![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ পাঠক ও লেখক
ধর্মের নামে একি রক্তের খেলা চেতনাহীন উন্মত্ত মঞ্চে
বিবেকের প্রদীপ যেন নিভে যাচ্ছে অদৃশ্য ঘন কুটচালে
শতাব্দীর সঞ্চিত মানবতার দীপ্যমান শিখা
অন্ধকারের আবরণে ঢেকে দিচ্ছে সম্প্রিতীর গৌরব গাথা।
গোপন লালসার দাবানলে পুড়ছে যেন গর্বিত ঐতিহ্য
অগণিত শহিদী আত্মার আর্তনাদ মিশে যাচ্ছে শূন্যতায়
ইতিহাসের অতলে হারিয়ে গিয়ে কেও খুঁজে সান্ত্বনার ভাষা
বিধ্বস্ত মনের করুণ কাব্যে বাজায় শুধুই বিষাদের রাগিণী।
স্বপ্নের ধূসর অপর প্রান্তরে বসে তুলে বুনো ঝড়ের হুঙ্কার
সেখানে কেবল তেজী পতাকায় জ্বলে বিভাজনের আগুন
মানবের দেহে আঁকা হয় ঘৃণার কুৎসিত কালো মরন কায়া
গদির লোভে মানবতার বদলে অস্ত্র হাতে মিছিলের খেলা ।
ওহে সাম্প্রদায়ীকতার পথচারী শুনতে কি পাও?
জীবনের সব মর্মরধ্বনি ঢেকে যায় দুস্কৃতির জ্বালায়
তোমাদের ঈশ্বর কি চেয়েছিলেন এমন মৃত্যুপ্রলয়
নাকি মিথ্যার সাগরে ডুবিয়েছ তোমাদের নিজ সত্ত্বাকেই?
তবুও কামনা করি জেগে উঠুক সম্প্রিতীর আশা সময়ের প্রবাহে
বিষবৃক্ষের বদলে মানবতার শিকড় থেকে অঙ্কুরিত হোক শান্তির বৃক্ষ
কোন বজ্জাত লজ্জার স্রোতে যেন ডুবতে না হয় আমাদের বারংবার
ঐক্যতানে রুখে দিয়ে সাম্প্রদায়িকতার হুঙ্কার, বাজাও সম্প্রিতীর ঝঙ্কার।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:১৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মানবতার সার্বজনীন মঙ্গলকে নির্দেশ করে। এমন একটি বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে
তোলার প্রয়াস আমাদের সবার দায়িত্ব, যেখানে প্রত্যেক ব্যক্তি, জাতি, এবং সম্প্রদায় সমান অধিকার ও মর্যাদা
পাবে। সম অধিকার নিশ্চিত করা কেবল ন্যায়ের প্রশ্ন নয়, এটি একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, এবং টেকসই সমাজ
গড়ার মূল ভিত্তি। আসুন, আমরা একসাথে কাজ করি একটি এমন পৃথিবীর জন্য, যেখানে বৈষম্যের দেয়াল ভেঙে
সহযোগিতা এবং সহমর্মিতার সেতু তৈরি হবে।
শুভেচ্ছা রইল
২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫
নতুন বলেছেন: মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এমন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে উঠতে হবে যেন এর সকল বাসিন্দা সম অধিকার প্রাপ্ত হয়।
ইউরোপের অনেক দেশেই এমন বাসিন্দা আছে যেখানে ধর্ম মানুষের উপরে আধিপত্য বিস্তার করেনা।
ধর্মগুলি শেখায় তাদের ধর্মই সেরা এবং অন্য ধর্মের মানুষের সাথে বন্ধু না হতে। ঝামেলা সেখান থেকেই শুরু হয়।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:২৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মুল্যবান মন্তব্যেটির জন্য ধন্যবাদ । মহাজাগতিক চিন্তার বিষয়ে উনার মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যে কিছু কথা হয়েছে বলা
যা অনুগ্রহ করে দেখা যেতে পারে উপরে । এখন তার মন্তব্যের প্রক্ষিতে আপনিউ বেশ গুরুত্বপুর্ণ ও ভাবনার মত
বিষয়ের অবতারনা করেছেন , যা বেশ গুরুত্ব দিয়া দেখার অবকাশ আছে ।
প্রথমত ধর্মের উপরে মানুষের আধিপত্যের বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও বহুমাত্রিক। ইউরোপের অনেক দেশেই
ধর্ম মানুষের জীবনে ব্যক্তিগত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবং রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক জীবনে ধর্মের প্রভাব তুলনামূলকভাবে
কম। এটি মূলত সেকুলার রাষ্ট্রব্যবস্থার একটি প্রভাব। তবে এর মানে এই নয় যে ইউরোপের সকল বাসিন্দা
ধর্মীয় প্রভাবমুক্ত। বরং তাদের অনেকেই ধর্মকে নৈতিকতা ও সংস্কৃতির উৎস হিসেবে দেখে থাকেন।
আপনার বক্তব্যের প্রথম অংশটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিকোণ তুলে ধরেছে—ধর্মের মধ্যে সেরা হওয়ার ধারণা।
অনেক ধর্ম সত্যিই নিজেদের বিশেষত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করে, যা অন্য ধর্মাবলম্বীদের সাথে বিভাজন তৈরি
করতে পারে। তবে এটিও সত্য যে বেশিরভাগ ধর্ম শান্তি, সহাবস্থান ও মানবিকতার কথা বলে।
এখানে বিপরীত যুক্তি হিসেবে বলা যেতে পারে, ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা বা চরমপন্থার কারণেই অধিকাংশ সমস্যার
সৃষ্টি হয়। এটি ধর্মের অন্তর্নিহিত শিক্ষা নয়, বরং মানুষের মনোভঙ্গি এবং রাজনীতি দ্বারা প্রভাবিত। ইউরোপে
ধর্মীয় সংঘাত কম হলেও ইতিহাস সাক্ষী যে সেখানেও মধ্যযুগে ধর্মের নামে প্রচুর সংঘর্ষ হয়েছে। তাই সমস্যাটি
ধর্মের নয়, বরং মানবজীবনে তার প্রয়োগের পদ্ধতির।
পক্ষান্তরে, ইউরোপের বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের শেখায় যে ধর্মের প্রতি সহিষ্ণুতা ও সমান মর্যাদা দিয়ে সামাজিক
ঐক্য স্থাপন করা সম্ভব। ধর্মীয় মতাদর্শকে ব্যক্তি পর্যায়ে সীমাবদ্ধ রাখলে এবং সকল ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন
করলে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সম্ভব বলে মনে করা যায় ।
শুভেচ্ছা রইল
৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮
জেনারেশন৭১ বলেছেন:
নবী মুসা (আ: ) যেই সময় জীবিত ছিলেন, তিনি কি আপনার মতো আধুনিক জ্ঞান লাভের সুযোগ পেয়েছিলেন? উনার সময়কালীন জ্ঞানের আলোকে তিনি মানব সভ্যতাকে ব্যাখ্যা করেছেন, যা আসলে পরবর্তী সময়ের জন্য সঠিক ছিলো না। আজকের মানুষ অনেক জ্ঞানী; আজকের মানুষ সভ্যতাকে যেভাবে ব্যখ্যা করছেন, ইহাই সঠিক। ফলে, ধর্ম ছিলো কমজ্ঞানী মানুষদের জীবন ভাবনা, যা আজকের জন্য অচল ও ক্ষতিকর।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:৫৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আমার পোষ্টে আপনার মহানুভব বিচরনের জন্য ধন্যবাদ ।
আপনার নীজ বিবেচিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রতিমন্তব্য লিখতে গিয়ে দেখা যায় যে সেটি অনেক লম্বা হযে গেছে ।
প্রতিমন্তব্যটি মার্বজনীনতার রূপ ধারণ করেছে বলে দেখা যাচ্ছে । কবিতার পোষ্টে পাঠক ভিউ কম , হযতবা বা
বিবিধ কারণে সামুতে পাঠক সমাগমের মন্তর গতিই এর মুল কারণ , অথবা লেখা কিংবা লেখদের মধ্যে বেশ
বড় ধরনের একটি মেরুকরণ হয়ে গেছে সাম্প্রতিক সময়ে । চেনা মুখ নাই বললেই চলে । যাহোক, আপনার
মন্তব্যের প্রেক্ষিতে লেখা মন্তব্যটির সাথে আরো কিছু কথা সংযোজন করে আগামীকাল নতুন একটি পোস্ট
প্রকাশের ইচ্ছা রাখি । সম্ভব হলে দেখে যাবেন ।
শুভেচ্ছা রইল
৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:০৯
শায়মা বলেছেন: অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে উঠুক!!!
ছবিটা অনেক সুন্দর ভাইয়া।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:৪৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ আপু, তোমার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। সত্যিই, অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন আমাদের সংস্কৃতির এক
অমূল্য রত্ন। আমরা যেন সবসময় এই বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে পারি।
ভালো থাকার শুভ কামনা রইল !
৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমরা শুধু বলব, কিন্তু নিজেরা কিছু করবো না।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:১২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পুণরায় এসে মুল্যবান একটি মন্তব্য রাখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ।
"আমরা শুধু বলব, কিন্তু নিজেরা কিছু করব না"এই মন্তব্যটি অনেকেরই ভেতরে গেঁথে থাকা এক কঠিন বাস্তবতাকে
তুলে ধরে। তবে, পরিবর্তনের শুরু সব সময়ই আমাদের নিজেদের থেকে হয়। আমরা যদি সকলে মিলে এক পা
এগোতে পারি, তবেই তো সমাজের চাকা এগিয়ে যাবে, দুর হবে সকল প্রকার অনিয়ম আনাচার ।
আপনার এই মন্তব্যটি আমাদের ভেতরে এক নতুন চিন্তার জন্ম দিয়েছে। হ্যাঁ, অনেক সময় আমরা শুধু বলেই ক্ষান্ত হই,
কারণ আমরা মনে করি, আমাদের একার কিছু করার ক্ষমতা নেই। কিন্তু, একটি মোমবাতি যদি একা অন্ধকার ঘরে
আলো দিতে পারে, তবে আমরা কেন পারব না? আমরা যদি সকলে মিলে একে অপরকে অনুপ্রাণিত করি, একে
অপরকে সহযোগিতা করি, তবে কি পরিবর্তন সম্ভব নয়?
যে কাজটি আমরা নিজেদের করতে চাই না, তা অন্য কারও কাছে আশা করা কীভাবে যৌক্তিক হতে পারে? তাই
আসুন, প্রথম পদক্ষেপটি আমরা নিজেরা নেই। এটি হয়তো ছোট হবে, কিন্তু প্রতিটি ছোট কাজই একদিন বড়
পরিবর্তনের ভিত্তি স্থাপন করে।
যদি আমরা নিজেদের বলার পরিবর্তে করার জন্য প্রস্তুত করি, তবেই এই পৃথিবী একটু বেশি সুন্দর, একটু বেশি
সহনশীল হয়ে উঠবে। আসুন, আজই শুরু করি। কারণ মহৎ কোন কাজ করার জন্য নীজ ইচ্ছা শক্তির চেয়ে
শক্তিশালী আর কোনো বার্তা নেই।
শুভেচ্ছা রইল
৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৪৩
জটিল ভাই বলেছেন:
ধর্ম সংস্কৃতিকে পৃথক করতে আসেনি। বরং, মানুষই সংস্কৃতিকে পৃথক করতে ধর্মকে ব্যবহার করে চলেছে
কবিতাটি সাধারণ হয়নি ♥♥♥
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:৪৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মুল্যবান মন্তব্যটির জন্য ধন্যবাদ ।
৭| ১৮ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: "বিষবৃক্ষের বদলে মানবতার শিকড় থেকে অঙ্কুরিত হোক শান্তির বৃক্ষ" - আপনার এ প্রত্যাশার সাথে একমত। যদিও সেটা সুদূরপরাহত বলেই মনে হয়।
"আগামীকাল নতুন একটি পোস্ট প্রকাশের ইচ্ছা রাখি" - আপনার সেই ইপ্সিত পোস্টটি তো আর এলো না, আলী ভাই!
ছবিটার সূত্র কী?
২৬ শে জুন, ২০২৫ রাত ২:৪৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পরম শ্রদ্ধেয় খায়রুল আহসান ,
আসছালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু ,
বিলম্বিত উত্তর দানের জন্য ক্ষমা চাচ্ছি ।
আপনার সর্বশেষ পোস্টে গত ১৮ই মে একটি মন্তব্য রেখেছি ।
সেটা দেখলাম এখনো আপনার দেখা হয়ে উঠেনি ।
আশা করি ভাল আছেন ও ব্যস্ততার ভিতর দিয়ে যাচ্ছেন।
বিবিধ ধরনের ব্যস্ততার কারণে সে লেখাটিতে তেমন ভগ্রগতি হচ্ছেনা ।
ছবিটি ইন্টারনেট হতে প্রাপ্প্ত সেখানে ছবিটির সুত্র উল্লেখ নেই ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৩২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
তারিখ: ২১-০৪-২০২৫
ভাই সাহেব,
সালাম নিবেন। আশা করি ভালো আছেন। বেশ কিছুদিন যাবত আপনার অনুপস্থিতি দেখে আপনার খোঁজ করছি। ভাবছি রক্ত হিম করা কিছু ভয়ের গল্প লিখবো। আমাদের সময়ে রাত বিরাতে প্রবল ভয়ে হাত পা শীতল হয়ে যেতো। একবার পূর্ণিমার রাতে লেবু বাগান হতে লেবু পাড়তে গিয়ে ভয়ংকর দৃশ্য দেখে আমার পা মাটিতে আটকে গিয়েছিলো। সেই গল্প লিখবো ভাবছি। ভাবছি গল্পে আমার স্থানে আপনার নাম বসিয়ে দিলে কেমন হয়? তাই আপনাকে প্রয়োজন।
ভাই সাহেব ব্লগে এলেই আপনার কথা স্মরণ করি। আল্লাহপাকের কাছে আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
ইতি আপনার ভাই,
ঠাকুরমাহমুদ
ঢাকা, বাংলাদেশ
২৬ শে জুন, ২০২৫ রাত ৩:৩৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ভাই সাহেব
ওয়ালাইকুম ছালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু ।
বিলমম্বিত উত্তরের জন্য দু:খিত । তবে এই ফাকে আমি অবশ্য আপনার বেশকটি পোস্ট দেখে এসেছি ।
রাত বিরাতে কোন কিছুতে আমি তেমন ভয় পাইনা । রাত বিরাতে প্রবল ভয়ে হাত পা শীতল হয়ে যাওয়ার ঘটনাও
তেমন নেই যদিও ঘণ অমাবশ্যা কিংবা পূর্ণীমা রাতে ভনেক ভয়ংকর কিছু দৃশ্য দেখেছি । তখন রাতকে আমি
সহজেই আপন করে নিই, ভয় আমাকে খুব একটা স্পর্শ করে না। কখনো কখনো অমাবস্যার গা ছমছমে নীরবতা
কিংবা পূর্ণিমার রহস্যময় আলোয় অদ্ভুত কিছু দৃশ্য বা ছায়া দেখে একধরনের শিহরণ জাগে বটে, তবে তা ভয়ের
চেয়ে বিস্ময়েই বেশি ভরপুর।
এইতো বছর কয়েক আগে গ্রামের বাড়ীতে গিয়েছিলাম । রাত তখন গভীর, ঘুম আসছিল না ।
ঘড়িতে প্রায় তিনটা বাজে। চারপাশ নিস্তব্ধ। অমাবস্যার রাত, চাঁদের আলো নেই, শুধু ঘন কালো অন্ধকার,
যেন শূন্যতা চারদিকে হাহাকার করছে। ঘুম না আসায় মনে হলো ঘরের বইরে পুকুর পার ধরে একটু
হাটাহাটি করে আসি ।
আগেই বলেছি রাতবিরাতে আমি সহজে ভয় পাই না। এই সময়টাতে বাইরে বেরোতেও কুণ্ঠা নেই। তবে
বলতে দ্ধিধা নেই , সেদিন হঠাৎ একটা শিহরণ বয়ে গিয়েছিল শরীরজুড়ে।
পুরনো সেই আমাদের বাড়ীর বড় পুকুর পাড়ের ধার ঘেসে থাকা বটগাছ পেরিয়ে যাচ্ছি, সেই বট গাছ নিয়ে
একটা সময় নানা গুজব শুনতাম, "ওখানে নাকি কেউ থাকে"। আমি পাত্তা দিতাম না।
কিন্তু সেদিন দেখলাম অন্ধকারের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিল একটা ছায়া।
নড়ছে না, হাঁটছে না, শুধু দাঁড়িয়ে আছে।
কাছে যেতে যেতে মনে হলো, যেন সেই ছায়া আমারই দিকে চেয়ে আছে।
হাত-পা একটু শীতল হয়ে এলো, অজান্তেই গতি কমে গেল।
তবুও সাহস করে আরও এক পা বাড়ালাম।
আর ঠিক তখনই একটা পাতা খসে পড়ল মাথার ওপরে।
চমকে উঠে তাকালাম, কেউ নেই। ছায়াটাও নেই।
কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম। ধীরে ধীরে ভয় কাটল। ভাবলাম, হতে পারে রাতের খেলাই তো! ছায়া, বাতাস,
গাছের নড়াচড়া, এই নিয়েই তো রাতের রহস্য।
ঘরে ফিরে এসে আমার সেই পুরনো লেখাটা মনে পড়ল“পরশপাথর প্রাপ্তি”যেখানে এইরকমই এক অদ্ভুত
রাতের ভুত দেখার অভিজ্ঞতা লিখেছিলাম।
তখনও জানতাম না , রাত মানেই অন্ধকার নয়, তবে অভিজ্ঞতায় জানলাম
রাত মানে অনেক সময় এক অপূর্ব বিস্ময়, যা শুধু সাহসীদের চোখে ধরা দেয়।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
৯| ২৭ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:২৬
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
ভাইয়া ঘুমাতে যাচ্ছিলাম। তোমাকে দেখে দাঁড়ালাম। কেমন আছো ভাইয়ামনি?
২৬ শে জুন, ২০২৫ ভোর ৫:১৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বিবিধ ধরণের মহা ব্যস্ততা সাথে শারিরিক অসুস্থতার কারণে ব্লগে নিয়মিত হতে পারছিনা বলে
তোমার এই মন্তব্যটি দেখা হয়ে উঠেনি এতদিন ।
আজকে এসে এই মন্তব্যটিসহ নব বর্ষ উপলক্ষে তোমার লেখা পোস্টটি দেখে আসলাম।
কেমন আছ ভাইয়ামনি প্রসঙ্গে কেমন করে বলি , বিবিধকাজে ব্যস্ততা যেমনি বাড়ছে তেমনি কাবু
করে ফেলছে শারিরিক অসুস্থথা। তারপরেও ইদানিং এক নব কাব্যগাথায় মজেছি । মাস কয়েক পুর্বে
মসজিদে এশার জামাতে ইমামের কণ্ঠে মধুর কাব্যিক ছন্দে কুরান তেলাওয়াত শুনে মনে এক ছন্দের
শিহরণ বয়ে যায় । মনে হল কোরআনের প্রতিটি আয়াতের আলোকে প্রতিটি আয়াত অনুসরণে
একটি করে ছন্দময় কবিতা রচনা করলে কেমন হয়। যেমনই ভাবা তেমনই কাজ । শুরু করে দিলাম
এই নিয়ে কবিতা লেখা ।
খুবই কঠিন কাজ । তবু পণ করে ফেলেছি সম্পর্ণ কুরান শরীফের প্রতি আয়াতের আলোকে লিখব
ছন্দময় কবিতা । করব প্রকাশ বই আকারে । আল্লার নাম নিয়ে করলাম লেখা শুরু ।
ইতিমধ্যে সুরা বাকারার ২৮৬ টি আয়াতের প্রতিটির আলোকে লেখা হয়ে গেছে ছন্দময় কবিতা। প্রথমে আরবী ,
সাথে বাংলা ও ইরেজীতে অনুবাদ ( বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য পুস্তক থেকে সঙকলিত ), পরে তার আলোকে প্রথমে
বাংলা পদ্যানুবাদ সাথে ইংরেজীতেও পদ্যানুবাদ ( এখানকার ইংলিশভাষী বাংলিশদের অনুরূধে) । তাই
অনেক ব্যস্ততা ও শারিরিক অসুস্থতার মাঝে মনে হয় কবিতা লেখা নিয়েই এখন বেঁচে আছি । এইতো
আজকে আমাদের ছবি রানী কাজী য়াতেমা ছবির একটি কবিতা পাঠে সেখানকার কবিতার শেষ ছত্র-
যেখানে বলা হয়েছে গোপন এক ঔষধ কেবলি কবিতায় বেঁচে আছি পাঠান্তে তারি মত করে সেখানে
কাব্যকারে যে মন্তা্ব্যটি লিখে এসেছি , এখানে তোমার জানতে চাওয়া কেমন আছি প্রসঙ্গক্রমে তা
সেখান হতে তুলে এনে জুরে দিলাম এখানে, তাহলে কিছুটা বুঝতে পারবে কেমন আছি ।
সত্যিই কেবলি কবিতার হাতে বাঁচি
ঔষধের পথ আমি ছাড়িয়ে এসেছি
হাসপাতালের ঘ্রাণও ভুলে গিয়েছি
চিকিৎসার ছকে বাঁধা যে জীবন
সে জীবন আজ কবিতায় করি বর্ণন।
শরীর ক্লান্ত, মনেও নানাবিধ ঝড়
তবু এক আশ্রয় কেবল ছন্দের পর
প্রতিটি পংক্তি যেন স্নেহের ছোঁয়া
ভালোবাসা দিয়ে হৃদয়ে বোনা।
লাগেনা কোনো বড়ি, না ইনজেকশন
আছে শুধু ভাবনার কোমল মৃদু স্পন্দন
মনের গহীনে বসে থাকে যে সাথী
সে কবিতাই তো মোর হোমিওপ্যাথি।
ব্যথার রাতে কবিতার হাত
তুলে ধরে স্বপ্নের শান্ত বারাত
হৃদয়ের তৃষ্ণায় পিপাসার জল
কবিতাই আমার বাঁচার ফল।
জীবন যদি হয় নীভু আলোয় দগ্ধ বাতি
তাহলে কবিতাগুলি সেই নিঃশব্দ সাথি
ঔষধ নয় সেরে উঠি ফজরে রোজ ভোরে
নতুন আলোয় সাজানো পথ বুনে ছন্দের সুরে।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এমন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে উঠতে হবে যেন এর সকল বাসিন্দা সম অধিকার প্রাপ্ত হয়।