| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এবারে আমরা বিখ্যাত Seven Sisters Falls এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম। চেরাপুঞ্জির Mawsmai Village হতে ১ কি: মি: দক্ষিনে এর অবস্থান। এটির অপর নাম Mawsmai Falls.
এটি ভারতের ৪র্থ উচ্চতম জল প্রপাত।
এখানকার পানি প্রবাহ ১০৩৩ ফুট উপড় হতে প্রবাহিত হয়।
মেঘালয়ের বিখ্যাত Thang Kharang Park দেখতে গাড়ীতে উঠলাম। এটি চেরাপুঞ্জি হতে ৮ কিঃ মিঃ এবং শিলং হতে প্রায় ৬০ কিঃ মিঃ দূরে। পার্কের কাছাকাছি আসলে বামপাশে পরবে Ka Khah Ramhah.
এটি একটি বড় পাথর। যার উপরে ছােট আর একটি পাথর। স্থানীয়দের ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী এ পাথর নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে। পাশেই দেখা যাবে Umius Water Falls.
এখান থেকে সুনামগঞ্জের কিছু অংশ দেখা যায়।
এরপর জনপ্রতি ১০রুপি ও ক্যামেরার ২০ রুপির টিকেটে পার্কের ভিতরে প্রবেশ করলাম।
পার্কের সৌন্দর্য অসাধারন।
এখানে অনেক বিরল প্রজাতির গাছ আছে।
সাড়ে ৫ হেক্টরের পার্কটি সমুদ্র পৃষঠ থকে প্রায় ২৭৫৫ ফুট উপরে। পার্কের শেষদিকে গেলে দূরে দেখা যাবে Kynram Water Falls.
প্রায় ৭ কিঃ মিঃ পাহাড়ী রাস্তা ঘুরে এ Falls এর নীচের অংশে যাওয়া যায়।
এরপর ভারতের সর্বোচ্চ Noh-Ka-Likai Water Falls এর দিকে যাত্রা শুরু করলাম।
এটি চেরাপুঞ্জি হতে ৫ কিঃ মিঃ ও শিলং হতে প্রায় ৫৬ কিঃ মিঃ দূরে। জন প্রতি ১০ রুপি, ক্যামেরার ২০ রুপি দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলাম। এর ধারা প্রায় ১১১৫ ফুট উপর হতে প্রবাহিত হয়।
জল প্রপাতটি দেখতে অসাধারন। কিন্তু এর জলের ধারায় মিশে আছে পাহাড়ী নারী লিকাই এর চোখের জল।
View Point এর পাশ দিয়ে সিড়ি বেয়ে জল প্রপাতের কাছাকাছি যাওয়ার জন্য আমি ও বিপ্লব দা নিচে নামতে লাগলাম।
প্রায় ৩০০ ধাপের সিড়ি শেষ হলো। এর পর পাথুরে সরু পথ। সময় ও সঙ্গীর অভাবে জল প্রপাতের কাছাকাছি আর যাওয়া হলো না।
Falls এর আশে পাশের অংশ আমার কাছে আরও সুন্দর মনে হয়েছে।
হাঁটতে হাঁটতে বিস্তীর্ণ এ জায়গার অনেক দূরে চলে এসেছি।
আমার পিছনে বিপ্লব দা ও বিসর্গ ছিল। কােন এক ক্লান্ত পর্যটকের ফেলে যাওয়া একটি বাঁশের লাঠি পেলাম। লাঠিটি ইতোমধ্যে বিসর্গের হাতে।
এখানে একটা ধাবায় দূপুরের খাবার খেলাম। হাত ধুয়ে বাইরে এসে দেখি বিসর্গ কাঁদছে। ওর মা লাঠি ফেলে দেওয়ায় তার এ কান্না। বৌদিকে বললাম,কেন ফেলে দিলেন বিসর্গের বাঁশ?
এবারে আমাদের গন্তব্য রামকৃষ্ণ মিশন।
যা Thang Kharang Park হতে ১০ কিঃ মিঃ এবং শিলং হতে ৫০ কিঃ মিঃ দূরে। ১৯৩১ সালে এটি স্থাপিত হয়।
১৯৫২ সালে জরহরলাল নেহেরু এটি পরিদর্শন করেন। এবং কয়েকটি স্থাপনার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
এখানে স্কুল, লাইব্রেরী, ছাত্রাবাস ও মিউজিয়াম আছে।
মিশনের ভিতরে ছবি তােলা নিষেধ। এ মিশন মেঘালয়ের সবচেয়ে বড় চ্যারিটি। যা রাজ্যের ৬০টি স্কুল পরিচালনা করে। স্কুল গুলো সম্পুন ফ্রি পরিচালিত।
বিঃ দ্রঃ ড্রাইভার- কাম- গাইড ও স্থানীয় বাসিন্দাদের তথ্যের ভিত্তিতে লেখাটি উপস্থাপন করা হয়েছে। তাই তথ্যগত কােন ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
©somewhere in net ltd.