নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে চেনার চেষ্টা করি সবসময়, কিন্তু একদমই চিনতে পারি না।

আমি মুক্তা

নিজেকে খুঁজে ফিরি অহর্নিশ, কে আমি, কোথায় ছিলাম, কোথায় এলাম আর কিছুদিন পর কোথায় যাবো?

আমি মুক্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিজুস প্রেম। পর্ব-৫

২১ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:৪৪

শুরুতে যেতে:

ডিজুস প্রেম। পর্ব-১
ডিজুস প্রেম। পর্ব-২
ডিজুস প্রেম। পর্ব-৩
ডিজুস প্রেম। পর্ব-৪

তার কথা শুনে আমি রীতিমত হতবাক হয়ে কিছুক্ষণ চুপচাপ চিন্তা করতে লাগলাম, এটা কিভাবে সম্ভব। তার নম্বরটি আমি লটারির টিকেটের মত এটা ওটা ডায়াল করে পেলাম। এরপর আবিষ্কার করলাম তার নিক নেম এবং আমার নিক নেম একই! এখন আবার সে দাবি করছে তার জন্মতারিখ ও আমার জন্ম তারিখও এক, শুধু সালটা আলাদা। নাহ আমার বিস্ময়ের ঘোর কাটছে না! আমি কি ভুল শুনলাম, নিশ্চিত হতে তাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করি-

- তোমার জন্মতারিখ কত?
- ২৫ মে ১৯...।
- যাহ বিশ্বাস হয় না।
- বিশ্বাস করার দরকার নাই, শুধু জেনে রাখ, আর যদি আমার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা থাকে তাহলে যেদিন দেখা করতে আসবা সেদিন আমার নাম আর জন্ম তারিখের প্রমাণ তুমি নিজের চোখে দেখবা।

এভাবে ঘটনার পর ঘটনা ঘটতে ঘটতে পার হয়ে যায় প্রায় ২টি মাস। এখন আর আমরা শুধু বন্ধু নয়, দু'জনে দুজনের আত্মা, প্রাণ, জীবন, ভালোবাসা! যতটা না আমার তরফ থেকে তারচেয়ে বেশি তার দিক থেকে। আমি মাঝে মাঝে কিছুটা তাকে এড়িয়ে চলতে চাই। কারণ আর কিছুই নয়, অচেনা অজানা একটা মেয়ে, বিবাহিত না অবিবাহিত, কালো না ধলা, কুৎসিৎ না সুন্দরী তা কিছুই জানি না। সে যেন আমাকে ঘৃণা করে তার জন্য আমি নিজে যেমন তার কাছে বর্ণনা করি সম্পূর্ণ উল্টো। কিন্তু তবুও তাকে আমার পিছু ছাড়াতে পারলাম না। তার এক কথা

-তুমি আমার জীবনে আসছ কাকতালীয় ভাবে, তোমার সঙ্গে আমার এতগুলো মিল এটা এমনি এমনি হতে পারে না তোমার সঙ্গে নিশ্চয় আমার জন্ম-জন্মান্তরের সম্পর্ক, তাই আল্লাহ তোমার সঙ্গে আমাকে এভাবে এক সুতোয় গেঁথে দিলেন। আমি কিছুতেই তোমাকে ছাড়বো না। যদি তুমি আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করো, তবুও আমি তোমাকে ছাড়বো না।
- তাই, কিন্তু আমি তো বিবাহিত। আমার একটা বাচ্চাও আছে।
- থাক, তবুও তুমি আমার। আমাকে ভালো বাসতে না পারলে তোমার চরণে একটু আশ্রয় দিও, না হয় তোমার ও তোমার স্ত্রীর দাসী করেই রেখ। কিন্তু তবুও আমি তোমাকে ছাড়বো না, ছাড়তে পারবো না।

হায়রে ভালোবাসা! কি করি আমি? তার এ বক্তব্যের পর আমার বিবেক আমাকে নিত্য কুরে কুরে খেতে লাগল, এটা কি করলাম আমি? কেন নিছক মজা করতে গিয়ে এভাবে তার জালে জড়িয়ে পড়লাম। কিন্তু এখানে আমারই বা কি দোষ, আমি তো তাকে সবকিছু সরাসরি বলেছিলাম, যে আমি প্রেমিকা চাই না বন্ধু চাই, আমরা দুজনে স্রেফ সারা জীবন ভালো বন্ধু হয়ে থাকবো। প্রথম কিছুদিন ঠিকঠাক চললেও এর পরে সে কখন যে অদেখা এই আমার প্রেমে হাবুডুবু খেতে খেতে আমাকেও টেনে জলে নামিয়ে ডুবে মরতে বাধ্য করল ঠিক বুঝতে পারছিলাম না।

এর মধ্যে একদিন হঠাৎ পোষ্টাপিস থেকে একটা চিঠি এল। তার ছবি ও কয়েকলাইনের একটি চিঠি সঙ্গে তার সার্টিফিকেট ও কলেজ আইডির ফটোকপি। সত্যি সত্যি তার নাম ও জন্মতারিখ ঠিক আমার সঙ্গে হুবহু এক যা সে আগেই দাবি করেছিল। আর ছবিটা নাকি কয়েক বছর আগে তোলা। এখন সে আরও একটু মোটা আর একটু কালো হয়ে গেছে।

তার চিঠি আর ছবি পাওয়ার পর আমাকে ফোন দিয়ে ক্রমাগত চাপ দিতে থাকল ছবি পাঠানোর জন্য। কিন্তু আমি তখন সিদ্ধান্তে পুরোপুরি অটল হয়ে গেছি, নাঃ অনেক হয়েছে আর নয়। এ মেয়ে চিনে জোকের মত আমার রাতের ঘুম, দিনের কাজকর্ম সব চুষে নিয়ে আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে প্রায়। এর সঙ্গে আর নয়। বেশ কয়েকদিন মোবাইল বন্ধ করে রাখব অথবা সিমটা পরিবর্তন করে ফেলব না কি চিন্তা করছিলাম। কিন্তু এর কোনটাই করতে পারছিলাম না, কারণ যখন সে ফোন করত বা তার সঙ্গে কথা বলতাম, তখন কেমন যেন এক মাদকতাময় আকর্ষণে সে আমাকে আচ্ছন্ন করে ফেলত, আমি তখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা তার সঙ্গে কথা বলে যেতাম।

এক পর্যায়ে সে আমার কাছ থেকে প্রতিজ্ঞা আদায় করে নিল, তাকে আমার ছবি পাঠাবো এবং সামনের জন্মদিন আমরা দুজনে একসঙ্গে সেলিব্রেট করব। কথা অনুযায়ী আমি ছবি পাঠালাম অন্য আরেকজনের যার চেহারা ও সাইজের সঙ্গে আমার অবস্থান সম্পূর্ণ বিপরীত প্রান্তে । কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে দেখি সে তাতেও আমার পিছু ছাড়তে রাজি হলো না। তার কথা সে আগেই বলেছে আমাকে তুমি দেখতে যত কুৎসিৎ বা কদাকার হও, তাতে আমার কিছুই যায় আসে না, আমি তোমাকে ভালোবেসেছি তাই আর কোনদিনও তোমাকে ভুলতে পারবো না। এখন তুমি যদি আমাকে বিয়ে না করতে চাও তবুও আমি তোমার কাছে যাবো তোমার কাজের বুয়া হিসেবে থাকবো।

আমি এবার পুরোই বিচলিত হয়ে গেলাম, দেখতে দেখতে আমাদের জন্মদিন কাছাকাছি চলে এল। এবার আমার কথা রাখার পালা, ২৫ তারিখ রাত্রে সে আমার সঙ্গে একসঙ্গে তার ও আমার জন্মদিন পালন করতে চায়। আর আমি যদি তার কাছে না যাই সে নিজে চলে আসবে আমাদের বাড়িতে! আমি এবার পড়লাম বিরাট বিপদে, বলে কি মেয়ে!

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:৫৮

ম্যাড ফর সামু বলেছেন: মুক্তা! একের পর এক সাসপেন্স! দেখি পরে আমাদের নিয়ে আপনি কোথায় যান।

২১ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:১৩

আমি মুক্তা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রথম মন্তব্যের জন্য! যেখানেই নেই নিশ্চিত থাকুন দেশের বাইরে যেতে হবে না, যদি সঙ্গে থাকেন বড়জোর বাংলাদেশেরই কোন একটি জেলায় হয়ত যেতে হবে।

২| ২১ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: পড়িনি। সময় করে পড়ব। আর কয় পর্ব আছে..?

২১ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:১৭

আমি মুক্তা বলেছেন: ধন্যবাদ! আপনার সময় করে পড়ে নেবার আকাঙ্খার জন্য। আর কয় পর্ব হবে তা তো বলতে পারি না ভাই, তবে ২-৩ পর্ব হবে হয়ত, বেশিও হতে পারে।

৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ভালো লাগা এমন একটি ব্যাপার যা একবার শুরু হলে তখন সব কিছুই ভালো লাগতে থাকে।

আপনার গল্পের হাত ভালো,চালিয়ে যান।

২২ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:১২

আমি মুক্তা বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই! এইতো আপনি বুঝতে পেরেছেন, তা এমন অভিজ্ঞতা নিশ্চয় হয়েছে।

লেখার হাত ভালো কিনা তা নিজে বুঝি না, তবে এটুকু বুঝতে পারি লেখা-লেখির জগতে এখন পর্যন্ত আমি একজন নবীশ মাত্র।

৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: এই যুগের প্রেম ভালোবাসার উপর আমার আস্থা নেই।

২২ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:১৩

আমি মুক্তা বলেছেন: সেটা তো ভাই আমারও নাই! তাইতো সেই যুগের প্রেম-ভালোবাসার গল্প লেখার চেষ্টা করছি।

আন্তরিক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৫| ২২ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:৩৫

বলেছেন: আসবা -- আসবে
দেখবা৷ -- দেখবে
আসছ -- এসেছো
পোস্টপিস -- পোস্ট অফিস
এল -- এলো


মনে হয় এভাবেই হবে!!

সাথে আছি৷

২২ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:১০

আমি মুক্তা বলেছেন: সাথে থাকার জন্য অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা।

হুম আপনার ধরে দেওয়া টাইপোগুলি ঠিক। কিন্তু কাহিনীর প্রয়োজনে আর তার কথা বলার ধরণেই এটা এসে গেছে। এরপর মাঝে মাঝে আঞ্চলিকতাও সে ব্যবহার করত, কিন্তু আমি তা বাদ দিয়েছি যতটুকু সম্ভব।

এখন তো দেখি প্রেমে পড়লে, প্রেমিক প্রেমিকাকে বাবু, সোনা, জানু, ইত্যাদি সম্বোধনে এবং এমন আজিব আজিব শব্দ প্রয়োগ করে দুজনে কথা বলে যে শুনলে স্তব্ধ হয়ে যেতে হয়।

আর আমি তো ভাই এখনও আপনাদের মতো লেখায় হাত পাকাতে পারিনি, বলতে পারেন এটা আমার প্রথম প্রচেষ্টা, তা একটু আধটু ভুল না করলে আপনারা যে পড়ায় ফাঁকি দিচ্ছেন না তা কিভাবে ধরব বলেন!

আন্তরিক মুবারকবাদ রইল সঙ্গে থেকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

৬| ২২ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মাদকতার মত প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়েছেন। ঠিক ততটা আসক্ত হয়ে পড়েছে মেয়েটিও । আপনার অন্যের ছবিও ফটো পাঠানো টা গল্পে কিছুটা হলেও তার প্রতি বিশ্বাস ভঙ্গের শামিল । আবার তাকেও আপনার বাড়ির কাজের বুয়া হিসেবে দেখানোটাও ঠিক প্রাসঙ্গিক না । বর্ণনা ঝরঝরে প্রাণবন্ত । এগিয়ে যান । পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

২২ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:০৫

আমি মুক্তা বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা! আমার ইচ্ছে না থাকলেও অন্যের ছবি পাঠিয়ে তার ভালোবাসার গভীরতা কতটুকু তা মেপে দেখছিলাম! আর কাজের বুয়া তো আমি বানাতে চাইনি, এখানে সে তার ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশে এটা ব্যবহার করেছে।

আর এখানেই তো লেখকগণের সীমাবদ্ধতা, তারা ইচ্ছে করলেই কি কাহিনীর মোড় যেকোন দিকে নিতে পারে বলেন? কাহিনী তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে চলে, এসব লিখতে আমারও খুব খারাপ লেগেছিল, কিন্তু তবুও লিখতে বাধ্য হলাম আর কি।

ধন্যবাদ আপনাকে মুগ্ধ পাঠক। আপনার বর্ণনাটাও সুন্দর ও সাবলীলভাবে লেখার ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দিল।

৭| ২২ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৫৮

পুলক ঢালী বলেছেন: বাহ্ মুক্তাভাই বেশ প্রাঞ্জল ভাষায় লিখছেন তো! আগে একটা পড়েছিলাম যেখানে আমি মুক্তা বলে শেষ হয়েছে আজ এই পর্বটা পড়লাম এবং উপলব্ধি করলাম ভালই একটা আবেগ দানা বেধে উঠেছে, কিন্তু আপনার (প্রথম পুরুষ) ভুমিকা শঠতা পূর্ন মনে হচ্ছে। মজা করতে গিয়ে আরেক জনের মনকে আঘাত আর হতাশায় ভরিয়ে দিচ্ছেন নাতো! (কাল্পনিক) তবে শেষ পর্যন্ত নিশ্চয়ই মধুরেন সমাপয়েৎ হবে, না হলে আপনার গল্প সমাজে নেতিবাচক কাহিনীর উদাহরনই হয়ে থাকবে। :D
ভাল থাকুন প্রিয় মুক্তা ভাই। :)

২২ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩

আমি মুক্তা বলেছেন: পুলক ভাই আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমার কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হলো আপনার মতো পাঠকের এত সুন্দর একটি বিশ্লেষণধমী মন্তব্যে। আন্তরিক মুবারকবাদ রইল আমার তরফ থেকে।

হুম শঠতাপূর্ণ কিছুটা, কিন্তু তাতেও রয়েছে স্বচ্ছতা, প্রথম পুরুষ সরাসরিই কিন্তু মেয়েটাকে বলেছে এটা শুধুমাত্র কালক্ষেপন আর ফ্রী কলিং উসূল করা, আর তাতে তার পুরো সম্মতিও রয়েছে, সো মনে হয় এক্ষেত্রে আমার বা নায়কের কোন দোষ থাকার কথা নয়, তাই না!

তবে শেষ পর্যন্ত নিশ্চয়ই মধুরেন সমাপয়েৎ হবে, না হলে আপনার গল্প সমাজে নেতিবাচক কাহিনীর উদাহরনই হয়ে থাকবে।
মধুরেন সমাপয়েৎ হলেই মনে হয় ব্যতিক্রম হবে আর বাস্তবতা হবে নেতিবাচক হলে, যা আমাদের চারপাশে অহরহই ইদানিং আমরা দেখতে বা শুনতে পাই এমন ঘটনা, যার পরিণতি কখনও কখনও অনেক ভয়ানক পর্যায়েও চলে যায়। তাই ঘটনা যে কি ঘটবে তা আমি নিজেও এখন পর্যন্ত জানি না, দেখি না, কোন নদীর জল কোন সাগরে গড়ায়।

৮| ২২ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:০৬

মুক্তা নীল বলেছেন:
রহস্যময়, আবেগ,ব্যাকুলতা সব কিছুই লুকিয়ে রেখেছেন আমাদের জন্য। এবার জটিলতা ভেঙে সরলতায় আসুন। প্রথম প্রেম সবসময়ই রোমান্টিক হয় অল্প বয়সবয়সী দের জন্য। মেয়েটার জন্য চিন্তা হচ্ছে।

২২ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৫

আমি মুক্তা বলেছেন: বলেছেন: সরলতায় আসতে চাইলেই কি সবসময় তা পারা যায় বলুন! তবে কিছু সাসপেন্স লুকিয়ে না রাখতে পারলে তো লেখার স্বার্থকতা থাকে না, তাই না। আর এটা মেয়েটার প্রথম প্রেম তা আপনি কিভাবে জানলেন? রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি কিন্তু।

মেয়েটার জন্য চিন্তা হচ্ছে!
আমি কিন্তুক মিতা এইবার মাইন্ড করলাম, আমি তোমার মিতা তুমি কই আমার জন্য চিন্তা করবে তা না মেয়েটার জন্য চিন্তা করছো, ভালো, খুব ভালো। তোমার চিন্তা যেন মেয়েটার জন্য শুভকামনা বয়ে আনে সেই প্রার্থনা করছি।

এমন আবেগী এবং দরদী পাঠক পেয়ে আমার কষ্ট স্বার্থক হলো আপ্পি।

৯| ২২ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৬

পুলক ঢালী বলেছেন: হা হা হা মুক্তাভাই খুব সুন্দর একটা রিপ্লাই দিয়েছেন তাই আবার না এসে পারলাম না। :D
প্রথম মন্তব্যে আমি কোন রেফারেন্স দেইনি ইচ্ছে করে। নায়ক বলছেন কেন নিছক মজা করতে গিয়ে এভাবে তার জালে জড়িয়ে পড়লাম ??
এক পর্যায়ে সে আমার কাছ থেকে প্রতিজ্ঞা করিয়ে নিল।(?)
দুটোতেই নায়কের দুর্বলতা ধরা পড়ছে। :D
প্রেম, প্রীতি, ভালবাসা কোন শর্ত মানে না, কোন ফর্মূলা বা ফরমেট মানে না। কখন কোন অরক্ষিত দ্বার দিয়ে মনের গভীরে হামলে পড়ে হৃদয় মন্দির তচনচ করে দিয়ে পাক্কা আসন গড়ে নেয় ভুক্তভুগি তা জানতেও পারেনা, তারপর প্রেমের ক্রীড়ানক হওয়া ছাড়া গত্যন্তর থাকেনা। সুতরাং শর্ত স্বচ্ছতা প্রমান করছেনা। ;) আমাদের আশেপাশে যে অস্থির প্রেমের উদাহরন রয়েছে তা অনস্বীকার্য নয় কিন্তু একজন লেখকের লেখা সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে এটা প্রত্যাশিত কারন সমাজের প্রতি লেখকের যে দায় আছে এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। আমরা নেতিবাচক অনেক ভাবনা ভাবতে পারি তাতে কোন দায় নেই কিন্তু আমি যদি লিখিত দলিল হিসেবে মনের ভাব প্রকাশ করি তাহলে তার দায় আমাকে নিতেই হবে। হা হা হা =p~

হেই ! মুক্তাভাই আপনি সুন্দরভাবেই লিখছেন লিখতে থাকুন একটু মজা করলাম আর কি ! :) :D
ভাল থাকুন সর্বক্ষন এই কামনা রইলো।

২৩ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৩৩

আমি মুক্তা বলেছেন: ঢালী ভাই ! সুন্দর গঠনমূলক বিশ্লেষণধর্মী বিস্তারিত মন্তব্যে প্রমাণ করে যে আপনি মনোযোগী পাঠক। আসলে সত্যি কথা বলতে কি ভাই লেখার সময় আমি কোনকিছু ভেবে চিন্তে লিখতে বসি না। বা লক্ষ্যস্থির করে লিখি না, আর লেখালেখি তেমন একটা এর আগে করিও নাই বিধায় কোথাকার ঘটনা যে কোথায় মোড় নিচ্ছে তা নিজেই কখনও কখনও খেই হারিয়ে ফেলছি। যেমন লিখতে চাচ্ছি দুজনের এবার ঝগড়া করবে কিন্তু দেখা গেলো লিখে ফেলেছি দুজনের ভালোবাসার প্রতিজ্ঞায় আবদ্ধ হয়ে গেল। আর যখন তা আবিষ্কার করছি তখন কাহিনী আরও অনেকদুর এগিয়ে গেছে।

একজন লেখকের লেখা সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে এটা প্রত্যাশিত কারন সমাজের প্রতি লেখকের যে দায় আছে এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। আমরা নেতিবাচক অনেক ভাবনা ভাবতে পারি তাতে কোন দায় নেই কিন্তু আমি যদি লিখিত দলিল হিসেবে মনের ভাব প্রকাশ করি তাহলে তার দায় আমাকে নিতেই হবে।

ভাই আপনার পরামর্শ এবং ধারণা সম্পূর্ণ ঠিক। আমি নিজেও আপনার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। তবে আমার যেটা মনে হচ্ছে এ ধরণের একটা অচেনা সম্পর্ক যদি আমি পজেটিভ দিকে সমাপ্ত করি তাহলে আবার তা একটা উৎসাহ বা উদ্দীপনার উদাহরণ হয়ে না যায়। কারণ আমরা যখন দেখি অচেনা অজানা ছেলে বা মেয়েরাও ভালো হয়, তাহলে আমরা (এ প্রজন্ম) এমন সম্পর্কে জড়িয়ে আবার না কোন বিপদে পড়ে যাই।

যাহোক ভাই আমি নিজেও জানিনা কি লিখছি, বা কি লিখবো! অনেকটা স্রোতে গা ভাসিয়ে ভেসে চললাম লেখার সাগরে, এখন লেখা আমাকে যেদিকে নিয়ে যায় যাক।

অশেষ কৃতজ্ঞতা, সুন্দর এই আন্তরিক মন্তব্যের জন্য। শুভকামনা রইল আপনার ও পরিবারের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.