নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সিনেমা পাগল। সিনেমায় খাই, সিনেমায় ঘুমাই, সিনেমায় পড়ি, সিনেমায় স্বপ্ন দেখি। জীবন সিনেমাময়।

লেখাজোকা শামীম

গল্প লেখার নেশা আমার আশৈশব। মাধ্যমগুলো বদলে গেছে সময়ে সময়ে - কখনও গল্প, কখনও উপন্যাস, কখনও নাটক, কখনও চলচ্চিত্র কিংবা কখনও টিভি নাটক। যে মাধ্যমেই কাজ করি না কেন, একই কাজ করেছি - গল্প বলেছি। আমি আজন্ম গল্পকার - এক সাদামাটা গল্পকার। মুঠোফোন : ০১৯১২৫৭৭১৮৭. বৈদ্যুতিক চিঠি : [email protected]ফেসবুক : http://www.facebook.com/shajahanshamim.scriptwriterদৃষ্টি আকর্ষণ : আমার নিজের লেখা সাহিত্যকর্ম যেমন উপন্যাস ও নাটক - যা এই ব্লগে পোস্ট করেছি, তার সর্ব স্বত্ব সংরক্ষিত। আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া এসবের কিছুই কোনো মাধ্যমে পুনঃপ্রকাশ করা যাবে না।

লেখাজোকা শামীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমস্যা সম্পর্কে জানতে চান ?

২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১০:৫৫

নুরুজ্জামান০৮ বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে স্রষ্টাকে ভুলে যাওয়া। শুনে হাসব না কাঁদব ভেবে পাচ্ছিলাম না। এখনও পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষ স্রষ্টাকে স্মরণ করে। যদিও সবাই একই স্রষ্টাকে বিভিন্ন নামে ডাকে। একই স্রষ্টাকে কেন যুগে যুগে ভিন্ন্ ভিন্ন নামে ডাকা হল সেটাই একটা বিরাট রহস্য।

আমি তার একপেশে লেখা পড়ে হাসলাম। যারা ধর্মপ্রচার করার জন্য কিছু বলে বা লেখে তাদের বলাটা বা লেখাটা এমন একপেশে হবে তাতে অবাক হওযার কিছু নাই।

আজকের পৃথিবীতে মহান বুশ যেই যুদ্ধ শুরু করে গিয়েছেন, সেটা একটা ধর্মযুদ্ধ। তিনি খ্রিস্টান ও ইহুদী ধর্মের গুরু হিসেবে মুসলমান ধর্ম অনুসারীদের সাইজ করার জন্য ইরাক ও আফগানিস্তানে তার বাহিনী নামিয়ে দিয়েছেন। এই যুদ্ধের সাথে বাণিজ্যের পাশাপাশি ধর্মীয় ঘৃণাও কাজ করেছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নামের এই জঘন্য যুদ্ধের মাসুল আমরা সারা পৃথিবীর মানুষ দিচ্ছি।

পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ ঘৃণার ইতিহাস নিঃসন্দেহে ইহুদী ও মুসলমানদের সম্পর্ক। ইসরাইল ও প্যালেস্টাইন নামের দুটি রাষ্ট্রের মানুষ কেন পরস্পরকে ঘৃণা করে ? তাদের ধর্মীয় বিভাজনের জন্য নয় কি ? দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা এই অসম যুদ্ধে কত মানব সন্তান মারা গেছে ? ধর্মীয় পার্থক্য না থাকলে তারা কি পরস্পর শত্রু হত ?

আরবের একই বংশ থেকে সকল নবী বা রসুল পয়দা হয়েছে। তারা ১০৪ টি আসমানী কিতাব লাভ করেছেন। যুগে যুগে তারা একাধিক আসমানী কিতাব লাভ করাতে আজ পৃথিবীর প্রধানতম ৩টি ধর্ম সৃষ্টি। যেমন : ইহুদী ধর্মবলম্বীদের জন্য যবুর, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য ইঞ্জিল এবং মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য কোরআন। এই ৩টি গ্রন্থ ৩ বারে নাযিল না হলে ৩টি ধর্ম সৃষ্টি হত না। হত না মানুষে মানুষে এত ব্যবধান। হত না এত শত্রুতা। হত না এত যুদ্ধ।

যদি স্রষ্টা ১ জন হয়, তবে কেন তার এত আসমানী কেতাব ? ১টি কেতাব দিয়ে ১টি ধর্ম পাঠালেই তো এত হানাহানি হত না।

বাস্তব জীবনে ধর্মীয় বিশ্বাস কি কাজে লাগে ? মানুষ কি কর্মঠ হয় কোন ধর্ম পালনের জন্য ? তাহলে তো কর্মক্ষেত্রে সেই ধর্মের লোকদেরই চাকুরি হত। তাদের বেতন হত বেশি । কোন ধর্ম যদি মানুষকে কর্মদক্ষ ও কর্মঠ বানাত, তবে সবাই সেই ধর্মের অনুসারী হতে আগ্রহ বোধ করত।

ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য কি মানুষ মেধাবী হয় ? তাহলে তো সেই ধর্মের মানুষরাই হত বড় বিজ্ঞানী বা শিল্পী। বাস্তবে তো যে কোন ধর্মের মানুষই বিজ্ঞানী বা শিল্পী হওয়ার মতো মেধাবী হয়। কোন ধর্ম পালন করলে যদি মেধাবী হওয়া যেত, তবে সবাই সেই ধর্মের প্রতি উৎসাহী হত।

ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য কি মানুষ ধনী বা গরীব হয় ? না, ধনী বা গরীব হওয়ার সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নাই। যে কোন লোকই ধনী বা গরীব হতে পারে। যদি কোন ধর্ম গ্রহণ করলে মানুষ ধনী হয়ে যেত, তবে সবাই সেই ধর্ম গ্রহণ করত।

ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য কি মানুষ রোগমুক্ত থাকে ? না, বাস্তবে ধর্মের সাথে রোগের কোন সম্পর্ক নাই। যে কোন ধর্মের লোক যে কোন রোগে আক্রান্ত হয়। ইমাম সাহেবেরও ডায়াবেটিক হয়, পাদ্রী সাহেবেরও ডায়াবেটিক হয়। কোন ধর্ম পালন করলে যদি রোগমুক্ত থাকা যেত তবে সবাই সেই ধর্মই পালন করত।

কোন ধর্ম পালন করলে কি মানুষ চির যৌবন পায় ? না, যৌবন স্থায়ী করার সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নাই। যে কোন ধর্ম পালনই করি না কেন একটা সময়ের পর আমাদের বুড়ো হতেই হবে। কোন ধর্ম পালন করলে যদি চিরযৌবনা হওয়া যেত, সেই ধর্ম বাদে আর কোন ধর্ম থাকত না।

কোন ধর্ম পালন করলে কি মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা থেকে বাঁচে ? না, যখন ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস হয়, তখন সবার ঘরই ভাংগে। মসজিদও ভাংগে, মন্দিরও ভাংগে। সবাই যার যার স্রষ্টাকে ডেকেও সেই দুর্যোগ থামাতে পারে না। যদি কোন ধর্ম পালন করলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা থেকে বাঁচা যেত, মানুষ সেই ধর্ম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম পালন করত না।

আসলে বাস্তব জীবনে আমাদের যা যা ঘটার তার সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নাই। বরং ধর্মের বিভিন্নতা থাকার জন্য মানুষে মানুষে বিভেদ ও ঘৃণা সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ তো স্রষ্টা বিশ্বাসী হয়ে কোন লাভ পায় নাই, বরং অপরের সাথে হানাহানি করে রক্তপাত করেছে। যুদ্ধ করেছে, ধর্ষণ করেছে, খুন করেছে। ধর্মের নামে সবই বৈধ হযে গেছে।

অন্য দিকে অপরাধ করার ক্ষেত্রে কোন ধর্মের লোকেরা অপরাধ বেশি করে এবং অন্য কোন ধর্মের লোকেরা অপরাধ কম করে তা কিন্তু নয়। সব ধর্মের লোকের মধ্যেই অপরাধী আছে। এমনকি ধর্মগুরুরাও নানা রকম কদর্য ধরনের অপরাধ করে থাকে।

যদি কোন ধর্ম পালনের জন্য অপরাধ না থাকত তবে তো পৃথিবীটাই বেহেস্তখানা হয়ে যেত। বাস্তবে তো সেটা হয় না। আমাদের মতো মুসলিম প্রধান ইমানী দেশেও সবচেয়ে বড় সমস্যা কিন্তু দুর্নীতি। দাড়িওয়ালা লোকও ঘুষ খায়। সুদে টাকা খাটায়। তার মানে ধর্ম কোন মানুষকে অপরাধ থেকে দূরে রাখতে পারে নাই।

আমার মতে, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমস্যা

০১) একই স্রষ্টার নাম দিয়া একাধিক ধর্মের অবতীর্ণ হওয়া

০২) প্রত্যেকটি ধর্ম নিজেকে সঠিক, শ্রেষ্ঠ ও একমাত্র ধর্ম এবং অপরকে বেঠিক ও খারাপ মনে করা

০৩) এক ধর্মের অনুসারী অপর ধর্মের অনুসারীকে ঘৃণা করা

০৪) শান্তি প্রতিষ্ঠার নাম দিয়া অপর ধর্মের অনুসারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা, হত্যা করা এবং আর যা যা কুকর্ম করা যায় সবই করা

০৫) ধর্মের বিরুদ্ধে গেলে সেটা যতই আধুনিক ধ্যান ধারণা হোক সেটাকে বেঠিক ও খারাপ বলে প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লাগা।

মন্তব্য ৮৮ টি রেটিং +৩৯/-৯

মন্তব্য (৮৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:০০

ট্র্যানজিস্টার বলেছেন: "০১) একই স্রষ্টার নাম দিয়া একাধিক ধর্মের অবতীর্ণ হওয়া"

শামিম ভাই, আপনি কি নিশ্চিত? ;)

লেখা ভালো লেগেছে। প্লাস।

২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:০৫

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: কমপক্ষে ৪টি কিতাব তো একই স্রষ্টার বলে মুসলমানরা বিশ্বাস করে।

২| ২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:০১

ট্র্যানজিস্টার বলেছেন: পুনশ্চ: আপনার নামের বানান ভুল করে ফেলেছি। কর্ণধৃতাবস্থায় ক্ষমাপ্রার্থী।

২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:০৪

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: :)

৩| ২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:১৫

শয়তান বলেছেন:
যদি স্রষ্টা ১ জন হয়, তবে কেন তার এত আসমানী কেতাব ? ১টি কেতাব দিয়ে ১টি ধর্ম পাঠালেই তো এত হানাহানি হত না।
বাস্তব জীবনে ধর্মীয় বিশ্বাস কি কাজে লাগে ? মানুষ কি কর্মঠ হয় কোন ধর্ম পালনের জন্য

--- কঠিন একমত । প্রিয়পুস্টে চালান করলাম

৪| ২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:১৯

শয়তান হন্তারক বলেছেন: পৃথিবীর ইতিহাসে যে দুটি সংঘাতে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয় , তা হল প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযু্দ্ধে । আপনার কি ধারণা সেটা ধর্মের কারণে হয়েছিল?

২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:২৮

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ইহুদীদের প্রতি হিটলারের ঘৃণার কথা কি ভুলে গেছেন ?
তবে আপনার প্রশ্ন অবান্তর, কেননা কোন যুদ্ধের পেছনে কেবল ধর্ম কারণ থাকে না, আরও স্বার্থ থাকে। ধর্মীয় ঘৃণা উস্কে দিয়ে সেটা কাজে লাগানো হয়। এখন যেমন ইহুদী ও খৃষ্টানদের মুসলমানদের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বে উস্কে দেয়া হচ্ছে। এটা কিন্তু যুদ্ধকে জিইয়ে রাখার কৌশল। আর যুদ্ধ মানে হল অস্ত্র ব্যবসা। অনেক মুনাফা।

৫| ২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:২১

দিপক কুমার বলেছেন: বেশিরভাগ মানুষের মন থেকে ভালবাসার বিদায় (স্বার্থের উদ্ভব)
এবং অন্যকে হেয় বা ঘৃনা করার প্রবনতা। এগুলোর কাছে এই
সুন্দর পৃথিবী যেন জিম্মি হয়ে গেছে।

৬| ২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:২৬

কাক ভুষুন্ডি বলেছেন: আমার এক্টা কথা ছোটকাল থেকেই মনে আসে।

আসমানী কিতাবের চার্টা ভার্সন কেনো প্রয়োজন হৈলো?
তৈলে সর্বশক্তিমানের সর্বশক্তিমানিত্বের দাবীতো অসাড়।

২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:৩১

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: যা খুশি বুইজা লন।

৭| ২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:২৬

সার্কিট বলেছেন: এই পৃথিবীর যা কিছু ক্ষুদ্র যা কিছু অকল্যাণকর
পুরোটাই তার আনিয়াছে কেবল ধর্ম আর ঈশ্বর।
++

৮| ২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:২৯

মদনকুমার বলেছেন: +

৯| ২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:২৯

শয়তান বলেছেন: সার্কিট এ আরও জটিল কথা কৈসে

১০| ২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:৩০

শয়তান হন্তারক বলেছেন: "আজকের পৃথিবীতে মহান বুশ যেই যুদ্ধ শুরু করে গিয়েছেন, সেটা একটা ধর্মযুদ্ধ।" আপনার এই লেখাটি পড়ে আমি অবাক হলাম!

মহান বুশ যে যুদ্ধ আরম্ভ করেছেন তা আমেরিকার ফরেইন পলেসির অন্তর্গত। স্নায়ু যুদ্ধে রাশিয়ার পতনের পর বিশ্ব পুজিঁবাদী শক্তি তার দ্বিতীয় শত্রুকে চিহ্নিত করেছে এবং সেই অনুযায়ী তারা কর্মনিতী নির্ধারণ করছে। এই যুদ্ধের পেছনে আরো একটি রাজনৈতিক স্বার্থ হচ্ছে মধ্য প্রাচ্যের তেল সম্পদ দখল ও তার পাহাড়াদার হিসেবে ইসরাইলের আন্চলিক নিরাপত্তা পক্ত করা। আপনি যুদ্ধের আগে দেওয়া রাশিয়া, ফ্রান্স আর চায়নার রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের পর্যালোচনা লক্ষ্য করলেই তা বুঝতে পারবেন।

২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:৩৬

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনার কথা ঠিক। এইটা হইল বাণিজ্যিক লাভ। কিন্তু তার সাথে ধর্মীয় ঘৃণাও আছে। সেই ঘৃণাটাকে কাজে লাগিয়েছেন মহান বুশ। তিনি এই যুদ্ধটাকে ক্রুসেড বলে অভিহিত করেছিলেন।

১১| ২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:৪৮

নো ব ডি বলেছেন: আপনি কেমন মূর্খের মতো কথা লিখেছেন, বুঝতে পারছেন? আরজ আলী মাতুব্বর ও ধর্মের বিপক্ষে লিখেছেন, তবে তিনি অনেক ভেবেচিন্তে লিখেছেন। আপনি তাঁর নাগাল পেলে শিখতে পারতেন।

০৫ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১১:৪০

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আরজ আলী রচনাবলী পড়েছি। তাকে স্যালুট জানাই।

১২| ২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:৪৮

শয়তান হন্তারক বলেছেন: পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ ঘৃণার ইতিহাস নিঃসন্দেহে ইহুদী ও মুসলমানদের সম্পর্ক- আপনার এই উক্তিটি পড়ে আমি ভীষণ অবাক হই।

আমরা জানি , মুসলামনদের ইতিহাস আরম্ভ হয় খৃষ্টাব্দ ৬ শতকের দিকে। কিন্তু এর আগেও শত শত বছর যাবৎ রোমানদের সাথে ইহুদিদের যে ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ইতিহাস রয়েছে তা কেনা জানে! তারপর যিশুর ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার পর নব্য যিশুর অনুসারীদের সাথে ইহুদীদের যে স্থায়ী শত্রুতার সৃষ্টি হয় তার সাক্ষী তো খোদ নিউ টেস্টামেন্ট ও পরবর্তীকালের ইহুদি ও খ্রীষ্টান পণ্ডিতদের লেখা ইতিহাস। সর্বশেষ যে ইহুদী নিধন চলে , তা একটি খৃষ্টান জাতিগোষ্ঠি দ্বারা সংগঠিত যেখানে প্রায় ইউরোপের ষাট লক্ষ ইহুদীকে হত্যা করা হয়। পৃথিবীতে আমরা যতগুলি ইহুদী নিধনের ঘটনা দেখি তার শতকরা ৯৯.৯৯ ভাগ মুসলমানদের দ্বারা সংগঠিত হয় নি , তা যে কোন ইতিহাসবিদ বিনা বাক্যে স্বীকার করবেন। বরং আমরা দেখি , মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে মুসলমানদের সাথে ইহূদীদের এক দীর্র্ঘকালের সুসম্পর্কের ইতিহাস এবং সেই কারণেই ইহূদীরা ইউরোপ ছেড়ে পালিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে বসতি গড়তে চেয়েছিল।

এরপরইৎ যদি কেউ বলে "পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ ঘৃণার ইতিহাস নিঃসন্দেহে ইহুদী ও মুসলমানদের সম্পর্ক" , তাতে অবাক হতে হয়।

২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:৫৯

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমার এই বাক্যটি প্রত্যাহার করে নিলাম। আপনার কথা সঠিক বলে মেনে নিলাম। তাতে করে কি ধর্মীয় ঘৃণা সম্পর্কে আমার বলা কথা মিথ্যা হয়ে গেল ? আপনি এই মন্তব্যে ইহুদী ও খৃষ্টানদের যে ঘৃণার সম্পর্কের কথা বললেন তা কি ধর্মীয় ঘৃণা নয় ?
আর মুসলমানদের সাথে ইহুদীদের ভালো সম্পর্ক কি না তা প্যালেস্টাইনীরা বলতে পারবে।

১৩| ২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:৫২

স্বপ্ন-বয়ান বলেছেন: সহমত @সার্কিট
পোস্টে ++++++++

১৪| ২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:৫৩

শয়তান হন্তারক বলেছেন: ক্রসেড আক্ষরিক অর্থেই " মুসলমানদের " সাথে যুদ্ধ করা বোঝায় না। আমাদের এখানে যেমন জিহাদ শব্দটির ব্যবহার হয়। যেমন: জনৈক মন্ত্রী বলেছিলেন তিনি দূর্নিতীর বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করেছেন। অথবা কাউকে মীরজাফর বললে তাকে আক্ষরিক অর্থেই সিরাজউদ্দৌলার মীরজাফর বোঝানো হয় না। ঠিক আমেরিকায় " ক্রসেড শব্দটির ব্যবহার ঠিক তেমন ।

৩০ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:০১

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ক্রুসেড আক্ষরিক অর্থে মুসলমানদের সাথে যুদ্ধ করা না বোঝালেও সেটা ছিল ধর্মযুদ্ধ। এই শব্দটার অর্থই হল ধর্ম রক্ষার্থে যুদ্ধ - ধর্মযুদ্ধ। মুসলমানরা যেমন জিহাদ বলে। মহান বুশ এই শব্দটা ধর্মীয় ঘৃণা উষ্কে দিতেই ব্যবহার করেছিলেন।

১৫| ৩০ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:০১

শয়তান হন্তারক বলেছেন: তাছাড়া ইসরাইলের সাথে প‌্যালেইস্টাইনের যে সংঘাত তাকে কোনভাবেই ধর্মযুদ্ধ বলে আখ্যা দেয়া যায় না। কারণ ইসরাইলি রাষ্ট্র " ইহুদীবাদের " উপর প্রতিষ্ঠিত নয়। তা "জায়ানিজম" মতাদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত , যা একটি রাজনৈতিক মতাদর্শ। তা যে কোন ইহুদী ধর্ম বিশেষজ্ঞর এই ব্যাপারে কোন বই পড়লেই আপনি বুঝতে পারবেন। প‌্যালেইস্টাইন যে কারণে ইসরাইলের সাথে লড়ছে , তাদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে , রাজনৈতিক " জায়ানিজম" এর বিরুদ্ধে , তা ইহুদীবাদের বিরুদ্ধে না। বরং বর্হিবিশ্বে অনেকে ধর্মীয় আবেগের কারণে এই সংঘাতকে "ধর্মীয়" মনে করছেন। কিন্তু বাস্তব রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তা আপাদমস্তক ত্রুটিপূর্ণ। সুতরাং ইসরাইল-প‌্যালেস্টাইন এর সংঘাতকে ধর্মীয় বলাটা রাজনৈতিক বাস্তবতার ক্ষেত্রে ভূল।

৩০ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:০৭

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনার সাথে একমত। কিন্তু তারপরও কি ধর্মীয় ঘৃণা নাই ? আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন, তবে শপথ করে বলেন, আপনি কি ইহুদীদের ঘৃণা করেন না ? এই ঘৃণার একমাত্র কারণ কি ধর্মীয় ভিন্নতা নয় ? তাদের সাথে আমাদের শত্রুতা সৃষ্টি হওয়ার ক্ষেত্রে ধর্মই কি মূখ্য ভূমিকা পালন করছে না ?

১৬| ৩০ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:১২

শয়তান হন্তারক বলেছেন: আর যদি বুশ "ক্রুসেড" শব্দটিকে সেই অর্থেও ব্যবহার করে থাকেন , তা ধর্মের কারণে নয় , বরং এ্যামেরিকান জনমতকে একটি অন্যায় যুদ্ধের স্বপক্ষে আনার কারণে। কারণ এ্যামিরিকান জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ হচ্ছে প্রটেস্টান্ট খৃষ্টান। আসল উদ্দেশ্য তেল সম্পদ দখল করার অভিপ্রায়ে ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা। আরেকটি ঘটনা উল্লেখযোগ্য , তা হল , ইরাক যুদ্ধের আগে সমস্ত খৃষ্টানদের মতামত চেয়ে দেখা গেছে , তারা ৭০% যুদ্ধের বিরোধী ছিল। কিন্তু তারাপরও এই যুদ্ধ সংগঠিত করা হয়।
আপনি বিশ্বাস করুন আর নাই করুন , সমগ্র খৃষ্টান জনগণ যদি এই যুদ্ধের বিরোধীতা করতো তারপরও এই যুদ্ধ সংগঠিত করত আমেরিকা , কারণ তার আসল উদ্দেশ্য ছিল তেল সম্পদ দখল ও ইসরাইলের আন্চলিক নিরাপত্তা জোরদার করা।

৩০ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:১৭

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনার এই সব কথা আমি ও অনেকেই জানে। বুশও জানে। মুসলমানরাও জানে, খ্রিষ্টানরাও জানে, ইহুদীরাও জানে। আমি ধরে নিচ্ছি আপনি একজন মুসলমান। একজন মুসলমান হিসেবে আপনি একজন মুসলমানকে যত পছন্দ করেন, একজন ইহুদী বা খ্রিষ্টানকে করেন না। কেবল ধর্মীয় পার্থক্যের কারণে তাকে ঘৃণা করেন। কথায় কথায় তাদের জাতি তুলে গালি দেন। এটাই হল বড় সমস্যা।

১৭| ৩০ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:২১

মনজুরুল হক বলেছেন: জাঝা পোস্ট। কংগ্রাটস শামীম ভাই।

৩০ শে মে, ২০০৯ রাত ১:০৬

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৮| ৩০ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:৩৬

শয়তান হন্তারক বলেছেন: আপনার পোস্টের বিষয়বস্তু ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমস্যা সম্পর্কিত। আর সেটাকে আপনি ধর্ম বলে বোঝাতে চেয়েছেন।

আর পৃথিবীর সমস্ত সংঘাতের মূলে আপনি অযথা ধর্মকে টেনে এনেছেন। রাশিয়ায় লেনিন কর্তৃক যে বিপ্লব সংঘটিত হয় , তাতে কত কোটি মানুষ মারা গেছেন আপনি জানেন? লেনিন তো মুসলমান অথবা খৃষ্টান ছিল না , সে ছিল একজন গোঁড়া নাস্তিক। তার সেই বিপ্লবে ধর্মও কোন ভূমিকা পালন করে নি। মাও সে তুং একজন নাস্তিক, তার বিপ্লবের কারণও ধর্ম ছিল না। মাও সে তুং এর নিজের ভাষায় " আমার বিপ্লব মানুষের রক্ত দিয়ে গড়া"। বিশ্বের মানব ইতিহাসে যে সংঘাত , তার অত্যান্ত ক্ষুদ্র অংশেই ধর্ম ভূমিকা পালন করেছে। এবং পরবর্তি কালের নাস্তিক রূশ ইতিহাসে কত ভয়বহ সংঘাত ঘটেছে তা কেনা জানে। যে রাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় নিতী মার্কস এর দ্বান্দিক তত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত সেখানকার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ধর্ম কোন ভূমিকা পালন করেছে তা আমাকে বলবেন কি?

আর একজন মুসলমান যদি আরেকজন মুসলমানকে ধর্মীয় কারণে ভালবাসতো তাহলে সৌদি আরব , ইরাক আক্রমন করার জন্য , আমেরিকাকে তার দেশে ঘাটি গাড়তে দিত? পাকিস্তান কি আমেরিকাকে তার দেশ থেকে আফগানিস্তানে এ্যাটাক করতে দিত? মিশর কি পারতো ইসরাইলের দখলদারীত্বের বিরুদ্ধে মুখ বন্ধ রাখতে? বরং বেশিরভাগ মুসলিম দেশতো আমেরিকা ও ইসরাইলের সমর্থক। তারপরও বলবেন মুসলিমরা ইহুদী আর খৃস্টানদের ধর্মীয় কারণে ঘৃনা করে?

এই ক্ষেত্রে কোথায় ধর্ম কাজ করছে? কয়েকজনের ইহুদী বিদ্ধেষ ও তাদের ইহুদী বিরুদ্ধ গালিগালাজকে , আপনি অতিমাত্রায় সরলীকরণ করেছেন , আমি তাই বলতে চাইছিলাম।


৩০ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:৫১

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: উনি খুন করেছেন বলে আমার খুন করা জায়েজ - আপনার উদাহরণগুলি সেই যুক্তি ধার করে নেয়া। এই যুক্তিটা আসলে খারাপ যুক্তি।
আমার মূল পয়েন্টটি বলে দেই। আমি বলেছি, ১ স্রষ্টার ধর্ম হবে ১টি। ধর্মগ্রন্থও হবে ১টি। মতবাদও হবে ১টি। ফলে হানাহানি ও মারামারি কম হবে। মানুষে মানুষে সৌহার্দ বাড়ছে। কিন্তু ১ স্রষ্টার একাধিক ধর্ম হওয়ার কারণে মানুষে মানুষের ঘৃণা বেড়েছে।
১ স্রষ্টার তো এত ধর্ম হওয়ার দরকার ছিল না। ১টি হলেই তো ল্যাঠা চুকে যেত। যুগে যুগে ১ স্রষ্টা একাধিক ধর্ম তৈরি করে আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছে।

১৯| ৩০ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:৫২

বিবর্তনবাদী বলেছেন: পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ ঘৃণার ইতিহাস নিঃসন্দেহে ইহুদী ও মুসলমানদের সম্পর্ক। ইসরাইল ও প্যালেস্টাইন নামের দুটি রাষ্ট্রের মানুষ কেন পরস্পরকে ঘৃণা করে ? তাদের ধর্মীয় বিভাজনের জন্য নয় কি ?
===========================================
এখানে ধর্মীয় বিভাজনের আড়ালে পশ্চিমাবিশ্ব তাদের চক্রান্তকে ঢাকতে চায়। ইসরাইল নামের কোন দেশ ছিল না, হঠাৎ এই দেশের উদয় হল কি করে? পশ্চিমাদের সহায়তায় কিছু ইহুদী প্যালেস্টাইন দখল করে নেয়। এইক্ষেত্রে প্যালেস্টাইনিদের ইসরাইল বিরোধীতাকে ইহুদীদের বিরুদ্ধতা বলা ভুল মনে হয়।

ইরানে কিন্তু কয়েক হাজার ইহুদি আছে। তাদের প্রতিনিধি ইরানের সংসদের সদস্য। তাদের ইরানিরা বা তারা ইরানিদের ঘৃণা করে না ধর্মীয় কারনে

সমস্যা হচ্ছে রাজনীতিকে ধর্মের রঙ দেওয়া হয়।

৩০ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৫০

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: রাজনীতি ও ধর্ম আলাদা করতে পারবেন না। রাজনীতিবিদদেরা চায় ধর্ম বিভাজন থাকুক। তাতে তাদের লাভ। আর ধর্মপণ্ডিতরাও চায় রাজনীতিবিদরা ধর্মকে ব্যবহার করুক। তাতে তাদের লাভ।
ইরান ইসরায়েল সম্পর্ক দেইখ্যা বুজতে পারি মুসলমান ও ইহুদীর সম্পর্ক।

২০| ৩০ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:৫৭

শয়তান হন্তারক বলেছেন: "এই ৩টি গ্রন্থ ৩ বারে নাযিল না হলে ৩টি ধর্ম সৃষ্টি হত না। হত না মানুষে মানুষে এত ব্যবধান। হত না এত শত্রুতা। হত না এত যুদ্ধ।" আপনা এই উক্তিটিও অত্যান্ত বাছবিচারহীন!

আপনি মানুষ মানুষের সাথে এত ব্যবধান , শত্রুতা সবকিছুর মূলে ধর্মকে দায়ী করেছেন!
একটি সহজ প্রশ্ন আপনাকে করি। আপনার জীবনে যাদের সাথে আপনার শত্রুতা হয়েছে , তাদের কয়জনের সাথে আপনার ধর্মীয় কারণে শত্রুতার সৃষ্টি হয়েছিল?

আমেরিকান মানুষরা এক সময় কালো মানুষদের ঘৃনা করত। তাদের হত্যা করতো অত্যাচার করতো। কারণ তাদের গায়ের রঙ ছিল কালো! আমেরিকান সাদা আর কালোর মধ্যে যে ব্যবধান তথা বৈষম্য ছিল, তার কারণ কি ধর্ম ছিল? এর উত্তর তো যে কোন ক্লাস ওয়ান পড়ুয়া ছেলেও না দিবে।

আমাদের ব্যবধান আমাদের শত্রুতা , মারামারি , কাটাকাটির পেছনের মূল কার্যনির্ধারক শক্তি ধর্ম এ অতিমাত্রায় মোটাদাগের সরলীকরণ।

৩০ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৭

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আরও সরলীকরণ করি। পৃথিবীর সমস্ত কাজের পিছনে সৃষ্টিকর্তার হাত আছে। সুতরাং ধর্ম নিয়া এই বিভাজন যে সৃষ্টি হবে সেটা উনি আগে থেকেই জানেন। জেনেই আমাদের উপর এতগুলো ধর্ম চাপিয়ে দিয়েছেন। আমরা একেক জন একেকটা ধর্ম গ্রহণ করে সৃষ্টিকর্তাকে পেতে চাইছি। বাস্তবে কোনটা যে সত্য ধর্ম, তা বোঝার উপায় নাই। ফলে জন্মসূত্রে আমরা যেই ধর্ম লাভ করেছি, তাকেই পৃথিবীর একমাত্র সেরা ও সত্য ধর্ম বলে ধরে নিয়েছি। যাচাই বাছাই করার চিন্তাও করি নাই। এই গোঁড়ামির ফলেই ধর্মে ধর্মে এত বিভেদ।
কিন্তু সৃষ্টিকর্তা যদি আদিকাল থেকে ১টি ধর্মই পাঠাত তাহলে এই সমস্যা সৃষ্টি হত না।
আর কালো ধলা যা বললেন, সবই তো সেই সৃষ্টিকর্তারই সৃষ্টি।

২১| ৩০ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:৫৭

নো ব ডি বলেছেন: থ্যাংকস টু শয়তান হন্তারক।

২২| ৩০ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:৫৮

সোজা কথা বলেছেন: +++++++

অট: " খোদার প্রেমের শরাব পিয়ে বেহুশ হয়ে রই পড়ে হায় " - নজরুল
মাতালের মত শান্তি যারা খোজে তাদের কথা আলাদা। পৃথিবীর সমস্যা মোকাবেলায় আজান এবং মিলাদজীবি লোকজনের ভুমিকা কতদুর?

২৩| ৩০ শে মে, ২০০৯ রাত ১:০৪

বিবর্তনবাদী বলেছেন: ধর্ম স্রষ্টার সাথে সম্পর্কিত। স্রষ্টার ধারণা আছে বলেই ধর্ম আছে।
সমস্যা হল, স্রষ্টার ধারণা না থাকলে মানুষ হিসেবের নিজের কোন মূল্য পাই না। আমিই শ্রেষ্ট আমার উপরে আর কেউ নাই --- এটা ভাবলে জৈবিক কার্যাবলি ছাড়া অনান্য, যাবতীয় জাগতিক কর্মের কোন অর্থ থাকে না।

নানা জৈবিক কার্যাবলির পাশাপাশি আমরা মানুষ হিসেবে পশুর থেকে আলাদা ভাবে আমাদের জীবনকে টেনে নিয়ে যাই শুধু আমাদের ভেতর ঐশ্বরিক কিছু পাবার যে আকাঙ্খা আছে তার থেকে।

স্রষ্টা আছেন কি নাই, সেই প্রশ্ন করা অবান্তর কারন এই প্রশ্নের উত্তর তৈরি করবার ক্ষমতা আমাদের নাই। স্রষ্টা না থাকলে নাই। কিন্তু যদি থাকেন তবে তার কর্মকান্ডের জন্য অভিযোগ জানাবার ক্ষমতা আমরা হারিয়ে ফেলি।

বিধায় অহেতুক পৃথিবীর সব চাইতে বড় সমস্যা খোজা অর্থহীন। সমস্যা না থাকলে জীবনে আর কিবা থাকে!! সমস্যা আছে বলেই তার সমাধানের চেষ্টায় একজীবন অতিক্রম করে ফেলা সম্ভব হচ্ছে।


সমস্যা বিহীন শান্তিময় পৃথিবীই আসল নরক। কারন সেখানে জৈবিক চাহিদা মিটানো ছাড়া আমাদের আর কিছু করার থাকে না এবং আমরা তাহলে পশু হতে আর আলাদা হই না।

২৪| ৩০ শে মে, ২০০৯ রাত ১:১১

ওমর হাসান আল জাহিদ বলেছেন: ১০০% একমত। আপ্নার লেখাগুলো হেভি। চালায়া যান।

৩০ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৫

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।

২৫| ৩০ শে মে, ২০০৯ রাত ১:১৯

সোজা কথা বলেছেন: লেখক, সমস্যা তো স্রষ্টার লীলাখেলা।

বিশ্ব কী আমরা বানইছি?
বিশ্ব বানানোর পর আদম হাওয়ার (বা অন্য ধর্মের উপাদান) কি আমরা বানইছি?
শয়তান (ব্লগেরটা না) কি আমরা বানাইছি?
শয়তান কে নিয়ন্ত্রণ না করে তাকে স্বাধীনতা কি আমরা দিসি?
শয়তানের দ্বারা ইনফেকটেড হয়ে সরল মানুষকে অপরাধী কি আমাদের বুদ্ধি?

মাল্টিভারশন কিতাব পাঠানো বা অগুণতি প্রেরিত পুরুষ পাঠানোর প্ল্যান তো আমাদের না?

তবে সমস্যার নাটের গুরু কে?

আমরা হতভাগা মানুষ না উপরওয়ালা?

৩০ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১:০০

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: প্রশ্নের মধ্যেই উত্তর আছে।

২৬| ৩০ শে মে, ২০০৯ রাত ১:২১

অ্যামাটার বলেছেন: পৃথিবীতে এ'যাবৎকালে যতগুলো বড় সংঘর্ষ হয়েছে, সে'গুলোর কারণ বিশ্লেষন করলে দেখা যাবে জাতিবিদ্বেষ, বর্ণবৈষম্য ইত্যাদি। আর আধিপত্যবাদ, অর্থনৈতিক স্বার্থ তো ছিলই। সেই তূলনায় ধর্ম অপেক্ষাকৃত গৌণ ইস্যু।

৩০ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৫

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: গৌন হলেও জাতি বিদ্বেষের অন্যতম কারণ কিন্তু ধর্ম ।

২৭| ৩০ শে মে, ২০০৯ রাত ১:২১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: দুইনা এখনও পুরাটা দেখি নাই জানিও না। তয় আমাগো মূল সমস্যা হইলো গিয়া বিয়া শাদী!

চারিদিকে মানুষের আকাল নাই, তারপরও মানুস একটার পর একটা বিয়া করে আর প্রোডাকশন চালায় সমানে। কয়দিন পর টয়লেটে যাইতে হলেও শেয়ার কইরা যাইতে হইবো !

২৮| ৩০ শে মে, ২০০৯ রাত ১:৪৮

শয়তান হন্তারক বলেছেন: ধরুন আমাদের চিন্তার যে সীমাবদ্ধতা তার প্রভাবজনিত পরিসরে আমরা স্রষ্ট্রার বৈচিত্র্যময়তা ও তার সৃষ্টি কৌশলকে বুঝতে পারছি না। কিন্তু স্রষ্টা একজন আছেন আর তিনি যা বলেছেন তাই হবে , তার কোন হেরফের হবে না। সে ক্ষেত্রে আমরা ঝুঁকিব মধ্যে রয়েছি। কারণ ঈশ্বর নেই, সে ব্যপারেও কেউ নিশ্চিত না। নিশ্চিত হওয়াও সম্ভব নয়। কারণ যে মানুষটা মরে তার সাথে আর যোগাযোগ সম্ভব নয়। যোগাযোগ করতে পারা গেলে অনেকে নিশ্চিত হতে পারতেন স্রষ্টা আছে কি নেই।

আসলে স্রষ্টার বাণীবদ্ধ গ্রন্থগুলী আমরা মনযোগ দিয়ে পড়ি নি। পড়েছি আমাদের নিজস্ব ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা দিয়ে , তাই আসল সত্যটিকে ধরতে পারে নি। আমরা সিলেবাসের অংক অথবা পদার্থবিজ্ঞান বোঝার জন্য যে পরিশ্রম করেছি , তা কি আমরা ঈশ্বরকে বোঝার জন্য করেছি? আমরা বছরের পর বছর সময় দিয়েছি আমাদের সিলেবাসের কোর্সগুলো শেষ করার জন্য , কিন্তু কতটুকু সময় দিয়েছি ঈশ্বরকে বুঝতে? ওইরকম সাধনা করলে ঈশ্বর অবশ্যই আমাদের কাছে ধরা দিতেন। ঈশ্বরকে বুঝতে না পারার ব্যর্থতা আমাদের-ই , ঈশ্বরের না।

৩০ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৮

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: হ, ভাই, সব দোষ আপনার আর আমার। ঈশ্বরের কোন দোষ নাই।
আর আমি কোথাও বলি নাই, ঈশ্বর নাই। সুতরাং আগ বাড়িয়ে সেই আলোচনায় যেতে চাই না।
আমি বললাম, ঈশ্বর একজন, তাহলে যুগে যুগে পাঠানো এত ধর্ম কেন ? এক ধর্ম পাঠালেই তো এত বিভেদ হত না। ঈশ্বর নিঃসন্দেহে সেটা করতে পারতেন। দুঃখজনকভাবে তিনি সেটা করেন নি। তার মানে দাঁড়ায়, তিনি চান মানুষ ধর্ম নিয়া বিভ্রান্তিতে পড়ুক।

২৯| ৩০ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১:১৯

সাইলেন্সার বলেছেন: পুরান পাগল ভাত পায় না, নতুন পাগলের আমদানি।

ধর্মকে গালাগালি দেয়া কত সহজ, কারণ ধর্ম প্রতিবাদ করে না।

আর এই পাপীগুলো বেড়ে ওঠে আগাছার মত।

আঁতলামি করে, গদ্য লেখে.... সস্তা বাহবা কুড়ায়।

এই আঁতেলগুলোকে সহজ একটা প্রশ্ন করি ঃ

যদি দুনিয়ার সব মানুষ ধনী হত অর্থাৎ কারো কোন অভাব থাকত না তাহলে কী হত?


৩০ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৯

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনার উপরের লেখাটাতে কোন শব্দটাকে আপনার গালাগালি মনে হল বলবেন কি ? বরং আপনার মন্তব্য পড়ে বোঝা যাচ্ছে আপনি ক্ষেপেছেন।
আমি তো ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু বলি নাই। আমি বলেছি ধর্মে ধর্মে যেই বিভেদ, হানাহানি তার বিপক্ষে।
আর সময়ই পুরান পাগলের সাথে নতুন পাগল যোগ হয়, এ আর নতুন কি ?

৩০| ৩০ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৩:২৫

শয়তান হন্তারক বলেছেন: আসলে সৃষ্টিকর্তা ১ টি ধর্মগ্রন্থ পাঠানোর পাশাপাশি আরো একটি কাজ করতে পারতেন। সেই ধর্মগ্রন্থটির একটা কপি সবার হাতে হাতে , আকাশ থেকে নেমে এসে , পৌছে দিতে পারতেন। নবী রাসূল পাঠানোর-ই বা কি দরকার ছিল? তাহলে বিভেদটা আরো কমত আশা করি!

৩০ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৪

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: এতক্ষণে বুঝলাম, আপনি আমাকে ঘৃণা করতে শুরু করেছেন।

৩১| ৩০ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৫

শয়তান হন্তারক বলেছেন: ঈশ্বর চান মানুষ তার সহজাত বুদ্ধি খাটিয়ে সত্য খুঁজে বের করুক। কারণ ঈশ্বর আমাদের যে মগজ দিয়েছেন , সেটি ষাট বিলিয়ন সুপার কম্পিউটার এর সমান কাজ করতে পারে। তাই এই মূল্যবান জিনিষটা আমাদের মাথায় বসিয়ে তিনি চেয়েছেন আমরা তাকে খুঁজে বের করি।

কোন কারণে আপনি বুঝলেন আমি আপনাকে ঘৃনা করতে শুরু করেছি, তা দুর্বোধ্য।

৩২| ৩০ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৪:০১

ফারহান দাউদ বলেছেন: সৃষ্টিকর্তার সবচেয়ে বড় ভুল হইসে আপনের মত জ্ঞানী লুকজন এত কম সৃষ্টি কইরা,আরো বেশি বেশি কইরা আপনের মত প্রোডাক্ট বাইর করা লাগতো,তাইলেই দুনিয়ার সব সমস্যা সমাধান। দ্যাশের শিল্প সেক্টর বিদ্যুৎ সেক্টর সবকিছুর সরল সমাধান দেয়ার পরে আপনে লাগসেন ধর্ম নিয়া,এইটা একটা থিসিস আকারে ছাপায়া বিশ্বের তাবৎ সংবাদপত্রে পাঠান,নোবেল পাইলেন বইলা।

৩০ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৫:১২

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমি সরল বুদ্ধির মানুষ সরল সমাধানই দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনারা গিয়ানী মানুষ, আমাদের মতো আমজনতার ভুল ধরায়া দিবেন। আমরা ধন্য ধন্য কইরা পায়ে লুটায়া পড়ব।
আর ব্লগাইতে গেলে তো নানা প্রসঙ্গে লিখতেই হইব। আমার মতো মানুষ সরল কথাবার্তাই বলব। সবার যে ভাল লাগব, সেইটা আশা করাও তো ঠিক না। গিয়ানী লুকদের তো ভালো লাগার কথাই না।

৩৩| ৩০ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৫:৫১

সাইলেন্সার বলেছেন:

সৃষ্টিকর্তার আরও কিছু ভুলের নমুনা (!)-

- দিন সৃষ্টি, কারণ দিনের বেলা রোদে মানুষের কষ্ট হয়।
- রাত সৃষ্টি, কারণ রাতে মানুষ পরিস্কার দেখতে পায় না।
- গরীব শ্রেণীর মানুষ সৃষ্টি, কারণ এরা কায়িক শ্রম দেয়া ছাড়া আর কোন কাজে আসে না।
- মানুষের মধ্যে বদস্বভাব সৃষ্টি, কারণ এতে সমাজে হানাহানি, বিভেদ তৈরী হয়।

সবচেয়ে ভাল হত যদি দুনিয়ায় কোন গরীব না থাকত, কোন ধর্ম না থাকত, কোন খারাপ লোক না থাকত, অসুখ বিসুখ না থাকত। তাহলে আমাদের এত কষ্ট করা লাগত না। চাওয়া মাত্র জ্বীনভূতেরা সবকিছু আমাদের সামনে হাজির করত.. একেবারে বেহেশত্খানা...
ডাক্তার লাগত না, পুলিশ লাগত না, উকিল-ব্যারিস্টার লাগত না... কী মজা!
মহান বুশের ধর্মযুদ্ধ করা লাগত না.... কারণ তার বাগানের গর্ত থেকে বের হত পেট্রোল, ডিজেল, অকটেন....

৩০ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৭

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: তবে বিধাতা একটি সঠিক কাজ করেছেন, আপনের মতো রসিক লোক সৃষ্টি করেছেন।

৩৪| ৩০ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৮

ফারহান দাউদ বলেছেন: আরে আপনে তো ভাই মহগিয়ানী লুক,দ্যাশের বিদ্যুৎ সমস্যা শিল্প সমস্যা ধর্ম সমস্যা সবকিছুর ইনস্ট্যান্ট সমাধান আপনের হাতে,খালি সরকার আর জনগণই আপনেরে চিনলো না,চিনলে এই দ্যাশটা এদ্দিনে বিলাত-আম্রিকারে পিছে ফালায়া দিত কবেই। তয় সৃষ্টিকর্তাও আপনেরে চিনেন নাই,এই হইলো আফসুস,চিনলে নিশ্চয়ই দুনিয়ার সব সমস্যা সমাধানের লাইগা আপনেরে কনসালট্যান্ট হিসাবে নিয়োগ দিয়া দিত। এই পুস্ট টা স্টিকি হইবো না? :)

৩০ শে মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৪

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমি কুথায় বুললাম আমি গিয়ানী লূক ? আমি আমজনতার একজন। আমি সরল কথা বলি, সরল সমাধান দেই। কারো ভালো লাগে, কারো ভালো লাগে না। কে কারে চিনল বা চিনল না, সেইটা ভাইবা লাভ কী ? স্টিকি নিয়া ভাবি না। ওইটা আমার কাম না।
আরেকটা কথা, আপনি আমার লেখার বিষয়ে থাকেন। আমার ব্যক্তিগত মেধা, জ্ঞান ও চরিত্র ইত্যাদি নিয়া কথা বলার তো দরকার নাই। নাকি সেইটা নিয়াই আপনি আলোচনা চালায়া যাইতে চান ? আমি কি কোন ব্যক্তিগত বিষয় নিয়া পুষ্ট দিছি ? সেইটা কি বিশেষত আপনার কোন ব্যক্তিগত বিষয় ?

৩৫| ৩০ শে মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৮

ফারহান দাউদ বলেছেন: ধর্ম জিনিসটাও মানুষের ব্যক্তিগত ব্যাপার বইলাই মনে করি,সেইটা নিয়া যখন হুদাই কারো চুলকানি উঠে,তখন আর সেইটারে ভালভাবে নিতে পারি না,আর ঐরকম মহাগিয়ানী লুকদের লগে তর্ক করারো কিছু পাই না। ধন্যবাদ,ভাল থাকেন,বেশি কইরা হিট কামান,ধর্ম নিয়া লেখা হিট কামানির ভাল রাস্তা,আর নিজেরে মডার্ন হিসাবে দেখানিও যায়:)

৩০ শে মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৪

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: চুলকানি কার উঠছিল সেইটা আপনি দেখেন নাই। প্রথমেই এক ব্যক্তির নাম আছে। উনার লেখার প্রতিক্রিয়া এইটা। চুলকানি যদি কিছু উইঠা থাকে, উনার উঠছিল, আমি মলম দিছি।
আগে চুলকানি দেইখ্যা আছেন, পরে মলমের গন্ধ লইয়েন।
যদি বুইজাই থাকেন, হিট কামানি এই লেখার উদ্দেশ্য, তবে আপনে ক্যান এত বার হিট কইরা আমারে হেল্প করলেন। আপনার তো আমার পুষ্টে আসার কথাই না।
পুস্টে হিট পাওয়া বা দেয়া কি না-জায়েজ নাকি ?

৩৬| ০৫ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১:৪৮

খািল িপডাইেত ইচ্ছা করে বলেছেন:
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

রেলের পাটি বসাই দিলাম; ইন্জিন আর বগি লইয়া উঠে পড়েন।
আর পোস্টে + একটা; কারন এর থেকে বেশি দেবার সিস্টেম মডুরা রাখে নাই-----

০৫ ই জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:১১

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: কই যাইতে কন।

৩৭| ১৪ ই জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৪

মুহাম্মদ মোহেব্বুর রহমান বলেছেন: আপনার অন্যতম প্রধান জিজ্ঞাসা স্রষ্টা যদি একই হয়, তবে এতগুলো ধর্ম কেন সৃষ্টি হল--

আমি তেমন জ্ঞানী ব্যক্তি নই। তবুও এ বিষয়ে আমার ধারণাগুলো আপনার সাথে শেয়ার করার মানসিকতায় লিখছি.....

আল্লাহ দুনিয়া সৃষ্টির পর হতেই অসংখ্য পয়গম্বর প্রেরণ করেছেন। কারণ মানুষের অন্যতম একটা গুণ হলো ভুলে যাওয়া। এই ভুলে যাওয়ার মাধ্যমেই ঘটে বিকৃতি। যখন সময়ের ব্যাবধানে এক পয়গম্বরের মাধ্যমে প্রচারিত শিক্ষা মানুষ ভুলে যেতো, বিকৃতি ঘটাতো তখন আল্লাহ নতুন পয়গম্বর পাঠাতেন।

আর যখনই নতুন পয়গম্বরের আগমন ঘটতো, আসতো নতুন আসমানি কিতাব তখনই স্থগিত হয়ে যেতো পূর্বের পয়গম্বরের প্রচারিত বিধান।

এ বিষয়টা অত্যন্ত সহজবোধ্য। আপনার অফিসে একই বিষয়ে দু'টো সার্কুলার জারি হলে স্বাভাবিক ভাবেই সর্বশেষ সার্কৃলারটি আসার সাথে সাথে পূর্বের সার্কুলারের কার্যকারীতা স্থগীত হয়ে যায়। কিন্তু তাই বলে পূর্বের সার্কুলারটিকে কেউ মিথ্যা প্রতিপন্ন করে না। বরং রেকর্ড ফাইলে সেটিও সংরক্ষিত থাকে।

তাই আমাদের ঈমাণের একটি অন্যতম বিষয় আসমানি কিতাব সমূহের উপর বিশ্বাস। কিন্তু আমরা মানবো সর্বশেষ কিতাবকেই।

৩৮| ১৪ ই জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৮

যীশূ বলেছেন: সহমত।

৩৯| ১৪ ই জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৩

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: নাস্তিকের মতো নাজায়েজ কতা কন ক্যান?
আস্তাগফিরুল্লা কন, তওবা পড়েন।

৪০| ১৪ ই জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৯

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: @ মুহাম্মদ মোহেব্বুর রহমান বলেছেনঃ আল্লাহ দুনিয়া সৃষ্টির পর হতেই অসংখ্য পয়গম্বর প্রেরণ করেছেন। কারণ মানুষের অন্যতম একটা গুণ হলো ভুলে যাওয়া। ..................

ভাইয়া, মানুষ ঘনঘন ভুলে যায় বলে বাপ-বেটা-চাচা-শশুর সবাইরে নবী করতে হবে? এইডা কি গ্রাম্য মাতুব্বরী সিস্টেম যে মাতুব্বরের পোলা মাতুব্বর হবে?
আর মানুষ যদি ভুলেই যায় তাইলে গত প্রায় দেড় হাজার বছর কোন নবী আইলো না ক্যান? এই টাইমের সবাই খুব প্রতিভাধর প্রজাতি?

৪১| ১৪ ই জুন, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১০

মুহাম্মদ মোহেব্বুর রহমান বলেছেন: @ দুরন্ত স্বপ্নচারীঃ আল্লাহ যখন প্রয়োজন মনে করেছেন, যতজন মনে করেছেন পয়গম্বর প্রেরণ করেছেন।

পবিত্র কোরআনের মাধ্যমে আল্লাহ মানুষের জন্য তার দ্বীনকে (জীবন বিধান) পূর্ণতা দান করেছেন। এবং ঘোষণা করেছেন কিয়ামত পর্যন্ত আর কোন কিতাব অবতীর্ণ করা হবে না। আরও ঘোষণা করেছেন এ কিতাবকে সংরক্ষণ করার। যা আজ পর্যন্ত হুবহু সংরক্ষিত আছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে। এ ধরণের বক্তব্য পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে দেয়া হয় নি। বরং সেসবে ছিল পরবর্তী নবীর আগমনী বার্তা। আর কুরআনে নবুওয়্যাতেরও সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে।

৪২| ১৬ ই জুন, ২০০৯ রাত ৩:১২

লাশ বলেছেন: ব্যাপক লিখেছেন। খুবই ভালো লেগেছে।

১৬ ই জুন, ২০০৯ বিকাল ৩:০৬

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪৩| ১৩ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:৪৪

পুরাতন বলেছেন: মৃত্যূর সাথে সাথে যখন চোখের সামনে প্রকৃত সত্য উন্মোচিত হবে....তখন আফসোস করেও আর এই জীবন ফিরে পাওয়া যাবেনা।

৪৪| ১৩ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:৫৭

খোলা_আকাশ বলেছেন: বেশি কিছু বলতে চাই না। ++++++++

৪৫| ১৩ ই জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৩:১৪

সীমন্ত ইসলাম বলেছেন: আপানর লিখা পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি মনে করেন যেহেতু রাজনীতি ধর্মকে ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় যুদ্ধ বিগ্রহ করেছে তাই দোষটা ধর্মের, ধর্মভেদ না থাকলে এমনটা হতো না।

আমার কাছে কথাটা গ্রহনযোগ্য মনে হচ্ছে না। ধর্মভেদকে কাজে না লাগানো গেলে রাজনীতি অন্য কিছু খুঁজে বের করবে অবশ্যই। যেমন, শ্রীলঙ্কায় তামিল, কোরিয়া যুদ্ধ, ভিয়েতনাম সহ আরও অনেক উদাহরণ।

প্রথম বা ২য় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছিল মূলতঃ একই ধর্মের (খ্রীষ্টান) মানুষের মধ্যে। ২য় বিশ্বযুদ্ধে ইহুদীদের হত্যার ঘটনাই কিন্তু ২য় বিশ্বযুদ্ধের সবকিছু নয়।

------------------------------------------------------------------------

ধর্ম মানুষকে দক্ষ করে না - আপনার এই কথাটাও মানতে পারলাম না। ইসলাম প্রচারের আগে ও পরে আরবের ইতিহাসের দিকে লক্ষ্য করেন। ধর্মের সাথে সাথে তাদের সাষ্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বা বৈজ্ঞানিক উন্নতির জোয়ার বয়ে গিয়েছিল। এটাকে আপনি কি ভাবে ব্যাখ্যা করবেন?

-------------------------------------------------------------------------

আজ আপনি জেনে বা না জেনে ভালো মন্দ সম্পর্কে যে ধারনা পোষন করেন তার বেশির ভাগই কিন্তু এসেছে ধর্ম থেকে। ধর্মের এই শিক্ষা না ঠাকলে আমরা মানুষ হিসাবে এতোটা সভ্য হয়তো এখনো হয়ে উঠতে পারতাম না। এখনকার যুগে অনেক ভালো সম্পর্কে আমাদের একই রকমের পারসেপসান, কিন্তু এই পারসেপসান গুলো তৈরী হলো কিভাবে?

উদাহরণঃ নিজের সন্তানের সাথে যৌন সম্পর্ককে আমরা ঘৃণা করি, আদিম মানুষের সম্ভবতঃ আমাদের মতো এমন পারসেপসান ছিলো না। এমনকি যারা ধর্ম মানে না তাদের মধ্যে এখনো এ বিষয়ে পারসেপসান আমাদের থেকে ভিন্ন থাকতে পারে।

আফ্রিকায় এখনো কিছু জাতি আছে যারা মানুষের মৃত্যুতে আনন্দ-উৎসব করে মৃতের ফেলে যাওয়া সম্পদ দিয়ে। ধর্ম এক্ষেত্রে অধিক সংখক মানুষকে একই রকমের পারসেপসান দিতে পেরেছে। তারমানে মানুষে মানুষে চিন্তা ভাবনার পার্থক্য কমে নিয়ে এসেছে, এর অর্থ হলো ধর্ম মানুষে মানুষে ঘৃণা কমিয়ে নিয়ে এসেছে।

মানুষ একে অপর মানুষকে ঘৃণা করে মূলতঃ সংষ্কৃতিতগত পার্থক্যকে। এক পরিবারের মানুষ অন্য পরিবারের মানুষের আচরনগত পার্থক্য সহজ ভাবে নিতে পারে না। বিবাহিত মানুষ মাত্রই এ বিষয়ে ভালো ধারনা আছে। এক গোত্রের সাথে অন্য গোত্রের দ্বন্দ্ব মূলতঃ একই কারনে। ধর্মই বিভিন্ন পরিবার বা ছোট ছোট হাজারো গোত্রের মধ্যেকার কালচারাল পার্থক্য কমিয়ে এনেছে, সেই সাথে কমিয়েছে পারস্পরিক ঘৃণা।

ধর্ম আমাদের সমস্যাগুলোকে কমিয়ে আনার চেষ্টা করেছে এবং অত্যন্ত সফল হয়েছে, অন্ততঃ ধর্মের চেয়ে বেশি সফল অন্য কোন কনসেপ্ট এ বিষয়ে নাই।

৪৬| ১৩ ই জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৩:৩২

বুলবুল আহমেদ পান্না বলেছেন: প্লাসাইলাম....

৪৭| ১৩ ই জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০১

সীমন্ত ইসলাম বলেছেন: আপনার দেয়া পয়েন্টগুলো বিষয়েও কিছু কথা বলতে হয়ঃ

০১) একই স্রষ্টার নাম দিয়া একাধিক ধর্মের অবতীর্ণ হওয়া

এমন ঘটনা কি সত্যিই ঘটেছে? প্রকৃত পক্ষে একই স্রষ্টা বিভিন্ন সময়ে তার বানী পাঠিয়েছেন যার কারন সময়ের সাথে সাথে স্রষ্টার বানীর বিকৃতি ঘটে যাওয়া। সর্বশেষ বানী পাঠানোর পর মানুষের জ্ঞান বিজ্ঞানের উন্নতি হওয়ার ফলে এখন আর সংরক্ষনের সমস্যা অনেক কম, তাই আর নতুন করে বানী পাঠানোর প্রয়োজন নেই। মানুষ বিভিন্ন কারনে বিভিন্ন সময়ে অবতীর্ন বানীকে আলাদা আলাদা ধর্ম মনে করে আসছে। পকৃত পক্ষে ধর্মের শিক্ষা এ রকম নয়।

০২) প্রত্যেকটি ধর্ম নিজেকে সঠিক, শ্রেষ্ঠ ও একমাত্র ধর্ম এবং অপরকে বেঠিক ও খারাপ মনে করা

নিজের বিশ্বাস কে শ্রেষ্ঠ মনে না করতে পারলে তা টিকে রাখা যায় না। এটা শুধু ধর্ম নয়, সকল ক্ষেত্রেই সত্য। ধর্ম যেহেতু বৃহত্তর পরিসরে এর গ্রহনযোগ্যতা প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে তাই এই বিশ্বাসটাও অনেক বেশি শক্ত। তবে ধর্ম সংস্কৃতির খুব সীমিত অংশই নিয়ন্ত্রন করে, তাই বিভিন্ন ধর্মের মানুষের পাশাপাশি বসবাস করার ক্ষেত্রে খুব বেশি সমস্যা হয় না। আরব রাষ্ট্রগুলোতে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বড় ধরনের কোন সমস্যা ছাড়াই হাজার বছর ধরে বাসবাস করছে।


০৩) এক ধর্মের অনুসারী অপর ধর্মের অনুসারীকে ঘৃণা করা

মানুষ সাধারনত ভিন্ন ধরনের সংস্কৃতি মেনে নিতে পারে না। এ কারনেই পরিবার থেকে পরিবার, গোত্র থেকে গোত্র বা এলাকা ভেদে মানুষের মধ্যে ঘৃণা কাজ করে। এখানে ধর্মের ভূমিকা খুব অল্প। ইতালীতে দেখেছি নেপলস আর মিলানোর মানুষ একই ধর্মের হলেও তাদের মধ্যে ঘৃণাবোধ চরম পর্যায়ের। অথচ কায়রোতে মুসলিম বা খ্রীষ্টানের মধ্যে ঘৃণা বোধ চোখে পড়েনি। এমনকি উভয় ধর্মের মানুষের সাথে সরাসরি কথা বলেও এমন কিছু জানতে পারিনি।

একই ধর্মের হলে কি হবে, ইউরোপিয়ানরা একদেশের মানুষ অন্যদেশের মানুষদের চরম পর্যায়ের ঘৃণা করে। আমরও তো পাকিস্তানিদের ঘৃণা করি।

মুসলমানরা কি বুদ্ধদের ঘৃণা করে? সম্ভবতঃ না।

০৪) শান্তি প্রতিষ্ঠার নাম দিয়া অপর ধর্মের অনুসারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা, হত্যা করা এবং আর যা যা কুকর্ম করা যায় সবই করা

এটা রাজনৈতিক বিষয়। এখানে কখনো কখনো ধর্মকে ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র। যেমন হিটলার জার্মানদের জাতীয়তাবোধকে কাজে লাগিয়ে এতো বড় একটা বিশ্বযুদ্ধ চালিয়েছে। ফ্রেন্স, বৃটিশ, রুশ বা জার্মান সবাই তো একই ধর্মের মানুষ।

ইতিহাস তো বলে শুধু হেলেন কে নিয়েই গ্রীক আর ট্রোজানরা যুদ্ধ করেছে। হাজার হাজারটা কারনে হাজার হাজারটা যুদ্ধ হয়েছে - শুধু ধর্মের কারনে কয়টা যুদ্ধ হয়েছে?

০৫) ধর্মের বিরুদ্ধে গেলে সেটা যতই আধুনিক ধ্যান ধারণা হোক সেটাকে বেঠিক ও খারাপ বলে প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লাগা।

আধুনিক ধ্যান ধারনা বলতে কি বুঝিয়েছেন? আধুনিকতার সবকিছু কি ভালো? অনেকে তো সমকামিতাকে মেনে নেয়াকে আধুনিক ধ্যান ধারনা মনে করেন। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় হাজার হাজার বছর আগেও মানুষের এ রকম ধারনা ছিল আবার একসময় তা সমাজে অগ্রহনযোগ্য হিসাবে দেখা হয়েছে।

ধর্মবিষয়ে অনেকেরই ভালো ধারনা না থাকার কারনে অনেক সময় অপ্রযোজনীয় বিতর্ক হয়।

৪৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:০৮

আরিফআফতাব বলেছেন: নুরুজ্জামান০৮ বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে স্রষ্টাকে ভুলে যাওয়া। শুনে হাসব না কাঁদব ভেবে পাচ্ছিলাম না। এখনও পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষ স্রষ্টাকে স্মরণ করে। যদিও সবাই একই স্রষ্টাকে বিভিন্ন নামে ডাকে। একই স্রষ্টাকে কেন যুগে যুগে ভিন্ন্ ভিন্ন নামে ডাকা হল সেটাই একটা বিরাট রহস্য।
আমি তার একপেশে লেখা পড়ে হাসলাম। যারা ধর্মপ্রচার করার জন্য কিছু বলে বা লেখে তাদের বলাটা বা লেখাটা এমন একপেশে হবে তাতে অবাক হওযার কিছু নাই।
আজকের পৃথিবীতে মহান বুশ যেই যুদ্ধ শুরু করে গিয়েছেন, সেটা একটা ধর্মযুদ্ধ। তিনি খ্রিস্টান ও ইহুদী ধর্মের গুরু হিসেবে মুসলমান ধর্ম অনুসারীদের সাইজ করার জন্য ইরাক ও আফগানিস্তানে তার বাহিনী নামিয়ে দিয়েছেন। এই যুদ্ধের সাথে বাণিজ্যের পাশাপাশি ধর্মীয় ঘৃণাও কাজ করেছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নামের এই জঘন্য যুদ্ধের মাসুল আমরা সারা পৃথিবীর মানুষ দিচ্ছি।
পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ ঘৃণার ইতিহাস নিঃসন্দেহে ইহুদী ও মুসলমানদের সম্পর্ক। ইসরাইল ও প্যালেস্টাইন নামের দুটি রাষ্ট্রের মানুষ কেন পরস্পরকে ঘৃণা করে ? তাদের ধর্মীয় বিভাজনের জন্য নয় কি ? দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা এই অসম যুদ্ধে কত মানব সন্তান মারা গেছে ? ধর্মীয় পার্থক্য না থাকলে তারা কি পরস্পর শত্রু হত ?
আরবের একই বংশ থেকে সকল নবী বা রসুল পয়দা হয়েছে। তারা ১০৪ টি আসমানী কিতাব লাভ করেছেন। যুগে যুগে তারা একাধিক আসমানী কিতাব লাভ করাতে আজ পৃথিবীর প্রধানতম ৩টি ধর্ম সৃষ্টি। যেমন : ইহুদী ধর্মবলম্বীদের জন্য যবুর, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য ইঞ্জিল এবং মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য কোরআন। এই ৩টি গ্রন্থ ৩ বারে নাযিল না হলে ৩টি ধর্ম সৃষ্টি হত না। হত না মানুষে মানুষে এত ব্যবধান। হত না এত শত্রুতা। হত না এত যুদ্ধ।
যদি স্রষ্টা ১ জন হয়, তবে কেন তার এত আসমানী কেতাব ? ১টি কেতাব দিয়ে ১টি ধর্ম পাঠালেই তো এত হানাহানি হত না।
বাস্তব জীবনে ধর্মীয় বিশ্বাস কি কাজে লাগে ? মানুষ কি কর্মঠ হয় কোন ধর্ম পালনের জন্য ? তাহলে তো কর্মক্ষেত্রে সেই ধর্মের লোকদেরই চাকুরি হত। তাদের বেতন হত বেশি । কোন ধর্ম যদি মানুষকে কর্মদক্ষ ও কর্মঠ বানাত, তবে সবাই সেই ধর্মের অনুসারী হতে আগ্রহ বোধ করত।
ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য কি মানুষ মেধাবী হয় ? তাহলে তো সেই ধর্মের মানুষরাই হত বড় বিজ্ঞানী বা শিল্পী। বাস্তবে তো যে কোন ধর্মের মানুষই বিজ্ঞানী বা শিল্পী হওয়ার মতো মেধাবী হয়। কোন ধর্ম পালন করলে যদি মেধাবী হওয়া যেত, তবে সবাই সেই ধর্মের প্রতি উৎসাহী হত।
ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য কি মানুষ ধনী বা গরীব হয় ? না, ধনী বা গরীব হওয়ার সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নাই। যে কোন লোকই ধনী বা গরীব হতে পারে। যদি কোন ধর্ম গ্রহণ করলে মানুষ ধনী হয়ে যেত, তবে সবাই সেই ধর্ম গ্রহণ করত।
ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য কি মানুষ রোগমুক্ত থাকে ? না, বাস্তবে ধর্মের সাথে রোগের কোন সম্পর্ক নাই। যে কোন ধর্মের লোক যে কোন রোগে আক্রান্ত হয়। ইমাম সাহেবেরও ডায়াবেটিক হয়, পাদ্রী সাহেবেরও ডায়াবেটিক হয়। কোন ধর্ম পালন করলে যদি রোগমুক্ত থাকা যেত তবে সবাই সেই ধর্মই পালন করত।
কোন ধর্ম পালন করলে কি মানুষ চির যৌবন পায় ? না, যৌবন স্থায়ী করার সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নাই। যে কোন ধর্ম পালনই করি না কেন একটা সময়ের পর আমাদের বুড়ো হতেই হবে। কোন ধর্ম পালন করলে যদি চিরযৌবনা হওয়া যেত, সেই ধর্ম বাদে আর কোন ধর্ম থাকত না।
কোন ধর্ম পালন করলে কি মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা থেকে বাঁচে ? না, যখন ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস হয়, তখন সবার ঘরই ভাংগে। মসজিদও ভাংগে, মন্দিরও ভাংগে। সবাই যার যার স্রষ্টাকে ডেকেও সেই দুর্যোগ থামাতে পারে না। যদি কোন ধর্ম পালন করলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা থেকে বাঁচা যেত, মানুষ সেই ধর্ম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম পালন করত না।
আসলে বাস্তব জীবনে আমাদের যা যা ঘটার তার সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নাই। বরং ধর্মের বিভিন্নতা থাকার জন্য মানুষে মানুষে বিভেদ ও ঘৃণা সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ তো স্রষ্টা বিশ্বাসী হয়ে কোন লাভ পায় নাই, বরং অপরের সাথে হানাহানি করে রক্তপাত করেছে। যুদ্ধ করেছে, ধর্ষণ করেছে, খুন করেছে। ধর্মের নামে সবই বৈধ হযে গেছে।
অন্য দিকে অপরাধ করার ক্ষেত্রে কোন ধর্মের লোকেরা অপরাধ বেশি করে এবং অন্য কোন ধর্মের লোকেরা অপরাধ কম করে তা কিন্তু নয়। সব ধর্মের লোকের মধ্যেই অপরাধী আছে। এমনকি ধর্মগুরুরাও নানা রকম কদর্য ধরনের অপরাধ করে থাকে।
যদি কোন ধর্ম পালনের জন্য অপরাধ না থাকত তবে তো পৃথিবীটাই বেহেস্তখানা হয়ে যেত। বাস্তবে তো সেটা হয় না। আমাদের মতো মুসলিম প্রধান ইমানী দেশেও সবচেয়ে বড় সমস্যা কিন্তু দুর্নীতি। দাড়িওয়ালা লোকও ঘুষ খায়। সুদে টাকা খাটায়। তার মানে ধর্ম কোন মানুষকে অপরাধ থেকে দূরে রাখতে পারে নাই।
আমার মতে, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমস্যা
০১) একই স্রষ্টার নাম দিয়া একাধিক ধর্মের অবতীর্ণ হওয়া
০২) প্রত্যেকটি ধর্ম নিজেকে সঠিক, শ্রেষ্ঠ ও একমাত্র ধর্ম এবং অপরকে বেঠিক ও খারাপ মনে করা
০৩) এক ধর্মের অনুসারী অপর ধর্মের অনুসারীকে ঘৃণা করা
০৪) শান্তি প্রতিষ্ঠার নাম দিয়া অপর ধর্মের অনুসারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা, হত্যা করা এবং আর যা যা কুকর্ম করা যায় সবই করা
০৫) ধর্মের বিরুদ্ধে গেলে সেটা যতই আধুনিক ধ্যান ধারণা হোক সেটাকে বেঠিক ও খারাপ বলে প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লাগা।



৪৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৩৮

সজল শর্মা বলেছেন: +++++++++++
সবগুলো কথাতেই যুক্তি আছে। স্বয়ং ঈশ্বর ছাড়া কেউ সঠিক উত্তর দিতে পারবে না।

ধন্যবাদ।

৫০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৩৯

কায়েস মাহমুদ বলেছেন:

@লেখক
মানবতত্ববিদ/এনথ্রোপোলোজিস্টের কাছ কাছ হতে আগে কিছু শিখে আসেন, এত সহজে সব কিছু জেনারালাইজ করা যায়না।

প্রলাপিয় পোষ্ট।

৫১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৫০

হাসান বায়েজীদ বলেছেন: লজিক বিষয়টাই আপেক্ষিক মনে হয় আমার কাছে। আপনার যুক্তির ভ্যালু আছে, আবার বিভিন্ন বিষয়ে দেখবেন পাল্টা একটা প্যারাডাইম নিয়া কেও আসলে সেইটাও সত্য মনে হৈবো।

তয় লেখায় প্লাস।

৫২| ০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৩৯

মাহিরাহি বলেছেন: মানুষে মানুষে হিংসা হানাহানির চরমতম রূপ যুদ্ধ।


দুইটা বিশ্বযুদ্ধ হইছে কি ধর্ম নিয়া।
ভিয়েতনামে যুদ্ধে কি ধর্ম ছিল।
ইরাক ইরান যুদ্ধের কারন ছিল কি
ভারত চীন যুদ্ধ
দুই কোরিয়া যুদ্ধ
রাশিয়ার সাথে জাপানের যুদ্ধ
ফকল্যান্ডের যুদ্ধ ছিল কেন?
বলে ত শেষ করা যাবে না।

স্তালিন আর হিটলারের মত নাস্তিকেরা লক্ষ লক্ষ মানুষ মারছে কি এই বড় সমস্যা সমাধান দিতে গিয়া।

০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৫৯

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধর্মের বাইরেও অসংখ্য কারণে যুদ্ধ হয়। কিন্তু ধর্ম একটা বড় কারণ। ধর্মের ভিন্নতা থাকার কারণে একপক্ষ অপরপক্ষকে ঘৃণা করে। যেই কারণে দুটি ধর্মের লোকের মধ্যে যুদ্ধ লাগানো সোজা। ভারতে যদি কেবল মুসলমান বা কেবল হিন্দু থাকত, তাহলে কি এত দাঙ্গা হত ?
কসোভোতে যেই যুদ্ধ হল, সেখানে মুসলমান কচুকাটা হল এই তো ক' দিন আগে। তারা মুসলমান বলেই কারাদজিক ধর্মীয় বিদ্বেষ থেকে এই আধুনিক যুগে ইউরোপের মতো শিক্ষাগত ও প্রাযুক্তিক সমৃদ্ধ জায়গায় মুসলমানদের কচুকাটা করল। পশ্চিমা গণমাধ্যম ও নেতারা প্রথম দিকে কিছুই বললেন না। কারণ তারাও ইউরোপে কোন মুসলিম রাষ্ট্র হোক, সেটা চান নি। ধর্মীয় বিদ্বেষ কোথায় নাই ? আজ আমেরিকাতে মুসলমানরা কেন হেনস্তা হয় ? কেন ইউরোপ ও আমেরিকা জুড়ে মুসলমানদের সন্ত্রাসী বলে ডাকা হয় ? আসলে কি ১০০ কোটি মুসলমানের সবাই সন্ত্রাসী ? ধর্মীয় বিদ্বেষ থেকেই তারা মুসলমানদের সন্ত্রাসী বলে। একমাত্র ধর্মীয় পার্থক্য আছে বলেই তারা আমাদের ঘৃণা করে। হ্যা, আপনি এর সাথে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য কারণ পাবেন, কিন্তু ধর্মীয় বিভাজন এই জাতিগত ঘৃণার অন্যতম কারণ।

৫৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৫৪

মারূফ মনিরুজ্জামান বলেছেন: ধর্ম না থাকলেও সমস্যা ঠিকই হইত- সব কিছু স্বার্থ কেন্দ্রিক - এখন কোন ভাবে কোন কিছু ব্যবহার করে আরেকজনকে সেই স্বার্থের পক্ষে আনতে পারলে লাভ তাই ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষ- স্বার্থ নাই তো ঝগড়াও নাই-

০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:০২

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনার কথা ঠিক। কিন্তু ধর্ম সমস্যাটা কমায় নাই, বাড়াইছে।

৫৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:০৬

আমি রোদের ছেলে বলেছেন: কাক ভুষুন্ডি বলেছেন: আমার এক্টা কথা ছোটকাল থেকেই মনে আসে।

আসমানী কিতাবের চার্টা ভার্সন কেনো প্রয়োজন হৈলো?
তৈলে সর্বশক্তিমানের সর্বশক্তিমানিত্বের দাবীতো অসাড়।

৫৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:৫৪

নিবিড় বন্ধু বলেছেন: তাহলে আপনার মতে সবাই ধর্ম ছেড়ে দিব?

সবাই যদি ধর্ম ছেড়ে দেয় তবে কি লাভ হবে?

হানাহানি কি বন্ধ হবে? নাকি ৩গুন বড়বে?

তাহলে সমাধানটা কি?

ধর্ম ত্যাগ করে হিটলারের মত দুনিয়া জয়ের স্বপ্ন দেখবনাতো ভাই?

তাই বলি ধর্মবিদ্বেষী না হয়ে, সকলের মিলিত সচেতন শক্তি দিয়ে ধর্মের নির্দেশাবলী মেনে চলি।

ধর্ম মানুষকে পৃথিবীতে সুশৃংখলভাবে চলবার নির্দেশনা দেয়। অবশ্যই আমাদের সামনে সেই দিনটি আসবে, যেদিন আমরা তার সামনে উপস্থিত হব।

৫৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:১১

ত্রিভুজ বলেছেন: লেখাটা চিন্তা ভাবনার অগভীরতা স্পস্ট। ধর্মের উপরে এতবড় একটা অপবাদ দেয়ার আগে ধর্ম কি বস্তু (বিশেষ করে ইসলাম কি বস্তু) একটু জেনে নিলে ভাল করতেন। অন্য ধর্মের বিষয় বাদ দিলে বলা যায় মূর্খ আস্তিকদের রোষানলেই থেকেছে ইসলাম! অর্ধশিক্ষিত ধার্মিক রা যেমন পাতি-নাস্তিকে পরিনত হয় খুব সহজে তেমনি অর্ধশিক্ষিত মুসলমান খুব সহজেই ধর্ম বিদ্বেষীতে রুপান্তরিত হয়।


৫৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৭:১০

কাদা মাটি জল বলেছেন: মেলে, মেলে। ধন্যবাদ ভাই।

৫৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৩২

ইব্রাহীম আহমেদ বলেছেন: আপনার লেখাটাও কিন্তু একপেশে হয়ে গেল ...

ধর্মকে বাদ দিন ... এবার বলতে পারেন জীবনের উদ্দেশ্য কি? what's the point of everything ?

আমি হতাশ হয়ে পড়েছিলাম একবার - পুরো জীবন থেকে - কি লাভ এই জীবনে , যেখানে শুধু অপেক্ষা শেষ মুহুর্তের জন্যে ! শুধু ধর্মই কিন্তু মানুষ কে আশা দিতে পারে , না- এর পরেও আরো আছে ...


বিবেক বলেন আর যাই বলেন , ধর্মকে বাদ দিলে কোন নির্দেশনাই থাকে না ...


রেটিং দিলাম না ... শুধু দৃষ্টিভংগীর ভিন্নতার জন্যে রেট করতে ভাল লাগে না ...

৫৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৩৮

গুল্লা বলেছেন: age buzun tar por kotha bolun !islam ! allah ki christan ai sobdota kono din vul kore holeo bolese ? ata mausher banano !ar asmani kitab hosse akek classser boi ! jokhon prethibite 100 kuti manus tokhon ak rokomer boi ! jokon 5000 kuti tokhon ak rokom !akek somoi akek proyozon akek volium er boi dorkar ...........songsarer kotha doren ar satro jiboner shathe compare koren buzte parben

৬০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৫৩

কবির চৌধুরী বলেছেন: আপনি যে এক ইশ্বরবাদের কথা বলছেন এটাও একটি ধর্ম!


কমেন্ট ১৫ তে বলেছেন:: আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন, তবে শপথ করে বলেন, আপনি কি ইহুদীদের ঘৃণা করেন না ? এই ঘৃণার একমাত্র কারণ কি ধর্মীয় ভিন্নতা নয় ? তাদের সাথে আমাদের শত্রুতা সৃষ্টি হওয়ার ক্ষেত্রে ধর্মই কি মূখ্য ভূমিকা পালন করছে না ?

- আপনি কি অন্ধ? আমরা ধর্মীয় ভিন্নতার কারনে ইহুদীদের ঘৃণা করি?
আগে এটা পড়েন, তার পর কইতেছি,
ইজরায়েলের জবানবন্দী:: তেলআবিবে বিপন্ন মানবতা আর আত্মরক্ষার অধিকার !!

আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন, তবে শপথ করে বলেন, আপনি কি ইহুদীদের ঘৃণা করেন না ?
- না আমরা মুসলমানদের ইহুদীদের (যে কোন ধর্মকেই) ঘৃনা করার শিক্ষা আল্লাহ্ হযরত মোহাম্মদ (সা:) মাধ্যমে দেয় নি। তার সেই অন্ধকারের যুগে সততা, অদুরদর্শীতা, জ্ঞান, সাফল্য প্রনয়ন নিয়েতো কারো দ্বিমত নেই!!
হ্যা, আমি (যে ধর্মেরই হইনা কেন) চরমভাবে ইসরাইল রাষ্ট্রকে ঘৃনা করি, যার বেশিরভাগ অধিবাসীরা ইহুদী। কারন তারা বর্তমানে সভ্য সমাজের ধজ্জাধারীভাব নিয়ে আমেরিকাকে সাথে নিয়ে বিশ্বে চরম মানবতা বিরোধী (এই শব্দটাও হাস্যকর শোনায়, যেখানে মানুষ মানুষকে কারনে অকারনে পিপড়ার মত পিষে মারছে, সম্পূর্ন জাতিকে অবরোধ করে ধনে, প্রানে, মানে মারছে) কাজ করছে। এখানে ধর্ম কেন ইস্যু না (উপরের লিংকাটা আবার পড়েন)!!

আপনি ঠিক পরের কমেন্ট্ই বলছেন,
আমি ধরে নিচ্ছি আপনি একজন মুসলমান। একজন মুসলমান হিসেবে আপনি একজন মুসলমানকে যত পছন্দ করেন, একজন ইহুদী বা খ্রিষ্টানকে করেন না। কেবল ধর্মীয় পার্থক্যের কারণে তাকে ঘৃণা করেন। কথায় কথায় তাদের জাতি তুলে গালি দেন। এটাই হল বড় সমস্যা।

আপনাকে.........ছি: ছি:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.