নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাস্তবতা নিয়ে কথা বলতে চাই।

সৈয়দ মশিউর রহমান

লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।

সৈয়দ মশিউর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি দেশ ছেড়ে, দেশের মানুষকে ছেড়ে কোথাও যাব না।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৪

মইনুদ্দিন–ফখরুদ্দিন আমার সঙ্গে কথা বলেছে, আমাকে দেশের বাইরে পাঠানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছে। আমি যেতে রাজি হইনি বলে আমার সন্তানদের ওপর যে অত্যাচার হয়েছে, আপনারা দেখেছেন। আমাকে বলা হয়েছিল, আপনি না গেলে মামলা দেওয়া হবে, ছেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়া হবে। এই কথাগুলো বলেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া।

বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রশ্নে তিনি কখনোই আপস করেননি। ভয় বা লোভের কাছে মাথা নত করেননি। এরশাদের সংগেও আপোস করেননি। তিনিই হলেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি আজ জীবন মত্যুর সন্ধিক্ষণে। একদিন সবাইকে যেতে হবে; তিনিও যাবেন আমরাও যাবো কিন্তু রয়ে যাবে কর্মফল। তিনি সকলের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন, সেখানে থাকবেন অনন্তকাল। মহান আল্লাহর কাছে তার সুস্থতা কামনা করছি।

খালেদা জিয়া আরো বলেছিলেন, আমি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলাম, আমি দেশ ছেড়ে, দেশের মানুষকে ছেড়ে কোথাও যাব না। এই দেশই আমার একমাত্র ঠিকানা। দেশের বাইরে আমার কিছু নেই, কোনো ঠিকানাও নেই। আপনাদের ছেড়ে না যাওয়ার কারণেই আমার ছেলেদের ওপর এত নির্যাতন হয়েছে। আমাকে জেলে যেতে হয়েছে, কিন্তু জনগণকে ছেড়ে যাইনি। মইনুদ্দিন–ফখরুদ্দিনের সঙ্গে কোনো আপোসও করিনি।

বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলেও পুনরায় কারাবরণ করতে হয়েছে বেগম খালেদা জিয়াকে। চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যেতে চেয়েছিলেন তারা বলেছিল লন্ডনে গেলে তিনি আর ফিরবেন না। কিন্তু তিনি ফিরেছিলেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। পরে দীর্ঘ তিন বছর কারাগারে থাকতে হয় তাকে। সে সময়ও তাকে নানা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়। রাজনীতি না করলে বা দেশ ছেড়ে গেলে তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে না এমন ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কোনো অবস্থাতেই মাথানত করেননি।

আরেক ডাইনি বুড়ি শুধুই পালায়। পালানোই তার কাজ; তিনি পালিয়েই বাঁচতে চান। পার্থক্য এখানেই।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৫

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: এতো ত্যাগী এতো ধৈর্য্যশীল
সমগ্রী তিনি দেশপ্রেমীক-
জানাই অজস্র বার লাল স্যালুট!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.