নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনে ও মননে রবীন্দ্রনাথ ও লালনকে ধারন করেছি তাই মানুষেই পরম ভক্তি।
ইট পাথরের দালান কোঠার
বস্তি এই শহর ঢাকায়
চলছে মানুষ যন্ত্রদানব
পিষ্ট অর্থনীতির চাকায়।
এই শহরের ঘুপচি ঘর এক
টানাপোড়নের ছোট্ট বাড়ি
আমার শিশুর ছোট্ট পায়ে
সেইটুকুই বিশাল ভারী।
আমার শিশুর নেই পরিচয়
বিশাল নীল আকাশের সাথে
আকাশটা...
মেয়েটার জন্য প্রথম লেখা কিছু কথা ডায়রির পাতা থেকে
১
দিচ্ছি তোকে সোনার বাংলা
সোনা রঙটা তুই করে নে
রঙতুলিটা সাবধানে রাখ
সোনার মানুষ নেই এখানে।
২
রক্তে আমার দ্রোহ বাজে
দ্রোহের বীজটা তুই
সেই বীজটাই বুনেছি আমি
চষে মনের...
এখন আর বারুদ ঘষে আগুন জ্বলে না
চেতনার স্ফুলিঙ্গ এখন আর ঘটায় না বিস্ফোরণ
ছাপোষা কেরানীর মত জীবনটাকে
কোনমতে টেনেটুনে বয়ে নিয়ে চলা।
বাসের দরজার ধারে বাদুরঝোলা যাত্রীর মতন
সকরুণ দৃষ্টি সামনের আসনের দিকে।
ব্যাঙের মত...
জলের বুকে বিম্বিত ছবিটার দিকে অপলক
তাকিয়ে থাকা যেন ডুবন্ত জীবনটার খোঁজে।
তারপর চোখ তুলে দেখে নেয় শান বাঁধানো ঘাট।
ওপারের কুষ্ণচূড়ার ডালে বসে থাকা কাক
তাকায় তন্বী দেহের পানে ভাবলেশহীন,
তারপর একবার দুইবার ডেকে...
হে নাগরিক চাঁদ
সুউচ্চ অট্টালিকার আড়াল থেকে উঁকি দিয়ে
কী দেখ তুমি ?
সোডিয়াম আলোয় আচ্ছন্ন তামাটে শহুরে জীবন ?
কষ্টকাতর পথ চলা নাকি গতিময়তার ব্যবধান ?
অস্থির সময়ের সাথে হত-আশা বেকার জীবন ?
কী দেখছো...
১,
কী লাভ নিজেকে নিয়ে জুয়া খেলায়
জানে না জুয়রী নিজেও
শুধু জানে ঈশ্বর নামে একজন খেলোয়ার
তার প্রধান প্রতিপক্ষ এই খেলায়
তাই প্রতি বার বাজিটা রাখে
নিজের সাধ্যের অধিক উচ্চতায়
কারণ বিশ্বাস একবার যদি হারে ঈশ্বর
সুদাসলে...
১
অপেশাদার ভঙ্গিতে আমি হাতড়ে চলি
অন্ধকার অনুভূতির গহীনে
নারীর কোমল বুকে ডুব দিয়ে নিতে চাই
শেষ উত্তাপটুকু হিম হয়ে আসা দেহের পরতে।
২
শীতের রাতে কুণ্ডলী পাকিয়ে শুয়ে থাকা কুকুরে সাথে
নিজের কী ব্যবধান, তারই সন্ধান...
ইদানিং রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময়
পান মুখে কেউ যদি পায়ের উপর ছুড়ে দেয় পিক
কিংবা ভদ্রলোকদের থুক করে ছুড়ে ফেলা কফ
আমার পায়ের কিংবা প্যান্টের আকর্ষনে ছুটে আসে
আমি একবার তাকাই তাদের নির্বিকার...
মাথার ভিতরে যখন যন্ত্রণার ঘুনপোকারা
অনবরত খুটখুট শব্দ করে চলে
তখন তোমার বাড়ির গেটে দাঁড়িয়ে
সন্ধ্যার আবছায়ায় দেখি
বেতের ইজি চেয়ারটা বারন্দায় দুলছে ধীরে ধীরে,
মোটা কালো ফ্রেমের চশমার ভেতর দিয়ে
তুমি তাকিয়ে আছো আমার দিকে,
তোমার...
প্রস্থানের ঠিক আগে
তুমি একবার যদি বলো
"এভাবে চলে যাবার খুব কি ছিল প্রয়োজন"।
উত্তর শোনার অপেক্ষায়
তুমি হয়তো অধীর বড্ড বেশী।
কিন্তু আমারও কি নেই অধীরতা।
শুধু দুজনের মাঝে ব্যবধান প্রাণের স্পন্দন।
তুমি তো রাখো নি ধরে
আমি না হয় ধরেই রেখেছি
তুমি তো চাও নি হতে কবি
আমি না হয় কবিই হয়েছি
সকাল বেলা না খেয়ে অপেক্ষা
তুমি এলে না
দুপুর বেলাও একই, শুধুই অপেক্ষা
রাত্রি বেলা তোমার সাথে
শেষ কফিটা শেষ করে
মাতবো রাত্রি উদযাপনে
তবুও তুমি এলে না
তোমার জন্য আমার অপেক্ষা
আর
আমার জন্য তোমারও অপেক্ষা
মা,
তোমার জন্য শুধুমাত্র একটি দিন তুলে রাখা আমার পক্ষে সম্ভব না। আশৈশব লালিত আমার একটি উচারিত শব্দে আত্মার অনুরণন অনুভব করি। আর আত্মা ছাড়া এই দেহটার কি কোন মূল্য দেয়া...
বুকের মধ্যে বুনেছি স্বপ্নের বীজ
চেতনা আর অনুভূতির লালনে
অঙ্কুরিত স্বপ্নেরা হয় না মহীরূহ
তবুও স্বপ্নের বীজ বপন ও লালন
এরই মাঝে ক্ষয়িষ্ণু স্বপ্নের জীবনী
তবুও স্বপ্নকে আকড়ে বুকের ভেতর
দিতে চাই সঞ্জীবনী সুধার প্লাবন
যদিও স্বপ্ন...
চমৎকার এক কাণ্ড করিলেন শিয়াল মাস্টার
পাঠশালার পাঠ চুকিয়ে কুমিরের ছানার
খুলিলেন রাজনীতি আকাদেমি একখান
শুরু হলো শিক্ষণ রাত আর দিন
রাজনীতি শেখা শুরু শিয়াল ছানার
বানর ছানাগুলো লেজে ঝুলে থেকে
হাততালি দেয় আর চর্চাটা দেখে
শিয়াল...
©somewhere in net ltd.