আমাদের রাজনীতি

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২৪

"তারেক রহমান" লন্ডনে ফেরার আগে যা বললেন

=============== ­===========

শামীম আহমেদ জেদ্দা থেকে: ২০০৭ সালে তথাকথিত তত্বাবধায়ক সরকারের আমলেগ্রেফতার হয়ে রিমান্ডে পুলিশি নির্যাতনের কারণে অসুস্থ হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাইকোর্টেররায়ে প্যারোলে তারেক জিয়াস্বপরিবারে লন্ডনে যান। সেখান থেকে প্রথম বারের মতো লন্ডনের বাহিরে সপ্তাহে সৌদিআরব যান পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য। ওমরাহ এর আনুষ্ঠানিকতা শেষে লন্ডনেফেরার পুর্বে সৌদিআরব বিএনপির সভাপতি আহমেদ আলীমুকিবের সভাপতিত্বে এক প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। তার বক্তব্য তুলে ধরা হলো-

'১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন হয়ে গেছে এখন প্রয়োজন সবাই মিলেমেশে দেশকে এগিয়ে নেওয়া। এখন আর দেশকে বিভিন্ন ইস্যুতেদ্বিধা বিভক্ত করে নতুন কোন যুদ্ধের প্রয়োজন নাই।

তিনি আরো বলেন তার ও তার পরিবারের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের আগামীতে যদি দেশের জনগন দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেয় তাহলে সকল দুঃখ বেদনা বুকের গভীরে ধরে রেখে প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের পরিবর্তে সবাইকে সাথে নিয়ে দেশ গড়ার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করবেন। তবে দেশের জনগনের বিরুদ্ধে যারা সীমা লংঘন করে হত্যা নির্যাতন চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আদালতের উপর সরকারের কোন হস্তক্ষেপ থাকবে না।

কিছু প্রশ্নই বলে দিবে সত্যিকার স্বাধীনতার ঘোষনা কে দিয়েছিল। তিনি আরো বলেন যদি মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান ২ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে সেনাবাহিনী সহ সকল সামরিকবাহিনীর বাঙালি সিপাহীদেরযদি নির্দেশ দিতেন পাকিস্তানি কমান্ডারদের গৃহবন্দী করার তাহলে স্বাধীনতা যুদ্ধে হয়তো অনেক মানুষের প্রাণ বেচে যেত।

আন্দোলনের ব্যাপারে তারেকরহমান বলেন আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা থাকতে হবে, আপনি যা বলবেন জনগণ কে তা বিশ্বাস করতে হবে, জনগণের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান জানান তিনি ইচ্ছা করে বিদেশে আসেননি। আল্লাহর ইচ্ছায় তিনি বিদেশে আছেন এবং আল্লাহর ইচ্ছায় তিনি দেশেফিরে যাবেন।

০ টি +০/-০