নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেবার ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাজিবের অফিস ছুটি লেট হওয়াতে ট্রেন ধরতেও একটু লেট হয়ে যায় । রাজিব দুপুর দুইটায় ট্রেনে চেপে ওঠলো । সপ্তাহের শেষ দিন বৃহঃপতি বার হওয়াতে ট্রেনেও একটু লোকজন বেশি ছিল । ট্রেন রাজিবদের স্টেশনে রাত একটায় থামলো ওখানে তারা দুজনেই নামলো । ট্রেন পাঁচমিনিট পড়ে পরের স্টেশনের উদ্ধ্যশে ছেড়েদিল । রাজিব স্টেশনের চায়ের দোকানে বসে এককাপ চা নিল একটি সিগারেটও নিল । ট্রেন থেকে নেমেছে দশ থেকে পোনের মিনিট ততখনে মেয়েটির দিকে রাজিবের নজর গেল ।
আসেপাশে কোন লোকজন দেখতেছিনা । হাতেও কোন কিছু নেই ।সঙ্গে কেউ এঁসেছে বলেও মনে হচছে না । রাত প্রায় দেরটা বাজতে চলছে ।এভাবে একা একটা মেয়ে এই স্টেশন কোথায় থেকে আসলো ? বেশ কিছু সময় ধরে রাজিব মেয়েটির দিকে তাকিয়ে রইল । একা একটি যুবতি সুন্দরি মেয়ে কতক্ষনয়ই বা একা একা দাড়িয়ে থাকবে কে জানে ?
রাজিবে আবার একটু মেয়ে পাগল টাইপের ছেলে ছিল । যেখানে সুন্দরি কমলমতি মেয়ে আছে সেখানে রাজিব আছে ।
আকাশেও মেঘের আনাগোনা চলছে এমনে রাতের আকাশ তার মধ্যে মেঘের কারনে তারাও ওঠেনি আজ । মেয়েটা দেখতে বেশ লম্বাচওরা গায়ের রঙও ফর্সা । বয়স উন্নিশ কি কুড়ি হবে ।দেখতে বেশ সুন্দরি । দেখে মনে হচ্ছে ভদ্র ফ্যামেলীর মেয়েই হবে । তাই বা কি করে ভাবি ভদ্র ঘরের হলে এত রাতে একা একা একটি মেয়ে স্টশেই বা কেন দাড়িয়ে থাকবে ? এমন হতে পারে রাতের খোলা পৃথিবীর অন্ধকার রজ্যের
রাত পহরী সিপাহীদের রাতের সঙ্গিনীও হতে পারে । দূর ছাই যত সব আজেবাজে ভাবনা ভাবছি ।
এর মাঝে রাজিব কয়েক লাইনে কাব্য পাঠ্য রচনা করলেন ।
তুমি সুন্দরি ললনা
ভালোবাস একবার বলনা
তুমি আমার জীবন
তুমি আমার প্রাণ
তুমি হলে বাঁচন
তুমি আমার মরন ।
হবে তুমি কার সুখ রানী
হবে তুমি কোন রাজার তাও না জানি ।
তুমি হও যদি আমার সখি
আমি হবো তোমার সুজন
সারা রাত কাঁটিয়ে দেব এক বালিশে
মাথা রেখে কথা কইতে কইতে দুজন ।
রাজিবের নানান ভাবনার মাঝে আকাশ থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আসতে শুরু করলো । মেয়েটাও প্ল্যাটফরম ছেড়ে ওপরে এসে যাত্রী ছাঁউনীর নিচে দাড়ালো ।এক পা দু পা করে রাজিব মেয়েটির পাশে দাড়ালো এইযে শুনছেন আপনাকে কোন ভাবে সাহায্য করতে পারি ?
এইযে শুনছেন ?
এভাবে রাজিব দুই তিনবার বলার পরে সুন্দরি রাজিবের কথার সাড়া দিল । সরি আমাকে বলছেন ?
রাজিব চারদিকে এক নজর তাকিয়ে বললো জী আপনি সারা মনে হয় আছে পাশে আর কেউ নেই । মেয়েটি ভাবতে শুরু করলো চিনিনা জানিনা তার সাথে আমার কোন পরিচয় নেই গায়ে পরে সাহার্য করতে চাচ্ছে তার সাহার্য নেয়াটা আমার জন্য ঠিক হবে না । জি না আমার বাড়ি থেকে লোক আসবে এতক্ষনে এসে পড়ার কথা পথে নিশ্চয় কোন ঝামেলা হয়েছে তাই হয়ত একটু সময় নিচ্ছে ।এবার রাজিব মেয়েটির পাশে থেকে সরে যেয়ে চায়ের দোকানের ব্রাঞ্চিতে বসলো ।
না রাজিবের আর স্থির নেই বেশকিছুক্ষন বসে থাকার পরে আবারও মেয়েটির পাশে যেয়ে সেই একই কথা ইচকিউচমি আমি আপনাকে কোন সাহার্য করতে পারি ?
এবার মেয়েটি রাজিব বলল দেখুন আমাদের মধ্যে কোন পরিচয় নেই তা আপনাকে আমি চিনি না আর না আপনি আমাকে চিনেন হুট করে এভাবে একজন অপরিচিত যুবকের কাছ থেকে একজন অপরিচিত যুবতির সাহার্য নেয়াটা কি ঠিক হবে ? রাজিব বললো আচ্ছা ঠিক আছে আমি রাজিব এই স্টশন থেকে মাইল খানেক পরেই আমাদের গ্রাম ।আমি ঢাকায় মালিবাগে একটি ফার্মে চাকুরি করছি ।
মেয়েটি বললো ও আচ্ছা আমি নিলিমা আমাদের বাড়ি ঢাকা এখানে এসেছিলাম আমার এক বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে হঠাৎ কলেজ ছুটি পড়ে গেল তাই চলে এলাম ।
রাজিব বললো তা আপনার বান্ধবীর বাড়িটি কোথায় আইমিন আমি বলতে চেয়েছি তাদের গ্রামের নামটি । জি ও বলেছিল স্টিশন থেকে মাইল দুই পরে ওদের বাড়ি কি একটা গ্রামের নাম যেন বলেছিল ঠিক মনে করতে পারছি না ।তাদের দুজনের কথা চলছে ততক্ষনে বৃষ্টি থেমেছে । রাজিব বললো শুনেন কিছু মনে না করলে আপনাকে একটি কথা বলি এভাবে একা একটি যুবতি মেয়ে রাতদুপুরে এই নিরব স্টশনে দাড়িয়ে থাকা বা কারো জন্য অপেক্ষা করাটা ঠিক হবে না । তার চেয়ে বরং আপনি চইলে এখন আমার সাথে আমাদের বাড়ি যেতে পারেন ওখানে আজ রাট থেকে কাল দিনের আলোতে আপনার বান্ধবীর বাড়ি খুজে বের করে চলে যাবেন ।
ততখনে রাত তিনতে বাজতে চলছে তাই চায়ের দোকানদার মালেক চাচা রাজিবকে ডেকে বলছে সার আপনেরা কি আর চা খাবেন । দোকানে আইজ তেমন বেচা কিনা নাই তার উপর আবার আইজ মেঘ বৃষ্টির দিন রাত অনেক হয়েছে দোকান বন্ধ করে বাসায় যেয়ে ঘুমিয়ে থাকবো । আচ্ছা চাচা ইয়ে করেন আমাদের আর দুকাপ চা দেন আপনি দোকান গুছাতে গুছাতে আমরা চা শেষ করি ।
চায়ে চুমুক দিতে দিতে এক ফাকে রাজিব চায়ের দোকান মালিক মালেক চাচাকে জিজ্ঞাসা করলো আচ্ছা চাচা আপনাকে আগে কখন এখানে দেখিনী আর এই স্টশনের এখানে কোন চায়ের দোকান ছিলও বলে মনে পড়ছে না । মালেক চাচা বললো জি সার আমি ঢাকায়
থাকতাম ওখানে ছোট একটি ব্যবসা করতাম হঠাৎ ব্যবসা খারাপ হওয়ায় ঢাকা থেকে এখানে এসে পড়েছি । ও আচ্ছা । এর মধ্যে চা খাওয়া শেষ আচ্ছা চাচা আপনার বিল কত হয়েছে? জি সার বেশি হয়নি চল্লিশ টাকা ।
ওখান থেকে রাজিব ও নিলিমা হেটে রওনা হলেন বাড়ির দিকে আর ওখান থেকেই দুজনের প্রেম শুরু হয় ।
২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৪০
কালের সময় বলেছেন: আপনার দিনতো মিন্টু ভাই ভালই হচ্ছে ।
৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:২৯
দর্শনপ্রিয়কার্তিকেয় বলেছেন: ভালোই পেয়েছেন...চালিয়ে যান আপনার চেষ্টা..।
৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর গল্প ।
স্টশনেই দুজনের প্রেমের শুরু শিরোনামে প্রথমেই ''ে'' টা বাদ গেছে ।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:১৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মিন্টু ভাই, অাপ্নের রোমান্টিক গল্প পইড়া "ফুলের মত বউ" সিনেমার গান মনে পড়লো "বয়স উনিস কুড়িরে, এ যে চাক্কু ছুড়িরে; জানিনা কোন মন্তরে ঐ মেয়েটারে বশ করিরে । দু চোখে শুধুই রাগ, নেই যে অনুরাগ; ছ্যাৎ করে উঠে বললে মনের কথা ।"
সুন্দর হয়েছে । কয়েকটা বানান ঠিক করে নেবেন (স্টেশন, উদ্দেশ্যে, এগিয়ে, দেড়, উনিশ, প্রহরী, ছাউনি, সাহায্য, বেঞ্চি, দাঁড়িয়ে) ।