![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানব মনের অনাবিষ্কৃত কল্পজগৎ। অনাস্বাদিত। রহস্যময়ী। ভাষার তেলরঙে তা হোক বাঙ্ময়। প্রকাশিত।
তখন আমি অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী। আর ক'মাস পরেই নবম শ্রেণীতে। ভাবতেই ভালো লাগতো। টিফিনের সময় লিপি বললো,
-জিনাত, চল কাল সিনেমা দেখতে যাই হলে।
-নাহ, বাড়িতে শুনলে মাইর দিবো।
-যাহ, বাড়িতে বলবিনা।
-তাইলে? স্কুলে খোঁজ নিবে তো।
-বলবি আমাদের এক বান্ধবীর বড় বোনের বিয়ে। ওখানে যামু দেখতে।
-কিন্তু টাকা কই পামু? (সিনেমা হলের টিকিট তখন আট টাকা করে)
-গাধী, বলবি যে বিয়েতে গেলে তো কিছু নেয়া লাগবে। তাই সবাই মিলে ৩০ টাকা করে চান্দা ধরছি। আট টাকা সিনেমার টিকিট, আর বাকী টাকা মিলায়ে গাড়ি ভাড়া।
-আচ্ছা।
খুশী আর আটকায় কে আমার? টিফিন সময় শেষ। ক্লাসে গেলাম। স্যার একটা অংক দিয়ে বললেন "কাল এইটা যে যে না করে আনবে তারে কান ধরাইয়া স্কুলের বারান্দা দিয়ে ঘুরামু।"
স্যার চলে গেলে বললাম,
-লিপি রে, স্যার যা কইলো, তাতে কাল যদি না আসি তাহলে তো পরশু দিন স্কুলের বারান্দায় না মাঠে দাড় করায়ে রাখবো।
-নাহ, তুই আজকেই ছুটি নিবি, বলবি তোর বাপ মায়ের নানার বাড়ি যাবি, বলবি আবার কালকেই আইসা পড়বি।
-আর তোরা?
-আমি কমু পেটের ব্যাথা, রোজিনা কইবো ওরে ছেলের পক্ষ থেকে দেখতে আসবে।
-আচ্ছা।
প্ল্যান অনুযায়ী টাকা নেয়া হয়ে গেছে। বারোটায় সিনেমা শুরু। দশটায় বের হয়ে গেছি। সবাই এক হয়ে সিনেমা দেখলাম "চুড়িওয়ালা"। সিনেমা দেখে বের হওয়ার সময় নাজমুল স্যার এর সামনে পড়ে গেছি। স্যার সাইকেল চালাতে চালাতে বলো "কাল স্কুলে যাইস, সিনেমা দেখার মজা বুঝামু।"
পরের দিন হাতের তালুতে দুইটা করে বেতের বাড়ি বোনাস।
©somewhere in net ltd.