নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার বিবেক আমাকে যা শিক্ষা দেয় সেটাই প্রকাশ করার চেষ্টা করি
আজকাল বিভিন্ন ইসলামিক নাম আমাদের হাসি তামাসার খোরাক হয়ে উঠেছে। একজন মুসলিম হয়েও অজ্ঞতার বশবর্তী হয়ে আমরা এই জঘন্য গোনাহের কাজগুলো করে যাচ্ছি। আসুন কিছু উদাহরণ দেইঃ
১) মোখলেসঃ- টিভি-রেডিওতে "প্রাণ ম্যাঙ্গো ক্যান্ডির" কল্যানে এই নামটিকে ফান হিসাবে দেখা হয়। এমনকি যাদের নাম মোখলেস তারাও বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন যখন সবার সামনে এই এ্যাড এসে যায়। মোখলেস নামটি আরবী "এখলাস" থেকে এসেছে যার অর্থ হচ্ছে "একনিষ্ট ভাবে এবাদত করা" আল্লাহর নিকট এখলাস ছাড়া কোন ইবাদতই গ্রহণযোগ্য নয়। আর সেই নামটিকে আমরা ফান বানিয়েছি?
২) মফিজঃ- এটি একটি আরবী নাম। যার অর্থ সফলকাম হওয়া। সাধারণত পরকালের সফলতা বুঝাতে এই নামটি ব্যবহার করা হয়। আমরা কে না চাই পরকালে সফল কাম হতে? তবে কেন "ম্যাজিক টুথ পাউডারে" এই নামটা নিয়ে ফান করা হয়? তাছাড়া আমরা মফিজ বলতে গ্রাম্য বলদকে বুঝে থাকি। কেন? তাহলে কি আমরা পরকালের সফলতা চাই না?
৩) আবুলঃ- এই নাম নিয়ে সবথেকে বেশী ফান করা হয়। আবুল নামের মহাত্ম কি আমরা জানি? আমাদের নবী (সাঃ) এর উপনাম আবুল কাসেম। যার অর্থ হল "কাসেমের পিতা" এবার ভাবুন কি নিয়ে আমরা ফাজলামি করছি? যেখানে এই নামকে সম্মান দেখানো উচিত ছিল সেখানে হাসি তামাশা কি অমুসলিমদের ষড়যন্ত্র নয় কি?
৪) কুদ্দুসঃ- আমরা সাধারণত এই নাম নিয়ে চরম হাসি ঠাট্টা করি। অথচ জানি না এটি আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম। যার অর্থ "মহা পবিত্র" কেউ যদি কাউকে কুদ্দুস বলে ডাকে তাহলে তার পাপ হবে। মানুষকে কুদ্দুস বলে ডাকা যাবেই না, বরং তার পিছনে আব্দুল শব্দটা অবশ্যই যোগ করতে হবে। এবার ভাবুনতো আমরা আল্লাহর নাম নিয়ে পর্যন্ত হাসি তামাশা এবং মানুষকে তাঁর সাথে শরিক করছি। আমাদের ঈমান কোথায় দাড়িয়েছে বিষয়টা ভেবেছেন কি?
৫) মমিনঃ- আসলে এর শুদ্ধ উচ্চরণ হবে "মুমিন"। একজন পূর্ণাঙ্গ ঈমানদারকে মুমিন বলা হয়। দেখবেন ফেসবুক সহ বিভিন্ন স্থানে "কস কি মমিন"? বলে নামটিকে ব্যাঙ্গ করা হচ্ছে। এবার বলুন আমাদের আর কি কি নাম নিয়ে ফ্যান করার ইচ্ছা আছে? আমরা কি এতটুকু সচেতন হতে পারি না?
৬) মা আমেনা, ফাতেমাঃ- একজন হচ্ছে আমাদের নবী (সাঃ) এর গর্ভধারীনি মা আর অন্যজন হচ্ছে তাঁর মেয়ের নাম। যে মেয়ে হবেন জান্নাতের সরদারীনি। অথচ অনেক আধুনিক ছেলে মেয়েরা মনে করেন এগুলো গ্রাম্য মেয়েদের নাম অথবা কাজের মেয়েদের নামের বেলায় মানায়। নাউযুবিল্লাহ !! তাই এসকল নাম রাখতে শহুরে পিতা মাতাকে সচারচার দেখা যায় না। বিদঘুটে আন কমন নাম খুঁজতে পিতা মাতা ব্যস্ত হয়ে পড়েন অথচ এই নামের মাধুর্য কয়জন বুঝতে পারেন? এক্ষেত্রে বুঝা যায় মুসলমান হয়েও আমরা ইসলামকে কতটুকু মর্যাদা দেই।
সর্বষেশ পবিত্র কোরআনের একটি আয়াত দিয়ে শেষ করতে চাই। আল্লাহ বলেন "মুমিনগণ, কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। কেননা সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেক না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে (মুসলমানকে) তাদের মন্দ নামে ডাকা গোনহ। যারা এহেন কাজ থেকে তওবা না করে তারাই যালেম। (সূরা হুজারাত, আয়াত-১১)
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪
সুচিন্তিত মতবাদ বলেছেন: কাউকে ব্যাঙ্গ করে ডাকা গোনাহের কাজ। যেমন সাইফুল কে সাইফুল্যা, মানিক কে মানিক্যা ইত্যাদি। আমাদের সতর্ক হতে হবে।
২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮
প্রামানিক বলেছেন: সর্বষেশ পবিত্র কোরআনের একটি আয়াত দিয়ে শেষ করতে চাই। আল্লাহ বলেন "মুমিনগণ, কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। কেননা সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে।
ভাল একটি লেখা পড়লাম। ধন্যবাদ
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৫
সুচিন্তিত মতবাদ বলেছেন: আপনাকেও স্বাগতম।
৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সময়োপযোগী পোস্ট
৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫
নজরুল ফরাজী বলেছেন: ভাই কিছু মনে করবেননা সব কিছুতেই অমুসলিম আর ইহুদি নাসারা ঢুকানোর অভ্যাসটা ভালোনা, কোন অমুসলিম মুসলমানদের নাম নিয়ে আপত্তিকর কিছু বলার কথা স্বপ্নেও হয়তো ভাবেনা যা করার আমরাই করি তাহলে দোষটা অযথা অমুসলিমদের দেবো কেনো? (লেখার বিষয় এবং উদ্দেশ্যের সাথে আমিও একমত)
৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৯
ছন্দ্বহীন বলেছেন: নজরুল ফরাজী বলেছেন: ভাই কিছু মনে করবেননা সব কিছুতেই অমুসলিম আর ইহুদি নাসারা ঢুকানোর অভ্যাসটা ভালোনা, কোন অমুসলিম মুসলমানদের নাম নিয়ে আপত্তিকর কিছু বলার কথা স্বপ্নেও হয়তো ভাবেনা যা করার আমরাই করি তাহলে দোষটা অযথা অমুসলিমদের দেবো কেনো? (লেখার বিষয় এবং উদ্দেশ্যের সাথে আমিও একমত)
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫২
বনমহুয়া বলেছেন: ঠিক বলছেন। যেমন আমার বনমহুয়া নামটা নিয়েও কেউ কেউ উপহাস করে। কিন্তু তারা কি জানে বনে ফোটা মহুয়া ফুল কত সৌন্দর্য্য ছড়ায়।