নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু মনে করবেন না

আমু হাওলাদার

নৈরাজ্যের চুড়ান্ত অবস্থায় ইনোসেন্সের বিস্ফোরণ

আমু হাওলাদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রাত্য রাইসু যেমন

০২ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৩৭


আমার অভ্যাস, গভীর রাত্রে বান্ধবীর লগে কথা কওয়া। দুনিয়ার সব বিষয়ে আমরা কথা কই। একদিন কথা হইল ব্রাত্য রাইসুরে নিয়া।
জিগাইলাম, রাইসুরে চিনো?
কয়-চিনি।
জিগাইলাম, পছন্দ কর?
কয়-করি। খুব বেশি পছন্দ করি।
জিগাইলাম, কেন?
কয়, “রাইসু লম্বা”।
কথা শুইনা তব্দা খাইয়া বইসা রইলাম। এ কেমুন কথা?

বান্ধবী নিজে যাইচা ব্যাখ্যা দিল- “রাইসু লম্বা। রাইসুর সব কিছু লম্বা। শারীরিক সঠিক অনুপাত আর যার নাই ঠিক থাক, রাইসুর আছে।

এই পর্যায়ে বান্ধবী আয়েশামঙ্গল থেকে কোট করলো। “আর্মির জিনিস মোডা, তাই শাউয়া মারা দেওয়া আরাম।”

“রাইসু বাইড়া উঠছে এই আর্মির সময়ে। বদ আর্মি তখনকার জীবনে প্রভাব ফেলছে। রাইসু আর্মির কিছু না পাইলেও শরীর পাইছে। রাইসুর শরীর টিইপ্যা দেখছো? পঞ্চাশেও রাইসু ঘোড়ার মত লম্বা আর বাঁশের মত শক্ত।”

আমি মুখের ভাষা হারায়ে ফেললাম।
রাইসুর নামে অনেক কথা কওন যায়। যার বেশিরভাগ হক-কথা। অকথা কুকথার পরিমানও কম না। মনে প্রশ্ন আইল, ‘রাইসু কথনের চূড়ান্ত রায় কি এইটা?’
আমার জানা নাই।

বান্ধবীর কওয়া সব কথা মনোযোগ দিয়া শুনতাম। কু-যুক্তি শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হইলে কইতাম, হইছে। ঠিকাছে। তুমি সত্য বলছো। খুবই ঠিক। এতে থাকত কথা না বলার ইচ্ছা। থাকত ক্লান্তি।

রাইসুর ব্যাপারটায় গুলায়ে ফেললাম। হজম হইলো না।

“রাইসুর এত দিক থাকতে এই জায়গায় আসলা কেন?’’ জিজ্ঞেস করলাম বান্ধবীরে।
উত্তর দিল, “আরেকটা আছে।”
কইলাম-কি?
‘রাইসু মাগীবাজ। বাছবিচার করে কম। শর্ট টাইমে যত পারে চুদে নেয়। প্রেগন্যান্ট হওয়া নিয়ে ভাবে না। রাইসু মনে করে, জন্মনিরোধক বড়ি খাওয়া নারীর কাজ। এতে রাইসু পানি আর ট্যাবলেট মুখের সামনে তুইলা ধইরা বইসা নাই। এই জায়গায় রাইসু ফার্স্টক্লাস ফার্স্ট।’

রইসু নিয়ে এইরকম মারাত্মক বয়ান শুইনা আমার ঘুম নষ্ট হইয়া গেল।
রাইসু বিরাট চিন্তক, সন্দেহ নাই। কিন্তু রাইসুরে নিয়া সিদ্ধান্তের ব্যাপার আছে। ‘রাইসু চুদব, না চুদব না?’’

বান্ধবীরে জিজ্ঞেস করলাম, ‘রাইসু কি চোদার যোগ্য?’’

বান্ধবী উল্টা প্রশ্ন করলো, ‘তুমি কি নিজেরে শ্রেষ্ঠ মনে কর?’
কইলাম, না করি না।
বান্ধবী সুন্দর মুখ করে বলে দিল, ‘চোদার দরকার নাই। রাইসুরে চোদার জন্য শ্রেষ্ঠত্ব দরকার। রাইসু চুদবে তারা, যারা নিজেদের শ্রেষ্ঠ মনে করে। যারা নাকচ কইরা দিতে পারে অন্যদের।’’

আমি রাইসুর এই দিকটা জানতাম। রাইসুরে যারা বোঝে, তাদের সবাই শ্রেষ্ঠ। আমি এই দলে, না এই দলের বাইরে, এই চিন্তায় কেটে গেল কয়েকটি রাত।

রাইসুর সঙ্গে দেখা করতে একবার বাড্ডায় গেছিলাম। রাইসুরে বইলা যাই নাই। দেখাও হয় নাই। ম্যাপে লোকেশন ভুল দেওয়া থাকলে যেমন প্যাচালে পরা লাগে, এই দেখায় সেইরকম হইল। ঘুরপাক খাইয়া ফিরা আসলাম। রাইসু আমারে আয়শামঙ্গলের ভিত্রে ঢুকায়া দিল। এতদিন যা চাইপা রাখতাম, নানা চিপা দিয়ে ফুসফুস কইরা বাইরাইয়া যাইত যা, এখন বড় গেট পাইয়া সেইগুলা বানের জলের মত বাইর হইয়া আইল। পাগলা কুত্তার মত কামড়াকামড়ি পইড়া গেল।
যারে সামনে পাই কামড় দেই। যারে সামনে পাই নাকচ কইরা দেই। যেমুন-

ময়লা পরিষ্কার করা দলগুলারে মেইল কইরা কইলাম, পলিথিন একটা প্লাস্টিক। সারাজীবন ধুইলেও এইডা পরিষ্কার অইব না। আসল ময়লা তোমার গোয়ায়। ধুইয়া ফালাও।

উল্টা-পাল্টা কথা না কইতে পাইরা যেমুন জবান আটকায়া ছিল, সেই জবানে ভাষা দেওন দরকার। চিন্তা করলাম। কচি মাইয়ার মত রাইসুর প্রেমে পরলাম।

এইবার লুইচ্চামি একটা মাত্রা পাইল। সভ্য আর সাধু ইমেজ রাখার লাইগা যাগোর সুন্দর চেহারা আর লইট্টা মাছের মত শরীর দেইখা চোখ বন্ধ কইরা সুফী হইতাম, তাগোরে মেসেজ দেওয়া শুরু করলাম। রাইসুরে কোট কইরা কইলাম, “দুধ আর ডিম খাইবা বাবু। বেশি কইরা পানি খাইয়া ঘুমাবা।”

সাইকেল চালাইতেছিলাম বাংলামোটরে।
দুই কলিগ অফিস শ্যাষে গপ্পো করতাছে। হ্যাগো কথাবর্তা কানে আইল। একজন আরেকজনরে কয়, সাদামান হালায় নাদিয়ারে মেসেজ দেয়। কয়, লাগাইতে চায়। হ্যানভাবে ত্যানভাবে। পরে আবার কয় মাল খাইয়া উলটাপালটা মেসেজ দিছি। মাফ কইরা দেও। নাদিয়া কইছে প্যাটের ধান্দায় অফিস করে। নাইলে কুত্তা বস সাদমানরে কবে চুইদা দিত!

হাসি দিছিলাম শুইনা। কেউ মেসেজে আর কেউ মুখে লাগায়। আর কবি সাহিত্যিকরা এইডা নিয়া কুসাহিত্য লেখে। শালারা অফিসে যাইয়া এইসব আকামের ধান্দা করে।

লাগানোর ইচ্ছারে দমন করলাম।

একসময় আমরা খুব বই দেওয়া-নেওয়া করতাম । যারা বই পড়তো না, তাগোরে মূর্খ ভাবতাম। একদিন এক নতুন হওয়া বন্ধুরে জিগাইলাম, বই লেনদেনের উদ্দেশ্যে, অবসর কেমনে কাটাও? হে কয়, অবসরে আমি পর্ন দেখি।
হেই থেইকা আমি রাইসু সিনড্রোমে আক্রান্ত। রাইসু হাঁটে। আমি সাইকেল চালাই। রাইসু একসময় হাঁটা বাদ দিয়া দেয়। আমিও একদিন, সাইকেল চুরি হইতে দিমু।

তয় পর্ন সাইট বন্ধ কইরা দেওয়ায় এহন খালি শিক্ষিতরা পর্ন দেখে। আর সবাই বাল ফালায়। কুইজ হইল, সবাই কি রাইসুর মত?





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.