![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জন্ম : ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৬৯; মানিকগঞ্জ। পৌষের কোনো এক বৃষ্টিভেজা মধ্যরাতে এদেশের এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম হয়েছিলো আমার, মায়ের কাছে শুনেছি। হঠাৎ বৃষ্টির সেই শীতের রাতে আঁতুর ঘরে মার পাশে দাইমা নামক আমার অ-দেখা এক মহিলা ছাড়া আর কেউ ছিলো না। উঠোনে রেখে দেয়া প্রয়োজনীয় সাংসারিক অনুষঙ্গ বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে দাইমা বাইরে গেলে প্রায়ান্ধকার ঘরে জন্ম হয়েছিলো আমার। জন্মেই দেখেছিলাম, আমার চারপাশে কেউ নেই- মা ছাড়া। আজ, এই এতদিন পর- আমার চারপাশে সহস্র মানুষের ভিড়- তবু মার কাছে ফিরতেই ভালো লাগে আমার। যোগাযোগ : [email protected] [email protected]
১.
জীবনের অন্য নাম সম্পর্ক। কিংবা সম্পর্ক মানেই জীবন- বলা যায় এভাবেও। নানা ধরনের সম্পর্কের ভেতর দিয়ে জীবন কাটায় মানুষ। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্ক, আত্নীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মী-সহমর্মী এবং এই ধরনের আরও অনেক মানবিক সম্পর্ক প্রায় নিয়তি-নির্ধারিত ভূমিকা পালন করে মানুষের জীবনে। শুধু কি তাই? সম্পর্ক স্থাপিত হয় জড় জগতের সঙ্গেও। যে প্রিয় কলমটি দিয়ে আমি লিখি তার সঙ্গেও কি একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি আমার? নইলে ওটা ছাড়া লিখতে আমি অস্বস্তি বোধ করি কেন? খাবার টেবিলে সবসময় কেন একটি নির্দিষ্ট চেয়ারেই বসি অন্য সব চেয়ার খালি থাকলেও! এমন তো নয় যে, ওই চেয়ারটিই আমার জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছে কেউ! যে কাপটিতে আমি চা খাই, যে গ্লাসটিতে পানি, যে প্লেটে ভাত, ঘুমানোর সময় যে বালিশটি মাথায় দেই, যে ঘড়িটি হাতে পড়ি, যে দোকান থেকে সিগারেট কিনি _ এসবকিছুর সঙ্গেই একটি সম্পর্ক দাঁড়িয়ে গেছে আমার। কিংবা এভাবে কি বলবো যে, এগুলোর সঙ্গে আমার এক ধরনের অভ্যস্ততা তৈরি হয়ে গেছে? আর সেজন্যই এর যে কোনোকিছুর অনুপস্থিতি বা ব্যতিক্রম আমার মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করে! সম্পর্কের অন্য নাম কি তবে অভ্যাস? জীবন মানে সম্পর্ক আর সম্পর্ক মানে অভ্যাস! জীবন কি তাহলে নানারকম অভ্যাসেরই প্র্যাকটিস? তা যদি হয়ও, তবু তার পেছনে সুনির্দিষ্ট কারণ থাকে।
অফিসে আমার টেবিলের কাঁচটি ভাঙা। দীর্ঘদিন ধরেই ভাঙা। আমি বদলাই না। বললেই হয়ে যায়, ঐ সুসজ্জিত অফিসে ওই ভাঙা কাঁচটি বেশ বেমানান এবং দৃষ্টিকটুও বটে। তবু আমি সেটা বদলাই না কেন? বদলাই না, কারণ ঐ গর্জিয়াস প্রতিষ্ঠানে ভাঙা কাঁচটি যেমন বেমানান, ম্লান, মিসফিট- আমিও তেমনই ওখানে বেমানান, ম্লান, মিসফিট। যেন উভয়ে মিলে প্রতিষ্ঠানটির আভিজাত্যকে মুখ ব্যাদান করে উপহাস করে যাচ্ছি।
ভাঙা কাঁচটির সঙ্গে নিজের মিল খুঁজে পাই আমি, ওটার জন্য মায়া জন্মে গেছে আমার- ওটাকে তাই বদলাতে পারি না।
একবার খুব পুরনো একটা গ্লাস ভেঙে যাওয়ায় মাকে রীতিমতো কাঁদতে দেখেছিলাম আমি। ওই গ্লাসের দাম এমন কিছু বেশি ছিলো না, আর মা নিশ্চয়ই দামের কথা ভেবে কাঁদেওনি। নিশ্চয়ই ওটার সঙ্গে মায়ের অনেক স্মৃতি ছিলো। আর এই স্মৃতিই তৈরি করেছিলো সম্পর্ক।
বস্তুজগতের সঙ্গে এভাবেই হয়তো সম্পর্ক তৈরি হয় মানুষের।
২.
মানুষের অনেকগুলো সম্পর্ক নিয়তি-নির্ধারিত বা প্রকৃতি প্রদত্ত। মা-বাবা-ভাই-বোন-আত্নীয়স্বজন ছাড়াও যে দেশটিতে যে সমাজে যে সময়কালে সে জন্মগ্রহণ করে, এর কোনোকিছুই সে নিজে বেছে নেয় না। প্রকৃতি তাকে এই সম্পর্কগুলো উপহার দেয়। সে এগুলো মূল্যবান মনে করুক আর না করুক, এমনকি এগুলো তার কাছে বোঝা হয়ে উঠলেও তার কিছু করার নেই, কারণ প্রকৃতিপ্রদত্ত কোনোকিছুকে শেষ পর্যন্ত অস্বীকার করা যায় না। একজন মানুষ বড়জোর এগুলো থেকে পালিয়ে গিয়ে সাময়িকভাবে মুক্তি পেতে পারে- এসকেপিস্টরা সেটাই করে, কিন্তু একেবারে ছেড়ে দেয়া তার পক্ষে সম্ভব হয় না। কিংবা কে জানে, প্রকৃতি প্রদত্ত বলে, সহজে পাওয়া গেছে বলে মানুষের কাছে এগুলোর মূল্য কম- মানুষের স্বভাবই হচ্ছে এই যে, সে কিছু না কিছু অর্জন করতে চায়, অর্জনে যে আনন্দ, সহজপ্রাপ্তিতে সেই আনন্দ নেই বলেই। আর তাই মানুষ এইসব সম্পর্কেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখে না। সারাজীবন ধরে সে নানারকম সম্পর্ক নির্মাণ করে যায়, এমনকি ঘটনাক্রমেও সে অনেক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। মানুষের উদ্ভাবিত শ্রেষ্ঠ দুটো সম্পর্কের নাম- প্রেম ও বন্ধুত্ব। অবশ্য প্রেম শব্দটি দিয়েই সব সম্পর্ককে সংজ্ঞায়িত করা যায়। তা কাদের সঙ্গে প্রেম হয় অথবা বন্ধুত্ব? একজন মানুষ আরও হাজার মানুষ থাকতে কেন একজন নির্দিষ্ট মানুষের সঙ্গে এরকম সম্পর্ক গড়ে তোলে? আমার মনে হয় মানুষ আসলে তার প্রেমেই পড়ে যার মধ্যে সে নিজেকে প্রকাশিত হতে দেখে।
মাঝে মাঝে আমার মনে হয়- সারাজীবন ধরে মানুষ অন্যের চোখে নিজেকে দেখে নিতে চায়। তার সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন হয় এই একটি জিনিসকে কেন্দ্র করেই। একটি সুন্দর শার্ট আমি পড়ি কেন? পড়ি আমাকে সুন্দর লাগবে বলে। কিন্তু সুন্দর না লাগলে অসুবিধা কোথায়? লাগলেই বা সুবিধাটি কি? কি যায় আসে এই সুন্দর লাগা না লাগায়? যায় আসে। আমি চাই অন্যের চোখ থেকে আমার প্রশংসা ঝড়ে পড়ুক। আমি যে সুন্দর সেটা যদি জানাও থাকে আমার তা যেন যথেষ্ঠ নয়, আমি অন্যের চোখে নিজেকে দেখে নিতে চাই। অন্যের চোখ থেকে প্রশংসা ঝরে না পড়লে আমার সমস্ত সৌন্দর্যই ম্লান ও ব্যর্থ হয়ে যায়। একটি চায়ের কাপ কেনার সময় কেন সবচেয়ে সুন্দর সেটটিই কিনতে চাই আমি? কারণ যে অতিথিকে আমি সেই কাপে চা দেব, তার কাছ থেকে যেন আমি আমার রুচির প্রশংসা শুনতে পাই। মানুষ এমনই- নিজেই অজান্তেই সে নিজেকে কেন্দ্র করে ঘোরে।
প্রেমও তাই। আমি তাকেই চাই, তারই প্রেমে পড়ি যার মধ্যে আমার পছন্দের বিষয়গুলো আছে, যার চোখে তাকালে আমি নিজেকে দেখতে পাই।
৩.
প্রেমে পড়লে মানুষ বোকা হয়ে যায়- এটা খুবই প্রচলিত কথা। কেন এটা বলে সবাই? তার কারণ কি এই যে, প্রেমে পড়লে প্রেমিকটি এমন সব আচরণ করে যা তাকে মানায় না, যা তার বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে, ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যায় না! সম্ভবত তাই। কিন্তু কেনই বা সে এমন আচরণ করে? করে _ কারণ তখন সে ইনোসেন্ট হয়ে যায়। প্রেম যত গভীর তত বেশি আবেগময় এবং বেহিসেবি- আর প্রেমে পড়া মানুষটি তত বেশি ইনোসেন্ট। কোথায় যেন পড়েছিলাম _ সারাটি জীবন মানুষ যে তার শৈশবে ফিরতে চায় তার কারণ- তার ভেতরে থাকে সরলতার কাছে ফেরার আকাঙ্ক্ষা, থাকে ইনোসেন্ট হবার আকাঙ্ক্ষা। শৈশব মানেই তো সারল্য, নিস্পাপতা আর সহজতা। বয়স যত বাড়ে ততই বাড়ে জটিলতা, বাড়ে ভার- জীবন ক্রমশ জটিল আর ভারি হয়ে ওঠে, মানুষ পরিণত হয় ভারবাহী প্রাণীতে। জটিলতায় আক্রান্ত মানুষ তাই শৈশবে ফিরতে চায়, সেখানে সে এক অসামান্য সরলতার কাছে আশ্রয় খোঁজে। কিন্তু চাইলেই কি ফেরা যায় শৈশবে? যায় না। আর প্রেম সেখানেই পালন করে দারুণ কার্যকরী ভূমিকা। প্রেম মানুষকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় শৈশব- কৈশোরের সরলতায়, সহজতায়, নিস্পাপতায়।
কিন্তু এমন প্রেম কোথায় পাওয়া যায়? এখন, এই বস্তুবাদী সময়ে প্রেম মানেই হিসেব-নিকেশ, বিয়ে, সংসার, সম্পত্তি, সামাজিক মর্যাদা ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব হিসেব নিকেশের মধ্যে প্রেম পালাবার পথ পায় না। জীবনের অন্যান্য জটিলতার মতোই প্রেম দেখা দেয় এক ভয়ংকর জটিলতা হিসেবে। সেখানে আর আবেগ থাকেনা, থাকে না উদ্দামতা, উচ্ছ্বলতা, আনন্দ- মাথা জাগিয়ে থাকে কেবলই হিসেব নিকেশ। সমাজের রক্তচক্ষুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দুজন মানুষ আর পাশাপাশি হাঁটবার প্রেরণা পায় না নিজের ভেতরেই।
৪.
সব সম্পর্ককেই মানুষ কোনো না কোনো নাম দিয়ে সংজ্ঞায়িত করতে চায়। সম্পর্কের বহুমাত্রিকতায় বিশ্বাস নেই তার, নেই আস্থাও, কিংবা বহুমাত্রিক সম্পর্কের বিষয়টি সে বোঝেই না। ফলে একটি নাম না দিলে সে অস্বস্তিতে ভোগে, অশান্তিতে ভোগে। কিন্তু যখনই একটি সম্পর্কের নাম দেয়া হয় তখনই তাকে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়, সেই সম্পর্কে নতুন কোনো মাত্রা যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যায়। সম্পর্ক হয়ে পড়ে স্থির, বদ্ধ।
অথচ সম্পর্ক বিষয়টিই পরিবর্তনশীল, বিবর্তনশীল। এক জায়গার দাঁড়িয়ে থাকার জিনিস নয় এটা। সম্পর্ক ক্রমাগত তার ধরন পাল্টায়, তার স্বভাব পাল্টায়- যদি না পাল্টায় তবে তা পরিণত হয় অভ্যাসে। সম্পর্কের সঙ্গে অভ্যাসের পার্থক্যটা এখানেই। সম্পর্ক বিবর্তনশীল, পরিবর্তনকামী, নতুন মাত্রা যোগের সম্ভাবনাপূর্ণ, আর অভ্যাস স্থির, পরিবর্তনহীন, একঘেঁয়েমিপূর্ণ।
মানুষ যে সম্পর্কের একটি নাম দিতে চায় তার কারণটি হয়তো এই যে, সে সম্পর্কের একমাত্রায় বিশ্বাস করে, স্বস্তি পায়- সম্পর্কটিকে একটি মীমাংসায় পেঁৗছে দিতে চায়, একটি সংজ্ঞায় বেঁধে ফেলতে চায়।
অথচ অমীমাংসিত সম্পর্কই সুন্দর, যদিও তা বেদনাদায়ক। অসংজ্ঞায়িত সম্পর্কই সম্ভাবনাপূর্ণ, যদিও তা বহন করা কষ্টকর। কিন্তু এই বেদনা, এই কষ্টও মধুর। মানুষ এমনকি মধুর কষ্টও কেন ভোগ করতে চায় না কে জানে!
৫.
এত এত সম্পর্ক আমাদের তবু কেউ কেউ কেন এমন নিঃসঙ্গ বোধ করে? কেন কারো কারো মনে হয়-
অবশেষে জেনেছি মানুষ একা
জেনেছি মানুষ তার চিবুকের কাছেও ভীষণ অচেনা ও একা।
তবে কি কোনো সম্পর্কই শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত আশ্রয় দেয় না মানুষকে?
কোনো কোনো মানুষ হয়তো কারো কাছে আশ্রয় খুঁজে পায়, নিজেকে অনেকখানি মেলেও ধরতে পারে, নিজের দুঃখ-বেদনা-হাহাকার-কষ্ট আর না পাওয়ার যন্ত্রণার কথা, সুখ-আনন্দ-প্রাপ্তি-উচ্ছ্বাসের কথা অবলীলায় অকুণ্ঠে বলে যেতে পারে। এরা উদার ও প্রকাশক্ষম মানুষ, সম্পর্কিত মানুষটিকে সে বিশ্বাস করে, ভালোবাসে- নিজেকে মেলে ধরতে তাই দ্বিধা করে না।
কিন্তু সমস্যাটা অন্তর্মুখী মানুষদের নিয়েই, স্বভাবতই যারা প্রকাশ-অক্ষম। এরা নিজেদের প্রায় সমস্ত কথাই গোপন করে রাখে, প্রায় কিছুই প্রকাশ করে না বা করতে পারে না। হয়তো কোনো একজন মানুষকে সব কথা বলে দেবার মতো বিশ্বাসযোগ্য বলেও মনে করেনা বা করতে পারে না, সম্পূর্ণভাবে আস্থাও রাখতে পারে না কারো ওপর। অন্তর্মুখী মানুষরা তাই অন্যের ভালো বন্ধু হয় বটে, কারণ তারা বলে কম, শোনে বেশি, কিন্তু নিজেরা কোনো বন্ধু খুঁজে পায় না। তাদের অধিকাংশ কথা অকথিত রয়ে যায়, প্রকাশ করতে না পারার যন্ত্রণায় তারা বিপন্ন ও দগ্ধ হতে থাকে- কোনোকিছুতেই তাদের মুক্তি মেলে না। এদের মতো অসহায় মানুষ আর নেই পৃথিবীতে। সম্পর্ক ব্যাপারটা দ্বিপাক্ষিক- এরা তা বোঝে না, অথবা বুঝলেও স্বভাবের কারণেই নিজেকে মেলে ধরার ব্যাপারে কুণ্ঠিত হয়ে থাকে সবসময়। তাদের এই স্বভাব যতটা না স্বনির্মিত তারচেয়ে বেশি প্রকৃতিপ্রদত্ত- এরা তাই প্রকৃতিগতভাবেই দুঃখী-একা-বিপন্ন।
কিন্তু এই দু-ধরনের মানুষই কিছু কিছু কথা সারাজীবনের জন্য গোপন করে রাখে। কিছু কষ্ট-অপমান-যন্ত্রণা ও বেদনার কথা কাউকেই কোনোদিন বলা হয় না তার। এইরকম অনেক কথাই বুকের গোপন কোটরে জমা রেখে মানুষকে মরে যেতে হয়!
তাহলে কতদূর এগুলো মানুষ? এই এত এত বিপুল সৃষ্টি, আবিষ্কার আর সাফল্য- এত গান, এত কবিতা, এত গল্প-উপন্যাস, এত দর্শন, বিজ্ঞানের অভাবনীয় বিজয়যাত্রা, মনস্তত্ত্ব নিয়ে এত ভাবনাচিন্তা-তত্ত্ব-তথ্য এবং এই এত এত আরো সবকিছু অথচ মানুষ আজও এমন একটি নির্মাণ করতে শেখেনি- যা আয়নার মতো স্বচ্ছ, যার সামনে দাঁড়ালে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে দেখে নেয়া যায়, যার কাছে নিজের সব-সব কথা বলে যাওয়া যায়, অনেক কথা না বলে না বলতে পারার বেদনা নিয়ে চলে যেতে হয় না।
আমার মনে হয়- সম্পর্কই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মানুষের জীবনে। অমন একটি সম্পর্ক যে পর্যন্ত মানুষ নির্মাণ না করতে শিখবে মানুষ, ততদিন পর্যন্ত তার মুক্তি নেই।
২| ০৫ ই মে, ২০০৮ ভোর ৫:০৬
রামন বলেছেন: চাপা মাইরেন না বিবর্ণ মিঞা,বড় লেখা দেখলে আপনার চুল খাড়াইয়া যায় সেইটা জানা আছে।
৩| ০৫ ই মে, ২০০৮ ভোর ৫:১১
বিবর্ণ বলেছেন: রামন'দা এইডা কুন কাম হইল, হাটে হাড়ি ভাংগেন ঠিক আচে.. তাই বুইলা বলগে.....!
দাদা চাইপা যান চা খাওয়ামুনে......
৪| ০৫ ই মে, ২০০৮ ভোর ৫:১৬
রামন বলেছেন: ঠিক আর কমু না । তয় আওয়াজ ডা আগে পাইলে কেলেঙ্কারীডা হইত না।
৫| ০৫ ই মে, ২০০৮ ভোর ৫:৩০
একরামুল হক শামীম বলেছেন: সম্পর্ক নিয়ে দারুন লিখছেন। আপনার পর্যবেক্ষণ বেশ ভালো লাগলো।
০৫ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৪২
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, নিয়মিতভাবে এই তুচ্ছ লেখাগুলো পড়ার জন্য।
৬| ০৫ ই মে, ২০০৮ ভোর ৫:৩৯
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: আপনার নিয়মিত উপস্থিতি ভীষন ভাল লাগছে।
কদিন পর হয়ত আপনার কাছে এখানে লিখা আর ভাল নাও লাগতে পারে। মৌলিক লেখা ব্লগের মত জায়গায় দিতে, যাদের যথাযথ জায়গায় লেখার সুযোগ আছে, তারা দিতে চান না বা দিতে ভাল লাগে না। মন থেকে সাড়া পাওয়া যায় না।
কিন্তু আপনার কাছে আহবান থাকল। আপনি দিন। এই যে আপনার ভাল লেখাটা আমরা পড়তে পারলাম, তা পারতাম না যদি না দিতেন।
প্লীজ থেমে যাবেন না।
০৫ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৫
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনুরোধটা মনে রাখবো। আমি ঠিক এইভাবে লেখা প্রকাশের জায়গাগুলোকে আলাদা করি না। মৌলবাদী পত্রপত্রিকা ছাড়া অন্য সব জায়গায়ই লিখি আমি। এখানে কতোদিন আগ্রহ থাকবে সেটি নির্ভর করে ব্লগের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারা না পারার ওপর। দেখা যাক।
৭| ০৫ ই মে, ২০০৮ ভোর ৫:৪১
বিবর্ণ বলেছেন: চমৎকার পর্যবেক্ষন।
০৫ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৭
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেকক্ষণ খাড়ায়া ছিলাম কিন্তু। দেখলাম রামনের লগে লেনদের করতেছেন, হেই জন্য আর খাড়াই নাই!
৮| ০৫ ই মে, ২০০৮ ভোর ৫:৪৮
নাদান বলেছেন: অর্ধক পড়েছি। এক কথায় দারুন। পুরোটা পড়ার জন্য তুলে রাখলাম।
০৫ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৮
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: পুরোটা পড়া হলে জানাবেন আশা করি।
৯| ০৫ ই মে, ২০০৮ সকাল ৯:২৬
মুজিব মেহদী বলেছেন: সাতসকালে সম্পর্কদর্শন দিয়ে শুরু হওয়া দিনটা ভালো যাবে না মনে হচ্ছে। কারণ লেখাটা এটা জানান দিয়ে গেল যে সম্পর্ক ব্যবস্থাপনায় আমারও ভুল আছে অনেক।
সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেকের মতো আমিও প্রায়ই একটা কোনো মীমাংসায় পৌঁছতে চাই। যদিও অনেক কিছুতেই আমি বহুত্ববাদিতার দর্শনেই বিশ্বাসী। আমাকে নতুন করে ভাবতে হবে ম্যালা কিছু।
০৫ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৪১
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: সাত সকালেই এই লেখা পড়ে ফেলেছেন মুজিব? দুর্দান্ত! আছেন কেমন আপনি?
নতুন করে ভাবার কথা যদি বলেন, সেটা আমাকেও ভাবতে হবে। সবাইকেই ভাবতে হয়, সম্ভবত।
১০| ০৫ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:৩০
এহসানুল ইয়াছিন বলেছেন: ভাবতে হব, ভাবতে হয়, সম্ভবত। কী বলেন?
০৭ ই মে, ২০০৮ রাত ২:৩৮
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: হ্যাঁ। সবাইকেই ভাবতে হয়, সম্ভবত।
১১| ০৬ ই মে, ২০০৮ রাত ১:০৯
ফারহান দাউদ বলেছেন: সম্পর্ক দর্শন চমৎকার হল। বিশেষ করে "বদলাই না, কারণ ঐ গর্জিয়াস প্রতিষ্ঠানে ভাঙা কাঁচটি যেমন বেমানান, ম্লান, মিসফিট- আমিও তেমনই ওখানে বেমানান, ম্লান, মিসফিট। যেন উভয়ে মিলে প্রতিষ্ঠানটির আভিজাত্যকে মুখ ব্যাদান করে উপহাস করে যাচ্ছি।" খুব মনে লাগলো।
০৭ ই মে, ২০০৮ রাত ২:৪০
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার মন্তব্য আমারও খুব মনে লাগলো।
১২| ০৭ ই মে, ২০০৮ ভোর ৪:৫৪
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: একসঙ্গে এতগুলো ব্যপার..............।সম্পর্ক,ভালোবাসা,প্রেম,নিঃসঙ্গতা..........এত দারুন করে লিখেছেন।সত্যি ভাবালো।
"মাঝে মাঝে আমার মনে হয়- সারাজীবন ধরে মানুষ অন্যের চোখে নিজেকে দেখে নিতে চায়".............।খুব ভালো লাগলো।
"একবার খুব পুরনো একটা গ্লাস ভেঙে যাওয়ায় মাকে রীতিমতো কাঁদতে দেখেছিলাম আমি। ওই গ্লাসের দাম এমন কিছু বেশি ছিলো না, আর মা নিশ্চয়ই দামের কথা ভেবে কাঁদেওনি। নিশ্চয়ই ওটার সঙ্গে মায়ের অনেক স্মৃতি ছিলো। আর এই স্মৃতিই তৈরি করেছিলো সম্পর্ক। "..........একদম সত্যি কথা।
স্মৃতিটাই আসল।
ভালো থাকবেন........
শুভেচ্ছা অনেক।
০৭ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১:১৬
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: স্মৃতিটাই আসল। মানুষ তো আসলে সম্পর্ক নিয়ে বাঁচে না, বাঁচে সম্পর্কের স্মৃতি নিয়ে।
আপনাকেও শুভেচ্ছা।
১৩| ১১ ই মে, ২০০৮ রাত ১:০৯
এম জুয়েল বলেছেন: "অমীমাংসিত সম্পর্কই সুন্দর, যদিও তা বেদনাদায়ক। অসংজ্ঞায়িত সম্পর্কই সম্ভাবনাপূর্ণ, যদিও তা বহন করা কষ্টকর। কিন্তু এই বেদনা, এই কষ্টও মধুর। মানুষ এমনকি মধুর কষ্টও কেন ভোগ করতে চায় না কে জানে! " আপনার লেখাটা পড়ে জানলাম, মধুর কষ্টটা আমি ভোগ করছ। আশাকরি, নিয়মিত আপনার লেখা পাবো।ধন্যবাদ।
১২ ই মে, ২০০৮ রাত ২:১৫
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেকদিন পর আজ লগইন করেই আপনার চমৎকার মন্তব্যটি পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব নিয়মিত হওয়া যাচ্ছে না, নানা রকম ঝামেলায়। আশা করি শিঘ্রিই আরেকটি লেখা দিতে পারবো।
১৪| ১৪ ই মে, ২০০৮ সকাল ১১:৪১
রবিউলকরিম বলেছেন: অনেকদিন পরই তো তুমি লগ ইন করবা। সম্পর্ক নিয়া লেখ অথচ আমাগো লগে সম্পর্ক রাখার কথা ভাবো না!
১৫ ই মে, ২০০৮ ভোর ৪:০৪
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আর দোস্ত, বলিস না! জীবন আমারে দৌড়ের ওপর রাখছে। এক মুহূর্ত বসার সময় নাই। কি করবো বল?
১৫| ১৫ ই মে, ২০০৮ ভোর ৪:২২
ধূসরিত স্বপ্ন গুলো বলেছেন: ৪ নং টা খুব ভালো লাগলো.....আমিও এটা ভাবি..কিছু কিছু সম্পর্ককে এক মাত্রায় বেধে ফেলাটা আসলেই গাধামি মাঝে মাঝে।
একই কথাটা অনুভুতির ক্ষেত্রেও আমি খুব ফিল করি.....আমি মাঝে মাঝে কিছু কিছু অনুভুতি অনুভব করি যেগুলার নাম জানা থাকেনা....কোনো সময় সেগুলো খুব আনন্দ দেয় কোনোসময় অস্থিরতা।।
আর জীবনের ফান্ডামেন্টাল কি "অনুভুতি" বলা যায়?? আমার কেন জানি তাই মনে হয়।
১৫ ই মে, ২০০৮ ভোর ৪:৫০
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আমারও সেরকমই মনে হয়। তবে ঠিক নিশ্চিত হতে পারি না।
১৬| ১৭ ই মে, ২০০৮ সকাল ৮:৩১
প্রিয়তি বলেছেন: দারুন লিখেছে। এক টানে পড়ে ফেললাম।
১৭ ই মে, ২০০৮ রাত ১০:৩২
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
১৭| ১৭ ই মে, ২০০৮ সকাল ৯:০৪
সাঁঝবাতি'র রুপকথা বলেছেন: ভালো লেগেছে...অনেক ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্যে...
১৭ ই মে, ২০০৮ রাত ১০:৩২
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
১৮| ১৭ ই মে, ২০০৮ সকাল ৯:৫৮
মুক্ত মানব বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার লেখা। ধন্যবাদ।
১৭ ই মে, ২০০৮ রাত ১০:৩১
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।
১৯| ২০ শে মে, ২০০৮ রাত ১১:১৩
রাসেল ( ........) বলেছেন: আপনার লেখা পড়লে মনে হয় একটা বাচাল হঠাৎ করেই বোবার রাজত্বে চলে এসেছে।
তবে ব্লগ হিসেবে চমৎকার, সলিলেকি ভালোই খেলে আপনার কলমে, তাই বোধ হয় বাচালতা স্বত্তেও মানুষ এখনও বলে না অফ যা।
২১ শে মে, ২০০৮ ভোর ৪:০৩
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার এরকম মনে হলে লেখাগুলো না পড়লেই হয়! আপনাকে তো কেউ বাধ্য করছে না। খামাখা নিজের মূল্যবান সময় 'বাচাল লেখা' পড়ে নষ্ট করছেন কেন? আর 'অফ যা' বললেই অফ যায় কেউ? অন্তত কোনো লেখক 'অফ' যায় না।
২০| ২১ শে মে, ২০০৮ ভোর ৪:০৮
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: মাইগড। আমি যে আপনার আরেকটা পোষ্টে ডটু রাসেল এর পোষ্টের লিংক দিয়ে আসলাম।......বিরাট ভুল হয়েছে। রাসেলের মন্তব্যটা কেমন যেন।
২১ শে মে, ২০০৮ ভোর ৪:২৫
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: তাতে অসুবিধা নেই কোনো। আপনার লিংক দেখে রাসেলের লেখাটা আমি পড়েছি। চমৎকার লেখা। অত্যন্ত সংবেদনশীল মানুষ না হলে ওই লেখাটা কেউ লিখতে পারে না। আমার লেখা তাঁর পছন্দ নয় বলে আমি তাঁর লেখা পছন্দ করবো না, ব্যাপারটা তো এমন নয়। আর পছন্দ না হলে কেউ বিরূপ মন্তব্য করতেই পারেন। রাসেলের ওই লেখায় ইচ্ছে থাকা সত্তেবও মন্তব্য করিনি, কারণ, তিনি এর ভুল ব্যাখ্যা করতে পারেন।
চমৎকার একটি লেখার লিংক দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ রন্টি। ব্লগে নিয়মিত নই, খুব বেশিদিন হয়ওনি এর সঙ্গে আমার সম্পর্ক। ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ লেখাই আমার চোখে পড়ে না হয়তো।
২১| ২৩ শে মে, ২০০৮ রাত ১২:৩২
রাসেল ( ........) বলেছেন: আপনার লেখা না পড়বার মতো কোনো কুযুক্তি হাজির করি নি, আপনার লেখার একটা বৈশিষ্ঠ্য প্রকাশ করেছি। এখানে কথকের ভুমিকাটা চরিত্রের চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। চরিত্র কথকের মর্জির উপরে বেঁচে থাকে, তাকে যতটুকু নড়বাস স্বাধীনতা দিতে চায় কথক সে ততটুকুই কথা বলতে পারে।
আপনি নিজের মনে কথা বলতেই থাকেন, বলতেই থাকেন। বলতেই থাকেন। মাঝে মাঝে ঘোর কাটলে অনেকটা বিচ্ছিন্ন একটা জায়গা থেকে আবার খেঁই ধরেন।
আপনার অভিমান দেখে চমৎকার লাগলো। ভাই ব্লগে এইটাই প্রধান চল, আপনি নিজের অনুভব লিখবেন। সেইটাই কইতে চাইছিলাম, আমি আপ্নের লেখার সাহিত্যিক মূল্য বিবেচনা করলে আলাদা কইরা কইতাম খামতির কথা।
২৭ শে মে, ২০০৮ ভোর ৪:০৭
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনি কি এই লেখা সম্বন্ধে কথাগুলো বলেছেন, নাকি আমার গল্প-উপন্যাস সম্বন্ধে বলেছেন, বুঝতে পারলাম না। এই লেখায় তো কোনো চরিত্রই নেই, 'কথকের ভুমিকাটা চরিত্রের চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ'- আপনার এই মন্তব্যটি তাই যথার্থ বলে মেনে নেয়া গেলো না। দুঃখিত। এখানে পুরোটাই কথকের কথা। তিনিই প্রধান। চরিত্র নেই বলে তার প্রসঙ্গ আসে না। এই ব্লগে আমি যতোগুলো লেখা পোস্ট করেছি, তার কোনোটিতেই চরিত্র নেই। আছে কথক। নিরংকুশভাবে। আপনার 'চরিত্র' প্রীতি তাই অবাক করার মতো। আর এই লেখাগুলোর মধ্যে যদি আপনি সেই বৈশিষ্ট্য খুঁজে পান, তাহলে, আপনার লেখা সম্বন্ধেও একই অভিযোগ তোলা যাবে।
আর আমার গল্প-উপন্যাসের প্রসঙ্গে যদি বলে থাকেন, তাহলে ভিন্ন কথা। সেখানে এই অভিযোগ তুললে আমি নিশ্চুপই থাকবো। কারণ, আমার লেখার বৈশিষ্ট্যই ওটি। কারো পছন্দ না হলে কিছু করার নেই। সবার পছন্দ হবার মতো লেখা কোনো লেখকই লিখতে পারেন না বলেই বিশ্বাস করি আমি।
'ব্লগে এইটাই প্রধান চল' বলে যেটিকে বর্ণনা করলেন, সেটি হলেও হতে পারে। আপনি পুরনো ব্লগার, আমার চেয়ে আপনি বেশি জানেন। তবে ব্লগেই হোক আর পত্রপত্রিকায়ই হোক, বিষয়টি যেহেতু লেখালেখি, তাই - 'আপনার লেখা পড়লে মনে হয় একটা বাচাল হঠাৎ করেই বোবার রাজত্বে চলে এসেছে।' বা 'বাচালতা স্বত্তেও মানুষ এখনও বলে না অফ যা' এই ধরনের কথা একজন লেখককে বলা শোভন কী না বিষয়টি ভেবে দেখবেন।
আপনি স্পর্শকাতর মানুষ, সেটি আপনার লেখা পড়লে বোঝা যায়। সেক্ষেত্রে অন্যের স্পর্শকাতরতার প্রতি আপনার শ্রদ্ধাবোধ থাকবে সেটুকু প্রত্যাশা করা অন্যায় হবে না আশা করি।
২২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৩৩
একলব্যের পুনর্জন্ম বলেছেন: অনেক আগের তো....এটা দেখা হয় নাই
ভাইয়া,অন্তর্মুখী কিনা এটা নিয়ে খনো ভাবি নাই,কারণ আজকাল মানুষ নিজেকে একা হতাশ প্রমাণ করে আনন্দ পায়.....ফেসবুকে স্ট্যাটাস ভর্তি করে লেখা থাকে এগুলো...একটা কারণ হতে পারে মানুষ এটাকে একটা "ফ্যাশন" হিসেবে নিয়ে নিয়েছে
আমার কাছে সম্পর্ক ব্যাপার টা খুব বেশি গুরুত্ববহ ,ক্লাস ফাইভে কেনা টেবিলটা অনেক ছোটো হয় এখন , বই খাতা বারবার গিয়ে আনতে হয়,তবু পাল্টাই না।আমার কেবল একটাই সমস্যা।আমি শেষ পর্যন্ত এই কথা ধরে রাখি যাকে আমি আপন ভাবি সে আমার আহত হওয়ার জায়গাগুলোও বুঝবে....তাই কিছু বুঝাতে যাই না।
ভালো লেগেছে ভাইয়া।লিংক দেয়ার জন্য টেংকু
২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:৫৫
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: বুঝলাম, তুমিও অন্তর্মুখী মানুষ, ফলত দুঃখী!
-----------------
লিংক দেয়ার জন্য বকা না খেয়ে টেংকু পেলাম, তাতে সাহস বাড়লো! ব্লগে একটামাত্র ফানপোস্ট দিয়েছিলাম, তা-এ নারীজাতি নিয়ে! সেখানে তোমার (বা এখন নারীজাতির যেসব সদস্য আমার ব্লগে কমেন্ট করে তাদের) কমেন্ট নেই! পড়ে দ্যাখো, পারলে মৃত পোস্টটাকে কবর থেকে তুলে আনার যায় কী না দ্যাখো! সবাইকে তো এটা বলা যায় না-- ভয় করে! তাই তোমাকেই বললাম।
Click This Link
২৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৩৩
একলব্যের পুনর্জন্ম বলেছেন: *কখনো
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই মে, ২০০৮ ভোর ৫:০০
বিবর্ণ বলেছেন: খারান পড়তাচি, আপনের লিখা মিস করন যাইব না।