![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথমেই বলি আমি বাঙ্গালী না, ভাল বাংলা বলতে পারিনা। যশোরে আমার এক বন্ধু আছে, যে আমাকে প্রায়ই বলে আমি বাঙ্গালী হয়ে, বাংলাদেশী হয়ে কেন ভাল বাংলা বলতে পারিনা।
আমি বলি, আমি বাংলাদেশী বটে কিন্তু বাঙ্গালী না। আমার মাতৃভাষা বাংলা না। আমার মাতৃভাষা সিলেটী। সিলেটি ভাষা কোন আঞ্চলিক বা উপভাষা নয় ব্যাপারটা অনেকে বুঝতে চায়না বা বুঝেনা। এমনকি অনেকে বিশ্বাসও করেনা। কারণ, এব্যাপারে যথেষ্ট গ্যাপ রয়ে গেছে। ব্যাপারটা নিয়ে উল্লেখযোগ্য একাডেমিক পর্যালোচনাও হয়নি। তাই সহজে কাউকে দোষারোপ করাও যায়না। এমনকি আমাদের সিলেটি লোকজনেরও এব্যাপারে যথেষ্ট তথ্য ও জ্ঞানের অভাব রয়েছে।
আজকে আমরা সিলেট তথা বৃহত্তর সিলেট বলতে বাংলাদেশের প্রশাসনিক অঞ্চল "সিলেট বিভাগ" এর অধীনস্থ সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ এই চারটি (০৪) জেলাকেই বুঝি। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের এই চারটি জেলা সহ বরাক উপত্যকার বিস্তির্ন জনভূমি নিয়েই বৃহত্তর সিলেট গঠিত ছিলো। আর সিলেটি ভাষা আজকের ভারতের আসাম রাজ্যের শিলচর, করিমগঞ্জ, কাছাঢ়, হাইলাকান্দি, মনিপুর রাজ্যের জিরিবাম এবং বাংলাদেশের সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সিলেটের পার্শ্ববর্তী আরো কয়েকটি জেলা পর্যন্ত বিস্তৃত। এখনো বরাক উপত্যকার প্রায় সকল মানুষই সিলেটি ভাষায় কথা বলে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ২০ মিলিয়ন (২ কোটি) লোক এই সিলেটি ভাষায় কথা বলে।
সিলেট নৃতাত্ত্বিক, ভৌগলিক এবং ঐতিহাসিকভাবে আসামের অংশ ছিলো, ভাষাগত দৃষ্টিকোণ থেকেও সিলেটী এবং অসমীয়া একই ঘরানার। সিলেট ভৌগোলিক ভাবে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির সাথে সম্পৃক্ত হবার ইতিহাস খুবই সাম্প্রতিক। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময়ই রেফারেন্ডামের মাধ্যমে সিলেট পাকিস্তানের সাথে অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তানের সাথে সংযুক্ত হয়। অর্থাৎ রাজনৈতিক কারনে সিলেট তার ভৌগোলিক পরিচয় হারিয়ে বিলিন হয়ে যায় পূর্বতন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি তথা পূর্ব পাকিস্তান তথা আজকের বাংলাদেশের সাথে।
তাই বলে কি সিলেটি লোকজনও বাঙ্গালী হয়ে গেলো? সিলেটের নিজস্ব কৃষ্টি কালচার ও সংস্কৃতি তাও হারিয়ে গেলো?
বিশ্বায়নের এই যুগে পরিবর্তনের হাওয়া লাগলেও সিলেটি সংস্কৃতি এখনো অম্লান, সিলেটি ভাষায় অনেকের অস্বস্তি থাকলেও এখনো ঠিকে আছে সিলেটি ভাষা। সিলেটি ভাষার লিখিত রুপ, নাগরি হরফে পঠন-পাঠনের ব্যাপক প্রচলনের জন্য সামাজিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। আমরা চাই নাগরি হরফে সিলেটি ভাষার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। চাকমা জন গোষ্ঠী তাদের ভাষার স্বীকৃতি পায়, তাদের ছেলে সন্তান তাদের ভাষায় প্রাথমিক স্থরে সরকারি বই পায়। আমরা এটাকে সাধুবাদ জানাই। সিলেটি ভাষাকেও একই ভাবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া হোক। আমাদের অনাগত প্রজন্ম প্রাথমিক স্থরে সিলেটি ভাষায় যেন প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করে সেই ব্যবস্থা করা হোক।
সিলেটের পথে পথে, স্থানে স্থানে আসাম সংশ্লিষ্ট অনেক কিছুই এখনো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, সেটা ক'জনেরই বা নজরে আসে!
সিলেটের ট্রেডমার্ক হলো ঐতিহাসিক ক্বীন ব্রিজ, এটা চালু করেছিলেন আসাম প্রেসিডেন্সির গভর্নর উইলিয়াম ক্বীন, তার নামেই আজও পরিচিত এই ব্রিজটি ক্বীন ব্রিজ নামে। ঐতিহ্যবাহী এম,সি কলেজ, সিলেট এর বর্তমান শিক্ষক মিলনায়তন ভবন এর গোড়াপত্তন করেছিলেন আসাম প্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী। আমরা ক'জনই বা এসব খবর রাখি।
আমার আজকের এই নিবন্ধের উদ্দেশ্য এই নয় যে, সিলেটিদের অসমীয়া প্রমাণ করা।
আমার উদ্দেশ্য সিলেটিরা বাঙ্গালী নয়, এটাই প্রমাণ করা, এবং সিলেটি ভাষা, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও স্বকীয়তা ধরে রাখার জন্য উৎসাহিত করা। সিলেটি একটি জাতির নাম তা স্মরণ করে দেয়া।
জানা যায়, "সিলেট নগরের বন্দর বাজারস্থ ইসলামিয়া প্রেস থেকে নাগরি পুঁথি প্রকাশিত হতো। তবে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনারা হামলা চালিয়ে প্রেসটি ধ্বংস করে দেয়। এরপর থেকে নাগরি লিপির পুঁথি প্রকাশ ও চর্চা পুরোপুরিই বিলুপ্ত হয়ে যায়।"
বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠার অন্যতম লক্ষ্য ছিলো ভাষা ও সংস্কৃতির স্বকীয়তা রক্ষা করা। স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী হয়েই গেলো প্রায়, বাংলা একাডেমী কি আমাদের অর্থাৎ সিলেটি ভাষার স্বকীয়তা রক্ষায় কোন ভূমিকা পালন করছে? সিলেটি ভাষার স্বকীয়তা ও সৌন্দর্য রক্ষায় বাংলা একাডেমির দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ দেখছিনা। আমি আশা করি অচিরেই বাংলা একাডেমি সিলেটি ভাষার সৌন্দর্য ও স্বকীয়তা রক্ষায় যথাযথ উদ্যোগ নিবে।
এব্যাপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র মহোদয়কে একটি ধন্যবাদ দিতেই হয়। সিলেট কোর্ট পয়েন্ট এ একটি স্থম্ভ স্থাপন করে নাগরি হরফ তথা সিলেটি বর্ণে সাজিয়েছেন এবং ঐতিহাসিক এই কোর্ট পয়েন্টকে "নাগরি চত্বর" নাম দিয়েছেন, যা অবশ্যই আশা জাগানিয়া এবং সাধুবাদ পাবার যোগ্য।
বাংলাদেশের সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, যুক্তরাজ্যের লন্ডন, বার্মিংহাম, ভারতের আসাম রাজ্যের শিলচর, করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি, মনিপুর রাজ্যের জিরিবাম সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নাগরি পূনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান আছে।
আমি আশাকরি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বোধোদয় হবে, সিলেটি ভাষা একটি স্বতন্ত্র ভাষা হিসাবে তালিকাভুক্ত হবে। কেননা, যে বাংলাদেশ বায়ান্ন'র ভাষা আন্দোলনের সাংস্কৃতিক ভীতের উপর দাড়িয়ে আছে, সেই বাংলাদেশ অন্যান্য সকল ভাষার যথাযথ মর্যাদা দিবে বলেই বিশ্বাস করি।
ব্রিটেনে বাংলা ভাষার পাশাপাশি সিলেটি ভাষাও একটি স্বতন্ত্র ভাষা হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছে যার ফলে সেখানকার এই প্রজন্ম মাতৃভাষা শিক্ষার সু্যোগ পাচ্ছে। বাংলাদেশেও আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে মাতৃভাষায় শিক্ষালাভের সুযোগ পায় সেই ব্যবস্থা যাতে করা হয় সেই আশা করি।
২| ১৬ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: সিলেটের ভাষা সুন্দর আগে না। শ্রুতি মধুর না।
৩| ১৬ ই মে, ২০২০ রাত ৯:১৫
হবা পাগলা বলেছেন: সিলেটে প্রাচীনকাল হতে বাংলার অন্যান্য অঞ্চলের মত বাংলা লিপিতে লেখালেখি হলেও মধ্যযুগে ইসলামের আগমনের পর বাংলার পাশাপাশি সিলেটি নাগরী লিপি প্রচলিত হয়। তবে বর্তমানে নাগরী লিপি তেমন চোখে পড়ে না, লেখার জন্য এখন শুধু বাংলা বর্ণমালাই ব্যবহৃত হয়। ভারতের বিহার রাজ্যের কৈথী লিপির সঙ্গে সিলেটি নাগরী লিপির সম্পর্ক রয়েছে। যদিও এর প্রকৃত উৎপত্তি সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি। তবে সর্বপ্রাচীন খোঁজ পাওয়া পাণ্ডুলিপিটি আনুমানিক ১৫৪৯ অথবা ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি সময়ে লেখা। (যদিও পাণ্ডুলিপিতে তারিখ লিপিবদ্ধ ছিল, কিন্তু লেখা থেকে তা পরিষ্কার নয়)
সিলেটি নাগরী লিপিতে ৩৩টি হরফ বা বর্ণ রয়েছে। এর মধ্যে স্বরবর্ণ ৫টি, ব্যঞ্জনবর্ণ ২৭টি, অযোগবাহবর্ণ বা ধ্বনিনির্দেশক চিহ্ন ১টি।
সিলেটিরা দৈনন্দিন জীবনে সিলেটি ভাষা ব্যবহার করলেও সকল দাপ্তরিক কাজে প্রমিত বাংলা ব্যবহার করেন। বাংলা ভাষার একটি সমৃদ্ধ উপভাষা হল সিলেটি। এই ভাষার ইতিহাসও সুপ্রাচীন।
৪| ১৬ ই মে, ২০২০ রাত ৯:১৬
হবা পাগলা বলেছেন: সিলেটি ভাষার ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, এ ভাষার প্রচলন শুধু সিলেটেই সীমাবদ্ধ নয়, ভারতের আসাম, ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ের বহু সংখ্যক লোকের মুখের ভাষা সিলটী। এটি একটি প্রাচীন ভাষা তাতে কোন সন্দেহ নেই। গবেষক সৈয়দ মোস্তফা কামাল ও অধ্যাপক মুহম্মদ আসাদ্দর আলীর মতে জটিল সংস্কৃত-প্রধান বাংলা বর্ণমালার বিকল্প লিপি হিসেবে ‘সিলটী নাগরী’ লিপির উদ্ভাবন হয়েছিল খ্রিষ্টীয় চতুর্দশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে। গবেষকদের ধারণা, ইসলাম প্রচারক সুফী দরবেশ এবং স্থানীয় অধিবাসীদের মনের ভাব বিনিময়ের সুবিধার জন্যে নাগরী লিপির উদ্ভাবন হয়েছিল। এই নাগরী বা সিলেটি ভাষা শুধু ভারত বা বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ নয়, ক্রমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিস্তৃতি লাভ করেছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সিলেট অঞ্চল এবং ভারত ছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য দেশে এ ভাষা ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাত লক্ষেরও বেশি। বৃহত্তর সিলেটের বর্তমান জনসংখ্যা এক কোটি। লন্ডনের সিলেটি রিসার্চ এন্ড ট্রেন্সলেশন সেন্টারের উদ্যোগে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, সিলেট অঞ্চল সহ সমগ্র বিশ্বে বর্তমানে এক কোটি ষাট লক্ষ মানুষের মুখের ভাষা হচ্ছে সিলেটি।
৫| ১৬ ই মে, ২০২০ রাত ৯:১৬
হবা পাগলা বলেছেন: এই লিপির উৎস সম্পর্কে পরস্পর-বিরোধী বিভিন্ন ধারণামূলক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। সাধারণ ধারণা হলো সিলেটের মুসলমানরাই এই লিপির উদ্ভাবক, তবে তুলনামূলক নিচু জাতের লোকেরা এই লিপির চর্চা করতেন। আবার ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের মতে, বিখ্যাত ধর্মীয়-পরিব্রাজক জনাব শাহ জালাল [রহ.] ত্রয়োদশ-চতুর্দশ শতাব্দিতে যখন সিলেট আগমন করেন, তিনিই এই লিপি সাথে করে নিয়ে এসেছিলেন। নাগরী লিপিতে রচিত বিপুল সংখ্যক এবং সিংহভাগ সাহিত্যকর্মই সুফিবাদ অনুসরণ করে বলে এই ধারণা অমূলক মনে হয় না। অন্যদিকে ড. আহমদ হাসান দানীর মতে, আফগান শাসনের সময়, অর্থাৎ আফগানরা যখন সিলেটে অবস্থান করতেন, ঐ সময়ই তাঁদের দ্বারা এই লিপির উদ্ভব ও বিকাশ ঘটে। এই মতকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয় আফগান মুদ্রায় উল্লেখিত লিপি, যার সাথে সিলেটি নাগরীর কয়েকটি বর্ণের মিল রয়েছে। তাছাড়া সিলেটে আফগান অভিবাসীও সংখ্যায় অনেক ছিলেন। এই দুই ব্যাখ্যা সিলেটি নাগরীর উদ্ভবের ইতিহাস হিসেবে প্রাধান্য পেলেও আরো যেসব মতামত প্রচলিত আছে সেগুলো হলো:[৩]
দেবনাগরীর সঙ্গে যেহেতু সিলেটবাসী পরিচিত ছিলেন, তাই দেবনাগরীর আদলেই এই লিপি সিলেটিরা তৈরি করে নিয়েছিলেন;
প্রতিবেশী নেপাল ইত্যাদি দেশ থেকে আগত বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মাধ্যমে এই লিপি সিলেটে উদ্ভাবিত হয়;
সম্ভবত সপ্তদশ-অষ্টাদশ শতাব্দিতে বিহার যুক্তপ্রদেশ থেকে আগত মুসলমান সিপাহী ও বিদেশাগত মুসলমানদের সুবিধার জন্য সিলেটি নাগরী লিপির সৃষ্টি হয়[৪]
যৌক্তিকতা কিংবা উৎস নির্দেশ না করেই বলা হয় কোনো এক সুচতুর মুসলমান মুসলিম জনগণের মধ্যে সাধারণ লেখাপড়া চালু করার নিমিত্তে বাংলা লিপি থেকেই এই নাগরী লিপি তৈরি করে নেন। এটা মূলত লৌকিক বিশ্বাস।[৫]
তবে সব মতামত যাচাই করে বিশেষজ্ঞগণ সাকুল্যে তিনটি মতকেই প্রাধান্য দিয়েছেন: শাহ জালালের [রহ.] সময়ে তাঁর অনুসারীদের দ্বারা, আফগান শাসনামলে আফগানদের দ্বারা কিংবা দোভাষী পুঁথির সমান্তরালে সিলেটেই এর সূত্রপাত।[৩]
৬| ১৬ ই মে, ২০২০ রাত ৯:১৭
হবা পাগলা বলেছেন: ধর্মীয় ভাবকে পুঁজি করে যেখানে এই লিপির জন্ম, সেখানে ধর্মীয় সাহিত্য রচিত হওয়ার পাশাপাশি সিলেটি নাগরী স্থান করে নিয়েছিল সিলেটিদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কার্যাকার্যে। এই লিপিতে লেখা হয়েছে চিঠি, হিসাবপত্র, এমনকি সরকারি দলিল-দস্তাবেজের মার্জিনে সাক্ষীরা স্বাক্ষরও করেছেন। তৎকালীন বিভিন্ন প্রসিদ্ধ সাহিত্য হালতুননবী, জঙ্গনামা, মহব্বতনামা, নূর নছিহত, তালিব হুছন ছাড়াও রচিত হয়েছে চিকিৎসাশাস্ত্র, জাদুবিদ্যার পুস্তক। রচিত হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কবিতা। সিলেটি আঞ্চলিক শব্দ ও বাক্যভাণ্ডার দিয়ে রচিত লেখনী ছাড়াও অ-সিলেটি, অ-বাংলা রচনাও রচিত হয়েছে সিলেটি নাগরী লিপিতে। তবে প্রতিষ্ঠানবিরোধী চরিত্র এই লিপির জন্ম থেকে সম্পৃক্ত ছিল বলে কখনও বিদ্যায়তনে আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় পাঠ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি এই লিপি। তবুও সাধারণ্যের সরল জীবনে ছড়িয়ে যেতে এই লিপির বাধা পেতে হয়নি।[৩] এমনকি বাংলা লিপিতে লেখা জানতেন না এমন অনেক স্বল্প শিক্ষিত কিংবা অশিক্ষিত ব্যক্তি নাগরী লিপিতে লিখতে জানতেন কিংবা স্বাক্ষর করতে পারতেন।
৭| ১৬ ই মে, ২০২০ রাত ৯:১৭
হবা পাগলা বলেছেন: সিলেটি নাগরী লিপির কোনো কম্পিউটার ফন্ট ছিল না। পরবর্তিতে ১৯৮০'র দশকের শেষাংশে ফকির আবদুল ওহাব চৌধুরীর উত্তরপুরুষ যুক্তরাজ্যপ্রবাসী জলিল চৌধুরী তাঁর ভাতিজা এনায়েত চৌধুরীকে দিয়ে সিলেটি নাগরী লিপির একটি কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরি করিয়ে নেন। তাঁরা এই সফটওয়্যার দিয়ে সিলেটি নাগরী লিপি শিক্ষার একটি পুস্তিকাসহ আবদুল ওহাব চৌধুরীর বেশ কিছু বইও প্রকাশ করেন। ওদিকে যুক্তরাজ্যস্থ সংগঠন সিলেটি ট্রান্সলেশন এ্যান্ড রিসার্চ (STAR)-এর জেমস লয়েড উইলিয়ামস ও ড. সু লয়েড উইলিয়ামস দম্পতি, এবং রজার গোয়েন নাগরী লিপির জন্য আলাদাভাবে আলাদাভাবে পৃথক দুটি সফ্টওয়্যার তৈরি করেন। তবে উদ্ভাবিত সিলেটি নাগরীর সফ্টওয়্যার ও ফন্টগুলো পাশাপাশি নিলে STAR কর্তৃক প্রণীত "New Surma" ফন্টটিই সিলেটি নাগরীর সাথে যথেষ্ট সাজুয্যপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ফন্টের বাঁকা (italic) রূপটিই মূল সিলেটি নাগরীর সবচেয়ে কাছাকাছি।[৩]
৮| ১৬ ই মে, ২০২০ রাত ৯:১৮
হবা পাগলা বলেছেন: copy paste from Wikipidea
https://bn.wikipedia.org/wiki/সিলেটি_নাগরী
https://bn.wikipedia.org/wiki/সিলেটি_ভাষা
৯| ১৬ ই মে, ২০২০ রাত ৯:৪৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এই ফোস্ট কিতার লাগি?
১০| ১৬ ই মে, ২০২০ রাত ১০:১৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
সিলেটি ভাষা যেমন বাংলা ভাষা থেকে আসেনি।
তেমনি, বাংলা ভাষাও সংস্কৃত ভাষা থেকে উৎপত্তি হয়নি।
বাংলা ও সিলেটি ভাষা দু'টি ভিন্ন হলেও, আমরা এখন এমন একটি দেশের নাগরিক যেখানে সব ভাষার সম্মান রয়েছে।
মানুষের প্রয়োজনে অনেক ভাষা বিলুপ্তি লাভ করেছে। যেমন- নাগরী ভাষার এখন আর কোন প্রয়োজন নেই। এটা বুঝতে হবে।
১১| ১৬ ই মে, ২০২০ রাত ১০:২০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হবা পাগলা সিলোটি ভাষা বিশারদ নি !!
অনেক কিছুই জানেন !! শুভেচছা আপনােরে
উভয়কে।
১২| ১৬ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: সিলেটিরা নাকি ঘোড়া কে ঘুরা বলে।
১৩| ১৬ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৫৮
হবা পাগলা বলেছেন: Click This Link
১৪| ১৬ ই মে, ২০২০ রাত ১১:০১
হবা পাগলা বলেছেন: ওহে মন বুইদধি জদি থাকে তর মাজে।
মিলিওনা তুমি কভু নাদান শমাজে।
নাদান জাহেল জারা মুরখ জগতের।
ভালো কাম নাহি ফলে ছহবতে তাদের।
জাহিল হইতে শদা তফাত রহিবে।
তার শাতে দুস্তি কইলে বিপদে ঠেকিবে।
দুস্ত নাদান থাকি দুশমন দানা।
শত গুনে ভালো হএ কি দিব তুলনা।
১৫| ১৬ ই মে, ২০২০ রাত ১১:২৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: আলী আল মাসুদ,
সিলেট এর মানুষ "বাঙালী" নয় মানলুম কিন্তু বাঙালী তাহলে কারা? চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, চাপাইনওয়াবগঞ্জ, বরিশাল ইত্যাদি সব এলাকারও তো নিজস্ব ভাষা আছে, হয়তো আলাদা বর্ণমালা নেই তাই বলে কি তারাও বাঙালী নন ? এদের সবারই আলাদা আলাদা সংস্কৃতিও আছে। সেই হিসেব ধরলে আমরা কেউই বাঙালী নই। তবে কি কেবলমাত্র উচ্চারিত ও ব্যবহৃত ভাষার অক্ষরলিপি থাকলেই আলাদা জাতি হিসেবে গণ্য হবে? আর সিলেটি অক্ষরলিপিও আদি -অকৃত্রিম নয়, দো-আঁশলা, তিন- আঁশলা। তাহলে সিলেটিরা কোন জাতি বলে গণ্য হবে?
সহ ব্লগার হবা পাগলা বেশ তথ্য-উপাত্ত দিয়ে মন্তব্য করেছেন, ভালো লাগলো পোস্টে এই সমৃদ্ধতা।
১৬| ১৭ ই মে, ২০২০ রাত ১২:৪৩
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: হাচন রাজার গান গুলোতো সিলেটি ভাষায়।বাংলার মতোইতো মনে হয়। সিলেটের অনেক বড় বড় সাহিত্যক ও রাজনৈতিক নেতা আছে তারাতো কোনদি এমন বক্তব্য দেন নাই।নতুন বক্তব্য মনে হলো।প্রতিটি জেলার কথ্য ভাষাতেই কিছুটা সাতন্ত্র আছে।
১৭| ১৭ ই মে, ২০২০ সকাল ১০:২৯
কল্পদ্রুম বলেছেন: আমার এক বন্ধু সিলেটি না হয়েও নাগরি লিপি নিয়ে আগ্রহী হয়ে পড়েছিলো।সিলেটি ভাষাকে কেন স্বতন্ত্র ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি এটা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলো।আমি ভেবেছিলাম আপনার পোস্টে এর উত্তর পাবো।
১৮| ১৭ ই মে, ২০২০ রাত ১০:২৫
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: আফনে কইছুনঃ
আমার আজকের এই নিবন্ধের উদ্দেশ্য এই নয় যে, সিলেটিদের অসমীয়া প্রমাণ করা।
আমার উদ্দেশ্য সিলেটিরা বাঙ্গালী নয়, এটাই প্রমাণ করা,
---বাক্কা কতা, আপনে তাইনেরা-অর্থাৎ হক্কল ছিলটিরাই ইতা মনে করে---তবে আফনেরা মনে-ফ্রানে পুয়া-পুরি, বুড়া-বুড়ি হক্কলেই ছিলটি পরিচয়ে গর্বিত বাট বিলাত যাইবার লাগিয়া ইংরাজি শিকিলাউ, মাগার নাগরী শিকত্া পারো নাই, আর ফারতও নায়, তুমরা সিলটিরা নন-সিলটিদের আবাদি বলো এবং অপছন্দ করো মনে মনে, যদি তুমরা অল-রাউন্ডার শিক্খিত হইতা-(তোমাদের সকল অফিস আদালত যদি নিজেরা চালাইতে পারতা-তাহলে তোমরা নবীগ্ঞ্জ ব্রীজের গোরায় ইমিগ্রেশন পোস্ট বসাইতা) তুমরা যতটা না সিলেটি ততটা নিজেদের ভিনদেশি মনে কর--এটা দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকেই বলা)। অনেকেই সুন্দর তথ্য সহ মন্তব্য করেছে, তাতে অনেক সত্যই উঠে এসেছে, আমি বাংগালী পরিচয়ে বেশি সম্মান বোধ করি, পৃথিবীর একমাত্র মাতৃভাষা যা প্রতিষ্ঠায় বুকের রক্ত ঝরেছে।
১৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:২৮
আলী আল মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ সিলেটি ট্রাই করার জন্য
২০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:২৯
আলী আল মাসুদ বলেছেন: পৃথিবীর সব ভাষাই সুন্দর।
২১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৩০
আলী আল মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ এতো পরিশ্রম করে প্রায় সকল তথ্য সরবরাহ করার জন্য।
২২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৩১
আলী আল মাসুদ বলেছেন: পোস্টেই উল্লেখ আছে পোস্টের উদ্দেশ্য সম্পর্কে।
২৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৩২
আলী আল মাসুদ বলেছেন: ঘোড়াকে ঘোড়াই বলে আর ঘূর্ণনকে ঘুরা বলে।
২৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৩৬
আলী আল মাসুদ বলেছেন: ভাষা মানুষের সংস্কৃতিরই একটা অংশ। কোন ভাষারই বিলুপ্তি কাম্য নয়। বরং সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ আবশ্যক।
২৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৩৯
আলী আল মাসুদ বলেছেন: সিলেটি ভাষা কোন আঞ্চলিক ভাষা নয়, এটা একটা পূর্ণাঙ্গ ভাষা।
২৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৪২
আলী আল মাসুদ বলেছেন: সিলেট নিয়ে আপনার হয়তো খারাপ কোন অভিজ্ঞতা আছে। আমি আপনার মতামতের সাথে সহমত নই। আমার বক্তব্যের মূলকথা বাংলাদেশি, বাঙ্গালী নয়।
২৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৪৪
আলী আল মাসুদ বলেছেন: গুগল করলে সহজেই প্রাচীন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির মানচিত্র পেয়ে যাবেন। বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অধিবাসীরাই বাঙ্গালী, অন্যরা নয়।
২৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৪৬
আলী আল মাসুদ বলেছেন: বঙ্গের সাথে সিলেটের সংযুক্তির ইতিহাস খুবই সাম্প্রতিক। প্রাচীন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অধিবাসীরাই বাঙ্গালী আর সিলেটিরা সিলেটি, জাস্ট এটুকুই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মে, ২০২০ রাত ৮:১১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ইতা কিতা বাথ মাতো রে বা ।