নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একদিন সবকিছু গল্প হয়ে যায়...

আহমাদ মোস্তফা কামাল

জন্ম : ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৬৯; মানিকগঞ্জ। পৌষের কোনো এক বৃষ্টিভেজা মধ্যরাতে এদেশের এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম হয়েছিলো আমার, মায়ের কাছে শুনেছি। হঠাৎ বৃষ্টির সেই শীতের রাতে আঁতুর ঘরে মার পাশে দাইমা নামক আমার অ-দেখা এক মহিলা ছাড়া আর কেউ ছিলো না। উঠোনে রেখে দেয়া প্রয়োজনীয় সাংসারিক অনুষঙ্গ বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে দাইমা বাইরে গেলে প্রায়ান্ধকার ঘরে জন্ম হয়েছিলো আমার। জন্মেই দেখেছিলাম, আমার চারপাশে কেউ নেই- মা ছাড়া। আজ, এই এতদিন পর- আমার চারপাশে সহস্র মানুষের ভিড়- তবু মার কাছে ফিরতেই ভালো লাগে আমার। যোগাযোগ : [email protected] [email protected]

আহমাদ মোস্তফা কামাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেবলই চোখ ভিজে ওঠে...

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৩৪

যা কিছু ঘটে গেলো গত কয়েকদিনে, সেগুলোর কথা ভাবতে গেলে কেবলই বিমূঢ় হয়ে পড়ি। কোনো চিন্তাই গুছিয়ে করতে পারি না, ঘটনাপ্রবাহ মনের ওপর ভয়াবহ চাপ ফেলে, আর ভাবি- এসব ঘটনা বিশ্লেষণের কোনো পদ্ধতি কি আদৌ আমার জানা আছে?



দেখি সারাদেশ দুই পক্ষে ভাগ হয়ে গেছে। কেউ বলছে বিডিআর জওয়ানদের দাবিদাওয়াগুলো সঠিক ছিলো, তাদের এই বিদ্রোহ অসঙ্গত নয়, যেহেতু 'অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ন্যায়সঙ্গত'! আবার কেউ বা বলছেন- যে বিদ্রোহ এতগুলো মৃত্যু উপহার দেয় তা কখনোই সঙ্গত হতে পারে না!



ভাবি এ-ও, এই বিদ্রোহের সঙ্গে হয়তো সকলে জড়িতও ছিলেন না, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তো নয়ই। খুব ছোট্ট একটা অংশই এই বীভৎস খুনের সঙ্গে জড়িত। কারণ ইতিহাসই বলে, সারা পৃথিবীতে এ পর্যন্ত যতগুলো বড় ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সব জায়গাতেই কিলার গ্রুপ ছোট আকারের। যৌক্তিক কারণেই এটা হয়ে থাকে। খুনের পরিকল্পনা অনেক লোক জানা মানে, ফাঁস হয়ে যাবার সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়া।



কিন্তু যারা হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়নি, অথচ বিদ্রোহ করেছে, তারা? তাদের ব্যাপারে আমরা কি ভাববো? আমি নিজেই নিজেকে বোঝাবার জন্য বিশ্লেষণ করতে বসি। ভাবি- দীর্ঘকাল ধরে নিপীড়িত-বঞ্চিত বিডিআর সদস্যরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিদ্রোহটা করেছে কম দুঃখে নয়! তারা জানতো- জয়ীই হোক আর পরাজিতই হোক তাদের জন্য অবধারিত হয়ে আছে কঠোর শাস্তি। সামরিক বাহিনীর ভেতরে থেকে 'শৃঙ্খলা ভঙ্গ' মানেই তো নিশ্চিত শাস্তি। তবু তারা এই বিদ্রোহ করলো কেন? জীবন কি এতটাই দুঃসহ হয়ে উঠেছিলো যে এই অবধারিত শাস্তির কথা জেনেও এই বিদ্রোহটাকেই সঠিক উপায় বলে মনে হয়েছিলো তাদের? জানতে পারি, বেতন-ভাতার প্রসঙ্গ ছাড়াও তাদের প্রধান অভিযোগগুলোর মধ্যে একটি ছিলো- কর্মকর্তারা তাদেরকে মানুষ বলে মনে করতেন না, এতটাই ছিলো দুর্ব্যবহারের মাত্রা। ভাবি-- মানুষ হিসেবে নূন্যতম মর্যাদা পাওয়ার অধিকার তাদের ছিলো/আছে। তারা তো আমারই ভাই, এই দেশের খেটে খাওয়া মানুষের প্রতিনিধি! এই বিদ্রোহ তো সেই মর্যাদাবোধ আর একটু ভালোভাবে বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষার ফল! কিভাবে তাহলে এই বিদ্রোহকে অসঙ্গত বলবো?



আর ঠিক তখনই টেলিভিশন থেকে ভেসে আসে আহাজারির শব্দ, সামরিক কর্মকর্তাদের স্বজনদের কান্নায় আকাশ ভারি হয়ে উঠতে দেখি। মর্মান্তিক-বীভৎস মৃত্যুর শিকার হওয়া সামরিক অফিসারদের লাশগুলো দেখে শিউরে উঠি, আতংকে নীল হয়ে যাই... পরিবারগুলোর ভয়াবহ অভিজ্ঞতা, কান্না-হাহাকার-আহাজারি দেখি, অনুভব করি স্বজন হারানোর বেদনা, কারণ- তারাও তো আমারই ভাই! আমি মৃত মুখগুলোর দিকে তাকিয়ে ভাবি- এমন বীভৎস মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। প্রতিটি মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর অধিকার আছে, প্রতিটি মানুষের অধিকার আছে মৃত্যুর আগে প্রিয়জনের মুখগুলো শেষবারের মতো দেখে যাওয়ার।



আমি কোনো পক্ষ নিতে পারি না।



বরং সবকিছুর চেয়ে আমার কাছে বড় হয়ে ওঠে এই অনাকাঙ্ক্ষিত-অগ্রহণযোগ্য মৃত্যু। এই ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ে আমি ক্ষুব্ধ, ব্যথিত, হতাশ ও বেদনাক্রান্ত হয়ে উঠি।



অবশেষে কেউ একজন তাদের ইউনিফর্মগুলো খুলে নিলে আমার সামনে থেকে অফিসার-জওয়ান পার্থক্য ঘুচে যায়, দেখি সবগুলো মুখই মানুষের মুখ। আমি তাই মানুষের পক্ষ নিই। দেখি, তাদের কেউ হয়তোবা গ্রামের কৃষক-পরিবার থেকে আসা যুবক, একটু 'ভালো' থাকার বা 'সুন্দর জীবনের স্বপ্ন চোখে মেখে তাকিয়ে আছে; কেউ হয়তো মধ্যবিত্ত, বা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের যুবক, 'সিকিউরড' নিরাপদ জীবনের স্বপ্ন মাখা চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে! তাদের সকলের চোখেই একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবনের স্বপ্ন, একটু ভালোভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন। টের পাই, ইউনিফর্ম খুলে ফেলার পর যে লোকটিকে দেখতে পাচ্ছি, সে নিতান্তই এক সাধারণ মানুষ, ঠিক যেন আমারই মতো! আমাদের চাওয়াগুলোও যেন এক- একটু নিশ্চয়তা, একটু মর্যাদা, একটু সুন্দর জীবন! আমি নিথর হয়ে থাকা মুখগুলোর মধ্যে নিজেকেই দেখি, জীবনের ভয়ে পালিয়ে বেড়ানো অথবা রাতের অন্ধকারে গুম হয়ে যাওয়া মুখগুলোর মধ্যে নিজেকেই খুঁজে পাই!



আমি তথাকথিত লেখকসুলভ নির্মোহতা আর ধরে রাখতে পারি না, এই মর্মান্তিক-ভয়াবহ-অসহনীয় মৃত্যু, এই অনিশ্চিত-নিরাপত্তাহীন-পলাতক জীবন আর তার মধ্যে বিমূঢ় হয়ে থাকা চিরদুঃখী মাতৃভূমিকে দেখে আমার চোখ ভিজে ওঠে, কেবলই চোখ ভিজে ওঠে...





এ বিষয়ে আমার প্রথম লেখাটির লিংক : Click This Link

মন্তব্য ১৩৯ টি রেটিং +৪২/-৫

মন্তব্য (১৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৪৩

শুভ৭৭ বলেছেন: গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ব্যর্থতা মেনে নেয়া যায়না। তাই এদেরকে বিচারের মুখোমুখি করানো দরকার। এদের চরম শাস্তি চাই। কারণ, এরা যদি আগে থেকে ঘটনা জানতে পারত,(আর সেইটাই গোয়েন্দা বাহিনীর আসল কাজ।) তাহলে আমরা এত বড় একটি অনাকাংখিত ঘটনা থেকে বেঁচে যেতাম।

Click This Link

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:০০

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: হ্যাঁ, গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা অমার্জনীয়!

২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৪৮

সৈয়দ দেলগীর বলেছেন: অবশেষে কেউ একজন তাদের ইউনিফর্মগুলো খুলে নিলে আমার সামনে থেকে অফিসার-জওয়ান পার্থক্য ঘুচে যায়, দেখি সবগুলো মুখই মানুষের মুখ। আমি তাই মানুষের পক্ষ নিই

সহমত

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:০১

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: শেষ পর্যন্ত তো মানুষই সবাই, তাই না?

৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৫০

রুমানা বৈশাখী বলেছেন: আর সবচাইতে ভালো অসহ্য লাগে....যখন মাত্রাঅতিরিক্ত জ্ঞানী মানুষেরা বড় বড় কথা দিয়ে দেশ উদ্ধার করতে আসে।কেউ দলাদলিতে মাথা নাড়লেই গালাগাল দিতে আসে।
খুব ভালো লাগলো আপনার লেখাটি।ভালো থাকুন।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:০২

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: এর মধ্যে ভালো থাকা যায়, বলুন? তবু, শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৫০

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: এই মর্মান্তিক-ভয়াবহ-অসহনীয় মৃত্যু, এই অনিশ্চিত-নিরাপত্তাহীন-পলাতক জীবন আর তার মধ্যে বিমূঢ় হয়ে থাকা চিরদুঃখী মাতৃভূমিকে দেখে আমার চোখ ভিজে ওঠে, কেবলই চোখ ভিজে ওঠে...

ভালো লাগল লেখাটা।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:০৩

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: থ্যাংকস!

৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৫২

শিবলী বলেছেন: খুব-ই খারাপ লাগছে।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:১২

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: কিছুতেই ভুলে থাকা যাচ্ছে না, এক মুহূর্তের জন্যও। মনকে মানাতেই পারছি না রে ভাই!

৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৫৫

ফারহান দাউদ বলেছেন: চরম দুর্ভাগ্যজনক,কি আর বলতে পারি!

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:১৩

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: কিছুই বলার নেই আসলে!

৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:০০

এম এস রানা বলেছেন: ভালো লিখেছেন...

ভালো লেগেছে...

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:১৬

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: থ্যাংকস!

৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:০০

বিবর্তনবাদী বলেছেন: অবশেষে কেউ একজন তাদের ইউনিফর্মগুলো খুলে নিলে আমার সামনে থেকে অফিসার-জওয়ান পার্থক্য ঘুচে যায়, দেখি সবগুলো মুখই মানুষের মুখ।

দুর্ভাগ্য এটা যে ইউনিফর্ম গুলো শুধু মাত্র মৃত্যুর পরেই খুলে ফেলা হয়। তার আগে খুললেও লাভ হয় না।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:২০

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আমরা এখনো বৃটিশ ব্যবস্থই ধরে রেখেছি যে!

কিন্তু এখন? মৃত অফিসার-জওয়ান বা পালিয়ে বেড়ানো জওয়ানদের কারো গায়েই কিন্তু ইউনিফর্ম নেই আর! এখন সকলেই কেবলই মানুষ!

৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:০১

দেশী পোলা বলেছেন: এই বিদ্রোহ ন্যায়সঙ্গত ছিল না, এটা দেশবিরোধী বিদ্রোহ

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:২৬

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আমি তা মনে করি না! যদিও এখন বলা হচ্ছে- এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, এবং সেটি যদি সত্যিও হয়, তবু নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, ওই সময় উপস্থিত ১৫ হাজার বিডিআর সদস্যের সবাই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলো না। একটা ছোট গ্রুপই সেটা পরিচালনা করেছে। বাকিরা তাদের বিরুদ্ধে বঞ্চনারই প্রতিবাদ করেছে মাত্র! বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ নিঃসন্দেহে ন্যায়সঙ্গত। কিন্তু হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়!

চোখ বুজে একটা পক্ষ কি এই ক্ষেত্রে বেছে নেয়া যায়?

১০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:০৬

তর্পন বলেছেন: ঠিক বলেছেন ।

অবশেষে কেউ একজন তাদের ইউনিফর্মগুলো খুলে নিলে আমার সামনে থেকে অফিসার-জওয়ান পার্থক্য ঘুচে যায়, দেখি সবগুলো মুখই মানুষের মুখ।

অন্যভাবে বললে:
মানুষের নশ্বর পাললিক দেহ ইউনিফর্মের জোরে, ব্যাজের জোরে হয়ে পৃথক হয়ে থাকে অফিসার জওয়ান ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:২৭

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: হ্যাঁ, সেটাই।

১১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:০৮

মোসতফা মনির সৌরভ বলেছেন: +।

এই পোস্টটি পড়ুন: Click This Link

যাদের এখনও কোন খবর নেই,তাদের কি অবস্থা কে জানে!

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:৪৫

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: পোস্টটা পড়লাম, খুবই অসাধারণ একটা পয়েন্ট ধরেছেন লেখক।

১২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:০৮

এরশাদ বাদশা বলেছেন: যতো ক্রোধই থাকুক..যতো বঞ্চনাই হোক..অফিসারদের বৈষম্যমুলক আচরন যতোই সীমা ছড়াক; তার জবাব কোন অবস্থাতেই গনহত্যা হতে পারেনা।

চোখের পানি ধরে রাখা দুরহ হয়ে পড়ে; যখন দেখি জীবিত থাকার আশা বাদ দিয়ে লাশের সন্ধানে এ গেইট থেকে ও গেইট ছুটে বেড়াচ্ছে নিহতের স্বজনেরা। তাদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠছে আকাশ বাতাস।

গনহত্যা চালিয়েই ক্ষান্ত দেয়নি ওরা। লুটপাটের মতো ঘৃনিত কাজও করেছে এরা। চাইলেও এদের দাবির উপর আর সমর্থন জানাতে পারছিনা। বিচার চাই...দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:৩২

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: এই হত্যাকাণ্ডকে কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। অসম্ভব! আমি সম্পূর্ণভাবে একমত আপনার সঙ্গে। কিন্তু হত্যাকাণ্ডগুলো না ঘটলে? আমরা কি সমর্থন করতাম না তাদের?

চোখ বুজে একটা পক্ষ কি এই ক্ষেত্রে বেছে নেয়া যায়?

১৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:০৮

সাহোশি৬ বলেছেন: @ দেশী পোলা: "এই বিদ্রোহ ন্যায়সঙ্গত ছিল না, এটা দেশবিরোধী বিদ্রোহ"

খালি কলসি বাজিয়ে লাভ নেই। ঝেড়ে কাশেন। ন্যায়সঙ্গত বিদ্রোহ কাকে বলে? ন্যায়সঙ্গত বিদ্রোহের বৈশিষ্ট্য কি? দেশ বিরোধী বিদ্রোহই বা কাকে বলে? ঐটারই বা বৈশিষ্ট্য কি?

এই বিদ্রোহে অন্তত একটা লাভ হয়েছে। আর্মিরা যে কি পরিমান দূর্নীতি করেছে তা দেশবাসীর কাছে পকাশ হয়ে গেছে। এখন আর্মির বিভিন্ন অবৈধ তৎপরতায় তাদের কুকীর্তিগুলো অবশ্য ঢাকা পড়ে যাবে। কিছু মানুষ কিন্তু সত্য জেনে গেল। ইতিহাসের পাতায় এটা লেখাও হয়ে গেল। এরপর থেকে কেউ কখনো বাংলাদেশ আর্মিকে দূর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসাবে প্রমান করতে চাইলেই এই রেফারেন্স চলে আসবে।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:৩৭

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: সবই সত্য, বুঝলাম, তবু তো এই নির্মম হত্যাকাণ্ড মেনে নেয়া যায় না!

১৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:১০

সাহোশি৬ বলেছেন: "গনহত্যা চালিয়েই ক্ষান্ত দেয়নি ওরা। লুটপাটের মতো ঘৃনিত কাজও করেছে এরা।"

-যেসব কর্মকর্তা এবং তাদের স্ত্রীরা ছাড়া পেয়েছে, তারা বিডিআর গেটে কোন লুটপাটের কথা জানায় নি। একদিন পর ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে ওরা এখন শেখানো বুলি আওড়াচ্ছে।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:৪৮

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: কী আর করবেন, এমনই তো হওয়ার কথা। আমার শুধু কষ্ট হচ্ছে অকস্মাৎ মৃত্যুর মুখে পতিত হওয়া মানুষগুলোর জন্য। তাদের কারো পরিচয় হয়তো আমি অফিসার কারো বিডিআর জ্ওয়ান!

১৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:১৪

অলস ছেলে বলেছেন: আপনার কথাগুলো অত্যন্ত মানবিক দৃষ্টি দিয়ে দেখা একটা লেখা। এভাবে যদি আজ সারা জাতির সবাই ভাবতো!
মিডিয়াতে আমরা দেখছি, সামরিক অফিসারদের পরিবারের কান্নাকাটির দৃশ্য। কিন্তু নিহত বিডিআর জওয়ানের গ্রামের বাড়ীতে তাঁর পরিবারও একই কষ্ট পাবে, একই কান্না করবে। যা মিডিয়াতে এভাবে দেখানো হবে না, কারণ তাতে আমাদের জনমানুষের আবেগ অতটা আলোড়িত হবে না।

এটা কোন বিদ্রোহ ছিল না, আমার স্বল্পবুদ্ধিতে যা মনে হচ্ছে। এটা ছিল পরিকল্পিত এবং টার্গেটেড একটা হত্যাকান্ড। এমনকি হত্যাকান্ড যারা ঘটিয়েছে, আনুষঙ্গিক ভাবে লুটপাট ও নির্যাতন করেছে অফিসারদের পরিবার পরিজনের উপর, তারাও নিরাপদে পালিয়ে গেছে, লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যাওয়ার যথেষ্ট সময় দেয়া হয়েছে তাদেরকে। আমরা কোন দিন জানতেও পারবো না, তারা কি আসলেও বিডিআর সদস্য ছিল কি না? অথবা ঐ বিডিআর সদস্যদেরকেও তৃতীয় কোন পক্ষের হাতে মারা পড়তে হয়েছে কি না?

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:৫৪

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: এটা যদি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হয়েও থাকে, তবু নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, ওই সময় উপস্থিত ১৫ হাজার বিডিআর সদস্যের সবাই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলো না। একটা ছোট গ্রুপই সেটা পরিচালনা করেছে। বাকিরা তাদের বিরুদ্ধে বঞ্চনারই প্রতিবাদ করেছে মাত্র! কেউ কেউ নিছক জীবন বাঁচানোর জন্যও দলে ভিড়ে গেছে হয়তো। বিদ্রোহের সময় যেমন হয় আর কি! কেউ কি জানে, তারা এখন কোথায় আছে, কেমন আছে? তাদের বাড়িতেও যে কান্নার রোল উঠেছে সেটা কি আমাদের কান পর্যন্ত পৌঁছানোর মতো তীক্ষ্ণতা অর্জন করবে কখনো?

১৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:১৯

মোসতফা মনির সৌরভ বলেছেন: উপরের দেয়া লিংকের একটি মন্তব্য তুলে দিলাম:

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: আসলেই কি জানা যাবে কতজন বিডিআর মারা গেছে?
নাকি সেটার চেয়ে হিসাব করা সহজ হবে কতজন বেঁচে আছে?
এই সংখ্যাগুলো কি কোনদিন আমরা জানতে পারবো?
বিডিআরদের ফকিন্নী মার্কা ছেলেমেয়েদের "বাজান" বলে কান্নাকাটি কি টিভিতে দেখানো হবে?

কত প্রশ্ন???

---

আর যারা বলছেন এটা পরিকল্পতি হত্যাকান্ড ছিল, তাহলে তাদের একজন নেতা থাকত। আর পরিবারের উপর নির্যাতনটা গুজব এখন পর্যন্ত। আর মুক্তিপাওয়া সবাই এমনকি সেনা কর্মকর্তা পর্যন্ত বলেছে যে আমাদের পরিবারের উপর নির্যাতন হয়নি।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:১২

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: না, জানতে পারবো না! পারলেও সংখ্যাটাই জানবো শুধু, তা-ও পুরোটা নয়, সামান্যই এবং মৃত্যুর কারণ হিসেবেও শুনবো হার্ট অ্যাটাক (অপারেশন ক্লিন হার্ট-এর কথা মনে করুন) অথবা ক্রস-ফায়ারের মতো অদ্ভুত কোনো তথ্য! তাই বা কম কিসে, তাদের জন্য এর চেয়ে বেশি কিছু কি বরাদ্দ করা যায়? গরীব মানুষ তো কেবলই একেকটা সংখ্যা, আর কিছু নয়! তাদের কোনো মানবিক পরিচয় নেই, তাদের কোনো নাম নেই, তাদের জন্য কখনো নির্দিষ্ট হবে না এই দেশের সাড়ে তিনহাত জমি!

কিন্তু এতসব কিছু জেনেবুঝেও কি কোনোভাবেই এতগুলো প্রাণ ঝরে পড়ার ব্যাপারটাকে জাস্টিফাই করা যায়, বিনা দ্বিধায় কোনো পক্ষ নেয়া যায়?

১৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:২৩

দেশী পোলা বলেছেন: সাহোশি৬ বলেছেন: @ দেশী পোলা: "এই বিদ্রোহ ন্যায়সঙ্গত ছিল না, এটা দেশবিরোধী বিদ্রোহ"

খালি কলসি বাজিয়ে লাভ নেই। ঝেড়ে কাশেন। ন্যায়সঙ্গত বিদ্রোহ কাকে বলে? ন্যায়সঙ্গত বিদ্রোহের বৈশিষ্ট্য কি? দেশ বিরোধী বিদ্রোহই বা কাকে বলে? ঐটারই বা বৈশিষ্ট্য কি

@ সাহোশি৬ : আপনার এত এত পোস্ট দেখে বুঝলাম আপনি একজন ন্যায়নীতি মেনে চলা লোক, আপনাকে সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি বানানো হোক

১৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:৩৩

বিবর্তনবাদী বলেছেন: না পালিয়ে বেড়ানো যারা তারা কিন্তু মানুষ হিসেবে গন্য হচ্ছে না এখন আর। তারা সব লুটেরা, চোর, খুনি প্রভৃতি। আফটার অল তারা ফকিন্নির পোলা বইলা কথা।

আমরা মিডল ক্লাস। আমাদের ভাই ব্রাদাররাই কর্ণেল, মেজর হয়। তাদের স্ত্রীদের দেখলে আমাদের ভাবী, বোনদের কথা মাথায় আসে। আর বিডিআর সৈনিকদের বৌ, মেয়েদের কথা মাথায় আসলে মনে কাজের বুয়ার। এই কারনে, চোখে পানি নিয়ে আমরা বিডিআরদের গুষ্টি উদ্ধার করেই তবে দম নিব।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:০৬

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: হ্যাঁ, দরিদ্র মানুষ তো কেবলই একেকটা সংখ্যা, সর্বত্র, সবসময়! আর কিছু নয়! তাদের কোনো মানবিক পরিচয় নেই, তাদের কোনো নাম নেই, তাদের জন্য কখনো নির্দিষ্ট হবে না এই দেশের সাড়ে তিনহাত জমি!

কিন্তু যে দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখুন না কেন, এই মানবিক বিপর্যয় কি আপনারও চোখ ভিজিয়ে তোলে না?

১৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:৪৮

সাহোশি৬ বলেছেন: @ দেশী পোলা: "আপনার এত এত পোস্ট দেখে বুঝলাম আপনি একজন ন্যায়নীতি মেনে চলা লোক, আপনাকে সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি বানানো হোক"

-সরি অফারটা নিতে পারলাম না বলে দু:খিত।

২০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:৪৮

নাজিম উদদীন বলেছেন: আমও কোনো পক্ষ নিতে পারি না।

সমাজে অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম যতদিন চলবে সময়মত নিরীহ মানুষকেও তার দায়শোধ করতে হবে। বিডিআরের উপর অত্যাচার হয়েছে, সব আর্মী হয়ত দায়ী নয়, তাদের পরিবার-পরিজন তো নয়ই, কিন্তু দেখেন সবাইকে দায় শোধ করতে হল।

আবার দেশের আর্মীর ভাবমূর্তির ব্যাপারটাও দেখতে হবে। আধা সামরিক বাহিনীর হাতে তাদের পরাজয়ও মেনে নেয়া যায় না, এখন হয়ত গুপ্ত হত্যা করে আর্মীকে সান্তনা দেয়া হবে।


২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:১৫

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: হ্যাঁ, কিছু মানুষের বাড়াবাড়ির দায়ভার নিতে হলো পুরো জাতিকেই!

২১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:৫১

মনির হাসান বলেছেন: কামাল ভাই অসাধারন লিখেছেন ...

বিবর্তনবাদীর কমেন্টগুলোও অসাধারন ।

দুর্ভাগ্য এটা যে ইউনিফর্ম গুলো শুধু মাত্র মৃত্যুর পরেই খুলে ফেলা হয়। তার আগে খুললেও লাভ হয় না।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:১৬

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: থ্যাংকস।

২২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:১০

_তানজীর_ বলেছেন: সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:২৯

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: সেজন্যই, আমি মানুষেরই পক্ষ নিতে চাই সবসময়!

২৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:০৩

রেজিস্টার্ড বাঙ্গালি বলেছেন: "author wrote: আমি তা মনে করি না! যদিও এখন বলা হচ্ছে- এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, এবং সেটি যদি সত্যিও হয়, তবু নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, ওই সময় উপস্থিত ১৫ হাজার বিডিআর সদস্যের সবাই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলো না। একটা ছোট গ্রুপই সেটা পরিচালনা করেছে। বাকিরা তাদের বিরুদ্ধে বঞ্চনারই প্রতিবাদ করেছে মাত্র! বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ নিঃসন্দেহে ন্যায়সঙ্গত। কিন্তু হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়!

চোখ বুজে একটা পক্ষ কি এই ক্ষেত্রে বেছে নেয়া যায়?"


=> যদি সব বিডিআর "পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড"-তে জড়িত থাকতো তাহলে কিভাবে পালানোর পর্ও অনেকে ব্যারাকে থেকে গেল...???? অবশ্যই একটা ছোট গ্রুপই সেটা পরিচালনা করেছে এবং কাজ শেষে ভাগলপুর। জামাত শুয়োরের হাত অবশ্যই আছে।
নষ্ট বীর্যের পয়দা... CHAOS ঘটায় যেভাবে সম্ভব।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:২০

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আমিও সবসময় এই বিষয়টার প্রতিই দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি। পরিকল্পিত হলেও সবাই এর সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত ছিলো না! এখন চারপাশে মিডিয়ার নতুন ভূমিকায় বিডিআর নামটি যেন ঘৃণার সমর্থক হয়ে উঠেছে। এটা যেন না হয়। পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত এবং হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া লোকগুলোকে খুঁজে বের করাটাই এখন রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

২৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:২৪

দেশী পোলা বলেছেন: ভাই, সৈনিকরা প্রলেতারিয়েত না, তারাও অফিসারদের মত বেতনভূক কর্মচারী।
এদেরকে কাছ থেকে দেখেছি অনেক বছর, এদের মন মানসিকতা যেভাবে তৈরি করা হয়, ফট করে বিদ্রোহ করা, ডাল-ভাতের পয়সার জন্য অফিসার আর তাদের বউকে খুন করা, এগুলো খাটি সৈনিকের পক্ষে করা সম্ভব না বলেই আমি মনে করি। সৈনিকদের অনেক ব্যাস্ত রাখা হয়, যাতে তারা বিদ্রোহ না করে। টাকা পয়সার জন্য সৈন্যরা যদি ক্ষুব্ধ হয়ে থাকে, সেটা গোয়েন্দাদের মাধ্যমে জানার কথা, এটা যদি কেউ বলে যে হটাৎ করে হয়ে গেছে, তা আমি মানতে নারাজ। এর পিছনে বড় কিছু একটার চাল ছিল, নাহলে ডিজিএফআই বা এনএসআই এর চোখ ফাকি দিয়ে দরবারের সময় অফিসার খুন করার পরিকল্পনা করা এত সোজা না। আর্মারির চাবি, অস্ত্র, গুলি - এগুলো সব গুনে গুনে দেয়া হয়ে থাকে, ফট করে এগুলো এদিক ওদিক করা সোজা না।

দেশে এ পর্যন্ত যে কয়টা ক্যু হয়েছে, সবগুলোতে কোন না কোন অফিসারের হাত ছিল। এখানেও উচু পর্যায়ের লোকজনের হাত আছে। চেষ্টা করা হচ্ছিল একটা যুদ্ধ বাধানোর, বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ হলে কাদের লাভ, একটু চিন্তা করুন, উত্তর পেয়ে যাবেন।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৩৩

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: সৈনিকরা প্রলেতারিয়েত না, কিন্তু সামরিক বাহিনীর ভেতরেও যে ক্লাস স্ট্রাগল আছে সেটা আপনার জানার কথা যেহেতু আপনি কাছ থেকে দেখেছেন। অবশ্য আপনিও যদি শোষকের অবস্থান থেকে দেখেন তাহলে শোষিতের স্ট্রাগলটাকে স্ট্রাগল হিসেবে মনেই হবে না, মনে হবে বেয়াদবি! আপনি তাদের এই স্ট্রাগলটাকে রিকগনাইজ করেন কী না সেটার ওপর আপনার বিশ্লেষণের গ্রহণযোগ্যতা নির্ভর করে!

আপনার ইঙ্গিত ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছি, ব্যাপারটা আর ইঙ্গিতের পর্যায়েও নেই, দেশে এখন জোরেশোরে সেই কথাগুলোই বলা হচ্ছে। যতই ষড়যন্ত্র থাকুক, যতই পূর্বপরিকল্পনা থাকুক - ১৫০০০ সদস্যের সবাই এর সঙ্গে জড়িত ছিলো, এটা কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়! বাংলাদেশের ১৫ কোটি মানুষের সবাই যদি এটা বিশ্বাস করে ফেলে, তারপরও আমি এটা বিশ্বাস করবো না! এটা লজিক্যালি অসম্ভব।


এখন চারপাশে মিডিয়ার নতুন ভূমিকায় বিডিআর নামটি যেন ঘৃণার সমার্থক হয়ে উঠেছে। এটা আমি মেনে নিতে পারছি না! বিডিআর সদস্যদের যে কিছু দাবিদাওয়া ছিলো সেটি কিন্তু আমরা বানাইনি, তাদের মুখেই শুনেছি। যতই ব্যস্ত রাখা হোক, তাদের কোনো দাবিদাওয়া থাকাই চলবে না, এটা কেমন কথা?

বিদ্রোহীরা পরাজিত পক্ষ, পনের হাজার বিডিআর কে লাইন ধরে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে মেরে ফেললেও কারো আপত্তি নেই- এরকম একটা অবস্থা তৈরি করা হচ্ছে এখন! কোনোভাবেই এই অবস্থাকে সমর্থন করতে পারছি না আমি।

২৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:২৪

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা। আপনি আমার কথাগুলোই সুন্দর করে বলে দিলেন।
বিদেশে থেকে দেশের এ ধরণের পরিস্থিতি কখনোই আশা করিনা। ভালো কিছু শুনলে মন মেজাজ খুব ভালো থাকে। কিন্তু এই খুনোখুনির খবরে আর ভাল থাকা হয় না। অনেকগুলো কেন এর উত্তর পাচ্ছি না। বিডিআর দের কেন ওভাবে ট্রিট করা হয়েছিল কিংবা ওদের দাবী মানা তো দুরের কথা সেটা প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত পৌছানো হয়নি। আবার বিডিআর ই কেন এতোগুলো মানুষ মেরে গুম করে ফেলবে। এখন যেভাবে লাশ বের করা হচ্ছে দেখে আমি স্তব্দ।

অনেক ক্লান্তি নিয়েও ঘুমুতে পারিনা।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৩৯

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: 'কেন'গুলোর উত্তর আমিও পাচ্ছি না! ষড়যন্ত্র ছিলো, বলা হচ্ছে। ধরে নিচ্ছি, সত্যিই ষড়যন্ত্র ছিলো- কিন্তু কেন তাদের দাবিদাওয়াগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশ করতে দেয়া হয়নি, কেন এমন হঠাৎ খুনের নেশায় উম্মত্ত হয়ে ওঠা বোঝা কঠিন।

কোনো পক্ষ নেয়া কঠিন, শেষ পর্যন্ত আমি তাই এদের ইউনিফর্ম খুলে ফেলি, আর দেখি- সকলেই মানুষ! আমি তাই মানুষের পক্ষেই দাঁড়াই।

২৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:০৭

নাজনীন খলিল বলেছেন:
১৬৭ জন অফিসারের জন্য আসুন আমরা তিনদিনের জাতীয় শোকদিবস পালন করি। পনেরো হাজার সিপাহীর ভাগ্যে কি ঘটেছে--কি ঘটছে--ওদের দাবী যৌক্তিক কি অযৌক্তিক তা নিয়ে আর কোন মাথাব্যাথার দরকার নেই।সরকার খুব সুন্দরভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন----চলুন সবাই মিলে সেলিব্রেট করি।



২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:২৩

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: "পনেরো হাজার সিপাহীর ভাগ্যে কি ঘটেছে-- কি ঘটছে-- ওদের দাবী যৌক্তিক কি অযৌক্তিক তা নিয়ে আর কোন মাথাব্যাথার দরকার নেই।"

আপনার সঙ্গে সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করছি আপা। তারাও আমদেরই মানুষ, তাদের ব্যাপারে মাথা না ঘামালে চলবে কীভাবে?

২৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৫১

নির্ঝরিনী বলেছেন: কেবলই চোখ ভিজে উঠে.......

আমার আপন মামা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা, আবার তারই বোনের ছেলে মানে আমার খালাতো ভাই বিডিয়ারে।

দুজনেই তো আমার আপন........কোনো পক্ষই নিতে চাই না।

আমি মানবতার পক্ষে।

আপনার লেখাটা পড়ে....মনে হলো নিজের মনের কথাটাই পড়ছি।

আমার ভাই ঘটনাস্থলেই ছিলো, কিন্তু সে ঘুনাক্ষরেও এমন পরিস্থিতির কথা জানতো না।

ওর পোস্টিং অন্য জায়গায় ছিলো, শুধু বিডিআর সপ্তাহ পালনের জন্যই পিলখানায় আসতে হয়েছে।

এমন অনেকেই ছিলো শুধু অনুস্সঠানে এটেন্ড করার জন্যই এসেছিলো, বিদ্রোহের সাথে কোনোভাবেই জড়িত ছিলো না......জাস্ট পরিস্থিতির শিকার হয়ে গেছে।


শুধু অফিসারদের জন্য চোখের জল ফেলবো, ভায়ের জন্য চোখের জল ফেলবো না তা কি করে হয়।


১৫০০০ জন কোনোভাবেই মূল ঘটনার সাথে জড়িত ছিলো না, আমি চাই আসল অপরাধীদের বের করে তাদেরকে বিচার কড়া হোক।


কোনোভাবেই নিরাপরাধ ব্যাক্তি যেনো শাস্তি না পায়।








২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:০৫

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার এই কথাগুলো যদি সবাই শুনতো, যদি সবাই এই বিষয়টি এমনভাবে উপলব্ধি করতে পারতো! কার পক্ষ নেবো আমরা, সবাই-ই তো আমাদেরই লোক! আমি যখন এই কথা বলি, তখন ভাবা হয়- এটা লেখকসুলভ কৌশল, কারণ সত্যিই তো আমার 'আপন' ভাই নয় তারা! কিন্তু আপনার এই অভিজ্ঞতাটি? এটা তো যে কারো জন্যই সত্য হতে পারে! সেক্ষেত্রে কি কারো পক্ষ নেয়া যায়?

যারা দায়ী, তাদের বিচার হোক। পরিস্থিতির শিকার যারা, তারা সসম্মানে নিজের কাজে ফিরে যাক, এই কামনা করছি।

আপনার ভাইয়ের কোনো খোঁজ পেয়েছেন? কেমন আছেন তিনি, কোথায় আছেন? নিরাপদে আছেন তো? আপনার মন্তব্যটি পড়ে আবার চোখ ভিজে উঠতে চাইছে!

২৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:০০

সহেলী বলেছেন: আমার ইচ্ছে মানুষের পক্ষ নেয়া । যারা অমানুষ , যাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য , যাদের চক্রান্তে আর্মি এবং বিডিআর -- সবার জন্য অশুভ অশনি সংকেত ,তাদের জন্য ঘৃনা আর অভিশাপ ।
পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:০৭

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: যারা অমানুষ , তাদের জন্য ঘৃণা আর অভিশাপ।

সহমত।

২৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:১৮

নাজনীন খলিল বলেছেন: নাজনীন খলিল বলেছেন:
সরি আপনি আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা করে নিয়েছেন।এটা হলো আমার যন্ত্রনার উচ্চারণ তা আপনি বুঝতে পারবেন বলে আশা করেছিলাম।এই দুই দিন ধরে সেনাবাহিনীর বীরগাঁথা আর পাশাপাশি সাধারণ বিডিয়ার সিপাহীদের প্রতি ধিক্কার শুনতে শুনতে অতি দুঃখে কথাগুলো উচ্চারণ করেছিলাম।
যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার হোক --তবে এর পিছনের কারণটি যেন উপেক্ষিত অবস্থায় না থাকে।তাদের কৃত অন্যায়ের বিচারের পাশাপাশি যেন তাদের ন্যায্য চাহিদাটির প্রসংগ চাপা পড়ে না যায় এই নিশ্চয়তাটুকু অন্তত আশা করেছিলাম ,যার আলামত এখন সত্যিকার অর্থেই অনুপস্থিত।পনেরো হাজার সিপাহীর মাঝে কতজন বিদ্রোহে অংশ নিয়েছে সেটাও তদন্তসাপেক্ষ।বাকিদের ভাগ্যে কি ঘটেছে অথবা ঘটবে একজন মানুষ হিসাবে এই মানবিক

কৌতুহল থাকাটা অত্যন্ত স্বাভাবিক।(উপরের দুইটি মন্তব্য মুছে দেবার অনুরোধ রইল।)

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৯

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: দুঃখিত আপা, ওই সময় আপনার মন্তব্যটি তাৎক্ষণিকভাবে আমার কাছে নেতিবাচক মনে হয়েছিলো বলে!

আসলে সারা দিনরাত মিডিয়ায় ক্রমাগত বিডিআর সদস্যদের বিরুদ্ধে ঘৃণার উদগীরণ চলছে, (ব্লগেও তাই!) দেখে মাথা ঠিক রাখা মুশকিল। আমি এখন বেশিক্ষণ ধরে ব্লগের পাতায় চোখ রাখতে পারি না! কষ্ট হয়ে এই ভেবে- এই তাহলে আমাদের মুক্তবুদ্ধির চর্চার নমুনা? ব্লগ যদি মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার নেট-ভার্সন হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে আর ব্লগিং করে কি লাভ? তারচেয়ে হাতপা-চোখমুখ বাঁধা অবস্থায় নিউজ-পেপার বা টিভি ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে গোঁ গোঁ করলেই হয়!

আপনার মতো আমিও ক্ষুব্ধ, ব্যথিত, হতাশ, মর্মাহত।

আগেরবার আপনার মন্তব্য ভুল বোঝার জন্য দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী আপা। আমার মনের অবস্থাটি আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন!

৩০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:২৬

কালপুরুষ বলেছেন: সবকিছু মিলিয়ে শুধু খারাপই লাগছে। কিছুতেই মন ভাল হচ্ছেনা। সবার কথা ভেবেই কষ্ট হচ্ছে। প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি হোক।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:০৮

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: হ্যাঁ, কালপুরুষদা, মনটা কিছুতেই ভালো হচ্ছে না। খুব বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে, খুব। কিছুই ভালো লাগছে না।

৩১| ০১ লা মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:২৩

লীনা ফেরদৌস বলেছেন: আপনার এই লেখার প্রতিটি কথাই আমার মনের কথা। খুব খারাপ লাগছে এই পোড়া দেশটার কথা ভেবে। অনেক ধন্যবাদ এরকম একটা লেখার জন্য।

০১ লা মার্চ, ২০০৯ দুপুর ২:১৮

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: থ্যাংকস লীনা।

লিখে কি মনের ভার লাঘব হয়? অন্তত এই ধরনের বিপর্যয়ে? আমার তো হচ্ছে না!

৩২| ০১ লা মার্চ, ২০০৯ দুপুর ২:৫৫

আই লাভ ব্লগিং বলেছেন: আমি কোন দিনও ভাবি নি আমার জীবদ্দশায় এ ধরনের হত্যাযজ্ঞ দেখতে হবে... ভেবেছিলাম বাংলাদেশ হয়ত সেই অন্ধকার সমইয়টুকু পার হয়ে এসেছে।

লেখাটা মন ছুঁয়ে গেল।

আসলেই চোখ ভিজে ওঠে।

০২ রা মার্চ, ২০০৯ রাত ২:১৯

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আমিও ভাবিনি কোনোদিন এই ধরনের বীভৎসতা দেখতে হবে! ভাবা যায় না, কোনোভাবেই ভুলে থাকতে পারি না এক মুহূর্তের জন্যও।

৩৩| ০১ লা মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৩:০৭

-রোমেল- বলেছেন: স্যার আপনার কথাগুলো খুবই সত্য । বিডিআরদের বিদ্রোহের কারণগুলোও যুক্তিসঙ্গত । শান্তিপূর্ণভাবে কর্মবিরতী বা অনশনের মাধ্যমেও তাদের দাবীর কথাগুলো পেশ করা যেত । কিন্তু তা না করে সহস্রগুলির মাধ্যমে দাবী পেশ উন্মাদরাই করে । অল্পকিছু হত্যাকারীরা যেভাবে নির্যাতন করে মহিলাসহ অফিসারদের মেরেছে তা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না । বিডিআরদের ন্যায় দাবীগুলো মেনে নেয়া সহ প্রকৃত দোষীদের ফাঁসি দাবী করছি ।

০২ রা মার্চ, ২০০৯ রাত ২:২২

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: সহমত প্রকাশ করছি। ধন্যবাদ রোমেল।

৩৪| ০১ লা মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৫:২৯

অমাবশ্যার চাঁদ বলেছেন: সৈয়দ দেলগীর বলেছেন: অবশেষে কেউ একজন তাদের ইউনিফর্মগুলো খুলে নিলে আমার সামনে থেকে অফিসার-জওয়ান পার্থক্য ঘুচে যায়, দেখি সবগুলো মুখই মানুষের মুখ। আমি তাই মানুষের পক্ষ নিই

সহমত

০২ রা মার্চ, ২০০৯ রাত ২:২৬

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: কথাটা সৈয়দ দেলগীর বলেননি, এই পোস্টের অধম লেখক বলেছেন!

সহমত প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ।

৩৫| ০১ লা মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৩

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: মৃতের বসন এক-স্পন্দনহীন শরীরে কেবলই আতর লোবানের গন্ধ-মাটির দেয়াল আর ছাদে তার নিথর রক্ত আর নৈঃশব্দ বাধা পড়ে। সে পারায়ে যায় জীবনকাল। তখন পরিচয় তার অনর্থক আর অসহনীয় হয়ে পড়ে। কিন্তু সেই মানুষের মৃত্যু কেমন ভয়াবহতায় পোড়া। কি নির্মমতার লাল রঙে মোড়ানো। একটা মানব শরীরও কেন ছিদ্র হয়ে-বুকে বারুদ দলা নিয়ে কবের যাবে-এই বিকৃতির দায় কে নিবে। এই দানবীয় নখরের থাবা আর কতোকাল টিকে থাকবে।

কিছু মানুষ কেবলই অস্ত্র বোঝে-তার সিথান পাশে অস্ত্র-ভোরের লালিমায় তার কাঁধে বারুদ নল-দেশকে অভিবাদনের ভাষা তার তোপধ্বনিতে। সীমান্তের রেখায় অনিবার্য হয়ে ওঠে অস্ত্র। কার উদ্দেশ্যে তাক করা হয়েছে এই সকল অস্ত্র-আমাদের ইতিহাসে-পৃথিবীর ইতিহাসে।

এই হত্যা কেবলই এক ভয়াবহ মানব বিপর্যয়। এর শাস্তিতে কার ক্ষতি পুরিত হবে-কে নিশ্চয়তা দিবে পুনরাবর্তনের। আর যে সংস্কৃতিহীন হয়ে পড়লো একটা দেশ তা কে দেখবে। নেরুদার এক বন্ধু যুদ্ধের বিরুদ্ধে আলু চাষ করতে চেয়েছিলেন। এখন এই সামরিক বাহিনীর কর্তারা-সরকার কারুর হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়ে আলু চাষ কি ধান চাষ করতে গেলে বুঝতাম নাহ ভয় নেই তাদেরও সংস্কৃতি রক্ষার মন আছে।

কি ভয়াবহ আমরা একটা প্রজন্মকে একের পর এক রক্ত-হত্যা-বারুদগন্ধ উপহার দিচ্ছি। কোন বিচারে এর দায় মিটবে।

০২ রা মার্চ, ২০০৯ রাত ২:৩০

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: অসামান্য একটা লেখার (এটাকে 'মন্তব্য' বলা ঠিক হবে না) জন্য অজস্র ধন্যবাদ শুভ্র।

৩৬| ০১ লা মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৬

তাহ্‌লীল আহেমদ চৌধুরী বলেছেন: আসলে উপরের লিখা গুল পরে খুবি ভাল লাগতেসিল।কিনতু মাঝে মাঝে খারাপ লাগতেসিল এই ভেবে যে মানুষ আরমি কে যেন ধরেই নেয় চুর হিশাবে।আমরা কতজন জানি আরমি সম্পরকে ??? আর যারা বলতেসেন যে লুটপাটের ঘটনা শিখান বুলি তারা কি একবার ভেবেছেন যে বিডিআর গেটে মুক্তি প্রাপ্তদের সামি বা ভাই বা বাবা(অফিসার) ভিতরে জিম্মি হিশাবে থাকতে পারে এবং তাদের ক্ষতি হবার ভয়ে তারা গেটে বলেনি লুটপাটের কথা। আর দয়া করে পুর ইন্সটিটুটকে গালি দিবেন না।কারন পুরা ইন্সটিটুটকে গালি দিলে সব অফিসার এর গায়েও লাগে।আরমিতে চুর কমি থাকে। যারা চুর তারা প্রায় সবাই সিনিয়র অফিসার। দিলে তাদের গালি দিন জারা আসলে দায়ি।

০২ রা মার্চ, ২০০৯ রাত ২:৪০

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার সঙ্গে একমত হতে পারলাম না ভাই। মানুষ আর্মিকে চোর হিসেবে ধরে নেবে কেন? তাদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আছে বটে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে, পুরো ইনস্টিটিউটকে গালি দেয়া হচ্ছে!

৩৭| ০১ লা মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৯

েপচাইললা বলেছেন: @ দেশী পোলা : আপনার কথা অপোজ করছি। আমার মনে হচ্ছে শেষ পর্যন্ত এই বিদ্রোহ ঘটতই। এবং স্বাভাবিকভাবেই এটি ঘটেছে- এটি অমোঘ একটি পরিণতি ছিল। আর্মির অমানুষিক ব্যবহারের চরম জবাব একদিন না একদিন আসতই।

কিন্তু বর্তমানে আমার মনে হচ্ছে, এটি একটি বিদ্রোহ এবং এই বিদ্রোহের কথা আগে থেকেই ঠিক করা। কোন একটি চক্র এই বিদ্রোহী মনোভাবের কথা জেনে ঠিক এই অসন্তোষ (শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহ) থেকে ফায়দা নেয়ার পরিকল্পনা করে এবং তাদের পরিকল্পনাই শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়।

০২ রা মার্চ, ২০০৯ রাত ২:৪৩

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: সেরকমই মনে হচ্ছে। আশা করি সঠিক ব্যাপারটি তদন্তে বেরিয়ে আসবে!

৩৮| ০১ লা মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪০

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: বেদনার রঙ বুঝি পৃথিবীর সবখানেই এক!
কষ্টের ভাষা বুঝি পালটায় না কোন কালে!
রক্তের স্রোত বুঝি বয়ে চলে ফিজিক্সের নিয়ম ধরে,
উপর হতে নিচে!
শুধু মানুষ বদলে যায়- বদলিয়ে দেয়া হয়!

০২ রা মার্চ, ২০০৯ রাত ২:৪৬

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: "শুধু মানুষ বদলে যায়- বদলিয়ে দেয়া হয়!"

৩৯| ০১ লা মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬

আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: লেখাটা ভালো লাগলো এই সময়ে কিন্তু খুব একটা ভালো নাই স্বজন হারা লোকগুলো কিংবা বিডিআরের জওয়ানদের সেই অসহায় মুখ গুলো!

০২ রা মার্চ, ২০০৯ রাত ২:৫১

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: যারা ওই মানুষগুলোর রক্ত-সম্পর্কের আত্নীয় নয়, তারাই ভালো থাকতে পারছে না, কষ্ট পাচ্ছে, কাঁদছে- স্বজনরা ভালো থাকবে কিভাবে বলুন?

৪০| ০১ লা মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৭

জরিণা বলেছেন: ইউনিফর্ম খুলে ফেলার পর যে লোকটিকে দেখতে পাচ্ছি, সে নিতান্তই এক সাধারণ মানুষ,


যত নষ্টের মুল হচ্ছে এই ইউনিফর্ম। কারণ এটার সাথে যে ব্যাজ গুলো থাকে ওটার ভারেই মানুষ হয়ে যায় অমানুষ।

ইউনির্ফম খুল্লেই সবাই এক কাতারে। তখন কোন অংহকার থাকে না। নিথর দেহ মাটিতে মিশে একাকার হয়ে যায়।

০২ রা মার্চ, ২০০৯ রাত ২:৫৪

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: সহমত প্রকাশ করছি।

৪১| ০১ লা মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯

ক্যামেরাম্যান বলেছেন: কেউ একজন বলেছেন এটা ন্যায়সঙ্গত বিদ্রোহ ছিল না। পড়ে হাসলাম। স্বাধীন দেশের আর্মড ফোর্সের মধ্যে বিদ্রোহ শুধূ সেই বাহিনীকেই দূর্বল করে না, পূরো দেশ আর জাতিকেও চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেয়। আর তাই ন্যায়সঙ্গত বিদ্রোহ বলে কিছু নাই। আমরা একটা জিনিস বার বার ভূল করি। সাধারণ নাগরিক অধিকার আর বাহিনীর নীতিমালার মধ্যে একটা বিরাট ফারাক আছে। বাহিনীর মূলমন্ত্র হলো শৃংখলা। বিনা বাক্য ব্যয়ে বাহিনীর সবাই সেটা মেনে চলতে বাধ্য।

আমরা এতোই হতভাগা যে আমাদের সৈনিকেরা নিজেরাই মারমারি করে মরছে সব।

০২ রা মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৬

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: "ন্যায়সঙ্গত বিদ্রোহ বলে কিছু নাই" - এটা আপনার ভাষায় 'স্বাধীন দেশের আর্মড ফোর্সের' জন্য সত্য হতে পারে, কিন্তু বৃহত্তর মানবিক অর্থে সত্য নয়! ভাষা আন্দোলন বা মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের (বাঙালির) বিদ্রোহ কি ন্যায়সঙ্গত ছিলো না?!? পাকিস্তানও তো 'স্বাধীন' রাষ্ট্র ছিলো! সেই স্বাধীন রাষ্ট্রকাঠামোর মধ্যে থেকে আমরা যে বিদ্রোহ করলাম, (মুক্তিযুদ্ধের সময় আর্মড ফোর্সও তো বিদ্রোহই করেছিলো), সেটি কি ন্যায়সঙ্গত নয়?

৪২| ০১ লা মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১০

মুকুট বলেছেন: গোয়েন্দা সংস্থায় কর্মরতদের আগে বিচার করা দরকার!


০২ রা মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৯

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: হ্যাঁ, গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা অমার্জনীয়!

৪৩| ০১ লা মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭

জামাল উদ্দীন বলেছেন: লীনা ফেরদৌসের কণ্ঠে আমিও সুর মিলাই। আসলেই বড় ক্ষতি হয়ে গেল আমাদের।

০২ রা মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৩

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: সহমত।

৪৪| ০১ লা মার্চ, ২০০৯ রাত ৮:০২

সাজিল বলেছেন: প্রকৃত হত্যাকারীর বিচার চাই। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। দৃষ্টান্তমূলক......আর লিখতে পারছি না। চোখ ভিজে যাচ্ছে...

০২ রা মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৭

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আমরা সবাই প্রকৃত খুনী ও ষড়যন্ত্রের হোতাদের বিচার চাই, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

৪৫| ০১ লা মার্চ, ২০০৯ রাত ৮:১৪

কার্ল মার্কস বলেছেন: বসে বসে কাঁদতে ইচ্ছে করছে প্রচন্ড শব্দ করে...
হে বাংলাদেশ ...

০২ রা মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:০০

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: এ ছাড়া আর কি-ই বা আছে আমাদের, এই মুহূর্তে?

৪৬| ০১ লা মার্চ, ২০০৯ রাত ৮:৩৫

ফাহমিদুল হক বলেছেন: সুমন রহমান যেমন বলেছেন মিডিয়ার বা আমাদের চিন্তার পেণ্ডুলাম কেবল অবস্থান বদলাচ্ছে, তখন আমিও দুলতে থাকি, কিন্তু আপনার মতো কোনো পক্ষ নিতে পারিনা।

কিন্তু আপনি যখন ইউনিফর্ম খুলে নিয়ে দেখালেন এরা সবাই মানুষ, তখন কিছুক্ষণের জন্য হলেও আলোচনা মানবিকতার ট্র্যাকে ফিরে আসে।

এই ভূমিকাটা গ্রহণ করার জন্য আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ।

০২ রা মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:০৫

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: মানুষ ছাড়া আর কোন পক্ষই বা নিতে পারি আমরা, ফাহমিদ ভাই?

আপনাকেও ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য।

৪৭| ০১ লা মার্চ, ২০০৯ রাত ৮:৫৭

মহলদার বলেছেন: বড় অভাগা জাতি আমরা। এদেশের কত বর্বোরোচিত ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু সেগুলোর আসল রহস্য উদঘাটন করে প্রকৃত দোষীদের শাস্তির নজির খুবই কম রয়েছে। বেশীরভাগ ঘটনাগুলোই রাজনীতির ঘূর্ণাবর্তে পড়ে ভিন্নখাতে প্রবাহিত হয় কিংবা হারিয়ে যায়। সত্যিই বড় অভাগা জাতি আমরা..........

এদেশের একজন অতি সাধারণ নাগরিক হিসাবে "ঘটনার আসল রহস্য উদ্ঘাটন করে প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবী জানাই" এছাড়া আর কি বলার আছে।

০২ রা মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:১২

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আমরা সবাই প্রকৃত খুনী ও ষড়যন্ত্রের হোতাদের বিচার চাই, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই-- এ ছাড়া আর কিছুই বলার নেই আসলে।

৪৮| ০১ লা মার্চ, ২০০৯ রাত ৮:৫৯

রেজওয়ান শুভ বলেছেন: প্রকৃত হত্যাকারীর বিচার চাই। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

০২ রা মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:১৪

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: প্রকৃত খুনী ও ষড়যন্ত্রের হোতাদের বিচার চাই, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

৪৯| ০১ লা মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:০০

অচেনা আগন্তক বলেছেন: আমরা সবাই প্রকৃত হত্যাকারীদের নিরপেক্ষ ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই, আমরা সবাই বিডিআর সদস্যদের যৌক্তিক দাবীগুলোর বাস্তবায়ন দেখতে চাই,ইতিবাচক যতকিছু আছে সবই আমরা চাই- তারপরও কেন জানি আমরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যাই।

০২ রা মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:১৮

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: হ্যাঁ, সেটাই সমস্যা! এই দ্বিধাবিভক্তিই সবচেয়ে বড়ো বিপদ ডেকে আনতে পারে আগামী দিনে!

৫০| ০১ লা মার্চ, ২০০৯ রাত ১০:০৪

নুরুন্নবী হাছিব বলেছেন: শেষ পর্যন্ত সবাই মানুষই...এ দেশেরই সন্তান...

০২ রা মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:২০

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: সেটাই।

৫১| ০১ লা মার্চ, ২০০৯ রাত ১০:১৮

হাই ৫ হাসান বলেছেন: তিন দিন থেকে কেন জানি ক্ষণে ক্ষণে আমার চোখ ভিজে আসছিলো? কেনইবা গুমরে গুমরে কান্না বেরিয়ে আসছিল ? কি বিভৎস কি নৃশংস দৃশ্যগুলো !

আমার নিকটাত্মীয়তো কেউ নয়! তবুও ওরাই আমার কতো যে আপনজন, হৃদয়ের কতো নিকটের স্বজন ! (ওদের হারিয়ে যে ক্ষত সৃষ্টি হলো, তা শুকাবো কি দিয়ে?)

দুদিন আগেও কী ভেবেছিলাম ? কতোটা ক্ষোভ ছিলো সেনাদের প্রতি নিজের অজান্তে, ভেবেছিলাম ওরা (বিদ্রোহী?) মজলুম, পক্ষ নিয়েছিলাম (বিডিআর) ওদের, কিন্তু ওরা কি করলো? বিশ্বাস ভেঙ্গে দিলো? এতো নৃশংস হেলো? ওরা ? ওরা পারলো এটা? মুহুর্তে ভালোবাসা মুহুর্তে ঘৃণা, কোনটা দেবো ওদের? (এ মুহুর্তে ধিক্কার আর চরম ঘৃণা ছাড়া কিইবা দিতে পারি?) বিশ্বাসের দেয়াল ভেঙ্গে গেছে, ওদের হাতে আর নিরাপদ নয় দেশের সীমান্ত, নিরাপদ নয় দেশের মানুষ (অস্ত্রের ট্রেনিং দেয়া হলো, কিন্তু নৈতিক ট্রেনিং কি পেয়েছিলো?)

কিসের অভিমান কিসের ক্ষোভ ছিলো বলতে পারবোনা, না বুঝেই ওদের বিরোধিতা করেছি, আর যখন হারিয়ে গেলো? তখন কাঁদছি, কেনো? কোনো ভিজে ওঠছে চোখের কোণ?

আজ খুব কেঁদেছি, খুব, মনের বোঝাটা হালকা করতে চেয়েছি, কিন্তু পারছি কই? (আমায় ক্ষমা করে দিও সোনার ছেলেরা। প্রভু ! আমার কথা পৌছে দিও তাদের কাছে ! আমিও যে ছিলাম চরম বিভ্রান্তিতে)

০২ রা মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:২৪

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে নতুন করে মন খারাপ হয়ে গেল!

৫২| ০১ লা মার্চ, ২০০৯ রাত ১০:৩৬

সাদা কাগজ বলেছেন: বিবর্তনবাদী বলেছেন: না পালিয়ে বেড়ানো যারা তারা কিন্তু মানুষ হিসেবে গন্য হচ্ছে না এখন আর। তারা সব লুটেরা, চোর, খুনি প্রভৃতি। আফটার অল তারা ফকিন্নির পোলা বইলা কথা।

আমরা মিডল ক্লাস। আমাদের ভাই ব্রাদাররাই কর্ণেল, মেজর হয়। তাদের স্ত্রীদের দেখলে আমাদের ভাবী, বোনদের কথা মাথায় আসে। আর বিডিআর সৈনিকদের বৌ, মেয়েদের কথা মাথায় আসলে মনে কাজের বুয়ার। এই কারনে, চোখে পানি নিয়ে আমরা বিডিআরদের গুষ্টি উদ্ধার করেই তবে দম নিব

০২ রা মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:২৯

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: কোনো পক্ষ নেয়া কঠিন, শেষ পর্যন্ত আমি তাই এদের ইউনিফর্ম খুলে ফেলি, আর দেখি- সকলেই মানুষ! আমি তাই মানুষের পক্ষেই দাঁড়াই।

৫৩| ০১ লা মার্চ, ২০০৯ রাত ১০:৫৫

আবদুল ওয়াহিদ বলেছেন:
আহমাদ মোস্তফা কামালকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এ লেখাটা খুবই দরকার ছিলো।
আমরা যত সহজে কোন কিছু মাথায় তুলে নিই, তত সহজে ফেলেও দিই। এই কান্ড জ্ঞানহীনতা যদি দূর করতে না পারি, তবে যতই বড় কথা বলি লাভ নাই।

আমাদের সজাগ থাকতে হবে কোন দাবী যেন কোনটাসা না হয়ে পড়ে।
শুধু তা-ই নয় যে সাধারন মানুষগুলো মারা গেলেন, সরকার যেন তাদের পরিবারের সাহায্যে এগিয়ে আসে, এ দাবীটিও জোরালোভাবে তুলে ধরতে হবে।

০২ রা মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:৩৪

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার সঙ্গে সহমত প্রকাশ করছি।

৫৪| ০২ রা মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:০৮

রেজা ঘটক বলেছেন: আমাদের দেশের গোয়েন্দা সংস্থার আসল কাজটা আসলে যে কী, সেটা ভেবে আমার ক্ষুধা উধাও হয়ে যায়। আমরা যে এখনো মানুষ হতে পারিনি, তা বিশ্ববাসীকে আবারো প্রমাণ করলাম।

০২ রা মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:৩৮

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা অমার্জনীয়!

৫৫| ০২ রা মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:১৪

ফালতু মিয়া বলেছেন: ৩২ বছর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থেকে সীমান্ত পাহারায় অবর্ণনীয় কষ্ট স্বীকার করে আমার ভাই আজ পুরস্কার স্বরূপ পিলখানায় বন্ধী জীবন উপহার পেয়েছেন। আমার গোটা পরিবার তার জন্য কাঁদছেন। ৬ মাস পর তার অবসরে আসার কথা ছিল। তিনি কোন ফায়ার করেন নাই, অস্ত্র হাতে নেন নাই, তার কমান্ডিং অফিসারকে বাচাতে সাহায্য করেছেন। আশা করি দাবি করি তার মতো যারা আছেন তাদের জন্য যেন আল্লাহ ন্যায় বিচার ফয়সালা করেন।

০২ রা মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:৪৪

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: সকলে দায়ি নয়, আগেই বলেছি। শুধুমাত্র দোষীরা সাজা পাক, অন্যরা সসম্মানে নিজ নিজ পদে বহাল থাকুক, দাবি করছি।

আপনার ভাইয়ের নিরাপদ জীবন কামনা করছি, আশা করি তাঁর কোনো ক্ষতি হবে না।

আপনাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি ভাই।

৫৬| ০২ রা মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:১৭

তিতিয়ানাতান্তা বলেছেন: এত কথা এত ঘটনা কেবল নিশ্চুপ ভাবে দেখে যাই । ভাবি না , চিন্তা করা বন্ধ করে দিয়েছি। কিচ্ছু বলার নাই, কিচ্ছু করার নাই আমার।

০২ রা মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:৪৭

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: হ্যাঁ, তিতিয়ানা, কিচ্ছু বলার নাই, কিচ্ছু করার নাই আমাদের।

৫৭| ০২ রা মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:৩৭

তীর্থঙ্কর বলেছেন: "এখন চারপাশে মিডিয়ার নতুন ভূমিকায় বিডিআর নামটি যেন ঘৃণার সমার্থক হয়ে উঠেছে। এটা আমি মেনে নিতে পারছি না! বিডিআর সদস্যদের যে কিছু দাবিদাওয়া ছিলো সেটি কিন্তু আমরা বানাইনি, তাদের মুখেই শুনেছি। যতই ব্যস্ত রাখা হোক, তাদের কোনো দাবিদাওয়া থাকাই চলবে না, এটা কেমন কথা?

বিদ্রোহীরা পরাজিত পক্ষ, পনের হাজার বিডিআর কে লাইন ধরে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে মেরে ফেললেও কারো আপত্তি নেই- এরকম একটা অবস্থা তৈরি করা হচ্ছে এখন! কোনোভাবেই এই অবস্থাকে সমর্থন করতে পারছি না আমি।""

সম্পূর্ন একমত।

০২ রা মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:৫৮

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: থ্যাংকস।

৫৮| ০২ রা মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১২:০১

তীর্থঙ্কর বলেছেন: দূরে বসে একা একা মন খারাপ আর ছটফট করা। মাঝে মাঝে যখন ডাক ছেড়ে কঁাদতে ইচ্ছা করে তখন বাজে একটা ছবিতে চোখ রেখে কিছুই দেখিনা তাই হয়তো বোধ এড়ায় যে কত ভালো ছবি মিস করলাম। অথচ কিছুই যায় আসেনা, আসলে ভাবি বন্ধুদের কথা যারা এই সবের প্রতিবাদ করে বলে ঘরে ফিরতে পারেনা। গতকাল অথবা আজ রাতে যারা ধরা পরলে একি পরিনতি হবে তাদেরও।

০২ রা মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:৫২

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: বিমূঢ় হয়ে আছি সবকিছু মিলিয়ে! ভালো নেই, আমরা কেউ ভালো নেই।

৫৯| ০২ রা মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৮

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: লেখা পড়ে শান্তি পেয়েছি।
লাশের পরিমান দেখে ধারনা করা যায় নির্দিষ্ট নিষ্ঠুর কিলার গ্রুপ ছিল, কিন্তু বাদবাকী সব বিডিআর বন্চনা থেকেই কিন্তু বিদ্রোহ করেছিল। এবং এখন তারা হয়ত আরেকটি ভয়াবহ বন্চনার সাথে পরিচিত হতে যাচ্ছে।
রাষ্ট্র, আমার ধারনা ক্রমশ আরও একচোখা হবে। এর পরিনতি কি আমি জানি না।

০৪ ঠা মার্চ, ২০০৯ রাত ১:৫৯

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আমারও সেরকমই ধারণা!

[অফটপিক : আপনি এখন দেশে, নাকি চলে গেছেন? অনেকদিন ব্লগে দেখিনি। কেমন আছেন?]

৬০| ০২ রা মার্চ, ২০০৯ রাত ১০:৫৫

সখ্য বলেছেন: লেখাটা খুব ভালো লেগেছে। এতো সুন্দর গুছিয়ে লিখতে পারিনা তাই লিখতে গিয়েও পিছিয়ে যাই। এমন নৃশংস হত্যাকান্ড কখনোই, কোনোভাবেই, কোনোভাবেই মেনে নেয়ার নয়।প্রতিবাদ প্করছে সবাই সবার মতো।কিন্ত সেই প্রতিবাদের ভাষাও খুব সমর্থনযোগ্য কি? ফেজবুক এ একটা গ্রুপ দেখলাম Find BDR and Torture Them To Death .কিছু বলার নেই।
কোনো পক্ষ নিতে পারিনা। শুধু চোখের সামনে দুটো ছবি ভাসছে ...টিভি পর্দায় ক্রোধে ঘৃনায় চিৎকার করতে থাকা এক বি ডি আর জওয়ান " কুকুরের মতো ব্যবহার করে ওরা আমাদের সাথে" আর নিখোজ সেনাদের স্বজনদের অসহায় আহাজারি। শুধু বুঝতে পারছি আমরা সবাই একটা জায়গায় এসে একইরকম। সবাই ভীষন প্রতিহিংসাপরায়ন।

০৪ ঠা মার্চ, ২০০৯ রাত ২:১২

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: এখন অন্য ছবি চোখে ভাসার সময় এসে গেছে! শত শত বিডিআর সদস্য (যারা হয়তো আদৌ জড়িতে ছিলো না এই বিদ্রোহে) উদ্বিগ্ন মুখে বসে আছে আবাহনীর মাঠে, কখন ডাক পড়বে, কখন তারা যোগ দেবে কাজে, ভবিষ্যতে কী-ই বা আছে ভাগ্যে! চাকরিচ্যুতি? জেল? নাকি ফায়ারিং স্কোয়াড? দেখে খারাপ লাগছে। এমন অনিশ্চিত জীবনের কোনো অর্থ হয়?

চারদিকে শুধু ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের চিহ্ন! আর কিছু নেই কোথাও!

৬১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০০৯ রাত ২:৫৯

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: আছি আরও মেলা দিন।

০৪ ঠা মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:২০

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: কোথায় আছেন, ঢাকায় না হবিগঞ্জ?

৬২| ০৫ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১:৩৫

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: হবিগন্জ।
ঢাকায় আসা হত আজকে..ঘমু থেকে সময় মত উঠতে পারি নি বলে আসা হল না।
আগামী সপ্তাহে আসব আপনার অটোগ্রাফ সহ বই নিতে :)

০৬ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১:১১

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: ইউ আর মোস্ট ওয়েলকাম!

আপনি এলে অন্তত একটা রহস্যের উন্মোচন হয়- আপনার বয়স ১৯ নাকি ৭৯!!!!

X( X( X( X(

;) ;) ;) ;)

৬৩| ০৬ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:৪৭

তিতিয়ানাতান্তা বলেছেন: নতুন লেখা নেই কেন?

০৬ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১:০৭

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: ইচ্ছে করছে না তিতিয়ানা! খুব অবসন্ন হয়ে আছি!

[আপনার নামটা অসম্ভব সুন্দর! বলতে-লিখতে খুব ভালো লাগে!]

৬৪| ০৬ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ৩:০৫

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: আলবত
আপনার সেল নম্বর প্রয়োজন পড়বে তাহলে। দয়াকরে, সময় করে rontychy at gmail . com এ পাঠিয়ে দিলে কৃতজ্ঞ হই।

৬৫| ০৬ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ৩:১০

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: তিতিয়ানাতান্তা কে আমার ভুয়া নিক মনে হয় কেন জানি। হয়ত ধারনাটা ঠিক না, যদি ঠিক না হয় তাহলে অগ্রিম সরি বলে রাখছি।

কিন্তু এসব বিষয়ে রন্টি মিয়ার ধারনার সফলতার হার শতকরা ১০০ শতাংশ ছিল বিগত দিনগুলোতে।

১১ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ২:১২

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: তিতিয়ানাকে নিয়ে আপনার প্রেডিকশনটা ভুল হয়েছে রন্টিদি!

[অনেকদিন ব্লগে আসিনি। মেইল পেয়ে যাবেন কালই!]

৬৬| ১০ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ২:২৩

তিতিয়ানাতান্তা বলেছেন: চোখ বন্ধ করে কাজ করলে ভূল হওয়ার সম্ভবনা ১০০ ভাগ রন্টি চৌধুরী ।

১১ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ২:১৪

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: রন্টিকে বকে দিয়েছি তিতিয়ানা! ;)

৬৭| ১০ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ৮:৪১

অপ্‌সরা বলেছেন: সত্যি খুব লাগে । এসব থেকে পরিত্রাণের উপায় জানা নেই হয়তো কারোই তাই বারবার শুধু দেখতেই হয় একের পর এক এমন ঘটনা।

১১ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ২:১৬

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: হ্যাঁ, সেটাই!

৬৮| ১১ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১:৪০

আহসান জামান বলেছেন: সরকারের কচ্ছপ গতির তদ্ধন্ত কমিটিকে নিয়ে ভীষণ মন খারাপ হচ্ছে।

১১ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ২:২০

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: এত বড়ো একটা ঘটনার তদন্ত করতে একটু সময় লাগবেই, কিছু করার নেই।

৬৯| ১১ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ২:১৬

তিতিয়ানাতান্তা বলেছেন: বকা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ

১১ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ২:৩৫

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: ইউ আর ওয়েলকাম!

[রন্টি কিন্তু খুবই ভালো ব্লগার, তবে একটু খুঁতখুঁতে, এই আর কী! আমি যখন ব্লগে প্রথম এসেছিলাম, তখন রন্টি আমার পেছনে ছায়ার মতো লেগে থাকতো, কে কখন আবার আমাকে কটূকথা বলে ফেলে, সেই চিন্তায়! কটূকথা কেউ কেউ বলেছেও বটে, তখন রন্টি আমাকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে এসেছে! এসবই সহব্লগারদের মধ্যে পারস্পরিক মমত্ববোধের জন্য সম্ভব হয়! আপনাকে এটা বললাম, কারণ, রন্টির প্রতি আপনার হয়তো একটা ভুল ধারণা জন্মাতে পারে! সেটা ঠিক হবে না! ]

৭০| ১১ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ৮:৫৮

তিতিয়ানাতান্তা বলেছেন: ভুল একটা ধরনা জন্মেছিল বটে তবে এখন আর নেই। আমার রুড় আচরনের জন্য আমি লজ্জিত রন্টির কাছে।

আশা করি আমি ও এমন দু' এক জন বন্ধু পাবো।:)

৭১| ১৩ ই মার্চ, ২০০৯ ভোর ৪:০৬

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: :)
বাচাঁ গেল।
ধন্যবাদ দুজনকেই।

৭২| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ২:২৫

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: দুজনকেই ধন্যবাদ! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.