নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিস্কুটের টিন খুলে দিলে পৃথিবীতে জ্যোৎস্না নেমে আসে

দিশেহারা রাজপুত্র

শুভ্রর ব্লগ

দিশেহারা রাজপুত্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলাপসালাপ: পোয়েটিক ডিভাইসেস || প্যারাডক্স— কূটাভাস

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫২



দু'দিন আগে একটা পোস্ট পড়লাম ব্লগে, ফেলনা জিনিষ থেকে কবিতা'। সেই পোস্ট নিয়ে আমার কোন বক্তব্য নাই। তার একটা কমেন্টে একজন লিখছিলেন, 'ভাল বলেছেন। তবে এটি মুক্তকছন্দের অন্তর্ভুক্ত। স্বরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত, অক্ষরবৃত্ত ছন্দে কবিতা লিখতে পারাটা একধরণের ক্রেডিট।' এইটা নিয়ে আমার কথা আছে। আই মিন আলাপ আছে।

আমাদের অনেকের মধ্যে এইধরণের ধারণা আছে। হয়ত যে বলছে তার কাছে এইটা সঠিক, তবে আমার কাছে এইটা ভ্রান্ত। ছন্দ একটা টুল। অনেকগুলো পোয়েটিক ডিকশনের একটা। ছন্দ নিয়ে এর আগে প্রচুর আলোচনা হইছে, এখনো কেউ সুযোগ পাইলে এই ব্যাপারে লম্বাচওড়া বক্তব্য পেশ করে দেয়। ছন্দ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয়। তবে এর সাথে আরো অনেক টুল আছে যেগুলো কবিতায় ছন্দের মতই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া কোন কিছু ছন্দের বাইরে না। সকল কিছুর নিজস্ব একটা ফ্লো আছে। সেইটাই তার ছন্দ। ২৯ আগস্ট ১৯৩৯ সালের শান্তিনিকেতনে প্রদত্ত এক ভাষণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন— 'কাব্যভাষার একটা ওজন আছে, সংযম আছে; তাকেই বলে ছন্দ। যাহোক ছন্দ নিয়ে আমার কিছু বলার নাই। আমার ব্যাপারে যদি জিজ্ঞেস করেন, তো এইটা সত্য আমি গদ্যছন্দে বেশি লিখছি। সব থেকে বেশি লিখছি প্রতিকবিতা। টানাগদ্যেও কিছু লিখছি। তবে প্রচলিত ছন্দে যে লিখিনি তা নয়, তবে কম। এই কম লেখার কারণ হল মূলত প্রয়োজনবোধ না করা।

কবিতায় ব্যবহৃত অপরাপর টুলগুলো নিয়ে ব্রিফলি আলাপ করার ইচ্ছা এই থেকেই। তার কারণে এই পোস্ট। এইটা ধারাবাহিকভাবে হইতে পারে। আবার নাও হইতে পারে। তবে আমার চালচরিত্র অবজার্ভ করলে যে কেউ প্রেডিক্ট করতে পারবে যে, এইটা আসলে দুই তিনিটা পর্বের পর বন্ধ হয়ে যাবে। এমনকি এইটাই এর প্রথম ও শেষ পর্ব হইতে পারে। আশ্চর্য হবার কিছু নাই।

শুরুতে যেইটা নিয়ে আলাপ করার ইচ্ছা সেইটা হল প্যারাডক্স। র‍্যানডমলি নিছি। কোন কারণ নাই। প্যারাডক্স শব্দটা ল্যাটিন paradoxum থেকে উদ্ভূত। এর বাংলা কূটাভাস। এইটা দ্বারা প্রত্যাশিত এবং অধিষ্ঠিত কোন বিশ্বাস বা অর্থের বিপরীত ধারণাকে বোঝায়। স্পষ্টতরভাবে বললে, এইটা হল এমন এক বক্তব্য যা নিজের বিরুদ্ধে অবস্থান করে। প্যারাডক্স সাধারণত দু’ধরণের হতে পারে। লিটারেরি প্যারাডক্স আর লজিকাল প্যারাডক্স। খুব প্রচলিত একটা উদাহরণ হল— ‘আমি মিথ্যে বলছি’- এইটা হল লজিক্যাল প্যারাডক্স। এর আরেকটা উদাহরণ— ‘আমি কেউ নই’। এরকম আরো একটা হল 'আমি কিছুই জানি না’— সক্রেটিসের উক্তি। তিনি বলছেন তিনি কিছুই জানেন না অথচ তিনি জানেন যে তিনি জানেন না। তাহলে এইটা তার বক্তব্যের সাথে কনফ্লিক্ট করে। এইসকলবক্তব্যই স্ববিরোধী। এই ধরণের বাক্যে পাঠক কন্ট্রাডিকশন ব্যতীত অন্যকিছু পায় না। এইটা আলোচ্য না। তবে পোয়েটিক ডিভাইস হিশেবে যে প্যারাডক্স ব্যবহৃত হয় সেইটা জানতে হলে লজিক্যাল প্যারাডক্স জানা জরুরি।

অন্যদিকে অস্কার ওয়াইল্ডের সেই বিখ্যাত লাইন আমাদের সবার জানা আছে— ‘Life is much too important to be taken seriously’, এইটা হল লিটারেরি প্যারাডক্স। এইটা পড়ে পাঠকের কন্ট্রাডিকটরি মনে হইতে পারে কারণ গুরুত্বপূর্ণ সকল কিছুকেই সিরিয়াসলি নে’য়ার একটা সাবলীল প্রবণতা আমাদের মধ্যে আছে। তবে আরও গভীরভাবে লাইনটারে পর্যবেক্ষণ করলে বুঝবেন অস্কার মূলত বোঝাইতে চাইছেন, যে বিষয়াদি যত বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তার থেকে অধিক গুরুত্বের বিষয় হল, ওই বিষয়াদিরে কম গুরুত্বের সাথে নেওয়া।

আবার রালফ এলিসনের ‘ইনভিসিবল ম্যান’ এর সেই লাইনটা— ‘You will have freedom of action—and you will be under strict discipline to the committee’। যদিও আমার কাছে এই লাইনটারে একি সাথে স্যাটায়ারের একটা উৎকৃষ্ট উদাহরণ মনে হইছে। এইখানে বিদ্রুপ প্রকাশ পাইছে। তবে সর্বাধিক যেইটা প্রকাশ পাইছে তা হল ‘সত্য’। স্বাধীনিতা একটা মিথ। এক সুনিয়ন্ত্রিত প্রসেস ফলো ক’রে আমাদের স্বাধীনতার স্বাদ নিতে হয়। আমরা পরাধীন -এইটা মিথ্যা। আমরা স্বাধীন- এইটা সত্য নয়। এই যে সত্য আর মিথ্যার মধ্যবর্তী যে অবস্থান প্যারাডক্স ব্যতীত এত সাবলীলভাবে উপস্থাপন সম্ভব হয় না।

‘আমি নেই, আমার না থাকা আছে’— লাইনটায় কবি নিজের না থাকারে অস্বীকার করছেন। কত সহজ এই অস্বীকার। একজনের থাকা কিংবা না থাকার উপর অন্য কারো কাছে তার উপস্থিতি নির্ভর করে না। এইখানে কন্ট্রাডিকশনরে টপকায় গেছেন কবি। সত্য আর মিথ্যের মধ্যে একটা পাতলা সুতোর মত তিনি দাঁড়ায় আছেন। ফিজিক্যাল ব্যারিয়ার উতরে গেছেন। এইটা কেন করছেন? সোজাসাপটা বলেননি ক্যান? এইটা পাঠকরে মূলত অধিকমাত্রায় পাঠে ইনভলব করার একটা উপায়। চেনা পরিচিত আবহকে নতুনভাবে দেখার সুযোগ করে দেওয়া। যেমন, ‘যে মানুষটার চোখ নেই; সেও অন্ধকার দেখতে পারে’— এইখানে অন্ধকার দেখতে পারা যতটা সত্য, তার দেখতে না পারাও ঠিক ততটাই সত্য। কিন্তু এই কন্ট্রাডিকশনের উর্ধ্বে যে সত্য, পাঠককে সেইখানে পৌঁছাতে হবে।

কবিতায় প্যারাডক্স একিসঙ্গে বৈপরীত্য এবং অনভিপ্রেত একটা অর্থ পাঠকের সামনে এনে দাঁড় করায়। প্যারাডক্স বৈপরীত্য, অস্বীকৃতি, দ্বিধা— এই সমস্ত কিছুকে অতিক্রম ক’রে যায়। প্যারাডক্স পাঠকরে পুনঃ পাঠে বাধ্য করে। সত্যের থেকে অধিক সত্যের খোঁজ দেয়। কোন অনভিপ্রেত বক্তব্যের অর্থহীনতারে দায়মুক্ত করে।


উল্লেখ্য, এইটা একপ্রকার আলাপ। কার সাথে? নিজের সাথে হয়তবা। আবার এমন যে কারো সাথেই না। হয়ত আপনাদের সাথে। এইটা তবুও কোনপ্রকার তাত্ত্বিক আলোচনা না, কারণ সেই প্রকার জ্ঞান আমার নাই। ভুলভ্রান্তি হলে ক্ষমার চোখে তাকাইতে হবে না, চোখে আঙুল দিয়ে ভুল ধরায় দিয়েন।



শুভ্র সরকার





মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:১৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কবিতা লিখতে পারিনা তাই, কুটভাষার কুটচাল কিংবা কুটাভাস কোনটাই বুঝিনা। এটা বুঝি নিজের সাথে নিজের আলাপ বা স্বগতোক্তি ভাল লেগেছে ।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৪২

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: প্যারাডক্স কিন্তু শুধু কবিতায় না, সাহিত্যের অন্যান্য ক্ষেত্রের দেখা যায়। এইবার বলেন না আপনি কিছুই বোঝান না।

২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:১৮

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: প্যারাডক্স পাঠক'কে বারবার পড়তে বাধ্য করে। আর কবিতা তখন ভালো লাগে যখন কবির ভাবনার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানো যায়।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২২

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: কবির ভাবনার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছান কতটা সম্ভব। পাঠকের নিজেরে রিলেট করতে পারাটাই বড় ব্যাপার। বহুস্বর কবিতার একটা গুণ। সেইখানে কবি আর পাঠকের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিই প্রত্যাশিত।

৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

ট্রাম্প বিন পুতিন বিন হিটলার বলেছেন:





পুতিন বলছেনঃ পোস্ট পড়ার পর "বিস্কুটের টিন খুলে দিলে পৃথিবীতে জ্যোৎস্না নেমে আসে" বাক্যটি পড়লাম। এ্টাই ভালো লেগেছে।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৭

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: প্যারাডক্স থেকে ইমেজারি পাঠকরে সহজে ইম্প্রেস করতে পারে। এইটা স্বাভাবিক।

৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৪০

অস্পর্শী বলেছেন: লিখাটা তথ্যবহুল ছিলো। সাহিত্যের কিছু বিষয় সাধারণ পাঠকের বুঝার বাইরে। কিছু লিখা কিংবা কবিতা বুঝতে গেলে বিশেষ কিছু ব্যাপারে জ্ঞান থাকতে হয়। বিশেষ করে কবি বা লেখকের ব্যবহৃত রেফারেন্স, দৃষ্টভঙ্গি, ফোকার পয়েন্ট ইত্যাদি। আর ছন্দের ধরা বাঁধা নিয়ম আগে ছিলো। এই যুগে ছন্দ মুক্তি পেয়েছে। গদ্য ছন্দরীতিটাই এখন বেশ জনপ্রিয়। মডার্ন কবি বা লেখকদের মূল প্রেরণা হচ্ছে সাধারণ মানুষের জীবনচিত্র,সাধারণ ধ্যান ধারনা,সাধারণ ভাষার ব্যবহার কেননা তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের কথা আপামর জনতার কাছে পৌছে দেওয়া। অথচ আগে এমন মনে করা হতো যে সাহিত্য শুধু পন্ডিত ব্যক্তিবর্গের জন্য।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৮

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: মূলত পাঠক না, এই পোস্টের কারণ লেখকেরা। আমরা যারা লিখি, সে প্রফেশনালি লিখি বা শখের বশে লিখি, আমাদের জানা উচিৎ আমরা কী লিখছি। কী বলতে এইখানে আমরা যে জেনার নিয়ে কাজ করতেছি তার সাথে প্রাসঙ্গিক সমস্তকিছু। সামুতে ভিজিটরদের সংখ্যা অনেক বেশি। আর পাঠ পরবর্তী একটা ধারণা যেহেতু রিডাররা সচেতন বা অসচেতনভাবে গ্রহণ করে তাই আমাদের লেখার প্রতি আন্তরিক হওয়া উচিৎ।

এই যুগে ছন্দ মুক্তি পেয়েছে, ছন্দ কিন্তু অনেক আগে মুক্তি পাইছে। রবীন্দ্রনাথ তাঁর লিপিকা গ্রন্থে গদ্যছন্দ ব্যবহার করেন ১৯২২ সালে। প্রায় শত বছর।

৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১২

আদ্রিজা বলেছেন: ভালো লাগলো।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৪১

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ধন্যবাদ আদ্রিজা।

৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:২৬

সোহানী বলেছেন: রে বাপরে কঠিন আলাপ........... কিছু বঝলাম কিছু না............. পরে আবার ট্রাই দিবো বুঝার।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৫২

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: সহজ ক'রে লেখার চেষ্টা করছি। আপনি মনোযোগ দিলে অবশ্যই বুঝবেন, তেমন কিছু না।

৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩

শায়মা বলেছেন: সেই পোস্ট তো আমিও পড়েছিলাম এবং পড়িয়া হেলনা ফেলনা নিয়া কাব্যও রচিয়াছিলাম।


প্যারাডক্স মক্স ভাবিনি!! :)

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: সেইরকম কিছু না। ওইটার কারণে যে এই পোস্ট লিখছি তা নয়। আবার সেইরকম। ছন্দ ছাড়াও অনেককিছু আছে যা পাঠকদের মুগ্ধ করে, কবিতারে স্ট্যাবলিশ করে।

৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: Paradox এতো গভীর বুঝিনা তবে কি বুঝিনা তাও বুঝিনা সত্য সেও যে মিথ্যা দারণা মাত্র।

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৫২

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: হা হা সুজন ভাই। আপনার না বোঝা আমার বোঝা (load)।

৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:০০

উম্মে সায়মা বলেছেন: খুব ভালো একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছ। ভালো লাগল। পরবর্তীতে অন্যকোন ডিভাইস নিয়ে আলাপ শোনার অপেক্ষায় রইলাম। +++

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৫২

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ধন্যবাদ সায়মা। আলাপ হইতেও পারে, নাও পারে।

১০| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৫৫

উম্মে সায়মা বলেছেন: হবে না কেন? সময় বের করে আলাপ কর। নিজের সাথেই নাহয় কর।
ব্লগে এসব আলাপেরও দরকার আছে!

১০ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: চেষ্টা করব সায়মা। যদিও আমি এতটাই অলস যে মাঝেমাঝে অলসতা দেখাইতেও আলসেমি লাগে।

১১| ১০ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০৮

উম্মে সায়মা বলেছেন: হাহাহা। অলসভাবেই লিখে ফেল আস্তে আস্তে :)

১০ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: সেইটা করা যায়। আবারও মন্তব্য করার জন্য থ্যাংকস।

১২| ১০ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৪১

প্রামানিক বলেছেন: ভালো লাগল। ধন্যবাদ

১০ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:২০

জেন রসি বলেছেন: ছন্দ বিষয়টা নিয়ে কিছুদিন স্টাডি করার চেষ্টা করেছিলাম। খুব একটা উপভোগ্য কিছু মনে হয়নাই। মানে মেকানিজম। তবে ছন্দ পড়াটা মাঝেমাঝে উপভোগ্য। প্যারাডক্স নিয়ে আলাপ ভালো লেগেছে। বিষয়টা নিয়ে আমার আগ্রহ আছে।

১১ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:২৪

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: শেখার উদ্দেশ্যের উপর অনেকটাই নির্ভর করে যে সেটা উপভোগ্য হবে নাকি হবে না।
ধন্যবাদ জেন। ভাল থাকবেন।

১৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৩৯

নীলপরি বলেছেন: প্রথমে যে পোষ্টের উল্লেখ রয়েছে সেটা পড়া হয়নি । আর আলাপ করার মতো তেমন কিছু জানি না । তবে আমার সীমাবদ্ধতার মধ্যে কবিতায় প্যারাডক্স বা আপাত বিরোধিতার কথা উঠলে প্রথমেই মনে আসে সুকুমার রায়ের ' আবোল তাবোল ' এর কিছু কবিতার লাইনের কথা । যেমন --

রোদে রাঙা ইঁটের পাঁজা তার উপরে বসল রাজা—
ঠোঙাভরা বাদামভাজা খাচ্ছে কিন্তু গিলছে না ৷
( নেড়া বেলতলায় যায় কবার ?)

আর John Keats এর লেখার মধ্যে আমার প্রিয় প্যারাডক্স --

Heard melodies are sweet, but those unheard
Are sweeter;................।

না শোনা সুর বেশী মধুর ......
৪নং মন্তব্যে কী নিছক ছন্দ বা ছন্দ মুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে ? নাকি পাঠকের প্যারাডক্স ও ছন্দ নিয়ে ভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে ? আমার ধারনা পুরো ভুলও হতে পারে ! তবে যদি হয় তবে আমার জানা মতে মানে যেটুকু জানি আর কী , প্যারাডক্স ও ছন্দের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই ।

যে লাইনটা আগে বললাম সেই কবিতা থেকেই বলি --
Heard melodies are sweet, but those unheard
Are sweeter; therefore, ye soft pipes, play on;
Not to the sensual ear, but, more endear’d ( , Ode on a Grecian Urn By John Keats )


১১ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: সুকুমারের এইটা ননসেন্স রাইম। একিসাথে প্যারাডক্স প্রবণও। কীটসের লাইনটা বহুল প্রচলিত একটা প্যারডক্স।

৪নং মন্তব্য নাকি প্রতিমন্তব্য নিয়ে কথাটা বলা হল কিনা বুঝতে পারলাম না। তবে মন্তব্যে এখন যে গদ্যছন্দের চর্চা বেশি হচ্ছে সেব্যাপারে বলেছেন। প্রতিমন্তব্য নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কারণ যেহেতু মন্তব্য আমি করেছি, আমি জানি আমি কী বলেছি, সেখানে বা মূল মন্তব্যে 'প্যারাডক্স ও ছন্দের মধ্যে কোন বিরোধ নেই'- এমন স্টেটমেন্ট দে'য়ার মত কিছু বলা হয়নি।

ছন্দ ছাড়াও আরো অনেক টুল আছে যেগুলো নিয়ে আলাপ করা যায়, যেগুলো ছন্দের মতই গুরুত্ব। সেগুলো নিয়েই এই আলাপ। ছন্দ কেন কবিতার কোন টুলই অগুরুত্বের নয়। কবিতা লিখতে হলে সবগুলোই জানতে হবে। তবে কে কোনটার প্রয়োগ করতে তা নিজনিজ ইচ্ছা।

১৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:২৪

ইতল বিতল বলেছেন: আমার ডিপার্টমেন্টে একজন মজার স্যার ছিলেন।
পড়াশোনার কোনো বিষয় উনার কাছে বুঝতে চাইলে বলতেন,"আরে মা তোরা যে কি বুঝিস না, তাইই তো বুঝিস না''।

স্যার কি তবে প্যারাডক্স করে কথাটা বলতেন !

আপনার লিখাটা বেশ কাজের।
ধন্যবাদ।

১১ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:০৪

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: এইটা প্যারাডক্সই। যদি কোনপ্রকার কাজে আসে, তো সত্যিই আনন্দিত হব। ভাল থাকবেন।

১৬| ১১ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এমন আরও লিখ শু
বেশ কিছু জানা যায়;

১১ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:০৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ইচ্ছে আছে পু। :)
ভাল থাক।

১৭| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০৯

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনার প্যারাডক্সের আলোচনা ভালোই লাগলো | এরকম টপিক নিয়ে আরো আলোচনা করুন | বন্ধ করবেন না |

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:২৯

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

১৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৪১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
তোমার কলম চলুক অবিরাম......



লেখাটার ওজন হেব্বি। বাংলা সিনেমার টালিউডে পাশ করবে না। তবে দিব্যি ঢালিউডে কেটে যাবে মশাই!




হা হা হা.... জোকিং...

২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:২৭

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: :)

১৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: বেশ খোলামেলা আলোচনা এবং কিছু চমৎকার মন্তব্য, প্রতিমন্তব্য- সব মিলে পড়ে খুব ভাল লাগলো। ৪ ও ১৪ নং মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্য বেশী ভাল লেগেছে। +
আমার মনে হয়, সাহিত্যে প্যারাডক্স পাঠকের আগ্রহ এবং ঔৎসুক্য-দুটোই বাড়িয়ে দেয়।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: সরি খায়রুল ভাই। আমার খামখেয়ালির কারণে প্রতিমন্তব্যে দেরী হইলো। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.