নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিস্কুটের টিন খুলে দিলে পৃথিবীতে জ্যোৎস্না নেমে আসে

দিশেহারা রাজপুত্র

শুভ্রর ব্লগ

দিশেহারা রাজপুত্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

একছত্র বিষাদমেঘ

০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৪০








মিজান সাহেব ইদানীং ঘরেই থাকেন। বাইরে খুব একটা যান না। কথা খুব কম বলেন। যেটুকু বলেন তা শুধু জাহানারার সাথে। জাহানারা মিজান সাহেবের স্ত্রী। খুবই ধর্মভীরু মহিলা। পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়েন।
তেরো বছরের বৈবাহিক জীবন। কিন্তু এই দীর্ঘসময়ে তিনি একটাবারের জন্যও মিজান সাহেবের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলেননি। কোন কথায় দ্বিমত জানাননি। তিনি জানেন তার স্বামী যা বলবেন তাই করবেন। তার কথার খেলাপ হয় না। এবং তিনি অসম্ভব রাগী একজন মানুষ।

কথিত আছে মিজান সাহেব যখন যুবক ছিলেন জমিজমা নিয়ে ঝামেলার এক পর্যায়ে গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে তামাম গ্রামের সামনে কষে এক চড় মেরেছিলেন। এও জনশ্রুতি আছে সেই চড়ের শব্দ নাকি আশপাশের তিনগ্রামে শোনা গ্যাছিল। যদিও ওই প্রধান শিক্ষক সেইকারণে আত্মহত্যা করলে তাকে কিছুটা আইনি ঝামেলা পোহাতে হয়। তবে তেমন কিছু না। দেশের আইনকানুন তখন সবই তার আব্বা গণি মোল্লার পকেটে থাকতো।

মুক্তিযুদ্ধের সময় শিবরামপুর গ্রামে যে ক'জন লোক রাতারাতি বিশাল টাকাপয়সার মালিক হ'য়ে উঠেছিল গণি মোল্লা তাদের মধ্যে অন্যতম। যুদ্ধের পর গ্রামের সবাই ভেবেছিল মোল্লা সাহেব হয়তোবা পরিবার পরিজন নিয়ে পাকিস্তান চ'লে যাবার দ্বারা গ্রামে শান্তি কায়েম করবেন। কিন্তু সবাইকে নিতান্ত নিরাশায় ডুবিয়ে তিনি গ্রামের মাথার উপর ছড়ি ঘুরানোর সিদ্ধান্ত নেন।

যুদ্ধের পর নয় বছরের মাথায় মোল্লা সাহেব পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। সমগ্র গ্রাম কান্নায় ভেঙে পড়ে। মানুষকে এতো কাঁদতে কেউ কোনদিন দেখে নাই। ছেলে-বুড়ো-নর-নারী নির্বিশেষে কেঁদেছিল। পুরো শিবপুর গ্রাম কেঁদেছিল। কেঁদেছিল শোকে না সুখে সেটাই প্রশ্ন! মৃত্যুশোকে আনন্দ অশ্রুর এইরকম নজির দেশে আর একটাও পাওয়া যাবে না। তবে মিজান সাহেব গ্রামবাসীর এইরকম কান্না দেখে যারপরনাই বিগলিত হ'য়ে যান এবং বছর পার না হ'তেই সপরিবারে ঢাকায় যাবার সিদ্ধান্ত নেন। স্বাধীনতার এক দশক পর গ্রামের মানুষ প্রথম তা উদযাপন করে।



মিজান সাহেব বেশ অস্বস্তি নিয়েই বসে আছেন। এবং তিনি যে তা নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নন তা তার চোখে তীর্যক চাহুনিতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। গত চারবছরে তার ব্যবসা ফুলে ফেঁপে এলাহি কাণ্ড। এহেন ব্যবসা নেই তিনি করেননি। আর যাতেই হাত দিয়েছেন তাতেই সোনা ফলেছে। তবে এই সোনার নিচে চাপা মরে যাওয়া অগুনিত মানুষের কান্না আহাজারি তার কানে পৌঁছালেও মন অবদি পৌঁছায় না।

মেয়েটার দিকে তাকাতেই আবার অস্বস্তি জেঁকে বসে মিজান সাহেবের মধ্যে। মেয়েটার নাম বেণী। তার গ্রাম শিবপুর থেকেই এসেছে।

মেয়েদের প্রতি মিজান সাহেব একটুআধটুু দুর্বল। এব্যাপারে তার বেশ সুনাম আছে। তার অফিসের মহিলা স্টাফ থেকে শুরু করে বাড়ির কাজের ঝি পর্যন্ত বয়সের বাছবিচার না করেই তিনি বিছানায় নিতে চান।

একবার অফিসের এক নতুন স্টাফ, ইয়াসমিন নাম ছিল মেয়েটার। উচ্চশিক্ষিত। মার্জিত। বাবা মুক্তিযোদ্ধা। অতীব সুন্দর দেখতে। চাকরির প্রথমদিন থেকেই মিজান সাহেবের দৃষ্টিভঙ্গি মেয়েটার অপছন্দ ছিল। তবে ভাবতে পারেনি লোকটা এতোটা ইতর চরিত্রের হবে।
সেদিন একটা অ্যাসাইনমেন্টের বাহানা দেখিয়ে অফিস আওয়ারের পরেও মেয়েটাকে আটকে রাখা হয়েছিল। তারপর মেয়েটার অসতর্কতায় মিজান সাহেব যখন তার বুকটা খাবলে ধরেছিল, হতভম্বের মতো তাকিয়ে ছিল মেয়েটা। বাবার বয়সী একটা লোক যে এতটা জঘন্য হ'তে পারে তার চিন্তায়ও আসেনি। ঘৃণায় গা গুলিয়ে ওঠে মেয়েটার। কিন্তু সম্বিৎ ফিরতেই পেপার ওয়েট দিয়ে মিজান সাহেবের মাথাটা ফাটিয়ে দেয়।
আসার সময় বলে এসেছিল 'আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমি আবার আসবো। যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। এখনো বাকি আছে। এবার যুদ্ধ তোদের মতো ভণ্ডদের বিরুদ্দে।'

মেয়েটাকে আর কোনদিন দেখা যায়নি। তবে তার বাবাকে প্রায়ই মিজান সাহেবের অফিসের বাইরে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যেত। কী যেন বিড়বিড় করে! কেউ পাত্তা দেয় না। পাগল মানুষ। কার সময় আছে তাকে নিয়ে ভাববার!

'চাচা, খালা আমারে আপনের কাছে পাঠাইছে। সে আপনারে চিনে। বলছে কিছুদিনের মধ্যেই আপনেরে পত্র লিখবে।' মেয়েটা কথাগুলো ব'লেই ঘরের মেঝেতে আবার আঙুল দিয়ে নকশা আঁকতে থাকে।
মিজান সাহেব মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছে। ফুলতোলা সবুজ রঙের শাড়ি প'রে আছে মেয়েটা। গায়ের রঙ উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ। চুলগুলো বেণী ক'রে বাঁধা। বয়স আর কতো হবে? সতেরো কিংবা আঠারো। তার বেশি নয়। শরীরে যৌবন আসতে শুরু করেছে যা দেখে মিজান সাহেবের ভেতর বাস করা জন্তুটা সজাগ হ'য়ে ওঠে।
যদিও মেয়েটার চোখগুলো খুব চেনা মনে হয় তার কাছে। খুব পরিচিত। ঘন কালো চোখগুলোতে গ্রামের দস্যিপনা খেলা করছে। যদিও মেয়েটা এখন ভয়ে জুবুথুবু হ'য়ে বসে আছে। কিন্তু এই চোখ, মিজান সাহেবের অস্বস্তি সবকিছু ছাপিয়ে যায় বীণার শরীর, শরীরের ভাঁজ।

জাহানারাকে ডেকে বীণাকে নিয়ে যেতে বলেন। আর বলেন, 'এখন থেকে ও এখানেই থাকবে। আমার ঘরের পাশের ঘরটা পরিষ্কার ক'রে দাও।'
স্বামীর কথার অবাধ্য তিনি হন না। যদিও জানেন মিজান সাহেবের ঘর আর ওই ঘরের মাঝখানে একটা দরজা আছে। তার একটা চাবি মিজান সাহেবের কাছেই থাকে। জাহানারার বুকটা হু হু ক'রে ওঠে মেয়েটার জন্য। কী পবিত্র একটা মুখ! তার যদি সন্তান থাকতো তবে এই মেয়েটার মতোই বড় হতো।



মিজান ভাই,

আপনার বোধকরি আমারে স্মরণ নাই। আমি আকলিমা। কেমন আছেন? শুনেছি আপনি অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। শুনে আনন্দ লাগছে। আপনি আরো বড় হোন।

বীণাকে আপনার কাছে পাঠাইলাম। আপনি ওকে চেনেন। জোহরার মতো চোখ পেয়েছে মেয়েটা। পানিতে ভাসানো। একবার চাইয়া দেইখেন জোহরার মুখ ভেসে থাকবে। ওরে আপনি দেইখে রাইখেন। আপনার রক্ত বইছে ওর শরীরে। মেয়ে ব'লে স্বীকৃত ওকে দিতে হবে না। শুধু দুইবেলা খাইতে দিয়েন। মেয়েটা ঠিকমতো খাইতে পারে না। বড় হচ্ছে। গ্রামের জুয়ান পোলারা খারাপ চোখে তাকায়। তাই আমি সাহস ক'রে আপনার কাছে পাঠাইলাম। আপনে ছাড়া ওর আর কেউ নাই। তাছাড়া আমার শরীরডাও বেজায় খারাপ। ক'দিন বাঁচি ব'লতে পারি না।

খোদা হাফেজ মিজান ভাই। আল্লাহ আপনার ভালো করুক। পত্র মারফত বীণার কথা জানাবেন।

ইতি
আকলিমা

পুনশ্চঃ বীণা জানে আপনি তার বাবা। তবে সে কাউরে বলবে না। আমি আপনের কাছে স্বীকার যাইতেও নিষেধ করেছি। পাছে আপনি ছোট হ'য়ে যান মেয়ের কাছে। আপনে ওর বাবা এই কথা শুনে সে যে কী খুশি হয়েছিল আমি আপনেরে লিখে বুঝাইতে পারবো না।

মিজান সাহেব ঘরের মেঝেতে পা ছড়িয়ে বসে আছেন। তার হাত থেকে চিঠিটা পড়ে গিয়ে ফ্যানের বাতাসে পাক খেতে থাকে। একটা ব্যথা বুকের মধ্যে শুরু হতেই শেষ হয়ে যায়। মিজান সাহেব বুঝতে পারেন কেন মেয়েটা একবারো চিৎকার করেনি? কেন বাধা দেয়নি? শুধু চোখে জন্মাতীত বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে ছিল। ঠোঁটের কোণে ছিল বিষাদ। মেয়েটা কাঁদেনি। একবারের জন্যও না।
মেয়েটা শুধু সিলিঙের ঘূর্ণায়মান পাখার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল নাকি খোদার দিকে কেউ জানে না।

অচিন্তনীয় সম্পদের মালিক মিজান সাহেবকে আইন কিছু ক'রতে পারেনি। কখনোই পারে না।
বীণাও গ্রামে ফিরে গেছে। জন্মদাতা পিতা অপেক্ষা ওই মানুষগুলো ভালো যারা রাতের শেষ ভাতের পয়সা দিয়ে যায়।



শুভ্র সরকার

মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:১৭

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:

বেশ যন্ত্রণাময় পৃথিবী । জীবনের কাছে জীবন পরাজিত, যেন কোথাও কোন পবিত্র সম্পর্ক থাকতে নেই ।

আমি 'শূণ্য পরাগ' বলেছিলাম, 'নিষ্পাপ দেহে বিষাক্ত পরাগায়ন নেই তো'- এই সব লোকগুলোরও তো ভূমিষ্ঠের সময় নিষ্পাপ দেহ ছিলো । মহাকাল তা নির্ণয় করতে পারে না। এরা আসবে, এরা মুখোশধারী রাগ, হিংস্র রমক । মহাকালকে ধোঁকা দিয়ে, তার স্বপ্নের আঁড়ালে দুঃস্বপ্ন হয়ে।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৪৫

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: হ্যাঁ কোথাও হিয়ে মিলে যায়। 'বেঁচে থাকা ছাড়া আমার কোন দুঃখ নেই' এইকথাটা আমার খুব প্রিয়। যদিও একটা অপ্রিয় সত্য

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: দিশেহারা রাজপুত্র ,




অনেক বাস্তবতা লুকিয়ে আছে গল্পে ।
ওই মানুষগুলো, যারা রাতের শেষ ভাতের পয়সা দিয়ে যায় তারাই একছত্র বিষাদমেঘের পরে সূর্য্যের আলোর মতোই ।

[ তবে "শুভ্র সরকার" টা কে ? ]

০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:০৮

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: শুভ্র সরকারটা আমিই আহমেদ ভাই

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:১৭

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ওরা ভালো। অনেকগুণ এগিয়ে আছে আমাদের চেয়ে। ওরা শুধু নিজেরটুকু নেয়। অন্যেরটা না

৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


শক্ত প্লট ছিলো, সাধারনভাবে লেখা

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: জানি

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০৫

চিটাগং এক্সপ্রেস বলেছেন: গল্পটি ভাল।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৭

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:৫৭

যাযাবর চখা বলেছেন: দারুন গল্প ভাই। তবে পরে খুবই দুঃখ পাইলাম।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৯

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: পড়ে
ধন্যবাদ

৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: গল্প ভালো হয়েছে ।


কথাকথিকেথিকথন মন্তব্যর কথাগুলোরও গভীরতা আছে !

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: উনি নিজের নামের সার্থকতা রাখছেন

৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:০৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন! অসাধারণ !!!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই। শুধু গল্প পড়লে হয়। একটু কবিতা পড়তেও আসতে পারেন।

৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অসাধারণ লেখা। মনে ভিতরটা কেমন যেন মোচড় দিয়ে উঠলো।







ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন

৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮

রাতু০১ বলেছেন: অসাধারন, শুভকামনা।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: থ্যাংকস

১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১

বিজন রয় বলেছেন: হায় রে!!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৯

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: :(

১১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫

আলোরিকা বলেছেন: জন্তু - জানোয়ারের জন্য তো ঠিকি আছে X(

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০১

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: রাগ স্বাস্থ্যকর।

১২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাসিয়ে ডুবিয়ে দিলেন- যেভাবে ডুবে যায় জীবন - নিষ্ঠুর বাস্তবতায়!

দারুন গল্পে মুগ্ধতা

++++++

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০১

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ধন্যবাদ ভৃগু

১৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩

জেন রসি বলেছেন: আপনার কবিতা পড়তে এসে এই গল্পটা পেলাম। পড়ে ফেললাম। গল্পে ডুবে ছিলাম। কিংবা মিজান সাহেব নামক এক অন্ধকারে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৩

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ধন্যবাদ জেন।

১৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:২০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অসাধারণ লিখনীর যাদু ভাই, পাঠে মুগ্ধতা নিয়ে ফিরলাম।

১৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:২৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: টাচি। আপনি অসাধারণ লিখেছেন।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:২১

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ধন্যবাদ

১৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৩৬

একলা ফড়িং বলেছেন: মন খারাপ করে দিলেন!


কবিতাটা বরাবরই দারুণ লেখেন। গল্পও যে লেখেন এত ভালো জানা ছিল না!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৯

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ধন্যবাদ ফড়িং। ফড়িং'র ডানার মতো স্বচ্ছ হোন আপনি।

১৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:০২

নীলপরি বলেছেন: সমাজ দর্শনের গল্পটা , গল্প হলেও বাস্তবিক । ++

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ধন্যবাদ পরি

১৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৫৩

ওমেরা বলেছেন: ওমা গো কি ভয়ংকর!!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ওমেরা মানে কী?

১৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:১৫

সামিয়া বলেছেন: আমার কমেন্ট খারাপ লাগবে, তবু বলছি এই একী থিমের গল্প এই ব্লগেই আমি পড়েছি, সেইখানে মিজান সাহেবের মত এক চরিত্র যে ভুল ভাল দেখে মৃত এক কিশোরীকে দেখে এবং তারপর কারন বের হয় গ্রাম থেকে কাজের আসা কাজের মেয়েটি আসলে তার নিজের মেয়ে যা কে সে রেপ করে মেরে ফেলেছে, বিষয়টি সে জানতে পারে পত্রের মাধ্যমে, যাই হোক তখন আমি ব্লগে নতুন তাই লেখকের নাম মনে করতে পা্সেপ্ত,আর তাই প্রমান ও দিতে পারছিনা, এখন লেখক যদি নিজে হাজির হয়ে গল্পতির লিঙ্ক দেয়।।

আরেকটি কথা এখনকার কর্পোরেট অফিসে কেউ চাইলেও বুকের ভেতর হাত দিতে পারেনা তা সে যতই মালিক হোক, এগুলো আগের যুগের কনসেপ্ট, চারদিকে সি সি ক্যামেরার যুগ, এখন তো টং এর দোকানেও সিসি ক্যামেরা থাকে লোল। মালিক পি এস অর এনিথিং ইলস যদি তাদের ভেতর কিছু হয় তবে সেটা তাদের স্ব ইচ্ছায় হয়ে থাকতে পারে।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: কিছুই মনে করবো না সামিয়া। তবে প্রমাণের কিছু নেই। মিল যদি থাকে তবে অজান্তে। প্লটের মূল অংশ খুব সাধারণ। এরকম শ খানের গল্প পাবেন আপনি। আমি গল্প লিখি না। সর্বসাকুল্যে আমি গল্প লিখেছি তিন চারটে। খুব সহজ প্লটে। বাস্তবতা কেন্দ্রিক। গল্পে আমার বিন্দুমাত্র নিজস্বতা নেই। সেরকম ইচ্ছেও নিজের মধ্যে পাই না গল্প নিয়ে। এটা লিখেছিলাম আমার কবিতার এক পাঠকের পীড়ায় পড়ে।

তবে যদি ভেবে থাকেন যা আপনি ভাবছেন সত্য তাতে আমার কোন সাফাই দেবার কিছু নেই। কারণ আমি আলোতেই আছি।

এই ব্লগে আমি খুব হলে চার/পাঁচ জনের গল্প নিয়মিত পড়তাম/পড়ি। হামা ভাই, জেন, গেমু, আমি তুমি আমরা'র অনুবাদ এবং আরেকজনের নাম ভুলে গেছি (দুঃখিত)।

সিসি ক্যামেরা! ওইটা অফ করা যায় না তাই না? বা ম্যানুয়ালি কন্ট্রোল করা যায় না? আমি যদিও খানিকটা ব্যাকডেটেড। তাই এইগুলো জানালে নেক্সটে আধুনিক গল্প লিখতে পারবো।

আমার এই সুবিশাল মন্তব্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কথা, লোল এবং এই জাতীয় শব্দ আমার পছন্দ না। আমার ব্লগে এইগুলান বলবেন না।

২০| ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:২২

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: পুরোপুরি বুঝতে বার দুয়েক পড়তে হয়েছে!!


বীণাদের দুঃখ এই সমাজের কেউ বোঝেনা/বুঝতে চায় না। সমাজ বরং মিজান সাহেবদের বায়োগ্রাফির প্রসংশা করতেই ব্যস্ত থাকে!!!!


পোস্টে প্লাস!


১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৫

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ভালো বলছেন। জঘন্য সত্য।

২১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫৬

সোহানী বলেছেন: ভালোলাগলো গল্পের আকারে তবে বাস্তবতাকে গলিয়ে ফেলছি না গল্পের সাথে । কারন এরকম মিজানের চরিত্র অনেক অাছে সমাজে হয়তো অন্য বেশে, খুব কঠিন তাদের মুখোশ খোলা।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৪

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: এদের মুখোশটা একসময় মুখ হয়ে যায়। তখন আর আলাদা করা যায় না

২২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৫২

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা। কাহিনী পুরনো কিন্তু তোমার বর্ণনার কারণে অসাধারণ লাগল।
+।

কেমন আছো?

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪০

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: হ্যাঁ এটা সরল একটা প্লট। মুক্তিযুদ্ধের ফ্লেভারটা দেওয়ায় হয়তো কিছুটা উতরে গেছে। অন্তত পাঠযোগ্য হয়েছে হয়তো।

২৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

ফিরে এসো রাজপুত্র......

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৮

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: এইভাবে ডাকেন। এই ডাক শোনার লোভেই উধাও হই।

২৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৪

অপ্‌সরা বলেছেন: এই লেখায় ১০০তে ২০০ দিলাম ভাইয়া!


গল্পটা পড়ে যদিও :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.