নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ পাঠক ও লেখক
স্থান নিয়ে গ্যরাকলে পরতে যাচ্ছে বই মেলা
জ্ঞান আর গল্পের পসরা নিয়ে চলছে খেলা
তবে বই তার পাতা খুলে, দেয় সবারে ডাক
আসো পাঠক, খুলে দাও হৃদয় ভরা ফাঁক।
শিশুরা আস দলে দলে, ছোট্ট হাতে ধর
মলাটে বাঁধা বইয়ের মধুর সুরের ধার
তারা জানে না হয়তো কত শত কিচ্ছা কথা
লুকানো আছে নিয়ে কত না অব্যক্ত ব্যথা ।
যদিও আজকের যুগে চলে প্রযুক্তির উত্তালতা
তবুও বইয়ের প্রেমেই হৃদয়ে বহে অস্থিরতা
কাগজের পাতায় আঁকা শব্দের বিশাল ধার
ভবিষ্যতের পথে পাঠায় চিন্তার গভীর ভার।
বই মেলা শুধুই একটি উৎসবের নাম নয়,
এ আমাদের স্মৃতি, আমাদের আত্মার পরিচয়
যতই ডিজিটাল হোক জীবন, ভরসা বইয়ের ভিতর
মলাটে বাঁধা পুস্তক পাঠে দুর হয় সব কালো আঁধার।
বই মেলা হোক যেখানেই,অভ্যাশমত বই পড়া চাই প্রতিদিন
মাঠের মেলায়, পথের ধুলায়, জ্ঞানের আলো থাকুক অমলিন
বাংলার গ্রামে, শহরে, পথে প্রান্তরে , ফসলের মাঠ নদীতীরে
বইয়ের পাতায় কোমল মতিরা স্বপ্ন গড়োক, মন খুলে প্রাণের দ্বারে।
স্থান নিয়ে তর্কবিতর্ক চলতেই পারে, হোক মেলা ছোট্ট কোন জায়গা জুড়ে
তবু বইয়ের ঘ্রাণে ভরে উঠুক হৃদয়, জ্ঞানের পথে নিয়ে যাক আমাদেরে
পশ্চিমে, পূর্বে, উত্তরে, দক্ষিণে,
বই মেলা এসে ছুঁয়ে যাক গাছের ছায়ায় সবুজ বাংলার জমিনে ।
শুধু মেলা নয়, পাঠ চাই প্রতিটি দিন,
প্রতিটি সন্ধ্যার আবাহনে
যেখানে পাঠক, সেখানেই মেলা,
বইয়ের গন্ধে জীবন লভুক বেহালায় রোমাঞ্চিত মনে।
বই পড়ার সাধনাটাই হোক আমাদের মূল আরাদ্ধ পাঠশালা,
পাঠের আলোই গড়বে মানুষের আশা, যেখানেই হোক মেলা
স্থানের লড়াই চলে চলুক, মনের মেলাতে জ্ঞান দিক ধরা
বইয়ের বন্ধনে গাঁথা থাকুক সবুজ বাংলার প্রতিটি পাড়া ।
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মতো বড় উন্মুক্ত স্থান বইমেলার জন্য উপযুক্ত হতে পারে। এ ধরনের স্থান নির্ধারণের
কিছু সুবিধা ও অসুবিধা নিচে আলোচনা করা হলো।
সুবিধাসমূহ
১।প্রবেশাধিকার সহজতর: উন্মুক্ত স্থানে মেলা হলে দর্শনার্থীরা সহজেই প্রবেশ করতে পারে এবং মেলার বিভিন্ন স্টলে ভিড় কম হয়।
২।বিস্তৃত স্থান: বেশি স্থান পাওয়ায় স্টল ও প্যাভিলিয়ন সহজে ছড়িয়ে রাখা যায়, যা বইয়ের প্রদর্শনী ও কেনাকাটার ক্ষেত্রে সুবিধাজনক।
৩।সামাজিক সংযোগ: উন্মুক্ত স্থানে মেলা আয়োজন করলে অনেক মানুষ একত্রিত হতে পারেন, যা সামাজিক সংযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়ক।
৪।প্রাকৃতিক পরিবেশ: উন্মুক্ত স্থানগুলোতে প্রচুর গাছপালা থাকে, যা পাঠকদের জন্য একটি আরামদায়ক ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করে।
অসুবিধাসমূহ
১.নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ: উন্মুক্ত স্থানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হতে পারে। অনেক দর্শনার্থীর উপস্থিতিতে অসুবিধা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
২.আবহাওয়া জনিত সমস্যা: বৃষ্টির সময় বইমেলা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত রোদ বা ঝড়ের প্রভাবও মেলার পরিবেশে প্রভাব ফেলতে পারে।
৩.পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা কঠিন: উন্মুক্ত স্থানে বেশি লোক সমাগমের কারণে পরিবেশ অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়তে পারে।
২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:৪২
আহরণ বলেছেন: এই স্বাধীনতা বিরোধী সরকার চায় না বই মেলা হোক। বরংচ, সিরাত মহফিল হলে কোন সমস্যা ছিল না, ভাইয়া?
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:১৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। তবে, আমি একটু অন্যরকম মত পোষণ করি। বইমেলা আমাদের সাংস্কৃতিক
ও মুক্তবুদ্ধির প্রকাশের একটি অতি মূল্যবান মঞ্চ, যা যুগের পর যুগ ধরে আমাদের চিন্তাধারাকে প্রসারিত করতে
সহায়ক হয়েছে। সরকারের সমর্থনেই প্রতিবছর বইমেলা সফলভাবে আয়োজন করা হয়, যা আমাদের কৃষ্টি ও
সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার একটি উৎসবমুখর উদ্যোগ।
এটা সত্য, বিভিন্ন অনুষ্ঠানই গুরুত্বপূর্ণ, তবে সিরাত মাহফিল কিংবা বইমেলা - দুটিই নিজ নিজ গুরুত্ব বহন করে।
সমাজের বিভিন্ন অংশের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতার মাধ্যমে এগিয়ে গেলে আমাদের সমাজ আরো সমৃদ্ধ হবে। আসুন,
সবাই মিলে সকল অনুষ্ঠানকে শ্রদ্ধা ও সমর্থন করে সামনে এগিয়ে যাই।
৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:২০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
হঠাৎ করে এই প্রশ্ন আসছে হেন?
নাকি সরকার চায় না বই মেলা হোক?
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:২২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । আশা করি মেলার আয়োজকেরা
বিচক্ষনতার পরিচয় দিবেন ।
৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৮
শাহ আজিজ বলেছেন: সোহরাওয়ারদী উদ্যান , চীন বাংলা মৈত্রী মাঠ , উত্তরার যে কোন বড় মাঠ । একজন প্রকাশক যে কোন ভেনুতে একটি স্টল পাবেন। এতে করে মিরপুর , উত্তরা , টঙ্গি গাজিপুরের দর্শক পাঠকরা বইমেলা থেকে বঞ্চিত হবে না ।
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৪১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার প্রস্তাবটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছে। বইমেলা কেবল বইপ্রেমীদের
মিলনমেলা নয়, এটি জ্ঞান ও সংস্কৃতির বিকাশের একটি বিশাল প্ল্যাটফর্ম। কিন্তু স্থানীয়তা ও প্রাপ্যতার সীমাবদ্ধতার
কারণে অনেক পাঠক বইমেলা থেকে বঞ্চিত হন, যা আসলেই দুঃখজনক।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, চীন-বাংলা মৈত্রী মাঠ বা উত্তরা কিংবা গাজীপুরের বড় মাঠগুলোতে বইমেলার শাখা আয়োজন
করা হলে নিঃসন্দেহে এর বিস্তার আরও প্রসারিত হবে। এতে করে মিরপুর, উত্তরা, টঙ্গি, গাজীপুরসহ দূরবর্তী
এলাকার পাঠকরা সহজেই বইমেলায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং নতুন নতুন পাঠক তৈরি হবে।
এ ছাড়া, বিভিন্ন ভেনুতে বইমেলার আয়োজন প্রকাশকদের জন্যও একটি বড় সুযোগ সৃষ্টি করবে। তারা নিজেদের
বই ও প্রকাশনা আরও বেশি সংখ্যক পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন। তবে এই উদ্যোগের সঠিক বাস্তবায়নের
জন্য পর্যাপ্ত পরিকল্পনা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন রয়েছে।
এমন একটি উদ্যোগের মাধ্যমে বইমেলা সত্যিকার অর্থেই সার্বজনীন হতে পারে এবং পাঠক ও লেখকদের মধ্যে
একটি শক্তিশালী সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে পারে। সুতরাং, আপনার প্রস্তাব বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভাবনা-চিন্তা
শুরু করা উচিত। এটি আমাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।
৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৫
শায়মা বলেছেন: আহা বইমেলার স্থান নিয়েও সংঘর্ষ শুরু হলো!
শেষে না বইমেলাটাই বন্ধ হয়ে যায়।
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৪৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
তোমার এই উদ্বেগ একেবারেই যথার্থ। বইমেলার মতো একটি সাংস্কৃতিক উৎসব যেখানে আমাদের ঐতিহ্য, জ্ঞান,
আর নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা মেলে, সেখানে সংঘর্ষ বা বিতর্ক সত্যিই দুঃখজনক। তবে আশাবাদী হতে চাই,
সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের পথ খুঁজে নেবেন। আমাদের সবার উচিত এই মেলাটিকে কেবল বই
কেনাবেচার জায়গা নয়, বরং মননের মিলনস্থল হিসেবে দেখার প্রচেষ্টা চালানো। আশা করি, এই সুন্দর আয়োজন
বন্ধ হওয়ার চিন্তা আমাদের করতে হবে না, বরং এটি আরও সমৃদ্ধ ও সুশৃঙ্খল হয়ে উঠবে।
৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: আমাদের তারুন্যে বইমেলা হত কেবল বাংলা একাডেমিতে। ছোট্ট , গোছালো সেই বইমেলায় মান সম্পন্ন প্রকাশনী কেবল মানসম্পন্ন বই প্রকাশ করত। অমর সব কবি সাহিত্যিকদের জন্ম দিয়েছে সেই সময়কার বইমেলা। দারুন সব স্মৃতি রয়েছে আমাদের বইমেলা ঘিরে।
২০১৪ সাল থেকে বাংলা একাডেমির বিপরীতের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও স্টল বরাদ্দ দেওয়া শুরু হয়। মেলার পরিসর বেড়েছে , সেই সাথে ব্যাঙ এর ছাতার মত গজিয়েছে এক গাদা মানহীন প্রকাশনী ও মানহীন কবি লেখক। বই কিনতে কবি/লেখকদের নিল্লজ্জ আদেখলাপনা , সেজে গুজে মেলায় গিয়ে অনুরোধের ঢেকি গিলে বই কিনে ছবি তুলে ফেসবুকে দেয়া এবং বাসায় ফিরে না পড়েই এইসব বই ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলার নামই হচ্ছে বর্তমানে বইমেলা। মানহীন সব কবি/লেখকদের ভীরে প্রতিভাবানদের মূল্যায়নের সুযোগ এখন খুবই সীমিত।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবারের বইমেলা সেই পুর্বেকার মত কেবল বাংলা একাডেমিতে আয়োজনের অনুরোধ জানিয়েছিল। কিন্তু দেখলাম সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। ইন্টেরমিডিয়েট ফেল কুরুচি ধারার তৃ্তীয় শ্রেনীর মুভি নির্মাতা কাম বর্তমান সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোসতাফা সারোইয়ার ফারুকী জানিয়েছে বইমেলা সেই আগের মতই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই হবে !!!!! অযোগ্য লোককে পদে বসালে এমনটাই হবার কথা!!
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। বইমেলা নিয়ে আপনার অনুভূতিগুলো স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে, এবং এটি
বোঝা যায় যে আপনি বইমেলার গুণগত মান ও তার ঐতিহ্যের ব্যাপারে গভীরভাবে সচেতন। তবে, কিছু বিষয়
নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করা যেতে পারে।
১. মেলার বিস্তার ও পরিবর্তন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলার বিস্তার অবশ্যই স্থান সংকুলান ও পাঠকদের জন্য
বাড়তি সুযোগ তৈরি করেছে। যদিও এর ফলে কিছু মানহীন প্রকাশনী যোগ হয়েছে, তবুও এটি একটি স্বাভাবিক
চ্যালেঞ্জ, যা সময়মতো সমাধান করা সম্ভব। বইমেলা এখন কেবল বই কেনার জায়গা নয়, বরং এটি একটি
বৃহত্তর সাংস্কৃতিক উৎসবে পরিণত হয়েছে। এর ফলে নতুন লেখকদের জন্য সুযোগও বৃদ্ধি পেয়েছে।
২. নতুন লেখক ও প্রকাশনী: প্রতিভাবান লেখকদের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া নিয়ে আপনার উদ্বেগ যথার্থ। তবে, এটি
বলার অপেক্ষা রাখে না যে সঠিক পাঠক ও সমালোচকরা সবসময় মানসম্পন্ন কাজকে আলাদা করতে পারেন।
সৃজনশীলতার ক্ষেত্রে নতুনদের সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন, যদিও তাদের কাজের গুণগত মানের প্রতি নজর
দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
৩. গঠনমূলক সমালোচনা: মেলার স্থান বা আয়োজকদের বিষয়ে আপনার মতামত সমালোচনামূলক হলেও, ভাষার
সৌজন্যের দিকে আরো একটু যত্নবান হলে তা আরও গ্রহণযোগ্য এবং ফলপ্রসূ হতে পারে। ব্যক্তি আক্রমণ প্রাশান্য
না দিয়ে সমস্যার মূল কারণ ও সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনা করলে সবসময়ই কিছু না কিছু সুফল পাওয়া যায়।
আপনার মতামত প্রকাশ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, এবং আমি আশা করি বইমেলার মান উন্নয়ন ও ঐতিহ্য ধরে রাখার
বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা যথাযথ উদ্যোগ নেবেন।
৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০৯
আজব লিংকন বলেছেন: সামনের বছর আসতে এখনো অনেক দিন বাকি।। তার আগেই এই বিষয়ে কাউমাউ। আয় হায়।
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
হ্যাঁ, একদম ঠিক বলেছেন! সামনে বছর আসতে এখনো বেশ সময় বাকি। তবে কি করবো, আশা আর উত্তেজনা
মানুষকে একটু আগে থেকেই ভাবনায় ডুবিয়ে দেয়। তবে আপনার মন্তব্য বেশ মজার ছিল! এমন রসিকতা
আলোচনাকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।
৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৫৩
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর প্রতিউত্তরের জন্য। আপনার তিন পয়েন্টে আলচনার জন্য আবারো এলাম।
১। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বলেছে যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলা আয়োজনের জন্য বাংলা একাডেমী ২০১৫ সাল থেকে কখনই কোন অনুমতি তাদের কাছ থেকে নেয়নি। সম্পুর্ন বেআইনিভাবে উদ্যান দখল করে তারা মেলা আয়োজন করে এসেছে এ্তকাল। বাংলা একাডেমী দীর্ঘকাল যাবৎ স্বৈরাচারী আওয়ামি সরকারের একটা অঙ্গসংগঠন ছিল যেখানে ছিল না কোন সুস্থ স্বাভাবিক ধারার সাহিত্য চর্চা। আপনি যেই মেলাকে বৃহত্তম সাংস্কৃতিক উৎসব বলছেন আমার মত অনেকের কাছেই তা বৃহত্তম অপসংস্কৃতির উৎসব।
২। সঠিক পাঠক ও সমালোচকরা সবসময় মানসম্পন্ন কাজকে আলাদা করতে পারার বিষয়টা অত্যন্ত দুরুহ হয়ে দাড়িয়েছে। টাকা দিয়ে এখন যে কেউ বই প্রকাশ করতে পারে, কবি/লেখ্ক বনে যেতে পারে। এর ভীরে প্রতিভাবানদের প্রতি সুবিচার কিভাবে সম্ভব ? বাংলা একাডেমী এখন বেস্ট সেলিং বই এর তালিকা প্রকাশ করে! বাংলা একাডেমী পুরস্কার হচ্ছে রাজনীতির হাতিয়ার!! এসব বিষয়ে সংস্কার না করা হলে এই মেলার গুনগত মানের কোণ উন্নতিই হবে না। বইমেলার সংস্কারে কলকাতার বাংলা বইমেলা হচ্ছে আমাদের জন্য অনুকরনীয় একটা দৃষ্টান্ত। বাংলা সাহিত্যের সঠিক চর্চা এবং নবীন প্রতিভাবান লেখকদের অনুপ্রেরনা ও কদর কদর করা হয় সেখানে।
৩। আমার সমালোচনার কোন অংশ ভাষার সৌজন্য হারিয়েছে বা ব্যক্তি আক্রমনমুলক হয়েছে একটু বুঝিয়ে বললে ভাল হত। মোস্তাফা সারোয়ার ফারুকী সম্পর্কে একটা শব্দও যদি মিথ্যা হয়, তবে সে অংশটুকু আমি অবস্যই সংশোধন করব।
শুভকামনা রইল।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পুণরায় এসে মুল্যবান মতামত রেখে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
আপনার আলোচনা সমালোচনার পেছনে যে যুক্তি এবং বিষয়বস্তু রয়েছে, তা নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা
শুরু করার মতো।আপনার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কিছু বিষয়ে একটি সুন্দর পর্যালোচনার জায়গা থেকে কিছু কথা বলি:
১। বাংলা একাডেমী ও বইমেলা: আপনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলা আয়োজনের প্রক্রিয়া এবং অনুমতির প্রসঙ্গ তুলেছেন। এখানে বাংলা একাডেমীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ আছে বলেই মনে হচ্ছে । উন্নয়নের জায়গা সবসময় থাকে,
এবং বাংলা একাডেমী আরও স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে সেই আস্থা আরও জোরদার হবে।এর অতীত
কার্যকলাপ মুল্যায়ন করে এর সংস্কার ও পুর্ণগঠন করা যেতে পারে ।
২। সাহিত্যচর্চা ও মানের প্রশ্ন: টাকা দিয়ে বই প্রকাশের সহজলভ্যতা এবং মানের প্রশ্নটি অত্যন্ত যৌক্তিক। তবে
বাংলা সাহিত্যে মান ধরে রাখা বা প্রতিভাবানদের সঠিক মূল্যায়নের জন্য সমালোচক ও পাঠকের সম্মিলিত
দায়িত্বও গুরুত্বপূর্ণ। কলকাতার বইমেলার অনুকরণীয় দৃষ্টান্তের কথা উল্লেখ করে আপনি সংস্কারের একটি
দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, যা অবশ্যই আমাদের ভাবার বিষয়।
৩। ব্যক্তিগত মন্তব্যের প্রসঙ্গ: আপনার সমালোচনার ভাষা বেশ সুসংগত। তবে কিছু ক্ষেত্রে পাঠকের অনুভূতির
জায়গা থেকেও ভাবা প্রয়োজন। যদি কোথাও কারো কোন মন্তব্য ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসেবে প্রতিভাত হয়
প্রয়োজনে তা সংশোধনের মানসিকতা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আমি একটি জেনারেলাইসড বক্তব্য হিসাবে
বলেছিলাম ব্যক্তি আক্রমণ প্রাধান্য না দিয়ে সমস্যার মূল কারণ ও সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনা করলে
সবসময়ই কিছু না কিছু সুফল পাওয়া যায়। দয়া করে একথা নিয়ে আমাকে ভুল বুঝবেন না । এটা আপনাকে
মিন করে আমি বলি নাই । কথিত উপদেষ্টা সম্পর্কে আমি তেমন কিছু জানিনা , এখন পত্র পত্রিকার সংবাদ
থেকে তাকে নিয়ে অনেক কথা জানা যাচ্ছে । তার সম্পর্কে আপনার জানা সঠিক হলে আপনি আপনার জাযগায়
সঠিক আছেন বলেই ধরে নেযা যায় ।
সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং সমালোচনা নিয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি অনেক ভাবনার খোরাক দেয়। গঠনমূলক আলোচনা
করা সবসময়ই সকল পক্ষের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনে। আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১৫
কল্পদ্রুম বলেছেন: "স্থান নিয়ে তর্কবিতর্ক চলতেই পারে, হোক মেলা ছোট্ট কোন জায়গা জুড়ে
তবু বইয়ের ঘ্রাণে ভরে উঠুক হৃদয়, জ্ঞানের পথে নিয়ে যাক আমাদেরে"
এটাই সুন্দর কথা।
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার কথাগুলো মন ছুঁয়ে গেল!
সত্যিই, বইয়ের ঘ্রাণ আর জ্ঞানের আলো আমাদের চিন্তা ও হৃদয়কে সমৃদ্ধ করে।
জ্ঞানচর্চার আমাদের এমন উদার আহ্বান পাঠকদের মধ্যে নতুন অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করবে।
চলুন, সবাই মিলে জ্ঞানের পথে এগিয়ে যাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:৩৬
নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:
মেলার পরিসর বড় তাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানই উপযুক্ত স্থান।