের চিন্তা ভাবনা ,কবিতার কথামালা সম্পর্কে সন্দিহান ছিলেন। এক রাতে ঐ ব্যক্তি
স্বপ্নে দেখতে পেলেন,একজন ফেরেশতা একখানি নূরের বরতন নিয়ে মাটিতে নেমে এলেন।
ঐ ব্যক্তি জানতে চাইলেন এ কি ব্যাপার? ফেরেশতা জবাবে বললেন, সাদীর একটি কবিতা
আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছে-সে জন্য বেহেশতের এ উপহার। কবিতাটি হল-

জ্ঞানিদের চোখে
গাছের ঐ সবুজ পাতা
খোদা তত্ত্বের
এক একখানি গ্রন্থ।

ঐ ব্যক্তির যখন ঘুম ভেঙ্গে গেল তখন সেই রাতেই গজলটির ব্যাপারে স্বপ্নে দেখা খোশ খবর
সাদীকে জানাতে গেলেন। আশ্চর্য! লোকটি দেখেন উজ্জ্বল বাতি জ্বেলে শেখ সাদী সেই
কবিতাটিই পড়ছেন।

কোরানের সংকলনের বিষয়ে আমার রচিত The debated issues about compilation of Quran
নামে একটি বেশ বড় আকারের বই আছে। পুস্তকটি রচনা কালে কোরানের সংকলন নিয়ে যথেষ্ট পড়াশুনা
ও গবেষনা করতে হয়েছিল । তখন বিষয়টি নিয়ে অনেক কথাই জেনেছিলাম । যাহোক, সে অনেক লম্বা
আলোচনা । তবে কোরানের কোন আয়াত ছাগলে খেয়ে ফেলিলিল বলে কোন হাদিসের কথা জানা নেই।
যাহোক, যে কোন ধর্ম বিষয় নিয়ে যত বেশী আলোচনা হবে ততই মঙ্গল । কারণ ধর্ম মত নির্বিশেষে সকল
সময়ই সামাজিক ব্যবস্থায় সব ধর্মের প্রভাব ছিল সকল সময়েই । তাই এর সঠিক চর্চা করলে এর সম্ভাব্য
অপব্যবহার হতে রক্ষা পাওয়ার দিক নির্দেশনা পাওয়া যায় । একটি বিষয়ের উপর গঠনমুলক নিরপেক্ষ
আলোচনা সমালোচনা সব সময়ই সুফল দেয় ।

৩৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ইসলাম গ্রহণ করলেন বিখ্যাত ডাচ অভিনেতা ডনি রোয়েলভিঙ্ক

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৫১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



এই সুসংবাদটি এখানে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

৩৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
প্রথমেই আপনার আরগ্যে কামনা করছি। সুন্দর পোস্ট ও ছবি সাথে দারুন বর্ণনা সব মিলেয়ে সুন্দর একটি পোস্ট। একমাত্র যারা ইসলামকে ঘৃণার চোখে দেখে তাদের কাছেই এই লিখা খারাপ লাগবে। ভাল থাকুন। +++

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৭:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




আল্লাহ আপনার মুল্যবান দোয়া কবুল করুন ।
পোষ্টটি সুন্দর অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
ইসলামের প্রতি ঘৃনা ভালবাসায় পরিনত হোক
মহান আল্লার কাছে এই দোয়াই করি ।

আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্যও রইল দোয়া ।

৩৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


আপনি বিজ্ঞানীদের বড় বড় আবিস্কারগুলোকে ব্যবহার করে কিছু অসত্যকে সত্য প্রমাণ করতে চেষ্টা করেছেন! আপনি কি বিলাতে বর্তমানে কি করছেন?

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৭:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




ভুল বুঝেছেন , বিজ্ঞানীদের বড় বড় আবিস্কার যে কত বড় সফলতা দিচ্ছে
মহান সৃষ্টি কর্তার সৃষ্টি কৌশল বুঝার জন্য সে কথাই বলা হয়েছে ।
এখানে বিজ্ঞানিদের কৃতিত্বকে স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে । পোষ্টটি ভাল
করে আর একবার পাঠ করুন ।

পরের প্রশ্নটি কি পোষ্টের কোন লেখার সাথে সম্পর্কিত? ভাল করেই
জানেন একান্ত ব্যক্তিগত প্রশ্ন ব্লগে সাধারনত করা হয়না । মনে হয়
লক্ষ করেন নি ,এ পোষ্টে নীচে বলেছি আমার বার্ধক্যের কথা ।
যাহোক, আপনার প্রশ্নের উত্তরে বলছি এ বয়সে মানুষ রিটায়ারম্যন্টে
থাকে, আমিউ তাই। দিন গুনছি সেই আগত মহা প্রয়ানের দিনের কথা ।

ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনাই করি ।

৩৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: @ঢাবিয়ান- আপনিই আমার পোস্টে বলেছেন, ইসলাম ধর্মের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না, আর এখানে বলছেন কারো কারো লেখার কারণে ইসলামের ক্ষতি হচ্ছে।

আসলে ইসলামের ক্ষতি কেউ করতে পারবে না এটাই হচ্ছে সত্য কথা, কারণ ইসলাম নিজেই একটা ক্ষতিকারক বিষয়।

আপনাকে ব্যক্তিগত ভাবে আঘাত দেয়া আমার উদ্দ্যেশ্য নয়, কিন্তু আমি আপনাকে সত্য বলছি ইসলাম ভালো কিছু নয়, এটা ধীরে ধীরে মানুষের কমন সেন্স লোপ করায়।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৭:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

আশা করছি ডাবিয়ান মন্তব্যটি দেখবেন ।

৪০| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:২৯

কামাল১৮ বলেছেন: গাজী সাহেবের প্রিয় লেখক আলী ভাই।গাজী সাহেব তার কোন পোষ্টে এই বিষয়ে কমেন্ট করতে পারেন।জানার বড় ইচ্ছা।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৭:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আমিউ অপেক্ষা করছি গাজী সাহেব কি বলেন তা দেখার জন্য ।

৪১| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৪৪

মৌন পাঠক বলেছেন: ভাই, একজন অজ্ঞেয়বাদী হিসেবে কোরানিক সায়েন্স বিষয়ক পিএইচডি করার জন্য অনুরোধ রইল।

উহাতেই রহিয়াছে ত্রিভুবনের ..

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৭:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


দোয়া করেন আপনার মনোবান্ছা আচিরেই পুর্ণ হোক ।
ত্রিভুবনের মধ্যে আপনিও পড়েন ....

৪২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৪

করুণাধারা বলেছেন: শিরোনাম ভালো লেগেছে, বিশেষ করে শিরোনামের দ্বিতীয় বাক্যখানি।

বরাবরের মতই আপনি বিষদ আলোচনা করেছেন, আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের গঠন এবং কার্যপ্রণালী সম্পর্কে, বোঝার সুবিধার্থে বিভিন্ন চিত্র সংযোজন করেছেন। শ্রেষ্ঠ স্রষ্টা কত সুনিপুণ ভাবে আমাদের সৃষ্টি করেছেন তা ব্যাখ্যা করেছেন!! আল্লাহ সুরা ত্বীনে বলেছেন,

আমি তো সৃষ্টি করিয়াছি মানুষকে সুন্দরতম গঠনে,

لَقَدْ خَلَقْنَا الْاِنْسَانَ فِىْۤ اَحْسَنِ تَقْوِيْمٍ

(সূরা নম্বর: ৯৫ আয়াত নম্বর: ৪)।

নিঃসন্দেহে, এমন সৃষ্টি কোনো সৃষ্টিকর্তা ব্যতিরেকে সম্ভব নয়।

আপনি পবিত্র কুরআন শরীফের বেশ কিছু আয়াত অর্থ সহ উল্লেখ করেছেন, দোয়ার আয়াত উদ্ধৃত করেছেন। আপনার সকল পোস্টের মতোই এটিও পরিশ্রমী এবং তথ্যবহুল পোস্ট। তবে এই বিষয়ে কিছু মানুষ অবিশ্বাসী থাকবেই, যেমন সকল কালে, সকল স্থানে থাকে। কিন্তু অন্যদিকে আপনার পোস্ট অনেকের এতটাই পছন্দ যে, ইতিমধ্যেই নয়জনের প্রিয় পোস্টের তালিকায় এই পোস্ট আছে। কিন্তু আমি হতাশা এবং দুঃখের সাথে এটাও লক্ষ্য করলাম, পোস্টের বিষয়বস্তুর বাইরে গিয়ে কেউ কেউ আপনাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন। তাদের প্রতি আপনার জবাব খুবই পরিশীলিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ২৪ নম্বর মন্তব্য যথাযথ মনে হয়েছে।

পোস্টের শেষে উল্লেখ করেছেন আপনার দেহযন্ত্রটি ভালো যাচ্ছে না। পরম করুনাময় আপনাকে সবসময় সুস্থ্য রাখুন, প্রার্থনা করি।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৫:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:





শ্রেষ্ঠ স্রষ্টা কত সুনিপুণ ভাবে আমাদের সৃষ্টি করেছেন তা উপলব্দি করাই ছিল আমার পোষ্টের মুল লক্ষ্য ।
এটা আলোচনা করতে গেলে পবিত্র কুর আনে থাকা আল্লার বাণীর কথা প্রসঙ্গক্রমে উঠে আসবে বিবেচনায়
কোরানের কিছু মুল্যবান বৈশিষ্টের কথা অলোচনা করা হয়েছে খুবই সংক্ষেপে ।

এই মন্তব্যের ঘরে সুরা ত্বীনের ৪ নং আয়াত আরবী ও বাংলা অর্থ এখানে যুক্ত করে পোষ্টটিকে নিয়ে গেছেন
আরো আনেক উচ্চতায় । আপনি ছিকই বলেছেন এমন সৃষ্টি কোনো সৃষ্টিকর্তা ব্যতিরেকে সম্ভব নয়।

মানুষকে আল্লাহ এমন উন্নত পর্যায়ের দৈহিক সৌষ্ঠব দান করেছেন যা অন্য কোন প্রাণীকে দেয়া হয়নি।
উল্লেখ্য আল্লাহ তাআলা প্রতিটি স্থলচর প্রাণীকে সৃষ্টি করেছেন নিচুমুখী করে। কেবলমাত্র মানুষকে সৃষ্টি করেছেন
আলম্বিত দেহ সোজা করে; যে নিজের হাত দিয়ে পানাহার করে। তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে যথোপযোগী বানিয়েছেন।
তাতে পশুর মত বেমানান ও অসামঞ্জস্যতা নেই। প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছেন এবং
তার মাঝে উচিত ব্যবধানও রেখেছেন। তাতে বিবেক-বুদ্ধি, চিন্তা-চেতনা, বোঝশক্তি, প্রজ্ঞা, শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি দান
করেছেন। যার ফলে মানুষ আসলে তাঁর কুদরতের প্রকাশস্থল এবং তাঁর নিপুণ শৈল্পিক সৃষ্টি কৌশলের এক আপুর্ব
নিদর্শন ।

আল্লাহতে অবিশ্বাসীদেরকেও আমার পোষ্টে স্বাগত জানিয়েছি, জানতাম কিছু কঠোর সমালোচনা আসবে , তাদের
পক্ষ হতে যারা ইন্টারনেটে ভেসে থাকা কোরানের কিছু আয়াতের খন্ডিতাংশের উদ্ধৃতি কিংবা সহি কোন হাদিসের
বহুদাবিভক্ত ও বিভিন্ন প্রকাশনী বা আনলাইনে থাকা হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে। সে সকল উদ্ধৃতিগুলি জানাও ছিল লক্ষ্য।
তবে এটা জানতাম, সমালোচনা করার খাতিরে হলেও তারা পোষ্টের লেখা পড়বেন ও তাদের অনুভুতিতে তা কোন
না কোন সময়ে জাগ্রত হবে চেতনে কিংবা অবচেতনে (স্বপনে)। যাদের সাথে এখানে এতদিন লেখালেখি করছি তারা
মতের অমিলের কারণে পোষ্টের লেখা ভাল করে পাঠ না করে ইসলাম ও কোরান বিদ্ধেষী প্রিকনসিভড ধারনা নিয়ে
ব্যক্তি আক্রমনাত্মক কথা বলবেন তাতে কিছুটা হতবাক হয়েছি । যাহোক, উনারা নীজেদের স্বরূপ অগনিত পাঠকের
কাছে নিজেই উন্মোচিত করেছেন । আমার নিজ হতে কিছুই বলতে হয়নি ।

এছাড়া পোষ্টের প্রথম দিকে এক জায়গায় বলেছি;
১)কতিপয় লোক রাসুলে আকরাম (সা.) ও সাহাবী কিরামের আমল ও আখলাকে প্রভাবিত হয়ে ইসলাম
গ্রহণ করেছিল। ২) কিছু লোক সবকিছুর উর্ধে দ্বীনকে প্রাধান্য দিয়ে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সকল
প্রকার দু:খ কষ্ট নির্যাতন ভোগ করছিল , তারপর কতিপয় লোক এ সকল বিষয় দেখে প্রভাবান্বিত হয়ে
মুসলমান হযেছিল । সে তুলনায় আমার প্রতি কতিপয় পাঠকের ব্যক্তি আক্রমন তো এক সাধারণ ঘটনা ।
তারপরেও, মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে দোয়া করছি তিনি যেন সকলকে তার মহিমা ও পবিত্র কুরানের
মহাত্মতা অনুভবের তৌফিক দেন। আমি কায়মনোবাক্যে চাই পরম দয়াময় আল্লা যেন আমাদের চারপাশে
থাকা সকলের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল সাধন করে সকলকে উত্তম ধার্মিক ও শুদ্ধ এক মানব জীবন দান করুেন ।

সুন্দর মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল

৪৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৪

মিরোরডডল বলেছেন:




বার্ধক্য জনিত বিবিধ রোগব্যধির কারণে দেহযন্ত্রটি ভাল যাচ্ছেনা।

take good care of yourself, you'll be fine.
do you know, you're such a good soul!!!

আলী ভাইয়ের জন্য অন্তর থেকে শুভকামনা।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৫:৩৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




অন্তর হতে শুভকামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ ।
আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সন্তুষ্টিতে থাকাই লক্ষ্য ,
আল্লাহর সন্তুষ্টি প্রাপ্তির চেয়ে পরম প্রাপ্তি আর কিছু নেই।

আমিউ অন্তর হতে আপনাকে শুভ কামনা জানালাম ।

৪৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৪

এস.এম.সাগর বলেছেন: এই পোষ্টটি সকলের কাছে ভাল লাগলেও কিছু ইতর শ্রেণীর জন্ম পরিচয়হীন মানুষের কাছে ভাল লাগবেন।

৪৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৩২

এক চালা টিনের ঘর বলেছেন: মারহাবা
সুবাহানাল্লাহ
আলহামদুলিল্লাহ
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু
আল্লাহু আকবর।

পোস্ট স্টিকি হোক।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৪৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:০৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক সুন্দর পোস্ট। আল্লাহ আপনাকে উত্তম যাযা দান করুন।
ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরও প্রতিপক্ষেল আক্রমন থেকে যে রক্ষায় পায়নি তার ইতিহাস কিন্তু রয়েছে। যারা শুধুই আমাদের জঙ্গি বলে হাস্য রস্য করে আমাদের ছোট করে দেখে তাদের কি ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান নেই!
আল্লাহ সবাইকে হেদায়ত দান করুন।

https://at-tahreek.com/article_details/1034

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
কামনা করি মহান রাব্বুল আলামীন
আপনার দোয়া কবুল করুন ।

শুভেচ্ছা রইল

৪৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৩৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার জন্য অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইলো। আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এই কামনা করি।

আমাদের শরীর যখন অসুস্থ, মন দুর্বল, তখন আমাদের মনে নানা ধরনের অনুভুতি হয়। সে সময় স্রষ্টার প্রতি মনের আকুলতা তীব্রতর হয়। আমরা যে অতি ক্ষুদ্র, আমাদের কামনা-বাসনা, জীবনের নিষ্ফল ইচ্ছা-আকাঙ্খা-বিক্ষেপ যে অতি তুচ্ছ এই বোধ আমাদের আচ্ছন্ন করে। আমাদের জ্ঞান সীমিত, আর অজানার সীমা পরিসীমা নেই। তাই আজানার পথে আমরা স্রষ্টাকে খুঁজি।

কিন্তু সে যাক। আপনাকে আর বিরক্ত না করে বরং রবীন্দ্রনাথের শেষ লেখা (যেটি তার মৃত্যুর কয়েকদিন আগে লেখা) সেটাই আরেকবার আপনাকে শোনাই, যদিও এই কবিতা আপনি অবশ্যই পড়ে থাকবেন। সেখানেও কবি আপনার মতই স্রষ্টা আর তার সৃষ্ট জীবনের অর্থের অন্বেষণ করেছেন:

তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি
বিচিত্র ছলনাজালে,
হে ছলনাময়ী।

মিথ্যা বিশ্বাসের ফাঁদ পেতেছ নিপুণ হাতে
সরল জীবনে।
এই প্রবঞ্চনা দিয়ে মহত্ত্বেরে করেছ চিহ্নিত;
তার তরে রাখ নি গোপন রাত্রি।

তোমার জ্যোতিষ্ক তা'রে
যে-পথ দেখায়
সে যে তার অন্তরের পথ,
সে যে চিরস্বচ্ছ,
সহজ বিশ্বাসে সে যে
করে তা'রে চিরসমুজ্জল।

বাহিরে কুটিল হোক অন্তরে সে ঋজু,
এই নিয়ে তাহার গৌরব।
লোকে তা'রে বলে বিড়ম্বিত।

সত্যেরে সে পায়
আপন আলোকে ধৌত অন্তরে অন্তরে।

কিছুতে পারে না তা'রে প্রবঞ্চিতে,
শেষ পুরস্কার নিয়ে যায় সে যে
আপন ভান্ডারে।

অনায়াসে যে পেরেছে ছলনা সহিতে
সে পায় তোমার হাতে
শান্তির অক্ষয় অধিকার।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:৩৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



এখানে কবিগুরুর মৃত্যু পুর্বকালীন কবিতাটির সংযোজন আমার পোষ্টটিকে দিয়েছে উচ্চ মাত্রা ,
এর জন্য রইল বিশেষ ধন্যবাদ ।

উল্লেখ্য মানব জন্মের সেই আদিকাল হতেই রয়েছে মৃত্যু ভাবনা । সেই আদি কথার সাথে কোরানে রয়েছে মৃত্যু
পরবর্তী সুখী জীবনের জন্য কিছু গাইড লাইন , যা সকলের জন্যই মঙ্গলকর । সকলেই জানে জন্মগ্রহণ মানেই
সুনিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ধাবিত হওয়া। জীবনের পথ-পরিক্রমার অর্থও তা-ইৃ। মৃত্যুর চেয়ে বড় এবং কঠিন সত্য আর
নেই! কার নেই মৃত্যুচিন্তা? অমোঘ এই সত্যকে কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত কাব্যরূপায়ণ করেছেন এভাবে :
‘মৃত্যু শুধু মৃত্যুই ধ্রুবসখা,/
যাতনা শুধুই যাতনা
শুধুই যাতনা রুচির সাথী।

মানুষ চিন্তাশীল ও বুদ্ধিবৃত্তিক প্রাণী বলেই বিশেষত জীবনচক্রের শেষ ধাপে সে মৃত্যুচিন্তায় আক্রান্ত হয়- কোনো
ইতর প্রাণীর তা নেই। রবীন্দ্রনাথও মানুষ ছিলেন এবং পরম উন্নত চেতনায় ঋদ্ধ মানুষ ছিলেন বলেই মৃত্যুচিন্তা
তাঁর মধ্যেও প্রবল ছিল। যদিও তিনি ছিলেন পরিশুদ্ধ জীবনবাদী ও বৃক্ষের মতো প্রাণরসগ্রাহী তবু তাঁর মধ্যে গোপন
ফল্গুধারার মতো মৃত্যুচিন্তা প্রবাহিত ছিল কবিজীবনের প্রারম্ভ থেকেই। রবীন্দ্রনাথের ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলি
থেকে তাঁর মৃত্যু ভাবনা আঁচ করা যায়- যখন তিনি বলেন :
‘মরণরে তুঁহু মম শ্যাম সমান।’

মৃত্যু এমন এক নিষ্ঠুরতম সত্য, যা কেউ এড়াতে পারে না! তাই মানুষ মাত্রই মৃত্যুচিন্তায় আক্রান্ত, সন্ন্যাসী থেকে
বিজ্ঞানী পর্যন্ত। প্রাচীনকাল থেকে মৃত্যু চিন্তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে গভীর দর্শন। এই দর্শন পরবর্তী সময়ে পল্লবিত
কাব্যে, সাহিত্যে, ধর্মে, সমাজের সর্বস্তরে।

আপনি আমার সুস্থতার জন্য দোয়া করছেন , সে জন্য
আপনার প্রতি রইল অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা । কামনা
করি আল্লাহ আপনার দোয়া শীঘ্র কবুল করুন ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

৪৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৬

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: এত সুন্দর একটা পোস্ট! যার প্রতিটি চরণে চরণে ছড়িয়ে রয়েছে মহান স্রষ্টা ও তার সৃষ্ট মানব হিসাবে আত্মপলব্দির গভীর জ্ঞানের বিশাল এক ভান্ডার!! অথচ দু-একজন ব্লগারকে দেখলাম মূল লিখাটির সাথে একেবারেই সম্পর্কহীন আজগুবি সব কথা-বার্তা দিয়ে মন্তব্য করে জ্ঞান (আসলে বিভ্রান্তি) বিতরণ করার চেষ্টা করছেন। আবার কেউ কেউ দেখলাম আরো এক কাঠি সরেস! তারা লিখার বিষয়বস্তু বাদ দিয়ে লেখককে নিয়ে নিন্দা শুরু করে দিয়েছেন যাহা কেবল দুঃখ জনকই নয় দুর্ভাগ্য জনকও।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
কিছু কিছু সহৃদয় পাঠকের মন্তব্য দেখে
কবিগুরুর লেখা গীতিকবিতার কথাগুলিই
মনে বাজে
এই করেছ ভালো, নিঠুর,
এই করেছ ভালো।
এমনি করে হৃদয়ে মোর
তীব্র দহন জ্বালো।
আমার এ ধূপ না পোড়ালে
গন্ধ কিছুই নাহি ঢালে,
আমার এ দীপ না জ্বালালে
দেয় না কিছুই আলো।
যখন থাকে অচেতনে
এ চিত্ত আমার
আঘাত সে যে পরশ তব
সেই তো পুরস্কার।
অন্ধকারে মোহে লাজে
চোখে তোমায় দেখি না যে,
বজ্রে তোলো আগুন করে
আমার যত কালো।


শুভেচ্ছা রইল

৪৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: পবিত্র ক্বুরআন এর ভাষাশৈলীর অটুট বাঁধন এবং এর অপরূপ কাব্য মাধুর্য সম্পর্কে ধারণা এ ঐশী পুস্তক যতই পড়া যায় ততই উজ্জ্বলতর হয়।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



খুবই অল্প কথায় পবিত্র আল কুরআনের মহাত্বতার কথা বলেছেন ।
এটা যে যত গভির মনোনিবেশ সহকারে পড়বেন তিনি ততই
এর অসাধারণ সকল বৈশিষ্টের কথা ও বিষযাবলী
অনুধাবন করতে পারবেন। কুরআন নাযিল হয়েছে
বিশ্বের সকল মানবের জন্য । আল্লাহ সকলকে
কুরআনের মর্মবাণী বুঝার তৌফিক দিন ।
আসুন সকলে মিলে এই দোয়াই করি।

অনেক অনেক শুভেচ্চা রইল

৫০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আফসোস!

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



সত্যিই আফসোস!!
তবে আফসুস হতে
বের হওয়া সকল
বুদ্ধিমানের কাজ ।



৫১| ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:১৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ব্লগে আমি এতই অনিয়মিত যে এত চমৎকার একটা লেখা এখন ও পড়ি নাই।
প্রিয় তে রাখলাম। ফিরব লেখায়।

আপনার সুস্থ্যতার জন্য দোয়া রইলো।

০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ২:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




দীর্ঘ প্রতিক্ষিত মন্তব্য লাভে ধন্য আমি ।
আমার সুস্থ্যতার জন্য দোয়া, সেইসাথে
প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভেচ্ছা রইল

৫২| ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ২:২৬

আরোগ্য বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট। মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। রাখলাম প্রিয়তে।

অনিয়মিত হওয়াতে সময় মত দেখতে পারিনিব,ধন্যবাদ মনিরা আপাকে উনার মন্তব্যের কল্যাণে আসতে পেরেছি।

০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ২:৩৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




পোষ্টটি আসাধারণ অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
মনিরা আপুকে দেয়া আপনার ধন্যবাদ জানিয়ে
দেয়া হবে ।

পোষ্টি প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভেচ্ছা রইল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.