নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রহেলিকা

আমি একজন প্রবাসী। আর এই প্রবাস জীবনে অনেক কষ্টই যেন আমাকে ব্লগ লিখতে অনুপ্রানিত করলো। কাগজে লিখলে হয়টি নষ্ট হয়ে যেতে পারে তাই এখানেই লিখলাম আমার কিছু কথা যেগুলো শুধুই আমার জন্য যদিও আমি আমার নিজেকে ভালোবাসিনা।

আমিন পরবাসী

Don't wait for perfect time, take the time and make it perfect.

আমিন পরবাসী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার পথ

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:২৮





আমি শত পথের মাঝে থেকে একটি পথ বেছে নিয়েছিলাম আমার পছন্দমত। অন্য কোনো পথ যেন আমায় আকৃষ্ট করত না। তাই হেটেছি শুধু একই পথধরে, প্রতিদিন, অবিরাম। মাঝে মাঝে হোচট খ্য়েছি তবুও পথটাকে যে ভালোবেসে ফেলেছিলাম আর তাই এই পথের মায়া ছাড়তে না পেরে হেটে চললাম অবিরাম। স্বপ্ন ছিল এই পথ ধরে হেটে গেলে দেখা পাবো একটি জনপদের, আর জনপদের দেখা পাওয়াই ছিল আমার এই পথে হেটে চলার প্রধান উদ্দেশ্য কারণ শত বছর হলো কোনো জনপদের দেখা পেলাম না। এই পথ ধরে হেটে গেলে যে জনপদের দেখা পাব তার একটা প্রবল বিশ্বাস মনে ছিল আমার তে শুধু হেটেই চললাম কিন্তু পথের যেন আর শেষ হয় না।



চলতে চলতে চলার পথে একদিন দেখলাম এক মহিলা প্রসব বেদনায় আর্তনাদ করছিল, যেহেত আসেপাসে কোনো জনপদ নেই তাই তার আর্তনাদে যেন আকাশ বাতাস সব কেপে উঠেছিল। কিন্ত আমি পাষান ছিলাম আর এতই স্বার্থপর ছিলাম যে পথ দিয়ে হেটে জনপদ পাওয়ার লোভে সেই গর্ভবতী মহিলাটার দিকে আমি ফিরেও তাকালাম না. হেটে চললাম সামনের দিকে আমার সেই পুরনো পথে।



আবার কিছুদূর এগিয়ে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে যখন একটি বৃক্ষের নিচে দাড়ালাম তখন আমার কানে একটি মা পাখির কাঁন্নার শব্দ এলো। উপরের দিকে তাকিয়ে দেখলাম মা পাখিটি তার তৃষ্ণায় ,অনাহারে মূমূর্ষ হয়ে যাওয়া বাচ্চাটির জন্য আর্তনাদ করছিল আর আমি তখন তাড়াতাড়ি করে সেখান থেকে প্রস্থান করলাম। সেখান থেকে পালিয়ে আবার আমার সেই পুরনো পথে হাত শুরু করলাম।



শেষ যেন হতে চায় না এই পথ আমার। আর কতদূর?



চলতে চলতে হঠাৎ একদিন সকালের আলোতে দেখি সামনে আর কোনো পথ নাই. কিন্ত একি ??? আমি এতদিন যেই জনপদের লোভে হেটে এসেছি অবিরত সেই পথ বিলীন হয়ে রূপ নিল বিস্তর এক মুরুভূমিতে। যেই মুরুভুমির কোনো শেষ নাই।



না আমি আর পিছনে ফিরে যেতে পারব না, পাষানের মত সব ভুলে এই পথকে যখন ভালোবেসে এতদূর হেটে এসেছি তখন আমি আর পিছনে ফিরে যেতে পারব না। এই পথ যখন আমাকে ভালোবেসে জনপদের বদলে এই মুরুভমিতে এনে দাড় করলো তখন এই মুরুভমিই হোক আমার শেষ ঠিকানা আর এখানেই হবে আমার শেষ নিশ্বাস।

আমি শত পথের মাঝে থেকে একটি পথ বেছে নিয়েছিলাম আমার পছন্দমত। অন্য কোনো পথ যেন আমায় আকৃষ্ট করত না। তাই হেটেছি শুধু একই পথধরে, প্রতিদিন, অবিরাম। মাঝে মাঝে হোচট খ্য়েছি তবুও পথটাকে যে ভালোবেসে ফেলেছিলাম আর তাই এই পথের মায়া ছাড়তে না পেরে হেটে চললাম অবিরাম। স্বপ্ন ছিল এই পথ ধরে হেটে গেলে দেখা পাবো একটি জনপদের, আর জনপদের দেখা পাওয়াই ছিল আমার এই পথে হেটে চলার প্রধান উদ্দেশ্য কারণ শত বছর হলো কোনো জনপদের দেখা পেলাম না। এই পথ ধরে হেটে গেলে যে জনপদের দেখা পাব তার একটা প্রবল বিশ্বাস মনে ছিল আমার তে শুধু হেটেই চললাম কিন্তু পথের যেন আর শেষ হয় না।



চলতে চলতে চলার পথে একদিন দেখলাম এক মহিলা প্রসব বেদনায় আর্তনাদ করছিল, যেহেত আসেপাসে কোনো জনপদ নেই তাই তার আর্তনাদে যেন আকাশ বাতাস সব কেপে উঠেছিল। কিন্ত আমি পাষান ছিলাম আর এতই স্বার্থপর ছিলাম যে পথ দিয়ে হেটে জনপদ পাওয়ার লোভে সেই গর্ভবতী মহিলাটার দিকে আমি ফিরেও তাকালাম না. হেটে চললাম সামনের দিকে আমার সেই পুরনো পথে।



আবার কিছুদূর এগিয়ে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে যখন একটি বৃক্ষের নিচে দাড়ালাম তখন আমার কানে একটি মা পাখির কাঁন্নার শব্দ এলো। উপরের দিকে তাকিয়ে দেখলাম মা পাখিটি তার তৃষ্ণায় ,অনাহারে মূমূর্ষ হয়ে যাওয়া বাচ্চাটির জন্য আর্তনাদ করছিল আর আমি তখন তাড়াতাড়ি করে সেখান থেকে প্রস্থান করলাম। সেখান থেকে পালিয়ে আবার আমার সেই পুরনো পথে হাত শুরু করলাম।



শেষ যেন হতে চায় না এই পথ আমার। আর কতদূর?



চলতে চলতে হঠাৎ একদিন সকালের আলোতে দেখি সামনে আর কোনো পথ নাই. কিন্ত একি ??? আমি এতদিন যেই জনপদের লোভে হেটে এসেছি অবিরত সেই পথ বিলীন হয়ে রূপ নিল বিস্তর এক মুরুভূমিতে। যেই মুরুভুমির কোনো শেষ নাই।



না আমি আর পিছনে ফিরে যেতে পারব না, পাষানের মত সব ভুলে এই পথকে যখন ভালোবেসে এতদূর হেটে এসেছি তখন আমি আর পিছনে ফিরে যেতে পারব না। এই পথ যখন আমাকে ভালোবেসে জনপদের বদলে এই মুরুভমিতে এনে দাড় করলো তখন এই মুরুভমিই হোক আমার শেষ ঠিকানা আর এখানেই হবে আমার শেষ নিশ্বাস।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৩২

আহসানের ব্লগ বলেছেন: +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.