নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুভূতিকে অনুভব করার জন্য কাউকে চোখে দেখা বা তার কথা কানে শোনা বা পরিচয়ের প্রয়োজন পরে না। একজন লেখক তার অনুভূতি লেখার মাধ্যমেই প্রকাশ করে থাকে যা যে কোন অনুভুতিশীল ব্যাক্তির অনুভব করার জন্য যথেষ্ট

আমি দেলোয়ার

যে কোন বিষয়েই একাধিক মানুষের একাধিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে। আর এই দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমেই ফুটে ওঠে তার ব্যক্তিত্ব বা চরিত্র। তাই নিজের দৃষ্টিভঙ্গিটা ভালো করার চেষ্টা করুন না হলে কিছু অসুস্থ মস্তিস্কের ব্যক্তিদের কাতারে আপনার নাম লেখা হয়ে যাবে।

আমি দেলোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবতা বনাম ইসলাম নাকি ইসলামই মানবতা

১৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:১২

দ্বাদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ্বে এন্টিয়কের জ্যাকব গোত্রের প্রধান পুরোহিত মাইকেল দ্য গ্রেট একটি চিঠি লেখেন। তিনি তৎকালিন সময়ে আরব মুসলিমদের বিজয়ে ঈশ্বরের হাত দেখতে পান। তখন প্রাচ্যের গির্জাগুলো ৫০০বছর পর্যন্ত ইসলামী শাসনের অধীনে বসবাস করে ইসলামকে নিরীক্ষণ করার সুযোগ পায়।
.
এ পাদ্রী মুসলিম ও খ্রিষ্টীয় শাসনের তুলনামূলক বিবরণ দিয়ে লেখেনঃ
.
“এ জন্য প্রতিশোধের মালিক ঈশ্বর।শক্তি দোর্দণ্ড প্রতাপের একক অধিকারী তিনি।তিনি মানুষের রাজত্বে যেভাবে খুশী পরিবর্তন সাধন করেন।যাকে খুশী রাজত্ব দান করেন আর যার কাছ থেকে খুশী রাজত্ব ছিনিয়ে নেন।তিনি অবনতকে উন্নত করেন।
তিনি যখন রোমানদের অত্যাচার দেখেন, যারা আমাদের গির্জাগৃহে লুণ্ঠণ, এবং গোটা দেশে আমাদের আমাদের গৃহকে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য শক্তির আশ্রয় নেয়, কোন প্রকার দয়া-মায়া ছাড়াই তারা আমাদের উপর নির্যাতন চালায়, তখন রোমানদের অধিকার থেকে মুক্ত করার জন্য প্রভু ঈশ্বর দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসমাঈলের পুত্রদের{আরব মুসলিম} প্রেরণ করেন।
আর সত্য কথা হচ্ছে এই যে, ক্যাথোলিক গির্জাগৃহের পতন এবং ক্যালকী ডোম সম্প্রদায়ের ইহুদিদেরকে তা দান করবার ফলে আমাদেরকে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে।এ গির্জা সবসময় তাদের অধিকারে ছিল।আরবরা যখন সেসব অধিকার করে, তখন সেসব গির্জা যাদের অধিকারে ছিল, তাদের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়।কিন্তু এতদসত্ত্বেও রোমানদের পাষাণ হৃদয়তা, নির্যাতন ও ঘৃণা-বিদ্বেষ এবং নিজেদের বিরুদ্ধে চরম পক্ষপাতিত্ব ও শত্রুতা থেকে মুক্তিলাভ করা আমাদের জন্য কোন মামুলি কাজ ছিল না।এ{মুসলিম শাসন} হচ্ছে এক বিরাট ঘটনা, যার কারণে আজ আমরা নিজেদেরকে শান্তিতে দেখতে পাচ্ছি। ”
.
রোমানদের সঙ্গে যুদ্ধের সময় সাহাবী(রা)দের বাহিনী যখন জর্দান উপত্যকায় পৌঁছেছিল, এবং আবু উবাইদা(রা) ফোহল নামক স্থানে তাঁবু স্থাপন করেন, তখন সে অঞ্চলের খ্রিষ্টান অধিবাসীরা তাঁদেরকে লেখেনঃ
.
“মুসলিম বাহিনী, তোমরা আমাদের কাছে রোমানদের চেয়েও বেশি প্রিয়।যদিও তারা আমাদের সতীর্থ-স্বধর্মী।কিন্তু তোমরা আমাদের প্রতি বেশি অনুগ্রহশীল, জুলুম-সিতম থেকে বেশি দূরে তোমাদের অবস্থান।তোমরা সুন্দরভাবে শাসনকার্য পরিচালনা কর, কথা দিয়ে তা রক্ষা কর।কিন্তু রোমানরা সবদিক বিচারে আমাদের উপর বিজয়ী হয়েছে।তারা তো আমাদের বাসস্থান পর্যন্ত অধিকার করে নিয়েছে।আর হিমস শহরের অধিবাসীরা হেরাক্লিয়াসের সৈন্যদের সামনেই নিজেদের শহরের দ্বার রুদ্ধ করে দিয়েছে।
আর মুসলিমদের কাছে বার্তা দিয়েছে যে, গ্রীক খ্রিষ্টানদের জুলুম-নির্যাতন এবং বলপ্রয়োগের তুলনায় মুসলিমদের ক্ষমতাগ্রহণ এবং ইনসাফ-সুবিচার তাদের বেশি পছন্দ হয়।”
[ “প্রিচিং অব ইসলাম”, স্যার টি.ভি. আর্নল্ড, পৃষ্ঠা ৫৩ ও তৎপরবর্তী]

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯

সজা১২৩ বলেছেন: অতীতের কাহিনী দ্বারা কোন জিনিসের শ্রেষ্ঠত্ব/অশ্রেষ্ঠত্ব কিছুই প্রমান করে না । যিনি যে দল বা দর্শনে বা ধর্মে বিশ্বাস করেন তার পক্ষে ইতিহাসকে সেভাবে সাজান । যেমন আপনি আওয়ামিলিগের কাছে গেলে আপনি মুজিব এবং তার কিছু অনুসারীদের, বিএনপির কাছে গেলে জিয়া বা তার কিছু অনুসারীদের সোনার চরিত্রের স্বরণীয় কাহিনী শুনতে পাবেন । এটা হল রাজনৈতিক বিশ্বাসের উদাহরণ । আর যদি ধর্মের ক্ষেত্রে হয় তাহলে তো কথায় নেই, কারন অনুসারীরা তা শ্রদ্ধাভরে বিশ্বাস করবে সেটাই স্বাভাবিক।

১৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৪২

আমি দেলোয়ার বলেছেন: আজকের বর্তমানই কিন্তু আগামিদিনের অতীত। আর সব অতীত কিন্তু ইতিহাস নয়। সব ইতিহাসই অতীত। ইতিহাস থেকে মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। কোন জিনিসের মুল জানতে হলে তার ইতিহাস জানতে হবে। আর সেই মুলটাই বলে জিনিসটা কি রকম ছিল আর কি রকম হতে হবে।

"যিনি যে দল বা দর্শনে বা ধর্মে বিশ্বাস করেন তার পক্ষে ইতিহাসকে সেভাবে সাজান ।"
আপনার এই কথাটাই যদি পুরোপুরি বিশ্বাস করি তাহলে সকল ইতিহাসই পরিত্যাজ্য।

"আর যদি ধর্মের ক্ষেত্রে হয় তাহলে তো কথায় নেই, কারন অনুসারীরা তা শ্রদ্ধাভরে বিশ্বাস করবে সেটাই স্বাভাবিক।"
আর ইতিহাস যদি সত্য হয় , তাহলে সেটা গ্রহণ করা , তার থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা সকলেরি কর্তব্য।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য। ভুল থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন বলে আশা করি।


২| ১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:১৩

কল্লোল পথিক বলেছেন:




সুন্দর পোস্ট।
পোস্টে ++++++++

১৯ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:০০

আমি দেলোয়ার বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আশা করি এভাবেই পাশে থাকবেন।

৩| ১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:২০

সজা১২৩ বলেছেন: লেখককে উত্তর দেয়ার জন্য ধন্যবাদ । লেখক আমি কিন্তু ইতিহাসের প্রয়োজনীয়তা নেই তা বলিনি বা বলতে চাইনি। আমি বলতে চেয়েছি কোন মতবাদ বা ধর্মের প্রমান হিসাবে ইতিহসকে নেয়া যায় না । প্রায় প্রত্যেক ইতিহাসের কম বা বেশি বিকৃত বা পরিবর্ত ন হয়ে থাকে ।

১৯ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

আমি দেলোয়ার বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যটির জন্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.