নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন প্রজন্মের প্রতিরক্ষায় সমাজতাত্বিক দৃষ্টিকোন হতে কিছু ভাবনা

০৪ ঠা জুন, ২০২৪ সকাল ৯:৫২


গতকালের সামুর পাতায় একটি পোষ্টে দেখলাম জানতে চাওয়া হয়েছে নতুন প্রজন্ম সম্পর্কে আমাদের ধারনা সক্রেটিস, প্লেটো ও এরিস্টটল'এর মতো কিনা ? বিশ্ব বিখ্যাত প্রাচীন দার্শনিক সক্রেটিস, প্লেটো ও এরিস্টটল এর প্রতি পরম শ্রদ্ধা রেখেই বলছি নতুন প্রজন্ম নিয়ে তাঁদের ধারণা তাঁদের মতই মুল্যবান তবে নতুন প্রজন্ম নিয়ে আমাদেরো নিজস্ব কিছু ধারনা রয়েছে । নীচে প্রথমেই প্লেটো ও এরিস্টটলের ধারণা নিয়ে কিছু কথা বলে নতুন প্রজন্ম বিষয়ে আমার কিছু সমাজতাত্বিক ভাবনার কথা বলার প্রয়াস নিব ।

আমি প্রথমেই একটি উদ্ধৃতি দিয়ে শুরু করতে চাই: "আমাদের তরুণদের কী হচ্ছে? তারা তাদের বড়দের অসম্মান করে, তারা তাদের পিতামাতার অবাধ্য হয়। তারা আইন উপেক্ষা করে। তারা বন্য ধারণায় উদ্দীপ্ত হয়ে রাস্তায় দাঙ্গা করে। তাদের নৈতিকতা ক্ষয় হচ্ছে তাদের কি হবে?" এই শব্দগুলি ২৪০০ বছরেরও বেশি আগে গ্রীক দার্শনিক প্লেটো লিখেছিলেন।

বিখ্যাত আরেকজন গ্রীক দার্শনিক, অ্যারিস্টটল, তরুণদের সম্পর্কে অনেকটা উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে লিখেছিলেন: "তরুণরা উচ্চতর ধারণা পোষণ করে, কারণ তারা এখনও জীবনের গতিধারায় নম্র হতে পারেনি বা এর প্রয়োজনীয় সীমাবদ্ধতাগুলি শিখেনি; অধিকন্তু, তাদের আশাবাদী স্বভাব তাদের নিজেদেরকে সমান মনে করে। তারা সর্বদা উপকারী কাজের চেয়ে মহৎ কাজগুলি বেশী করতে চায়: তাদের জীবন যুক্তির চেয়ে নৈতিক অনুভূতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় - তাদের সমস্ত ভুলগুলি অত্যধিক এবং প্রবলভাবে কাজ করার দিকে থাকে -- তারা ভালবাসেও অনেক আবার ঘৃণাও করে বেশি, এবং অন্য সবকিছুর সাথে একই।"

আমি আজ এইভাবে শুরু করছি বয়স্ক প্রজন্মকে আশ্বস্ত করার জন্য যে প্রজন্মের ব্যবধানটি ২৪০০ বছর পরেও অনেকটা একই রকম দেখায় এবং একইভাবে এই তরুণ প্রজন্মকে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য যে তারা তাদের তারুন্যকে সঠীকভাবে উপলব্দি করেনি, ফলে তারা তাদের তারুন্যকে আকর্ষণীয় এবং কঠিন উভয়ই করে তোলে। আমি তরুণ প্রজন্মের কথা বলতে গিয়ে উল্লেখ করতে চাই ফরাসীরা নারী ও পুরুষের মধ্যকার সম্পর্কে যা বলতে চেয়েছেন: vive le difference -- প্রজন্মের মধ্যে পার্থক্য দীর্ঘজীবী হোক।
তবে নতুন ও প্রবীন প্রজন্মের পার্থক্য কিভাবে কমানো যায় সেটাই ভাবনার বিষয় বটে ।

এটি বলার অপেক্ষা রাখে না যে প্রজন্মের মধ্যে পার্থক্য সবসময় একই রকম - যদিও প্লেটো এবং অ্যারিস্টটল কয়েকটি প্রতিক্রিয়াশীল ধারণাকে তুলে ধলেছেন । উল্লেখ্য বাংলাদেশসহ আজকের বিশ্বে প্রায় অর্ধেক মানুষই তরুণ প্রজন্মের ।

যদিও, অ্যারিস্টটল বলেন, তারা খুব বেশি ভালবাসে এবং খুব বেশি ঘৃণা করে, আসলেই অনেক বিষয়ের প্রতিই তরুন প্রজন্মের অনেক ভালবাসা এবং তীব্র ঘৃণার প্রকাশ দেখা যায় । কিন্তু আসল প্রশ্ন হল: তারা কি ভালবাসে এবং কি ঘৃণা করে? আমি ধারণা করি যে তারা আমাদের তৈরি করা বিশ্বকে অত্যধিক ভালোবাসেনা, এবং আমি ধারণা করি তারা এমন কিছু জিনিস ঘৃণা করে যা ঘৃণার যোগ্য এবং সত্যিই সেগুলিকে অত্যধিক ঘৃণা করে যেমন: অকারণ যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু, মানুষের জন্য অসাম্যতাপুর্ণ পৃথিবী, সচ্ছলতার নামে দারিদ্র্যতা , সমাজ সেবা ও ধর্মের নামে ভণ্ডামি, কর্মের পরিবর্তে বাগ্মীতা, অর্জন ছাড়াই প্রতিশ্রুতি, খালি কথার কথা , আর নিরস ও নিস্ফল অনেক গুণাবলী তারা প্রায়শই প্রবীন প্রজন্মের মধ্যেও খুঁজে পায়। তারুণ্যের ক্ষেত্রে সবচেয়ে নিরুৎসাহিতকর বিষয় হল যে প্রতিদিনই তারা বৃদ্ধ হচ্ছে এবং আজকের মতো দিনে তারা বয়সে পৌঁছেছে আমাদের অনেকের মত সফল ও প্রতিষ্ঠিত হয়ে ওঠার প্রবল প্রলোভন নিয়ে, অন্যায়ের সাথে আপস করে শেষ পর্যন্ত তারা তাদের নিজেদের সন্তানদের কাছেই অনিচ্ছাকৃত ক্রোধের লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে, কারণ অতীতে যুবাকালে বা তাদের যৌবনে তারা যে মহৎ কাজের স্বপ্ন দেখেছিল তার চেয়ে অদরকারী কাজই বেশী করেছে।

হয়তো তাদের যৌবনের জগৎ সত্য ও স্থায়ী হওয়ার জন্য ছিল খুবই উত্তম সময় । আদর্শবাদ, উদারতা এবং যৌবনের উন্মাদনা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার পরিবর্তে, আমাদের বরং শোক করা উচিত যে যৌবন খুবই দ্রুতবেগে ভয়াবহ বয়োবৃদ্ধ জীবনের দিকে চলে যায়, যখন আমাদের উচিত ছিল ভালর প্রতি ভালবাসা এবং মন্দের প্রতি ঘৃনা করার কথা । মনে পরে আমাদের তরুনকালে কবি গুরুর মত বয়োজেষ্ঠ অনেকেই তেমন করে বলেন নি -

ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা, ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ, আধমরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা।

গত কয়েক মাসে, আমি বেশ কয়েকটি জনহীতকর কাজে অনেক মানুষের সাথে কথা বলেছি । অনেকেই আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন: "কি হচ্ছে এই প্রজন্মের? কেন অশান্তি, প্রতিবাদ, বিদ্রোহ বিক্ষোভ দেশে দেশে ? কেন নব প্রজন্মের জন্য সমাজ সেবা ও শিক্ষার তরে এত পরিশ্রম এবং অর্থ ঢালা?" আমিও প্রশ্নকারীদের কাছে জানতে চেয়েছি আজকের তরুণদের অস্থিরতা, প্রতিবাদ, বিদ্রোহের কারণ কী বলে মনে হয় তাদের কাছে , যেমনটা অতীতের অনেক নব প্রজন্মের মতো আজকেও দেখা যাচ্ছে যথা গাজায় যুদ্ধ নিয়ে আমিরিকার বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে তরুন প্রজন্মের ছাত্রদের বিক্ষোভ ।

আমি মনে করি এর জন্য বেশ কিছু তাৎক্ষণিক কারণ আছে। প্রথমত, আজকের তরুণরা এমন একটি সমাজে বেড়ে উঠেছে যা বুদ্ধিমত্তাকে স্বীকৃতি দেয়, । তাদের চিন্তা করার, আলোচনা করার, সমালোচনা করার, পড়ার, ভ্রমণ করার, তুলনা করার, বিচার করার জন্য আগের থেকে অনেক বেশি সুযোগ রয়েছে - এটি এমন জিনিস যা দিয়ে ভাল শিক্ষা তৈরি হয় এবং এর পরিণতিও আছে।

বৈষম্যমুলক সমাজ জীবনের শুরুতে হয়তবা আজকের তরুনদের অনেকেই ভাবতে শিখেনি অবিভাজ্য জাতি , সবার জন্য স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচার কাকে বলে । তারপর বৈষম্যমুলক শিক্ষা ব্যবস্থায় বেড়ে উঠা তরুনরা চিন্তা করতে শুরু করেছিল তাদের স্বপ্নের কিছু বিষয় অর্জনযোগ্য হলেও বেশীরভাগ জিনিষই তাদের অর্জন সীমা বা নাগালের বাইরে । তারা জানতে ও ভাবতে শিখেছে দেশের তরুন প্রজন্মের বেশীর ভাগই বিশেষ করে শিক্ষিত তরুনদের বেশীর ভাগই বেকারদের প্রতিনিধিত্ব করে । তারা নিন্মমানের সরকারী ও বেসরকারী স্কুল, কলেজ ,মাদ্রাসা, বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার ভাগ্য নিয়ে জন্মেছে। ফলে তাদের মধ্যে হতাশা এবং সামাজিক গতিশীলতার অভাব ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী হয় যা বৃত্তাকার এবং অনিবার্য। দেশের তরুন প্রজন্মের একটি উল্লেখযোগ্য অংশই বেড়ে উঠেছে চরম দারিদ্রতার মধ্য দিয়েই ।

যে চেতনা নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল তার অনেকটাই থেকে যায় তাদের কাছে অপুর্ণ , জাতি বিত্তবান আর বিত্তহীনদের মাঝে হয়ে যায় বিভক্ত ।
স্বাধীনতার মানে ধনী এবং বিত্তবান আশাবাদীদের কাছে এক জিনিস, আর দরিদ্র এবং আশাহীনদের কাছে অন্য জিনিস। ন্যায়বিচারও তেমনি।দেশে দারিদ্রতা কিছুটা কমলেও আয় বৈষম্য বেড়ে যায় অনেক ।

দেশের এই অবস্থা তাই হয়ে উঠে তরুনদের জন্য মোহ ভঙ্গের ভোর, যৌবনেও সেই মোহ ভঙ্গ থাকে বহমান কিংবা নতুন করে হয় তার আগমন।ফলে তরুনদের মধ্যে মাঝে মাঝে জেগে উঠে প্রতিবাদের ঝড় যেমনটি দেখা গিয়েছিল কোটা বিরোধি আন্দোলনের সময় । তবে অনেকেই হতাশায় হয়ে পড়ে নেশাগ্রস্ত ,আর কেওবা সমাজ বিরোধি কিংবা দুবৃত্তপনায় মত্য । নীতি বিবর্জিত ছাত্র বা যুব রাজনীতি হয়ে পরে অনেকের কাছে পরম আরাধ্য পেশা ।

এমতসময়ে নতুন ক্ষমতা কাঠামোয় তরুনদের মধ্য হতে নতুন নেতৃত্ব, সক্রিয় প্রতিবাদী শক্তির আবির্ভাব নতুন প্রজন্মের কাছে অসম্ভব হয়ে উঠে অসুস্থ অগণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে । নব প্রজন্মের উল্লেখযোগ্য অংশই হারিয়ে যায় ক্ষণিকের অনৈতিক চাওয়া পাওয়ার কাছে । নাগরিক অধিকার হরনের কারণ দুর করে এবং সামাজিক পরিবর্তনে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ হয়ে উঠে কঠিন থেকে কঠিনতর ।

নবপ্রজন্মের জন্য অবশ্য নতুন উন্মাদনাও তৈরী করা হয় সস্তায় মানব সম্পদ রপ্তানীর মাধ্যমে । এটা তরুনদের মধ্যে আশা, নিরাশা ও হতাশা সবকিছুই জন্ম দেয় একসাথে । কেও স্বামী, স্ত্রী পুত্র আত্মিয় স্বজন ছেড়ে হয় গৃহত্যগী , কেও ডুবে মরে ভুমধ্য সাগরে , কেওবা ভিটে মাটি বিক্রি বা বন্ধক রেখে বিবিধ কারণে দেশ ত্যাগ করতে না পেরে কিংবা অসময়ে আচমকা দেশে ফিরে হা পিত্যেস করে মরে । ইত্যাকার বিষয়ের জন্য কোন সে প্রজন্ম দায়ী , নবীন না প্রশাসনের সচিবালয়ের উচ্চ পর্যায়ের প্রবীন প্রজন্মের অদক্ষতা কিংবা দুরদৃষ্টিহীন কর্মকৌশল দায়ী , তা ভাবার জন্য সেই দার্শনিক আজ কোথায় !!

প্রবীণগন নব প্রজন্মের সমস্যা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করে ফলপ্রসু কিছু কর্মসুচী গ্রহন ও বাস্তবায়ন করেছেন এ কথা সত্য । তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে শিক্ষার্থীদেরকে রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিনত করে নব প্রজন্মের মেধা বিকাশ বাধাগ্রস্থ কিংবা উন্নত মানের কর্ম পরিবেশ সৃস্টি না করে মেধাবীদেরকে দেশ ত্যাগে উতসাহিত করা ছাড়া নবপ্রজন্মের জন্য তারা কতটুকু করেছেন । হাজার দুয়েক বিসিএস ক্যাডার পদের জন্য প্রতিবছর লাখ লাখ বেকার আর অর্ধ্য বেকারের সে কি কাকুতি ও পরিনতি তা
তো দেশবাসী দেখছেই । তরুন প্রজন্মের ভয়াবহ মানব বিপর্যয়ের আর কতটাই বা বাকি ।

আমি নবপ্রজন্মের সমস্যাটিকে হয়তবা অতি সরলীকৃত করেছি এবং সম্ভবত অল্পবয়সিদের মতো সমস্যাটিকে অতিরঞ্জিত করেছি, তবে নতুন প্রজন্মের সমস্যাগুলি কর্ম সংস্থানের সুযোগের অভাব, ন্যায়বিচার এবং নৈতিকতার একটি বাস্তব দিক যা আমাদের অনেককে আগে কখনও ভাবতে উদ্বুদ্ধ করেনি । এই সমস্যাটি আমাদের শিক্ষাঙ্নের পরিবেশকেও বিষাক্ত করেছে, অন্যান্য অনেক ভালো ও মহৎ প্রয়াসকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, আমাদের জাতীয় রাজনৈতিক দৃশ্যকে ধাক্কা দিচ্ছে, আমাদের বৈদেশিক সম্পর্ককে ( বিশেষ করে বিদেশে বিবিধ কারণে আটকে পরা নব প্রজন্ম ও প্রবাসী কর্মী সংক্রান্ত বিষয়াবলি) জটিল করে তুলেছে এবং অন্য যে কোনো কিছুর চেয়ে
আমাদের তরুণদেরকে গভীর ও স্থায়ী হতাশার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

আজকের তরুণ প্রজন্মের নাটকের চূড়ান্ত এবং সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ শিক্ষা ক্যাম্পাস গুলিতে বিক্ষোভ যা ঢাবি , চুয়েট বুয়েট সহ প্রায় সর্বত্রই ঘটতে দেখা যায় মাঝে মধ্যে । অর্থপূর্ণ নাগরিক অধিকার হরন জাতীয় কর্মকান্ডে দায়িত্বশীল প্রবীনদের পদক্ষেপের মুখে নিজেদেরকে কম বেশি অসহায় বোধ করে তাদেরকে উগ্র প্রতিবাদী কিংবা আরও খারাপ হতে দেখা গেছে । আজকের যুগে নবপ্রজন্মকে সমালোচনার ক্ষেত্র অনেকগুলি; তাদের নৈতিকতার অবক্ষয় , তাদের উদাসীনতা , লক্ষ্যহীনতা, লেখা পড়ায় অনিহা বা অসাধু পন্থা অবলম্বন ইত্যাদি । এই নব প্রজন্ম কীভাবে হঠাৎ করে এত সমালোচিত হলো, তার সমাজতাত্বিক সঠিক বিশ্লেষনের বড়ই অভাব । তার পরেও আইন ও কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে প্রস্তুত হয়েও সত্যিকার ভাবে কেন তারা প্রতিবাদী হয়ে উঠতে পারছেনা তা নিয়ে রয়েছে অনেক প্রশ্ন । ঠিক এমনি একটি সময়ে নব প্রজন্ম নিয়ে গ্রীক দার্শনিক এরিস্টটটল ও প্লেটোর দার্শনিক তথ্য নব প্রজন্মের জন্য আরো অশনিসংকেত বয়ে আনছে কিনা সেটাই বিবেচনার বিষয় ।

আধিপত্যবাদী একটি সমাজে নতন প্রজন্ম যে এখন প্রতিবাদী হতে শুরু করেছে তা আর কেবল স্থানীয় নয়, জাতীয় এবং
আন্তর্জাতিক । এই সপ্তাহের লন্ডন, বার্লিন, টোকিও, নিউ ইয়র্কের সংবাদপত্রগুলি পাঠ করলে দেখা যাবে তাতে রয়েছে
নতুন প্রজন্ম ও ছাত্র বিক্ষোভের কথামালা।

ছবি সুত্র : নিউইয়র্ক টাইমস

আমার কাছে মনে হয়, আমরা যখন তরুণ প্রজন্মের বিদ্রোহ/বিক্ষোভকে বিবেচনা করি তখন দেখা যায় সংস্লিষ্ট সমস্যাসমুহ দুর করার জন্য প্রয়োজনীয় গুণগুলি প্রবীন প্রজন্মের কাছ থেকে খুব কমই পা ওয়া যায়। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় প্রয়োজন রয়েছে যুক্তিসঙ্গত আলোচনা এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের জন্য তরুনদেরকে ক্রমাগতভাবে প্রেরণা যোগান দেয়া, যাতে তারা ভয়ংকর অসাম্য ও অবিচারের প্রতিকারের জন্য সর্বাত্বক প্রচেষ্টা নিতে পারে । সমাজকেও তার কাঠামোর পরিবর্তন করতে হবে, কারণ, স্পষ্টতই দেশে এখনো এমন পরিবেশ তৈরি হচ্ছেনা যেখানে সকলের জন্য সমান সুযোগের সৃষ্টি হয়, যা নব প্রজন্মের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ।

আশার কথা হচ্ছে আমরা নবপ্রজন্মকে সেরা আশাটি অর্জনে উদ্বুদ্ধ করছি। বহু বছর আগে, জাতিসংঘ মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র জারি করেছিল, কিন্তু এটি এখনও শুধুমাত্র একটি ঘোষণা, এখানে এবং বিশ্বের আরো কোটি কোটি মানুষের জন্য তা এখনো সত্যিকার ফল দিচ্ছেনা।

কোনো না কোনোভাবে, কোথাও না কোথাও , আমাদের তরুণদেরকে ফিরিয়ে আনতে হবে সমাজের গঠনমুলক কাজে/পরিবেশে প্রাতিষ্ঠানিক কর্মক্ষম অংশ হিসেবে, যদি আমরা আদৌ তা চাই । আমি আমার প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের পুরোটাই শিক্ষা ও সমাজসেবামুলক গবেষনার জগতে কাটিয়েছি। আমার কাছে মনে হচ্ছে নবপ্রজন্মের কাছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই হচ্ছে একটি ভাল জায়গা যেখানে বর্তমানে নবপ্রজন্ম ভাল কাজে উৎসাহী হতে শিখছে ( অবশ্য ছাত্র নামধারী স্বার্থবাদী রাজনীতির কারণে অনেক জায়গায় তা দারুনভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে , তরুনদের মাঝে এ ধরনের অপ ছাত্র রাজনীতিটাও বন্ধ হওয়া প্রয়োজন )। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিক্ষক রাজনীতিও তারুণ্যের বিস্ফোরণটি বন্ধ করে দিয়েছে কিংবা ক্রমাগতভাবে ব্যক্তি বা গুষ্ঠি স্বার্থে ব্যবহার করে চলেছে। আমাদের তরুন নব প্রজন্মকে ধ্বংসাত্মক কাজে ব্যবহারের পরিবর্তে ফলপ্রসূভাবে ভাল কাজে জড়িত করার উপায়গুলি তৈরি করতে উদ্যোগী হওয়া উচিত।

বাংলাদেশের সব সফল আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র রাজনীতি এখন কাঠগড়ায়। সংগঠনগুলোর একশ্রেণির নেতাকর্মীর অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সাধারণ শিক্ষার্থীদের ছাত্র রাজনীতিবিমুখ করছে। বিপরীতদিকে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন ছাত্র ক্যাম্পাসগুলোয় একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে সর্বকালেই। এ অবস্থায় শিক্ষাঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে পথ হারানো ছাত্র রাজনীতির আমূল পরিবর্তনের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশিষ্টজনরা।বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক আন্দোলনের সময় ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের আলোচনা নতুন করে সামনে এসেছে।

তরুন নব প্রজন্মের প্রায়োগিক কাজের শিক্ষা ও প্রশিক্ষন মুলত পুর্ণতা পায় কলেজ ও বিশ্ব বিদ্যালয় সমুহে । বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন ও শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের সক্রিয় এবং অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের জন্য আমরা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন কাঠামো তৈরি করে কাজ শুরু করতে পারি। ক্যাম্পাসে একটি বাস্তবমুখী তরুন সম্প্রদায় তৈরি করা যায় যেখানে ছাত্রদের একটি বাস্তব মৌলিক ভূমিকা থাকবে তা যেন আবার নকল না নয়৷ তারা এখন যে শিক্ষা পাচ্ছে তা নিয়ে যদি তারা অসন্তুষ্ট হয়, তাহলে তাদের কথা শোনার উপায় থাকা উচিত এবং অনুষদ ও প্রশাসনের দ্বারা তাদের ধারণাগুলি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত। এর অর্থ এই নয় যে তাদের সমস্ত ধারণা ভাল বা তাদের সকল আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন সবসময় বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত । এবং এর অর্থ অবশ্যই এই নয় যে তাদের ধারণাগুলি সহিংসতার হুমকির মধ্যে দিয়ে বাধ্য করা উচিত। বরং একটি বাস্তব সংলাপ হওয়া উচিত যা নিজেই শিক্ষণীয়। ছাত্রদেরকেও শুনতে হবে যে আজ তাদের কাছে যা সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক বলে মনে হচ্ছে তা এখন থেকে দশ বছর পর বেশ অপ্রাসঙ্গিক হতে পারে। নব প্রজন্মের ছাত্রদের শুনতে হবে যে ভাল ধারনা এবং বাস্তব লক্ষ্য এবং সত্যিকারের মূল্যবোধ ব্যতীত কাজ হল শুধু মাত্র ফাকা বুলি , তরুণদের কাছে যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হবে তা হল উচ্চমানের শিক্ষা যা পাওয়াটা্‌ই হতে হবে জরুরী ।

এটা লক্ষনীয় যে বেশ অনুপ্রাণিত তবে অধৈর্য তরুণ প্রজন্মের অ্যাক্টিভিস্টের ট্র্যাজেডি হল তারা প্রয়োজনীয় বুদ্ধিবৃত্তিক সরঞ্জাম দিয়ে নিজেকে সজ্জিত করতে অধৈর্য হয়ে নিজেকে সত্যিকারের কর্ম উপযোগিতা থেকে অযোগ্য ঘোষণা করার মত গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে নিয়ে যাচ্ছে । হতাশাগ্রস্থ কিংবা আদর্শগত কারণে উগ্র পন্থা অবলম্বন , দারিদ্র্য এবং অসম্মানীয় কাজের সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা অনেকেই দেখেছি আমাদের উচ্চ প্রতিশ্রুতি সম্পন্ন নতুন প্রজন্মের অনেকেই তাদের প্রতিভা নষ্ট করে, নিজেকে সপে দেয় সস্তা এবং ক্ষণস্থায়ী সন্তুষ্টির জন্য। আমাদের লক্ষ রাখতে হবে যেন কোন র‍্যাডিক্যাল প্রাপ্তি বা অধৈর্য, বুদ্ধিবৃত্তিকতা আমাদের অনেক সেরা মস্তিষ্ককে/প্রতিভাকে সত্যিকারের উপযোগিতা থেকে দূরে সরিয়ে না দেয় । তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিতে হবে যে বিশ্বের সকল সংবেদনশীল সমস্যাগুলির অতি সরলীকরণ সমাধানের জন্য পথ চলা তাদের জন্য নয় , এটা অবশ্যই প্রবীন ও বিজ্ঞদের জন্যই অধিক যক্তিযুক্ত , নবীনদের জন্য উপযুক্ত শিক্ষা গ্রহনই প্রয়োজন সর্বাজ্ঞে ।

উপরে বলা বিশিষ্টজনদের কথার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত, তবে , নব প্রজন্মের তারুণ্যের প্রতিরক্ষায়, আমাদের অবশ্যই তাদের পক্ষটিও দেখতে হবে। উপরে বলা কথাগুলি তারা মেনে নিতে পারে যদি অন্তত আমরা বয়োজেষ্ঠরা তাদের উদ্বেগগুলি ভাগ করে নিই, যা আমাদের কাছেও উদ্বেগের হওয়া উচিত এবং সেগুলি সম্পর্কে নিজেরা কিছু করাও উচিত। প্রবীনদেরকে তাদের মুখোমুখি হতে হবে এবং তাদের সাথে সাথে, তাদের শিক্ষার বা আকাঙ্খার বিষয়গুলির প্রাসঙ্গিকতার জন্য তাদের উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করতে হবে। ভাবতে হবে কীভাবে আমরা আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , গবেষনা ও কর্ম কাঠামোর উন্নতি করতে পারি যাতে তারা তাদের শিক্ষার সাথে বাস্তব জীবনের কর্মকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ করে তুলতে পারে –তাদের পারিবারিক ,সামাজিক , স্কুল কলেজ মাদ্রাসা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষের ভিতরে এবং বাইরে। আমাদেরকে তাদের সুন্দর জীবনের জন্য তাদের উদ্বেগকে ভাগ করে সহিংস এবং ধ্বংসাত্মক প্রতিবাদের বিকল্প কিছু দিতে হবে, এবং তাদের সাথে তাদের চলমান বিদ্যায়তনের একটি অর্থপূর্ণ ঐক্য তৈরি করে দিতে হবে , যাতে আমরা সকলে নব প্রজন্মের জন্য একটি সার্থক লক্ষ্য এবং মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা ও বজায় রাখার জন্য একসাথে কাজ করতে পারি ।

আমি আত্মবিশ্বাসী যে এটি করা যেতে পারে যদি নব প্রজন্মকে দেয়ার জন্য প্রবীণদের হাতে সময় থাকে এবং তারা উভয়েই যদি একে অপরকে সম্মান করতে শিখতে পারে, এবং একে অপরের প্রতি আরও বেশি সহনশীলতা রাখতে পারে এবং প্রতিযোগিতামূলক ভূমিকার পরিবর্তে পরিপূরক ভূমিকায় আবতীর্ণ হতে পারে । তরুনদের উচিত হবে তাদের গুরুজনদের বিশ্বাস করা যে তারা যা করেছে তা দ্বারা যা কিছু শিখেছে তা সবই খারাপ নয়। শিক্ষা পাঠ্যসুচী , দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি, শিক্ষানীতি , মানবাধিকার আইন, শ্রমনীতি , প্রভৃতি প্রবীণদের দ্বারা প্রণীত এবং চালু করা হয়েছিল, যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই প্রোগ্রামগুলি তরুণদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তাদের জন্যই নতুন জীবন এবং উজ্জ্বল চেতনা প্রদান করেছিল। এই ধরনের আরও অনেক উন্নয়ন হতে পারে যার ফলে নতুন প্রজন্মের সকলেই আরো উন্নততর জীবনের সোপান তৈরীতে সক্ষমতা পাবে । তাদেরকে ২৪০০ বছর আগে মহামতি প্লেটো ও এরিসস্টলের বলা কথামালা গায়ে ধারণ করে হয়তবা আর পথ চলতে হবেনা তবে তাদের মুল্যবান ভাবনাগুলি নব প্রজন্মের জন্য সুস্থ ধারার পথ চলায় পাথেয় হয়ে থাকবে ।
আমাদের প্রাচীন দার্শনিক সক্রেটিশ , প্লেটো ও এরিস্টটলের প্রতি রইল শ্রদ্ধাঞ্জলী ।

আমার আজকের ভাবনার মুল প্রতিপাদ্য বিষয় হল নতুন প্রজন্মের তরুণরা বিশ্বকে পুনর্নির্মাণের জন্য মানুষের বহুবর্ষজীবী কাজে অবদান রাখতে পারে এবং তাদের তা করাও উচিত। বিশেষত যেহেতু তারা সংখ্যায় বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। তাই বিশ্ব পুনর্নির্মাণের কাজটি যুবক বা বৃদ্ধ, কেউই একা করতে পারে না। আমরা প্রবীণরা মাঝে মাঝে তাদের প্ররোচনা, প্রতিবাদ বা বিদ্রোহে অস্থির হয়ে উঠতে পারি এবং তারা আমাদেরকে অসম্ভবভাবে ধীর মনে করতে পারে তবে আমরা মনে করি না যে আমরা তাদের সাহায্য ছাড়াই আগামীকাল সকালের মধ্যে সবকিছু পুনঃনির্মাণ করতে পারি। এটাও সত্য যে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি রোধ করা হয়তবা খুব
সহজসাধ্য নয় এবং প্রজন্মের মধ্যে ব্যবধান কখনই সম্পূর্ণভাবে কমবেনা । তবে আমি বিশ্বাস করতে চাই যে আরো অনেক কার্যকর সেতুবন্ধন রয়েছে, যা আজকের সাধারণ ব্যবহারের চেয়ে অন্তত আরও বেশি কার্যকর, এবং তা হলো ভালবাসা এবং হাসি। প্রকৃতপক্ষে, আমি প্রেম ভালবাসা এবং হাসির চেয়ে আজকের এই করুণ পৃথিবীকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আর কোন ভাল উপায় ভাবতে পারছিনা । অনেক তরুণ ভুলে গেছে কিভাবে হাসতে হয়, এবং অনেক বড়রাও ভুলে গেছে কিভাবে ভালোবাসতে হয়। আমাদের জীবনের অন্ধকার ট্র্যাজেডি কখনো হাল্কা হবে না যদি না আমরা সবাই নিজেদেরকে আরও সহজে হাসাতে এবং একে অপরকে ভালবাসতে শিখাতে পারি। এটা অদ্ভুত শোনাতে পারে, কিন্তু আমি মনে করি এটি প্রজন্মের ব্যবধান কমাতে অনেক সহায়ক হবে ।

এতক্ষন সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।

ছবি সুত্র : কৃতজ্ঞতার সহিত গুগল অন্তরজালের পাবলিক ডমেইন থেকে ।

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৩৩

রবিন.হুড বলেছেন: এতো জ্ঞান বিজ্ঞান তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন তার পরও তরুন প্রজন্ম তথা সমাজ ব্যবস্থা কেন ২৫০০ বছরের আগের মতোই রয়ে গেল?

০৪ ঠা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



পোষ্টে এ বিষয়ে অনেক কথাই বলা হয়েছে ।
তার পরেও জানার আগ্রহ থাকায় একজন
বিজ্ঞ ব্লগার হিসাবে কারণগুলি গবেষনা করে
বের করা হলে খুবই ভাল হয় ।
আর আমাদেরকেও তা জানালে খুবই খুশী হব ।

২| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:০৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় আলী ভাই, খুব সুন্দর লিখেছেন। শেষের দিকে এসে ততটা মনোযোগ দিতে পারি নি।

পোস্টের শুরুতেই আমার নতুন প্রজন্মের সংজ্ঞা জানতে ইচ্ছে করছিল। নিউ জেনারেশন বা নতুন প্রজন্ম শব্দগুলোর সাথে আমরা মোটামুটি ছোটোবেলা থেকেই পরিচিত। কিন্তু এর সংজ্ঞা আমি কোনোদিন পড়ি নি, চোখের সামনে পাইও নি। তাই হাতের কাছে গুগল পেয়ে সার্চ দিলাম, ভালো কিছু পেলাম না। পরে চ্যাটজিপিটিতে প্রশ্ন করে যা উত্তর পেলাম, তা আমার ধারণার সাথে বেশ মিলে গেছে। ওটা এখানে তুলে দিলাম। এক কমেন্ট লম্বা না করে এটা পোস্ট করলাম, আসছি পরের কমেন্টে।

What is the definition and age limit of new generation?

ChatGPT

The term "new generation" typically refers to the cohort of individuals born within a specific recent timeframe, often characterized by distinct cultural, technological, and social experiences that differ from previous generations. While the exact definition and age limit can vary depending on context, it usually pertains to those born within the last 20-25 years.

In demographic studies, this group is often referred to as Generation Z or Gen Z. Here are some key characteristics and general timelines associated with this generation:

Generation Z (Gen Z):
Birth Years: Generally considered to be born from the mid-to-late 1990s through the early 2010s.
Age Range: As of 2024, this would place them approximately between the ages of 10 and 27.

This generation has grown up with the internet, mobile technology, and social media as integral parts of their daily lives, shaping their behaviors, values, and social interactions.

Following Gen Z, some sources also discuss the emerging Generation Alpha:

Generation Alpha:
Birth Years: Typically regarded as those born from the early 2010s to the mid-2020s.
Age Range: As of 2024, this would place them at around 0 to 14 years old.

Generation Alpha is expected to be even more technologically adept, growing up in a highly digital and connected world.

These generational definitions help sociologists, marketers, and policymakers understand and predict social trends, behaviors, and needs within different age groups.

০৪ ঠা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




মুল্যবান তথ্য সমৃদ্ধ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
আপনার মন্তব্য থেকে নিউ জেনারেশনের বিবিধ সঙ্ঘা সম্পর্কে
বিস্তারিতভাবে জানা গেল । মন্তব্যটি আমার পোস্টকে সমৃদ্ধ করেছে ।
সামাজিক বিজ্ঞানে জেনারেশনাল অ্যানালাইসিসের একটি দীর্ঘ এবং বিশিষ্ট স্থান রয়েছে,
এবং আমরা সেই সমস্ত পণ্ডিতদের সাথে আমাদের অনেক কিছু শেয়ার করি যারা বিশ্বাস
করেন যে মানুষের যেকোন প্রদত্ত বয়স বিভাজনের অনন্য এবং স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলি
অনুসন্ধান করা বেশ একটি প্রয়াসলব্দ কাজ । তবে প্রায়শই অত্যন্ত আলোকিত। কিন্তু
আমরা এটাও জানি যে বয়সভিত্তিক জেনারেশন বিভাজন সঠিক বিজ্ঞান নীতি মনে চলেনা।
আমরা মনে করি যে একটি প্রজন্মের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গি, মূল্যবোধ, আচরণ এবং জীবনধারার
মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে যেমন প্রজন্মের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি এই
বাস্তবতা প্রজন্মগত বিশ্লেষণের মূল্য হ্রাস করে না; এটি কেবল তার সমৃদ্ধি এবং জটিলতা
যোগ করে । এই জটিলতার কারণেই নতুন পুরাতন প্রজন্মের মধ্যে একটি ব্যাবধান
থেকেই যাচ্ছে ।

শুভেচ্ছা রইল

৩| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নতুন প্রজন্মের বয়স-সীমা ২৫ বছর পর্যন্ত যদি ধরে নিই, তাহলে আমাদের বুঝতে হবে, এ বয়সে তারা বেশ পরিপক্ব হয়ে উঠেছে, অ্যাাকাডেমিক শিক্ষা শেষ করে কর্মক্ষেত্রে ঢুকেছে, কেউ বা বিয়েশাদি করে সংসারী হয়েছে। অনেকে যুদ্ধও করেছে। অর্থাৎ, জেনারেশনটা এ রকম যে, এ অবস্থায় যদি ২৫ বছরের বেশি বয়সীরা সবাই একযোগে পৃথিবী থেকে হাওয়া হয়ে যায়, এ বিশ্ব তাদের হাতেই পড়বে এবং তারা তাদের মতো করে পৃথিবীকে পরের সভ্যতায় এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে (নতুন প্রজন্ম সম্পর্কে কিন্তু আমার একটা ধারণার কথা অলরেডি বলে ফেললাম), অর্থাৎ, বয়স্করা বা পরিণতরা পৃথিবীতে না থাকলে পৃথিবীর কোনো ক্ষতি হওয়ার বা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখি না।

এখন আমার প্রশ্ন হলো, আমরা তো অভ্যাসবশত সব সময় শুধু নতুন প্রজন্মকে নিয়েই কথা বলি, তারা অলস, কর্মে অনীহা, জ্ঞান কম, ইত্যাদি নানা সমালোচনায় মুখর। আমাদের কি এটাও ভাবা উচিত নয়, নতুন প্রজন্ম বয়স্ক প্রজন্ম সম্পর্কে কী ভাবছে?

আমি যদি নিজেকে বর্তমান প্রজন্ম বা বয়স্ক প্রজন্ম হিসাবে বিবেচনা করি, তাহলে আমাকে মোটামুটি আরো ৩টা প্রজন্ম আমার সম্পর্কে কী ভাবছে তা পর্যালোচনা করতে হবে : (১) নতুন প্রজন্ম আমার সম্পর্কে কী ভাবছে? (২) আমার কনটেম্পোরারি প্রজন্ম আমার সম্পর্কে কী ভাবছে? (৩) আমার চাইতে বয়স্ক প্রজন্ম আমার সম্পর্কে কী ভাবছে?

আমি যদি চাই, নতুন প্রজন্মরা শুধু আমাদের চাওয়া মতোই চলবে, সেটা ভুল চাওয়া হবে। আমরা নতুন প্রজন্মের যদি পৃথিবী রেখে যাচ্ছি, তারা তাদের পৃথিবীকে কীরূপ দেখতে চায়- সেটাই বরং অধিক গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।

আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে এই ধারণা থেকে যে, আমি যা ভাবছি সেটাই ঠিক, নতুন প্রজন্ম বা অন্য প্রজন্মরা বোকা বা বেকুব। মনে রাখতে হবে, আমি যদি ভাবি নতুন প্রজন্মরা প্রশ্নফাঁস জেনারেশন, নিশ্চিত থাকুন, ও আমাকে নিয়ে ভাবছে পরীক্ষার হলে পাশের জনের কাছ থেকে নকল করার সময় ফুল স্টপ বানান কী জানতে চাওয়া পাবলিক আমি। আরো ভাবছে, আমি একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা, ভুয়া ইঞ্জিনিয়ার, ভুয়া ডাক্তার, যে-কিনা নকল সার্টিফিকেট ব্যাগে নিয়ে ঘোরে, ওটি কী তা জানে না। কেউ যদি কথায় কথায় অন্যকে হেয় করতে থাকে, তারাও যে মনে মনে তাকে ইতর বা খচ্চর বলবে, এটা আমাদের নিশ্চিত থাকতে হবে।

নতুন প্রজন্মের দিকে আঙুল উঠানোর আগে নিজেকে ঠিক করতে হবে। আমার সম্পর্কে আরো ৩টা প্রজন্ম কী ভাবছে, সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে আমার নিজেকে শোধরাতে হবে। যে শোধরায়, সেই মানবিক এবং প্রকৃত মানুষ। সে অন্য প্রজন্মের জন্য অবদান রাখতে পারে। যে শোধরায় না, সে কখনো মানবিক মানুষ হতে পারে না, তার আচরণ সবসময়ই 'ইডিয়সি'র পর্যায়ে থাকবে।

শুভেচ্ছা থাকলো সকল প্রজন্মের জন্য। শুভেচ্ছা আপনার জন্যও।

০৪ ঠা জুন, ২০২৪ রাত ৮:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




খুবই মুল্যবান কথামালা সমৃদ্ধ মন্তব্য । ম্তব্যটি আপনার বিজ্ঞতা প্রসুত এই মন্তব্যটি
আমার পোস্টকে অনেক উচ্চমাত্রা দিয়েছে । আপনি মন্তব্যে যতার্থ্‌ই বলেছেন
নতুন প্রজন্মের দিকে আঙুল উঠানোর আগে নিজেকে ঠিক করতে হবে।
বুঝাই যাচ্ছে এই বিষয়ে আপনি প্রগাঢ় জ্ঞানের অধিকারী । আপনার কবিতা , গান গল্প আর
সাহিত্যে প্রজন্ম রিলেটেড কথামালা প্রতিফলিত হয়ে নবীন ও প্রবীন সমাজে তাদের প্রতিফলন
হোক এ কামনাই করি ।

প্রসঙ্গক্রমে এবিষয়ে কিছু তাত্বিক কথা ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে করনীয় নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করাই যায়।
প্রজন্মের তত্ত্ব (বা প্রজন্মের সমাজবিজ্ঞান) হল একটি তত্ত্ব যা ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের সমাজতত্ব বিভাগের
প্রধান প্রফেসর ড. কার্ল ম্যানহেইম তার ১৯২৮ সালের প্রবন্ধ "দাস প্রবলেম ডার জেনারেশনেন"-এ উত্থাপন
করেছিলেন এবং ১৯৫২ সালে "প্রজন্মের সমস্যা" হিসাবে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলেন।প্রবন্ধটিতে বর্ণনা করা
হয়েছে।প্রজন্মকে "সবচেয়ে সুশৃঙ্খল ও সম্পূর্ণরূপে বিকশিত" এবং এমনকি "একটি সমাজতাত্ত্বিক ঘটনা হিসাবে
প্রজন্মের মূল তাত্ত্বিক চিকিত্সা" হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছিল । ম্যানহেইমের মতে, লোকেরা তাদের যৌবনের
সামাজিক-ঐতিহাসিক পরিবেশ (বিশেষ করে, উল্লেখযোগ্য ঘটনা যা তাদের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত) দ্বারা
উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হয়; ভাগ করা অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে,যা পরিনতিতে সামাজিক সমগোত্রীয়দের উত্থান
ঘটায় যা তাদের পালাক্রমে এমন ঘটনাকে প্রভাবিত করে যা ভবিষ্যত প্রজন্মকে গঠন করে। ম্যানহেইম যে
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে লিখেছিলেন যে কারণে, কিছু সমালোচক দাবি করেন প্রজন্মের তত্ত্বটি পশ্চিমা ধারণাগুলির
উপর কেন্দ্রীভূত এবং একে বিস্তৃত সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বোঝার অভাব রয়েছে। অন্যরা যুক্তি দেয় যে প্রজন্মের
তত্ত্বটি সমসাময়িক সমাজের ক্রমবর্ধমান বিশ্বায়িত প্রকৃতির কারণে এর পরিধি বিশ্বব্যাপী হওয়া উচিত।

ম্যানহেইম একটি প্রজন্মকে সংজ্ঞায়িত করেছেন (উল্লেখ্য কেউ কেউ পরামর্শ দিয়েছেন যে কোহোর্ট শব্দটি আরও
সঠিক) । তিনি সামাজিক প্রজন্মকে আত্মীয়তা (পরিবার, রক্ত-সম্পর্কিত প্রজন্ম) থেকে আলাদা করার জন্য একই
বয়সের ব্যক্তিদের একটি গ্রুপ হিসাবে যাদের সদস্যরা একটি উল্লেখযোগ্য অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। একটি
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঐতিহাসিক ঘটনা।

ম্যানহেইমের মতে, সামাজিক চেতনা এবং যুবকদের পরিপক্কতা একটি নির্দিষ্ট সময় এবং স্থানে (যাকে তিনি
"প্রজন্মগত অবস্থান" বলে অভিহিত করেছেন) সেই যুগের প্রধান ঐতিহাসিক ঘটনাগুলির দ্বারা উল্লেখযোগ্যভাবে
প্রভাবিত হয় (এভাবে একটি "বাস্তবতায় প্রজন্ম" হয়ে ওঠে)।যাহোক, মূল বিষয় হল যে এই প্রধান ঐতিহাসিক
ঘটনাটি ঘটতে হবে, এবং ব্যক্তিদেরকে তাদের তরুণ বয়সে জড়িত করতে হবে (এইভাবে তাদের জীবন গঠন
করা হবে, কারণ পরবর্তী অভিজ্ঞতাগুলি সেই প্রাথমিক অভিজ্ঞতাগুলি থেকে অর্থ গ্রহণ করবে); একটি সাধারণ
প্রজন্মের চেতনা তৈরি করার জন্য একটি নিছক কালানুক্রমিক সমসাময়িকতা যথেষ্ট নয়। ম্যানহেইম আসলে
জোর দিয়েছিলেন যে প্রতিটি প্রজন্ম একটি আসলএবং স্বতন্ত্র চেতনা বিকাশ করবে না। একটি প্রজন্ম একটি
স্বতন্ত্র চেতনা বিকাশে সফল হয় কিনা তা উল্লেখযোগ্যভাবে সামাজিক পরিবর্তনের গতির উপর নির্ভর করে।

ম্যানহেইম আরও উল্লেখ করেছেন যে সামাজিক পরিবর্তনগুলি ধীরে ধীরে ঘটতে পারে, বড় ঐতিহাসিক ঘটনার
প্রয়োজন ছাড়াই, তবে সেই ঘটনাগুলি সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের সময়ে তরান্বিত হতে পারে।
ম্যানহেইম আরও উল্লেখ করেছেন যে একটি প্রজন্মের সদস্যরা অভ্যন্তরীণভাবে স্তরীভূত (তাদের অবস্থান,
সংস্কৃতি, শ্রেণী, ইত্যাদি দ্বারা), এইভাবে তারা বিভিন্ন ঘটনাকে বিভিন্ন কোণ থেকে দেখতে পারে এবং এভাবে
তা সম্পূর্ণরূপে সমজাতীয়ও নয়। এমনকি "বাস্তবতার মধ্যে প্রজন্ম"এর সাথেও, বিশেষ ঐতিহাসিক পরিস্থিতির
প্রতিক্রিয়ার বিভিন্ন রূপ থাকতে পারে, এভাবে বেশ কয়েকটি "প্রজন্মীয় একক" (বা "সামাজিক প্রজন্ম";)
স্তরিভুত হয়।

১৯৫০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ১৯৬০ -এর দশকের গোড়ার দিকে আমেরিকান সমাজের অসাম্যের
বিষয়ে শিক্ষিত তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক, এবং রাজনৈতিক ঘটনাবলী ব্যাখ্যা করার জন্য
ম্যানহেইমের প্রজন্মের তত্ত্ব প্রয়োগ করা হয়েছে, যেমন নাগরিক অধিকার আন্দোলনে অন্যান্য প্রজন্মের সাথে
তাদের সম্পৃক্ততা, যা একটি বিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে যে এই বৈষম্যগুলিকে ব্যক্তি ও সম্মিলিত পদক্ষেপের
মাধ্যমে পরিবর্তন করতে হবে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরুণদের একটি প্রভাবশালী সংখ্যালঘুকে সামাজিক
আন্দোলনের কার্যকলাপের দিকে ঠেলে দিয়েছে। অন্যদিকে, ১৯৬০ এবং ১৯৭০-এর দশকের পরবর্তী সময়ে
প্রজন্মের যে বয়স এসেছে তারা সামাজিক আন্দোলনের কার্যকলাপে অনেক কম নিযুক্ত ছিল, কারণ - প্রজন্মের
তত্ত্ব অনুসারে - সেই যুগের ঘটনাগুলি একটি রাজনৈতিক অভিমুখের জন্য আরও সহায়ক ছিল। বরং স্থিতাবস্থাকে
প্রশ্নবিদ্ধ করে এমন সামাজিক আন্দোলনে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ব্যক্তিগত পরিপূর্ণতার ওপর জোর দিয়েছিল।
ম্যানহেইমের প্রজন্ম তত্ত্বের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য প্রয়োগ যা প্রজন্মগত পরিবর্তনের গতিশীলতাকে চিত্রিত করেছে
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো -

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেট ডিপ্রেশনের প্রভাব কাজ এবং রাজনীতির দিকে তরুণদের অভিমুখি করতে,
জার্মানিতে নাৎসি শাসন কীভাবে তরুণ জার্মানদের রাজনৈতিক মনোভাবকে প্রভাবিত করেছিল,
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিক ব্যস্ততার ধরণ পরিবর্তন করতে,
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় তরঙ্গের নারীবাদী আন্দোলনের সময় নারীবাদী পরিচয়ের উপর বয়সের
আগমনের প্রভাব নিরোপনে,
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সমকামী বিবাহের উত্থানের ব্যাখ্যা করতে এবং
তরুণ রাজনৈতিক সক্রিয়তার উপর চীনা সাংস্কৃতিক বিপ্লবের প্রভাব বিশ্লেষনে ।

সামাজিক প্রজন্মের অধ্যয়নগুলি মূলত পশ্চিমা সমাজের দৃষ্টিকোণ থেকে তরুণদের অভিজ্ঞতার উপর দৃষ্টি
নিবদ্ধ করেছে। "সামাজিক প্রজন্মের তত্ত্বে পশ্চিমের বাইরে যুবকদের যথেষ্ট বিবেচনার অভাব রয়েছে।
অ-পশ্চিমা ক্ষেত্রে বর্ধিত অভিজ্ঞতামূলক মনোযোগ 'অন্যান্য' অ-পশ্চিমা যুবকদের কাছে যুব অধ্যয়নের
প্রবণতাকে সংশোধন করে এবং প্রতিফলিত জীবনের গতিশীলতা সম্পর্কে আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করে।
কিন্ত আমাদের দেশে প্রজন্ম নিয়ে তেমন প্রায়োগিক গবেষনা কি হয়েছে?
বাংলাদেশের জন্য একটি নির্দিষ্ট আর্থ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সীমাবদ্ধ সুযোগ সুবিধার মধ্যে থেকে
প্রজন্ম তত্ব একজন যুবকের অভিজ্ঞতাকে কিভাবে প্রভাবিত করে এবং তারুণ্যের অভিজ্ঞতার উপর
এর প্রভাবকে আরও ভালভাবে প্রতিফলিত করার জন্য বিস্তৃত গবেষণা করা এখনকার সময়ের দাবী।
উল্লেখ্য এই প্রতিমন্তব্যের মুল কথাগুলি উইকিপডিয়া হতে ধার করে এখানে শেয়ার করা হয়েছে ।

শুভেচ্ছা রইল

৪| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শিরোনামের বানানের প্রতি আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কিছু সাধারণ বানান ভুল। শুদ্ধ করে লিখলে এরকম হয় :

নতুন প্রজন্মের প্রতিরক্ষার তরে সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ হতে কিছু ভাবনা

গদ্যে সাধারণত 'তরে' শব্দটা আসে না, তবে, আপনি কবি মানুষ, সমস্যা নাই :) আমি হলে অবশ্য 'তরে' না লিখে 'জন্য' লিখতাম :)

আপনি এ কমেন্টটি দেখার পর ইচ্ছে করলে মুছে দিতে পারেন :)

০৪ ঠা জুন, ২০২৪ রাত ৯:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




ধন্যবাদ সু পরামর্শের জন্য ।
সংসোধন করে দিয়েছি ।
এতটা অকৃতজ্ঞ নই যে এই
মুল্যবান পরামর্শমুলক
মন্তব্যটি মুছে ছিব ।
এ ধরণের মুল্যবান মন্তব্য
আরো উজ্জলতা পাক
সে কামনাই করি ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৫| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩২

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা।

আপনি অশেষ পরিশ্রমে আমাদের তরুণ প্রজন্মের সমস্যাসমূহের গভীরে গিয়ে তার কারনগুলো তুলে এনেছেন একজন দক্ষ শল্যচিকিৎসকের মতই, সমাধানের পথ নির্দেষও দিয়েছেন। নিঃসন্দেহে এই লেখাটি সামহোয়ারইন ব্লগ ও আমাদের জন্য একটি সম্পদ হয়ে থাকবে।

আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

০৫ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৫:৪৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




আপনার মুল্যবান কথা সমৃদ্ধ মন্তব্যে আমি অনুপ্রানিত ।
পোষ্টটি সামুর জন্য সম্পদ হয়ে থাকবে কিনা জানিনা
তবে এই পোষ্টে বিজ্ঞ ব্লগাদের মুল্যবান তথ্য সমৃদ্ধ
মন্তব্যগুলি সামুর জন্য সম্পদ হয়ে থাকবে সে কথা
হলফ করে বলতে পারি ।

আপনার জন্যও সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

৬| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩৫

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: প্রজন্মের মধ্যে ব্যবধান কখনই সম্পূর্ণভাবে কমবেনা ।
................................................................................
ঐ ব্লগে আমি বলেছি আমার বিশ্বাস নুতন প্রজন্মর মাঝে যতই
অনিয়ম দেখিনা কেন তাদের মাঝ থেকেই নুতন বিশ্ব গড়বে ।
আমরা যা দেখছি তা খন্ড চিত্র মাত্র ।
সে কারনেই আমরা মাঝে মাঝে দেখতে পাই মফস্বলের কোন এক
ছাত্র/ছাত্রী এত ভালো রেজাল্ট করেছে যে, সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ।
ধংসস্তপ থেকেই পরবর্তী শক্তিশালী প্রজন্মের সুত্রপাত হয় ।

০৫ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৫:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




একেবারে সঠিক মুল্যায়ন করেছেন-
প্রজন্মের মধ্যে ব্যবধান কখনই সম্পূর্ণভাবে কমবেনা ।
................................................................................
ঠিকই বলেছেন নুতন প্রজন্মর মাঝে যতই অনিয়ম দেখা যাকনা
কেন তাদের মাঝ থেকেই নুতন বিশ্ব গড়বে উঠবে ।

উদাহরণটিউ যথা মফস্বলের কোন এক ছাত্র/ছাত্রী এত ভালো রেজাল্ট
করেছে যে, সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ।

কামনা করি ধংসস্তপ থেকেই পরবর্তী শক্তিশালী প্রজন্মের সুত্রপাত হয় ।
মর্মে আপনার আশাবাদ যেন ফলে যায় অচিরেই ।

শুভেচ্চা রইল

৭| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৫১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




অনেক রাত পর্যন্ত জেগে পোষ্টের লেখাটি লিখেছি ।
এখন ঘুমাতে গেলাম । ঘুম হতে উঠে সকলের
মন্তব্যের জবাব দিব ইনসাল্লাহ ।

০৫ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৫:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


মেসেজটি নজরে পড়ায় খুশী হয়েছি ।

৮| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:৪০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: নতুন প্রজন্ম মোবাইলে ডুবে গিয়েছে। কিছু বললে তো বলে ওরা, তোমরা বেশী বুঝো নাকি

০৫ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৬:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




সোনামনিরা তো ঠিকই বলে তারা মোবাইলে ডুবে যায় নাই , তারা
এটাকে প্রয়োজনমত ব্যবহার করতে জানে । আমরা সকলেই জানি
বর্তমান সময়ে মোবাইল খুবই কার্যকরী ও শক্তিশালী শিক্ষার মাধ্যম ।
এর ব্যবহার প্রয়োগ যে যত বেশী জানবে সে নব নব শিক্ষায় ততই
বিজ্ঞতা লাভ করবে । মোবাইল দিয়ে কোরান শরীফ শিখা যায়
পাঠ করা যায় , কোরানের যে কোন আয়াতের তরজমা জানা যায়
যে কোন হাদিস পাঠ করা যায় । উইকিপিডিয়ায় গিয়ে যে কোন
বিষয়ের উপর তথ্য , উপাত্ত প্রবন্ধ পাঠ করা যায় , মোবাইল
দিয়ে আংক কষা যায় , লোন রিপেমেন্ট ক্যলকুলেশন করা যায়
লোকেশন ম্যাপ জানা যায় , গন্তব্যের ডাইরেকশন জানা যায়
দিকদর্শন জানা যায় , আবহাওয়া বার্তা জানা যায়, গান
শুনা যায় , ভিডিও দেখা যায় , ছবি আঁকা যায় , ইমো ,
ভাইভার হুয়াটসএপ কে ছবি সহ বিনাখরচে দেশে বিদেশে
কথা বলা যায় , শপি্ং গিয়ে মোবাইল দিয়ে পেমেন্ট করা যায় ,
ভিডিউ গেম খেলা যায় , এলার্ম দেয়া যায় , ছবি তোলা যায়
সামুর মত সমাজিক মাধ্যম বা ফেসবুকে বিচরণ করা যায়,
আর কত বলব । আমরা মোবাইলের অনেক গুনের কথাই
জানিনা যা ছোট বাচ্চারাও এখন জানে । তাইতো ওরা
বলে, তোমরা বেশী বুঝ নাকি হা হা হা ।

তবে মোবাইল ব্যবহারে তাদেরকে নৈতিকতার দিকটি
শিক্ষা দেয়া অভিভাবকের দায়িত্ব , কেও যদি তার
অভিভাবকত্বের দায়িত্ব ঠিকমত পালন করতে না পারে
তবে সেটা তাদের দোষ , বাচ্চাদের উপর তা কোন
ভাবেই বর্তাবেনা । তাই বাচ্চাদের হাতে কোন বয়সে
কেমন মোবাইল তুলে দেয়া হবে তা সচেতন অভিভাবককেই
নির্ধারণ করতে হবে ।

শুভেচ্ছা রইল

৯| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: অতি চমৎকার এবং সময় উপযোগী একটি পোস্ট।

এ বিষয়ে আমার অভিমত হচ্ছে- দুই প্রজন্মই একে অপরের কাছ থেকে শিখতে হবে, আর এভাবেই মানব জাতি এগিয়ে যাবে।
পুরোনোদের অভিজ্ঞতা যেমন অস্বীকার করার কিছু নেই, ঠিক তেমনই নতুনদের লেটেস্ট ইনফর্মেশনকেও হেলাফেলা করার কোন সুযোগ নেই, অভিজ্ঞতা আর আপডেটড নলেজ এই দুয়ের সমন্বয়ে গঠিত সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।


০৫ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৬:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




পোষ্টটি চমৎকার এবং সময় উপযোগী অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
আপনার অভিমত খুবই বিজ্ঞজনচিত , যতার্থই বলেছেন
দুই প্রজন্মই একে অপরের কাছ থেকে শিখতে হবে,
আর এভাবেই মানব জাতি এগিয়ে যাবে।

অভিজ্ঞতা আর আপডেটড নলেজ এই দুয়ের সমন্বয়ে
গঠিত সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে
এর কোন বিকল্প নেই ।
তবে নব প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে যাবতীয় কুসংস্কার
এমনকি যুক্তিহীন ধর্মীয় গোড়ামী পরিত্যাগ করে আধুনিক জ্ঞান
বিজ্ঞানে শিক্ষামুখী করে তুলতে হবে । এর জন্য প্রয়োজন দেশের
প্রাথমিক পর্যায় হতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সকল স্তরে বাস্তব জগতের
সাথে মিল রেখে বিজ্ঞানমনস্ক ও প্রায়োগিক গবেষনা এবং
উপযুক্ত মানের প্রশিক্ষনধর্মী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসার ঘটানো ।

শুভেচ্ছা রইল

১০| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ দুপুর ১:১৬

প্রামানিক বলেছেন: সময়পোযোগী অনেক মূল্যবান একটি পোষ্ট। অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে

০৫ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৬:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




পোস্টটি সময়পোযোগী অনেক মূল্যবান অনুভুত
হওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় প্রামানিক ভাই।

আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করছি।

১১| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ দুপুর ২:০৮

সত্যপীরবাবা বলেছেন: আপনার পোস্ট সম্পর্কে সোনাগাজী/চাঁদগাজীর মন্তব্য:
"আমাদের সচীব ব্লগার সক্রেটের নাম শুনেছেন, উনার সম্পর্কে কি জানেন কে জানে? তবে, উনি যে বলেছেন সক্রেট নতুন প্রজন্ম নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন, তা সঠিক নয়; কারণ, নতুন প্রজন্ম সক্রেটের ভক্ত ছিলো। সক্রেটের বিপক্ষে আনা অভিযোগগুলোর মাঝে ১টি বড় অভিযোগ ছিলো, সক্রেট নতুন প্রন্মকে ধর্ম থেকে দুরে সরায়ে নিচ্ছে ( প্রাচীন গ্রীক ধর্ম থেকে ); নতুনরা উনার অনুসরণকারী না'হলে, উনার কথা শুনবে কেন?
কেহ এই মন্তব্যটা পড়ে থাকলে ড: এম এ আলীকে জানাবেন, প্লীজ।
"

০৫ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৭:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




সোনাগাজীর মন্তব্যটিতে জানিয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ সত্যপীরবাবা ।
সোনাগাজী/চাঁদগাজীর মন্তব্য আকারে ছোট হলেও ধারে বেশ বড় ।
এদিকেও কাটে সেদিকেও কাটে । তাঁর মন্তব্য পাঠে কেও করে
ছট ফট , কেওবা তার সঠিক মানে বুজে চট পট, আর অনেকেই
তার কথার মানে না বুঝে করে কট কট কিংবা দেয় চম্পট, তবে
সোনাগাজী সে সব কটকটানির জবাব দেয় বেশ ফটা ফট, যদিউ
অনেক সময় তা হয় বেশ বিকট, ফলে তার নামে নিয়মভাঙ্গার
পাহাড় জমে সামু ব্লগ টিমের নিকট আর তাকে করা হয় দলছুট,
তাতেই লাগেনা তার গায়ে কোন চোট , বন্ধ হয়ে যায় সামুতে
তার ঘরের অনেক কপাট , তার পরেও ব্লগারের কাছ হতে
তার কপালেই জোটে বেশী ভোট , বেশী ভোট পেয়েও সে
ঘন ঘন খায় হোচট ,এর পরেও তার চলার গতি আর মনোবল
থাকে অটুট।

১২| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ দুপুর ২:৩২

নতুন বলেছেন: নতুন পযন্ম নিয়ে যেই আলোচনা শুরু হয়েছে তাতে সক্রেটিসের এই কোট ব্যবহার করা হয়েছে সেটা আসলে তার না।

“শিশুরা এখন বিলাসিতা পছন্দ করে; তাদের আচরণ খারাপ, কর্তৃপক্ষের প্রতি রয়েছে অবজ্ঞা; তারা প্রবীণদের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করে এবং কাজের জায়গায় বকবক করে। শিশুরা এখন স্বেচ্ছাচারী, তারা বাড়ির প্রতি অনুগত নয়। প্রবীণরা ঘরে প্রবেশ করলে তারা ওঠে দাড়ায় না। তারা পিতামাতার বিরোধিতা করে, সঙ্গীর সামনে বকবক করে, খাবার টেবিলে আড্ডা দেয়, পায়ের ওপর পা ফেলে রাখে এবং তাদের শিক্ষকদের যাতনা করে।"

এই কথা সক্রেটিস বলেন নাই। এটা সম্ভবত বানানো।

তবে আমার মনে হয় সব মুরুব্বি প্রযন্ম তাদের সময়ে নতুন পযন্ম খারাপ হয়ে যাচ্ছে এই ধারনা প্রষন করে এসেছে।

কিন্তু বর্তমান দুনিয়ার যত উন্নতি, আবিষ্কার, পরিবর্তন ঐ নতুন পযন্মের হাত ধরেই এসেছে।

বর্তমানের পোলাপাইনের কাম কাজ দেখলে আমার মনে হয় দেশের ভবিষ্যত পুরাই অন্ধকার।
অনলাইনের বিভিন্ন গুপে পর্নগ্রাফি, চাইল পর্ণ, ড্রাগ, পাটি কি নাই। সব কিছু দেখলে মনেই হয় যে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেখ অধপতনেই যাচ্ছে ।

তবে দেশের ছেলে মেয়েরা ভালো কাজও করছে।

দেশের নটর ডেম স্কুল কলেজের ছাত্র সংখ্যা বাড়ছে বই কমছে না।
দেশের মেডিক্যাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংখ্যা বাড়ছে বই কমছে না।
দেশের বাইরে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের সংখ্যা বাড়ছে বই কমছে না।

দেশ যেহেতু দূনিতিতে ১ নং ছিলো বর্তমান মুরুব্বি প্রযন্ম প্রচন্ড দূনিতিবাজ। তাই তাদের থেকে যেহেতু ভালো উদাহরন পাচ্ছেনা তাই ভালো যেটুকু হচ্ছে সেটা নতুন প্রযন্মের নিজেদের ইচ্ছার ফলেই হচ্ছে।

আশা করি নতুন পযন্ম আরো ভালো করবে।

আর নতুন পযন্ম যদি পরিবর্তন নিয়ে না আসে তবে দুনিয়া তো এক স্থানেই থেমে থাকবে। তাই আমি পরিবর্তনের পক্ষে। আমি আশাবাদি আমাদের দেশও এগিয়ে যাবে... তবে কস্ট হইলো দুনিতিবাজরা ভালো হলে আমরা বিশ্বের সাথে উন্নয়নে পাল্লা দিতে পারতাম।

০৫ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৮:০০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




আপনার মন্তব্যের মুল্যবান প্রতিটি কথার সাথে সহমত পোষন করি ।
আপনি ঠিকই বলেছেন নতুন প্রজন্ম নিয়ে যেই আলোচনা শুরু হয়েছে তাতে সক্রেটিসের
এই কোট ব্যবহার করা হয়েছে সেটা আসলে তার না।
আমরা সকলেই ভাল করে জানি যে -
Today Socrates is ranked as one of the world’s greatest moral teachers.
His self-control and powers of endurance were unmatched.
The Greeks of his day enjoyed being with him to talk with him and were fascinated
by what he had to say. The young, aristocratic military genius Alcibiades said of him,
“His nature is so beautiful, golden, divine, and wonderful within that everything he
commands surely ought to be obeyed even like the voice of a god.”

Socrates, however, was not appreciated by the Athenian mob and its self-serving
leaders. His genius for exposing pompous frauds made him many enemies. At last,
three of his political foes indicted him on the charge of “neglect of the gods” and
“corruption of the young.” They were false charges, but politically it was convenient
to create at that time .

So the following quote in the name of Socrates that has been created by an
unknown person in May 2019 and posted it in the internet is not correct at all.
“The children now love luxury; they have bad manners, contempt for authority;
they show disrespect for elders and love chatter in place of exercise. Children
are now tyrants, not the servants of their households. They no longer rise when
elders enter the room. They contradict their parents, chatter before company,
gobble up dainties at the table, cross their legs, and tyrannize their teachers.”


So you are right , the above alleged quote in the name of Socrates is absolutely false .

তাই সক্রেটিসের নামে ছড়ানো এই মিথ্যা রটনাটি ব্যবহারে সকলের সচেতন হওয়া উচিত ।

শুভেচ্ছা রইল

১৩| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: দিবে আর নিবে মিলিবে মিলাবে। পুরানো দের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিবে নতুনরা, আর নতুনদের অত্যাধুনিকতা মিলে মিশেই না সভ্যতা।

নতুনরা তো সবসময়ই ই বেপরোয়া, আমরা ও নতুন কিছু করতে যেয়ে এমন উপাধি পেয়েছিলাম।

০৫ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৮:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




মনিরাপু ঠিকই বলেছেন যে কথাটি নোবেল জয়ী কবিতা
গীতাঞ্জলীতে হয়েছে বলা; এক দেহে হল লীন। পশ্চিম আজি
খুলিয়াছে দ্বার সেথা হতে সবে আনে উপহার, দিবে আর নিবে,
মিলাবে মিলিবে ।

সত্যিই বিখ্যাত সমাজ তত্ববিদ প্রফেসর ড. কার্ল ম্যানহেইম
এর হাতে পশ্চিমে জন্ম নেয়া নিউ সোসাল জেনারেশন তত্বটি
পুবে এনে আমাদের সমাজে দিবে আর মিলাবে তবেই না
তাতে আমাদের সমাজে মিলবে অভিষ্ট সুফল ।

নতুন কি করতে গিয়ে বেপরোয়া উপাধি পেয়েছিলেন
জানতে বড় ইচ্ছে হচ্ছে ।

শুভেচ্ছা রইল

১৪| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: বরাবরের মত তথ্য সমৃদ্ধ বস্তুনিষ্ঠ পোস্ট। উন্নত দেশে স্কুলের বাচ্চাদের বেপরোয়া , উশৃংখল ব্যবহারের জন্য প্রথমেই দায়ী করা হয় অভিভাবকবৃন্দদের এবং তারপরে স্কুলকে। বাসার পরিবেশ যদি শিশুদের বেড়ে উঠার উপযোগী না হয় , তবে তার কুপ্রভাব বাচ্চাদের উপড় পড়বেই । আবার স্কুলের উপড় দ্বায়িত্ব যেহেতু শিশুদের ভবিষ্যত সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার , তাই শিশুদের ডিসিপ্লন্ড না করতে পারার দায় অনেকখানিই শিক্ষকদের উপড়েও বর্তায়। এ কারনেই উন্নত দেশে স্কুলের শিক্ষক ও অভিভবাকদের যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে জোড় দেয়া হয় । অনলাইন ও অফলাইনে সর্বদা শিশুদের পিতাপাতার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ বজার রেখে চলে স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ। আমাদের দেশে এসবের কোন বালাই নাই। শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত না করে দিনকে দিন আরো খারাপের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নীতি নৈ্তিকতার চর্চা না আছে বাসায় , না আছে স্কুলে।একটা প্রজন্ম বড় হচ্ছে হাজার কোটি টাকার লুটেরাদের জয়জয়কার দেখে। শিক্ষিত সচেতন নীতিবান পিতামাতা অনেক কষ্ট করে এসবের মধ্যে তাদের সন্তানদের সঠিক পারিবারিক শিক্ষা দিয়ে বড় করছে। কিন্ত তাদের সংখ্যা আর কজন ?

আরেকটা খারাপ প্রভাব তৈরী করছে সোস্যাল মিডিয়া। ফেসবুকে কেবলই টাকা পয়সা , চাক চিক্যের জয় জয়কার। আমাদের বেড়ে ওঠার সময়ে এই জিনিষটা ছিল না। দরিদ্র ও মধ্যবিত্তদের মাঝে এর প্রভাব পড়ছে মারাত্মক। হতাশা তৈ্রি হচ্ছে স্বল্প টাকায় চলা মানুষদের মাঝে। টাকা পয়সা , চাক চিক্যের সন্ধানে তাই অনেকেই জড়িয়ে পড়ছে অপরাধের সাথে।

০৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ৯:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



নতুন প্রজন্মের সুস্থ ধারার বিকাশে প্রতিবন্ধকতা , সীমাবদ্ধতা ও কারণগুলি ছোট্ট মন্তব্যে
ঘরে সুন্দরকরে উপমা দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন । শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে যুক্ত আমাদের কর্তা
ব্যক্তিগনের অনেকেই বিদেশ হতে ডিগ্রী ও প্রশিক্ষন নিয়ে এসেছেন এবং যেন সুযোগেই ,
সুযোগ তৈরী করে কিংবা বাগিয়ে নিয়ে শিক্ষা সফরের নামে নিয়তই দেশের বাইরে গিয়ে
বিদেশী শিক্ষা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষন করছেন । কিন্তু পর্যবেক্ষন অভিজ্ঞতা সেখানেই রেখে
সেখানকার সৌখিন পণ্য নিয়ে দেশে ফিরছেন , আর দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যে তিমিরে ছিল
সেখানেই আছে পরে ।

একথা সত্য যে আধুনিক নব প্রজন্মের বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বিশেষ করে
মানসন্মত প্রাথমিক শিক্ষাস্তর হতেই কাজ শুরু করতে হবে । পারিবারিক পরিবেশ সহ প্রাথমিক
শিক্ষাস্তরেই একটি শিশুর জীবনে ব্যক্তিত্বের বিকাশ ও জ্ঞানার্জনের মূলভিত্তি তৈরি করে। সে কারণে
তার জন্য প্রাথমিক স্তরেই পারিবারিক ভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুসংগঠিত করে তুলতে হবে।
উন্নততর বৈশ্বিক প্রগতিশীল শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে নিজস্ব সংস্কৃতি ও সামর্থের ভিতরেই
তাদের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। প্রাথমিক
শিক্ষার মূল কাজ হলো, শিশুর সহজাত সক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে মানবিক মূল্যবোধ ও মানসিক
দক্ষতা বৃদ্ধি করা। এই কাজটি নিপুণভাবে সম্পাদিত হয় শিশুটির পরিবার ও তার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ব্রতি হওয়া প্রয়োজন শিক্ষা
কার্যক্রম সংস্লিষ্ট সকলকে ।

ঠিকই বলেছেন খারাপ একটি প্রভাব তৈরী করছে সোস্যাল মিডিয়া। সেখানে কালো টাকায় ফেপে
উঠা একটি গ্রুপ যেভাবে তাদের শান শৌকত প্রদর্শন করছে সোসাল মিডিয়ায়, তার ডেমনস্টশন
ইফেক্ট পড়ছে সকল জায়গায় । দরিদ্র ও মধ্যবিত্তদের মাঝে এর প্রভাব পড়ছে মারাত্মক।
হতাশা তৈ্রি হচ্ছে স্বল্প টাকায় চলা মানুষদের মাঝে। টাকা পয়সা , চাক চিক্যের সন্ধানে তাই
অনেকেই জড়িয়ে পড়ছে অপরাধের সাথে এর প্রতিকারের জন্য বিকল্প পন্থা উদ্ভাবন এখন হয়ে
পরেছে সময়ের দাবী ।

শুভেচ্ছা রইল

১৫| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৫

কামাল১৮ বলেছেন: নতুনদের গ্রহন করার জন্য যে মন দরকার,বেশির ভাগ পুরনোদের সেই মন থাকে না।

০৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ১০:৩১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



নতুনদের গ্রহন করার জন্য
যে মন দরকার,বেশির ভাগ
পুরনোদের সেই মন থাকে না।
সত্য কথা বলেছেন কামাল ভাই
নবীন আর প্রবীনে ব্যবধান কত
তা ভাল করে জানা নাই
তার পরেও মনে কোন ক্ষোভ না নিয়ে
কথার পিঠে কথা আসে বলে বলি,
এ ব্লগের অনেকেই আমরা পুরানই বটে
তার পরেও বারতা নিয়ে ঘুরি ঘাটে ঘাটে।
( তবে আপনার ব্লগ বাড়ীতে কোন পোস্ট
না থাকায় সে ঘাটে পারিনি ভিড়াতে তরী)।

পরিসংক্ষান দেখেন একটু তাকিয়ে
মন্তব্য করেছি: ১৫২৪২টি আর
মন্তব্য পেয়েছি: ৮৭৩১টি।
কত শত শত নবীনের ব্লগ বাড়িতে গিয়ে
কতভাবেই না তাদের লেখাতে ফুলঝুরী ফুটিয়েছি।
প্রখ্যাত প্রয়াত গায়িকা সন্ধা মুখার্জির মত
গানে আর কথার সুরে সুরে
বলতে না পারলেও চেষ্টা করে
আলো ভরা কালো কালির আচরে
মনের মাধুরী মিশিয়ে শুভেচ্ছা আর
স্বাগতম বলে তাদের ব্লগ বাড়ীতে
দীর্ঘ সময় লাগিয়ে বিচরণ করে
কত কথার পিঠে কথা লাগিয়ে
কাব্য কবিতায় ঈঙ্গিতে বলেছি
ওগো তোরাও কাছে আয়
দেখে যা আমরাও বা কেমন আছি।
কিন্ত লক্ষ করে দেখেন, অর্ধেকেও
ধরা নাহি দেয় , মনে বাজে
লাজে নয়, অবহেলায় তাঁরা দুরে
সরে রয় , তার পরেও আশায়
আশায় থাকি নবীন আর
প্রবীনের দুরত্ব যেন যায় কমি,
সকলেই যেন মিলে মিশে থাকি
আনন্দ আর বেদনায় ।

যাহোক, সন্ধা মুখার্জীর কন্ঠে গীত
অনেক পুরানো গানটি শুনেন
ভাল লাগবে ,মন ভাল হয়ে যাবে।


কামনা করি নতুনদেরকে গ্রহণ করার
জন্য পুরনোদের মন যেন আরো উদার হয়।
বিধাতা পুরনোদেরকে এমন একটি মন দিক
যার ভিতরে নবীনদেরকে আকৃষ্ট করার মত
মুক্তা থাকে । আর নবীনরাতো এমনিতেই
আমাদের কাছে হয়ে আছে মনি মুকুতা সম ।

শুভেচ্ছা রইল

১৬| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ রাত ৯:২৭

পুলক ঢালী বলেছেন: ডঃ আলী ভাই, ছালাম নেবেন, আপনার পোষ্ট মানেই গবেষনা পত্র।
নুতন পুরাতনের দড়ি টানাটানি নুতন নয়। দুরে যাবনা একসময় মুরব্বীরা ছেলেমেয়েদের বলতেন সমাজ উচ্ছন্নে গেল, "কোথায় অতুল প্রসাদের গান, ভজন টজন শুনবে তা না শোনে রবির লেখা (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) যতসব প্রেমের আধুনিক গান" (বুঝুন ঠ্যালা রবীন্দ্র সঙ্গীত হলো আধুনিক গান) সম্মান প্রদর্শনের পদ্ধতি, বাধ্যতা, গুরুজনের চোখের দিকে না তাকিয়ে মাটির দিকে তাকিয়ে নত শিরে দাড়ানো, কথা শোনা প্রতিবাদহীন হয়ে এগুলো সময়ের বিবর্তনে পরিবর্তিত হয়েছে। যে সকল মুরুব্বীরা পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছেন তারা আধুনিক।
আপনার লেখা পড়ে অনেক জ্ঞান রেফারেন্স পেলাম কিন্তু মনের মধ্যে তৃপ্তি বা শান্তিটুকু পাচ্ছিলাম না।
সোনাবিজ ভাইয়ের মত আমিও আমার মনে যে প্রশ্নের উদ্ভব হয়েছে তার উত্তর খুজতে গিয়ে যা পেলাম সেটা নিম্নে দিলামঃ


Why the youth or young people in the several country of the world are unrest, patientless, sometimes stubborn ?


There are several factors that can contribute to youth unrest, impatience, and stubbornness in various countries:

1. **Socio-economic factors:** Young people often face challenges such as high unemployment rates, lack of opportunities, and economic instability. This can lead to frustration and a sense of hopelessness, prompting them to express their discontent through protests or other forms of unrest.

2. **Political dissatisfaction:** Youth may feel disillusioned with the political system, perceiving it as corrupt or ineffective. They may become impatient with the pace of change or feel that their voices are not being heard by those in power, leading to protests and activism.

3. **Social inequality:** Disparities in wealth, education, and access to resources can fuel feelings of injustice among young people. They may rebel against societal norms and structures they perceive as unfair or discriminatory.

4. **Technological influences:** The digital age has provided young people with unprecedented access to information and platforms for expression. This can lead to rapid mobilization and coordination of protests, as well as the spread of ideas and ideologies that fuel unrest.

5. **Cultural shifts:** Changing cultural norms and values can create tension between generations. Young people may reject traditional beliefs and practices, leading to conflicts with older generations and authorities.

6. **Global issues:** Challenges such as climate change, economic globalization, and human rights violations can galvanize young people to take action on a global scale. They may feel a sense of urgency to address these issues, leading to impatience with the status quo.

It's important to recognize that youth unrest is often a complex phenomenon with multiple underlying causes. Understanding and addressing these root causes is crucial for promoting social cohesion and addressing the concerns of young people.

আমার প্রশ্নটি ছিল গ্লোবাল অথচ উত্তরের প্রতিটা পয়েন্ট আমাদের দেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে।
পূর্ববর্তি প্রজন্ম পরবর্তি প্রজন্মের প্রত্যাশা পূরনে ব্যার্থ এটাই কি জেনারেশন গ্যাপের কারন ? আমি কনফিউসড।
ভাল থাকুন আলী ভাই।

০৬ ই জুন, ২০২৪ রাত ১১:২৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



একটি ব্যস্ততার মধ্যে আছি , আপনার এই মুল্যবান মন্তব্য নিয়ে
আলোচনা শেয়ার করার জন্য আবার আসব ফিরে ।
শুভেচ্ছা রইল

১০ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৫:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




ব্যস্ততার কারণে সময়মত প্রতি উত্তর দিতে না পারার জন্য দূঃখিত ।
খুব সুন্দর করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নতুন প্রজন্ম ক্ষুব্দ , অস্থির , অধৈর্য ও আনেক সময়
উগ্র হয়ে পড়ছে তার আনেকগুলি উপাদান অল্প কথায় খুব সুন্দর করে তুলে এনেছেন
মন্তব্যের ঘরে । এটি পোস্টিকে একটি উচ্চ মাত্রা দিয়েছে ।

আমরা সকলেই লক্ষ্য করেছি যে শেষ কয়েক দশকে টাইম-ট্রাভেল বিষয়ে অনেক চলচ্চিত্র বা গল্প-উপন্যাস
হয়েছে। এগুলোর মধ্যে যেই তত্ত্ব বা কন্টেন্টই থাকুক না কেন, কাহিনি মোটাদাগে একই। সবগুলোতেই হয়
অতীতে গিয়ে সেই সময়ের কিছু অসংগতি পরিবর্তন করে বর্তমানকে সুসংগঠিত করা হয় নতুবা ভবিষ্যতে গিয়ে
কিছু দেখে এসে বর্তমানকে আরও বেগবান করা হয়। দুধরনের বিষয়েই কিন্তু শিক্ষা গ্রহণের একটা কমন ফ্যাক্টর
আছে। সে ভবিষ্যতেই যাক আর অতীতেই যাক সেই সময় থেকে কিছু শিক্ষা নিয়ে সে বর্তমানকে আরও সুন্দর,
বেগবান করে গড়ে তোলে।

ইতিহাস তো আমাদের পূর্বপুরুষের যাপিত জীবনের কথা। জন্মমুহূর্তে মানুষ নির্জ্ঞান হলেও পূর্বপুরুষের যাপিত
জীবনের অভিজ্ঞতা তাকে সমৃদ্ধ করে, পথচলার দিক প্রদর্শন করে। মানুষ নামের প্রাণীর গুহাচারী ভ্রাম্যমাণ রূপ
থেকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আগুন-লোহা, বর্ণ-ভাষা, বিজ্ঞানের যোগ হওয়ার ফলেই কিন্তু আমরা এখন নিজেদের
সভ্য প্রজাতি হিসেবে দাবি করি। ফলে ইতিহাসকে অস্বীকার করলে আমরা যেমন নেই হয়ে যাই, একইসঙ্গে
সময়ের সঙ্গে সেই ইতিহাসকে পরিমার্জন করে, পূর্বের থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন কিছুকে আত্তীকরণ না করলেও
কিন্তু আমরা এক জায়গায় স্থির হয়ে যাই। ফলে প্রকৃতিগত কারণেই তার পূর্বপুরুষ যে জায়গা থেকে শেষ করে,
পরের প্রজন্ম সেখান থেকে নতুন করে শুরু করে। পুরাতন জীবনের অভ্যস্ততা, একঘেয়েমি এবং অসুবিধা
থেকেই কিন্তু নতুন প্রজন্ম নতুনের দিকে ধাবিত হয়, আবিষ্কার করে নতুন কিছু, ধ্বনিত হয় নতুনের জয়গান।
কিন্তু এর সঙ্গে সঙ্গে এই পুরাতনের প্রতি অবজ্ঞা আর নতুনের প্রতি আকাঙ্ক্ষা থেকেই তৈরি হয়েছে এখনকার
‘জেনারেশন গ্যাপ’ নামক পদবাচ্যটি ।

আমাদেরকে বুঝতে হবে এই নতুন প্রজন্মের আনেকেই আকাশ দেখেনি, পাখি-লতাপাতা, মাটির সোঁদাগন্ধ
পায়নি, উপভোগকরতে পারেনি জ্যোৎস্না রাতের সৌন্দর্য; এরা মাঠ পায়নি, আঙিনা পায়নি, মায়ের আঁচলের
সুরক্ষা পায়নি। এরা মায়ের কিংবা দাদীর বুকে শুয়ে রূপকথার গল্প, আলাদিনের চেরাগ কিংবা রাজপুত্রের
জন্য অপেক্ষা করতে করতে ঘুমাতে পারেনি। এরা তো কিছু বুঝে ওঠার আগেই নীজেদের বাবা মায়ের কাছে
ইংরেজি টুইংকল টুইংকল লিটল স্টার জাতীয় কঠিন কবিতা মুখস্থ করা আর নিজের ওজনের সমান স্কুল ব্যাগ
কাঁধে পেয়েছে। স্কুলে কার সঙ্গে মিশতে হবে, স্ট্যাটাস মেনে কীভাবে চলতে হবে সেসবের সবক পেয়েছে সেই
শিশুকাল হতেই ।

চাকুরী জীবি পিতামাতার জন্য অধির আগ্রহে থাকা সন্তানেরা অফিস ফেরত তাদের পিতামাতার কাছে
চাওয়া সময়ের বিনিময়ে পেয়েছে হাতে একটা নতুন উড়ন্ত বিমান বা খেলনা অথবা কোনো ভিডিও গেমস।
স্কুলের ছুটির দিনগুলোতে তাদেরকে এক্সট্রা টিউশন আর কোচিংয়ে ভর্তি করিয়ে দেয়া হযেছে! সোজাকথায়
অভিভাবকেরা তাদের শৈশব-কৈশোর সব কেড়ে নিয়েছে অথচ এসব কিছুর বিনিময়ে আবার তাদের কাছেই
এখন আবেগ আর শালিনতা খুঁজা হচ্ছে । তাই সব দোষ আসলে একটা প্রজন্মের ওপর বর্তালেই সমস্যার
সমাধান হয় না। অন্যের কাঁধে দোষ চাপিয়ে হয়ত সাময়িক মানসিক প্রশান্তি খুঁজে পাওয়া যায়, কিন্তু সমস্যাটি
থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে না।

প্রবীনেরা নতুনদেরকে কী দিয়েছে, আর কী নিয়েছে সেটি অনেক জটিল আলোচনা। কিন্তু এতটুকু আমাদের
অস্বীকার করার আসলেই কোনো পথ আর নেই যে, এ দায় শুধু নতুন প্রজন্মের নয়। এ দায় প্রবিণদেরো কম নয় ।
সময় এসেছে নতুন প্রজন্মের চাওয়া-পাওয়াগুলোকে আমাদের নতুন করে ভেবে দেখার। তাদের প্রতিটি কাজকে
পুনর্বিবেচনা করার। একটা বয়সসীমা পার হবার পর তাদের স্বাধীনতার ব্যাপারটি নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।
‘জেনারেশন গ্যাপ’ না থাকলে প্রকৃতপক্ষে বুঝতে হবে আসলে আমাদের সমাজ স্থবির হয়ে গেছে। যেহেতু
প্রজন্মের এই দ্বন্দ্ব একটি সামাজিক প্রক্রিয়ারই অংশ, সেহেতু একে অস্বীকার করার কোনো পথ আমাদের নেই।
ফলে এটিকে কীভাবে সহনশীল পর্যায়ে রাখা যায় এবং দুটো প্রজন্মকেই একটা সমন্বয়ের মধ্যে আনা যায় তা
নিয়ে আসলেই আমাদের ভাবা উচিত। আর এটা তখনই সম্ভব যখন আমাদের পুরাতন প্রজন্ম এগিয়ে আসবেন
আগে । সব দোষ যে নবীনদের নয়, এটা মেনে নিয়ে তারা কী চায়, তাদের মতামতকে গুরুত্ব ও ভালোবাসার
সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।

আমাদের মনে রাখতে হবে নতুনেরা প্রবীণদের উপদেশ গ্রহণ করে নয়, বরং তাদের ব্যবহারকেই অনুকরণ করে
অবচেতন মনে। তাই প্রবীন আর নতুনদের অভিবাবকদরো পালটানো দরকার । দুর করতে হবে সামাজিক ও
অর্থনৈতিক বৈষম্য , দুর করতে হবে সমাজের ও দেশের সকল স্তরের দুর্ণীতি , প্রতিষ্ঠিত করতে হবে সুষ্ঠু
প্রাতিষ্ঠানিক গণতান্ত্রিক কাঠামো সমাজ ও দেশের সকল স্তরে, বিশেষ করে দেশের সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থায় ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

১৭| ০৫ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৪

গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: চার্লস ডিকেন্সের গেট এক্সপেকটেশনে একটা লাইন আছে I am what you made me .

( একই লাইন অবশ্য স্টারওয়ার্স সিনেমার মধ্যেও আছে, তবে মূলের কৃতিত্ব ডিকেন্সের)।

আমি ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র না, বাণিজ্যের ছাত্র ছিলাম। বাধ্যতামূলকভাবে আমাদের অনার্সে কিছু ইংরেজিও পড়তে হয়। এতে শিক্ষার মান কি বেড়েছে?
অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমাদের আগের প্রজন্ম দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
আপনি একটি পরাধীন দেশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন কিন্তু আপনার সময় পাবলিক পরীক্ষায় কি নকল বা প্রশ্ন ফাঁস এগুলো ছিল? বা চাকরি পাওয়ার জন্য কি ঘুষ দিতে হতো?

আপনার প্রজন্মের লোকেরা যখন দায়িত্বে ছিলেন, তখন এই অন্যায়গুলো ধীরে ধীরে সমাজে ঢুকিয়েছেন।

একজন ছেলে যখন দেখে বাবার বেতন ৩০ হাজার টাকা অথচ বাবা বাড়ি ভাড়া দেয় ২৫ হাজার টাকা তখন সেই ছেলে ভবিষ্যতে যুধিষ্ঠির হবে এটা আশা করা কতখানি সঙ্গত?
আমার কথাই মনে কষ্ট পেয়ে থাকলে আন্তরিক দুঃখিত। তবে আমাদের দেশ এবং বর্তমান প্রজন্ম ধ্বংসের পিছনে আমাদের অগ্রগতি প্রজন্মদেরকে আমি পুরোপুরি ভাবে দায়ী করি।

০৬ ই জুন, ২০২৪ রাত ১১:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




আমার পোষ্টে স্বাগতম ।
একটি ব্যস্ততার মধ্যে আছি , আপনার এই তাৎপর্যময় মন্তব্যটি
নিয়ে আলোচনা করার জন্য আবার আসব ফিরে ।
শুভেচ্ছা রইল

১০ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৪:৫৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:





আপনার মন্তব্যের প্রথমেই থাকা চার্লস ডিকেন্সের গেট এক্সপেকটেশনে থাকা
I am what you have made me. এর পরে আরো কিছু মুল্যবান কথামালা আছে যথা-
Take all the praise, take all the blame; take all the success, take all the failure;

বাণিজ্যের ছাত্র ছিলেন । বাধ্যতামূলকভাবে অনার্সে কিছু ইংরেজিও পড়তে হয়। এতে শিক্ষার মান কি বেড়েছে?
এ কথার মধ্যে কি বলতে চেয়েছেন তা সঠিকভাবে বোধগম্য হলোনা ।
আমাদের সময়ে শিক্ষার মিডিয়াম ইংরেজী হলে তো সবকিছু ইংরেজিতেই পড়তে হতো , আবার বাংলা হলে
বাংলায় পড়তে হতো, তবে যে কেও ইচ্ছা করলে রেফারেস্ পুস্তক হিসাবে ইংরেজী লেখা পুস্তক পড়তে পারত ,
তবে সেটা বাধ্যতামুলক ছিলনা । অনার্স কোর্সের প্রাথমিক বর্ষে অবশ্য সাবসিডিয়ারি সাবজেক্ট হিসাবে
ইংরেজী বিষয় নোয়াটা ঐচ্ছিক ছিল আমাদের সময়ে । এখনকার নিয়ম আমার সঠিক জানা নেই । বিষয়টি
একটু বুঝিয়ে বললে আমার খুব উপকার হয় । সমসাময়িক অবস্থাটি জানতে পারব ।

মন্তব্যের বাকি অংশ গুলিতে আপনি যা বলেছেন সে গুলির বিষয়ে আমার পোস্টে বিষদভাবে আলোচনা করা
হয়েছে । দয়া করে পোস্টটি আরো একটু মনযোগ দিয়ে পাঠ করলে কে কীভাবে কতটুকু দায়ী তার একটি
ধারণা পাবেন ।

মনে কষ্ট পাবার মত কিছু নেই । পোস্ট তো দেয়াই হয়েছে আলোচনা, সমালোচনা ও নীজ নীজ ভাবনা
একে আপরে শেয়ার করার জন্য , যেন তার প্রক্ষিতে নবীন আর প্রবীনের মধ্যকার দুরত্ব কমিয়ে সকলে
মিলে সুন্দর একটি নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলা যায়। অতীতের ভুল ভ্রান্তি হতে বেড় হয়ে নতুন প্রজন্মের
সঠিক বিকাশ সাধনই এখনকার সময়ের সবচেয়ে বড় চাওয়া ।

শুভেচ্ছা রইল

১৮| ০৫ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৭

গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: * টাইপো

শেষ লাইনে অগ্রগতির পরিবর্তে অগ্রবর্তী হবে

১০ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৪:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

আমার বুঝতে কোন আসুবিধা হয়নি ।
আমি সঠিক ভাবেই বুঝে নিয়েছি ।

১৯| ০৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ১০:০৬

গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: টাইপো : প্রথম লাইনে গ্রেট লিখতে ভুলে গেট লিখে ফেলেছি।

১০ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৪:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আমার বুঝতে কোন আসুবিধা হযনি ।
এ ধরণের সিলি টাইপো আমারো
অনেক সময় হযে যায় ।

২০| ০৬ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: "তা ভাবার জন্য সেই দার্শনিক আজ কোথায়?" - নেই, নেই, নেইরে! :(
কথাটা দুঃখজনক হলেও সত্য যে তরুণ প্রজন্ম আজ তাদের অগ্রজ প্রজন্মের মাঝে কোন রোল মডেল খুঁজে পাচ্ছে না।
সংলাপের পথ রুদ্ধ হলে সংলাপ প্রত্যাশীরা সংক্ষুব্ধ হয়। একটি সংক্ষুব্ধ সম্প্রদায় সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য হুমকি হতে পারে। সে হুমকি আজ সহজে মোকাবিলা করা গেলেও কাল নাও যেতে পারে।
"নতুনদের জন্য উপযুক্ত শিক্ষাগ্রহণই প্রয়োজন সর্বাগ্রে" - এ কথা সত্য, এবং এর কোন বিকল্প নেই।
"প্রজন্ম প্রজন্মান্তরের মাঝে পার্থক্য দীর্ঘজীবি হোক", এ্যান্থনি ফিটজেরাল্ড এর এ কথার সাথে এটাও বলতে চাই যে একই সাথে ব্যবধান মোচনের লক্ষ্যে সমাধান অনুসন্ধানে সংলাপও সমতালে চলতে থাকুক। মনিরা সুলতানা যেমন কবিগুরু'র কবিতা থেকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, "দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে, যাবে না ফিরে"।
তবে তার সাথে আমি কবিগুরু'র একই কবিতা থেকে আরেকটি লাইন উদ্ধৃত করতে চাইঃ
"হেথায় সবারে হবে মিলিবারে আনতশিরে"--

০৬ ই জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




একটু ব্যস্ততার মধ্যে আছি , আপনার এই আথি মুল্যবান
মন্তব্যটির বিষয়েআলোচনা শেয়ার করার জন্য আবার
আসব ফিরে ।
ধারণা করি এই পোস্টটির বিষয়ে আপনার এখনো
অনেক কথা বলার আছে , তাই মনে করছি আপনিও
হয়তবা আবার আসবেন এখানে , তখন কথা হবে
প্রাসঙ্গিক সকল বিষয় নিয়ে ।

শুভেচ্ছা রইল বিশেস করে সেখানে আপনাদের
সফল ও স্বার্থক রিইউনিয়ের জন্য । ব্যস্ততা
কমলে সেই রিইউনিয়নে যাব বেশ আয়েস
করেই ।

২১| ০৮ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১০:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: শিক্ষায়তনে রাজনৈতিক দলগুলোর লেজুড়বৃত্তি করা তথাকথিত ছাত্র রাজনীতিকে ছাত্রসমাজের বৃহত্তর অংশ বর্জনীয় মনে করে, এটা প্রমাণ হয়েছে বুয়েটের সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সাম্প্রতিক আন্দোলনের সময়। এটা অনেকটা স্বস্তিদায়ক, তবে মূল অপরাধী তো আমাদের প্রজন্ম বলেই আমরা মনে করি। আমাদের সময়ের রাজনীতিবিদরা (অল্প ব্যতিক্রম বাদে) শুধু রাজনীতিকেই কলুষিত করে নাই, তারা নব প্রজন্মের জন্য শিক্ষায়তনসমূহে এমন জঞ্জাল সৃষ্টি করে গেছে, যা সরাতে হয়তো আরেক অর্ধ শতাব্দীর প্রয়োজন হবে।

১৪ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৭:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




মুল্যবান কথা বলেছেন । ঠিকই বলেছেন আমাদের সময়ের রাজনীতিবিদরা (অল্প ব্যতিক্রম বাদে)
শুধু রাজনীতিকেই কলুষিত করে নাই, তারা নব প্রজন্মের জন্য শিক্ষায়তনসমূহে এমন জঞ্জাল সৃষ্টি করে
গেছে, যা সরাতে হয়তো আরেক অর্ধ শতাব্দীর প্রয়োজন হবে।

শিক্ষা ও রাজনীতি দুটো ভিন্ন পথ হলেও উদ্দেশ্য মহৎ। শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রকে
আলোর পথ দেখানো। আর রাজনীতির উদ্দেশ্য হলো সমাজ ও রাষ্ট্রপরিচালনার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সুশিক্ষার মহৎ উদ্দেশ্য বারে বারে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অপরাজনীতির
চর্চার ফলে। দেশের প্রায় প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাজনৈতিক সংস্কৃতির
চর্চা এতটাই বেড়েছে, তার সুফলের চেয়ে কুফল জাতি ভোগ করছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি একেবারে ক্ষতির কারণ হয়েছে তা কিন্তু নয়। এর ইতিবাচক ভূমিকাও রয়েছে।
বাংলাদেশ নামক এ রাষ্ট্রের জন্মের পেছনে ছাত্ররাজনীতি বড় ধরনের ইতিবাচক ভূমিকা আছে।

স্বাধীনতা পুর্ণ এমনকি পরবর্তীকালে যারা ছাত্ররাজনীতি করতেন, তাদের মধ্যে আদর্শিক দিকটি ছিল মুখ্য।
কিন্তু বিগত কয়েক দশকের প্রেক্ষাপট হিসাব করলে ছাত্ররাজনীতির কলঙ্কিত অধ্যায় ছাড়া আর কিছু পরিলক্ষিত
হয় না। এখনকারশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনীতির আরো একটি কলঙ্কময় দিক যুক্ত হয়েছে তা হল শিক্ষকদের
রাজনীতি।

এখন ছাত্র রাজনীতিবিদের মধ্যে অর্থ ও ক্ষমতার লোভ দানাবাঁধে। তারা সহজে বড় রাজনীতিবিদ ও সম্পদশালী
হওয়ার স্বপ্ন দেখে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য তাদের একতরফা দোষারোপ করা যায় না। যে রাজনৈতিক সংস্কৃতির চর্চার
মধ্যে তারা বেড়ে ওঠেন, সেখানে স্বচ্ছ রাজনীতি চর্চার পরিবেশ একেবারে নেই বললেই চলে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনীতি বন্ধ করা কঠিন। কারণ, এর শেকড় এতটা গভীরে, তার বিস্তৃত
প্রভাব সামাজিক ও বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে। ফলে এটি উপড়ে ফেলা প্রায় অসম্ভব। তাহলে
এপরিস্থিতিতে কী করা দরকার? উত্তরে বলা যায়, ইতিবাচক সুস্থ ধারার সৎ রাজনৈতিক সংস্কৃতির চর্চার মাধ্যমে
ছাত্র রাজনীতিকে বিশুদ্ধ করতে হবে, যদিও এটি রাতারাতি বদলে ফেলা সম্ভব নয়।

শুভেচ্ছা রইল




২২| ০৮ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১:১১

নতুন বলেছেন: নতুন প্রযন্মকে আমার চেয়ে কঠিন চ্যালেন্জ মোকাবেলা করতে হবে।

আমার বাবা পাশ করে ৩ টা সরকারী চাকুরির জন্য নিয়োগ পত্র পেয়েছিলন।
আমরা বর্তমানে অনেক প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়েই এপযন্ত এসেছি।

তাহলে ২০-৩০ বছর পরে কি পরিমান চ্যালেন্জ নতুন প্রযন্মকে মোকাবেলা করতে হবে?

আমাদের উচিত আমাদের জ্ঞান, প্রজ্ঞা এবং অভিঙ্গতাকে নুতুন পযন্মকে দিতে হবে এবং তারা যেন নতুন পথ খুজে নিতে পারে সেই ব্যক্তিত্ব গঠনে সাহাজ্য করতে হবে।

২০-৩০ বছর পরে কি চ্যালেন্জ আসছে সেই সম্পর্কে আমাদের বর্তমানের বৃদ্ধ পযন্মের কোন ধারনা নাই। কিন্তু এরা মনে করে তারাই সবকিছু জানে, সেটা ভুল। আমরা কেবল নতুনকের অতীতের আলোকে ভবিষ্যতের জন্য তৌরি করতে পারি মাত্র।

১৪ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:





ঠিকই বলেছেন নতুন প্রযন্মকে এখন কঠিন চ্যালেন্জ মোকাবেলা করতে হবে।
আমাদের উচিত আমাদের জ্ঞান, প্রজ্ঞা এবং অভিঙ্গতাকে নুতুন পযন্মকে দিতে হবে এবং তারা যেন নতুন পথ
খুজে নিতে পারে সেই ব্যক্তিত্ব গঠনে সাহাজ্য করতে হবে।


জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রসারে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে সর্বস্তরের জীবনযাত্রায়। শিক্ষা, চিকিৎসা, শিল্প, কৃষিসহ
মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অকল্পনীয় অবদানকে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ আমাদের নেই।
কিন্তু তার পরেও একটি পরিস্থিতি আমাদের অস্থির করে তোলে। তা হলো, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অপব্যবহার।
এটিও এখন নবপ্রজন্মকে সঠিকভাবে পরিচালিত করার ক্ষেত্রে একটি বেশ কঠীন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ।

আপনি আরো সুন্দর করে বলেছেন
২০-৩০ বছর পরে কি চ্যালেন্জ আসছে সেই সম্পর্কে আমাদের বর্তমানের বৃদ্ধ পযন্মের কোন ধারনা নাই।
কিন্তু এরা মনে করে তারাই সবকিছু জানে, সেটা ভুল। আমরা কেবল নতুনকের অতীতের আলোকে
ভবিষ্যতের জন্য তৌরি করতে পারি মাত্র


সকলের সন্মিলিত আলোচনা আর সমালোচনা হতে করনীয় বিষয়ে বেশ গুরুত্বপুর্ণ ধারণা বা কৌশল বেড়িয়ে
আসতেছে বলে দেখতে পারছি ।

শুভেচ্ছা রইল

২৩| ১০ ই জুন, ২০২৪ রাত ১০:২৫

পুলক ঢালী বলেছেন: আলী ভাই অনেক শ্রদ্ধা এবং শুভেচ্ছা রইলো।
আপনি এত সুন্দর করে উত্তর দিয়েছেন যে ফিরে এসে আপনাকে আন্তরীক ধন্যবাদ না জানিয়ে পারছিনা।
আপনার সাথে সহমত পোশন করছি হ্যা আমরা নুতন জেনারেশনের শৈশব কেড়ে নিয়েছি।
"আপনি আচরি ধর্ম" হ্যা আমাদের উপদেশ নয় বরঞ্চ আমাদের আচরনই অবচেতন ভাবে ওদের মনে আসন গেঢ়ে বসে যায়।

জেনারেশন গ্যাপ মানেই অগ্রসর, নুতন ভাবনা, নতুন চিন্তা, নুতন পথের আবিস্কার তাই এই গ্যাপ না থাকলে পৃথিবী থেমে যাবে সঠিক বলেছেন, সেজন্য পশ্চাদ থেকে টেনে ধরা নয় বরঞ্চ নুতন পুরাতনের মিথস্ক্রিয়াই যৌক্তিক সমাধান।

"একটা বয়সের পর নুতনদের স্বাধীনতার কথাটি মাথায় রাখতে হবে" একথাটি একদম ঠিক বলেছেন, তবে আমরা বাস্তবে এখনও মানসিকভাবে সেটা গ্রহন করতে প্রস্তুত কিনা সেটাই বিবেচ্য বিষয়।
আসলে জীবন যত স্পীডি হয়েছে বিদেশে, আমরা যেন তার চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছি। এই স্বাধীনতা কি সেটা আমি আমেরিকায় বাঙ্গালী পরিবারে দেখেছি, নেভার মাইন্ড আমি প্রাচীনপন্থী নই তারপরও মনে যে একটু খটকা লাগেনি এটা স্বীকার না করলে নিজের সাথেই প্রতারনা করা হবে।

( উদাহরন: এক আত্মীয়ের বাসায় লাঞ্চ করে ডাইনিং টেবিলেই আড্ডা দিচ্ছি এমন সময় আত্মীয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মেয়ের বয়ফ্রেন্ড এলো, মেয়েটি উঠে দাড়িয়ে বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে নিজের রুমে গিয়ে দরজা লক করে দিল। এটা একদম স্বাভাবিক ব্যাপার অথচ আমার প্রাচ্য মনে একটু বিব্রত ভাব জেগেছিল, এর মানে আমার দর্শন কিছুটা ত্রুটিপূর্ন রয়ে গেছে। এটা একটা ঘটনা মাত্র এরকম আরো অসংখ্য উদাহরন অবলোকন করার সুযোগ হয়েছে। এ বিষয় ছাড়াও তাদের মত,পথ, দৃষ্টিভঙ্গী, এগুলোকে সম্মানের সাথে বিবেচনা করতে হবে, অর্থাৎ তাদের পৃথক স্বত্ত্বা ও ব্যক্তিত্বকে বাল্যকাল থেকেই স্বীকৃতি দিয়ে স্বাধীনভাবে তাদের বেড়ে উঠার মত পারিবারিক এবং সামাজিক পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন হবে )

আপনি ভাবনা চিন্তার অনেকগুলি আর্গল/বাতায়ন উন্মুক্ত করেছেন সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
ভাল থাকুন।

১৪ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৮:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



পুণরায় এসে মুল্যবান কথা বলে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
জেনারেশন গ্যাপ বিষয়টি সম্ভবত সব কালের জন্যই সত্য। হারিয়ে যাওয়া মূল্যবোধের জন্য হাহাকার
বিগত কয়েক দশক সময়কার একটি মূল্যবান সেন্টিমেন্ট যা কথিত 'মডার্নিজম' এর মূল সুর। কিন্তু তার
পরের যুগটি, যাকে 'পোস্ট মডার্নিজম' এর যুগ বলে অভিহিত করা হয়, ঠিক তার বিপরীত বৈশিষ্ট্যে বিশিষ্ট।
এখানে পরিবর্তনকে স্বাগত জানানোর চল।

প্রজন্ম ব্যবধান কাউকে ব্যথিত করে, আবার কাউকে করে না।আমি নীজে দ্বিতীয় দলের মানুষের মধ্যে বলে
মনে করি । আমি সবসময় বলি আমরা যা পারিনি, তোমরা নতুন প্রজন্ম তা পারবে। আমি প্রজন্ম ব্যবধানের
কোন বেদনা বোধ করিনা। আমি নতুন প্রজন্মের আচরণকে কালের স্বাভাবিক ধর্ম বলেই মনে করি। আর
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অভিজ্ঞতা প্রবাহে সচেষ্ট থাকার চেষ্টা করি ।

শুভেচ্ছা রইল

২৪| ১০ ই জুন, ২০২৪ রাত ১১:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,




সময়াভাবে এই লেখাতে আসতে দেরী হয়ে গেলো।
বাস্তব সময়ের প্রেক্ষাপটে একটি অত্যন্ত জরুরী বিষয়ের অবতারনা করেছেন। প্রচুর মন্তব্যে, বিষয়টি যে গুরুত্বের দাবী রাখে তা স্পষ্ট হয়েছে। আপনার প্রতিমন্তব্যে তা দৃঢ়ও হয়েছে।
মন্তব্যের পর্যায়ক্রমে সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, নতুন, ঢাবিয়ান, পুলক ঢালী, খায়রুল আহসান এদের মন্তব্য এবং আপনার প্রতিমন্তব্যে ভাবনার অনেক কিছু রয়েছে, হয়তো নতুন প্রজন্মের প্রতিরক্ষায় ঐসব ভাবনারা কার্যকরী হতেও পারে।

মোদ্দা কথা, একটি গাছ থেকে ফুল-ফল পেতে হলে তাকে শুরু থেকেই যেমন পরিচর্যা করতে হয়, কীট-পতঙ্গের আক্রমন থেকে বাঁচিয়ে রাখতে হয় তেমনি নতুন প্রজন্ম থেকে কাঙ্খিত ফল পেতে হলে তাদেরকেও সময়ের বাস্তব-সম্মত উপায়ে পরিচর্যা করতে হবে, অশুভ কিছুর আক্রমন থেকে প্রতিরক্ষাও তেমনি ভাবে করতে হবে। সমাজতাত্বিক দৃষ্টিকোন থেকেই এই পরিচর্যা আর প্রতিরক্ষার উপায় বের করতে হবে যা এই লেখার মন্তব্য আর প্রতিমন্তব্যে ফুটে উঠেছে।

শুভেচ্ছান্তে।

১৪ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৯:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




খুবই মুল্যবান কথা বলেছেন
একটি গাছ থেকে ফুল-ফল পেতে হলে তাকে শুরু থেকেই যেমন পরিচর্যা করতে হয়, কীট-পতঙ্গের আক্রমন
থেকে বাঁচিয়ে রাখতে হয় তেমনি নতুন প্রজন্ম থেকে কাঙ্খিত ফল পেতে হলে তাদেরকেও সময়ের বাস্তব-সম্মত
উপায়ে পরিচর্যা করতে হবে, অশুভ কিছুর আক্রমন থেকে প্রতিরক্ষাও তেমনি ভাবে করতে হবে।


এই যে দিনের পর দিন, প্রবীনদের আলোকচ্ছটা নবিনের উপর পড়ড়ে, কতকাল থেকেই পড়ছে প্রত্যহই পড়ছে
তা কি অস্বিকার করা যায় । এই আলোকচ্ছটা নবীনদের কাছে প্রতিদিন ভোরেই একটি আশা জাগাচ্ছে । যে নবীন
কুঁড়িগুলির ঈষৎ একটু উদ্‌গম হয়েছে মাত্র তাদেরকে বলছে, তোমরা আজ জান না কিন্তু তোমরা তোমাদের সমস্ত
ও সহজাত ক্ষমতার পাপড়ি মেলে দিয়ে সুগন্ধে সৌন্দর্যে একদিন বিকশিত হয়ে উঠবেই ।

যে ফুল ফোটেনি তা ফুটার জন্য আলোক যেমন প্রতিদিন প্রতীক্ষা নিয়ে আসে , যে ফসল ধরে নি, আলোকের
বাণী সেই ফসলের নিশ্চিত আশ্বাসে পরিপূর্ণ । ঠিক তেমনি প্রবীনেরা তাদের প্রতিচ্ছারিত আলোর দ্যুতি নিয়ে
আশায় থাকে নবীনদের জয়গান দেখার জন্য ।

প্রবীন আর নবীনের মধ্যকার দুরত্ব গুচানোর জন্য কবিগুরুর গানের কথাতেই বলতে হয়-
পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়
ও সেই চোখের দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়
আয় আর-একটিবার আয় রে সখা, প্রাণের মাঝে আয়
মোরা সুখের দুখের কথা কব, প্রাণ জুড়াবে তায়

শুভেচ্ছা রইল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.