![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গল্প লেখার নেশা আমার আশৈশব। মাধ্যমগুলো বদলে গেছে সময়ে সময়ে - কখনও গল্প, কখনও উপন্যাস, কখনও নাটক, কখনও চলচ্চিত্র কিংবা কখনও টিভি নাটক। যে মাধ্যমেই কাজ করি না কেন, একই কাজ করেছি - গল্প বলেছি। আমি আজন্ম গল্পকার - এক সাদামাটা গল্পকার। মুঠোফোন : ০১৯১২৫৭৭১৮৭. বৈদ্যুতিক চিঠি : [email protected]ফেসবুক : http://www.facebook.com/shajahanshamim.scriptwriterদৃষ্টি আকর্ষণ : আমার নিজের লেখা সাহিত্যকর্ম যেমন উপন্যাস ও নাটক - যা এই ব্লগে পোস্ট করেছি, তার সর্ব স্বত্ব সংরক্ষিত। আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া এসবের কিছুই কোনো মাধ্যমে পুনঃপ্রকাশ করা যাবে না।
লোকটা কামরুলের বড় ভাই। তিনিও কামরুলের মতো সব দিক দিয়াই মোটা। লোকটার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল, তিনি সব সময় ঘামে ভেজা থাকতেন। মনে হত, এই মাত্র তিনি পুকুর থেকে উঠে এসেছেন।
তবে তিনি সৌখিন ছিলেন। পরতেন আদি কাপড়ের পাঞ্জাবি। সেই পাঞ্জাবি সব সময় গায়ের সাথে লেপ্টে থাকত। ভূড়িটা বড় হওয়ায় সুবিধা হয়েছিল। পাঞ্জাবির বেশ খানিকটা ভুড়ির উপর পড়ে থাকত।
ভদ্রলোকের নাম আমার মনে নাই। অসংখ্যবার কামরুলের কাছে উনার নাম শুনলেও মনে রাখতে পারি নি। কারণ উনার একটা জনপ্রিয় নাম আছে। সবাই তাকে এই নামেই ডাকে। তার পিতা-মাতার দেয়া নামটা কেউ বলতে পারে না। তার জনপ্রিয় নামটা হল - পচা ডিম।
কেন লোকে তাকে পচা ডিম নাম দিয়েছিল সেটার একটা ক্ষুদ্র ইতিহাস আছে। তার বিশেষ বায়ুতে নাকি পচা ডিমের গন্ধ এবং কোন মজমা হলে তিনি সেই বায়ু ত্যাগ করে বিশেষ আনন্দ পেতেন। মহল্লার পঞ্চায়েতের সভায় তিনি প্রায় এই কাজ করেছেন। এ জন্য যথেষ্ট ধনী মানুষ হওয়ার পরও তাকে পঞ্চায়েত থেকে বিদায় করে দেয়া হয়েছিল।
এক সময় তিনি এত বিখ্যাত হয়েছিলেন যে, মহল্লায় যাওয়ার সময় রিক্সাওয়ালারা জিজ্ঞেস করত, কোন জায়গায়, পচা ডিমের বাড়ির সামনে ?
তখন ক্লাস টেনে পড়ি। আমি সাধারণত কামরুলের মহল্লায় যেতাম না। কারণ ওখানে আমার বন্ধুবান্ধব তেমন ছিল না।
সে দিন মফিজের সাথে দেখা। মফিজ বলল, চল, খায়া আসি।
আমি জিজ্ঞেস করি, কোথায় ?
চল না, গেলেই দেখবি - মফিজ তাড়া দেয়।
মফিজ আমাকে কামরুলের বাড়িতে নিয়ে যায়। গিয়ে দেখি বিশাল আয়োজন। বিয়ে বাড়ির মতো বিশাল প্যাণ্ডেল টানিয়ে খাওয়া দাওয়া চলছে।
আমি মফিজকে জিজ্ঞেস করি, কার বিয়ে ?
মফিজ বলে, জানি না, দাওয়াত দিছে, আইছি।
কামরুলকে খুঁজলাম। কেউ বলতে পারে ও কোথায়। যাই হোক, আমি আর মফিজ খেতে বসলাম। খাওয়ার মাঝামাঝি সময় ঘটল সেই নাটকীয় ঘটনা।
বর বসার জন্য যেমন স্টেজ করা হয় তেমনি একটি স্টেজ করা হয়েছিল। সেই স্টেজে এসে উঠলেন কামরুলের বড় ভাই ওরফে পচা ডিম।
সবার দিকে তাকিযে নাটকীয় ভঙ্গিতে বললেন, ভাইয়েরা আপনাদের সবাইকে আজ দাওয়াত দিছি একটা কথা বলতে। আল্লাহর রহমতে আমার দুইটা পয়সা হইছে। সমাজে মান সম্মানও হইছে। আমারে লোকজন ইজ্জত দেয়। তাই আপনাগো কাছে হাতজোড় কইরা অনুরোধ জানাই, আজকা থিকা আমারে আর পচা ডিম বইলা ডাইকেন না।
লোকজন সব বলে উঠল, না, না, আমরা কেউ আপনেরে পচা ডিম কমু না। কোন শালা কয় দেইখ্যা নিমু।
ভদ্রলোক সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে স্টেজ থেকে নামলেন। টেবিলের সামনে এসে খাতির করে খাওয়ালেন।
আমরা পেটপূর্তি করে খেয়ে বেরিয়ে এলাম। বাইরে এসে দেখি বিশাল ঘটনা। লোকজন আরও আসছে। যারা খেয়ে বেরুচ্ছে, তারা বলছে, আহ, পচা ডিমে যা খাওয়াইল না, এই রহম বহুত দিন খাই নাই রে।
সেই ঘটনার পর থেকে ভদ্রলোক পচা ডিম হিসেবে আরও বিখ্যাত হয়ে গেল।
০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৮
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: সত্যি জোস কাহিনী। এই রকম কাহিনী আমার জীবনে আর দেখি নাই।
২| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৩১
দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: হা হা হা ............
০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৯
লেখাজোকা শামীম বলেছেন:
৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৩১
বড় বিলাই বলেছেন: মজা পাইলাম।
০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৩
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: বুকা আর কারে কয়। নিজের সর্বনাশ নিজে এমনে করে ?
৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৪২
রুবাইয়াত ইসলাম সাদাত বলেছেন: দারুণ!!
আপনার কামরুল বন্ধুটি সংক্রান্ত কাহিনীগুলো তো জোসিলা।
ভালো থাকবেন শামীম ভাই।
০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৩
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: জ্বী ভাই, ও একটা মজার মানুষ ছিল। যদিও সে নিজে বুঝত না এবং আমার ধারণা এখনও বোঝে না।
৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৫২
পুরাতন বলেছেন: হা হা হা । ব্যপক মজা পাইলাম
৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:১৭
ইমতিয়াজ জামিল বলেছেন: )+
৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:০১
আহমেদ রাকিব বলেছেন: হা হা হা হা হা হা, মজা হইছে।
৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:২৬
ভাঙ্গা পেন্সিল বলেছেন: নাম লইয়া যতো ঘাটে...ততোই প্রসার বাড়ে। এইটাই কি মোরাল?
০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৫
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনে দেখি মোরালও বাইর কইরা ফালাইছেন
৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৫৯
জেনন বলেছেন: হাহাহাহাহাহা.......জটিল............আমারে এখনও খাওয়ানো হয়নি.........তাই আমি পঁচা ডিম ডাকবোই ডাকবো।
হাহাহাহাহা................
শামীম ভাই, আপনাকে দিয়ে গেলাম আমার ১০০০ তম মন্তব্য। ভালো থাকুন...............
১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:১৩
শান্তির দেবদূত বলেছেন: হা হা হা ... আহারে বেচারা পঁচা ডিম ... হা হা হা
১১| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:৪৮
সৌরভ১৩ বলেছেন: বিখ্যাত হইতে মঞ্চায়... তয় এমতে না... মজা পাইলাম...
১২| ০৯ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৩৫
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: আহারে---বেচারা পচা ডিম। হা হা হা, আপনি পারেন ও বটে।
১৩| ১০ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:০৮
'লেনিন' বলেছেন: শুটকা এক বন্ধু ছিলো। ক্লাসে বদগন্ধ হলেই ওর প্রতি নজর যেতো সবার। সবাই ডাকে মুন্সি। প্রথমদিকে খাটো গড়নের হলেও পরে হঠাৎ করেই পাদুটো বেশ লম্বা হয়ে গেলো। আর সেই তুলনা উপরের অংশ ততোটা লম্বা নয়। ঢ্যাঙা সাইজ আরকি। কিন্তু শুটকাই রয়ে গেলো। আর তার সেই গন্ধপাদন অব্যাহত।
প্রায় পাঁচ-ছয় বছর পর দেখা হলো। এবার দেখি দশাসই গোফ রেখেছে কিন্তু আগের সেই বাচ্চা বাচ্চা চেহারাটা ঠিকই আছে। হাসি দেবার সময় দেখি দাঁতে ভীষণ ময়লা। ব্যাখ্যা দিলো হার্বাল ট্রিটমেন্ট চলছে পেটের হজমশক্তি বাড়ানো। তাই এলোপ্যাথি, সিনথেটিক সবকিছু পরিহার করতে বলেছে। পেস্ট তো দূরের কথা, কয়লা, মেসওয়াক কোনোকিছু দিয়েই দাঁত মাজা নাকি নিষেধ। বললো ব্লেড দিয়ে নাকি দাঁতের ওপর থেকে ময়লা সরিয়ে নিয়েছে। আজগুবি কাণ্ডে হাসি আসলো। এরপর হঠাৎ বিদঘুটে গন্ধ... বলি মুন্সি! তুই কি এখনো সেই অভ্যাস ধরে আছিস!
বলে আরে এটারই চিকিৎসা চলছে! মারাত্মক পোংটা সেই মুন্সি ইদানিং বিয়ে করেছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৩০
নকীবুল বারী বলেছেন: হা হা..................জোসসসসস কাহিনী