| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরদিন মেঘালয়ের সবচেয়ে আকর্ষনীয় চেরাপুঞ্জির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম।
শিলং শহর থেকে ৫৮কিঃমিঃ দূরে চেরাপুঞ্জি একটি ছােট্ট শহর। এর আদি নাম সােহরা। যা East Khasi Hills District এর অন্তর্গত।
গাড়ী চলতে শুরু করল। শিলং থেকে ২০/২২কিঃমিঃ যাওয়ার পর রাস্তা দু;দিকে চলে গেছে। এখানে দেখতে পেলাম পাহাড়ী নদী Umtyngar .
হাইওয়ে ধরে সােজা আরো ১০কিঃমিঃ মত গেলে পরবে Duwan Singh Syiem Bridge .
ব্রীজের বামপাশে বিখ্যাত Mawkdok Dympep Velley.
পাগল করা সৌন্দর্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
রাস্তার দু;পাশের সৌন্দর্য মন ভরে দেখতে দেখতে আমরা Mawsmai Nongthymmai Eco-park এ পৌছে গেলাম।
এটি শিলং সেন্টার পয়েন্ট থেকে ৫৬ কিঃ মিঃ দূরে। জনপ্রতি প্রবেশ ফি ১০রুপি ও ক্যামেরা ফি ২০ রুপি দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলাম।Eco-park এর ঢালু রাস্তা ধরে নীচের দিকে নামতেই প্রথমে পরল Missing Falls.
. Falls এর ধারা খাড়াভাবে নীচের দিকে যাচ্ছে।
একটু বামদিকে ব্রীজ ধরে এগিয়ে গেলেই Mewtyng kong Water Falls .
এখান থেকে সিলেটের ছাতক দেখা যায়।
ব্রীজ থেকে নেমে পাথুরে পথ ধরে এগিয়ে পেলাম Risew Water Falls .
এটি তিন ধাপের।
পানি প্রবাহকে আড়াআড়িভাবে বাঁধা সৃষ্টি করে এ Falls কে আরো আকর্ষণীয় করা হয়েছে।
Eco-park থেকে বেড়িয়ে আমরা Mawsmai Cave দেখতে গেলাম। এটি চেরাপুঞ্জি হতে ৬ কিঃমিঃ ও Eco-park হতে অাধা কিঃমিঃ দূরে। জন প্রতি ১০রুপি ও ক্যামেরার জন্য ২০রুপির টিকেট কাটলাম। গেটে জুতা রেখে সিঁড়ি দিয়ে গুহার কাছে গেলাম।
আমি,অভি ও বিপ্লবদা ভিতরে প্রবেশ করলাম।
এটি চুনাপাথরের প্রাকৃতিক গুহা।
গুহার ভিতরে কিছুদুর যাবার পর দু’দিকে দু’টি পথ। ডানদিকের পথ ধরে এগিয়ে গেলাম। দু’জন পর্যটককে ফিরে আসতে দেখলাম। বললো,This way is closed , less Oxygen.
এবারে বামদিকের পথ ধরে এগিয়ে গেলাম। ভিতরে আলোর ব্যবস্থা থাকায় পথ চলতে তেমন অসুবিধা হয়নি।
তবে কিছু কিছু জায়গা এত সরু যে, বসে কিংবা কাত হয়ে চলতে হয়েছে।
ভিতরে Lime Stone বেয়ে বেয়ে বিরতিহীন পানি ঝড়ছে। যেখানে পানি বেশী জমে সেখানে রেলিংসহ ব্রীজ দেওয়া আছে।
এ গুহায় যতটুকু যাওয়া যায় তা প্রায় ১৫০ মিটার দীর্ঘ । গুহার ভিতরের অংশ কতটা সুন্দর তা ভাষায় বােঝানো মুশকিল।

©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০
কল্লোল পথিক বলেছেন:
চমৎকার ছবি ব্লগ।