![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমানউল্লাহ রাফি , সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে লিখি ও লিখবো ।
অতি চালাকি করতে গিয়ে সংবিধান লঙ্ঘনের মত অপরাধে ফেঁসে গেল সরকার ও তার মন্ত্রীরা !
আমাদের সংবিধানে ৫৮(১) নং অনুচ্ছেদে পরিষ্কার বলা আছে, "প্রধানমন্ত্রী ব্যতীত অন্য কোন মন্ত্রীর পদ শূন্য হইবে, যদি তিনি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করিবার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট পদত্যাগপত্র প্রদান করেন।"
প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র দেওয়ামাত্রই মন্ত্রীদের পদ সংবিধান অনুযায়ী শূন্য হয়ে যাবে। সংবিধানের এই অনুচ্ছেদে কোনো ধরনের ব্যাখ্যা বা শর্ত প্রয়োগ করা হয়নি। অন্য কোনো পদ্ধতি অনুসরণের প্রয়োজনের কথাও বলা হয়নি। এই অনুচ্ছেদে কোনো 'যদি' বা 'তবে' বা কোনো ফর্মালিটির উল্লেখ করা হয়নি। মন্ত্রীরা পদত্যাগপত্রটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেবেন। আর প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র পৌছামাত্র তাদের পদ শূন্য হয়ে যাবে।
যদি কোন মন্ত্রী পদত্যাগপত্র পেশ করার পরই সংবিধান অনুযায়ী তার মন্ত্রিত্ব শেষ হয়ে যায় , শেষ হবার পরেও যদি মন্ত্রীরা স্বপদে বহাল থেকে সব ধরনের সরকারী কাজ করা, সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে তা অবৈধ ও সংবিধান লঙ্ঘন !
আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের মতে, এটা পদত্যাগ না। সংবিধান অনুযায়ী পদত্যাগপত্র দেওয়া হয়নি। তাঁর ভাষায়, এটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
তাহলে তারা সংবিধান অনুযায়ী পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার কাজ করে নাই,
তাঁরা সংবিধান বিরোধী কাজ করেছেন। আর সংবিধান বিরোধী কাজ রাষ্ট্রদ্রোহীতা।
আর এই রাষ্ট্রদ্রোহীতা ও সংবিধান লঙ্ঘনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড !
উল্লেখ্য যে তাঁরা পদত্যাগ পত্রে তারিখ উল্লেখ করে নাই , তারিখ বিহীন পদত্যাগপত্রে যদি তারা নতুন করে তারিখ বসান, সেটা হবে প্রতারনা। পাবলিক ডকুমেন্ট এ রকম পরিবর্তন ফৌজদারী অপরাধ।
©somewhere in net ltd.