![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
เ ค๓ ҭђє ςคקҭคเภ ﻮคςк รקคгг๏ฬ ...... .........______ ҭђє ๏гเ๔เภคใ ....... .........______ ҭђє ๏ภใұ.......
এই রিনি দেখ - সেই ছেলেটা আজো তোকে ফলো করছে ...
মীরার কথায় আমার ঘোর কাটল । পিছন ফিরে তাকাতেই দেখি আজো সেই ছেলেটা ...... সেই একই ভাবে একটা নিদির্ষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে পেছন পেছন আসছে। আমি লম্বা একটা শ্বাস ফেলে বললাম - গত দুই বছর ধরে ত এটাই দেখছি। প্রতিদিন একই জিনিস দেখতে দেখতে সহ্য হয়ে গেছে এখন ।
- ছেলেটার নাম জানিস ?
- না ... দুই বছর ধরে পিছন পিছন হাটা ছাড়া ত আর কিছুই করছে না।
- কোনদিন কথা বলেনি?
- না ...
- এক কাজ করলে কেমন হয় -চল আমরা পিছনে দিকে ঘুরে ও দিকে হাটতে শুরু করি। পরে দেখি কি করে ......... মীরা একরকম আমাকে প্রায় জোর করেই পিছন ফিরাল। আমরা ঘুরতেই ছেলেটা থেকে গেল । একটুও নরছে না, দেখে মনে হচ্ছে স্ট্যাচু অফ লিবার্টি। আমেরিকা থেকে হেটে হেটে মালিবাগ এসে পড়েছে ।
- এই যে মিস্টার শুনছেন ? মীরা ছেলেটিকে ডাক দিল ...
- এই করছিস কি ? ডাকছিস কেন ওকে ?
- আরে দাড়া না , দেখি কি বলে ?
- এই যে মিস্টার ... আপনাকেই বলছি - কি পেয়েছেন কি ? প্রতিদিনই একই ভাবে ফলো করেন কেন আমাদের ? আমরা কি রাস্তা চিনি না ? আমাদের কি রাস্তা চিনিয়ে নিয়ে যাবেন ?
- বাদ দে না মীরা। বেচারা অপ্রস্তুত বোধ করছে। আমার কথা কানে না দিয়ে মীরা বলেই যাচ্ছে......
- কি পেয়েছেন কি আপনি। কিছু বলার থাকলে বলেন । না হলে নিজের পথ ধরেন। প্লিজ ফলো করবেন না। কি বলবেন কিছু ?
- ছেলেটি রোবটের মত মাথা ঝাকিয়ে না সম্মতি দিল।
- অনেক হয়েছে চল তো মীরা। ওকে একরকম জোর করেই টানতে টানতে আমি নিয়ে গেলাম ...... বেশ খানিক টা দূরে গিয়ে দেখি ছেলেটা যেখানে দাড়ীয়ে ছিল ঠিক সেখানেই আছে। তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে । আমার একটু মায়া হল ।
- কিছু না বললেই পারতি।
- আরে ধুর ...... এভাবে প্রতিদিন আমাদের ফলো করবে কেন ?
- বাদ দে ...... চল ক্লাসের সময় হয়ে গিয়েছে .........
৩- ৪ দিন পরের কথা ......
প্রচন্ড বৃষ্টি । মীরার জর তাই আজ আসেনি। পেট্রোবাংলার মোড়ে বৃষ্টীর মাঝে দাড়ীয়ে আছি বাসের জন্য ...... ঐ সময় দেখি চত্বরের কাছে ছেলেটি দাড়ীয়ে বৃষ্টীতে ভিজছে। সাহস করে ছেলেটির সামনে গিয়ে দাড়ালাম ।
- কি ব্যাপার , শুধু শুধু বৃষ্টীতে ভিজছেন কেন ?
- নাহ ...... মানে এমনি। হটাত বৃষ্টী শুরু হল তো্... আর আপনিও ত ভিজছেন ......
- আমার বৃষ্টীতে ভিজতে ভাল লাহে । তো কি চান আমার কাছে ......
- জি ... জি ...... আসলে
- কি চান স্পষ্ট করে বলুন । কি জন্য শুধু পিছে পিছে ঘুরেন ......
- না মানে , আপনাকে আমার খুব ভাল লাগে।
- ব্যস , এতটূকুই ।
- হুম ।
- তো , কি করতে হবে আমার । আপনার সংগে বৃষ্টিতে ভিজবে হবে ?
- না , তা কেন .........
- প্লিজ দেখুন আমার রিলেশন আছে। এভাবে আর পিছে পিছে ঘুরবেন না। আমার খুব আনইজি লাগে।
- আচ্ছা ঠিক আছে। বলে ছেলেটী প্রায় ছুটেই পালাল ............
কিছুদিন পর ......
রাস্তা দিয়ে হাটছি ...আমি আর মীরা। মাসখানেক হল সেই ছেলেটির দেখা নেই । মিরা বলল - কিরে ঐ ছেলে যেমন ইদানিং আর আসে না।
- না করে দিয়েছি তাকে। বলেছি আমার রিলেশন আছে।
- মিথ্যে বললি ?
- তো , কি বলব - আমি ফ্রি আছি। চাইলে আমার সাথে রিলেশন করতে পারেন।
- পরে ও কি বলল ?
- কিছু বলে নাই। শুধু ছুটে পালাল ......
আসাদগেট টা পার হতেই জনগনের কোলাহল শুনলাম ......
এগিয়ে গিয়ে দেখি একটা এক্সিডেন্ট হয়েছে। ভিড় ঠেলে ভিতরে গিয়ে দেখি সেই ছেলেটা রাস্তায় পড়ে আছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে চারদিক। আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। ছেলেটীর পাশে একটি খাম পড়ে ছিল ... মীরা সেটা তুলে নিল । খুলতেই দেখি ভিতরে একটা কানের দুল ...... আর একটা চিঠি্.........
প্রিয় রিনি ,
অনেক সাহস নিয়ে সম্ভোধনটা করলাম। তবে কেন জানি মনে হল এই সম্ভোধনটা আমি করতে পারি। তিন বছর আগে কোন এক বসন্তের বিকেলে তোমার সাথে দেখা। তুমার দিকে চোখ পড়া র পর ই মনে হল প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ার বিষয় টা মিথ্যা নয়। লাভ এট ফাস্ট সাইট জীবনে আমার সাথে না ঘটলে বুঝতাম ই না যে এটার অস্তিত্ব আছে। তোমার পিছনে এই তিনটা বছর স্বার্থহীন ভাবে ঘুরেছি শুধু তোমাকে একনজর দেখব বলে।
মনে করে দেখ , সেই বসন্তের বিকেলে তুমি এই কানের দুল টিই হারিয়েছিলে। তিনটা বছর তোমার পিছনে ঘুরেছি যে আমার মনের কথা টা তোমাকে খুলে বলব সেই সাথে তুমার হারিয়ে যাওয়া স্মৃতিতাও ফেরত দিব। কিন্তু অনেক সাহস নিয়েও কখনো বলতে পারিনি আমি তোমাকে কতটা ভালবাসি।
তুমি যেদিন বললে তুমার রিলেশন আছে সেদিন কথাটা শুনার পর আমার দুচোখ অশ্রু গড়ীয়ে পড়ছিল। ভাগ্যিস বৃষ্টী ছিল । তা নাহলে কি লজ্জাই ছিল বলতো। বৃষ্টীতে ভিজতে বরাবরি আমার ভাল লাগত কেন জান - কারন চোখের অশ্রু টা তখন আর কেউ দেখতে পারত না।
সেদিনের পরই মনে হল তুমার স্মৃতি টা আর রেখে লাভ নেই । তাই আজকে দিতেই এসেছি। আমাকে ভালবাসতে হবে না, শুধু সারাজীবন বন্ধু হিসেবে পাশে থেক ।এ টূকুই আমার চাওয়া...
I always like walking in the rain
So no one can see me crying...........
ইতি এক
অবুঝ বালক
চিঠিট্টা পরেই ধপ করে বসে পরলাম। চোখের সামনে সব অন্ধকার হয়ে আসল। একসময় আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামল । সেই বৃষ্টী ধুয়ে নিল আমার চোখের পানি আর আমার সেই অবুঝ বালক টার রাস্তার পড়ে থাকা নিথর দেহ থেকে বেরিয়ে যাওয়া রক্ত............
সারাজীবন বৃষ্টী পছন্দ করা আমার আজ বলতে ইচ্ছে করছে বৃষ্টি তুমি সত্যিই খুব নিষ্টুর ............
সবটাই কাল্পনিক । হঠাত অনেক দিন পর লেখতে মন চাইল .................. তাই।
বৃষ্টী কিন্ত আমারো খুব ভালো লাগে মিস রিনি ...
২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:০৩
দি ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো বলেছেন: সরি ভাইয়া আমি কপি করি নাই
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১২
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: রেডিও মুন্নার পেজ থেকে কপি মারছেন নাকি?
সেই একি ঐতিহাসিক গল্প!
ভাল কিছু, নতুন কিছু লিখুন মিয়া!