নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগে প্রকাশিত লেখাকে ‘গার্বেজ’ আখ্যা দেওয়া: বৈজ্ঞানিক যুক্তিমুলক মূল্যায়ন নয়

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৮


ইন্টারনেট যুগে জ্ঞানচর্চা ও তথ্যবিনিময়ের প্রধান মাধ্যমগুলোর একটি হলো ব্লগ।ব্লগে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা , গবেষনা , গল্প , কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ , নিবন্ধ , ফিচার , ছবিব্লগ, ভ্রমন কাহিনী প্রভৃতি প্রকাশ পায়, এবং বহুমাত্রিক পাঠকসমাজ সেগুলি থেকে উপকৃত হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে, অল্প বোধগম্যতা কিংবা ব্যক্তিগত অস্বস্তি থেকে কেউ কেউ এসব জ্ঞানগর্ব বা চিন্তাকেন্দ্রিক লেখাকে “গার্বেজ” বলে অবজ্ঞা করছেন। এই ধরনের মন্তব্য এবং ক্ষেত্র বিশেষে কারো নাম উল্লেখপুর্বক পোস্টও প্রকাশ করা হয় , তা শুধু বুদ্ধিবৃত্তিক পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না; বরং জ্ঞানের মৌলিক মূল্যবোধকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে। বৈজ্ঞানিক যুক্তিতর্ক অনুসারে কেন এমন মূল্যায়ন বিভ্রান্তিকর তার কয়েকটি দিক এখানে বিশ্লেষণ করা হলো।

১. “গার্বেজ” শব্দটি মুলত কোন বৈজ্ঞানিক যুক্তিমুলক মূল্যায়ন নয় এটি একটি আবেগজনিত প্রতিক্রিয়া।
কোন লেখার উপর সমালোচনার মূল নীতি হলো:-
যে দাবি করা হচ্ছে, তা প্রমাণ/যুক্তি নির্ভর কি না?
ক্ষেত্রবিশেষে তার যুক্তিগুলো কতটা যাচাইযোগ্য বা গ্রহনযোগ্য ?
কিন্তু “গার্বেজ” শব্দটি এমন কোনো বিশ্লেষণ দেয় না। এটি কেবল আবেগ-নির্ভর, বিষয়টিকে বোঝার চেষ্টাহীন একটি প্রতিক্রিয়া। পাঠকের বোঝাপড়ার ঘাটতি থাকলেও লেখাটি ‘ব্যর্থ’ হয় না; বরং পাঠককে নতুন করে চিন্তা করতে আমন্ত্রণ জানায়। বিজ্ঞানেও একই নীতি যথা কোয়ান্টাম মেকানিক্স, টপোলজি অথবা জেনেটিক্স প্রভৃতি সংক্রান্ত কোন কিছুর আলোচনা অস্পষ্ট জটিল বা বোধগম্যহীন বা খ্রান্ত বলে মনে হলেও সেগুলোকে “গার্বেজ” বলা যায় না, কারণ ভ্রান্ত হলেও সেগুলির বৈজ্ঞানিক যুক্তি তর্ক থাকে ।

২. কগনিটিভ লোড থিওরির আলোকে পাঠক বোধের সীমাবদ্ধতা
শিক্ষাবিজ্ঞানের Cognitive Load Theory দেখায়, জটিল ধারণা প্রথমবার পড়লে মানুষের মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হতে পারে। তখন অনেকেই বিষয়টিকে ভুল বা “অকার্যকর” মনে করেন। কিন্তু এর মানে এই নয় যে লেখাটি খারাপ; বরং পাঠকের তথ্য প্রক্রিয়াকরণে আরও সময় বা অভ্যাস প্রয়োজন।
অর্থাৎ, কারো জন্য কঠিন হওয়া = লেখাটি গার্বেজ
এটি একটি মারাত্বক বিভ্রম, যা নিজেদের সীমাবদ্ধতাকে লেখকের উপর চাপিয়ে দেওয়ার সমান।

৩. ব্লগে ভদ্রজনোচিত যে কোন লেখাই একটি তথ্য-ইকোসিসটেম সৃষ্টি করে
একটি লেখাকে গার্বেজ তথা মূল্যহীন বলার আগে দেখতে হবে, সেটির ইনফরমেশন ভ্যালু কী:
এটি নতুন ধারণা দিচ্ছে কি?
এটি কোনো কল্যানমুখী দিক নির্দেশ করছে কি?
এটি পাঠককে নতুন চিন্তাভাবনার দিকে ঠেলে দিচ্ছে কি?
ব্লগে ভদ্রজনোচিত ভাষায় কল্যানকামী যে কোন গল্প কবিতা উপন্যাস, প্রবন্ধ, ফিচার প্রভৃতি সাধারণত জ্ঞানতাত্ত্বিকভাবে মূল্যবান। তথ্যবিজ্ঞান বা ভাববোধক কথাসমৃদ্ধ কোনো লেখা যদি জটিল ধারণাকে প্রসারিত করে যথা আঁধারের মাঝেও আলো থাকে , এ ধরনের কাব্যিক কথামালার মধ্যে একটি উচ্চ semantic density থাকে। কারণ “আধারের মাঝেও আলো থাকে “ কবিতার এই কথাগুলির ব্যাপক ভাব সম্প্রসারন রয়েছে যা নীজস্ব চিন্তাশক্তি প্রয়োগ করে বুঝতে হয়। একজন দক্ষমাঝি যেমন তার পালের নৌকাকে অনুকুল কিংবা প্রতিকুল বায়ু ব্যবহার করে তার গন্তব্যের পথে চালিত করতে পারেন তেমনি উচ্চ semantic density যুক্ত লেখাকে নিম্ন বোধগম্য পাঠক “গার্বেজ” বললেও, বৈজ্ঞানিক মানদণ্ডে এটি আসলে আরও অনেক উন্নত।

৪.কোন সমালোচনা বৈজ্ঞানিক হতে হলে যুক্তি চাই, নিন্দা নয়
বৈজ্ঞানিক সমালোচনার চারটি ভিত্তি রয়েছে:-
১. সুনির্দিষ্ট বক্তব্য
২. যাচাইযোগ্য প্রমাণ
৩. যৌক্তিক বিশ্লেষণ
৪.প্রাসঙ্গিকতা
কিন্তু “গার্বেজ” মন্তব্য এগুলোর কোনোটাই পূরণ করে না।এটি আসলে একটি Argumentum ad Hominem অর্থাৎ ব্যক্তি বা লেখার চরিত্রকে আক্রমণ করা, তার বিষয়বস্তুকে না বুঝেই।
এটি সমালোচনা নয়; এটি বুদ্ধিবৃত্তিক আলসেমি।

৫.ব্লগে জ্ঞানগর্বমুলক যেকোন লেখার অস্তিত্বই বুদ্ধিবৃত্তিক বৈচিত্র্যের লক্ষণ
উদাহরন হিসাবে একটি নমুনা নীচে তুলা ধরা হল ;

এই সামু ব্লগে সাম্প্রতিক প্রকাশিত “আঁধারের মাঝেও আলো আছে” শীর্ষক একটি কবিতায় কিছু পঙতিতে বলা হয়েছে -

মানুষের কষ্ট, ব্যথা, হাহাকার
তাকে শেখায় আরও মমতা
ব্যথার মাঝেও জন্ম নেয় তখন
আলোর পথে চলার দৃঢ়তা।

অন্ধকারের প্রতিটি দিন
এক নতুন আলোকের জন্ম দেয়
সহমর্মিতার ছোট্ট প্রদীপ
মানুষের মনেই জ্বলে জ্বলে ওঠে।

শেষমেশ জীবন শেখায় আমায়
অন্ধকারেরও আছে ঘোষণা
যেখানে রাত হয় ঘনীভূত
সেখানে ভোরেরই উন্মেষ রচনা।

তাই আলো খুঁজতে চাইলে আগে
নিজেই হতে হয় আলোর মতো
কারণ, ঘন আঁধারেও আলো থাকে
সে আলো জাগে মানুষের অন্তর তলে।

তাই প্রতিদিন একটি আয়াত
কিংবা একটি ধর্মবাণী কিংবা
নীতি কথা পাঠ ও অনুসরণ
অন্তরে ঘটাবে আলোর বিস্ফোরণ
মানব সমাজ দেশ পাবে সুশাসন।

সেই লেখাটিতে থাকা পুর্বাপর লেখাগুলি পাঠ কিংবা আমলে না নিয়ে
কবিতাংশটির মাত্র দুটি লাইন তথা –

তাই প্রতিদিন একটি আয়াত
কিংবা একটি ধর্মবাণী

এই গুটি কথক কথার সুত্র ধরে লেখক বা লেখাকে গার্বেজ বলা খুব একটি বিজ্ঞতাসুলভ আচরণ নয় ।
কারণ সমালোচক আরো একটু কষ্ট করলে পরের লাইনেই দেখতে পেতেন বলা হয়েছে-
নীতি কথা পাঠ ও অনুসরণ

“নীতি কথা পাঠ ও অনুসরণ” একটি বহুমাত্রিক উপলব্ধি
“নীতি কথা পাঠ ও অনুসরণ” কেবল নৈতিক বাণী পড়া নয়; এটি মানুষের জ্ঞান, চেতনা, আচরণ ও সামাজিক কাঠামোকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে এমন এক সমন্বিত প্রক্রিয়া।
বৈজ্ঞানিকভাবে, নীতি-শিক্ষা মানব মস্তিষ্কের নির্বাহী কার্যকলাপকে (executive functions) পরিশীলিত করে, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, Self-regulation এবং আচরণ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয়। দার্শনিক দৃষ্টিতে, নীতিকথা মানুষের অস্তিত্ব, কর্তব্য, ন্যায় অন্যায়ের সীমা ও জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ভাবতে শেখায়। যুক্তিক বিশ্লেষণ এ ধারণাকে আরও দৃঢ় করে, কারণ নীতি অনুসরণ মানেই সত্য-মিথ্যা পৃথক করতে যুক্তি প্রয়োগ, প্রমাণ বিচার এবং বিবেক-নির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণ। ধর্মনৈতিক দৃষ্টিকোণে, নীতি কথা মানব চরিত্র, পরহিতব্রত, ন্যায়পরায়ণতা ও সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাসের আলোকে জীবনকে শুদ্ধ পথে পরিচালনার দীক্ষা দেয়।

অতএব, “নীতি কথা পাঠ ও অনুসরণ” মানবজীবনে নৈতিক বিকাশের পাশাপাশি জ্ঞানবিজ্ঞান, দর্শন, যুক্তি ও ধর্মনৈতিকতার এক সুসমন্বিত পথরেখা যা ব্যক্তিকে শুদ্ধ চরিত্র, সুশৃঙ্খল সমাজ ও অর্থবোধক জীবনযাপনের দিকে এগিয়ে নেয়। তাই এ ধরণের জ্ঞান গর্বমুলক একটি কথা বলার নিমিত্ত কাওকে নবুয়তি লাভের মত বাক্যবাণে বিদ্ধ করার প্রয়োজন হয়না, কেননা এ কথা বলার জন্য সামান্য জ্ঞান বুদ্ধি সমপন্ন হলেই চলে ।

গবেষণা দেখায়, যেসব সমাজে জটিল, বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনার সুযোগ বেশি, সেসব সমাজের উদ্ভাবন, নৈতিকতা ও চিন্তার গভীরতা বেশি হয়। ব্লগের মতো খোলা প্ল্যাটফর্মে যদি চিন্তার উচ্চতার জন্য লেখাকে গার্বেজ বলা হয়, তাহলে সম্পূর্ণ প্ল্যাটফর্মেই Anti -Intellectualism ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে।Anti-Intellectualism শেষ পর্যন্ত জ্ঞানবিস্তারকে দমন করে যা কোনো সমাজের জন্যই মঙ্গলজনক নয়।

৬. সামু ব্লগের মত প্রগতিশীল একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দেখায় চ্যালেঞ্জিং লেখা প্রগতির ইন্ধন
মানব সভ্যতার আদি থেকে আজ পর্যন্ত, প্রতিটি যুগান্তকারী চিন্তাই প্রথমে “অতিরঞ্জিত”, “অপ্রয়োজনীয়”, বা “বোঝা কঠিন” বলে আখ্যা পেয়েছে।কিন্তু সময় প্রমাণ করেছে-
জটিল চিন্তা = জ্ঞানের বিবর্তন।
ব্লগের জ্ঞানগর্ব লেখা পাঠককে স্থিরতায় রাখতে নয়, বরং আরো জানতে বা প্রশ্ন করতে প্রলুব্ধ করে যাতে তারা বাধ্য হয় প্রশ্ন করতে, শিখতে, এবং ভাবতে উদ্যোগী হয় ।
এই প্রলুব্দতাই জ্ঞানবিকাশের চালিকা শক্তি।

পরিশেষে বলতে চাই, জ্ঞানচর্চার প্রধান উদ্দেশ্য হলো মানুষকে চিন্তা করানো, প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করানো, এবং বোধকে প্রসারিত করা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আজকের তথ্যবিস্ফোরণের যুগে বিশেষ কথক পাঠক আছেন যারা নিজেদের বোধের সংকীর্ণতাকে ঢাকতে গিয়ে ব্লগের জ্ঞানগর্ব, গবেষণাভিত্তিক বা চিন্তামূলক লেখাগুলোকে নির্দ্বিধায় “গার্বেজ” বলে অপমান করেন মর্মে দেখতে পাওয়া যায়।
এই অভিযোগ শুধু অযৌক্তিকই নয়, এটি এক ধরনের অজ্ঞতার প্রদর্শনী।

ব্লগের জ্ঞানগর্ব লেখাকে “গার্বেজ” বলা বিশেষজ্ঞতা নয়; এটি একটি বোধগত সংকীর্ণতা। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে জ্ঞানের মান নির্ধারিত হয় যুক্তি, তথ্য, বিশ্লেষণ ও প্রাসঙ্গিকতার ভিত্তিতে, কোনো ব্যক্তিগত অস্বস্তি বা বোঝাপড়ার সীমার ভিত্তিতে নয়। তাই জ্ঞানের প্রসার ঘটে এমন কোন জ্ঞানগর্ব লেখাকে ‘গার্বেজ’ বলা: যুক্তিহীনতার এক বিপজ্জনক লক্ষণ।

এমতাবস্থায়, যে কোন অযৌক্তিক গার্বেজ জাতীয় কথামালার বিপক্ষে দাঁড়ানো কেবল লেখকের মান রক্ষার প্রশ্ন নয়; এটি জ্ঞানচর্চার সামগ্রিক পরিবেশ রক্ষারও দায়িত্ব। একজন অতি সাধারণ বয়োবৃদ্ধ ব্লগারের দায়বদ্ধতার প্রেক্ষাপটে এই লেখাটির অবতারনা ।

সকলের প্রতি শুভেচ্ছা ও সুখী সমৃদ্ধ জীবনের জন্য দোয়া তথা প্রার্থনা রইল ।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০

নজসু বলেছেন:


আস সালামু আলাইকুম প্রিয় ভাই। আশা করি আল্লাহতায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন।

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৭

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনার চমৎকার লেখাটিকে ভালো না বলে উপায় আছে। সত্যি চমৎকার লিখেছেন গার্বেজ আখ্যা নিয়ে।

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৫

নজসু বলেছেন:







আপনার লেখাটির বিষয়বস্তু ভালো লাগলো প্রিয় ভাই। এই প্রথম একমাত্র আপনি এই বিষয়টি উপস্থাপন করলেন। আপনি অত্যন্ত শান্তভাবে, ঠান্ডা মাথায় এবং যুক্তিসম্মত কথাগুলো বলেছেন। আমারও মনে হয় কোনো লেখা জটিল, গভীর বা ধর্ম-নীতিবোধ সম্পর্কে (বিশেষ করে ইসলামিক) হলেই সেটিকে গার্বেজ বলে অপমানিত করা ঠিক নয়। লেখার মান বিচার করার নিয়ম আছে। যুক্তি, প্রাসঙ্গিকতা, ব্যাখ্যা ও তথ্য এসব দিয়ে বিচার হওয়া উচিত। কিন্তু ব্যক্তিগত বোধের সীমা বা অস্বস্তি দিয়ে সেই মানদণ্ড বিচার করলে তা হবে হাস্যকর।

সম্পূর্ণ লেখাটার বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে, যেখানে আপনি বলেছেন একজন লেখকের কঠিন বা চিন্তাশীল লেখা পাঠকের ধৈর্য্য, মনোযোগ ও ভাবার ইচ্ছা চায়। সবাই তো আর সবকিছু একইভাবে বুঝবে না। তাই বলে সেটা বোঝার ক্ষমতা নেই বলে বা মেনে নেয়া অসম্ভব বলে সেটা গার্বেজ হবে এই প্রবণতা আসলে এই ব্লগের মতো জ্ঞানচর্চার পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

প্রিয় ভাই ধর্ম, নীতিকথা বা আধ্যাত্মিকতার কোনো উল্লেখ থাকলেই লেখাটিকে বাতিল করার প্রবণতা অযৌক্তিক। আপনি যেভাবে উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছেন যে পুরো লেখার ধারাবাহিকতা না বুঝে মাত্র দুই লাইন ধরে সমালোচনা করা অন্যায়ের শামিল। যারা এটা করে তারা আসলেই বুঝদার পাঠক নাকি ইসলাম বিরোধী সেটা সত্যিই ভাবার মতো।

যাইহো, সব মিলিয়ে, আপনার লেখাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে আমার আছে। আপনার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলতে চাই ব্লগে যেন যুক্তিভিত্তিক পাঠ, ভদ্র সমালোচনা ও জ্ঞানবিনিময়ের সংস্কৃতি বজায় থাকে। আরও আগে ব্লগস্পেসে এই ধরনের কথা বলা প্রয়োজন ছিল। দেরিতে হলেও আপনি সেটি খুব স্থির ও পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেছেন, প্রতিবাদ করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

আপনার সুস্থতা এবং মঙ্গল কামনা করছি। আপনি এবং আপনার পরিবারের সবার জন্য অন্তরভরা দোয়া রইলো। দোয়া করবেন আমার জন্য। ব্লগের সবার জন্য শুভকামনা ও দোয়া। শুভ ব্লগিং।

৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: টেনশান নিয়েন না। আপনার এই যুক্তিনির্ভর লেখাটা আটলান্টিকের ওই পাড়ে বসবাসকারী গলুর মাথার দশহাত উপর দিয়ে যাবে এবং সে এটাকেও যথারীতি গার্বেজ বলবে!!! =p~

৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:২২

নতুন বলেছেন: আপনি অযাথাই সময় নস্ট করলেন ভাই। যে অন্য কারুর লেখাকে গার্বেজ বলে তার জ্ঞানে অভাব আছে, নতুবা কারুর লেখাতেই গার্বেজ বলতো না। ভালো ভাবে সমালোচনা করতো।

৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৮

যারীন তাসনীম আরিশা বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে মুগ্ধ হলাম।

৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১৮

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: .
জনাব, আস্‌সালামুআলাইকুম।
আপনি এই গার্বেজকে নিয়ে আপনার জীবনের এতগুলা সময় নষ্ট করে লিখলেন? এইগুলারে লাথির উপর রাখতে হয়।

৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:২৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এখানে তো দুই ল যুক্ত বদ
তারা জ্ঞানে পরিপূর্ণ আর অন্যরা লিখে গার্বেজ
কথাটা শুনলেই মেজাজ খারাপ হয়।

৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:২৫

সুলাইমান হোসেন বলেছেন: সাধারন একটি শব্দ নিয়ে যে বিশ্লেষন আপনি আপনি করেছেন তা অসাধারন।আপনার ধৈর্য এবং বিনয় প্রশংসাযোগ্য।

গার্বেজ শ্বটা এই ব্লগে গুটিকয়েক ব্লগার ব্যাবহার করে,ব্লগারদের আত্মবিশ্বাস বিনষ্ট কররার জন্য।জেনারেশন একাত্তর নামক একজন ব্লগার শ্বদটি ব্যাবহার করেন।এবং তিিনি মনে করেন,এতে সংশ্লিষ্ট ব্লগার লেখা ছেড়ে দিবে অথবা লেখার মান এবং মানষিকতা পরিবর্তন করবে।
অনেক ভালো গঠনমূলক লেখাকে তিনি গার্বেজ বলে থাকেেন।এতে বোঝা যায় তিনি চোখে নীল চশমা পরে হয়তে লেখা পাঠ করেন,

যাইহোক উক্ত ব্লগারের গার্বেজ বলার কারনে লেখক বিরক্ত হয়না,কারন লেখক জানে যিনি লেখাটিকে গার্বেজ বলেছেন,তিনি কোন মকাম এবং মর্যাদা্র ব্লগার।
যদি কোনো লেখাকে একজন ডক্টরেট বা পি এইচ ডি ডিগ্রি ধারি ব্যাক্তি গার্বেজ বলে, তাহলে লেখক চিন্তিত হয়ে পড়বে,কারন, তখন লেখাটি সত্যিই গার্বেজের আওতায় াআসবে।

কিন্তু জেনারেশন একাত্তরের মতো একজন কলুর বলদ যখন একটি লেখাকে গার্বেজ বলেন তখন সেটা হাস্যকর হবে।
ধন্যবাদ,আবারও আপনার টাইপিং দক্ষতা এবং ধৈর্যের প্রশংসা করছি

১০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:২৬

অধীতি বলেছেন: যিনি বা যারা গার্বেজ বলে তারা নিজেদের দিকটা দেখেনা। আমাদের দেশের মুরুব্বিদের বড় একটা অংশ বয়সে বড় বিধায় নিজেদের অনেক জানাশোনা জ্ঞানী লোক মনে করে। ব্লগ হচ্ছে একজন লেখকের জন্য আদর্শ জায়গা। লেখক এখানে নিজেকে ভাঙ্গে, গড়ে লেখায় বৈচিত্র আনে। অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন গোছালো একটা প্রতিবেদনের জন্য।

১১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪২

কোমলমতিরপ্যাদানি বলেছেন: রানু আর তার উস্তাদ সবসময় মনে হয় চোলাই মদের উপ্রে থাকে, নাইলে এরাম উলটাপালটা কমেন্ট আর পোস্ট করে ক্যাম্নে :-*

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.