|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 শূন্যতার প্রাপ্তি
শূন্যতার প্রাপ্তি
	মানব মনের অনাবিষ্কৃত কল্পজগৎ। অনাস্বাদিত। রহস্যময়ী। ভাষার তেলরঙে তা হোক বাঙ্ময়। প্রকাশিত।
ভালো না বেসেই বলেছো ভালোবাসো, 
একদিন দুদিন নয়, মাস গেছে, বছর গেছে, 
বলেছো।
তোমার ওই ঠোঁট সাক্ষী, জিভ সাক্ষী, বলেছো। 
আর কোনও চিহ্ন কোথাও নেই, 
আলতো একখানা দাগ বুকের ধারে কাছে, নেই, 
ভেতরে বাইরে কেউ জানে না বিন্দু মাত্র কিছু, 
ওই ঠোঁট, ওই জিভ ছাড়া তোমার সাক্ষী নেই কোনও।
আমার শরীর সাক্ষী। 
অনেককাল না-ছোঁয়া প্রিয় শাড়ি,
চিরুনি, চোখের কাজল, জল,
রাতভর শর্তহীন সমর্পণ, 
তিরতির কাঁপন, 
জলে ভাসা, ভেসে যাওয়া, 
আর এই হৃদয় সাক্ষী, বলেছো।
ভালো না বেসেই যারা বলে ভালোবাসে, 
তারা ঠিক কেমন মানুষ, বহুদিন শখ ছিলো দেখি। 
তারাও সবার মতোই হাঁটে, চলে, 
বাড়ি ফেরে, রাত্তিরে ঘুমোয়। 
তারাও সকালের চায়ের সঙ্গে খবরের কাগজ, 
তারাও গান শোনে, তারাও সংসার।
আমার হৃদয় জানে না যে তুমি বাসো না, 
যতবারই সে তোমার হৃদয় ছুঁতে যায়, 
তোমার ওই ঠোঁটে আর জিভে গিয়ে আচমকা আঘাত খায়, 
আর ওই ঠোঁট জিভকেই তুমি, তোমার হৃদয়--ভেবে 
সুখ পায়। মাস যায়, বছর যায়, পায়। 
পেতে থাকে। হা হৃদয় ! অন্ধ হৃদয়!
অন্ধকে কে জানাবে ও তোমার হৃদয় নয়, 
ও নেহাতই ঠোঁট, 
নেহাতই জিভ। 
কে জানাবে ওরা শুধু উচ্চারণ করতে শিখেছে দু’একটি শব্দ, 
অর্থহীন ক’টা অক্ষর!
ভালো না বেসেই তুমি যে বলেছো ‘ভালোবাসি’ 
নিজেকে বুঝতে দিই না, তোমাকেও না।
হৃদয় শুধু নয়, গোটা আমিটিই অন্ধ, 
কে জানে জন্মান্ধই কী না!
 ০ টি
    	০ টি    	 +০/-০
    	+০/-০©somewhere in net ltd.