নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সফটওয়্যার ইঙ্গিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশুনা করছি।আর শখের বশে মাঝে মাঝে লিখি।

আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ(সুমন)

আমি সফটওয়্যার ইঙ্গিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশুনা করছি।আর শখের বশে মাঝে মাঝে লিখি।

আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ(সুমন) › বিস্তারিত পোস্টঃ

জ্যোৎস্না প্রেমিক বন্ধু

২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:২৪

আমার একজন জ্যোৎস্না প্রেমিক বন্ধু আছে। সে মাঝে মাঝে আমাকে ফোন করে।বিশেষ করে যেদিন জ্যোৎস্না হবে সেদিন।আমার মনে হয় ওর দিনক্ষণ রাশি-নক্ষত্র সব জেনে জ্যোৎস্না দেখার স্বভাব আছে।কারন ও যেদিনই ফোন করে সেদিনই পূর্ণ জ্যোৎস্না থাকে।

সেদিন ওর কাব্য ভাব বেশ চরমে উঠে।আর তার সে ভাব থেকে উৎপত্তিগত প্রত্যেকটি কবিতা আমাকে শুনতে হয়।আমি ওকে বলি দেখ আমি কোন কবিতা তেমন একটা বুঝিনা।ছোটকালে স্কুল থেকে দুটি কবিতার বই পুরুস্কার পেয়েছিলাম।সঞ্চয়িতা নামক বই এর দুই পাতা পড়ার পর আর পরা এগোইনি।

যাই হক তবুও ও আমাকে কবিতা শোনায় আর বলে তুই শুধু একটা কমেন্ট কর কেমন হয়েছে।যাই হোক ওর কবিতা গুলো শুনতে বেশ ভালো লাগে। কবিতার মুল প্রান থাকে এক তরুণী কে কেন্দ্র করে। ও খুব ভাল শব্দমালা গাঁথতে পারে।

মাঝে মাঝে ওকে বিভ্রান্তিতে ফেলার জন্য বলি ভাল হয় নাই।তবুও এই বিড়ম্বনা থেকে আমার নিস্তার নাই কবিতা আমাকে শুনতেই হয়।মাঝে মাঝে ওর কবিতা শুনে আমার ভেতরে বেশ কিছু প্রশ্ন জাগে।যেগুলার উত্তর আমি নিজেও খুজছি।

যেমন যে কোন তরুণী জ্যোৎস্না রাতকে কেন এত ভালবাসে ? আর প্রেমিক পুরুষ জ্যোৎস্না দেখার জন্য তার প্রানের সঙ্গি কে কেন পাশে চায় ? এটা যেমন ছেলেদের জন্য তেমন মেয়েদের জন্য।মেয়েরাও চাঁদকে পছন্দ করে তার পুরো প্রস্ফুতিত আভাকে পছন্দ করে।

কিন্তু আমি কোন মেয়েকে শুনিনি সূর্যকে পছন্দ করতে।যদিও সূর্যের আলো থেকে চাঁদ আলো পেয়ে থাকে তবুও চাঁদের আলোর প্রতি এত ভাল লাগা কেন? তার মানে কি তারা প্রতিচ্ছবি বা প্রতি আলোকে পছন্দ করে।আমার কেন যানি মনে হয় তাই।

সঠিক আলোর সন্ধান কেন যেন তারা খুজে পায়না বা এমনও হতে পারে খুজতেও চায়না।কারন কি সেটা জানিনা বা জানি।
যাই হোক জ্যোৎস্না আমারও খুব প্রিয় বিষয়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।বিগত তিন বছর আমি অনুভুতির জগতের বাইরে ছিলাম ধারাবাহিকতা রক্ষা করছিলাম।

তবে এখনকার অবস্থা ভিন্ন জ্যোৎস্না রাত গুলো ভাল লাগে।জ্যোৎস্না রাত তার স্নিগ্ধতার রেশ ছড়িয়ে দেয় মনের বিভিন্ন কোনে।
সক্রেত্রিস কে নাকি যখন হেমলক বিষপ্রানে জল্লাদ মারতে আসে তখন তিনি জল্লাদকে প্রশ্ন করেছিলেন কিভাবে আমি মারা যাব জল্লাদ জবাবে বলেছিল বিষ খেলে তুমি ঘুমিয়ে যাবে আর ঘুমের মধ্যে তোমার মৃত্যু হবে।

সক্রেত্রিস বলেছিল তাহলে তো আমি মৃত্যুকে অনুভব করতে পারবনা যদি অনুভবই না করতে পারি তাহলে তো মৃত্যুর আনন্দ ও পাওয়া যাবেনা।কথার গভীরতা অনেক দূর হলেও সহজ এবং প্রাঞ্জল।

মোদ্দা কথা জীবনের প্রতিটা মুহূর্তকে অনুভব করার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত আনন্দ।যাই হোক চন্দ্র বা জ্যোৎস্না কেন্দ্রিক অনেক মিথ বা ধর্মীয় কাহিনী আছে আমাদের সমাজে।

সিদ্ধার্থ গৌতমের মাতা এক পূর্ণ জ্যোৎস্না রাতে স্বপ্নে দেখেন এক সাদা হাতি তার গর্ভে প্রবেশ করছে।
যিনি পরে সিদ্ধার্থ গৌতম হন।তিনি এক চাঁদনী রাতে মহল থেকে বের হয়ে যান সত্য অনুসন্ধানে।যখন বের হন তখন আকাশে পূর্ণ চন্দ্র ছিল।বোধিস্বতও লাভ করেন পূর্ণিমা রাতে নির্বাণও লাভ করেন এই পূর্ণিমায়।

আমাদের ইসলাম ধর্মে দিনের আগে রাত গণনা করা হয়।চাঁদ কেন্দ্রিক আমাদের ইসলামিক ক্যালেন্ডার।আর নবীজি(সাঃ) তার শাহাদাত অঙ্গুলি দ্বারা চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত করেন।নবীজি(সাঃ) অলৌকিক ক্ষমতা দেখাননি অন্য নবীদের তুলনায়ে।

সব সময় সাধারণের মত জীবন যাপন করেছেন আদর্শ স্থাপনের জন্য।কিন্তু তার এই মোজেজা বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
হিন্দু ধর্মেও চন্দ্রগ্রহণ এবং মহাদেব কৃতক সেই সমস্যার সমাধান সব কিছুই এই চাঁদ কে ঘিরে।

প্রাচীনকাল থেকেই চাঁদের প্রতি মানুষের আগ্রহ ছিল প্রচুর।চাঁদের বুড়ির চরকা কাটার গল্প আর চাঁদ মামার কবিতাও আমাদের অবচেতন মনে চাঁদকে এক বিশেষ জায়গা দিয়েছে।

চাঁদের বিভিন্ন রুপ,জ্যোৎস্নার রুপের আভা এবং আলো ছায়ার খেলার যে রহস্য সেই রহস্য অন্য কিছুর মধ্যে নাই।সেটা লেখার খাতায় বা বর্ণনাও হয়তোবা সম্ভব না শুধু অনুভবের মধ্যে এক বিশেষ জায়গা দখল করে আছে জ্যোৎস্না।

মিশে আছে আমদের চিন্তায়,ভাল লাগা,ভালবাসা,সৃজনশীলতা ও আধ্যাত্মিকতায়।

সব কিছুর মিশেল জ্যোৎস্না কে দেখার মধ্যে নতুনত্তের নতুন আভা দেখতে পারার সৌভাগ্যও কম নয়। শেষ বেলায় লালনের একটি গান মনে পরে।

“কত ভাগ্যে মানুষ রুপে জন্মগ্রহন করেছি”............................................................

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.