![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
เ ค๓ ҭђє ςคקҭคเภ ﻮคςк รקคгг๏ฬ ...... .........______ ҭђє ๏гเ๔เภคใ ....... .........______ ҭђє ๏ภใұ.......
আমার লেখা গল্প -ভালবাসি হয়নি বলা তবু ভালবাসি
তনু -রিফাত একটা কাজ করে দিতে পারবি?
রিফাত -জো হুকুম মহারানী..
-ফাজলামি রাখ, পারবি কি না বল।
-কাজটা কি বলবি তো..
-আমাকে এক বোতল বিষ এনে দিতে পারবি।
-কিরে কাদছিস কেন, কি হয়েছে?
-কিছু না। ফোন রেখে দেয় তনু।
এখন তনু আর রিফাতের একটু পরিচয় দেওয়া যাক-
তনু আর রিফাত খুবই ভাল বন্ধু। সেই ক্লাস টু হতেই তাদের পরিচয়। তাদের দুই পরিবারের মধ্যে পরিচয় থাকায় সেই সখ্যতা আরো বেড়েছে। হুমায়ুন আহমেদের কথা মতে -ছেলে ও মেয়ে বন্ধু হতে পারে কিন্তু তারা একসময় না একসময় প্রেমে পড়বেই। এখানেও রিফাতের ক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম হয়নি। ক্লাস নাইন এ উঠেই রিফাত বুঝতে পারে তনু কে ছাড়া তার চলবে না। প্রতিদিনই ঘুমাতে যাবার আগে তার মনে হয় কালকেই তনুকে বলে দেবে তার মনের কথা। কিন্তু বন্ধুত্ব নষ্ট হবার ভয়ে তা আর বলা হয় না। হঠাত একদিন তনু বলে -রিফাত তর সাথে আমার কিছু দরকারি কথা আছে। রিফাত ওই রাতে আর ঘুমাতে পারে না। সকাল হতেই ছুটল তনুর কাছে। কিন্তু তনুর দরকারি কথা শুনে রিফাতের পায়ের নিচ হতে মাটি সরে গেল। তনু অন্য একজনকে ভালবাসে । সেই অন্য একজনটা কেউ না। রিফাতদের স্কুলের নতুন ছাত্র শাহীন। ওদের সম্পর্কের কথা শুনে চুপ করে যায় রিফাত। নিজের ভালবাসাকে কবর দেয় সে। এভাবেই চলে যায় দুটি বছর। এইচএসসি তে তারা একই কলেজে ভর্তি হয়। চলতে থাকে সবকিছু আগের মত।
২য় অংশ...
তনুর কান্না এ শব্দ শুনে রিফাত বাস্তবে ফেরে। ফোন দেয় তনুকে। কিন্তু তনু ধরে না। বাধ্য হয়ে ফোন দেয় তনুর বান্ধবি মিতাকে। মিতা বলল - তনু আর শাহিনের গতকালই ব্রেক আপ হয়েছে। তনু নাকি শাহীন কে অন্য একটা মেয়ের সাথে দেখেছে। অনেক চাপাচাপির পর শাহীন স্বিকার করে তনুর প্রতি তার ভালবাসা ছিল না। যা ছিল তা হ্ল সময়ের প্রয়োজন।
রাত ৯ টা। তনুদের বাসার নিচে দাড়ানো রিফাত। একটা টেক্সট পাঠায় তনু কে -আমি নিচে, একটু আসবি। একটু পরে তনুকে দেখা যায় গেটের পাশে। চোখ দেখেই বোঝা যায় অনেক কেদেছে মেয়েটা। রিফাত এগিয়ে যায়, বলে -এই নে তোর বিষ। ও হ্যা খাওয়ার আগে এই চিঠিটা একবার পরিস বলে একটা কাগজ ধরিয়ে দিয়ে চলে যায় সে।
কিছুক্ষন দাড়িয়ে থাকে তনু।রিফাত যেতেই হঠাট তার মনে হয় চিঠিটা র কথা। খুলে পরতে শুরু করে সে -
প্রিয় তনু,
সবচেয়ে কাছের বন্ধুটির উপর দুর্বল হয়ে পড়ার মত অস্বস্তিকর অনুভুতি আর নেই। আমারো তাই হয়েছিল। ভালবাসা কি যবে থেকে বুঝতে শিখেছি তবে থেকেই শুধু তর কথাই ভেবেছি। শাহীন এর সাথে তির রিলেশনশিপ এর পর ও তর জায়গায় অন্য কাউকে বসাতে পারেনি। কারন ভালবাসি আর ভালবাসি যে একমাত্র তোকেই। সবসময় তর পাশেই থেকেছি। এখনো থাকতে চাই। তাই তোকে এক বোতল বিষ দিয়ে যাবার সময় ভাবছি এক বোতল কিনে নিয়ে যাব। তোকে ওইপারেও একা ছাড়ি কি করে। যদি চিঠিটা পরে থাকিস তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিস।
ইতি তর
কাব্যপ্রেমী রিফাত....
চিঠি থেকে চোখ সরিয়ে রাস্তার দিকে তাকায় সে। ওই তো রিফাত কে দেখা যাচ্ছে। কেমন হেলে দুলে হেটে যাচ্ছে। তনু দৌরে গিয়ে ওকে ধরল। বলল -
কুত্তা, ভালবাসিস, একবার তো বলতে পারতি।
-ভয় পেতাম। যদি বন্ধুত্ব টা নষ্ট হয়ে যায়।
- ইশ ঢং। বলে জড়িয়ে ধরে রিফাতকে।
সুখগুলো আর দুজনে এগিয়ে যেতে থাকে সামনে। পিছনে পড়ে থাকে কিছু কষ্ট আর বিষের বোতলটা।
গল্প লেখার শানে নুযুল - এক বন্ধুর উপর এক বন্ধুর সিক্রেট ক্রাশ খাওয়া দেখেছিলাম কিছুদিন আগে । তা নিয়েই লেখা।
উতস্বর্গ - কাব্যপ্রেমী রিফাত ভাইয়া
-জয়
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৬
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: মিষ্টি গল্প +
ভালো থাকবেন