নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এখন থেকে আমি 'মুক্ত মানব' -এই নিক-এ লিখবো। আপনি আমন্ত্রিত।

মৃম

আমার নতুন ব্লগের লিংক: http://www.somewhereinblog.net /muktamanabblog/ যা দেখি যেভাবে দেখি (কহিলো সে ফিরে দেখো, দেখিলাম থামি , সম্মুখে ঠেলিছে মোরে পশ্চাতের আমি....) [email protected]

মৃম › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুবের মন, পশ্চিমের ক্ষণ: টাশকি খাওয়া দুই কাহন

২৭ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৯:৩১

লকার রুমের শ্রদ্ধেয় দিগম্বর...



এ দেশের প্রায় সব স্কুল-কলেজেই জিমনেশিয়াম-সুইমিংপুল ইত্যাদি থাকে। আর, দাড়ির ব্যাপারে দুনিয়াব্যাপী রয়েছে মিশ্র ধারণা। কেউ পুজনীয় দাড়িঅলা , কারো পোড়ানো হয় কুশপুতুল। যাহো'ক, মোটামুটি সবাই একমত যে কোনো কোনো শশ্রুমন্ডিত চেহারা দেখলে মনে একটা স্টেরিওটিপিক্যাল সমীহভাব জাগে। কেমন হুজুর হুজুর কিম্বা ঠাকুর ঠাকুর লাগে। তো সেরকম একটা সৌম্য দাড়িঅলা প্রফেসর , যাঁকে এতোদিন ক্যাম্পাসে দেখে ভাবতাম এই লোক বাংলায় জন্মালে নির্ঘাত হতেন প্রেমের ঠাকুর, রাশিয়ায় জন্মালে টলস্টয়, আর আমাদের বাংলাদেশে জন্মালে কোন মানত-কাড়া পীর-ফকির, সেই তাঁকে পেলাম লকাররুমে। সুইমিংপুলে কিম্বা ব্যায়াম করতে বা খেলতে এসে সবাই আগে লকাররুমে ঢোকে পোশাক বদলাতে। আমি জিমে যাই মুলত: সাঁতার, ভলিবল আর ব্যাডমিন্টনের লোভে। আমার বহু অনুমিত সৌম্য বাবাজি সদ্য স্নানসেরে এসেছেন। এখন নিজের লকার খুলে ভালো পোশাক পরছেন। কি আশ্চর্য, আন্ডারগ্র্যাজুয়েটের ছেলেপুলেদের মতোই তিনিও আপার-আন্ডার সবরকমের অয়্যার বিসর্জন দিয়েই ধীরে সুস্থে আরেক কুতুবের সাথে গল্প করছেন আর নতুন পোশাক পরিধান করছেন। গল্প শেযে ধীরে সুস্থে বাড়ি যাবেন আর কি। এহেন রোল মডেলের সাথে এভাবে দ্যাখা হো'ক এতটা হয়তো আমি চাইনি। টাশকি খেলাম তাই। পালাই পালাই..। ঠিক তখুনি: আরে তুমি যে? কেমন আছো....? লোকে দেখি ঠিকই বলে, যেখানে বাঘের ভয়, ..। একবার ভাবি এটা কি? আবার ভাবি, এ ব্যাটাও আমাদের দেশে জন্মালে ওয়াসার একটু পানির জন্য হাপিত্যেস করে শেযে ছিটকিনি লাগানো বাথরুমেই কাপড় পাল্টাতো। কিন্তু ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখলে, শ্রদ্ধার কোন বস্তুনিস্ঠ কারন থেকে থাকলে তার সাথে দাড়ি থাকা -না থাকা কিম্বা লকাররুমে দিগম্বর হয়ে পোষাক পাল্টানোর তেমন জরুরী সম্পর্ক থাকার কথা না , তাইনা? গোলটা বাধে তখনি যখন আমাদের শ্রদ্ধার মুল কারণ হয় দাড়ি কিম্বা পোশাকের দৈর্ঘ্য, আরো গভীর কোন মানবিক গুনাবলী নয়।





মধ্যরাতের অ্যাডাম-টিজার



শীতের এক রাতে নির্জন রাস্তায় ট্র্যাফিক সিগন্যালের লাল বাতিতে দাঁড়িয়ে আছি। স্টিয়ারিং-এ হাত, বাতি সবুজ হলে আবার পথ চলতে হবে। ঘরে ফিরছি। আনমনা। হর্নের শব্দে সচকিত হলাম। পাশ ফিরে চেয়ে দেখি এক কার বোঝাই টিন-এজ বালিকারা, আমার মনযোগ আকর্ষনের চেস্টা করছে, আর সবাই উড়ণ্ত চুম্মা ছুঁড়ছে আমার দিকে। আমি কি আর করবো, মাথার বেসবল ক্যাপটার কার্নিশে একটু তর্জনী ছুঁয়ে, মৃদু হেসে, লাইট সবুজ হ'লে গাড়ী চালিয়ে চলে গেলাম। ফেরার পথে ভাবছিলাম, যত দোষ, ইভটিজার ঘোষ? নাকি সেটাও একটা স্টেরিওটাইপ?!



[উৎসর্গ: বাংলার সেই প্রিয় প্রজন্মকে, যার টি-শার্টের বুকে এস.এম. সুলতান আর পিঠে মাশরাফি মুর্তাজা।]

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৯:৩৮

(অ)গাণিতিক বলেছেন: দারুণ লিখেছেন ভাই!
খুব মজা পেলাম পড়ে!!
++++++++++++

এখন প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন হল
লকার রুমে তখন আপনিও কি দিগম্বর ছিলেন?!! B:-/
আর গাড়ি চালিয়ে চলে গেলেন কেন?
তাড়া করতেন? :P

এরকম আরো চাই! :)

২৭ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১০:১৮

মৃম বলেছেন: উ১; না , সাঁতারের পোশাক ছিলো।

উ২: নারে ভাই, একবচনই আজো জুটলোনা , তায় বহুবচন। গ্রামের প্রবচন: মোটে মা রাঁধে না, তায় তক্ত আর পান্তা।

উ৩: ফারহান দাউদের উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্য এই পোস্ট। আবার কখনো কেউ উস্কাইলে দেখা যাইবে। আপনার উস্কানিতেও লিখবো ভবিষ্যতে। আপনার লেখারও আমি ভক্ত।

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৯:৪৬

রাশেদ বলেছেন: হা হা! ভালো লাগছে। :D

২৭ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১০:১৪

মৃম বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৯:৫৭

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: অসাধারণ হচ্ছে ।

স্মার্ট লেখকের স্মার্ট অভিজ্ঞতা :)

২৭ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১০:১৮

মৃম বলেছেন: ধন্যবাদ, মেহরাব।

৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১০:০৯

নীল েঢউ বলেছেন: সুন্দর লেখা :)

২৭ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১০:২০

মৃম বলেছেন: ধন্যবাদ নীল ঢেউ।

৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১০:১১

ইফতেখার ইনান বলেছেন: মজা পাইলাম... অ্যাডাম টিজিং-এর শিকার হয়ে কেমুন লাগছিল? :)

২৭ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:২৮

মৃম বলেছেন: খুব একটা খারাপ লাগেনি । কিন্তু ভাবুন তো, ওরা যদি সেদিন আমাকে একা পেয়ে সৃষ্টির আদ্যিকাল থেকে ওদের ওপরে করা ইভ টিজিং এর বদলা নিতে চাইতো, তাহলে ব্যাপারটা কিন্তু খুব একটা ফান হতো না, ঠিক না?!

৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১০:২৫

(অ)গাণিতিক বলেছেন: তাহলে তো মাঝে মাঝেই এসে উস্কানি দিয়ে যাব! :-B

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৮ ভোর ৪:০৬

মৃম বলেছেন: দিয়েন, খুব ঘন ঘন পোষ্টাতে উস্কায়িত হলে Dissertation প্রজেক্ট এর বারোটা বাজার আশন্কা। শুভেচ্ছা। আপনার জ্বিন সংক্রান্ত লেখাটি দারুন লাগলো।

৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:৪৮

উরনচণ্ডী বলেছেন: বাস্তব কহিনীর সুন্দর বর্ণনা। +

২৭ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:৩০

মৃম বলেছেন: ধন্যবাদ উরনচন্ডী।

৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৬

সব্যসাচী বলেছেন:
অসাধারণ লিখেছেন।

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ২:৫৭

মৃম বলেছেন: আপনার লেখাও তো চমৎকার হয়। অনেক শুভেচ্ছা।

৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:৪৯

ফারহান দাউদ বলেছেন: আমারে কেন টিজ করলো না কেউ?:(

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৮ ভোর ৪:০৩

মৃম বলেছেন: করবে। সময় হলেই। গুড লাক।

১০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:২৭

খারাপ লোক মাগার হাচা কতা কই বলেছেন: মজা লইলাম ভালাই

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৮ ভোর ৪:০৪

মৃম বলেছেন: ঠেংক্যু, ভাই
খারাপ লোক মাগার হাচা কতা কই ! শুভেচ্ছা।

১১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ঠেংক্যু, ভাই

খারাপ লোক মাগার হাচা কতা কই ! শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.