![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ,নিজের সম্পর্কে পরিচয় দেয়া্র তেমন কিছু নেই স্নাতোত্তর পাশ করার পর বর্তমানে একটি ছোটখাটো ব্যবসা নিয়ে আছি,আর অবসর পেলে নিজেকে নিয়ে ভাববার চেষ্টা করি,জানি না কেন লিখি! তবু লিখি মনের খেয়ালে, পরিবর্তন করার মানসে, পরিবর্তিত হওয়ার মানসে। যদিও জানি সব ব্যর্থ হচ্ছে। তবুও আমি আছি সেদিনের সেই আলোকময় প্রত্যুষার আগমনের অপেক্ষায়-আলিম আব্দুল্লাহ
বিছমিল্লাহির রাহ মানির রাহীম
সকল প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার যিনি সৃষ্টি করেছেন নদ-নদী,পাহাড় –পর্বত আরও কত কি? হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে,মহানবী (সঃ)বলেন,যে ব্যক্তি চল্লিশটি হাদীস মুথস্থ করে আমার উম্মতের কাছে পৌঁছে দিবে কেয়ামত দিবসে সে ব্যক্তি আলেম হিসাবে গণ্য হবে এবং তারর উপর কোন রোগ ব্যধী, বালা মুছিবত আসবেনা ।
1। আমেনুল মোমেনিন ওমর ইবনে খাত্তা...ব (রঃ) হতে বর্ণিত,রাসূল (সঃ) এরশাদ করেছেন,সমস্ত কাজের ফলাফল তো নিয়ত অনুযায়ী। প্রত্যেক ব্যক্তি যা নিয়ত করেছে তা সে পাবে।[সহীহ বুখারী, মুসলিম 1907 ]
2। ওমর ইবনে খাত্তাব (রঃ) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সঃ) এরশাদ করেছেন,প্রত্যেক মুসলমানের উপর মুসলমানের পাঁচটি অধিকার রয়েছে।
যথাঃ(ক)সালামের জবাব দেওয়া। (ঘ)দাওয়াত গ্রহণ করা।
(খ)রোগীর দেখাশোনা করা। (ঙ)হাঁচির জবাব(ইয়ারহামুকুল্লাহ বলা)।(বুখারী ও মুসলিম)
(গ)জানাজায় অংশগ্রহণ করা ।
3।রাসূল (সঃ) এরশাদ করেছেন, চোখের জেনা হলো ইচ্ছা করে মহিলার দিকে খারাপ দৃষ্টি দেওয়া আর কানের জেনা হলো কান দিয়ে গান বাজনা শুনা (বুখারী শরীফ) ।
4। রাসূল (সঃ) এরশাদ করেছেন,কবরের আযাব থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাও ।অন্য হাদীসে বলেছেন প্রশ্রাবের অপিবত্রতা থেকে বেঁচে থাক নিঃসন্দেহে অধিকাংশ কবরের আযাব পেশাবের অপিবত্রতা থেকে না বাঁচার কারণেই হবে (মোশকাত শরীফ)।
5। রাসূল (সঃ) বলেছেন, মানুষ মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য ইহাই যথেষ্ঠ যে যা শুনে তা যাচাই না করে অন্যকে দোষারোপ করা শুরু করে (মুসলিম শরীফ)।
6। রাসূল (সঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি হালালভাবে সুন্নাত মোতাবেগ চলবেআর নিজের খারাপী হতে মানুষকে নিরাপদ রাখবে সে বেহেশতী (তিরমিযি শরীফ)।
7। মহানবী(সঃ)বলেছেন,যে ইচ্ছা করে আমার উপর মিথ্যা বলবে তার ঠিকানা জাহান্নাম (বুখারী)
8। রাসূল (সঃ)এরশাদ করেছেন,প্রকৃত মুসলমানসেই যার জিহবা ও হাত হতে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে (বুখারী ও মুসলিম)।
9। মহানবী (সঃ)এরশাদ করেছেন,যে ব্যক্তির ফরজ গোশলের এক বিন্দু পরিমাণ জায়গা শুকনা থাকে তাকে দযেগে জ্বলানো হবে ( আবু দাউদ ও আহমদ শরীফ)।
10। আবু হোরায়রা (রঃ) হতে বর্ণিত,তিনি বলেন,রাসূল (সঃ) এরশাদ করেছেন,আমি তোমাদেরকে যে বিষয় নিষেধ করেছি তা থেকে বিরত থাক,আর যে সব বিষয়ে আদেশ করেছি যথাসম্ভব সেগুলো পালন কর (বুখারী 7288 মুসলিম 1337)।
11। রাসূল (সঃ) এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি দুই রাকাত নামায নিভূলভাবে মন হাজির করে আদায় করবে আল্লাহ তায়ায়া তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দিবেন (আহমদ শরীফ)।
12। নবী করিম (সঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে নামায ছেড়ে দিবে সে কাফের হয়ে যাবে (বুখারী শরীফ) ।
13। রাসূল (সঃ) এরশাদ করেছেন, যখন তোমরা আযান দিতে শুনবে মুয়াজ্জিনের মত তোমরাও শব্দগুলো বলবে এবং আমার উপর দরুদ পড়া শুরু করবে (মুসলিম শরীফ) ।
14। রাসূল (সঃ) এরশাদ করেছেন, যে ঘরে কুকুর বা মুর্তি ছবি আছে সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করবে না (বুখারী ও মুসলিম) ।
15। মহানবী (সঃ)এরশাদ করেছেন, পুরুষের নামায হবে না যদি সে রুকূ সেজদাতে গিয়ে পিঠ সোজা না রাখে(তাই রুকূতে গিয়ে মহিলাদের মত হাঁটু সামনের দিকে রাখবেনা এবং হাত বোগলের সাথে মিলিয়ে রাখবেনা বরং পিঠ, মাথা, এবং কোমর সোজা করে রাখতে হবে)অনুরূপ সেজদাতে গিয়ে হাত বোগলের থেকে জমিনের থেকে পৃথক থাকবে (তিরমিযি শরীফ)।
16। রাসূল (সঃ) এরশাদ করেছেন,যে ব্যক্তি প্রতি নামাযের পর আয়াতুল কুরসী পড়বে সে ব্যক্তি মৃত্যুর সাথে সাথে জান্নাতে প্রবেশ করবে (মিশকাত ও ইবনে কাসির )।
17। রাসূল (সঃ) এরশাদ করেছেন,যে ব্যক্তি জোহরের ফরজের আগে ও পরে সবসময় চার রাকাত নামাজ পড়বে দোজগের আগুন তার জন্য হারাম হয়ে যাবে (আহমদ, তিরমিযি শরীফ)।
18। রাসূল (সঃ) এরশাদ করেছেন,আমার উম্মতের মধ্যে (আমলদার)আলেম,হাফেজ,ও তাহাজ্জুদ গুজরাই সবচেয়ে বেশি সম্মানিত (মিশকাত শরীফ)।
19।আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ“যে ব্যক্তি আল্লাহকে ও আখেরাতকে বিশ্বাস করে, তার হয় উত্তম কথা বলা উচিত অথবা চুপ থাকা উচিত। আর যে ব্যক্তি আল্লাহকে ও আখেরাতকে বিশ্বাস করে, আপন প্রতিবেশীর প্রতি তার সদয় হওয়া উচিত। আর যে ব্যক্তি আল্লাহকে ও আখেরাতকে বিশ্বাস করে, আপন অতিথিকে তার সম্মান করা উচিত।”
(বুখারীঃ ৬০১৮, মুসলিমঃ ৪)
20। রাসূল (সঃ) এরশাদ করেছেন,যে ব্যক্তির সর্বশেষ কথা ‘লা ইলাহা ইল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলাল্লাহ’ হবে সে জান্নাতী (মুসলিম শরীফ)।
21। রাসূল (সঃ) এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখে এরপর শাওয়ালের মাস থেকে 6 টি রোজা রাখে সে যেন চিরকাল রোজা রাখল (মুসলিম শরীফ)।
22। রাসূল (সঃ) এরশাদ করেছেন,তেমাদের মধ্যে সর্বউত্তম সেই ব্যক্তি যে কোরআন শিক্ষা করে এবং অপরকে কোরআন শিক্ষা দেয় (বুখারী শরীফ)।
23। রাসূল (সঃ) এরশাদ করেছেন,আল্লাহর আযাব থেকে বাঁচার জন্য সবচেয়ে বড় আমল হলো আল্লাহর জিকির করা (ইবনে মাজাহ, তিরমিযী শরীফ)।
24। যে ব্যক্তি অন্যের দোষ গোপন রেখে কোন জিনিষ বিক্রি করবে সে ব্যক্তি আল্লাহর গজব ফেরেশতাদের লা’নতের মধ্যে থাকবে (ইবনে মাজাহ)।
25। রাসূল (সঃ) এরশাদ করেছেন,দাইরুজ বেহেশতে প্রবেশ করবে না অর্থ্যাৎ যে নাকি পরিবার পরিজনকে বেপর্দায় (শরীত বিরোধী) চলতে দেখে বাঁধা না দেয় (মিশকাত শরীফ)।
26। রাসূল (সঃ) এরশাদ করেছেন, প্রত্যেক মুসলমান মুসলমানের ভাই (মুসলিম শরীফ) ।
27। রাসূল (সঃ) এরশাদ করেছেন,কোন বান্দাই প্রকৃত মোমেন হতে পারবেনা যতক্ষণ পর্যন্ত সে অন্য মুসলমান ভাইয়ের সেই জিনিষ পছছন্দ করে যা নিজের জন্য পছন্দ করে ।
(বুখারী ও মুসলিম)।
28। রাসূল (সঃ) এরশাদ করেছেন,পুরুষের জন্য মহিলা থেকে বড় ক্ষতিকর ফেৎনা আর কিছু রেখে যাচ্ছি না (বুখারী ও মুসলিম)।
29। রাসূল (সঃ) এরশাদ করেছেন,আমি নবীদের শেষ আমার পর আর কোন নবী আসবেন না । (মুসলিম শরীফ)।
30। রাসূল (সঃ) এরশাদ করেছেন,যে ব্যক্তি আমার উপর হাতিয়ার উঠাবে সে আমার দলভূক্ত নয়। আর যে ব্যক্তি আমাদেরকে ধোঁকা দিবে সে আমার দলভূক্ত নয় (বুখারী ও মুসলিম)।
31। রাসূল (সঃ) বলেছেন, তোমরা সবাই দায়িত্বশীল আর তোমাদের সবাইকে নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে (বুখারী ও মুসলিম) ।
32। আবু সাঈদ (রঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন,রাসূল সাল্লালাহুআলাইহি ওসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ কোন অন্যায় কাজ দেখলে তা সে তার হাত দ্বারা প্রতিহত করবে,যদি তা সম্ভব না হয় মুখ দ্বারা প্রতিহত করবে,যদি তাও সম্ভব না হয় তাহালে তাকে মনে প্রাণে ঘৃণা করবে আর এ হচেছ (অন্তর দিয়ে প্রতিহত করা) সবচেয়ে দুর্বলতম ঈমান (মুসলিম শরীফ)
33। রাসূল (সঃ) বলেছেন, মুনাফেকের চিহ্ন তিনটি কথায় কথায় মিথ্যা বলে,কাওকে ওয়াদা দিলে তা ভঙ্গ করে, আর আমানেতের খেয়ানত করে(বুখারী, মুসলিম)।
34। রাসূল (সঃ) বলেছেন, চোর,সুদখোর তাদের সাজা ভোগ করা ছাড়া বেহেশতে প্রবেশ করবে না (বুখারী ও মুসলিম)।
35।আবূ হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন-রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:পরস্পর হিংসা করো না, একে অপরের জন্য নিলাম ডেকে দাম বাড়াবে না, পরস্পর বিদ্বেষ পোষণ করবে, একে অপর থেকে আলাদা হয়ে যেও না, একজনের ক্রয়ের উপর অন্যজন ক্রয় করো না। হে আল্লাহর বান্দাগণ! পরস্পর ভাই ভাই হয়ে যাও। মুসলমান মুসলমানের ভাই, সে তার উপর যুলুম করে না এবং তাকে সঙ্গীহীন ও সহায়হীনভাবে ছেড়ে দেয় না। সে তার কাছে মিথ্যা বলে না ও তাকে অপমান করে না। তাকওয়া হচ্ছে- এখানে, তিনি নিজের বুকের দিকে তিনবার ইশারা করেন। কোন মানুষের জন্য এতটুকু মন্দ যথেষ্ট যে, সে আপন মুসলমান ভাইকে নীচ ও হীন মনে করে। এক মুসলমানের রক্ত, সম্পদ ও মান-সম্মান অন্য মুসলমানের জন্য হারাম।[মুসলিম: ২৫৬৪]
36। রাসূল (সঃ) বলেছেন, পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ (মুসলিম) ।
37। রাসূল (সঃ) বলেছেন, ইসলামের 5 টি জিনিষের উপর সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেইআর মুহাম্মদ (সঃ) আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও রাসূল, নামায আদায় করা, রমজানে রোজা রাখা, যাকাত দেওয়া ও সামর্থ থাকলে কাবা শরীফে হজ্জ করা (বুখারী, মুসলিম) ।
38। আবূ হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে- নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:যে ব্যক্তি দুনিয়াতে কোন মুমিনের দুঃখ দূর করে দেয়, আল্লাহ্ কেয়ামতের দিন তার দুঃখ দূর করে দিবেন। যে ব্যক্তি কোন বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির বিপদ দূর করে দেয়, আল্লাহ্ দুনিয়াতে ও আখেরাতে তার বিপদ দূর করে দিবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবে, আল্লাহ্ দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন। যে বান্দা আপন ভাইকে সাহায্য করবে, আল্লাহ্ সে বান্দাকে সাহায্য করবেন। যে ব্যক্তি জ্ঞান লাভের জন্য রাস্তা অতিক্রম করে, আল্লাহ্ তার জন্য জান্নাতের রাস্তা সহজ করে দিবেন। যেসব লোক আল্লাহর ঘরসমূহের মধ্যে কোন ঘরে (অর্থাৎ, মসজিদে) সমবেত হবে, কুরআন পড়বে, সকলে মিলিত হয়ে তার শিক্ষা নেবে ও দেবে, তাদের উপর অবশ্যই প্রশান্তি অবতীর্ণ হবে, রহমত তাদের ঢেকে নেবে, ফিরিশ্তাগণ তাদের ঘিরে থাকবে আর আল্লাহ্ তাদের কথা এমন সকলের মধ্যে উল্লেখ করবেন যারা তাঁর কাছে উপস্থিত। যে ব্যক্তি আপন কাজে অলস তার বংশ পরিচয় তাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না। [মুসলিম: ২৬৯৯]
39। রাসূল (সঃ) বলেছেন, যে আযান শুনে বিনা ওযরে জামাতে আসে না ঐ নামায কবুল হবেনা যা ঘরে আদায় করল (আবু দাউদ)।
40। রাসূল (সঃ) বলেছেন, আত্মিয়তার সাথে সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না । (মুসলিম শরীফ)।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে মহানবী (সঃ) এর গুতুত্বপূর্ণ হাদীসগুলো জানার তৌফিক দান করুন । আমিন ।
©somewhere in net ltd.