নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর মৃত্যু ঘটুক শূধু তৃনলতাগুলো বেড়ে উঠুক , ছুয়ে দিক নীল আকাশের ভ্রান্ত সীমানা ।
সুইসাইড নোট লেখার পর থেকে রাজনের মন খারাপ । অবশ্য এটা তেমন কোন ব্যাপার না । পৃথিবীর প্রত্যেক টা মানুষেরই বেশিরভাগ সময়ই কাটে মন খারাপ থেকে ।
মানুষের জন্ম হয় কান্না দিয়ে ।
ছোট্ট বাচ্চা জন্ম নেবার পর সারাক্ষন কাদে শুধু খাওয়ার সময় কাদে না আর ঘুমানোর সময় চুপ থাকে । আমরা শিশুকাল থেকে এখন পর্যন্ত কাদতেছি ..................।। যে কাদতেছে না সে ঘুমিয়ে আছে ।
দশ টা বেজে গেছে , এখনি সে সুইসাইড করবে । হাতের কাছে তিন টা ইলিমেন্ট আছে ।
৫ পাতা সিডিল , এক বোতল বিষ , এক খন্ড দড়ি ।
হঠাৎ কেমন যেন পৃথিবীর মায়ায় পরে গেলো । সেদিন এক পকেট্মার তার পকেট মেরে দিয়েছিল । এরপর তাকে প্রচুর গালি গালাঝ করেছে মনে মনে । আজ তার জন্যেও ভালোবাসা জাগতেছে । শেষ মুহুর্তে এসে রিনার কথাও খুব মনে পড়তেছে , অতটাও খারাপ ছিলো না মেয়ে টা ।
কিছুক্ষন সুইসাইডের চিন্তা মাথা থেকে বের করে দিলো ।
ভাবতে লাগ্লো সে মারা গেলে কি হবে ?
পুলিশ আসবে ইনকোয়ারি করতে , বাবা হতাশ চোখে তাকিয়ে থাকবে , মা কাদতে কাদতে মুর্ছা যাবে । ছোট বোন টা চিৎকার করে কাদবে । রিনা কি করবে ?
হয়তো সে আসবে । এক নজর রাজনের নিথর দেহটার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবে এরপর রিকশা নিয়ে নিজের বাসায় চলে যাবে ।এরপর নিজের রুমে ঢুকে চাপা গলায় কাদবে । মুখটা থাকবে বিছানায় ঢাকা । তারপরেও খুব সতর্ক ভাবে কাদবে যাতে বিছানার চাদর ভিজে না যায় ।
বন্ধুরা কি করবে ?
সজিব এসে দ্বাড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকবে কিছুক্ষন পর তার চোখে জল বুক পকেটের টিস্যু ভিজিয়ে দিবে ।
মুহিব ফেসবুকে স্ট্যাটাস দতে ব্যাস্ত হয়ে পড়বে ।
এবং সবাই আগামী তিন দিন সিগারেট খাবে না । সবাই ছোট মাঠটায় বসে পিপড়াদের দলের লাইন হয়ে চলে যাওয়া দেখবে আর মাঝে মাঝে আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘনিশ্বাস ছাড়বে ।
এসব চিন্তা করতে করতে কখন যে রাজনের চোখ ভিজে গেছে সে বুঝতেও পারে নি । হুট করেই ট্যাব্লেটের পাতা থেকে সব ট্যাব্লেট খুলে নিয়ে এক গ্লাস পানিতে সব ছেড়ে দিলো । পানি কিছুটা উছলে পড়ে গেলো , আর পুরো গ্লাস টা সাদা রঙেরময়দা পানির মত হয়ে গেলো । রাজন নাক টা চেপে ধরে এক নিশ্বাসে সেগুলো খেয়ে নিলো । পুরো মুখ তিতায় ভর্তি মাথাটা ঝিম ঝিম করতে লাগলো । মনে হচ্ছে কে যেনো পেছন থেকে লোহার ডান্ডা দিয়ে বাড়ি দিয়েছে ।এরপরেও মৃত্যু নামক জিনিস টার স্বাদ সে পেলো না ।
তখন পকেট থেকে বিষের বোতল বের করে এক চুমুকে এটাও শেষ করলো । খাওয়ার পর মনে হলো তার জান পাখি জীবন মরনের মাঝখানে আটকে গেছে ,আর মুক্তি পাওয়ার আশায় ছটফট করছে । এটাই কি মৃত্যু যন্ত্রণা ?
মৃত্যু যন্ত্রণা এতটা বিরক্তিকর হয় ? রাগের মাথায় তার পাচ তলা বাসার জানালা দিয়ে লাফ দিলো । শুন্যে ভাসার সময় মুখ ভর্তি বমি করলো । তার মনে হলো সে উড়তেছে ।
তার জীবন টাও খাচার ভেতর উড়ছে যেকোন সময় স্পিড বাড়িয়ে দিয়ে খাচা ভেঙ্গে চলে যাবে । তার পর হঠাৎ মনে তার বাম পাশে কে যেন বাড়ি দিলো । টের পেলো মাথার পেছন দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে । হৃদপিন্ড টার শেষ শব্দটাও হয়তো শুনতে পেলো ।***
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২৩
অমিত বসুনিয়া বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:২২
বিজন রয় বলেছেন: মাঝের দুটি পর্ব বাদ গিয়েছে্
পড়তে হবে।