![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কয়েকদিন থেকে আমার বেশকিছু বন্ধু ফেসবুক হ্যাকিংয়ের সম্মুখীন হয়ে বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে।অনলাইন চোরেরা টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়া সহ সম্মানহানির মত ঘটনাও ঘটায়। তাই সকলের সাবধানতার জন্য আমার স্বল্প জ্ঞান থেকে ফেসবুক হ্যাকিং ও প্রতিরোধ বিষয়ে কিছু কথা বলতে চাই।
ফেসবুক আইডি হ্যাকের বেশকিছু পদ্ধতি রয়েছে।যেমনঃ
#১.Phishing
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চুরির প্রাথমিক এবং সবথেকে সহজ পদ্ধতি হচ্ছে phishing...
ভুয়া ওয়েব পেজ তৈরি করে ফেসবুক ব্যবহারকারিদের প্রয়োজনীয় তথ্য যেমনঃইমেইল,পাসওয়ার্ড,ফোন নাম্বার ইত্যাদি হাতিয়ে নেয়াই Phishing এর লক্ষ্য।
প্রতিরোধের উপায়ঃফেসবুকের মত দেখতে কোনো পেইজে আইডি,পাসওয়ার্ড দেয়ার আগে পেইজের উপরে দেয়া URL চেক করে নিবেন।www.facebook.com & http://www.fb.com ব্যাতিত অন্য কোনো URL যেমন fancback.com,fn.net,funkbook.com এইটাইপের কিছু থাকলে ভুলেও লগইন করবেন না।
কোনো phishing সাইটে ভুলে লগইন করে ফেললে সাথে সাথে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে ফেলুন।
#২ Keylogging :ফেসবুক ও অন্যান্য অ্যাকাউন্ট হ্যাকের এটি একটি পুরাতন পদ্ধতি।তবে অসচেতন ব্যবহারকারীদের উপর এটি এখনও বেশ ভালভাবে কার্যকর।
এই আক্রমণ পদ্ধতিতে হ্যাকার একটি কিলগার সফটওয়্যার সমৃদ্ধ ফাইল আপনাকে সেন্ড করবে।আপনি যদি সফটওয়্যারটি কোনো ভাবে পিসি বা ফোনে চালু করেন তবেই খাবেন ধরা
আপনার অজান্তেই হ্যাকার আপনার কিবোর্ডে টাইপ করা প্রতিটি অক্ষর অপরপ্রান্তে বসে রিসিভ করবে।ইহাই হচ্ছে কিলগার।তো কিবোর্ডে টাইপ করা জরিনার কাছে লেখা প্রেম পত্রহোক আর আইডি,পাসওয়ার্ড হোক...সবই হ্যাকারের হাতে চলে যাবে অতিসহজে।
ক্রেডিট কার্ডের পাসওয়ার্ডও হাতছাড়া হতে পারে এই পদ্ধতিতে মাইন্ড ইট।
প্রতিরোধের উপায়ঃখুবই সহজ!ভুলেও Unauthentic source থেকে পাওয়া কোনো কিছু ফোন বা পিসিতে ইন্সটল করা যাবে না।
কোনো সফটওয়্যার নিয়ে সন্দেহ থাকলে novirusthanks.org এই ওয়েবপেজ থেকে সিওর হয়ে নেয়া যায়।
আর স্মার্ট ডুডরা এমনিতেই ধরতে পারে
তবে সমস্যা হয় আমার মত লেজি ডুডদের নিয়ে...তাদের জন্যই এত কথা।
*ভাল মানের অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার কিলগার ডিটেক্ট করতে সক্ষম।
#৩ Trojans/backdoors :এইটা একটু অ্যাডভান্স লেভেলের টপিক।এটার মাধ্যমে ভিক্টিমের পিসির পুরোপুরি কমান্ড হ্যাকারের হাতে চলে যায়।
সাধারণ ব্যবহারকারিদের জন্য ভাল মানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার ও Unauthentic source এর কিছু ইন্সটল না করার পরামর্শই শুধু দেয়া যায়।
এছাড়াও Sniffing, Social Engineering, Session Hijacking এর মত গুরুতর কিছু পদ্ধতি র্য়েছে।
তবে মোটের উপর উপরের আলোচিত জিনিসগুলোর ব্যাপারে সাবধান থাকলে এবং ফেসবুকের সিকিউরিটি সেটিংসগুলো আপ্টুডেট রাখলে সমস্যা হবার কথা না।
নিচের বিষয়গুলোর উপর বিশেষ নজর...প্লিজ...
-মোবাইল নাম্বার,ইমেইল আইডি ভেরিফাইড রাখুন।
-ফেসবুকের Login Alerts,Login Approvals চালু করে রাখুন।
-Active sessions চেক করুন নিয়মিত।সন্দেহজনক কোনো ইঊজ দেখলে session off করে দিয়ে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে নিন।
পোষ্টটি কারো কাজে লাগলে ভাল লাগবে।ধন্যবাদ
২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১০
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৭
ইনজামামুল আমীন প্রীমন বলেছেন: Welcome
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৯
সামছুল ইসলাম মালয়েশিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ কষ্ট করে লেখার জন্য৷