![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন সন্তান। একজন ভাই। একজন বন্ধু। একজন স্বামী। একজন বাবা। একজন মানুষ।
সুরাঃ আস-সিজদাহ (বাংলা)
আয়াত সংখ্যাঃ ৩০
রুকূঃ নেই
কোরআনে অবস্থানঃ পারা ২১
সূরা ক্রমঃ ৩২ তম সুরা।
অবতীর্ণঃ মক্কাবতীর্ণ
অবশ্যই, দয়া করে, ভুল ত্রুটি চোখে পরা মাত্রই সংশোধনের জন্য তা তুলে ধরবেন।
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(১) আলিফ-লাম-মীম।
(২) এ কিতাবের(কোরআন) অবতরণ বিশ্বপালনকর্তার নিকট থেকে, এতে কোন সন্দেহ নেই।
(৩) তারা কি বলে, এটা সে ব্যক্তি মিথ্যা রচনা করেছে? বরং এটা আপনার পালনকর্তার তরফ থেকে আগত সত্য, যাতে আপনি এমন এক সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন, যাদের কাছে আপনার পূর্বে কোন সতর্ককারী আসেনি। সম্ভবতঃ এরা সুপথ(হেদায়াত) প্রাপ্ত হবে।
(৪) আল্লাহ সেই সত্ত্বা, যিনি নভোমন্ডল, ভুমন্ডল ও এতদুভয়ের(এই দুইয়ের) মধ্যবর্তী সবকিছু ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনি আরশে বিরাজমান হয়েছেন। তিনি ব্যতীত তোমাদের কোন অভিভাবক ও সুপারিশকারী নেই। এরপরও কি তোমরা বুঝবে না?
(৫) তিনি আকাশ থেকে পৃথিবী পর্যন্ত সমস্ত কর্ম পরিচালনা করেন, অতঃপর তা(সমস্ত কর্ম) তাঁর কাছে পৌছবে এমন এক দিনে, যার পরিমাণ তোমাদের গণনায় হাজার বছরের সমান।
(৬) তিনিই দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানী, পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
(৭) যিনি তাঁর প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে সুন্দর করেছেন এবং কাদামাটি থেকে মানব সৃষ্টির সূচনা করেছেন।
(৮) অতঃপর তিনি তার বংশধর সৃষ্টি করেন তুচ্ছ পানির নির্যাস থেকে।
(৯) অতঃপর তিনি তাকে সুষম(সুঠাম) করেন, তাতে রূহ সঞ্চার করেন এবং তোমাদেরকে দেন কর্ণ, চক্ষু ও অন্তঃকরণ(মন/হৃদয়)। তোমরা সামান্যই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।
(১০) তারা(লোকেরা) বলে, আমরা মৃত্তিকায় মিশ্রিত হয়ে গেলে পুনরায় নতুন করে সৃজিত হব কি? বরং(আসলে/প্রকৃতার্থে) তারা তাদের পালনকর্তার সাক্ষাতকে অস্বীকার করে।
(১১) বলুন, তোমাদের প্রাণ হরণের দায়িত্বে নিয়োজিত ফেরেশতা তোমাদের প্রাণ হরণ করবে। অতঃপর তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কাছে প্রত্যাবর্তিত(ফিরিয়ে নেওয়া) হবে।
(১২) যদি আপনি দেখতেন যখন অপরাধীরা তাদের পালনকর্তার সামনে নতশির(মাথানত) হয়ে বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা দেখলাম ও শ্রবণ করলাম। এখন আমাদেরকে পাঠিয়ে দিন(পুনরায় পাঠানোর অনুরোধ), আমরা সৎকর্ম করব। আমরা দৃঢ়বিশ্বাসী হয়ে গেছি।
(১৩) আমি(আল্লাহ) ইচ্ছা করলে প্রত্যেককে সঠিক দিক নির্দেশ দিতাম; কিন্তু আমার এ উক্তি অবধারিত সত্য যে, আমি জিন ও মানব সকলকে দিয়ে অবশ্যই জাহান্নাম পূর্ণ করব।
(১৪) অতএব এ দিবসকে(সাক্ষাতের দিবস) ভূলে যাওয়ার কারণে তোমরা নিজ কর্মের স্বাদন গ্রহন কর। আমিও তোমাদেরকে ভুলে গেলাম। তোমরা তোমাদের কৃতকর্মের কারণে স্থায়ী আযাব ভোগ কর।
(১৫) কেবল তারাই আমার আয়াতসমূহের প্রতি ঈমান আনে, যারা আয়াতসমূহ দ্বারা উপদেশপ্রাপ্ত হয়ে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে এবং অহংকারমুক্ত হয়ে তাদের পালনকর্তার প্রশংসা,পবিত্রতা বর্ণনা করে।
(১৬) তাদের পার্শ্ব(পিঠ) শয্যা থেকে আলাদা থাকে। তারা তাদের পালনকর্তাকে ডাকে ভয়ে ও আশায় এবং আমি(আল্লাহ) তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি, তা থেকে ব্যয় করে।
(১৭) কেউ জানে না তার জন্যে কৃতকর্মের কি কি নয়ন-প্রীতি কর প্রতিদান লুক্কায়িত আছে।
(১৮) ঈমানদার ব্যক্তি কি অবাধ্যের অনুরূপ? তারা(ঈমানদার ও অবাধ্য) সমান নয়।
(১৯) যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাদের জন্যে রয়েছে তাদের কৃতকর্মের আপ্যায়নস্বরূপ বসবাসের জান্নাত।
(২০) পক্ষান্তরে যারা অবাধ্য হয়, তাদের ঠিকানা জাহান্নাম। যখনই তারা জাহান্নাম থেকে বের হতে চাইবে, তখনই তাদেরকে তথায় ফিরিয়ে দেয়া হবে এবং তাদেরকে বলা হবে, তোমরা জাহান্নামের যে আযাবকে মিথ্যা বলতে, তার স্বাদ আস্বাদন(ভোগ/গ্রহন) কর।
(২১) গুরু(বড়) শাস্তির পূর্বে আমি অবশ্যই তাদেরকে লঘু(ছোট) শাস্তি আস্বাদন(ভোগ/গ্রহন) করাব, যাতে তারা প্রত্যাবর্তন(ফিরে আসা) করে।
(২২) যে ব্যক্তিকে তার পালনকর্তার আয়াতসমূহ দ্বারা উপদেশ দান করা হয়, অতঃপর সে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার চেয়ে যালেম আর কে? আমি(আল্লাহ) অপরাধীদেরকে শাস্তি দেব।
(২৩) আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছি, অতএব আপনি কোরআন প্রাপ্তির বিষয়ে কোন সন্দেহ করবেন না। আমি একে বনী ইসরাঈলের জন্যে পথ প্রদর্শক(হেদায়াতের বিধান) করেছিলাম।
(২৪) তারা সবর করত বিধায় আমি তাদের মধ্য থেকে নেতা মনোনীত করেছিলাম, যারা আমার আদেশে পথ প্রদর্শন করত। তারা আমার আয়াতসমূহে দৃঢ় বিশ্বাসী ছিল।
(২৫) তারা যে বিষয়ে মত বিরোধ করছে, আপনার পালনকর্তাই কেয়ামতের দিন সে বিষয়ে তাদের মধ্যে ফয়সালা দেবেন।
(২৬) এতে কি তাদের চোখ খোলেনি যে, আমি তাদের পূর্বে অনেক সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছি, যাদের বাড়ী-ঘরে এরা বিচরণ(চলাফেরা) করে। অবশ্যই এতে নিদর্শনাবলী রয়েছে। তারা কি শোনে না?
(২৭) তারা কি লক্ষ্য করে না যে, আমি উষর ভূমিতে পানি প্রবাহিত করে শস্য উদগত(ফলানো) করি, যা থেকে ভক্ষণ করে তাদের জন্তুরা এবং তারা কি দেখে না?
(২৮) তারা বলে তোমরা সত্যবাদী হলে বল; কবে হবে এই ফয়সালা?
(২৯) বলুন, ফয়সালার দিনে কাফেরদের ঈমান তাদের কোন কাজে আসবে না এবং তাদেরকে অবকাশ ও দেয়া হবে না।
(৩০) অতএব আপনি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন এবং অপেক্ষা করুন, তারাও অপেক্ষা করছে।
০৬ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:১৫
আমি আলী বলছি বলেছেন: আমীন
২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫
মেমননীয় বলেছেন: রুকূঃ নেই?
মানে কি?
আমার কোরানে ৩ রুকু দেখতে পাচ্ছি!
০৬ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:১৫
আমি আলী বলছি বলেছেন: রুকু মানে হচ্ছে সম্ভাষন বা ভাষন বা বক্তব্য ৷
সাধারনত একই রুকুতে আল্লাহ তায়ালা একই বিষয়ে কথা বলেছেন ৷
প্রসঙ্গ চেন্জ করেছেন পরবর্তী রুকুতে
এই সূরায় রূকু নেই।
৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৩৯
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুন। আমিন।
০৬ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:১৬
আমি আলী বলছি বলেছেন: আমীন
৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪০
দলছুট শালিক বলেছেন: আল্লাহ তোমার দ্বীন মেনে চলার মন তৈরি করে দাও।
০৬ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:১৬
আমি আলী বলছি বলেছেন: আমীন
৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩
ওমেরা বলেছেন: আল্লাহ আমাদের হেদায়াত দান করুন যাতে আমরা কোরাআনে যথাযথ ভাবে মেনে চলতে পারি । আমীন
জাজাকাল্লাহ খায়ের ।
০৬ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:১৭
আমি আলী বলছি বলেছেন: আমীন
ওয়া ইয়্যাকুম।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৩৩
আব্দুর রহমান িরকো বলেছেন: আল্লাহ তোমাকে মেনে চলার তৌফক দাও