নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ পাঠক ও লেখক
স্থান নিয়ে গ্যরাকলে পরতে যাচ্ছে বই মেলা
জ্ঞান আর গল্পের পসরা নিয়ে চলছে খেলা
তবে বই তার পাতা খুলে, দেয় সবারে ডাক
আসো পাঠক, খুলে দাও হৃদয় ভরা ফাঁক।
শিশুরা আস দলে দলে, ছোট্ট হাতে ধর
মলাটে বাঁধা বইয়ের মধুর সুরের ধার
তারা জানে না হয়তো কত শত কিচ্ছা কথা
লুকানো আছে নিয়ে কত না অব্যক্ত ব্যথা ।
যদিও আজকের যুগে চলে প্রযুক্তির উত্তালতা
তবুও বইয়ের প্রেমেই হৃদয়ে বহে অস্থিরতা
কাগজের পাতায় আঁকা শব্দের বিশাল ধার
ভবিষ্যতের পথে পাঠায় চিন্তার গভীর ভার।
বই মেলা শুধুই একটি উৎসবের নাম নয়,
এ আমাদের স্মৃতি, আমাদের আত্মার পরিচয়
যতই ডিজিটাল হোক জীবন, ভরসা বইয়ের ভিতর
মলাটে বাঁধা পুস্তক পাঠে দুর হয় সব কালো আঁধার।
বই মেলা হোক যেখানেই,অভ্যাশমত বই পড়া চাই প্রতিদিন
মাঠের মেলায়, পথের ধুলায়, জ্ঞানের আলো থাকুক অমলিন
বাংলার গ্রামে, শহরে, পথে প্রান্তরে , ফসলের মাঠ নদীতীরে
বইয়ের পাতায় কোমল মতিরা স্বপ্ন গড়োক, মন খুলে প্রাণের দ্বারে।
স্থান নিয়ে তর্কবিতর্ক চলতেই পারে, হোক মেলা ছোট্ট কোন জায়গা জুড়ে
তবু বইয়ের ঘ্রাণে ভরে উঠুক হৃদয়, জ্ঞানের পথে নিয়ে যাক আমাদেরে
পশ্চিমে, পূর্বে, উত্তরে, দক্ষিণে,
বই মেলা এসে ছুঁয়ে যাক গাছের ছায়ায় সবুজ বাংলার জমিনে ।
শুধু মেলা নয়, পাঠ চাই প্রতিটি দিন,
প্রতিটি সন্ধ্যার আবাহনে
যেখানে পাঠক, সেখানেই মেলা,
বইয়ের গন্ধে জীবন লভুক বেহালায় রোমাঞ্চিত মনে।
বই পড়ার সাধনাটাই হোক আমাদের মূল আরাদ্ধ পাঠশালা,
পাঠের আলোই গড়বে মানুষের আশা, যেখানেই হোক মেলা
স্থানের লড়াই চলে চলুক, মনের মেলাতে জ্ঞান দিক ধরা
বইয়ের বন্ধনে গাঁথা থাকুক সবুজ বাংলার প্রতিটি পাড়া ।
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মতো বড় উন্মুক্ত স্থান বইমেলার জন্য উপযুক্ত হতে পারে। এ ধরনের স্থান নির্ধারণের
কিছু সুবিধা ও অসুবিধা নিচে আলোচনা করা হলো।
সুবিধাসমূহ
১।প্রবেশাধিকার সহজতর: উন্মুক্ত স্থানে মেলা হলে দর্শনার্থীরা সহজেই প্রবেশ করতে পারে এবং মেলার বিভিন্ন স্টলে ভিড় কম হয়।
২।বিস্তৃত স্থান: বেশি স্থান পাওয়ায় স্টল ও প্যাভিলিয়ন সহজে ছড়িয়ে রাখা যায়, যা বইয়ের প্রদর্শনী ও কেনাকাটার ক্ষেত্রে সুবিধাজনক।
৩।সামাজিক সংযোগ: উন্মুক্ত স্থানে মেলা আয়োজন করলে অনেক মানুষ একত্রিত হতে পারেন, যা সামাজিক সংযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়ক।
৪।প্রাকৃতিক পরিবেশ: উন্মুক্ত স্থানগুলোতে প্রচুর গাছপালা থাকে, যা পাঠকদের জন্য একটি আরামদায়ক ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করে।
অসুবিধাসমূহ
১.নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ: উন্মুক্ত স্থানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হতে পারে। অনেক দর্শনার্থীর উপস্থিতিতে অসুবিধা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
২.আবহাওয়া জনিত সমস্যা: বৃষ্টির সময় বইমেলা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত রোদ বা ঝড়ের প্রভাবও মেলার পরিবেশে প্রভাব ফেলতে পারে।
৩.পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা কঠিন: উন্মুক্ত স্থানে বেশি লোক সমাগমের কারণে পরিবেশ অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়তে পারে।
২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:৪২
আহরণ বলেছেন: এই স্বাধীনতা বিরোধী সরকার চায় না বই মেলা হোক। বরংচ, সিরাত মহফিল হলে কোন সমস্যা ছিল না, ভাইয়া?
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:১৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। তবে, আমি একটু অন্যরকম মত পোষণ করি। বইমেলা আমাদের সাংস্কৃতিক
ও মুক্তবুদ্ধির প্রকাশের একটি অতি মূল্যবান মঞ্চ, যা যুগের পর যুগ ধরে আমাদের চিন্তাধারাকে প্রসারিত করতে
সহায়ক হয়েছে। সরকারের সমর্থনেই প্রতিবছর বইমেলা সফলভাবে আয়োজন করা হয়, যা আমাদের কৃষ্টি ও
সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার একটি উৎসবমুখর উদ্যোগ।
এটা সত্য, বিভিন্ন অনুষ্ঠানই গুরুত্বপূর্ণ, তবে সিরাত মাহফিল কিংবা বইমেলা - দুটিই নিজ নিজ গুরুত্ব বহন করে।
সমাজের বিভিন্ন অংশের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতার মাধ্যমে এগিয়ে গেলে আমাদের সমাজ আরো সমৃদ্ধ হবে। আসুন,
সবাই মিলে সকল অনুষ্ঠানকে শ্রদ্ধা ও সমর্থন করে সামনে এগিয়ে যাই।
৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:২০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
হঠাৎ করে এই প্রশ্ন আসছে হেন?
নাকি সরকার চায় না বই মেলা হোক?
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:২২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । আশা করি মেলার আয়োজকেরা
বিচক্ষনতার পরিচয় দিবেন ।
৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৮
শাহ আজিজ বলেছেন: সোহরাওয়ারদী উদ্যান , চীন বাংলা মৈত্রী মাঠ , উত্তরার যে কোন বড় মাঠ । একজন প্রকাশক যে কোন ভেনুতে একটি স্টল পাবেন। এতে করে মিরপুর , উত্তরা , টঙ্গি গাজিপুরের দর্শক পাঠকরা বইমেলা থেকে বঞ্চিত হবে না ।
৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৫
শায়মা বলেছেন: আহা বইমেলার স্থান নিয়েও সংঘর্ষ শুরু হলো!
শেষে না বইমেলাটাই বন্ধ হয়ে যায়।
৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: আমাদের তারুন্যে বইমেলা হত কেবল বাংলা একাডেমিতে। ছোট্ট , গোছালো সেই বইমেলায় মান সম্পন্ন প্রকাশনী কেবল মানসম্পন্ন বই প্রকাশ করত। অমর সব কবি সাহিত্যিকদের জন্ম দিয়েছে সেই সময়কার বইমেলা। দারুন সব স্মৃতি রয়েছে আমাদের বইমেলা ঘিরে।
২০১৪ সাল থেকে বাংলা একাডেমির বিপরীতের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও স্টল বরাদ্দ দেওয়া শুরু হয়। মেলার পরিসর বেড়েছে , সেই সাথে ব্যাঙ এর ছাতার মত গজিয়েছে এক গাদা মানহীন প্রকাশনী ও মানহীন কবি লেখক। বই কিনতে কবি/লেখকদের নিল্লজ্জ আদেখলাপনা , সেজে গুজে মেলায় গিয়ে অনুরোধের ঢেকি গিলে বই কিনে ছবি তুলে ফেসবুকে দেয়া এবং বাসায় ফিরে না পড়েই এইসব বই ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলার নামই হচ্ছে বর্তমানে বইমেলা। মানহীন সব কবি/লেখকদের ভীরে প্রতিভাবানদের মূল্যায়নের সুযোগ এখন খুবই সীমিত।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবারের বইমেলা সেই পুর্বেকার মত কেবল বাংলা একাডেমিতে আয়োজনের অনুরোধ জানিয়েছিল। কিন্তু দেখলাম সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। ইন্টেরমিডিয়েট ফেল কুরুচি ধারার তৃ্তীয় শ্রেনীর মুভি নির্মাতা কাম বর্তমান সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোসতাফা সারোইয়ার ফারুকী জানিয়েছে বইমেলা সেই আগের মতই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই হবে !!!!! অযোগ্য লোককে পদে বসালে এমনটাই হবার কথা!!
৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০৯
আজব লিংকন বলেছেন: সামনের বছর আসতে এখনো অনেক দিন বাকি।। তার আগেই এই বিষয়ে কাউমাউ। আয় হায়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:৩৬
নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:
মেলার পরিসর বড় তাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানই উপযুক্ত স্থান।