নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গল্প লেখার নেশা আমার আশৈশব। মাধ্যমগুলো বদলে গেছে সময়ে সময়ে - কখনও গল্প, কখনও উপন্যাস, কখনও নাটক, কখনও চলচ্চিত্র কিংবা কখনও টিভি নাটক। যে মাধ্যমেই কাজ করি না কেন, একই কাজ করেছি - গল্প বলেছি। আমি আজন্ম গল্পকার - এক সাদামাটা গল্পকার। মুঠোফোন : ০১৯১২৫৭৭১৮৭. বৈদ্যুতিক চিঠি : [email protected]ফেসবুক : http://www.facebook.com/shajahanshamim.scriptwriterদৃষ্টি আকর্ষণ : আমার নিজের লেখা সাহিত্যকর্ম যেমন উপন্যাস ও নাটক - যা এই ব্লগে পোস্ট করেছি, তার সর্ব স্বত্ব সংরক্ষিত। আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া এসবের কিছুই কোনো মাধ্যমে পুনঃপ্রকাশ করা যাবে না।
এক
ওদের প্রস্তাবে অনেক কষ্টে রাজি হলাম। রাজি না হয়ে উপায় নেই। কিন্তু এখন খুব দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছি। একই সাথে আবার মজাও লাগছে। আসলে নতুন অভিজ্ঞতা তো।
প্রথমে আমি রাজি হতে চাই নি। মুন্না বলেই বসল, "এত ভাবাভাবির কী হল রে ? সামান্য একটা পিকনিকে যাবি, তাতেই এত ? এমন ভাব দেখাচ্ছিস যেন বিয়ে করতে যাচ্ছিস ? " ওরা সবাই মিলে হেসে উঠল। আত্মসম্মান বাঁচাতে সম্মতি দিতে হল।
সম্মতি দিয়ে ভাবলাম কত টাকা আছে। আছে বোধ হয় শ' দেড়েক। আজ মাসের পঁচিশ তারিখ। চাইলে কিছু টাকা প্রতিভার আব্বার কাছে থেকে আগাম পাওয়া যেতে পারে।
যে করেই হোক টাকা যোগাড় করতে হবে। নইলে ইজ্জত নিয়ে টানাটানি লেগে যাবে। তাছাড়া এটাই হবে আমার জীবনের প্রথম পিকনিক। হ্যাঁ, আমার একুশ বছর বয়সের প্রথম অভিজ্ঞতা নিতে যাচ্ছি। বুদ্ধির বয়স থেকে জেনে আসছি, পিকনিক আনন্দের। কতটুকু আনন্দের এবার তা বুঝতে পারব।
প্রতিভার আব্বার কাছে থেকে কিছু টাকা আগাম নিতেই হবে। প্রতিভা আমার ছাত্রী। এইচ এস সি পড়ে। রসগোল্লা মার্কা ছাত্রী, তবু পড়াই। কারণ ওর আব্বা আমাকে ভালো অঙ্কের সম্মানী দেয়।
মুন্না এসেছিল। আমার বন্ধুদের মধ্যে ওই একমাত্র আমার বাসা চেনে। আর কেউ চেনে না। ইচ্ছে করেই চেনাই না। আমার চেহারা দেখে পাত্তা দিলেও আমার বাসার চেহারা কেউই আমাকে পাত্তা দেবে না।
আমার চেহারাটা নাকি আকর্ষণীয়। মেয়েলি ছাপের। ফিগার আরও আশ্চর্য। দৈনিক মেনুর মতা অনুযায়ী হওয়ার কথা তালপাতার সেপাই। কিন্তু হয়েছি র্যাম্বো টাইপ। অদ্ভুত আভিজাত্যের লালিত্য আমার দেহ জুড়ে। এ জন্যেই কেউ বোঝে না, আমি কোথায় জন্মেছি, কোন পরিবেশে বড় হচ্ছি।
আমার মা ছিলেন অপরূপ সুন্দরী। আমার কাছে মায়ের একটা ছবি আছে। অনেক দিন আগে বাবার ট্রাঙ্ক থেকে টাকা চুরি করতে গিয়ে ছবিটা পেয়েছি। আমাদের তিন ভাই এবং মায়ের গ্রুপ ছবি। বড় ভাই ও মেজ ভাই মায়ের দুপাশে দাঁড়ানো এবং আমি মায়ের কোলে। মাকে আমি কখনো দেখিনি। তাই ছবি দেখে চিনিনি। তবে ছবিতে দুই ভাইকে দেখেই বুঝতে পেরেছি, মাঝখানে বসা ভদ্রমহিলা আমার মা। টাকা না চুরি করে সেদিন ছবিটাই চুরি করলাম। ভেবেছিলাম, ছবি হারালে বাবা মস্ত হৈ চৈ বাঁধাবেন। কিন্তু বাবা কোন শব্দই করলেন না। যেন ট্রাঙ্ক থেকে কিছু হারানো খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। আসলে মাকে মনে রাখার কোন প্রয়োজন বাবার ছিল না। বরং আপদ বিদেয় হওয়ায় তিনি বোধহয় খুশি হয়েছিলেন। নইলে মা তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে আমার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করলেন কিভাবে ? যাই হোক, ছবি চুরি করে মাঝখান থেকে ভয়ে আমার টাকা চুরি করা বন্ধ হয়ে গেল।
রাত আটটা হবে বোধ হয়। রাস্তার দিকের জানালা দিয়ে একঝলক তীব্র আলো এসে ঢুকল ঘরে এবং পরক্ষণেই ভটভট শব্দ তুলে একটা মোটর সাইকেল থেমে গেল জানালার ধার ঘেষে। পড়তে বসেছিলাম, রঞ্জু, এই রঞ্জু ডাকে বই বন্ধ করলাম। বুঝলাম, আজকের জন্য রাতের পড়া নষ্ট হল।
জানালার দিকে চেয়ে দেখি মুন্না। উঠে গিয়ে জানালার কাছে দাঁড়ালাম। বললাম, "বাইরে দাঁড়িয়ে আছিস কেন ? ভেতরে আয়।"
মুন্না পাশের গলিটা ঘুরে ঘরের দরজায় এসে দাঁড়াল। পনির, আমার সৎবোন, আমার বাবার দ্বিতীয় স্ত্রীর মেয়ে, পড়তে বসেছিল। মুন্নাকে দেখে উঠে চলে গেল।
"তোর যাওয়ার কত দূর হল ?"
"ও হ্যা" - এমন ভাব করলাম যেন পিকনিকটা পান্তাভাত - "ভাবছি, যাব।"
"ভাবছি আবার কি রে ? যাচ্ছিস, ব্যাস।"
সে সময় পনির এল।
"ভাইয়া, তোমাকে আম্মা ডাকছেন।"
"তুই যা, আমি আসছি।"
পনির গেল না বরং মিটসেফ খুলে কাপ পিরিচ বের করতে লাগল।
মুন্নাকে বসতে বলে পাকঘরে চলে এলাম। দেখি, মা চা বানাচ্ছেন। আমার মা, মানে পনিরের মা, মানে আমার সৎ মা, আমার বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী। সৎমা হলেও উনি আমার মায়ের অভাব পূরণ করেছেন। আমাকে তার নিজের ছেলের মতো আদর করেন।
মায়ের চা বানানো দেখে আমার বুকটা হু হু করে উঠল। কে বলবে উনি আমার মা নন ? কিন্তু মুন্নাকে চা দেয়ার কী হল ? একবার ওদের বাসায় গিয়েছিলাম, চা তো দূরের কথা, দরজার কাছ থেকে বিদায় করেছিল। তবু আমার মায়ের মমতাভরা মুখের দিকে তাকিয়ে ফস করে বলে ফেললাম, "শুধুই চা ?"
কথাটা বলেই নিজের উপর বিরক্তি ধরে গেল। এসব ভদ্রতা কিছুতেই ছাড়তে পারি না। হয় তো আমার সৎমায়ের প্রভাব। কিন্তু এসব কথা ভাবার আগেই মা বললেন, "চা ছাড়া যে আর কিছু নেই।"
"কিছু না থাকলে চায়ের দরকার নেই।"
"তাহলে দুকাপ চা খাবে কে ? এক কাজ কর, একটু মুড়ি নিয়ে আয়।"
"আচ্ছা।"
ড্রয়ার থেকে টাকা নিয়ে দোকানে যেতে হবে। এই রাতের বেলা কী এক ঝামেলা !
দরজার কাছে আসতেই শুনলাম মুন্নার কণ্ঠস্বর,"তোমার প্রিয় রং কী ?"
"সাদা।"
"সাদা! সাদা আবার রং হল নাকি ? সাদা আর কালো কোন রংই নয়।"
"সাদা ও কালো যে রং নয়, এর সপক্ষে আপনার যুক্তি কী ?"
"আমার যুক্তিটি হচ্ছে, সব রং মিলে হয় সাদা এবং সমস্ত রং অপসারিত করলে হয় কালো।"
"এই যুক্তিতেও সাদা একটি রং। কারণ রং মিলে শুধু রংই সৃষ্টি হতে পারে, অন্য কিছু নয়।"
"সাদা রং হলেও হতে পারে, কিন্তু কালো কোনক্রমেই নয়।"
আমি ঢুকতেই ওদের জ্ঞানগর্ভ আলোচনা থেমে গেল। পনির কাপ পিরিচ নিয়ে চলে গেল।
মুন্না হাই তুলে খাটে শুয়ে পড়ল," কি রে দোস্ত, এতক্ষণ নিখোঁজ ?"
"নিখোঁজ নয়, মা ডেকেছিলেন।"
আমি ড্রয়ার খুলে টাকা নিলাম। মুন্না তীক্ষ্মচোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। অথচ ওর হাসি হাসি মুখ। ও কি বুঝতে চেষ্টা করছে আমি ওদের কথা শুনেছি কি না ? আমি চট করে চোখ নামিয়ে নিলাম। এ ব্যাপারটা ধরা না পড়াই ভালো। আস্তে করে ঘুরে দরজার দিকে রওয়ানা হলাম।
"কোথায় যাচ্ছিস ?"
"এই একটু দোকানে।"
"তাড়াতাড়ি ফিরিস।"
"আচ্ছা।"
মনের মধ্যে খচখচ করতে লাগল। অন্য দিন মুন্না আমাদের ঘরে এসে এমনভাবে চারদিকে তাকাতে থাকে যেন ম্যানহোলে পড়ে গেছে ও । অথচ আজকে নির্দ্বিধায় খাটে শুলো। কেন শুলো ? ও কি আমার কাছে কিছু লুকাতে চাইছে ?
মুড়ি এনে দেখি মা পেয়াজ মরিচ কেটে বসে আছেন। বিরক্ত কণ্ঠে বললেন,"এইটুকু মুড়ি আনতে এতক্ষণ লাগে ?"
"এতক্ষণ কোথায় ? চা রেডি হয়েছে ?"
"হ্যা, পনির চা নিয়ে গেছে।"
"চা আগে দিল কেন ?"
"আমি বললাম পরে দিতে, শুনল না।"
আমি উঠে দাঁড়ালাম। পনির আগেই চা নিয়ে গেল কেন ? মাকে বললাম,"মুড়ি মেখে রাখ। আমি আসছি।"
হেঁটে আমার রুমের কাছে এলাম। কিন্তু দরজার কাছে আসতেই থমকে দাঁড়াতে হল।
পনিরের গলা, "আপনার রংয়ের তত্ত্বটা সম্পূর্ণ ভুল।"
"কী করে ?"
"কালো যদি রং না হয়, তবে অন্ধকার কী ?"
"অন্ধকার হচ্ছে অন্ধকার, আলোহীন।"
"অন্ধকারের রং কালো। কিন্তু অন্ধকারকে দেখতে আলোর প্রয়োজন নেই। অথচ কালো রং দেখতে আলোর প্রয়োজন। যা দেখতে আলোর দরকার তা অবশ্যই একটি রং।"
"আপাতত কোন যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না বলে তোমার কথাই মেনে নিলাম।"
"যান, আপনি হেরে গেলেন।" পনির হাসছে।
আমি ইচ্ছে করে এই মুহূর্তে ঢুকলাম। দপ করে পনিরের হাসি নিভে গেল। মুন্না চায়ের কাপ টেনে নিতে গিয়ে এক ঝলক চা ফেলে দিল প্যান্টে।
আমি চিৎকার করে উঠলাম,"এই কী করলি, প্যান্টে তো চা পড়ল।"
"যাশশালা" - মুন্না আঁতকে উঠল - "প্যান্টটা তো গেল।"
আমি পানির গ্লাসটা এগিয়ে দিয়ে বললাম, "অসুবিধা নেই। এক্ষুণি ধুয়ে ফেললে কোন দাগ থাকবে না।"
মুন্না গ্লাস নিয়ে দরজার দিকে এগিয়ে গেল। খেয়াল করে দেখি, পনির চলে গেছে। প্যান্ট ধুয়ে মুন্না ফিরে এল। গ্লাস রাখতে রাখতে বলল,"শালা, আজকে মাত্র লন্ড্রি থেকে নিয়ে এলাম। তার মধ্যে এই কাণ্ড।"
"তাতে কী। আবার লন্ড্রিতে দিবি।"
"হু, বললেই হল। আমার টাকা যেন জিঞ্জিরার তৈরি। কোন দাম নেই।"
" তা হবে কেন ? তোর টাকা খাটি বঙ্গদেশীয় টাকশালের।"
"এবং এই টাকশাল আমার আব্বাজানের নয় যে ইচ্ছে করলেই টাকা ছাপিয়ে নেয়া যাবে।"
"ভবিষ্যতে একটা টাকশালের মালিক। তার আগে চা নে।"
"চা তো নেব। তার আগে বল, এই জানালার কেসটা কী ?"
আমি বিস্মিত হলাম, "জানালার কেস মানে?"
"তোর এই জানালাটা ভেরি ফ্যান্টাসটিক।"
একটা হার্টবিট মিস করলাম। লুনার ব্যাপারটা কি ও দেখে ফেলেছে ? তাহলেই সেরেছে। জোর করে মুখটা হাসি হাসি রেখে বললাম, "কেন, কী হয়েছে ?"
"কী হয়নি তাই বল? আমি এই জানালার কাছে দাঁড়িয়েছি অমনিই ওই দোতলার জানালার কাছে আরও একজন। ব্যাপারটা কী, রঞ্জু ?" রসালো হাসি হাসল মুন্না।
"ও এই ব্যাপার" - জোর করে মুখে হাসি ঝুলাতে চাইলাম - "জানালার আবিষ্কারই তো এর জন্য। নইলে তুই কী করে ওই জানালার দিকে তাকাতে পারতি ?"
"কারেক্ট কথা বলেছিস, দোস্ত। কিন্তু তুমি বোধ হয় ফেসে গেছ।"
ধ্বক করে উঠল বুকের ভেতর। তবু হাসলাম। এক নম্বর নকল হাসি। মুন্না পিঠ চাপড়ে বললাম,"তুই একটা ছাগল।"
"আর তুই হচ্ছিস আমার দোস্ত।"
দুজনেই হেসে উঠলাম। পনির এক বাটি মুড়ি নিয়ে এল। বলল,"চায়ের আগে মুড়ি নিন।"
"ধন্যবাদ। তুমিও নাও।"
খোঁচা দেয়ার ক্ষুদ্র সুযোগটুকুও ছাড়লাম না। বললাম,"শালা, এটা কি আমেরিকা পেয়েছ, যে কথায় কথায় ধন্যবাদ? তাও আবার ছোটবোনকে।"
মুন্না অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে সাফাই গাইল," তাতে কি মহাভারত অশুদ্ধ হল ?"
"না, মহাভারত শুদ্ধ হল" - আমার কণ্ঠে আত্মতৃপ্তি। মুন্নার অস্বাভাবিকত্ব বেশ উপভোগ্য লাগছে।
পনির অকারণেই একটা বইয়ের পৃষ্ঠা ওলটাচ্ছিল। বলল,"ভাইয়া, চুপচাপ চা নাও তো। তর্ক না করে থাকতে পার না ?"
মুন্না উৎসাহিত হয়ে উঠল, "তোমার ভাইটাকে কিছু বল তো। তর্ক না করে একদম থাকতে পারে না।"
"আপনার সাথে মিশেই এই অবস্থা হয়েছে।"
আমি তো থ। বলে কী এ মেয়ে! মুন্না থতমত খেয়ে বলল,"হ্যা, তুমি ঠিকই বলেছ। আর তর্ক করব না।"
মুন্না চুক চুক করে চা খেল। মুড়ি খেল। পনির একমনে বইয়ের পাতা ওলটাতে লাগল। আমি মুড়ি চিবোতে চিবোতে ওদের দুজনের দিকে তাকাচ্ছি।
"দোস্ত, আমি এখন যাই। অবশ্য একটু বসা উচিত। ভদ্রতা বলে একটা ব্যাপার আছে তো।"
পনির মিটিমিটি হাসছে। আমি ভদ্রতা করে বললাম,"তোর খুশি। তবে রাতে ভাত খেলে খুশি হব।"
"মাথা খারাপ ! ওদের খবর দিতে হবে না ?"
"কিন্তু খবরটা দিবি কী ?"
"তুই যাচ্ছিস, ব্যাস।"
"না রে দোস্ত, আমি পারছি না।"
"দুত্তরি, তোর কথা শোনে কে ? আমি এুণি গিয়ে পেমেন্ট দিয়ে দিচ্ছি।"
কথাটায় আমার মনে খুব চোট লাগল। শালা সব জায়গায় টাকার গরম দেখায়। তবু প্রকাশ্যে বললাম,"ব্যাপারটা সেরকম না। আমার যেতে ইচ্ছে করছে না।"
"ব্যাপার যাই হোক। তুই আগামী শুক্রবার যাচ্ছিস। এটাই শেষ কথা। তাহলে যাই। পনির, চললাম।"
"আবার আসবেন" - পনির মিষ্টি করে হাসল।
"চেষ্টা করব। চল।"
আমি ও মুন্না বেরিয়ে এলাম রাস্তায়। মুন্নাকে এই মুহূর্তে মেলাতে পারছি না। ও কি ভালো না মন্দ ? বন্ধু না শত্রু ? এ রকম পরিস্থিতি অসহ্য।
মুন্না ওর মোটর বাইকে বসল। বলল,"তাহলে দোস্ত, ওই কথাই রইল। তুই শুক্রবার যাচ্ছিস।"
"ঠিক আছে, তোর ইচ্ছা।" - আমি বোকার মতো হাসতে চেষ্টা করলাম।
মুন্না হাসল। মোটর বাইক স্টার্ট দিল,"গুডবাই।"
পেট্রোল পোড়া গন্ধ ছড়িয়ে মুন্না চলে গেল। বিদায়ী ভঙ্গিতে হাত নাড়লাম। শুক্রবার তাহলে যাচ্ছি আমি। জীবনের প্রথম পিকনিকে।
চলবে ...
পর্ব - ০২ ।
১৮ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:০২
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি, গতিটা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারব।
২| ১৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:১০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: লেখাটা ভাল হয়েছে। সুন্দর গতি বর্ণনা ও ভাল লাগলো।+++++
১৮ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:০৬
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৩| ১৭ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চলছে চলুক সাথেই আছি। পরের পর্বে যাচ্ছি।
১৮ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:০৭
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আশা করি, শেষ পর্ব পর্যন্ত সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ।
৪| ১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৫২
jotejoy বলেছেন: সুন্দর সূচনা,আপনার সহিত রইলাম....পরের পর্বে মনোনিবেশ করিলাম।
১৮ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:০৮
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: শেষ পর্ব অবধি মনোনিবেশ পাইব বলিয়া প্রত্যাশা করিলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩
এম এম কামাল ৭৭ বলেছেন: সাবলিল গতি। খুব ভাল লাগলো।