নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথমেই বলে নিচ্ছি পোস্টটি সংবাদ পত্র থেকে তুলে ধরা হয়েছে । সংবাদ পত্রটিতে যে ভাবে পোস্টটি দেয়া হয়েছে ঠিক আমিও সে ভাবেই আমিও তুলে দিলাম আপনাদের মাঝে । সবগুলো ছবি থাইল্যান্ডের ফুকেট থেকে জেমস বন্ড আইল্যান্ড ভ্রমণের ছবি । পোস্টদাতার গ্রামের কথা মনে পড়লেই তার মনে ভেসে উঠে মেঠো পথ, সবুজ ফসলের মাঠ, আম কাঁঠালের বাগান অথবা সুপারি কিংবা নারিকেল গাছের সারি। কিন্তু যে গ্রামের কথা বর্ণনা করতে যাচ্ছে সেটিতে এগুলোর কোনটিই নেই।লেখকের মতে তিনি থাইল্যান্ডের ফুকেট থেকে জেমস বন্ড আইল্যান্ড ভ্রমণে গিয়েছিলেন তারা চার সহকর্মী। সকালেই যাত্রা শুরু করেন তরা থাই ড্রাইভার শত কিলোমিটার গতিতে ঘণ্টা খানেক গাড়ি হাঁকিয়ে যখন ফুকেটের উত্তরে ফাং নাগা শহরে বানরের গুহায় নিয়ে যায় তখন বেলা পৌনে বারোটা বাঁজে। সেখান থেকে তাদের সাথে যোগ দিলেন আরও অনেকে বিভিন্ন দেশের লোকজন। ঘুরে দেখলেন জেমস বন্ড এবং খাই আইল্যান্ড। ভ্রমণ যখন শেষ তখন সূর্য মাথার উপর ক্ষুধায় সবার পেট চোঁ চোঁ করা শুরু করেছে।
তাদের ট্যুর গাইড মেয়েটির নাম ছিল লিনা। বয়স কত হবে আর তেইশ কিং বা চব্বিশ। তার বয়সী অনেককেই ওখানে গাইড হিসেবেই কাজ করছেন। ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে লিনা জানালেন আমাদের লাঞ্চের আয়োজন করা হয়েছে কাছের একটি গ্রামে। আমাদের বহনকারী নৌকাটি ছুটে চললো সেদিকেই।
পাথরের পাহাড়গুলোর ফাঁক দিয়ে এগিয়ে চলছে শক্তিশালী ইঞ্জিনচালিত নৌকা । পাশ কাটিয়ে পেছনে সরে যাচ্ছে গেওয়া আর গড়ান গাছে ভরা ম্যানগ্রোভ জঙ্গল। অনেকেই ক্যামেরা কিংবা মোবাইলের ক্লিক করে ছবি তুলে নিচ্ছে সেগুলোর সৃত্বি হিসেবে। কেউবা আবার সেলফি তোলায় নিমগ্ন বা ব্যস্ত হয়ে পরছেন ।
পাহাড় আর বনের ফাঁক গলে নৌকাটি বের হতেই লেখকদের চোখ আটকে গেলো পাথরের পাহাড়ের নিচে। পানিতে ভাসছে কয়েকশ ঘরবাড়ি। অনেক দূর থেকে দেখা যায় মসজিদের সোনালী রংয়ের গম্বুজগুলো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের দেখলে মনে হয় পাথরের পাহাড়টি এই গ্রামটিকে নিজের সন্তানের মত কোলে নিয়ে আগলে বসে আছে । যেন সমুদ্রের ঢেউ কিংবা ঝড় ঝাপটা এর গায়ে কোন ভাবেই না লাগতে পারে ।
লিনা জানালেন আমরা চলে এসেছি।সেই গ্রামটির নাম ছিল কোহ পানী স্থানীয়ভাবে সেটিকে পানী গ্রাম বলেই ডাকা হয়। লেখকদের নামটি শুনে বেশ ভালো লাগলো। মনে মনে তারা বললেন বাহ বেশ তো পানির উপর পানী (PANYEE) গ্রাম। তাদের নৌকাটি ভিড়লো ককশিটের উপর ভাসমান এক ঘাটে। যেটি একটি রেস্টুরেন্টের সঙ্গে লাগোয়া। সেখানে সবাই পা ফেলতেই সেটি দুলে উঠলো। রেস্টুরেন্টে গিয়েতো চক্ষু ছানাবড়া।
থরে থরে চেয়ার টেবিল বসানো। সেখানে সাজানো রয়েছে বিভিন্ন রকমের খাবার। এক ফাকে গাইড লিনা জানিয়ে দিলেন খাওয়ার জন্য নির্ধারিত সময়ের পর পাঁচ মিনিটের বেশী নৌকা কারোর জন্য অপেক্ষা করবে না। যে মিস করবে তাকে পরের দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এখানকার রেস্টুরেন্টগুলোতে পাওয়া যায় সমুদ্র থেকে ধরে আনা তাজা মাছের খাবার। সকলেই গোগ্রাসে খেয়ে যখন লাঞ্চ শেষ করলেন তখন হাতে লিনার দেয়া সময়ের আরও কিছুক্ষণ বাকি রয়েছে। তাই চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক কিছু সময় গ্রামটিতে।
গ্রামটি থাইল্যান্ডের ফাং নাগা প্রদেশে। মুসলমান প্ররধান জেলেদের গ্রাম। পানিতে বড় বড় পিলার আর খুঁটি গেঁড়ে তার উপর পাটাতন বিছিয়ে ঘরবাড়ি তৈরি করা হয়েছে। হাজার দুয়েক মানুষের বাস সেই গ্রামে। তাদের জীবিকা সমুদ্র থেকে মৎস আহরণ। গ্রামটির গোড়া পত্তন হয়েছিলো অষ্টাদশ শতাব্দির শেষের দিকে মালয়েশিয়ার জেলেদের দ্বারা।
সেই গ্রামে একটি স্কুলে রয়েছে তবে সেটি অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার লেখানে ছেলে মেয়ে উভয়েই একসাথে পড়েন। ক্লাশগুলো সকালের দিকেই হয় যাতে স্কুল শেষ করে ছেলেরা মাছ ধরায় আর মেয়েরা দোকান পাট কিংবা রেস্টুরেন্ট সামলাতে পারেন। আনুষ্ঠানিক কিংবা উচ্চ শিক্ষায় আগ্রহীদের পাড়ি জমাতে হয়ে ফাং নাগা কিংবা ফুকেটে। প্রতিকূল সামুদ্রিক পরিবেশের কারণে সন্তানরা বড় হলে তাদের পরামর্শ দেওয়া হয় অন্যত্র চলে যেতে। কিন্তু অনেকেই থেকে যায় জন্মভূমির টানে সমুদ্রের টানে।
আর গ্রামের সেই সোনালী গম্বুজওয়ালা মসজিদটি নামাযের পাশাপাশি জেলে সম্প্রদায়ের মিলনস্থলেও পরিণত হয়েছে। কোন বিচার সালিশ করা লাগলে সেখানেই অনুষ্ঠিত হয়। সেখানের ছোট বাজারটিতে থাই পোশাক ছাড়াও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী পাওয়া যায়। দাম নাগালের মধ্যে। সেখানে ভাসমান খেলার মাঠও রয়েছে। প্রথমে গ্রামের শিশুরা ভাঙা কাঠ এবং নৌকার পাটাতন দিয়ে এটি তৈরি করেছিলো। পরে তাদের খেলাটি জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর নতুন করে আরও একটি মাঠ তৈরি করা হয়। আর বেশ মজার ব্যাপার হলো পানীর গ্রামের ফুটবল দলটি দক্ষিণ থাইল্যান্ডে বেশ জনপ্রিয়।
স্মার্টফোনে বুঁদ যারা কিংবা যারা ফেসবুকের পোকা তাদের মনে আবার প্রশ্ন জাগতেই পারে কিরে ভাই সমুদ্রের ভেতরের একটি গ্রাম সেখানে গিয়ে কি নেটওয়ার্ক পাবো? কিংবা সেখান থেকে কি ফেসবুকে সেলফি আপলোড দিতে পারবো? উত্তর হ্যাঁ অবশ্যই পারবেন। সেখানেও লেগেছে ডিজিটালের ছোঁয়া। রয়েছে থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট সুবিধা।আরও একটা মজার ব্যাপার হলো সেই গ্রামে মাত্র একজন পুলিশ রয়েছেন। অবশ্য তিনি সব সময়ই বেকার বসে থাকেন কারণ সেখানে কোন অপরাধ নেই বললেই চলে।
অনেকের মনে প্রশ্ন সেখানে কিভাবে যাবেন?
ঢাকা থেকে ব্যাঙ্কক যেতে প্লেন ভাড়া পড়ে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। সেখান থেকে ফুকেটের বাস ভাড়া পড়বে ১৩০০ টাকা। ফুকেটে থাকা-খাওয়ার খরচ খুব বেশি নয়। দুই হাজার টাকা হলেই ভালো মানের হোটেল পাওয়া যায়। হোটেলগুলোতেই বিভিন্ন দ্বীপে যাওয়ার প্যাকেজ রয়েছে। পানী গ্রামটি জেমস বন্ড আইল্যান্ড প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত। খরচ পড়বে জনগ্রতি প্রায় ৩০০০ টাকা। এই খরচেই জেমস বন্ড আইল্যান্ড, খাই আইল্যান্ড ও পানী গ্রাম ভ্রমণ করতে পারবেন।
তথ্যসূত্রঃ অনলাইননেট ।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৫
আমি মিন্টু বলেছেন: কি অসাধারন কি বলেন ।
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫
আবু শাকিল বলেছেন: মিন্টু ভাই বিদেশি ভ্রমনের কপি-পেষ্ট না দিয়ে-
নিজ গ্রামের কিছু ছবি দেন।
খুব ভাল লাগবে।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৪
আমি মিন্টু বলেছেন: কথায় সুম্মা হবে শাকিল ভাই
৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আরও একটা মজার ব্যাপার হলো সেই গ্রামে মাত্র একজন পুলিশ রয়েছেন। অবশ্য তিনি সব সময়ই বেকার বসে থাকেন কারণ সেখানে কোন অপরাধ নেই বললেই চলে।
ইস! আমাদের দেশেও যদি এমন...।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৮
আমি মিন্টু বলেছেন: দারুন মজা হত তাই না আপু
৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: সুন্দর পোস্ট করেছেন ।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৯
আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫০
কল্লোল পথিক বলেছেন: বাহ চমৎকার ছবি ও বর্ণনা ।ধন্যবাদ ভাই।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৯
আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮
মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: ছবি এবং বর্ননা দুটোই চমৎকার। ধন্যবাদ এটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭
আমি মিন্টু বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ এটি পড়ার জন্য
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫০
ফারদিন ২৮৮ বলেছেন: দারুন