![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারী কর্তৃক এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির পর এবার লোকপ্রশাসন বিভাগের থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। ওই কর্মচারীকে বাঁচাতে গিয়ে ফেঁসে যাচ্ছেন বিভাগের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মো: নাছির উদ্দিন।
শুধু তাই নয় এর সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেটের মুখোশ উন্মোচন হতে শুরু করেছে। বিভাগের অপর শিক্ষক শাহজাহান চৌধুরীর বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ। আর তাদের নেতৃত্বে রয়েছেন বিভাগের প্রধান আনোয়ারা বেগম। একে একে বেরিয়ে আসছে ওই তিন শিক্ষক সিন্ডিকেটের নানা অজানা তথ্য।
তাদের অত্যাচারে অতিষ্ট বিভাগের ছাত্র থেকে শুরু করে ছাত্রীরাও। কারনে অকারনে তাদের মানষিকভাবে টর্চার করা হয়। আর নাসির-শাহজাহানের বিরুদ্ধে রয়েছে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির গুরুতর অভিযোগ। কথা না শুনলেই ছাত্রীদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়। সেমিনার পেপার, টার্ম পেপার, টার্ম টেস্টের নামে তাদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়। ওই সিন্ডিকেটের এমন অত্যাচারে বিভাগের এক ছাত্রী আত্মহত্যারও উদ্যোগ নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। এছাড়া অনেক শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনও হুমকির মুখে পড়েছে ওই সিন্ডিকেটের খপ্পড়ে পড়ে। বিশেষ করে ছাত্রীদের বেশি হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।
সোমবার এসব বিষয় নিয়ে শাবি ভিসি প্রফেসর ড. আমিনুল হক ভুঁইয়া, প্রক্টর হিমাদ্রি শেখর রায় ও রেজিষ্ট্রার ইশফাকুল হোসনের কাছে বিভাগের শিক্ষকদের নানা নির্যাতনের কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন ছাত্রীরা। এসময় শিক্ষকরাও চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
ছাত্রীরা জানান, সম্প্রতি ট্যুরে গিয়ে তাদের সঙ্গে লোক প্রশাসন বিভাগের দুই শিক্ষক নাছির উদ্দিন ও শাহজাহান চৌধুরী আপত্তিকর আচরণ করেছেন। সেখানে মেয়েদের গোসলের ছবি ভিডিও ও ছবি তুলেন শিক্ষক নাছির উদ্দিন ও শাহজাহান চৌধুরী।
এছাড়াও ওই দুই শিক্ষক দুপুরে মেয়েদের ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের কক্ষে উঁকি মারতেন এবং অনুমিত না নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করার অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রীরা। শুধু তাই নয় শিক্ষার্থীরা সী বীচে গ্রুপ ছবি তুলার সময় তীর্যক ও আপত্তিকর মন্তব্য ছুড়তেন নাছির উদ্দিন ও শাহজান চৌধুরী।
এছাড়াও শিক্ষা সফরের সময় মেয়েদের মোবাইল কেড়ে নিয়ে দুইদিন আটক রেখেছিলেন ওই দুই শিক্ষক। এসময় তাদের মোবাইলে কি এসএমএস আসে তাও দেখতেন। ছেলেদের এসএমএস আসলে মেয়েদেরকে নানাভাবে হয়রানি করতেন। এসবের প্রতিবাদ করায় বাধে বিপত্তি। পরে ৭দিনে ট্যুর ৫দিনেই শেষ করে দেয়া হয়। ক্যাম্পাসে আসার পর শুরু হয় আরেক অত্যাচার। যারা ট্যুরে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে ১৫জনকে নানা কারনে শোকজ প্রদান করা হয়।
এছাড়া বিভাগের অপর শিক্ষক শাহজাহান চৌধুরী ও বিভাগীয় প্রধান আনোয়রা বেগম বিভিন্নভাবে ওই ছাত্রীর নামে কুৎসা রটাতে থাকেন। এমনকি যৌন হয়রানির বিষয়ে ওই ছাত্রীকেই দোষারোপ করা হয়। বিষয়টি ওই ছাত্রীর সহপাঠীরা জানার পর এনিয়ে শুরু হয় ক্ষোভ। এনিয়ে এখন ক্যাম্পাসে উত্তাল অবস্থা বিরাজ করছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ভিসি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস প্রদান করেছেন। এছাড়া যৌন হয়রানি, আশ্রয়দাতা, প্রশ্রয়দাতা, আপত্তিকর মন্তব্যকারী ও বিভাগের নিরব ভুমিকায় যাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন
View this link
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৯
নামহীন আমি অনামিকা বলেছেন: তাকিয়ে লাভ হবে কী--পরিমলরা ধরে খেয়েও কি কমেছে এদের সংখ্যা? আসলে দরকার মেয়েদের জন্য আলাদা ভার্সিটি, প্রযুক্তি ভার্সিটি যেমন আছে বালিকা স্কুল-কলেজ, যেখানে থাকবেনা পুরুষদের রাজত্ব। যেমন ভেবেছিলেন বেগম রোকেয়া এবং গড়েও ছিলেন বালিকা বিদ্যালয় কারণ তিনি সহশিক্ষার সর্বনাশা রূপ জানতেন।
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬
ডার্ক ম্যান বলেছেন: হায়রে শিক্ষক??? যদি নিজের মেয়ের কথা যদি ভাবত তাহলে এই কাজ কখনো করতে পারতো না।
০৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৪৩
নামহীন আমি অনামিকা বলেছেন: এরা নিজের মেয়েটেয়ের ধার ধারেনা---এরা জাত বিকারগ্রস্থ পশু
৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৯
মুদ্দাকির বলেছেন: হুম এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন শিক্ষক বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকায় মেয়েদের খোলামেলা কাপড় পড়ার জন্য উৎসাহিত করে কলাম বা উপসম্পাদকিয় লিখে থাকেন!!! সবই একি সূত্র বাধা নাকি সংগদোষে লোহাও ভাসে????!!!
০৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৪৪
নামহীন আমি অনামিকা বলেছেন: অবশ্যই একই সুত্রে গাঁথা ভাই---
৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৫
অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন: ঘৃণা প্রকাশ করছি
০৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৪৬
নামহীন আমি অনামিকা বলেছেন: ওদের গণ্ডারের চামড়া ঘৃণায় কিছু যায় আসেনা--- তাই দরকার গণপিটুনী
৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১০
উপপাদ্য বলেছেন: শিক্ষা ও সুশিক্ষার মধ্যে ফারাক স্পষ্ট।
শিক্ষইট হলেই সৎ হয়ে যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নামের এসব কুলাঙ্গারে যেভাবে বাংলাদেশে পার পেয়ে যায় সেটা মানবতার জন্য একটা লজ্জার বিষয়।
০৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৪৭
নামহীন আমি অনামিকা বলেছেন: খুন-গুমের দেশে খোঁজেন মানবতা--এরাই তো মানবতার দালাল আবার
৬| ০৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৫২
নিকষ বলেছেন: এরা বিরাট বিদ্বান ব্যাক্তি একেক জন, একটু আকটু দোষত্রুটি গোনায় ধরা উচিত না। উনাদের হাত দিয়েই তো জাতির; অজ্ঞরা, একদিন বিজ্ঞ হবে।
১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯
নামহীন আমি অনামিকা বলেছেন: ওদের পিতিয়ে তক্তা বানালেই আমি খুশি
৭| ০৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৩৪
মশিকুর বলেছেন:
সব বিশ্ববিদ্যালয়েই এসব হয়ে থাকে কম বেশী। বেশীর ভাগ সময়ই ধামাচাপা পড়ে থাকে এসব। খেয়াল করলেই বুঝা যায় যারা প্রতিবাদি হয়ে ওঠে তাদের খবরই সবাই জানতে পারে। কিন্তু মানুষ প্রতিবাদি কখন হয়? যখন এসব সহ্য সীমার বাহিরে চলে যায়।
আসলে যতদিন ক্ষমতার অপব্যবহার আমারা বন্ধ করতে না পারবো ততদিন এসব চলবেই।
১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:০০
নামহীন আমি অনামিকা বলেছেন: সহমত
৮| ০৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৪২
তাসজিদ বলেছেন: এরা শিক্ষক নামের কলঙ্ক।
তবে যে লিঙ্ক দিয়েছেন তা এবং লেখার ভাষা বাজে এবং অস্লিল।
লিঙ্ক নির্ভরযোগ্য না।
১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:০১
নামহীন আমি অনামিকা বলেছেন: খবর তো অনেক পত্রিয় এসেছে ভাই--তাই নির্ভরযোগ্য
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৪
সোহানী বলেছেন: হায়রে শিক্ষদেরই যদি এত অধ:পতন তাহলে আমরা যাবো কার কাছে !!!!!!!!!!!!!!!!!! প্রশাসন কি একটু তাকাবে না এসবের দিকে ????????????