![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আহসান ব্যাংকে ডিপিএস খুলতে চেয়েছিলেন না। স্ত্রীর সাথে পেরে উঠেন নি।
আহসানঃ ডিপিএস খুললে সুদ আসবে। সুদ খেতে পারবো না।
আলেয়াঃ বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ আছে। সামান্য আয় ইনকামে কিভাবে ছেলে মেয়ের ভবিষ্যৎ গড়বে?
বউ এর পিড়াপিড়িতে পেরে উঠেননি। ডিপিএস খুলতে গিয়ে দেখা হলো- এক হিন্দু প্রতিবেশীর সাথে।
সুবল ঘোষঃ কি ভাই কি খবর?
আহসানঃ এইতো ডিপিএস খুলতে আসলাম।আপনি?
সুবল কুমারঃ আমিও।
ডিপিএস খুলে আহসান সাহেব ব্যাংক থেকে বের হন। চায়ের দোকানে চা খান আর ভাবেন- ‘ সাচ্চা মোমিনের মত হতে পারলাম না। হিন্দুর মত হয়ে গেলাম।’
জোহরের নামাজ পড়ে বাড়ী যান আহসান সাহেব। বাড়ী গিয়ে দেখেন ছোট মেয়ে – মুনিয়া টিভিতে হিন্দি গান শুনছে। ’ধর্ম নষ্ট হয়ে গেলো’ বলেও বলতে পারেন না তিনি। কারণ একটু পরেই তিনি জি বাংলার সিরিয়াল দেখবেন। বুড়ো বয়সে সিরিয়ালের সুন্দর নারী দেখে চোখ টাটাবেন।
তারপর আসরের নামাজ পড়তে যাবেন। আর মনে মনে ভাববেন-বাড়ীর পাশের আখের উদ্দীনের কথা। আখের উদ্দীন জীবনে নামাজ পড়েননি। কিন্তু মানুষকে রক্ত দিয়ে বেড়ান তিনি। আহসান সাহেব লজ্জা অনুভব করেন। সারা জীবন মানুষ মানুষকে কিছুই দিতে পারেন নি তিনি। বাড়ীর পাশের সুবল ঘোষ এগিয়ে গেছেন। কারণ সুবল ঘোষ প্রতি বছর সবার কাছ থেকে শীত বস্ত্র সংগ্রহ করে গরীবদের দান করে বেড়ান।ভাবতে ভাবতে আহসান সাহেব চায়ের দোকানে বসেন। একটি কলা আর পাউরুটি খেতে যাবেন তিনি।এমন সময় একটি পাগোল এসে হাত পেতে বসে। আহসান সাহেব না খেয়ে তাড়াতাড়ি পাউরুটি আর কলা রাস্তার পাগোলটিকে দিয়ে দেয়। আর আত্মতৃপ্তি অনুভব করেন। কোন দিকে না তাকিয়ে চায়ের দোকানীকে বলেন- ”চা দে একটা।’
”বিসমিল্লাহ’’ বলে চাতে মুখ দেন আহসান সাহেব। আর আকাশের দিকে তাকিয়ে বলেন-”আলহামদুলিল্লাহ”।
মাগরিবের নামাজের আযান হবে। আহসান সাহেব নামাজে যাবেন বলে উঠে পড়েন।পথে চলে তার জীবনের ভালো ও মন্দ কাজেরে হিসেব নিকাস।
©somewhere in net ltd.