![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জন্ম : ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৬৯; মানিকগঞ্জ। পৌষের কোনো এক বৃষ্টিভেজা মধ্যরাতে এদেশের এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম হয়েছিলো আমার, মায়ের কাছে শুনেছি। হঠাৎ বৃষ্টির সেই শীতের রাতে আঁতুর ঘরে মার পাশে দাইমা নামক আমার অ-দেখা এক মহিলা ছাড়া আর কেউ ছিলো না। উঠোনে রেখে দেয়া প্রয়োজনীয় সাংসারিক অনুষঙ্গ বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে দাইমা বাইরে গেলে প্রায়ান্ধকার ঘরে জন্ম হয়েছিলো আমার। জন্মেই দেখেছিলাম, আমার চারপাশে কেউ নেই- মা ছাড়া। আজ, এই এতদিন পর- আমার চারপাশে সহস্র মানুষের ভিড়- তবু মার কাছে ফিরতেই ভালো লাগে আমার। যোগাযোগ : [email protected] [email protected]
মধ্যবিত্তদের চরিত্রটি ভালোভাবে বুঝে নিতে হলে তাদের মূল্যবোধকে বুঝতে হবে। কারণ, এই শ্রেণীর সবচেয়ে বড় সম্পদ তাদের মূল্যবোধ এবং এগুলো নিজেদের স্বার্থে, নিজেদের মতো করে নিজেরাই তৈরি করে নিয়েছে তারা। মধ্যবিত্ত হবার জন্য যেহেতু শিক্ষা একটি অপরিহার্য মাধ্যম - এদের চরিত্র বোঝার জন্য তাই বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থাটাও বুঝে দেখা দরকার। শিক্ষা ব্যবস্থা বলতে শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তক বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা শিক্ষক-ছাত্র সম্পর্ক ইত্যাদিকে বোঝালে চলবে না, কারণ, শিক্ষাটা শুধু প্রতিষ্ঠানেরই বিষয় নয়। পরিবার থেকে, সমাজ থেকে, পাঠ্যপুস্তকের বাইরে আরো বহু ধরনের বই থেকে, মিডিয়া (রেডিও-টেলিভিশন-সংবাদপত্র-নাটক-সিনেমা ইত্যাদি) থেকেও একজন মানুষ নানারকম শিক্ষা লাভ করে থাকে। এসবকিছু বিবেচনায় আনলে আমরা দেখতে পাবো - আমাদের পরিবারগুলো, বিদ্যমান সমাজকাঠামোটি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উপকরণগুলো (বই-পুস্তক, শিক্ষক, ক্লাসরুম, পরিবেশ ইত্যাদি), মিডিয়াগুলো (আগেই বলেছি অধিকাংশ মিডিয়ার মালিক উচ্চবিত্ত হলেও সেসব দখল করে আছে মধ্যবিত্তরা এবং তারা প্রচার করছে মধ্যবিত্তেরই মূল্যবোধ) একজনকে কেবলই মধ্যবিত্ত হবার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। একজন দরিদ্র পিতা যখন তার সন্তানকে শিক্ষিত করে তোলার স্বপ্ন দেখেন তখন একই সঙ্গে স্বপ্ন দেখেন যে, তার পুত্র শিক্ষিত হয়ে 'বড় অফিসার' হবে, 'ভদ্রলোক' হবে। এই ভদ্রলোক কিন্তু মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক। অর্থাৎ তার সামনে আদর্শ ও স্বপ্ন বলতে মধ্যবিত্তরাই আছে এবং সে সফলভাবে এই স্বপ্ন তার সন্তানের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করতে পেরেছে, ফলে পুত্রটিও কেবল মধ্যবিত্তই হতে চায়। শুধু পরিবারই নয়, স্কুলের প্রথম বইটিও তাকে নীতিবাক্য শেখায় - 'সদা সত্য কথা বলিবে' , 'অসৎসঙ্গ পরিত্যাগ কর' ইত্যাদি। এগুলোও মধ্যবিত্তেরই নীতিবাক্য। এই সত্য মধ্যবিত্তের সত্য, এই সৎ-অসতের সংজ্ঞাটিও মধ্যবিত্তেরই তৈরি। তারচেয়ে বড় কথা - সদা সত্য কথা বললে বা অসৎসঙ্গ পরিত্যাগ করলে বড়জোর মধ্যবিত্তই হওয়া যাবে, কোনোভাবেই উচ্চবিত্ত হওয়া যাবে না। শুধু পাঠ্যপুস্তকই নয়, যাঁরা এইসব নীতিবাক্য খুব মন দিয়ে শেখান, সেই শিক্ষকরাও মধ্যবিত্ত। অর্থাৎ সমাজের যাবতীয় অনুষঙ্গ তাকে মধ্যবিত্তই হতে বলে। আজ পর্যন্ত কোনো পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, মা-বাবা, বইপুস্তক কাউকে উচ্চবিত্ত হওয়ার প্রেরণা যুগিয়েছে বলে আমার জানা নেই। বরং সিনেমা নাটকে, গল্প-উপন্যাসে উচ্চবিত্তদের চিত্রিত করা হয় রীতিমতো ভিলেন হিসেবে! উচ্চবিত্তদের নিয়ন্ত্রাধীন মিডিয়াগুলো যে ভাষায় উচ্চবিত্তদের নিন্দনীয় কীর্তিকাহিনী তুলে ধরে, তা অন্য কোনো শ্রেণীর ক্ষেত্রে করে না। মধ্যবিত্তের চিন্তাশীল অংশটি, অর্থাৎ বুদ্ধিজীবীরা, তো এ বিষয়ে রীতিমতো সোচ্চার। তারা একদিকে যেমন উচ্চবিত্তদের গালাগাল করে, অন্যদিকে মধ্যবিত্ত হবার জন্য কিংবা থাকার জন্য নানারকম যুক্তিতর্কের ও রীতি-নীতির অবতারণা করে।
মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবীরা কীভাবে তার শ্রেণীকে নীতি শেখান তার একটা উদাহরণ দেয়া যাক। মহান কথাশিল্পী আখতারুজ্জামান ইলিয়াস নিজে মধ্যবিত্ত হয়েও মধ্যবিত্তদের সমালোচনায় ছিলেন মুখর, নিজেও সারা জীবন ধরে মধ্যবিত্তদের অনড়-অচল মূল্যবোধের সীমানা ডিঙিয়ে চলে যেতে চেয়েছেন, এবং এইসব রীতি-নীতিকে তীব্রভাবে আঘাত করেছেন। কিন্তু এসব করতে গিয়ে তিনি নিজেই যে বেশকিছু মূল্যবোধের জন্ম দিচ্ছেন, সেটা হয়তো খেয়ালও করেননি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন - 'সাধারণ মানুষ যে ভালোভাবে বাঁচবে এটা আমি কোনো নীতিবোধ থেকে বলিনা - বলি কাণ্ডজ্ঞান থেকে; সাম্যের সমাজ চাওয়াও কাণ্ডজ্ঞানেরই চাওয়া।' - বলাইবাহুল্য তিনি যে কাণ্ডজ্ঞানের কথা বলেন তা মধ্যবিত্তেরই কাণ্ডজ্ঞান। উচ্চবিত্তের এই কাণ্ডজ্ঞান থাকার প্রশ্নই আসেনা, কারণ তা তাদের শ্রেণীস্বার্থের বিপক্ষে যাবে, নিজের শ্রেণীর ধ্বংস ডেকে আনবে। আবার এমন কাণ্ডজ্ঞান যে থাকতে পারে বা থাকা উচিৎ নিম্নবিত্তরা তা ভাবতেই পারেনা, এমনকি কল্পনাও করে না বা কল্পনা করার সাহস পায়না।
মধ্যবিত্তের এই কাণ্ডজ্ঞানকে কি আপনি ভালো বলবেন না খারাপ বলবেন? যদি ভালো বলেন তাহলে আপনাকে স্বীকার করতেই হবে যে, মধ্যবিত্তরা এমন কিছু কাণ্ডজ্ঞান বা মূল্যবোধ বা নীতিবোধ তৈরি করে যা নিজ শ্রেণীর সীমানা ডিঙিয়ে অন্য শ্রেণীর জন্যও কল্যাণকর বলে বিবেচিত হয়। এখানটায় এসে মধ্যবিত্তদের প্রশংসা না করে পারা যায় না। যুগ যুগ ধরে এরা এইসব মূল্যবোধের কথা বলে আসছে। সততা, সত্যবাদিতা, ন্যায়পরায়নতা, দেশপ্রেম, মানবকল্যাণ ইত্যাদি নিয়ে মধ্যবিত্ত চিন্তাবিদদের চিন্তার অন্ত নেই, এবং শুধু তত্ত্বেই নয়, বিষয়টি তারা প্র্যাকটিসও করে। তার প্রমাণ মেলে বাংলাদেশের সমস্ত গণআন্দোলনে মধ্যবিত্তদের অংশগ্রহণের বিষয়টি বিবেচনা করলেই। সত্যি বলতে কী - '৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে '৯০-এর গণআন্দোলন পর্যন্ত সবই পরিচালিত হয়েছে মধ্যবিত্তদেরই নেতৃত্বে ও অংশগ্রহণে। আরো পরিস্কার ভাবে বলা যায় - '৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া অন্য সবগুলো আন্দোলন আসলে মধ্যবিত্তদেরই আন্দোলন। মুক্তিযুদ্ধে আপামর মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকলেও এর পটভূমি তৈরি করেছিলো মধ্যবিত্তরা এবং এর নেত্বত্বেও ছিলেন মধ্যবিত্তরাই। এইসব আন্দোলন-সংগ্রাম-যুদ্ধ মধ্যবিত্তরা কেবল নিজেদের শ্রেণীস্বার্থ রক্ষার জন্যই করেছে, এমনটি ভাবা খুব ভুল হবে। এর মধ্যে দেশপ্রেম ছিলো, ছিলো জনগণের মুক্তির আকাঙ্ক্ষা, মানুষের জন্য কল্যাণচিন্তা। এই ভাবনা-চিন্তাগুলো তাদের মধ্যে এতটাই প্রবল ছিলো যে, নিজেদের প্রাণ পর্যন্ত উৎসর্গ করতে দ্বিধা করেনি তারা। মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া অন্যান্য আন্দোলন সংগ্রামগুলোতে যারা প্রাণ দিয়েছে তাদের প্রায় ৮০ ভাগই মধ্যবিত্ত। যারা মধ্যবিত্তদের বাছবিচারহীনভাবে গালাগালি করেন তারা এই বিষয়টি ভুলে যান। এদের ইতিবাচক কোনোকিছুই তারা খুঁজে পান না, পেলেও প্রশংসা করতে দারুণ কার্পন্য করেন, যদিও এই প্রশংসা তাদের প্রাপ্য।
মধ্যবিত্তরা, বিশেষ করে এই শ্রেণীর তরুণ অংশটি, যখন নিজ শ্রেণীর মূল্যবোধগুলোকে তীব্রভাবে ধারণ করে, তখন তারা কী ঘটিয়ে ফেলার ক্ষমতা অর্জন করে তার প্রমাণ তারা রেখেছে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৯০-এর গণআন্দোলন পর্যন্ত সমস্ত আন্দোলন ও সংগ্রামে। প্রায় প্রত্যেক ক্ষেত্রেই তারা নিরংকুশ বিজয় অর্জন করেছে। কিন্তু এই সঙ্গে এ-ও বলা দরকার যে, তারা তাদের এই বিজয় ধরে রাখতে পারেনি। যে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে তারা আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলো, বিজয় অর্জিত হবার পর তারা আবিষ্কার করে - এই বিজয় ছিনতাই হয়ে গেছে, এবং যারা ছিনতাই করেছে তারাও তাদেরই শ্রেণীর লোক। মধ্যবিত্তরা কী পরিমাণ সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে তার প্রমাণও তারা রেখেছে মুক্তিযুদ্ধের পর ব্যাপক লুটতরাজ-চুরি-ডাকাতি-কালোবাজারি-রাহাজানি-ছিনতাই করে। ওই সময় জনগণের স্বপ্ন ও প্রত্যাশার বারোটা বাজিয়ে তারা নিজেরা ফুলে ফেঁপে বিকট চেহারা ধারণ করেছে। এতটাই বিকট যে তাকে আর মধ্যবিত্ত বলে চিহ্নিতই করা যায় না। একই ঘটনা একটু সীমিত আকারে হলেও ঘটেছে '৯০-এর গণআন্দোলনের পর। তবে বলা দরকার - যে মধ্যবিত্ত যুদ্ধ করেছিলো আর যে মধ্যবিত্ত এই লুটতরাজে অংশ নিয়েছিলো তারা একই মধ্যবিত্ত নয়। বিষয়টি বিশ্লেষণ করলে আমরা হয়তো কিছু মৌলিক প্রশ্নের উত্তর পাবো। আগামী পর্বে (অর্থাৎ শেষ পর্বে) আমরা সেই বিশ্লেষণটিই করতে চাই।
আগের পর্বগুলোর লিংক :
মধ্যবিত্তের পরিচয়চিহ্ন ০৪
Click This Link
মধ্যবিত্তের পরিচয়চিহ্ন ০৩
Click This Link
মধ্যবিত্তের পরিচয়চিহ্ন ০২
Click This Link
মধ্যবিত্তের পরিচয়চিহ্ন ০১
Click This Link
৩১ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১:৪০
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: হঠাৎ 'মধ্যবিত্ত জিন্দাবাদ' বইলা শ্লোগান দিলেন কেনরে ভাই? ওরা কি মৃত্যুমুখি নাকি?
২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১:১১
বাইত যামু বলেছেন: ভাই আমি কোন বিত্ত? আগে পড়া আই তারপর উত্তর দিমুনে।
৩১ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১:৪১
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনে কোন বিত্ত তা আমি কেমনে কমু!?!
নিজেই কন না, শুনি।
৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:০০
বাইত যামু বলেছেন: ভাই আমরা উপরে মন্তব্যটা মুছে দেন আমি লেখাটা পড়লাম। এ কথায় খুবই ভাল লেখা। বাকিগুলো পড়ছি তার পর মন্তব্য করব।
৩১ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:১৯
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপাতত থাকুক, অন্য মন্তব্যগুলো পেলে মুছব। না পেলে....
৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:০৭
একরামুল হক শামীম বলেছেন: মনোযোগ দিয়ে পড়লাম পুরোটাই।
এই পর্বটা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে আমার কাছে।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
৩১ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:২০
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ দিতে দিতে এই শব্দটা ক্লিশে হয়ে গেছে। আপনার জন্য অন্য কোনো শব্দ দরকার।
৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:১০
রাতমজুর বলেছেন: না, বরং জাগতে কৈলাম, অন্ধের মত কর্পোরেট বডি হওনের পিছে দৌড়ানির থিক্যা বাঁচতে কৈলাম।
৩১ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:২১
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: তাইলে ঠিক আছে। জাগো বাহে...
৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:১৫
বিবর্তনবাদী বলেছেন: এই পর্বের প্রায় প্রতিটি অংশের সাথেই ১০০% সহমত।
৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া অন্য সবগুলো আন্দোলন আসলে মধ্যবিত্তদেরই আন্দোলন।
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশিদের ইতিহাসের এমন এক অধ্যায় যার কথা আমরা সহস্র বছরেও কল্পনা করি নাই, ভাবিও নাই এ আমাদের দ্বারা সম্ভব।
==========================================
"লেখাপড়া করে যে, গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে"-- এই সব আবজাব ফিলোসফি দিয়ে আমাদের আর চলবে না। এখন সময় এসেছে চাণ্যক-এর অর্থশাস্ত্র থেকে বুলি নেওয়ার। যেমন,
"মনের বাসনাকে দূরীভূত করা উচিত নয়। এই বাসনাগুলোকে গানের গুঞ্জনের মতো কাজে লাগানো উচিত।"
"যারা পরিশ্রমী, তাদের জন্যে কোনকিছু হাসিল করা অসাধ্য কিছু নয়। শিক্ষিত কোন ব্যক্তির জন্যে কোন দেশই বিদেশ নয়। মিষ্টভাষীদের কোন শত্রু নেই।"
"বিরাট পশুপালের মাঝেও শাবক তার মাকে খুঁজে পায়। অনুরূপ যে কাজ করে অর্থ সবসময় তাকেই অনুসরণ করে।"
"শত্রুর কোন চিহ্নও অবশিষ্ট রাখতে নেই"--------------------ইত্যাদি।
৩১ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:২৪
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: দারুণ সব চাণক্য শ্লোকের উদ্ধৃতি দিয়েছেন! কিন্তু ভাই, এইসব জিনিস পাঠ্যপুস্তকে ঢোকাবে কে? যাদের ক্ষমতা আছে এটা করার তারা তো ওইসব 'আবজাব ফিলোসফি'কেই নিরাপদ মনে করে!
৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:৩৪
রাসেল ( ........) বলেছেন: এখন পর্যন্ত যা পড়লাম তার সারৎসার হলো মধ্যবিত্ত ক্রমাগত সমাজে মূল্যবোধ সৃষ্টি করে এটার প্রসারের পক্ষে কাজ করছে এবং বিদ্যমান ব্যবস্থা তাকে মধ্যবিত্ত মূল্যবোধের প্রচারকের ভুমিকায় নামিয়েছে।
দ্বীতিয়ত মধ্যবিত্তীয় যে মূল্যবোধ সেটা আবার স্থির কোনো বিষয় নয়, বরং অনেক বেশী সময় নির্ভর বিষয় এটি, এমন কি এটি সমাজনিরপেক্ষ কোনো ধারণা নয়।
নিম্নবিত্তের নিজস্ব ভাবনাপ্রচারক নেই, বরং তারা মধ্যবিত্তের মূল্যবোধকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায় এবং উচ্চবিত্ত মধ্যবিত্ত মূল্যবোধের প্রসার চাইলেও নিজে সেটা পালন করে না।
মধ্যবিত্তের কোন মূল্যবোধটি আদতে উপকারি, তারা আপোষকামী আচরণ?
এইসব প্রশ্নের মীমাংসা হয়তো হয়ে যাবে, কেউ না কেউ ক্রমাগত এইসব প্রশ্ন উত্থাপন করছে এবং মধ্যবিত্তকে শাপশাপান্ত করছে। সুতরাং আমি সে পাপের ভাগিদার না হয়ে কিছু নিজস্ব দ্বিমত প্রকাশ করি-
মূল্যবোধ নির্মানের দায়িত্ব পালন করছে মধ্যবিত্ত- কিংবা সামাজিক মূল্যবোধ আধুনিক সমাজে নির্মান করেছে মধ্যবিত্ত- এই মানসিকতাটিও কিন্তু মধ্যবিত্তীয় খেয়াল।
ধর্মপ্রচারকদের ভেতরে মধ্যবিত্ত আছে কতজন, কিংবা যারা যুগের প্রতি বিদ্রোহ করে নতুন একটি সমাজ ব্যবস্থার দিকে সভ্যতা টেনে নিয়ে গেছে তাদের অর্থনৈতিক পরিমাপ কি ছিলো।
এমন কি এই বাংলাদেশে কিংবা উপমহাদেশে যারা ইউরোপিয় ধ্যান-ধারণাকে গ্রহন করে এর প্রসারের কাজে লিপ্ত ছিলো, রেঁনেসার অবদান যাদের হাত দিয়ে সমাজে প্রবেশ করলো- তাদের মধ্যবিত্ত চিহ্নিত করা ঠিক কয়েক পুরুষ আগে আমারও পুর্বপুরুষ বড় জমিদার ছিলো এই অবস্থান গ্রহন।
কোমল হৃদয় সামন্ততান্ত্রিক মানুষেরা ইউরোপিয় রেঁনেসার কাছাকাছি এসেছিলো। ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ব্যতিত কলিকাতা বাবু সম্প্রদায়ের যারা মূলত বাঙালীয়ানাকে চিত্রিত করেছে তাদের ভেতরে এক শরৎ বাবু ভিন্ন অন্য কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না যে অর্থনীতি বিবেচনা করলে একটু নীচু স্তরের মানুষ। এমন কি যাদের আমরা প্রাতঃস্মরণীয় চিহ্নিত করি তারাও সামাজিক শ্রেণী ও বর্ণে উচ্চ বংশীয়। অর্থের দাপট না থাকলেও তাদের সম্ভ্রান্ততা সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা পোষন করা ঠিক না।
সেখান থেকে একটানে বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে আসলে ইউরোপিয় রেঁনেসা, রবীন্দ্রপূজা, বাবুপূজা এবং নজরুলের বিররসে সিক্ত হয়ে উঠা বাঙালী মুসলমানদের মধ্যবিত্ত ছাপোষা আপোষকামি হয়ে উঠবার সাথে আদতে ৫২ র ভাষা আন্দোলনে মধ্যবিত্ততার যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায় কি না?
ভাষা আন্দোলনে নিহত মানুষগুলোর কেউই সেই বিবেচনায় মধ্যবিত্ত শ্রেণীর প্রতিভু নন। ছাত্রকে যদি জোরপূর্বক মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে স্থাপন করা যায় তবে অন্য সব আন্দোলনকে মধ্যবিত্ত আন্দোলন চিহ্নিত করা যায়। তবে আহমাদ কামাল কি ঢালাও ভাবে ছাত্র মাত্রই মধ্যবিত্ত চেতনাকে প্রসারিত করতে চাইছেন।
আপত্তির অন্য জায়গাটা হলো ইলিয়াসের বক্তব্যকে ছাঁটাই করতে গিয়ে সাম্যবাদকে মধ্যবিত্তীয় বিকারে পরিণত করবার প্রচেষ্টা। ন্যায্যতার বোধ, পূঁজি ক্রমশঃ একটি সাম্যবাদী সমাজ তৈরি করবে এবং সেখানে মানুষ মানুষের মতোই বিবেচিত হবে এখানে অনেক প্রাচীন মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত ধারণাটা প্রবিষ্ট। মানুষ শ্রেষ্ট, মানুষ পরস্পরের সাথে ভাব বিনিময়ে মাধ্যমে অগ্রসর একটি প্রাণী যে অন্য সব প্রাণীকে খাদ্য শৃঙ্খলের তোয়াক্কা না করেই সংকটাপন্ন করে তুলছে-
এবং এই কৃতিত্বই তাকে আশরাফুল মাখলুকাতের সম্মান দিয়েছে। সেই মানুষই মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য একটি মানুষ হয়ে উঠবার নীতিমালা প্রসব করেছে। এবং এই নীতিমালা ন্যুনতম মানবিক প্রয়োজনকে চিহ্নিত করেছে। সাম্যবাদী সমাজ এই নীতিমালাস্থিত ন্যুনতম চাহিদা পুরণের গল্প-
তবে লিখাটি মধ্যবিত্তের আক্ষেপ এবং মধ্যবিত্তের নিজস্ব লজ্জ্বা ঢাকতে সহায়ক হয়ে উঠবে। মধ্যবিত্ত নিজের পিঠ চাপড়ে বলে উঠতে পারবে আপোষকামী নই আমরাই মূলত আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে সমাজে পরিবর্তন আনি।
৩১ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৩:২৭
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: শুরুতেই একটা ব্যাপার পরিষ্কার করে নেয়া দরকার- এই লেখাটার মূল ফোকাসটা মধ্যবিত্তের ওপর, আরো স্পেসিফিক্যালি বলতে গেলে বাংলাদেশের মধ্যবিত্তের ওপর। যখন 'মূল্যবোধ' বলা হচ্ছে, তখন মধ্যবিত্তের মূল্যবোধের কথাই বলা হচ্ছে, আর 'মধ্যবিত্ত' বলতে বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত বোঝাচ্ছি। সমগ্র বিশ্বের মধ্যবিত্ত নিয়ে কথা বলার সুযোগ কোথায় আমার?
আগের একটি পর্ব থেকে কিছু অংশ তুলে দিচ্ছি।
'এই শ্রেণীর মূল্যবোধ-নীতিবোধ-ঔচিত্যবোধ সবই বহু ভুলভ্রান্তি, স্ববিরোধিতা ও পরস্পরবিরোধিতায় ভরা। শুধু তাই নয় - এগুলো প্রায় ভাঙাচোরা, জোড়াতালি মারা। কিন্তু স্বীকার করতেই হবে যে, যেমনই হোক এদের একটা মূল্যবোধ আছে। কথাটা অবশ্য কেমন যেন শোনায়, কারণ মূল্যবোধ সব শ্রেণীরই থাকে - তাদের নিজেদের মতো করে, হতে পারে তা মধ্যবিত্ত-মূল্যবোধের মতো নয় - অন্যরকম, কিন্তু অন্যরকম মানে তো খারাপ নয়! কিন্তু তা সত্ত্বেও মূল্যবোধের কথা উঠলেই মধ্যবিত্ত-মূল্যবোধের কথা মনে পড়ে কেন? পড়ে কারণ - এই শ্রেণীর অন্তর্গত চিন্তাশীল অংশটি বেশ জোরেশোরে তাদের মূল্যবোধের কথা বলে, ফলাও করে প্রচার করে, মূল্যবোধে সংযোজন-বিয়োজন ঘটায়, এসবের পক্ষে প্রবলভাবে দাঁড়ায়, ব্যাখ্যা করে, কোথাও এতটুকু ব্যাত্যয় দেখলো গেলো গেলো বলে রব তোলে এবং এসব মূল্যবোধগুলোকেই জগতের পক্ষে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় (এবং অনিবার্য এবং অনস্বীকার্য) মূল্যবোধ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে। অন্য শ্রেণীর লোকজন তা করে না।'
আশা করছি, এই অংশে আগেই পরিষ্কার করতে পেরেছি, মূল্যবোধ বলতে শুধু 'মধ্যবিত্ত মূল্যবোধ' বোঝায় না, অন্যান্য শ্রেণীরও মূল্যবোধ থাকে, তাদের নিজেদের মতো করে।
মধ্যবিত্তের যে মূল্যবোধ সেটা তো মধ্যবিত্তই তৈরি করবে, প্রচার করবে, সংরক্ষণ করবে, সংযোজন-বিয়োজন ঘটাবে! নাকি অন্য শ্রেণীর লোকজন এসে সেগুলো করে দিয়ে যাবে?
"মূল্যবোধ নির্মানের দায়িত্ব পালন করছে মধ্যবিত্ত- কিংবা সামাজিক মূল্যবোধ আধুনিক সমাজে নির্মান করেছে মধ্যবিত্ত" এই কথাগুলো আমি বলিনি, একবারেই আপনার ব্যক্তিগত ইন্টারপ্রিটেশন। আবারও বলছি, কথাটা কেবল 'মধ্যবিত্ত' মূল্যবোধের ক্ষেত্রেই খাটে।
'
নিম্নবিত্তের নিজস্ব ভাবনাপ্রচারক নেই' - এটা বলেছি, বা বুঝিয়েছি, তবে 'তারা মধ্যবিত্তের মূল্যবোধকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায়' একথা বলিওনি, বোঝাতেও চাইনি।
নিম্নবিত্ত নিজেদের মূল্যবোধ নিয়েই বাঁচে। তবে যারা নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত হবার প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকে, তারা মধ্যবিত্তের মূল্যবোধকেই আঁকড়ে ধরে বা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে।
'ধর্মপ্রচারকদের ভেতরে মধ্যবিত্ত আছে কতজন, কিংবা যারা যুগের প্রতি বিদ্রোহ করে নতুন একটি সমাজ ব্যবস্থার দিকে সভ্যতা টেনে নিয়ে গেছে তাদের অর্থনৈতিক পরিমাপ কি ছিলো' - জানি না। তবে আপনাকেই প্রশ্নটা ফেরত দিতে চাই। শ্রেণীবিচারে তারা কোন শ্রেণীর ছিলেন, এই প্রশ্নের উত্তরটা আপনিই দিয়ে দিন।
"কোমল হৃদয় সামন্ততান্ত্রিক মানুষেরা ইউরোপিয় রেঁনেসার কাছাকাছি এসেছিলো। ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ব্যতিত কলিকাতা বাবু সম্প্রদায়ের যারা মূলত বাঙালীয়ানাকে চিত্রিত করেছে তাদের ভেতরে এক শরৎ বাবু ভিন্ন অন্য কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না যে অর্থনীতি বিবেচনা করলে একটু নীচু স্তরের মানুষ।" - অর্থনৈতিক বিবেচনায় তাঁরা কোন স্তরের মানুষ ছিলেন? উঁচু স্তরের?
"এমন কি যাদের আমরা প্রাতঃস্মরণীয় চিহ্নিত করি তারাও সামাজিক শ্রেণী ও বর্ণে উচ্চ বংশীয়। অর্থের দাপট না থাকলেও তাদের সম্ভ্রান্ততা সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা পোষন করা ঠিক না।" - 'উচ্চবংশ' আর উচ্চবিত্ত কি এক জিনিস? 'মধ্যবিত্ত'রা কি 'উচ্চবংশের' হতে পারে না? মধ্যবিত্তরা কি 'সম্ভ্রান্ত' হতে পারে না? তাদের 'সম্ভ্রান্ততা সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা' কে পোষণ করেছে?
'ছাত্রদেরকে জোরপূর্বক মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে স্থাপন' করেছি নাকি? ভাষা আন্দোলন বলতে কি শুধু ৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বোঝেন আপনি? ১৯৪৮ সালে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিলো, ৫২ সালে এসে সেটি পরিণতি পায়। এই চার বছর ধরে যারা আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে এসেছিলেন, তারা কি সবাই নিম্নবিত্তের/উচ্চবিত্তের ছিলেন, নাকি মধ্যবিত্তেরই প্রতিনিধি ছিলেন? (যদিও তখনও এ অঞ্চলে মধ্যবিত্তের সংখ্যা খুবই অল্প ছিলো, তবু ভাষা আন্দোলনের এই পথপরিক্রমায় তারাই বরাবর সক্রিয় ছিলেন।) ২১ ফেব্রুয়ারির শহীদদের সকলে মধ্যবিত্ত শ্রেণীভূক্ত ছিলেন না বটে, কিন্তু ভাষা আন্দোলন মানে তো আর শুধু ২১ ফেব্রুয়ারি নয়!
'আহমাদ কামাল' কোনো চেতনাকেই প্রসারিত করতে চাইছে না।
ইলিয়াসের বক্তব্যকে ছাঁটাই করা হয়নি মোটেই। আমি কি তাঁর পুরো প্রবন্ধই তুলে দেবো নাকি? যতোটুকু প্রয়োজন ততোটুকুই অবিকৃতভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে।
"তবে লিখাটি মধ্যবিত্তের আক্ষেপ এবং মধ্যবিত্তের নিজস্ব লজ্জ্বা ঢাকতে সহায়ক হয়ে উঠবে। মধ্যবিত্ত নিজের পিঠ চাপড়ে বলে উঠতে পারবে আপোষকামী নই আমরাই মূলত আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে সমাজে পরিবর্তন আনি।"
- আপনার এই লাইনগুলো পড়ে এই সিরিজের আগের একটি পর্ব থেকে কয়েকটা লাইন উদ্ধৃত করার ইচ্ছে জাগলো -
"মধ্যবিত্তের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ - এদের কোনো চরিত্র নেই, এরা সুবিধাবাদী - অর্থাৎ যখন যেদিকে হাওয়া দেখে সেদিকেই পাল খাটায়। সুবিধাবাদী বলেই এরা গিরগিটির মতো ক্ষণে ক্ষণে রঙ পাল্টায়, কোনো রঙকেই দীর্ঘস্থায়ী হতে দেয় না। এরকম রঙ-বদলপ্রয়াসী শ্রেণীটিকে স্বাভাববিকভাবেই ভন্ড হতে হয়। এরা যে কখন কী বলে, আর কখন কী করে, কখন এদের কোন জিনিসে বিশ্বাস ও আস্থা জন্মে, কখন সেই বিশ্বাস হারিয়ে গিয়ে তৈরি হয় অনাস্থা - তা তারা নিজেরাই জানে না (এই যদি হয় অবস্থা তাহলে সেই শ্রেণীটিকে কীভাবে বিশ্বাস করা চলে?)। মধ্যবিত্তরা কিছু কিছূ মূল্যবোধ ও সংস্কার দ্বারা জীবনকে পরিচালিত করে এবং সমাজ, রাষ্ট্র ও পৃথিবীকে সেগুলোর ভিত্তিতেই ব্যাখ্যা করতে চায়। এই মূল্যবোধগুলোর অধিকাংশই প্রগতির চাকাকে পেছনে ঠেলে দিতে চায়, সমাজের কোনো মৌলিক পরিবর্তনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে এবং নিজেকে একটি অনড়, নিঃছিদ্র আবরণের মধ্যে নিরাপদে বন্ধ করে রাখতে চায়। ফলে বাইরের মুক্ত-উদার-প্রগতিশীল চিন্তার আলো-হাওয়া সেখানে আর ঢুকতে পারে না।"
এই অংশটুকুও নিশ্চয়ই 'মধ্যবিত্তের আক্ষেপ এবং মধ্যবিত্তের নিজস্ব লজ্জ্বা ঢাকতে সহায়ক হয়ে উঠবে'! না কি বলেন?
৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ৯:৪৩
শেরিফ আল সায়ার বলেছেন: এতো উচ্চমানের দর্শনে আমার মন্তব্য করার সাহসই হয় না। শুধু "ভালো লাগলো" বললেই মন্তব্যের শেষ হয় না। ভালো লাগার ভেতরে থাকে গভীর চিন্তা-চেতনা, যা প্রকাশ করা দূরহ।
একই লেখায় একবার মধ্যবিত্তদের ভিলেন বানিয়ে দিচ্ছেন আবার কখনো হিরো বানিয়ে দিচ্ছেন। সত্যিই মুগ্ধ হচ্ছি।
শুভেচ্ছা রইলো।
৩১ শে অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৩:০১
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: 'একই লেখায় একবার মধ্যবিত্তদের ভিলেন বানিয়ে দিচ্ছেন আবার কখনো হিরো বানিয়ে দিচ্ছেন' - আমি তাদেরকে ভিলেনও বানাচ্ছি না, হিরোও বানাচ্ছি না। তাদের চরিত্র-বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরছি শুধু।
এই শ্রেণী আসলে দ্বৈতসত্ত্বাই ধারণ করে থাকে। এমনিতে তারা আপেসকামী, সুবিধাবাদী কিন্তু কখনো কখনো (বিশেষ করে ইতিহাসের ক্রান্তিকালে) তারা বিপুলভাবে ইতহাস পরিবর্তনের প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।
তোমাকেও ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১০:১৫
এস্কিমো বলেছেন: অমত করার মতো কিছু পাচ্ছিনা। তবে মধ্যবিত্ত কি নিজেরা মুল্যবোধ তৈরী করে!
মধ্যবিত্ত আসলেই তাই। এরা একাধারে হিরো আবার ভিলেন।
৩১ শে অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৩:০৪
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: মধ্যবিত্তের মূল্যবোধ মধ্যবিত্ত ছাড়া আর কারা তৈরি করবে বলুন! আজ থেকে ৪০/৫০ বছর আগে যে মূল্যবোধ ছিলো, এখন তার অনেককিছুই বদলে গেছে, এই বদলে যাওয়ায় প্রধান ভূমিকা তো রেখেছে মধ্যবিত্তরাই।
আপনাকে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি সবগুলো পর্ব পড়ার জন্য।
আজকেই শেষ পর্ব পোস্ট করবো। আশা করি বরাবরের মতো আপনাকে সঙ্গে পাবো।
১০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ২:৫৯
অরণ্যচারী বলেছেন: এই পর্বে শুধুই +। নো কমেন্টস।
৩১ শে অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৩:০৬
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: লেখাটার শেষ পর্ব আজ রাতেই পোস্ট করবো। আশা করছি সবমিলিয়ে একটা মন্তব্য করবেন।
আগাগোড়া সঙ্গে থাকবার জন্য ধন্যবাদ।
১১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৩:১৮
ফারহান দাউদ বলেছেন: পড়ছি। বাকিটা শেষ হোক।
৩১ শে অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৬
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আজকে রাতেই শেষ পর্ব। ধারাবাহিক লেখা তো মহা যন্ত্রণার দেখছি। নিজের লেখা লিখতে গিয়ে আপনাদের লেখা পড়ার সুযোগ পাচ্ছি না। আজকের পরে বেশ কিছুদিন আর নতুন পোস্ট দেবো না! শুধুই পড়বো।
১২| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৯
তারার হাসি বলেছেন: এই পর্ব একটু জটিল মনে হল।
০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫৩
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন:
১৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৩৭
আহসান জামান বলেছেন: চমৎকার দৃশ্যপটগুলো যখন পড়ছিলাম (১ - ৫); হঠাৎ মনে হলো এর পাঠকরাও তো মূলতঃ মধ্যবিত্ত। শেষাংশ পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৪৯
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: শেষটুকু আজকে পোস্ট করেছি।
এতদিন পর তুই কোত্থেকে!? পোস্ট দিয়েছিস?
১৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:০৯
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: এ পর্বটাই সবচেয়ে ভাল লাগলো
০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:২১
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, মেহরাব।
১৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৬:২০
ফকির ইলিয়াস বলেছেন: পুরো লেখাটার প্রিন্ট নিলাম। পড়েছি । আরো পড়বো।
আমার মতে মধ্যবিত্ত প্রতিটি সমাজেরই মেরুদন্ড।
এই মার্কিনী সমাজেও মধ্যবিত্তরা সৎ ভাবেই ট্যাক্স দিয়ে
সরকারকে সচল রাখতে ভূমিকা নেয়।
খুবই ভালো লেগেছে লেখাটা।
০৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:৪৫
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেল। এ কদিন খুব একটা ব্লগে আসা হয়নি। দুঃখিত ইলিয়াস ভাই।
সবগুলো পর্ব পড়ার জন্য এবং সঙ্গে থাকার জন্য অজস্র ধন্যবাদ।
১৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:৪৮
বিষাক্ত মানুষ বলেছেন: পড়লাম
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৭
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১:০৮
রাতমজুর বলেছেন: মধ্যবিত্ত জিন্দাবাদ।