![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অফিস থেকেএসে ফ্রেস হয়ে টিভি ছাড়লাম।আজ মনটা খুব ভাল।তাই ভাবলাম গান শুনি।কিন্তু বাংলা গানের চ্যানেল গুলো প্রতিটা ফাজলামো ছাড়া আর কিছু করে না।গান বাংলা চ্যানেলটার নাম বাংলা হলেও গান দেয় সব ইংরেজী।তাই টিভি দেখার মুডটাই নষ্ট হয়ে গেল।মোবাইলেই গান শুনতে লাগলাম।
চোখ বন্ধ করে গানের ভেতর নিজেকে ডুবিয়ে রাখার চেষ্টা করলাম।কিন্তু একটা মাছির যন্ত্রনায় ভালকরে গানও শুনতে পারছিনা।কানের কাছে বার বার শুড়শুড়ি দিচ্ছে।চোখ খুলে দেখি এটা ছোট কোন মাছি না।এটা একটা বিশালাকার মাছি।যার নাম ইরি।এর ভেতর মাছির চেয়ে বেশি গুন নেই।সারাক্ষন শুধু দুষ্টুমি।এত বড় একটা মেয়ে হয়েও দুষ্টুমি ছাড়া কিছুই বুঝেনা।
ইরি আমাদের পাশের ফ্লাটে থাকে।এবার অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে। কিন্তু সারাক্ষন আমাদের বাসায় ঘুরঘুর করে।আম্মাকে বিভিন্ন কাজে হেল্প করে।আর সুযোগ পেলেই আমাকে জালাবে।এখন যেমনটা করছে আরকি।আমি একটা ধমক দিলাম।
: ঐ এভাবে আমাকে ডিস্টার্ব করছিস কেন?(ইরিকে আমি তুই করে বলি)
:তাতে আপনার কি?(মেয়ে দেখি আমাকে একটুও ভয় পায় না।)
:আমার কি মানে?কি কাজে এসেছিস তাই বল।বলে বিদায় হ।
: আমি কি আপনার কাছে কোন কারন ছারা আসতে পারিনা?
: না, আসতে পারিস না।যা বাসায় যা।
:ইরি মুখটা একটু কেমন করে যেন বাকা করে চলে গেল।(মেয়েদের এই মুখ বাকা করাটা ভালই লাগে।এই যা কেউ শুনে ফেলেনি তো?)
একটু পর।
ইরি আবার আসলো।এসে কয়েকটা বই আমার হাতে দিয়ে বলল এই বই গুলোর কোন পড়াই আমি বুঝিনা।এগুলা বুঝায় দেন।আর এবার কারন ছাড়া আসিনি।আমি ওর চালাকি ধরতে পেরে ওকে আমার রুম থেকে বের করতে যাব ওমনি আম্মার দিকে তাকিয়ে বলল
: আন্টি রাফি ভাইয়াকে বলেন না আমাকে পড়া গুলো বুঝিয়ে দিতে।
ওর এই লুতুপুতু মার্কা কথা শুনে আমার রাগ উঠতে লাগলো।কিছু বলতে যাব তখনই আম্মা বলল
: এই রাফি,মেয়েটাকে পড়াগুলো বুঝিয়ে দে।
কি আর করা।আম্মার আদেশ শিরধার্য।
আম্মা তো জানেনা যে এই মেয়ে কত বড় অভিনেতা।আমি তো জানি যে পড়া তো বুঝবেই না বরং যেন আমাকে পড়াবে।
এইতো সেদিনও পড়ার নামে আমাকে জালাতে এসেছিল।আমি পড়ার কথা বললেই,সে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে।আমাকে বলে
:এই আপনি পড়া ছাড়া আর কিছু পারেন না?একটা গান গেয়ে শোনান না!
: আমি গান পারিনা।তুমি কি পড়তে এসেছো নাকি গান শুনতে এসেছো?
: আপনার সাথে কোন মজা নেই।আমি গেলাম।
এটা বলেই চলে গেল।পড়া তো দূরের কথা।আজআবার আসছে।না জানি আজ কি করতে বলে।ও কিছু বলার আগেই আমি বললাম
: ইরি আজ কোন দুষ্টুমি না।পড়ে চলে যাবা
: রাফি,আজ তোমাকে কিছু কথা বলব।
আমি ইরি চোখের ভাষা পড়ার চেষ্টা করছি।ও আমাকে তুমি করে বলছে।ও কি বলতে চায়?ও কি আজ বলেই দিবে?ও আজ চোখে কাজল দিয়েছে।অনেক সুন্দর লাগছে।একদিন কথার ফাকে বলেছিলাম, ইরি তোকে কাজলে মানাবে।তাই হয়তো আজ দিয়েছে।ও আবার বলা শুরু করল,
: রাফি,আমি ভনিতা করবনা।আমি তোমাকে ভালবাসি।
ধ্যাত,পাগলীটা বলেই দিল।আরে ভালতো আমিও তোকে বাসি।এত জলদি করার কি ছিল?।আমি এটা নিয়ে কত প্লান করে রেখেছিলাম।ভেবেছিলাম ওকে নিয়ে একদিন নদীর পাড়ে ঘুরতে যাব।পারে কাশফুল থাকবে।সেই কাশফুল দিয়ে ওকে প্রোপোজ করব।এই ফাজিল মেয়েটা এক নিমিশেই সব নষ্ট করে দিল।এত তাড়াহুরার কি ছিল?আর সব মেয়েরাতো এটাই চায় যে ছেলেটা আগে প্রোপোজ করুক।আমার হাসিখুশি ভাবটা নিমিশেই মিলিয়ে গেল।ও বোধহয় বুঝতে পেরেছে।ভেবেছে আমি না করে দিব।ওর মুখটাও ফ্যাকাসে হয়ে গেল।আমি তাই আর কিছু না ভেবে বলেই ফেল্লাম,
: কাদিস নারে পাগলি।আমিও তোকে ভালবাসি।
ও আমার দিকে তাকিয়েই ভ্যা করে কাঁদতে লাগল।আরে এতক্ষন তো ঠিকই ছিল।এখন কাঁদার কি হল?
: কিরে, কাঁদছিস কেন?
: ও তুমি বুঝবে না।
বেচে থাকুক এদের ভালবাসা।ভালবাসার প্রকাশ ঘটাতে বিশেষ জায়গা বা বিশেষ ক্ষেত্রের প্রয়োজন হয় না।ভালবাসা শুধু ভালবাসা দিয়েই প্রকাশ ঘটানো যায়।
আমানুল ইসলাম।
২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২৮
Amanul Islam বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৩
ইসিয়াক বলেছেন: ভালো