| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Riwai Village এর Living Root Bridge দেখার পর আমরা Mawlynnong Village দেখতে গাড়ীতে উঠলাম। Riwai থেকে Mawlynnong এর দূরত্ব ২কি.মি.। অর্থাৎ ডাউকী থেকে মাওলিনং ৩৮ কি.মি. এবং শিলং থেকে ৮০ কি.মি.।
মকবুল ফিদা হুসেন মাওলিনং এর ছবি না এঁকে দেবী দূর্গার বস্ত্রহীন ছবি এঁকে ভারতবাসীর মনে কেন কষ্ট দিয়েছেন তা জানি না। তবে ছােট্র এ গ্রামটি ছবির মত।
২০০৩ সালে Discover India মাওলিনং কে এশিয়ার পরিচ্ছন্ন গ্রামের স্বীকৃতি দেয়। এখানকার অধিবাসীরা ‘খাসি’ সম্প্রদায়ভূক্ত। খাসি সমাজ মাতৃতান্ত্রিক। এ গ্রামে বসতবাড়ীর সংখ্যা ৯৫টি এবং লােক সংখ্যা প্রায় ৫০০ জনের মত।
গ্রামের রাস্তার দু’পাশে সারি সারি পাতাবাহার ও ফুল গাছ।
বাঁশের তৈরী Bin রাস্তার পাশে বসানো।
হাঁটতে হাঁটতে চােখে পড়ল Pitcher Plant (কলস উদ্ভিদ)।
পতঙ্গঁভুক এ উদ্ভিদের ছবি বইয়ের পাতায় দেখেছি। স্ব-চক্ষে দেখলাম এই প্রথম।
গ্রামে একটা চার্চও আছে।
হঠাৎ রাস্তার মাঝখানে ছােট ভাই মিজান বসে পরল। বলল ‘একটু জিরিয়ে নেই’।
এরপর মাওলিনং গ্রামে দুপুরের খাবার খেয়ে গাড়ীতে উঠলাম। গাড়ী চলতে শুরু করল। খাসী ড্রাইভার মিনিট তিনেক পর হঠাৎ ব্রেক করলেন। ঘাড় ঘুরিয়ে বললেন, Left side, Balancing Rock. গাড়ী থেকে নেমে ১০ রূপির টিকেট দিয়ে Balancing Rock দেখলাম।
Rock দেখা শেষ হলে শিলংয়ের উদ্দেশ্যে ড্রাইভার গাড়ী ছাড়লেন। পাহাড়ী রাস্তায় গাড়ীতে দুলুনী ও ক্লান্তিতে যখন চােখ বন্ধ এমনি এক মুহুর্তে লিজা আপু চেচিয়ে উঠলেন। চােখ খুলে দেখি আমাদের গাড়ীর চারপাশে মেঘ। জানালার এ পাশ দিয়ে মেঘ ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে। আমার চশমার কাচে বিন্দু বিন্দু পানি। এ জায়গায় গাড়ী থামিয়ে আমরা ছবি তুললাম।
সন্ধ্যা নাগাদ আমরা শিলংয়ের সেন্টার পয়েন্টে চলে আসলাম।
তারপর রাত বাড়ল। এরপর সকাল। শরীফ ভাই!
সন্ধ্যা ও সকাল এর মাঝের সময়টুকু আমি ভুলে থাকতে চাই।
বিঃ দ্রঃ ড্রাইভার-কাম- গাইড ও স্থানীয় বাসিন্দাদের তথ্যের ভিত্তিতে লেখাটি উপস্থাপন করা হয়েছে। তাই তথ্যগত ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
©somewhere in net ltd.