নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপনজনদের উচিৎ কথা শোনার অভ্যাস কম, কিন্তু বেয়াদব বলার অভ্যাস বেশি। ফলাফল- আমি বেয়াদব।

আমি আলী বলছি

একজন সন্তান। একজন ভাই। একজন বন্ধু। একজন স্বামী। একজন বাবা। একজন মানুষ।

আমি আলী বলছি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছেলেমেয়ের পড়ার টেবিলে কোরআন শরীফ রাখা উত্তম কাজ

০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫

এক বড় ভাইয়ের বাসায় গিয়েছিলাম বিকালে।
বিশেষ কারনে ভাইয়ের বাসার প্রতিটা কক্ষ ঘুরে দেখেছি স্বল্প সময়ের জন্য।
বাসার তিন কক্ষের একটাতে তিনি তার স্ত্রী ও নবজাত শিশুটিকে নিয়ে বসবাস করেন।
একটিতে ওনার মা ও চতুর্থ শ্রেনী পড়ুয়া মেয়ে এবং অপরটিতে সপ্তম শ্রেনী পড়ুয়া ছেলের বসবাস।

অবাক হয়েছি চতুর্থ শ্রেনীর মেয়ের পড়ার টেবিলে পবিত্র কোরআন শরীফ দেখে।কোরআন শরীফ দেখেছি ছেলের পড়ার টেবিলেও।

কৌতুহল বসত প্রশ্ন করেছি-"ভাইয়া পড়ার টেবিলে কোরআন শরীফ রাখার বিশেষ কোন কারন আছে কি?"
হাসি মুখেই উত্তর দিলেন "হ্যা"
কি কারন জানতে চাইলে উত্তরে বলেন-বেশ ক'টা কারনেই সন্তানের টেবিলে পবিত্র কোরআন রেখেছি,যেমনঃ
১) পাঠ্য পুস্তক পড়তে পড়তে কোরআন পাঠ যেন ভুলে না যায়।
২) কোরআনের নিচেই তার পাঠ্য পুস্তক রাখা,পাঠ্য পুস্তক নিতে গেলেই কোরআন ধরতে হবে,ধরতে হলেই শরীর পাক রাখতে হবে।
৩)শরীর পাক রাখার জন্য তাকে অজু করতে হবে,ফলে অজু অবস্থায় পড়ার টেবিলে বসতে পারে।
৪)অজু অবস্থায় পাক শরীরে পড়ার টেবিলে বসলে শয়তানি কাজ থেকে অনেকটাই নিজেকে রক্ষা করতে পারে।
৫)আল্লাহ ভিতি তার মাঝে কাজ করে।
৬)কোরআন সামনে রেখে কেউ ই মিথ্যা বলেনা।
বিশ্লেষণ করলে আরো অনেক কারন ই বের হয়ে আসবে।

ভাইয়ের কথা গুলো শেষ হবার পর অবাক হয়ে ভাইয়ের দিকে খানিকটা সময় তাকিয়ে থেকে একটা কথাই বলেছি-"আল্লাহ যেন প্রত্যেকটা সন্তানকে আপনার মত পিতা দান করেন।"

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৭

ডা: মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আমি আপনার পরামর্শ গ্রহণ করলাম। জাযাকাল্লাহ।

২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১

জনাব মাহাবুব বলেছেন: সুন্দর একটি আইডিয়া পেলাম। :D

আল্লাহ যেন উনাকে এর ভালো প্রতিফল দান করেন।

৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১

আমি আলী বলছি বলেছেন: আমিন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.