নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন সাধারণ মানুষ, ঝামেলা থেকে ১০০ গজ দূরে থাকার চেষ্টা করি।\n\nবি.এস.সি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে একটি ওয়াশিং প্ল্যান্টে জব করি। জবের পাশাপাশি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার কৃতি সন্তানদের তথ্য সংগ্রহ ও সংকলনে কাজ করতে ভালবাসি।

আলতাব হোসেন

আলতাব হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিটি দিনই হোক ‘মা দিবস’

০৯ ই মে, ২০২১ সকাল ৯:১৭

আজ মে মাসের দ্বিতীয় রোববার, বিশ্ব ‘মা দিবস’। পৃথিবীর মানুষ এই দিনটি উদযাপন করে পরম ভালোবাসা মমতা নিয়ে। মা’য়ের প্রতি সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশের বিশেষ কোনো দিনের প্রয়োজন হয় না। প্রতিটি দিনই হোক মা দিবস।

কবি রবার্ট ব্রাউনিং বলেছেন, ‘মাতৃত্বেই সকল মায়া, মমতা ও ভালোবাসার শুরু এবং শেষ।’

গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দাঁড়ায়, পৃথিবীর সূচনা থেকে মা শব্দটির মমতা এবং ক্ষমতা অসীম, যা কোনো কিছুর মানদণ্ডে বিবেচনা করা যায় না। মা ছাড়া কোনো প্রাণীরই প্রাণ ধারণ করা সম্ভব নয়।সন্তান গর্ভে ধারণ করেই মা জীবনে প্রথম মৃত্যুর ঝুঁকির মুখোমুখি হন। সময় যত বাড়তে থাকে, ঝুঁকিও তত বাড়ে। একজন মা ১১ মাস গর্ভ ধারণ করে সন্তানকে পৃথিবীর আলোর মুখ দেখান, যা সত্যি অবিশ্বাস্য।

সাধারণত একজন মানুষ ৪৫ ইউনিট ব্যথা একবারে সহ্য করতে পারে, আর সেখানে একজন মা যখন সন্তান জন্ম দেন, তখন তিনি ৫৬ ইউনিট ব্যথা সহ্য করেন, যা একসাথে ১০টি হাড্ডি ভেঙে যাওয়ার ব্যথা থেকেও বেশি!

পৃথিবীতে একজন মানুষের প্রতি অন্য মানুষের দয়া সহানুভূতির চেয়েও যার ভালোবাসা বেশি তিনিই হলেন মা। শত ত্যাগ ও দুঃখ-কষ্ট সহ্য করে মা বড় করে তোলেন সন্তানকে। নিজে না খেয়ে সন্তানকে খেতে দেন। মায়ের স্মৃতি বহন করেই সন্তানের বেঁচে থাকা, মায়ের একটা শরীরই হলো তার সন্তান।

নিজে শত কষ্ট সহ্য করলেও সন্তানের সামান্য কষ্ট মা সহ্য করতে পারেন না। সন্তানের প্রথম এবং সবচেয়ে বড় শিক্ষক মা। একজন মা সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে, নিজেকে তীলে তীলে বিসর্জন দেন।একজন দক্ষ শিক্ষক দ্বারাও অসম্ভব।

মায়ের হাতেই হাতেখড়ি হয় একটা সন্তানের। বয়স যতই বাড়ুক, মায়েদের কাছে তাদের সন্তান সব সময়ই ছোট থাকে। সন্তান মায়ের অনুকরণে কথা বলতে শেখে; তাই মায়ের কাছে প্রথম শেখা ভাষাকে মাতৃভাষা বলে। একজন মা সুভাষিনী হলেই সন্তানরাও মিষ্টভাষী হয়।নৈতিক চরিত্র ও মূল্যবোধের শিক্ষা সন্তানকে মা দিয়ে থাকেন। একজন আদর্শ মা সন্তানের পাশে থাকেন বিপদে বন্ধু হিসেবে। হতাশায় আশার আলোকবর্তিকা হয়ে। অসহায় অবস্থায় অভিভাবক হয়ে। সর্বোপরি সকল পরিস্থিতিতে স্নেহ-দয়া ও ভালোবাসার অপার ভাণ্ডার হলেন মা।

আমাদের করণীয়, মায়ের সঙ্গে শিশুসুলভ আচরণ করা। সুন্দর ও মার্জিত ভাষায় কথা বলা। তাদের সুখ-শান্তির জন্য আমাদের ধনসম্পদ ব্যয় করা।তাদের সঙ্গে বিনম্রভাবে চলাফেরা করা। যে কোনো বিষয়ে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করা। তাদের সঙ্গে কর্কশ ও বিশ্রী বাক্যে কথা না বলা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.